নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারুকি মুরাকামী প্রসঙ্গে ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১


বিশ্বের তাবত মিডিয়া এবং জরিপ সংস্থা গুলোর ভাষ্যে সাহিত্যে নোবেলে জাপানী লেখক হারুকি মুরাকামীর নাম গতবারও সবার আগে ছিল। জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি ছিলেন সবার শীর্ষে । চল্লিশটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে তাঁর লেখা। খোদ চিরবৈরী চায়না তে রয়েছে তাঁর সংখ্যাতীত ভক্ত পাঠক । সে দিক থেকে ফরাসী লেখক প্যাট্রিক মোদিয়ানো অনেকটা নিভৃতে। সাহিত্যের গুন বিচারে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না । সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে সেটা বিচার করতে যাওয়াটা সৃজন রস পিপাসুর কাজ নয়,সেটা সমালোচক(ক্রিটিক)এর কাজ – যারা মেধাবী অথচ নির্লিপ্ত নির্দয়। শিল্প সাহিত্য হল বিষয়গত বা আত্মপ্রকাশগত – যা কীনা স্বয়ম্ভূ । যা পদার্থবিদ্যা রসায়ন বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো অভিষ্টলক্ষ্যসিদ্ধ, প্রায়োগিক বা ভুয়োদর্শনলব্দ কোন বিষয় নয় - তাই হয়তো কারো চোখে এ যদি শ্রেষ্ট হয়, আর কারো চোখে ও শ্রেষ্ট ।উপরন্ত, বিগত শতাব্দী থেকে সৃজনশীলতা কে সঙ্গ দিচ্ছে প্রচারনা এবং ব্যবসায়িক প্রণোদনা । এই ‘মহৎ’ সারথির আবির্ভাব সৃজনশীলতার ডাইমেনশন কে আমূল পাল্টে দিয়েছে । অনুরূপ কর্পোরেট অনুবাদের দাক্ষিন্য না পেয়ে বাঙলা সাহিত্যের পরশ পাথরসম দিব্যশক্তি আপন মাতৃ স্নেহের প্রাদেশিক শ্যামলীমার ঘেরাটোপ পেরুতে পারল না,একেবারে সুনির্দিষ্ট ব্যতিরেকে । এ ছাড়া আরও নানা ভাবেই অনেক মহৎ সাহিত্য যে ব্যাপক জনগোষ্টির আড়ালে থেকে গেছে, সে রকম ভূরি প্রমান রয়েছে । আম আদমির দিকে চেয়ে তৈরি হয় রাজনীতি, সাহিত্য বা শিল্প কর্ম নয় । তারপরও ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে মেল বন্ধন ঘটে, যা একেবারেই কল্পলোকাশ্রিত বা কাকতালীয় ।
প্রাসঙ্গিকতায় জাপানের নবীন পাঠক দের মাঝে মুরাকামির জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত হলেও , বিস্ময়কর বৈপরীত্যটা হল , জাপানী পরিনত বোদ্ধা - যারা ‘স্নো কান্ট্রি ‘র স্রষ্টা ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা বা ‘সাইলেন্ট ক্রাই’র কেঞ্জাবুরো ওয়ে তে সদা সঞ্চরনশীল,তাঁদের কাছে এই ‘পর্ণগ্রাফার অব ডিপ্রেশন’ – দর্শনধারী হলেও গুনবিচারী ‘জাপানীজ’ নন । হতে পারে ‘জাপানী’ জাতিয়তা বোধের সেন্টিমেন্ট কে মুরাকামী ধর্তব্যে আনেন নি । আতিশয্য থাকবে, পক্ষ বিপক্ষ থাকবে এবং তার মাঝেই পাঠক লেখকের চেতনা শানিত হয়, লেখক ও পাঠকের সেতুবন্ধেই তার পূর্ণতা । জাপানী সনি,প্যানাসনিক বা টয়োটা,হোন্ডা যেমন বিশ্ব মাতিয়েছে, তেমনি তার সৌন্দর্য বোধ, সৃজনশীলতা বিশ্বকে ছুঁয়েছে নিরন্তর - এটাও প্রমাণিত সত্য । মুরাকামী সেখানেই স্বার্থক । তিনি স্বার্থক তাঁর অগনিত জাপানী তরুন ভক্তদের মাঝেও, যারা রাত জেগে জাপানের জায়ান্ট প্রকাশনা সংস্থা ‘কোডানশা’র টোকিও বিপণীর সামনের সরণী জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে প্রথম স্মরণীয় কপিটার অপেক্ষায় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.