![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামচুল হক
রুমানা তার এগারো বছর বয়সের ছেলে এবং পাশের বাসার ভাবিকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি ক্লাস ফাইভে পড়ে। সামনে ক্লাস ফাইভের সমাপনী সেন্টার পরীক্ষা। ভালো রেজাল্টের জন্য বিকাল বেলা কোচিংয়ে দিয়েছে। কোচিং শেষে ছেলেকে নিতে এসেছে। অনেকক্ষণ হলো দাঁড়িয়ে আছে। স্কুটার পাচ্ছে না। এমনি অবস্থায় একটি খালি স্কুটার সামনে দিয়ে যেতেই ছেলেটি ডাক দিল, এই স্কুটার, খিলগাঁও যাইবেন?
স্কুটার থামিয়ে ড্রাইভার বলল, যামু।
-- ভাড়া কত নিবেন?
ড্রাইভার ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়ে একটি হাসি দিয়ে বলল, যা ভাড়া তাই দিবেন।
-- না, আপনি বলে নেন, পরে ঝগড়া বাঁধবে।
-- না রে বাবা, ঝগড়া বাঁধবে না। উচিৎ ভাড়া দিলে ঝগড়া বাঁধবে কেন?
-- আমরা কিন্তু আশি টাকা দিব।
-- ঠিক আছে-- আশি টাকা ভাড়া হলে আশি টাকাই দিবেন, বলেই ড্রাইভার দরজা খুলে দিল।
রুমানা পাশের বাসার ভাবিকে নিয়ে ছেলের সাথে স্কুটারে উঠল। ড্রাইভার দরজা লাগিয়ে স্ট্রার্ট দিয়ে চলতে লাগল। কিছুদূর যাওয়ার পরেই ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেলে ড্রাইভার গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে গুন্গুন্ করে গান গাইতে লাগল---
কত দিন হলো তোমায় দেখিনি আমি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী
তুমি সখি বুঝোনা মোর প্রেমেরও জ্বালা
তোমার দেয়া ব্যাথা হলো গলারও মালা
এত ব্যাথা পাবো আমি আগে বুঝিনি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী।
প্রথম দিকে রুমানা ড্রাইভারের গান খেয়াল করে নাই। পরের দু’টি চরণ ভালভাবে তার কানে এলো। মনে মনে ভাবল ড্রাইভারের হয়তো আজ ভালো ইনকাম হয়েছে তাই মনের আনন্দে গান গাইছে। জ্যাম ছেড়ে গেলে স্কুটার স্টার্ট দিয়ে চলতে লাগল। ফাঁকা রাস্তায় এসে হঠাৎ ড্রাইভার রাস্তার পাশে সাইড কেটে বাম পাশে থামিয়ে দিল। স্কুটার থেকে নেমে ইঞ্জিন কভার খুলে ছোটখাটো যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করতে লাগল, এমন সময় রুমানার ছেলে সাগর বলল, আঙ্কেল--আমাকে একটা চিপস এনে দিবেন?
ড্রাইভার ছেলেটির কথায় সায় দিয়ে শুদ্ধ ভাষায় বলল, ঠিক আছে বাবা এনে দিচ্ছি। বলেই পাশের কনফেকশনারী দোকান থেকে একটি চিপসের প্যাকেট এনে দিল। রুমানার সকাল থেকেই মাথা ব্যাথা। মাথার যন্ত্রনায় স্কুটারের সিটে বসে পিছনে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। ড্রাইভার স্কুটার মেরামত শেষে স্টার্ট দিয়ে আবার চলতে লাগল। ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে ড্রাইভার আবার গান ধরল---
ক্ষণে ক্ষণে না দেখলে যে, ভাল লাগে না
এই জীবনে তোমায় ছাড়া জীবন বাঁচে না
এখন তুমি কোথায় আছ জানি না আমি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী
এই জীবনে পাবো কি না মনের মাঝে ভয়
ভুলে যেতে চায়েও যেন ভোলা সহজ নয়
তোমার প্রেমে পাগল হয়ে উদাস হয়েছি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী।
এই চরণটি গাওয়ার পরেই রুমানা চমকে উঠল। এই গান তো তার অনেক পরিচিত। কণ্ঠটিও তার খুব চেনা চেনা লাগছে। মনে পড়ে গেল তার অতীত জীবনের কথা। ড্রাইভার পরের চরণ গাওয়া শুরু করল---
সেই তো দেখা হয়েছিল নদীরও ঘাটে
কলসী কাঁখে ছিলে তুমি নিধুয়া মাঠে
ঠমকে ঠমকে চলন আজো ভুলিনি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী।
চার চোখের হলো মিলন বাঁকা ঠোটের হাসি
বলেছিলাম লাজে লাজে তোমায় ভালবাসি
সেই দিনের ভালবাসা আজো ভুলিনি
বিরহের জ্বালা বুকে কাটাই রজনী।
শেষের চরণটি কানে আসতেই রুমানার টনক নড়ল। সন্দেহ হলো এটা কার স্কুটারে উঠেছে? আগে জানলে এই স্কুটারে উঠত না। তখনও ড্রাইভারের মুখ দেখে নাই। সন্ধ্যার আবছা আলোতে দূর থেকে মুখভর্তি দাড়িওয়ালা উসকোখুসকো হ্যাংলা পাতলা রোগাটে চেহারার ড্রাইভারকে দেখেছে। কিন্তু ভাল করে তাকিয়ে দেখেনি। মাথার যন্ত্রনায় কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। রুমানা ড্রাইভারকে কিছু না বললেও পাশে বসে থাকা ভাবি আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনার বাড়ি কোথায়?
-- আমার বাড়ি ঘর নাই।
-- কোথায় থাকেন?
-- ঢাকার রাস্তায়।
-- আগে কোথায় ছিল?
-- আগে তো ছিল রংপুরে।
-- এখন রংপুরে নাই?
-- আছে কিনা জানি না, তেরো বছর হলো বাড়ি যাই না তাই বলতে পারছি না।
-- কেন বাড়ি যান না কেন?
-- সে আমার কাপালের দোষ।
-- ছেলে মেয়ে নাই?
-- না।
-- বিয়ে করেন নাই?
-- করেছিলাম এখন নাই।
-- কেন?
-- সেই বউ তো আমাকে ঢাকার রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।
-- কেমন করে?
-- সে অনেক কথা, বলতে গেলে দু’এক ঘন্টা লাগবে।
-- বউ কতদিন হলো চলে গেছে?
-- বারো বছর।
-- এর পরে আর বিয়ে করেন নাই?
-- বিয়ে করবো কি ভাবে? বারো বছর জেল খেটে গতকাল জেল থেকে বের হয়েছি।
-- কেন, জেলে গেলেন কেন?
-- সে আমার কপাল, আমার প্রেম করে বিয়ে করা বউকে জোর করে একজন ছিনিয়ে নিল। আমাকে মারধোর দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিল। বউ হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছিলাম। তিনদিন পরে আমাকে রাস্তা থেকে ডেকে এনে হাতে পিস্তুল দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিল। বিচারে জেল হলো। বারো বছর জেল খেটে গতকাল জেল থেকে ছাড়া পেয়েছি।
ড্রাইভারের কাহিনী শুনে রুমানার আর বুঝতে বাকি রইল না যে, ইনিই সেই লোক, যাকে বারো বছর আগে তার কারণেই বর্তমান স্বামী মারধোর দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল।
মুহুর্তেই তার অতীত জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। এই ড্রাইভারের নাম মিন্টু। বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে রুমানা তাকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল। মিন্টু অবস্থাপন্ন ঘরের আদরের সন্তান। ওদের তুলনায় রুমানার বাবার আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল। আর্থিক দুর্বলতার কারণে মিন্টুর পরিবার রুমানাকে তাদের বাড়ির বউ করতে রাজী হলো না। কিন্তু মিন্টু তখন রুমানার প্রেমে অন্ধ। প্রেমে অন্ধ হয়েই সে পরিবার ছেড়ে রুমানার হাত ধরে ঢাকায় চলে আসে। জীবন ধারনের জন্য স্কুটারের ড্রাইভারী পেশা বেছে নেয়। ড্রাইভারী করে আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তারপরেও দু’জনের সংসার ভালই চলছিল। অভাবের মাঝেও সুখেই ছিল। কিন্তু তাদের এই ভালো চলাটা বেশিদিন টিকল না।
ভাড়া থাকতো আরামবাগের রতনদের বাসায়। রুমানা সুন্দরী হওয়ায় তার উপরে নজর পড়ল রতনের। রতন বাড়িওয়ালার ছোট ছেলে। অসম্ভব বদ চরিত্রের লোক। এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করে না। একদিন সুযোগ বুঝে রুমানাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বসে। রুমানা রতনের কুপ্রস্তাবে চটে যায়। রতনের বদ চরিত্রের কথা মিন্টুকে জানিয়ে দিলে মিন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বাড়িওয়ালার ছেলে হওয়া সত্বেও রতনের মাথার চুল খামছে ধরে দুই গালে চর বসিয়ে দেয়। মার খেয়ে সেই সময় বিড়ালের মত চলে গেলেও মারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রতন মরিয়া হয়ে ওঠে। দু’দিন পরেই বন্ধুদের সাথে নিয়ে মিন্টুর উপরে চড়াও হয়। ঘরের ভিতর আটকিয়ে নিষ্ঠুরভাবে পিটাতে থাকে। মারধোরের সময় রুমানা মিন্টুকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে, কিন্তু সংঘবদ্ধ কয়েকজনের সাথে কুলোতে পারে না। অমানুষিক নির্যাতনে মিন্টু জ্ঞান হারায়। আধমরা অবস্থায় রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে।
মিন্টুকে মারধোর করে রাস্তায় ফেলে দিলেও রুমানাকে আটকিয়ে রাখে। মিন্টুকে তালাক দেয়ার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে, হাজার চাপেও রুমানা রাজী হয় না। তার উপরেও চলতে থাকে অকথ্য অত্যাচার। তালাবদ্ধ ঘরে হাত পা বেঁধে রাখে। এভাবেই কিছুদিন রুমানার বন্দী জীবন কাটে। এরপর হাত পা বাঁধা অবস্থায় সম্ভ্রমহানী ঘটালে রুমানা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। জীবনের সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। এত কিছু হারানোর পরও রতনের বন্দীশালা থেকে মুক্ত হতে পারে না। অবশেষে আত্মসমার্পন করতে বাধ্য হয়। সেই থেকে মিন্টু নিখোঁজ।
দীর্ঘ বারো বছর হলো মিন্টুর খোঁজ নেই। রুমানা মনে করেছিল মিন্টুকে হয়তো ওরা মেরে ফেলেছে। কিন্তু আজকে তার গান শুনে এবং জেল খাটার কাহিনী শুনে ভুল ভাঙল। বুঝতে পারল, এটা রতনের কাজ। রতন মিথ্যা অস্ত্র মামলায় মিন্টুকে জেলে ঢুকিয়ে নিজেকে নিরাপদ করেছিল।
রুমানা মিন্টুর দুর্দশার কথা শুনে চোখের পানি আটকাতে পারল না। জলে দু’চোখ ভিজে গেলেও মুখে কিছু বলল না। কারণ, রতন যদি জানতে পারে মিন্টু জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়েছে এবং রুমানার সাথে দেখা হয়েছে, তাহলে সে মিন্টুকে তো মেরে ফেলবেই তার সাথে তাকেও মেরে ফেলবে। সেই আশঙ্কা করেই রুমানা ওড়না দিয়ে আরো ভালভাবে নিজের মুখ ঢেকে নিল, যাতে মিন্টু তাকে কোনভাবেই চিনতে না পারে।
রুমানা দু’চোখ বন্ধ করে যখন এসব নিয়ে ভাবছে ঠিক তখনই ছেলে বলে উঠল, মা নামবে না?
(চলবে)
(ছবি ঃ গোগুল)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
শামচুল হক বলেছেন: বাস্তব কাহিনীকে অবলম্বন করেই সিনেমা তৈরী হয়। অনেক সময় বউদের দোষ থাকে না পরিস্থিতির শিকার হয়েই অন্যের ঘরে যেতে বাধ্য হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জীবন বড় দুঃখের অত্যন্ত ড্রাইভারদের।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, ড্রাইভার চেয়েছিল যা হয়েছে তার উল্টো। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
অহন_৮০ বলেছেন: ভাই, আমি কিন্তু আরামবাগ এ রতন এর বাড়ীর পাশে ভাড়া থাকি......... এই রতন সেই রতন কি ভাই?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
শামচুল হক বলেছেন: না ভাই এই রতন গল্পের রতন আপনার পাশের বাড়ির রতন না। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: গল্প অবাস্তব মনে হয় নি, ভালই লাগল। চলুক।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, গল্প পড়ার জন্য খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
সাথে থাকার চেষ্টা করব।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার গল্প পড়ার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গল্পের পটভূমি ভালোই ছিলো
তবে গঠনটা কিছুটা দূর্বল ।
যা হোক ধন্যবাদ শামচুল হক ভাই
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম,
আশা করি ভালো হবে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
শামচুল হক বলেছেন: আপনার উপদেশ যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবো। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
আবু তালেব শেখ বলেছেন: চলুক
গল্পে টুইস্ট আছে হক সাহেব
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মিন্টু এবং রুমানার জন্য শুভকামনা।
লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে- কাল্পনিক নয়, যেন বাস্তব।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক! রুমানা এখনই পালাক তার সাথে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
শামচুল হক বলেছেন: বাচ্চাদের কারণে সমস্যায় ভুগছে। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: পালানো খারাপ লাগে। কেন পালায়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
শামচুল হক বলেছেন: পালায় নাই তো বাধ্য হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন++
বাস্তবে এমনটাই ঘটে.....
আরো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার গল্প পড়ার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুন বলেছেন: আমাদের দেশ এখন রতনদের মত পশুর অভয়ারন্য পরিনত হয়েছে শামচুল হক । পশুর মত বল্লেও পশুদের অপমান করা হয় । চলবে যখন তখন সাথে থাকলাম
+
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা, আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য উùসাহিত হলাম, সামনের পর্ব পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কি ভয়ানক খারাপ রতন । তার জন্য একটা সুন্দর পরিবার ভেঙে গেল ।
গল্প বেশ ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,
দেখি কার জীবন কোন পথের বাঁকে কোথায় নেমে যায় !
চলুক ........................
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই, আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগেও এটি বা এর কাছাকাছি একটা গল্প পড়েছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৪
শামচুল হক বলেছেন: আগে গল্পটি খুব সংক্ষিপ্ত আকারে ছিল।
১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: কামলার বউদের দিকে গেরস্তের পুতের নজরের বহু উদাহরন আছে.....ভালো লিখেছেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ঠিকই বলেছেন, ভাড়াটাদের বউকে জোর করে অনেক সময় বাড়িওয়ালারা বিয়ে করে থাকে। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
সোহানী বলেছেন: চলুক সাথে আছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, পর্বের সাথে থাকায় উৎসাহিত হলাম।
১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গরিবের সুন্দরী বউ থাকলে এই এক মুশকিল, সবাই নিজের মনে করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
শামচুল হক বলেছেন: চরম সত্য কথাই বলেছেন, গরীবের সমস্যা হলো তারা দুর্বল অনিচ্ছা সত্বেও বউ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে গেলাম একটানে।। মিন্টুর ট্যাক্সির মত থামি নি।।
রুমানার ভাবনা, রুমানার মতই।।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১৯
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, গল্পটি পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৯
তপোবণ বলেছেন: সুন্দরী বউদের নিয়ে ঢাকায় ভাড়া থাকার মতো বিরম্বনা আর নেই। হাজারো রতনের অভয়ারণ্য এই ঢাকা।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়...
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২০
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, গরীবদের বউ সুন্দরী হলে আরো বিপদ। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: কেও কেও মনেহয় রুমানা আর মিন্টুকে শহীদ হবার বুদ্ধি দিচ্ছে !! সামাল ! সামাল !! গল্প চলুক হত্যা মৃত্যু ছাড়াই |
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
শামচুল হক বলেছেন: আপনার আগাম চিন্তাভাবনা মন্দ নয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮
আটলান্টিক বলেছেন: গল্প শেষ করে দিলেই পারতেন।সুন্দর ছোটগল্প হয়ে যেত
পোষ্টে প্লাস
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
শামচুল হক বলেছেন: গল্প শেষ করা যেত কিন্তু গল্প এক পর্বে দিলে বড় হওয়ার কারণে পাঠকের ধৈর্য থাকে না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বেশ চাঞ্চল্যকর কাহিনি মনে হচ্ছে। চলুক।
আমি আবার একপর্বের বেশি যেতে পারি না
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
শামচুল হক বলেছেন: আপনার মত লোক আমার লেখায় উঁকি দিলেই আমি খুশি। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো।
নির্যাতনে রতন জ্ঞান হারায়। এখানে রতন হবে না মিন্টু?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৬
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মিন্টু হবে।
২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর গল্প।
পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম না, আগেই পইড়া ফালাইছি
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, আপনি গল্প পড়ায় অনেক খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গল্টির প্রথমাংশ মনে হচ্ছে বেশ আগে একবার আপনার ব্লগে গিয়ে পড়েছিলাম। এবার অনেকটা বেড়ে প্রকাশ হয়েছে। ভালো লাগলো খুব। মনকাড়া ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে শুরু করেছেন। মুগ্ধতা জানবেন লেখনিতে।
চলতেই থাকুক, শেষ জানার প্রতীক্ষিত রইলাম হক ভাই
শুভকামনা জানবেন সবসময়
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
শামচুল হক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আগে সংক্ষিপ্ত আকারে ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি মনে রাখার জন্য।
২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। তবে সিনেমাটিক ব্যাপারটা ফুটাতে পারেন ভালো। আশা করি এটা এমনি এমনিই আপনার গল্পে চলে আসে। আপনি ভালো করবেন স্ক্রিপ্ট লিখলে, ম্যানাস্ক্রিপ্ট লিখলে। একবার ভেবে দেখেন মাত্র একবার চেষ্টা করে দেখেন। একটা স্ক্রিপ্ট অথবা ম্যানাস্ক্রিপ্ট লিখে আপনার পরিচিত (নাটক-সিনেমার সঙ্গে জড়িত) কাউকে পড়তে দেন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
শামচুল হক বলেছেন: জুলিয়ান ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। স্ক্রিপ্ট লিখতে পারি না পারি আপনার মন্তব্য আমার চিরদিন মনে থাকবে।
২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ সিনেমাটিক গল্প। তবে বাস্তবেও এমনটি হতে দেখা যায়। আজকাল এসব অনেক বেশী ঘটছে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো তো। মুভির কাহিনীর মত মনে হলো।
প্রেম করা বউ আরেক জনে ছিনিয়ে নিয়েছে! বউ রাজী না থাকলে কেমনে সম্ভব?