নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেধে রাখা চোখে বিশ্ব দেখি

বেধে রাখা চোখে বিশ্ব দেখি, উল্টো স্রোতে চলার সাহস রাখি

physiopavel

সাধারণের মধ্যে অতি সাধারণ হয়ে বেচে থাকার আনন্দে বিভোর

physiopavel › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানী যুগে যুগে সকল ধর্ম মত ও ইতিহাসে:

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

জন্মসুত্রে মুসলমান সকলে কুরবানী শব্দটি এবং এর অন্তর্নিহিত ভাব সম্পর্কে শুনে যাচ্ছি। এই আর্টিকেল আরেকটু অতীতে এবং ভিন্ন মত পোষনকারীদের সহ বিবেচনা করে লেখা হচ্ছে।

প্রথম প্রশ্ন: কেন মানুষ এই ধরনের ত্যাগের চর্চা করে?

উত্তর : সম্ভবত এমন একজন পাঠক ও নেই যে জীবনে কিছু পাবার জন্য কিছু করার ওয়াদা করে স্রষ্টার সাহায্য চাই নি। হে আল্লাহ এই exam এ ভালো result করলে নফল রোজা রাখব। এইটা পেলে ঐটা করব বা এইটা করলাম ঐটা দাও টাইপের স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মধ্যে চলা give and take বানিজ্য আমরা সকলে ই কম বেশি করি বা করেছি। চাওয়াটা যত বড় বা দরকারী দেয়ার ওয়াদা ও তত বড় বা কঠিন।এই মানসিকতা আমাদের পূর্বপুরুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত ই বটে।

তবে এবার ইতিহাস ঘেটে দেখি।

অবাক হবার পালা শুরু। সকল ধর্মে সকল জাতিতে সকল সভ্ভতাতে কুরবানী দেখা যায় তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। ইসলাম এবং খিস্টান ধর্মে শুরুর কাহিনী মোটামুটি একই।আদম আ: এর দুই ছেলে আল্লাহ কে খুশি করার জন্য কোরবানী দেয় , একজন শস্য অন্যজন পশু। পশু কোরবানী গৃহীত হয় আগুনে পুড়ে অন্যজনের টা গৃহীত হয় না।এরপর পুত্রদয়ের পারস্পরিক শত্রুতা এক ভাই এর হাতে আরেক ভাই এর হত্যা সহ অনেক ঘটনা (আমরা কোরবানিতে ই থাকি)।পরের ঘটনা ইব্রাহিম আ: এর মহান আল্লাহ এর সন্তুষ্টির জন্য নিজের ছেলেকে জবাই এর উদ্দেশ্শে ছুটলেন তিনি এবং তাতে ছেলে ও খুশি মনে সম্মতি দিলেন। এবার কনফিউশন: খ্রিস্টান মতে ছেলেটি ইসহাক আ: মুসলিম মতে ইসমাইল আ: আর ইহুদিরা আরো এক ধাপ এগিয়ে ইসহাক আ: কে ইব্রাহিম আ এর একমাত্র পুত্র মনে করে তারা ইসমাইল আ: এর অস্তিত্ব ই মানতে নারাজ। সবার নিজ নিজ মতের পক্ষে অসংখ যুক্তি প্রমান রয়েছে , প্রত্যেকে মনে করে তার মত ঠিক অন্যের তা ভুল।

আরো পরে খ্রিস্টানরা মনে করে যিশু নিজেই নিজের কোরবানী দিলেন সকলের পাপ মোচনের জন্য।বৌদ্ধ ধর্মে পশু কোরবানির অস্তিত্ব নেই তবে তারা পাঠা বলি দেয় ভগবান কে খুশি করতে।

এত গেল মোটামুটি আস্তিকদের কথা এবার আসি নাস্তিক প্রসঙ্গে। নাস্তিকতা দুই প্রকার। আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানের উপাসনা করে একদল, আরেকদল আল্লাহ বা শয়তান কারো অস্তিত্ব মানে না । দিতীয় দলের কোরবানী নেই কারণ তাদের কাওকে খুশি করা লাগে না তবে প্রথম দল শয়তান কে খুশি করতে বিভিন্ন কোরবানী দেয় (এমনকি মানুষ ও)।ইতিহাসের মেলা আলোচিত বিষয় এই মানুষ কোরবানী দেয়া শুধু নাস্তিক নয় আস্তিকদের মধ্যে ও এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২৫০০ বছর আগে কোরবানী হয়ে যাওয়া মানুষের মাথা তরবারি সহ উদ্ধার হয়েছে ১৯৮১ সালে (সুত্র:বি বি সি হিস্ট্রি )।রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সময়ে মাথায় আঘাত করে মানুষ কোরবানির প্রমান মেলে যা করা হত তাদের দেবতাদের খুশি করতে।অতিপ্রাকৃত সহায়তা আশা করে মানুষ বলি দেয়া হত সাবেক ভাইকিংদের মধ্যে। মালিক মারা গেলে ভৃত্যদের মধ্যে থেকে একজকএকজনকে সহমরণে যেতে হত ওই পারে মালিকের সহায়তার জন্য।সহমরণের এমন রীতি হিন্ধু বিধবাদের মধ্যে ও দেখা যায়।

মানুষ কোরবানির ইতিহাস কম করে হলে ও ৫০০০ বসরের পুরনো। প্রথমদিকের ইউরোপীয় কৃষিজীবী সমাজে , মিশরের ফারাওদের সময়ে মেসপতেমিয় সমাজে এর প্রমান পাওয়া গেছে। অধুনা বুকে মাইন বেধে যারা বিস্ফোরনে মানুষ মারছে তারা নিজেরাও কিছু প্রাপ্তির আশায় নিজেকে কোরবান করে দিচ্ছে।

ভিন্ন দৃষ্টিতে কোরবানী: যদি ইব্রাহিম আ: সত্যি সত্যি কোরবানী করে দিতেন ইব্রাহিম আ: কে তাহলে আজ ঈদ আনন্দের কিছু না হয়ে হয়ে যেত চরম যাতনার।গরুর হাটে না যেয়ে আমরা শেষ বারের মত আদর করতাম নিজের প্রথম সন্তানকে।মুসলমান হয়ে যারা মরতে চান তাদের আর কোনো উপায় ছিল কি ?কে কে রাজি আছেন নিজের প্রিয় সন্তান কে কোরবানী করতে? কেও নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। তিনি আমাদের প্রতি অসীম দয়ালু তাই আমাদের ইবরাহিম আ: এর মত বিপদে তিনি ফেলেন নি, আমাদের জন্য সহজ ও আনন্দের করে দিয়েছেন ঈদ কে। সেই সাথে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন ইসলাম পূর্ব জমানার মানুষ বলি দেয়ার সকল রীতি।

আমাদের প্রতি করা আল্লাহর অসংখ দয়ার আরো একটি এই কুরবানী। এর মাধ্যমে আমরা মানুষ হত্যা কে পাপ মেনে নিচ্ছি আরো একবার।

যাই হোক পরে আরো লেখার আশা রাখি এই বিষয়ে। সকলকে ঈদ মুবারক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: আল্লাহ'র অশেষ রহমত ও কৃপা যে আল্লাহ আমাদের জন্য কোরবানির নিয়মকে অনেক সহজ করে দিয়েছেন।


সর্বশক্তিমান আল্লাহ'র কাছে মুক্তি কামনা করছি।


ঈদ মোবারক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.