![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামচুল হক
পুরানা পল্টন মোড়ের ফুটপাতের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। পাশেই ডাবওয়ালা ডাব নিয়ে বসে আছে। ডাবওয়ালার তেমন বেচা বিক্রি নেই। মাঝে মাঝে দু’একজন এসে ডাব খেলেও চায়ের দোকানের মত এত ভির নেই।
ফুটপাতে স্তুপ করে রাখা ডাবগুলো থেকে অল্প দূরেই দাঁড়ানো ছিলাম। এমন সময় একজন আধবয়সি হুজুর টাইপের লোক সাথে বোরখাওয়ালী বউ নিয়ে হাজির। ডাবওয়ালাকে ডাবের দাম জিজ্ঞেস করতেই ডাবওয়ালা দুই ধরনের ডাব দেখিয়ে একটি পঞ্চাশ টাকা অন্যটি ষাট টাকা দাম হাঁকালো। ষাট টাকার ডাবগুলো বেশ বড় কিন্তু সেই তুলনায় পঞ্চাশ টাকার ডাবগুলো অনেকটা ছোট। লোকটি ষাট টাকার ডাব পঞ্চাশ টাকায় দেয়ার জন্য খুব পীড়াপীড়ি করল কিন্তু ডাবওয়ালা এক পয়সাও ছাড়তে রাজী হলো না। অবশেষে ষাট টাকার ডাবের আশা ছেড়ে দিয়ে পঞ্চাশ টাকার ডাবের কাঁধি দেখিয়ে সেখান থেকে একটি ডাব কেটে দিতে বলল।
ডাবওয়ালা ছোট ডাবের কাঁধি থেকে তার দেখানো ডাবটি আলাদা করে বাম হাতে ধরে ডান হাতের দা দিয়ে ডাবের উপরের অংশ কেটে পানি বের করার মত ছিদ্র করে নিল। ছিদ্র মুখে চুষে খাওয়ার জন্য একটি পাইপ ঢুকিয়ে দিয়ে লোকটির হাতে তুলে দিল। ডাব হাতে নিয়ে হুজুর নিজে না খেয়ে বোরখাওয়ালী স্ত্রীর হাতে দিল। স্ত্রী ডাবটি হাতে নিলেও পাইপে মুখ না দিয়ে উল্টো হুজুরকেই খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। স্ত্রীর পীড়াপীড়ির পরও হুজুর নিজে না খেয়ে স্ত্রীকেই খেতে বলল। বুঝতে পেলাম, স্বামীর আগে স্ত্রী ডাবের পানি খেতে রাজী নয়। কিন্তু স্বামী আগে খেতে রাজী না হওয়ায় বাধ্য হয়েই স্ত্রী ডাবটির পাইপে মুখ দিয়ে অল্প একটু পানি চুষে খেয়ে স্বামীর হাতে ডাব তুলে দিতে চাইলেও স্বামী নিতে রাজী হলো না। তাকে আরো খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। স্বামীর অনুনয় বিনয়ে স্ত্রী আরেকটু পানি চুষে খেয়ে স্বামীর দিকে ডাবটি বাড়িয়ে দিয়ে বলল, আমি অনেক খেয়েছি, এটুকু তুমি খাও।
স্ত্রীর এমন কথায় হুজুর ডাবটি হাতে নিয়ে কাটা মুখের দিকে তাকিয়ে পানির পরিমান দেখে বলল, কি খেয়েছো, সব পানিই তো আছে?
স্ত্রী খুশি হয়ে বলল, না না-- আমি অনেক খেয়েছি, বাকি টুকু তুমি খাও।
স্ত্রীর কথায় হুজুর তার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলল, কোথায় অনেক খেয়েছো, অর্ধেকও তো খাওনি?
স্ত্রী মৃদু হাসি দিয়ে বলল, আমি তো অনেক খেয়েছি, এটুকু তুমি খাওনা।
হুজুর আর স্ত্রীর দিকে ডাব এগিয়ে দিল না। তবে তার চুষে খাওয়া এঁটো পাইপে মুখ লাগিয়ে পুরো পানি আস্তে আস্তে খেয়ে ফেলল। পানি খাওয়া শেষে ডাবের খোসাটি নির্দিষ্ট ঝুড়িতে রেখে রুমাল দিয়ে নিজের মুখটি মুছতে মুছতে স্ত্রীর প্রতি এমন ভাবে তাকালো, যেন অনেক কিছু খেয়ে ফেলেছে।
ছোট্ট একটি ডাবের পানি খাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর যেভাবে পীড়াপীড়ি করতেছিল, তাতে আমি কৌতুহল দমাতে না পেরে চা খাওয়া বাদ দিয়ে তাদের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। পরস্পরের ভালোবাসা দেখে অবাকই হলাম। স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা এমনই হওয়া দরকার।
ছোট্ট একটি ডাব, তাতে কতটুকুই বা পানি ছিল? খুব বেশি হলে এক গ্লাস। অথচ তারা এই সামান্য এক গ্লাস পানি যখন একে অন্যের দিকে এগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, এই ছোট্ট ডাবে এক গ্লাস নয় বালতি বালতি পানি ছিল, একজন খেয়ে শেষ করতে পারছে না তাই অন্যজনকে বেশি করে খেতে বলছে।
আহারে ভালোবাসা! স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা এমনই হওয়া দরকার। মহব্বতের সাথে মিলে মিশে কোন কিছু খেলে তাতে যে কত বরকত হয়-- তার প্রমাণ এখানেই পেলাম। ছোট্ট একটি ডাবের পানি, যা পান করলে এক জনেরই তৃষ্ণা মেটার কথা নয় অথচ সেখানে তারা দুইজনে পান করে পরস্পরকে এমন ভাব দেখালো যেন এক জন আরেক জনের চেয়ে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে ফেলেছে। উভয়ের মধ্যে গভীর ভালোবাসা আছে বলেই হয়তো এই সামান্য ডাবের পানি তাদেরকে তৃপ্তির সর্বোচ্চ সীমায় পৌছে দিয়েছে। কিন্তু সাধারণভাবে খেলে কোন দিনই তারা এই তৃপ্তি পেত না।
আর্থিক দিক দিয়ে হয়তো তারা সচ্ছল নাও হতে পারে। যদি তারা সচ্ছল হতো তাহলে ছোট্ট একটি ডাব কিনে এভাবে দুইজনে ভাগাভাগি করে খেত না, দুইজনে দু’টি ডাব কিনে আলাদা আলাদা খেত।
অভাবের কারণে ভালোবাসা অনেক সময় দূরে চলে যায়, আবার অভাবে পরেই মানুষ গভীর ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়। তার প্রমাণ এই দম্পত্তি। দুই জনই মধ্য বয়সি অথচ তাদের মাঝে যথেষ্ঠ মানসিক মিল আছে। যদি মিল না থাকতো তাহলে তারা পরস্পর এত অল্পতে তৃপ্তিবোধ করতে পারতো না।
অনেক দম্পতিরই অঢেল পয়সা আছে কিন্তু তাদের মধ্যে এমন মধুর সম্পর্ক নেই। পয়সা থাকলেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া যায় না। আর্থিক স্বচ্ছলতার চেয়ে মানসিক সমঝোতাই মানুষের দাম্পত্য জীবনকে সবচেয়ে বেশি সুখী করে। মধ্য বয়সী জুটিতে সেই লক্ষণটিই দেখতে পেলাম।
০০ সমাপ্ত ০০
ছবি ঃ ইন্টারনেট
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি প্রথম মন্তব্য করায় খুশি হলাম।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: টাকার কাছে প্রকৃত ভালোবাসা কখনো হার মানায় না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬
শামচুল হক বলেছেন: চরম সত্য কথা বলেছেন। ভালোবাসার কাছে টাকা কিছুনা।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হুজুর, মওলানাদের কাছে
ভালোবাসার শিক্ষা নিতে হবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
শামচুল হক বলেছেন: অনেকেই মনে করেন হুজুরদের মধ্যে ভালোবাসা নাই। কথা ঠিক নয়, হুজুররাও স্ত্রীকে অনেক মর্যাদা দিয়ে থাকেন।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেকেই মনে করেন হুজুরদের মধ্যে ভালোবাসা নাই। কথা ঠিক নয়, তারাও স্ত্রীকে অনেক মর্যাদা দিয়ে থাকে।
-ধন্যবাদ। তবে, শেষের বাক্যের 'ও' কে 'ই' দ্বারা পরিবর্তন করে কথাটা একটু ঘুরিয়ে 'তারাই স্ত্রীকে অনেক মর্যাদা দিয়ে থাকে' করে দিলে যথাযথ হত মনে হয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মূল্যবান মন্তব্য করায় খুশি হলাম।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
মহামোহপাধ্যায় বলেছেন: এমনিই হওয়া চাই।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছন ভাই, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি হওয়া দরকার।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: যদি ভালবাসাই থাকে তবে একটা ডাবের পানি কেন এক ফোটা পানি ভাগ করে খেলেও তৃপ্তি পাওয়া যায়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
শামচুল হক বলেছেন: ভালোবাসা থাকলে এক ফোটা পানি ভাগ করে খাওয়া কোন ব্যপার নয়। কিন্তু আমাদের অনেকের দাম্পত্য জীবনে এইটাই নাই।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হুম বুঝলাম।
অর্থ হলেই সুখ হয় না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, অর্থ সবসময় সুখ দেয় না।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
বাস্তব বাদী বলেছেন: স্বামী - স্ত্রীর ভালোবাসা আল্লাহ প্রদত্ত একটা নিয়ামত।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
শামচুল হক বলেছেন: চরম সত্য কথাই বলেছেন। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার মধ্যে আল্লাহর রহমত থাকে, তা না হলে কার মেয়ে কার ছেলে বিয়ে হওয়ার পর আজীবন একত্রে সুখে বাস করতে পারতো না।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হুজুর সাহেবের গল্পে যে ছবি দিয়েছেন
তা দেখলে হুজুরের চোঁখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
শামচুল হক বলেছেন: নুরু ভাই, হুজুররা ব্লগারের নাম শুনলে নাস্তিক মনে করে তাই হুজুরদের ছবি দিতে ভয় ভয় লাগতেছিল। আপনি বলার পরে ছবি পরিবর্তন করে দিলাম।
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: এই ঘটনায় ভালবাসার কোন চিহ্ন পেলাম না। পর্যবেক্ষণ করে বুঝলাম হুজুর ভালবাসার জন্য না টাকা বাচানোর ফন্দিতে ছিলো। এটা স্বাভাবিক শত্রুকেও সাথে নিয়ে ঘুরতে গেলে এরকম অবস্হা হতে পারে। এটাতে গভীর ভালোবাসার ট্যাগ লাগানো আমি মেনে নিতে পারলাম না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২
শামচুল হক বলেছেন: যে যে ভাবে চিন্তা করে গল্পটা সে দিকেই যাবে। নিজে আগে না খেয়ে স্ত্রীকে আগে খাওয়ানোর চেষ্টা করাটা কিন্তু কৃপণতা নয়। হুজুরের কাছে টাকা থাকলে সে হয়তো দু'টা ডাবই কিনতো। কারণ সে যখন ষাঠ টাকার ডাব নিয়ে দর কষাকষি করছিল তখনই আমার অনুমান হয়েছে স্ত্রীকে বড় ডাব খাওয়ানের ইচ্ছা আছে কিন্তু সামর্থ নাই।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: যে ঘরে অভাব আসে সেখানে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায়- কথাটা ঠিক নয় সবসময়। আপনি একটা বিরল দৃশ্য দেখে তার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ভাল লাগল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, দৃশ্যটি আমি বাস্তবেই চোখে দেখেছি।
১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: বর্ণনা দারুন ছিল। খুব সহজেই একটা ফুটেজ দাড় করানো যাচ্ছিলো। ঘটনা টা খুব সাধারণ হলেও তা বেশ অসাধারণ ভাবেই ফুটিতে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো থাকুন সব সময়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
শামচুল হক বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম আমাদের অনেকের সামনেই এরকম অনেক ঘটনা ঘটে কেউ খেয়াল করি কেউ খেয়াল করি না আপনাকেও ধন্যবাদ
১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহা !
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন
১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
হাফিজ রাহমান বলেছেন: ঘটনাটি বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ লেখককে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
শামচুল হক বলেছেন: আপনার কাছে ঘটনাটি ভালো লাগায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এবার যথার্থ হয়েছে
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই
১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমি একবার রাস্তায় হাসি মুখে ২জনকে ভাত খেতে দেখেছিলাম । পরনে ছিল ময়লা ছেড়া জামা । কিন্তু ভালোবাসা টা হাসিতে লেগে ছিল ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
শামচুল হক বলেছেন: মাঝে মাঝে এরকম অনেক ঘটনাই চোখে পড়ে। গরীব অথচ তাদের দম্পত্তির মধ্যে সম্পর্ক চমৎকার।
১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আর্থিক স্বচ্ছলতার চেয়ে মানসিক সমঝোতাই মানুষের দাম্পত্য জীবনকে সবচেয়ে বেশি সুখী করে। সঠিক বলেছেন।
কাল পত্রিকায় দেখলাম, এ নিয়ে সামুতেও পোস্ট এসেছে- স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে স্বামী হার্ট এটাক করে সাথে সাথে শেষ !!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
শামচুল হক বলেছেন: আপনি সুন্দর একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন। অনেক স্বামীই আছে যারা স্ত্রী ছাড়া এক দিনই থাকতে পারে না। স্ত্রী না থাকলে হা হুতাস করে মরে।
১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মেরিনার বলেছেন: সত্যিকার ধার্মিক দম্পতিরা নিজের spouse ছাড়া বিপরীত লিংগের "গায়ের-মাহরাম"-দের দিকে তাকান না - সুতরাং, তাদের সবটুকু মনোযোগ, ভালোবাসা, কামনা, বাসনা, আদর, সোহাগ, যত্ন ও ভালোলাগা একজনের মাঝেই নিবদ্ধ থাকে। দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার এই রহস্যটা জানার সৌভাগ্য হবার আগেই, অনেকের জীবন অনেকের-অনেক-কিছু-ভালো-লাগা থেকে সৃষ্ট অতৃপ্তির দুর্ভাগ্য নেমে আসে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
শামচুল হক বলেছেন: স্ত্রীকে ভালোবাসাও একটা এবাদত। স্ত্রীকে অত্যাচার করে কোন স্বামী যেমন বেহেস্তে যেতে পারবে না তেমনি স্ত্রীরাও স্বামীকে অত্যাচার করে কেয়ামতের জবাবদিহি থেকে রেহাই পাবে না।
১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সুন্দর ভালবাসা ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
শামচুল হক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এরকম ভালোবাসা সবার ভাগ্যে জুটে না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, সবার কপালে ভালো বউ জোটে না।
২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বিয়ের আগে চুটিয়ে প্রেম করে অথচ বিয়ের পর ডিভোর্স। আর কিছু হলেই হুজুররা এটা না সেটা ইত্যাদি ইত্যাদি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, প্রেমের সময় গাছ তলায় থাকতেও অনেকে রাজী কিন্তু বিয়ে হলেই শুরু করে এটা দাও ওটা দাও।
২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো অনুধাবন, স্বামী স্ত্রী ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় ভালোবাসা
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন গাজী ভাই, স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসাই দীর্ঘস্থায়ী উত্তম ভালোবাসা।
২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর অনুধাবন। +
আর্থিক সচ্ছলতার চেয়ে মানসিক সচ্ছলতা সুখ বয়ে আনে। সুন্দর কথা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, মানসিক দিক ভালো না থাকলে অর্থ সুখ দিতে পারে না।
২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
পরষ্পর শ্রদ্দাহ এবং ভালবাসা স্বর্গীয় উপহার । এটা টাকা পয়সা দিয়ে আসে না, হৃদয় দিয়ে আসে ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১১
শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন। ভালবাসা স্বর্গীয় উপহার, যেখানে ভালোবাসা নাই সেখানে সুখ শান্তি থাকে না।
২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এনাদের সংখ্যা অনেক কম...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
শামচুল হক বলেছেন: সামান্য একটি ডাব ভাগাভাগি করে খাওয়ার মত স্বামী স্ত্রী এখন কমই চোখে পড়ে, ঠিকই বলেছেন।
২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুখের প্রথম মন্ত্র হলো ভালোবাসা ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
শামচুল হক বলেছেন: সুখের প্রথম মন্ত্র হলো ভালোবাসা, সুন্দর একটি কথা বলেছেন।
২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ঐটা ব্যতিক্রম । এখনকার বউদের যে খায় খায় স্বভাব তাতে জামাইয়ের ভিটে বাড়ি বেচার অবস্থা হয়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
শামচুল হক বলেছেন: স্ত্রীর খাই খাই স্বভাবের কারণে অনেক পরিবারই অশান্তিতে থাকে, আপনার বক্তব্য মিথ্যা নয়।
২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
সুমন কর বলেছেন: আর্থিক স্বচ্ছলতার চেয়ে মানসিক সমঝোতাই মানুষের দাম্পত্য জীবনকে সবচেয়ে বেশি সুখী করে। -- এটাই সত্য।
ভালো লিখেছেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০
জুন বলেছেন: ভালোলাগলো আপনার দেখা ঘটনাটির বর্ননা । তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আমার মনে হলো ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশানো কিনা সেই আতংকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিল দুজন । আমার পরিচিত দুজন ডাব খেয়ে একজন মারা যায় আরেক জন মৃত্যুর মুখ থেকে কোন ভাবে বেচে আসে। তাই ডাবের ব্যাপারে আমি সব সময় সন্দিহান শামচুল হক ।
+
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
শামচুল হক বলেছেন: জুন আপার রকিকতাপূর্ণ মন্তব্য পড়ে হাসি আটকাতে পারলাম না। আপনি ঠিকই বলেছেন, ডাবের পানি খেয়ে পুলিশের দারোগাও জ্ঞান হারিয়েছিল। তবে আমি হুজুর দম্পতির মাঝে সেই ভীতি দেখতে পাইনি। তাদের মাঝে ভালোবাসার বন্ধনের চিত্রটাই দেখতে পেয়েছি।
৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি হয় ভাইসাব,
আমি গরিব হওয়ার পর বুঝতা পারছি, গরিবি আসলে আল্লাহর নেয়ামত। আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েদেরকে যথেষ্ট সময় দিতে পেরেছি। এখন ওরাই বলে, আব্বু ওসব চিন্তা বাদ দিলে ভালো হবে। আপনাকে আমরা পাশে পাচ্ছি এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। আমার স্ত্রী আমাকে লেখালেখিতে সাহয্য করে। জানি টানাটানি করি কিন্তু অন্তর এবং আত্মায় শান্তি এবং স্বস্তি আছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
শামচুল হক বলেছেন: মিয়া ভাই এক খান দারুণ কথা কইছেন। গরীবের ঘরে ভাত না থাকতে পারে তবে শান্তি আছে।
৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্যাপারটা আরো রোমান্টিক হতো, যদি দেখা যেতো, একই ডাবে দু'টি পাইপ ডুবিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনই খাচ্ছেন।
খেতে গিয়ে দু'জনের মাথা মাঝে মাঝে ঠুকে যেতো।
'উহ, তুমি কি ব্যথা পেয়েছো' বলে স্ত্রী বা স্বামী'র সলাজ হাসি।
'আরে, না না, কি যে বলো না!' বলে একজনের উত্তর! কি মধুরই না দৃশ্য!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
শামচুল হক বলেছেন: ওই দৃশ্য উঠতি বয়সের প্রেমিক প্রেমিকাদের বেলায় ঠিক আছে।
৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুবহানআল্লাহ
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শামচুল হক বলেছেন: আলহামদু লিল্লাহ।
৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪০
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি যে আমার ব্লগে ঢু মেরেছেন তাতেই আমি খুশি হয়েছি।
৩৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
আমি তনুর ভাই বলেছেন: অনেকদিন পর মনেরমত একটা লেখা পরলাম।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
৩৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
চানাচুর বলেছেন: একেই বলে আন্তরিকতা!
বরাবরের মত পাঠে মুগ্ধ
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যে খুশি হলাম।
৩৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৭
কুকরা বলেছেন: +++++++++++++++++++++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভ্চেছা রইল।
৩৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের পথে চলতে চলতে দেখা ছোট্ট একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে খুব সুন্দর একটি গল্প শুনিয়ে গেলেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ। এটাই স্বর্গীয় সুখ!
পোস্টে ভাল লাগা + +
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনি আমার পুরানো পোষ্টে মন্তব্য করায় খুব খুশি হলাম।
৩৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: পয়সা থাকলেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া যায় না। আর্থিক স্বচ্ছলতার চেয়ে মানসিক সমঝোতাই মানুষের দাম্পত্য জীবনকে সবচেয়ে বেশি সুখী করে। -- সুন্দর কথা লিখেছেন।
চলতে ফিরতে ছোট্ট ঘটনাটি অনেক কিছুই শিক্ষা দেয়।
*তবে যাই বলেন আমাদের হুজুর রোমান্টিক আছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৮
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, হুজুর হলেও দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার প্রতি তিনি খুবই সজাগ। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। ভালবাসা এমনই হওয়া উচিত।