নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্র সাংবাদিক

প্রণব দেবনাথ

সময়ের থেকে দামী, জ্ঞানের থেকে উৎকৃষ্ট কোনো বস্তু বা তত্ত্ব নেই

প্রণব দেবনাথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দু মুসলিম- একটি ছোট পর্যালোচনা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

ঈশ্বর নিরাকার। মানুষের মনে ঈশ্বর তত্ত্ব তৈরী হওয়ার পর ইচ্ছে হলো তার আরাধনা করবে । এখানেই হলো মুস্কিল নিরাকার কে কল্পনা করা যায়না। উপায় ! মানুষ তার মনের মাধুরী মিশিয়ে বানালো মূর্তি । সেই মূর্তির সামনে উপাসনা হতো নিরাকার এর। পন্ডিতরা প্রকৃতির বিভিন্ন গুন সম্পন্ন শক্তি কে দেব দেবীর পরিচয়ে গল্প বানিয়ে সাধারণ মানুষ কে বোঝাতেন, যাকে আমরা এখন বলি "পুরাণ" । সময়ের সাথে সাথে মানুষ নিরাকার এর কথা ভুলে মুর্তিকেই ঈশ্বর ভাবা শুরু করলো। সাথে জুড়ে গেল গল্পে শোনা দেবদেবীর মূর্তি । এরপর মতানৈক্য বিভিন্ন দেব দেবীর হরেক রকম গোষ্ঠী ।
ভারতবর্ষ বা হিন্দুস্থান , এখানে চলতে থাকলো নানান ধর্ম বর্ণ যেমন- শাক্ত, শৈব , বৈষ্ণব এদের  কোন্দল রক্তপাত। ক্ষমতাবানরা গরিবদের শোষণ করার জন্য নিয়ে এলো উচুজাত নিচুজাত এর তত্ত্ব । চারদিকে যখন এই হট্টগোল তখন এখানে আক্রমন করে নানান বাইরের শক্তি। তার মধ্যে মুসলিম শাসক আর লুঠেরা অন্যতম । আরবীয় সংস্কৃতির শাসকদের আক্রমনের বিরুদ্ধে এখানকার মানুষ এক হতে থাকলো। ভারতবর্ষকে  বাইরের লোক জানতো হিন্দুস্থান নামে। এখানকার বাসিন্দারা এবার নিজেরাও সেই নাম পরিচিত হয়ে উঠলো। শাক্ত, শৈব , বৈষ্ণব, ব্রাম্মণ, ক্ষত্রিয়,বৈশ্য, শুদ্র এক নামে  পরিচিত হলো যার নাম হিন্দু। এই কারণে হিন্দু কোনো ধর্ম নয় একটা সংস্কৃতি ।
মুসলিম আক্রমনে অনেকে ভয়ে অনেকে ভক্তিতে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। কেউ হিন্দু সমাজে জাতপাতের শিকার হয়ে ইসলাম কবুল করেছে। শাসকরা এখানে শাসন করে গেছেন, ধর্ম কে বাড়িয়েছেন প্রায় ৮০০ বছর ধরে । কিন্তু ধর্মের লোকদের আর্থিক বা শিক্ষার উন্নতি করেননি। হিন্দু সমাজে যে অবহেলিতরা ইসলামকে আকড়ে ধরে মানুষ পরিচয় পেতে চেয়েছেন তারা সেই অবহেলিতই থেকে গেছে । যার ফল আজ ভোগ করে যাচ্ছেন মুসলিমরা।
বৌদ্ধ , খ্রিস্টান, জৈন সহ আরো অনেক ধর্ম আছে তারা কিন্তু এই অঞ্চলের সংস্কৃতির সাথেই মিশে আছে। শুধু মুসলিমরা এক অদ্ভূত অবস্থায় আছেন. তাদের কাছে আরব আর মুসলিম এই দুটি যেন একে অন্যের পরিপূরক । বিষয়টা এমন আরবের পোশাক মুসলমানী  পোশাক , আরবের আইন মুসলমানী আইন । আর ইতিহাস ! সেও যেন ১৫০০ বছর আগে কিছু ছিলোনা ! স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে বৈপরীত্যর কারণে প্রায়ই সংঘর্ষ বাঁধে। এই কারণেই মুসলিম দেশগুলোতে প্রাচীন বিধর্মী নিদর্শন ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকে তো দাঁড়ি , টুপি, পোশাকেও  ধর্ম  খোঁজে । মুসলিমদের কাছে তারাই গর্বের যারা তাদের পূর্ব পুরুষদের লুঠ ,খুন, ধর্ষণ করে ধর্মান্তরিত করেছে । হিন্দুরা ইতিহাসে যাদের দ্বারা নির্যাতিত বর্তমান মুসলিমদের পূর্ব পুরুষরাও তাদের হাতে নির্যাতিত। মুসলিম আর মুসলিম শাসক এক নয় । আরবের সংস্কৃতি মানে মুসলিম সংস্কৃতি নয়, বোঝার ক্ষমতা কম লোকেরই আছে ।
আরবীয়  মুসলিম শাসকের আক্রমনের আতঙ্ক  উত্তরাধিকার সুত্রে এখনো হিন্দুদের মনে  থেকে গেছে । সেই কারণেই হিন্দুদের মনে মুসলিমদের নিয়ে ভয় । আক্রমনের কথা শুনে যে পুরুষ পৈতে ছিঁড়ে দাঁড়ি রাখা শুরু করেছে, যে মহিলা কপালের সিঁদুর মুছে হাতের  শাখা  ভেঙ্গে মুসলিম সেজেছে, এই ধরনের শুনে মুসলমানের কাছ থেকে আর যাই হোক ধর্মটা ঠিকঠাক বোঝা সম্ভব নয় । সেই উত্তরাধিকার এখনো বয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম।
আকবর যত ভালো কাজই করুক হিন্দুদের কাছে সে অত্যাচারী , আবার আওরঙ্গজেব যত অত্যাচারী হোক না কেন সে মুসলিমদের কাছে সৎ শাসক , এই সবের একটাই কারণ ধর্ম। হিন্দুরা ধর্ম ভুলেছে পুরাণে, আর মুসলিমরা হাদিসে । অজানা থেকে আসে আশংকা ,আশংকা থেকে ভয় , ভয় থেকেই আসে হিংসা , আর হিংসা মানেই অশান্তি । তাই  আমরা একে অন্যকে আরো বেশী করে যত জানবো ততই মঙ্গল। কারণ "ধর্মে কোনো দোষ নেই ভাই , দোষ যত তার পরম্পরায়"।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ এক সময় এত কম জানতো যে, সৃস্টিকর্তাকে কল্পনা করতে পারেনি; তার পর মানুষ সৃস্টিকর্তাকে পেয়েছেন; মানুষ এখন এত বেশী জানেন যে, সৃস্টিকর্তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।

আদি ভারতবাসী ছিল শান্তিপ্রিয় লোকজন; পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম থেকে ভারতে ঢুকেছে নিস্ঠুর লোকজন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: অনেকটাই শান্তিপ্রিয় সে কারণেই তো এতো অত্যাচার সহ্য করেছে।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

এই আমি রবীন বলেছেন: তৈমুর লং এসে কাদের হত্যা করেছে, কাদের ধর্মান্তরিত করেছে?
আ্ওরঙজেব, বাবর কি এখানে, এই ভারতীয় উপমহাদেশে জন্মেছে? -না?
এই ভারতীয় উপমহাদেশে মরেছে? -না?
ভারত বর্ষকে লুঠেছে? - হ্যা।

৮০০ বছরের গোলামীর ইতিহাসে সব ধুয়ে মুছে সাফ।
ওরা আমাদের বাপ।
যত জানবেন তত কাফের হবেন।
এরচে অজ্ঞ থাকুন, কেয়ামতের ময়দানে মাপ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: এই কারণেই অনেক হিন্দুরা মানেনা পলাশীর মাঠে ইংরেজদের হাতে বাংলার স্বাধীনতা হারিয়েছে। কারণ সিরাজউদ্দৌলা ও বাঙালি ছিলেন না ফার্সি ছিলেন। সময় চক্র বদলানো যায়না সেই কারণেই এখন শান্তির একমাত্র উপায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এই আমি রবীন বলেছেন: .....এরচে অজ্ঞ থাকুন, কেয়ামতের ময়দানে মাপ।
কেয়ামত হইবেক কবে ? বিনা কেয়ামত কি বেহেস্তে যাওয়া যাবে না? ...মানে একটু ম্যানেজ -ট্যানেজ করে , টু পাইস দুয়ে থুয়ে.. ..মানে করাপশন করতে তো আমরা এক্সপার্ট ... ৭২ হুরী পরী অপ্সরী আর কত দূর? চারদিনের এই দুনিয়া ..আজ মরলে কাল দুদিন.... ....ভাল্লাগে না আর এই দুনিয়াদারি !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: :) :) :) :)

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

এই আমি রবীন বলেছেন: @বাবুরাম সাপুড়ে১ ,
আপনার জন্য 'আইসসি' পার্ফেক্ট আছিল।
এখন রাশিয়া / আম্রিকার / কাফের দের জন্য তারা্ও দৌড়ের উপ্রে ।
আপনার নসীবটাই খারাপ।
ধুয়ে প্যারাসিটামল খান তিন বেলা। ;-)

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এই আমি রবীন বলেছেন:
আপনার জন্য 'আইসসি' পার্ফেক্ট আছিল।---এইরে!... তাইলে তো আবার সিরিয়া- মিরিয়া যাওন লাগিবেক ! আমি বাপু কুঁড়ে মানুষ।কাজ নেই গিয়া ,বাদ দ্যান।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

এই আমি রবীন বলেছেন: হাহাহা,
৭২ হুর এইজন্যই আপনার হাত ছাড়া হল।
যাউগ্গা, কবিতা পাঠে মন দেন।
@http://www.somewhereinblog.net/blog/BaburamSanpure

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: :``>> :``>> :``>>

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪০

PoisonousMist বলেছেন: এইসব ধর্মের আমার কাছে কোন মূল্য নেই। আমি মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: ভালো মানুষ এমনিই ভালো, তাতে সে ধর্ম মানুক আর না মানুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.