![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গিলি,ক্ষ্যপা গিলি বলে সবাই ক্ষেপায়।হসপিটালের বেডে শুয়ে শুয়ে ভাবছে এই নিয়ে তিনবার ভর্তি হতে হলো। কেন ওরা মারবে আমাকে!না হয় আমার মাথায় একটু গণ্ডগোল আছে। আমি কি ভুল কিছু বলি! প্রথমবার মারল মন্দিরের লোকগুলো তারপর মেয়েরা!এবার তো সরকারী কর্মীরা মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন ধরাধরি করে হসপিটালে দিয়ে গেল।
এখানে একটা নার্স আছে বিনু , এই কয়েকবার হসপিটালে আসার সুবাদে গিলি কে ভালই চিনেছে।
দুদিন বাদে বিনু এসে গিলিকে বলল তোমার খবর বেরিয়েছে কাগজ্ দেখো সঙ্গে মাথা ফাটা ছবিও দিয়েছে। গিলি কাগজ দেখে মনে মনে খুশীই হয়েছে। যারা ওকে মেরেছে তাদের শোকজ করেছে জেলা-শাসক। বিনু জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছিল। ক্ষেপা গিলি বলতে শুরু করলো।
আমাদের ক্লাবের সমীর দা দুইশ টাকা আর একটা ফরম দিয়ে বলল যে ডিএম অফিসে জমা করে দিতে, সেই মতো আমি সকালে জমা করতে গিয়েছি। ওখানে নিদিষ্ট টেবিলে যিনি আছেন তাকে বললাম ক্লাবের রেজিস্টেশন রিনিউ করব। তিনি বসে বসে খবেরের কাগজ পড়ছিলেন।আমাকে বলল-
এখন হবেনা পরে আসতে হবে।
কেন কম্পিউটার খারাপ?
না এখন হবেনা পরে আসো।
এখন কি অফিস শুরু হয়নি নাকি যে পরে আসতে বলছেন!
সকাল বেলায় শান্তিতেও কাগজটা পড়তে পারছিনা এদের জ্বালায়।
আমিও রেগে গেলাম
কেন আপনি কি অফিসে কাগজ পড়ার জন্য আসেন?আপনার কাজ যেটা সেটা আগে করুন তার পর যা ইচ্ছে পড়ুন।
রেগে গিয়ে তিনি বললেন-
তুই আমাকে কাজ শেখাতে আসবিনা,তোর বয়েসের থেকেও বেশীদিন চাকরি করছি আমি।
হুমমমমম তোমাদের মত অকাজের লোকগুলোর জন্যই দেশে এতো ঘুষখোর বেড়ে গেছে।সামান্য তিন মিনিটের কাজের জন্য আমাকে পরে আসতে হবে, কিনা তুমি এখন কাগজ পড়ছো।সারাদিন কাজ কি করো হ্যাঁ! এসে শুধু টেবিলে বসে থাকো। ফাইলের পর ফাইল জমে থাকে।কাজ করলে এতো ফাইল জমে কি করে?
কি!
যে মাইনে পাও সেটাতো আমাদের টাকা।আমাদের টাকা নিচ্ছ মানে তুমি আমাদের কর্মচারী কেন কাজ করবে না এখন, আমার কৈফিয়ত চাই।
টেবিল থেকে উঠে আমার কলার চেপে ধরে
তুই কোথাকার ****** আজ তোকে বোঝাবো এখানে কে মনিব আর কে কর্মচারী।
আশেপাশে অনেকেই উঠে এল আমার দিকে কেউ বলছে থামো থামো কেউ বলছে মার শালাকে।আমিও তার কলার চেপে ধরলাম-
এতক্ষন তোকে আমি আপনি তুমি বলে সম্মান দিয়েছি তার জন্য তুই আমার কলার ধরেছিস! বড় বলে আজ তোকে ছাড়বোনা,শালা ঘুষখোর কাজের সময় কাগজ পড়িস লোক আসলে কাজ করে দিসনা।তুই আমাকে মারতে পারলে আমিও পারি।
এবার অফিসে চিৎকার চেঁচামেচি অনেকেই আমাকে মারধর শুরু করে দিয়েছে তারপর অজ্ঞ্যান হয়ে গেলাম। তার পর দেখি আমি হসপিটালে।
বিনু বলে উঠলো
যাক এই যাত্রায় বেঁচে গেলে ওখানে কিছু বাইরের লোক ছিল ওরাই তোমার হয়ে সাফাই দিয়েছে তাই। আচ্ছা আগের দুবার কি হয়েছিল?
প্রথম বার একটা মন্দিরের সামনে কয়েকটা বলির পাঁঠা ম্য ম্য করে ডাকছিল দেখে বড্ড মায়া হল আমি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে দেবীর কাছে জোরে জোরে প্রার্থনা করলাম-
মা এই অবলা পশুগুলোর মা মা ডাক শুনে একটু করুনা করো,মোক্ষ না বুঝে বলি দিতে আসা ঐ মানুষ পাঁঠা গুলোর মাথা কেটে নাও।
আমার কথা ওরা শুনতে পেলো তার পর তো তুমি জানই। বিনু এবার বলল মেয়েরা কেন মারলো?
বাসে একটু ভিড় ছিল একটা গ্রাম্য বয়স্ক লোক মহিলা সীটে বসেছিল, দেখে মনে হল অসুস্থ। কিছুক্ষন বাদে কয়েকটা কলেজের মেয়ে বাসে চেপেই ঐ লোকটা কে বলল-
দেখতে পাচ্ছেন না এটা লেডিস সীট উঠুন আমরা বসবো।
লোকটা খুব করুন ভাবে মেয়েদের দিকে তাকাল মনে হল দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছে ,আমি বললাম-
বয়স্ক লোক আপনারা একটু দাঁড়ালে অসুবিধে হবে না।
একটা মেয়ে বলল-
মহিলাদের সাথে বসতে ভাল লাগে সবার-ই বসুক।
এটা কেমন কথা?
তো কি বলবো মহিলা সীটে বসে থাকলে এরকম-ই শুনতে হবে।
লোকটা বলল -
ঝগড়া করনা আমি উঠছি
লোকটাকে আমি বললাম-
আপনি বসুন,ছেলে মেয়েদের সমান অধিকার যখন তখন কেন মেয়েদের জন্য সীট আলাদা থাকবে।মুখে বলবে সমান অধিকার আর সুবিধে নেওয়ার সময় সুযোগ নেবে ষোল-আনা এমন কেন?
অন্য একটা মেয়ে বলল-
বেশী কথা বলছেন মাথায় গণ্ডগোল আছে নাকি?
এভাবে এক কথা দু কথায় কখন যে লোকটা নেমে গেল খেয়াল করিনি কিছুক্ষন পর একজন মহিলা চেঁচাতে শুরু করেছে চোর চোর ব্যাগ নিয়ে গেল।দেখি যে ঐ লোকটা বাস থেকে নেমে একটা মোটরসাইকেল আরোহীর পেছনে বসে ব্যাগ হাতে পালাচ্ছে।এবার বুঝে নাও কেন মেয়েরা মারলো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আমার তো মনে হয় গোটা দুনিয়ার একই অবস্থ।।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
খেলাঘর বলেছেন:
তাজুদ্দিন আহমেদ কে ছিলেন?
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আাপনি তো পোস্ট দিয়েছেন।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১২
খেলাঘর বলেছেন:
বাংলাদেশে ১ কোটী লকের মানসিক সমস্যা আছে, বাকীগুলোর মগজ কম।