![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণের মধ্যে অতি সাধারণ হয়ে বেচে থাকার আনন্দে বিভোর
সবে এস এস সি শেষ করে বি ডি আর কলেজে ভর্তি হয়েছি সাল ১৯৯৬, মফস্সল থেকে রাজধানীতে এসে ই স্বাধীনতার সুখ পেতে শুরু করলাম। এখন আর লুকিয়ে ৫৫৫ খেতে হয় না এত বড় শহরে কে কার খোজ রাখে?
কিছু ধনীর দুলাল দুলালী অল্প দিনে ই বন্ধু হয়ে গেল, মেয়ে বন্ধু আর ছেলে বন্ধুতে কোনো পার্থক্য বুঝি না বন্ধু তো বন্ধু ই । একসাথে কলেজ পালাই ফাস্ট ফুড খাই ছিনেমা দেখি বড় আনন্দের দিন কাটে।
এরি মধ্যে চিনে ফেললাম গুলশানের ডান্স ফ্লোর, ডীস্কো, ফেনসিডিল, পর্ণ, ঘুষখোর পুলিশ, ছাত্র রাজনীতির নামে চাদাবাজি আরো কি কি?
নিজেকে বুঝতে শেখার সেই বয়সে পারিবারিক শিক্ষা ধর্মীয় শিক্ষা নিজের চারপাশের দেয়ালটা প্রচন্ড ধাক্কা খেতে শুরু করে, নারী পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক, হিংস্রতা আর বীরত্বের পার্থক্য, আমার জাতীয়তা, আমার ইতিহাস সহ নানা বিষয়ে নিজের মধ্যে অসংখ প্রশ্ন কিন্তু উত্তর পাওয়া বড় দুস্কর। এরই মাঝে শিল্প আর অশিল্লতার এক আলোচনাতে সাহিত্য টিচার কিছু বললেন যা ওই মুহুর্তে বুঝি নি কিন্তু আজ পর্যন্ত অনেক কাজে দিয়েছে। মূলত এই কথাটার জন্য ই এই পোস্ট।
নগ্নতার মধ্যে দিয়ে ই প্রতিটি মানুষের জন্ম, প্রাকিতিক এই নিয়ম কে অসীকারের উপায় মানুষের ক্ষমতার বাইরে। যার উপস্থিতি আছে তার অবশ্যই প্রকাশ আছে কোনো না কোনো ভাবে। এই সহজাত অতি সাধারণ বিষয়টিকে রুচিশীল উপস্থাপনের নাম ই শিল্প।আর এই নগ্নতার প্রকাশ যখন রুচিতে বাধে তখন আমরা বলি এটা অস্শীল।
পাশ্চাত্বে যখন স্কুলে যৌন শিক্ষা দেয়া হয় আমরা তখন ও এসবের উপর করা চোখ রাঙানিতে থাকি কিন্তু পেছনের দরজা দিয়ে চটি আর নীল ছবির আগমন তো থেমে নেই। নারী পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্কটা ই বুঝা কঠিন হয়ে পরে উচ্চমার্গের চিন্তা তো বহুদূর।এরই ফাকে অনেক ভুল অনেক অনিয়ম তৈরী হয়ে আমি হারিয়ে যেতে দেখেছি অনেক মেধা।
আমাদের আবার ও ভাবা উচিত সামাজিক শিক্ষা ব্যবস্থা বা শিক্ষা ব্যবস্থার মানবীকরণ নিয়ে।
©somewhere in net ltd.