![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক মাস পরেই নির্বাচন। যথারীতি আন্দোলনের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। দেশব্যাপি বিএনপি র সভাসমাবেশের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যঅনুযায়ী ২৫ অক্টোবরের পর থেকে রাজপথ গরম রাখবে তারা। জামাত শিবিরের সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএনপির সাথেই রাজপথে নামবে দলটি। আর তারা যদি রাজপথে নেমেই যায় তাহলে আওয়ামীলীগের ক্যাডাররাতো আর বসে বসে মুড়ি খাবে না!!!
তাই বলা যায় ত্রিমুখী রণনৃত্য দেখতে পাবো আমরা অতিশীঘ্রই।
তবে এই রণনৃত্তের প্রদর্শনীতে আমরা সাধারন মানুষেরা কনফিউসড হয়ে যাই কারা কোন দলের নৃত্যবিদ(!!) তা নিশ্চিত করতে গিয়ে।
কারণ লীগ যেমন ‘নারায়ে তাকবীর’ বলে হামলা চালায় তেমনি শিবিরও ‘জয় বাংলা’ ব্যাবহার করে!! তাই আমি চেষ্টা করেছি সাধারন কিছু বৈশিষ্ট্য সবাইকে মনে করিয়ে দিতে যা দেখে এই তিন দলের ক্যাডারদের আলাদা করতে পারবো আমরা ঃ
শিবিরঃ বর্তমানে সবচেয়ে কোণঠাসা অবস্থায় থাকা এই দলটি প্রস্তুতি নিচ্ছে জোরেশোরে ধামাকা করার। এই দলটার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল, তিন দলের মধ্যে এদের দলীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি। যখন কেন্দ্র নির্দেশ আসে আন্দোলনের তখন একযোগে ঝাঁপিয়ে পরতে দ্বিধা করে না তারা । ব্যাক্তি স্বার্থ থেকে দলীয় সার্থকে বড় করে দেখে এই দলের কর্মীরা।
ব্যাবহৃত অস্ত্র”ঃ * রামদা তাদের ট্রেডমার্ক! কথিত আছে কর্মী হলেই তাদের প্রত্যেককে একটা করে রামদা দেয়া হয়!!!
তাছাড়া দেশীয় লাঠি, ইট ব্যাবহার করে। এরা পিস্তল, শটগান পারতপক্ষে ব্যাবহার করে না।
ছাত্রলীগ ঃ দলের মধ্যে একতা তুলনামুলকভাবে শিবিরের চেয়ে কম। টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ সঙ্ক্রান্ত ঘটনায় তাদের নাম বরাবরি অগ্রগণ্য!! বেশিরভাগ সময় দলীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যাক্তিস্বার্থকে বড় করে দেখে!! নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ির অস্সাভাবিক প্রবণতা তাদের অন্যান্যদের চেয়ে অনন্য করে তুলেছে!!
ব্যাবহৃত অস্ত্র”ঃ * ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র ব্যাবহারে সবসময় অগ্রগামী!হকিস্টিক, চাপাতি প্রায় সবার কাছেই থাকে। ‘বড় ভাইদের’ কাছে থাকে দেশি পিস্তল!!!!
তাছাড়া লগি-বৈঠা(ট্রেডমার্ক), ইট, ছুরি ব্যাবহার করতে দেখা যায়।
ছাত্রদল ঃ দলীয় একতা আর মাঠে সক্রিয়তার প্রশ্নে বর্তমানে সবার পেছনে!! বর্তমানে ছন্নছাড়া অবস্থায় দলীয় কার্যক্রম চল্লেও যেকোনো সময় জেগে উঠতে পারে আর জেগে উঠলেই রাজপথ গরম করে দিতে সক্ষম!এরাও ব্যাক্তিসার্থের প্রশ্নে খুবি যত্নশীল!!
ব্যাবহৃত অস্ত্র’ ঃ ট্রেডমার্ক বলতে যা বোঝায় তেমন অস্ত্র নেই, মোটামুটি সব অস্ত্রই ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। ব্যাতিক্রম বলতে আমি মাঝে মাঝে তাদের রড ব্যাবহার করতে দেখেছি!
এই হল মোটামুটি তিন দলের একটা সাধারন চিত্র। তবে প্রত্যেক সাধারন মানুষের মত আমারও চাওয়া অস্ত্রের ঝনঝনানি, রক্তাক্ত রাজপথ দেখতে চাই না। চাই সুষ্ঠু সুন্দর সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন। সংসদেই মীমাংসা হোক সবকিছু, রাজপথে নয়!
পুরো ব্যাপারটাই আমার নিজস্ব বিশ্লেষণ। ভারি কোন কিছু লেখার ইচ্ছা একদমি ছিলনা, তাই চেষ্টা করেছি হালকার উপরে ঝাপসা কিছু লেখার তারপরেও লেখায় যদি কিছু বাদ পরে যায়, আর আপনারা যদি আমায় অবগত করেন তাহলে আপডেট করে দেয়া হবে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
চটপট ক বলেছেন: এক বার শিবির সন্দেহে ধরসে, দাড়ি আসে বইলা আরেকবার শিবিরে ধরসিল ছাত্রলীগের ভাইদের সাথে দেক্সিল বইলা।দেখেন ভাই কি অবস্থা!!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
রাহুল বলেছেন: সাবধানে থাইকেন ভাই ,যার সামনেই পড়বেন হেই খবর কইরা ছাড়বো।ঐ হালাগো দল আছে কিন্তু মা-বাপ নাই।