![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে সারা দেশের মানুষ যখন সরব, তখন অনেকটা নিভৃতে, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার (পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন) ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের কাজ।
শুরুতে খানিকটা বাধার সৃষ্টি হলেও, পরবর্তীতে এখানকার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েও মেনে নেয় দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ঘাটতি ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনা করে। কিন্তু এখানকার ভূমিত্যাগী মানুষ কি পেলো?
পেলো প্রতি শতক জমিতে মাত্র ৫ হাজার ৭ শ টাকা (এখান থেকে বাদ যাবে দালাল, ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসনের পিছনে খরচ যাওয়া টাকা)। কতটা হাস্যকর ব্যাপার বুঝতে পারছেন?
না ঘটনা এখানেই শেষ নয়। সরকার এখানে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে একই সক্ষমতার পাশাপাশি মানে একদম লাগোয়া ৫টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র।।
বাক্য ভুল হয়নি, ঠিকই দেখেছেন, ৫টি বিদ্যুতকেন্দ্র।
যার তিনটি হবে সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থ -ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) ও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) অধীনে এবং বাকি দুটি সেনা কল্যাণ ও নৌ কল্যাণ সংস্থার মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে। এসব বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে সেটি জনমানবহীন কোনো এলাকা নয়, শত শত বছরের মানব বসতি এখানে। ঘনবসতিপূর্ণ পৌর এলাকা থেকে এর দূরত্ব মাত্র সাড়ে ৪ থেকে শুরু করে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে।
কাণ্ডজ্ঞানহীন যেসব মানুষ এভাবে সাইট সিলেকশন করেছে, তাদের বিচার চাই না। শুধু বলবো, বর্তমানে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের কাজ চলছে, চলুক। এর ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যদি নতুন কোনো বিদ্যুতকেন্দ্রের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে হয়তো আরেকটি বাঁশখালীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ প্রশস্ত নদী বেষ্টিত এই অঞ্চলে চাইলেই ১০/১৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুতকেন্দ্র ছড়িয়ে দেয়া যায়। বিদ্যুতকেন্দ্রের কাঁচামাল পরিবহনেও তাতে কোনো সংকটের সৃষ্টি হয় না। সেক্ষেত্রে শুধু সঞ্চালন লাইনের ব্যয় বাড়বে, যা মানুষের জীবন সংকটের তুলনায় অনেক সস্তা।
এ কথা নিশ্চয় মানবেন, এই জনপদের মানুষ বিনা প্রতিরোধে বন্দর, নৌঘাঁটি, ইকনোমিক জোন, ট্যুরিস্ট জোন, চারলেন সড়কসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পৈত্রিক বাড়িঘর, কবরস্থানের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে, প্রয়োজনে আরও দেবে। কিন্তু নির্মল পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা হলে, সেটা মানা যাবে না, কোনোভাবেই মানা যাবে না এবং কোনোভাবেই মানা হবে না। হাজার হাজার বন্দুক তাক করলেও না....
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৭
পিয়াস মাহমুদ জিসান বলেছেন: মাথা কাজ করে না, বিবেক ? বন্দী
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মঘাতি ব্যক্তিকে যেমন বোঝানো যায় না-
জাতীয় নেতৃত্বের আত্মঘাতে আজ তেমনি জাতি ডুবতে বসেছে!