নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্র সাংবাদিক

প্রণব দেবনাথ

সময়ের থেকে দামী, জ্ঞানের থেকে উৎকৃষ্ট কোনো বস্তু বা তত্ত্ব নেই

প্রণব দেবনাথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দামের কারণে বাংলাদেশি ওষুধ কিনে ব্রিটিশ নারীর রোগমুক্তি।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

বিশ্বের অনেক দেশে অনলাইনে ওষুধ কেনা অনেকটা জনপ্রিয় হয়েছে। প্রেসকিপশন না পাওয়া, ডাক্তার দেখাতে না পারা, বিশেষ করে ওষুধের দাম বেশি হওয়ার কারণে অনলাইনে ওষুধ কিনছেন অনেকে।
ব্রিটিশ এক নারীও কম দামে ওষুধ কিনতে অনলাইনের ওপর নির্ভর করেছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে 'হেপাটাইটিস সি' নিরাময়ের ওষুধ কিনেছিলেন জো শারাম নামে এক ব্রিটিশ নারী।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের তৈরি ওষুধ সেখানে সহজে পাওয়া গেলেও অনেক উচ্চমূল্যের ওষুধ হবার কারণে এগুলো শুধুমাত্র বেশি অসুস্থ রোগীদের দেয়া হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ পনের হাজারের মতো রোগী রয়েছে, যাদের একজন জো শারাম।

মিস শারামের বয়স যখন ২০ বছর তখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। ভাইরাসটি শনাক্ত না হওয়ায় অন্য অনেকের মতো এই ভাইরাস বহন করেই বছরের পর বছর চলছিলেন তিনি।
"আমি অফিসের চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়তাম, স্মৃতিজনিত অনেক সমস্যাও হচ্ছিল আমার। এছাড়াও হজমে সমস্যা হচ্ছিল, ঘৃণা মনোভাব জাগছিল।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের হলো আমার দেহে হেপাটাইসিস সি ভাইরাস রয়েছে। তখন বুঝলাম এ কারণেই আমি বহু বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি"-বলছিলেন জো শারাম।
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস নিরাময়ে যে ওষুধ পাওয়া যায় ইংল্যান্ডে তার খরচ জোগাতে মোটামুটি হিমশিম খেতে হয় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে।
প্রতি রোগীর জন্য প্রায় দশ হাজার পাউন্ড খরচ হয় সংস্থাটির, আর এ কারণে শুধুমাত্র বেশি অসুস্থ রোগীদেরই এ ওষুধ দেয়া হয়।
জো শারাম যেহেতু খুব বেশি অসুস্থ ছিলেন না তাই তিনিও ওই ওষুধ কিনতে পারেননি।
সে কারণে তিনি নির্ভর করলেন অনলাইনের ওপর এবং অনলাইনেই সস্তা দামের ওষুধ কিনলেন বাংলাদেশ থেকে। এতে তাঁর খরচ পড়েছিল প্রায় এক হাজার পাউন্ড।
"আপনিতো দামের জন্য আপনার জীবনকে হুমকির মধ্যে রাখতে পারেন না, তাই না?"
কিন্তু ওই ওষুধ কাজ করবে কিনা সেটা না জেনে কিভাবে সেটা কিনলেন তিনি?
"আসলে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। শারিরীক সমস্যাগুলো নিয়ে চলতে আর ভালো লাগছিলো না। আসলে এটা আমার পছন্দ ছিল, এটা অনেকটা বাতাসে কয়েন ছুঁড়ে দেবার মতো"-বলছিলেন জো।
অনলাইনে বাংলাদেশ থেকে কেনা ওষুধ
গত নভেম্বর মাসে তিনি তাঁর ওষুধের কোর্স শেষ করেন।
এরপর তিনি আবার কিছু রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করান। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি সেই ডায়াগনসিস রিপোর্ট হাতে পেয়ে জো দেখেন তাঁর রক্তে হেপাটিাইসিস সি ভাইরাসের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।
"এখানে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যে দামে ওষুধ বিক্রি করছে তার তুলনায় অনেক কম দামে আমি ওষুধ কিনলাম। অথচ সেটা কাজও করলো।
আর প্রত্যেকেরই সুস্থ হবার অধিকার আছে, যদি সেটা সম্ভব হয়"-বলছিলেন জো। 
সূত্র: http://www.bbc.com/bengali/news-39129792

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

মেটাফেজ বলেছেন: আমরা গরীবের বন্দু।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: তাই তো দেখছি ।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের কোনটা আসল, কোনটা নকল, বুঝার উপায় কি?

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১১

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: এই বিষয়ে জানার জন্য আপনার সাহায্য লাগবে । :D

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের কোনটা আসল, কোনটা নকল, বুঝার উপায় কি?

হাহহাহাহা.
আল্লাহ ভরসা!

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১২

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: উপরওয়ালাই ভরসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.