![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(ব্লগের রম্য প্রিয় পাঠকদের জন্য উৎসর্গ)
শামচুল হক
এতক্ষণ বুড়ির কণ্ঠ শুনলেও অন্ধকারের কারণে চেহারা দেখতে পাই নাই, লাইটের আলোতে চেহারা দেখে অনুমান করলাম বয়স ষাট পয়ষট্টির মত হবে। ধবধবা ফর্সা। গোলগাল মুখমন্ডলে এখনো ডিবডিব করে চেহারা। চুলে পাক ধরেছে। তারপরেও বেশ শক্ত আছে।
আমাকে সোফায় বসতে বলে রিফ্রেশমেন্ট রুমে ঢুকলো। হাতমুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে এসে বলল, এখন তুই কোথায় যাবি?
বললাম, টরেন্টোতে যাবো।
টরেন্টোর কথা শুনে বুড়ি চোখ কপালে তুলে বলল, টরেন্টোতো এখান থেকে অনেক দূর, কিভাবে যাবি?
-- তাতো জানি না!
-- ওখানে কে থাকে?
-- আমার বন্ধু সৈকত থাকে।
-- কিসে যাবি?
-- বাসে যাবো।
-- আরে বোকা টরেন্টো তো অনেক দূর, ওখানে ট্রেনে যাওয়া সব চেয়ে ভালো হবে।
-- ঠিক আছে, না হয় ট্রেনেই যাবো। তা এই এলাকার রেল স্টেশনের নাম কি?
-- এখান থেকে অল্প দূরেই জাসপার রেল স্টেশন।
-- জাসপার থেকে কি টরেন্টোতে ট্রেন যায়?
-- যায়, জাসপার স্টেশনে গেলেই টিকিট পাওয়া যাবে।
জাসপার থেকে টরেন্টোতে যাওয়ার ট্রেন পাওয়া যাবে শুনে বললাম, তাহলে উঠি, আমাকে আজকেই টরেন্টো যেতে হবে, বলেই সোফা থেকে উঠতে ছিলাম, হঠাৎ ডাইনিং টেবিলের দিকে চোখ পড়ল, টেবিলে খাবার সাজানো আছে।
আমাকে টেবিলের দিকে তাকাতে দেখে বুড়ি বলল, কিছু খেয়ে যা।
আমারও খুব খিদে পেয়েছে, বুড়ির কথায় আর না বললাম না। টেবিলে বসে প্লেট নিয়ে রুটির সাথে মাংস নিতে যাবো এমন সময় মাংসের চেহারা দেখে সন্দেহ হলো, জিজ্ঞেস করলাম, এগুলো কিসের মাংস?
বুড়ি খুশি খুশি ভাবে বলল, খুব ভালো মাংস, পিগের মাংস।
পিগ মানে শুকুরের মাংস, নাম শুনেই পেটের ক্ষুধা উবে গেল। গামলার ঢাকনা বন্ধ করে আরেকটি গামলার ঢাকনা খুলে জিজ্ঞেস করলাম, এগুলো কিসের মাংস?
বুড়ি বলল, ডগের মাংস।
ডগ মানে কুত্তার মাংস। কুত্তার মাংসের নাম শুনে বাকি ক্ষুধাটাও চলে গেল। ঠেলে বমি আসার অবস্থা। তাড়াতাড়ি প্লেট রেখে উঠে পড়লাম। বুড়ি আশ্চার্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, কিরে-- এত সুন্দর মাংস তারপরেও না খেয়ে উঠলি কেন?
মুখটা কাচুমাচু করে বললাম, আমি মাংস খাই না, সবজি খাই।
পাশের গামলা দেখিয়ে বলল, ওইটাতে সবজি আছে, পিগের চর্বি দিয়ে মজা করে রান্না করা, ওইটা খা।
সব্জির নাম শুনে যাও খুশি হয়েছিলাম, পিগের চর্বির কথা শুনে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। মুখে অভক্তি আর অরুচির ভাব এনে বললাম, এখন আমার ক্ষুধা নাই, যদি চা বিস্কুট থাকে তো তাই দেন।
বুড়ি বলল, এই মুহুর্তে ঘরে চা বিস্কুট কিছু নাই।
-- দোকানে পাওয়া যাবে?
-- এত রাতে চা খেতে হলে জাসপার রেল স্টেশনে যেতে হবে। রেল স্টেশনের রেস্টুরেন্ট সারা রাতই খোলা থাকে।
বুড়ি রেল স্টেশন দেখিয়ে দেয়ায় আমি বুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রেল স্টেশনের দিকে রওনা হলাম। আশা করেছিলাম বুড়িকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালাম বুড়ি হয়তো আমাকে থাকতে বলবে। কিন্তু বুড়ি সে ধরনের কোন কথাই বলল না। মনে মনে বুড়ির উপর খুব রাগ হলো। কিন্তু রাগ হয়ে কি করবো জীবনের প্রথম দেখা বাড়িতে না নিয়ে গেলেও কিছু করার ছিল না।
শীতের মধ্যেই রেল স্টেশনের দিকে হাঁটতে লাগলাম। হাঁটতে গিয়ে জাসপার শহরটিও দেখা হলো। চমৎকার শহর। চারদিকেই পাহাড় দিয়ে ঘেরা। মাঝখানে শহর। রাস্তাগুলো খুবই পরিষ্কার। কোথাও এতটুকু ময়লা নেই। বাড়িগুলো বেশ সাজানো গুছানো। বাড়িগুলোর চেহারা দেখে খুব ভালো লাগল। এক কথায় কাগজের ছবির মত বেশ সাজানো গুছানো শহর। শহরের পরিবেশ দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল।
রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ঢুকতেই দেখি একটি অল্প বয়সি মেয়ে প্লাট ফর্মের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। বয়স খুব বেশি নয় তেরো চৌদ্দ হবে। কাছে গিয়ে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলেও বলছে না। কানাডার লোকজনের এই একটা স্বভাব, মরে গেলেও অপরিচিত কারো কাছে নিজের দুখের কথা বলতে চায় না।
কিন্তু এত সুন্দর একটি মেয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে কান্নার কারণ কি জানার খুব কৌতুহল জাগল। আদর মাখা কন্ঠে অনুনয় বিনুনয় করে কান্নার কারণ জানতে চাওয়ায় মেয়েটি যা বলল তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। তিন বছর হলো তাদের বাবা মায়ের সাথে সম্পর্ক নাই। মায়ের সাথেই থাকে। মাঝে মাঝে বাবার কাছে গিয়েও থাকে। আজ রাতে মায়ের এক বন্ধু এসেছে। তার সাথে রাত্রী যাপন করবে। এই কারণে মেয়ের বাবাকে ফোন করেছিল এসে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, কিন্তু মেয়ের বাবা জরুরী কাজ থাকায় আসতে পারে নাই। কিন্তু মেয়ের মা এই কথা শুনতে রাজী নয়। এক সপ্তাহের জন্য বন্ধু এসেছে, এই এক সপ্তাহ কোন মতেই মেয়েকে এখানে থাকতে দেবে না। তাতে তাদের পার্সোনালিটি নিয়ে নাকি সমস্যা। কাজেই মেয়ের বাবা না এলেও মেয়েকে জোর করেই বাবার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মেয়ে একলা যেতে রাজী না হওয়ায় মেরেধরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
মেয়েটি লাল টকটকা পরীর মতন চেহারা। মনে হয় গালে নিষ্ঠুরের মত একটি থাপ্পর দিয়েছে, পাঁচটি আঙুল লাল হয়ে ফুলে আছে। মায়েরা নিজের জৈবিক চাহিদা মিটাতে গিয়ে নিজের পেটের সন্তানের প্রতি এত নিষ্ঠুর আচারণ করতে পারে এটা আমার জানা ছিল না, কানাডায় এসে সেটাও দেখতে হলো।
মায়ের হাতে মার খাওয়া তেরো চৌদ্দ বছর বয়সের মেয়েটির জন্য খুব দুঃখ হলো, কিন্তু আমার পক্ষে কিছু করার নাই, আমি নতুন এসেছি, কিভাবে তাকে সাহায্য করবো বুঝতে পারছি না। কানাডার পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় মেয়েটির দুখে আফসোস করতে লাগলাম। সাহয্য করতে না পারলেও মেয়েটি যাতে বিপদগ্রস্ত না হয় সেইদিক খেয়াল করে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি এখন কোথায় যাবে?
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতেই বলল, এডমন্টনে বাবার কাছে।
-- তুমি যে তোমার বাবার কাছে যাচ্ছো, তোমার বাবা কি জানে?
মেয়েটি বলল, জানে, আমি বাবাকে ফোন করেছি। বাবা আমার জন্য স্টেশনে বসে থাকবে।
বাবা মেয়ের জন্য স্টেশনে বসে থাকবে কথাটি শুনে খুব ভালো লাগল। মনের অজান্তেই মেয়ের বাবাকে একটা ধন্যবাদ দিলাম। অপরদিকে মেয়ের মায়ের কথা মনে হতেই ভিতর থেকে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো, আফসোস করে বললাম, হায়রে নিষ্ঠুর মা রে, একটি বাচ্চা মেয়েকে কি করে এত রাতে বাসা থেকে বের করে দিল, এটা ভাবতেও আমার কষ্ট হচ্ছে।
মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আরেকটু সামনে গিয়েই কয়েকটি অল্প বয়সি স্কুলের ছেলে মেয়ের দেখা পেলাম। এরাও বয়সে তরুণ-তরুণী। তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এত অল্প বয়সে এদের অন্তরঙ্গ হয়ে দাঁড়ানোটা আমার কাছে মোটেই ভালো লাগল না। বাংলাদেশে এটা কল্পনাই করা যায় না। অনেকেই তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। তারা হয়তো ট্রেনের অপেক্ষায় আছে। মনে হয় কোনও শহরের স্কুলে লেখা পড়া করে। একনজর দেখেই চোখ ফিরিয়ে নিলাম। ওদেরকে পাশ কাটিয়ে আরেকটু সামনে গিয়ে বায়ে চলে গেলাম। স্টেশনের প্লাট ফর্মে না গিয়ে স্টেশনের বাইরে চলে এলাম। ছিমছাম সাজানো গুছানো শহরটি আবার হেঁটে হেঁটে দেখতে লাগলাম। রাতের নিরব নিস্তব্ধ শহর স্ট্রীট লাইটের আলোতে দেখতে বেশ ভালই লাগছে। হাঁটতে হাঁটতে কতদূর চলে এসেছি বলতে পারবো না। বাংলো টাইপের একটি বাড়ির সামনে যেতেই এলসেসিয়ান কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠল। কুকুরের শব্দ শুনে সামনে না গিয়ে পিছনে ফিরে স্টেশনের দিকে রওনা হলাম। কিন্তু পিছন ফিরতেই কুকুর আমাকে তাড়া করে বসল, কুকুরের ভয়ে দৌড়াতে লাগলাম।
আমাদের দেশের কুকুর অল্প কিছুদূর দৌড়িয়ে থেমে যায় কিন্তু এই কুকুর দেখি আর থামে না, যতই দৌড়াই কুকুরও তত দৌড়ায়, কোনমতেই পিছন ছাড়ে না। পিছনে পিছনে আসতেই থাকে। জান বাঁচাতে কুকুরের চেয়েও জোরে দৌড়াতে লাগলাম। দৌড়ে অনেক দূর চলে এসে পিছনে তাকিয়ে দেখি তখনও কুকুর আমার পিছনে পিছনেই আসছে। কুকুরের হাত থেকে বাঁচার জন্য শহর ছেড়ে জঙ্গলের দিকে দৌড়াতে লাগলাম। জঙ্গলে ঢোকার আগেই একটি নালার মত চোখে পড়ল। মনে মনে ভাবলাম নালাটি ঝাপ দিয়ে পার হতে পারলে বাঁচা যাবে। এত প্রশস্ত নালা কুকুর কখনই পার হতে পারবে না। যে কথা সেই কাজ, দিলাম জোরে ঝাপ। ঝাপ দিতেই নালার মাঝখানে পড়ে গেলাম। দশ বারো ফুট নিচে পড়ে কমরে প্রচন্ড ব্যথা পেলাম। নালার নিচে এক ফোটা পানিও নাই। বারো ফুট খাড়া কাছারের নিচে শক্ত মাটির উপর পড়ে কোমড়ের বারোটা বেজে গেলো। সোজা হয়ে আর দাঁড়াতে পারছি না। ভাঙা কোমর নিয়ে জান বাঁচানোর জন্য বাঁচাও বাঁচাও করে চিল্লাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ চিল্লানোর পর মনে হলো এটা তো বাংলাদেশ নয়, এখানে বাংলায় বাঁচাও বাঁচাও করে চিল্লালে কেউ বুঝবে না। এটা কানাডা, এখানে ইংরাজীতে হেল্প হেল্প করে চিল্লাতে হবে। জান বাঁচানোর জন্য বাংলা বাঁচাও বাঁচাও না বলে জোরে জোরে "হেল্প হেল্প" করে চিল্লাতে লাগলাম। ইংরাজিতে হেল্প হেল্প করে চিল্লানোর এক পর্যায়ে মনে হলো কেউ একজন আমাকে হেল্প করার জন্য টেনে উঠাতেছে। জানে পানি এলো।
তার টেনে উঠানোর টানাটানিতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম ভাঙার পর দেখি হেল্প ম্যান আর কেউ নয়, আমারই গিন্নী আমাকে অন্ধকারের মধ্যে হাতিয়ে খাটের নিচ থেকে বুকের গেঞ্জি খামছা দিয়ে ধরে টেনে উঠাতেছে আর বলতেছে, একটু আগেই তো খাটের উপরে শোয়া দেখলাম, খাটের নিচে পড়লা কেমনে?
*** গিন্নীর কথা শুনে ব্যাক্কল হয়ে গেলাম। গিন্নী বলে কি? আমি আছাড় খেলাম কানাডাতে আর গিন্নী আমাকে খাটের নিচ থেকে টেনে উঠায় আর বলে খাটের নিচে পড়লা ক্যামনে? লজ্জায় কোন কথাই বললাম না। ***
গিন্নী আমাকে টেনে তুলে সোজা করে বসিয়ে দিয়ে আলো জ্বালালো। আমি তখনও কুকুরের ভয়ে থর থর করে কাঁপছি। আমাকে থরথর করে কাঁপতে দেখে গিন্নী বলল, ভয় পাইছেন নিহি?
আমি কথা না বলে তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইলাম।
গিন্নী আমার তাকানো দেখে বলল, বুজছি-- যেই জোরে চিল্লানী দিছেন, আমারই কইলজা কাঁইপা উঠছে, না ভয় পাইলে কি আর এমন চিল্লানী দিছেন? বলেই বলল, খাটের উপর উইঠা বহেন, আমি নোয়া পুইড়া পানি আইনা দেই। আগেই কিন্তু শুইয়া পইড়েন না। নোয়া পোড়া পানি খায়া তারপর শুইতে হইবো। নইলে ক্ষতি হইতে পারে।
আমি কোমরের ব্যথা নিয়ে আস্তে আস্তে খাটের উপরে উঠে বসলাম। খাটের উপরে বসে কানাডার জঙ্গলের সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলো নিয়ে ভাবছি, এমন সময় গিন্নি আমার সামনে এক গ্লাস গরম পানি ধরে বলল, অর্ধেক খাইবেন আর বাকি অর্ধেক দিয়া গোসল করতে হইবো।
মনে মনে বললাম, কি জ্বালায় পড়লাম রে--! পানি খেতে অসুবিধা নাই কিন্তু এই কনকনে ঠান্ডা রাতে যদি গোসল করতে হয়, এর চেয়ে কষ্ট তো আর কিছু হতে পারে না? কানাডার কুত্তার দৌড়ানিও তো এর চেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা, এ তো হলো আমার মায়ের শিষ্য, আমার মা তাকে যা টোটকা শিখিয়েছে তার একচুলও কম করবে না। আমি যতই না না করি না কেন, আমার নাতে কোন কাজ হবে না, আমার মায়ের শিক্ষা অনুযায়ী আমাকে এই শীতের মধ্যে গোসল করিয়েই ছাড়বে।
শীতের অজুহাত দেখিয়ে আমি নিষেধ করলেও গিন্নী মানলো না। উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে বলল, আপনি কইলেই হইবো, আঁতকা ভয় পাইছেন, আত্মাডা চুইমকা গেছে, নোয়া পোড়া পানি খাওয়ার পর বাকী নোয়া পোড়া পানি দিয়া গোসলা না করা পর্যন্ত আত্মার ধরফরানি কুমবো না।
এসব যে কুসংস্কার এবং অবৈজ্ঞানিক কর্মকান্ড, এই কথাগুলো আমার ডিগ্রী পাাস গিন্নি কিছুতেই বুঝে না। আমার মা যেটা শিখিয়েছে সেটাই সে বেদ বাক্যের মত পালন করবে। কি আর করা, মায়ের হাতের শিষ্য যদি তার দোহাই দেয় তখন মায়ের প্রতি শ্রোদ্ধা থেকেই সব মেনে নিতে হয়। হাজার হলেও আমার গর্ভধারিনী মায়ের উপদেশ আমার গিন্নি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে যাচ্ছে। কাজেই মোড়ামুড়ি যাই করি শেষে গিন্নীর কথা মতই বাথরুমে গিয়ে লোহা পুড়ে গরম করা আধা গ্লাস পানি এক বালতি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে গোসল করলাম। একে তো ঠান্ডা পানি তারোপর প্রচন্ড শীত, জারে ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলাম। আমাকে কাঁপতে দেখে বউ তাড়াতাড়ি শরিষার তেল গরম করে এনে দিল, গায়ে মাথায় মালিশ করায় শরীরের কাঁপাকাপি কিছুটা কমলেও একেবারে ছাড়ল না।
আমাকে কাঁপতে দেখে গিন্নি বিছানায় শোয়ায়ে দিয়ে গায়ের উপরে দুইটা লেপ দিয়ে ঢেকে দিল। আমি শুয়ে পড়লেও আমার গিন্নি ঘুমালো না। আলো জ্বালিয়ে আমার মাথার কাছে বসে রইল। একটু পরপরই মাথায় হাত দিয়ে ঘুমিয়েছি কিনা পরখ করছে।
বার বার মাথায় হাত দিলে কি আর ঘুম হয়? বিরুক্ত হয়ে ধমক দিয়ে বললাম, বার বার মাথায় হাত দাও ক্যান? মাথায় হাত দিলে কি আমার ঘুম হইবো?
আমার ধমক খেয়ে মনে করেছিলাম গিন্নী রেগে যাবে কিন্তু না রেগে উল্টো ঠান্ডা গলায় বলল, এমনি কি আর মাথায় হাত দেই, কওয়া তো যায় না, দুষ্টারা আবার যদি ঘুমের মধ্যে আইসা ভর করে? দুষ্টারা তো মনে হয় বেশিদূর যায় নাই, আশেপাশেই আছে। কাছে আছিলাম দেইখা ভয় দেখাইয়া খাটের নিচে নামাইলেও ক্ষতি করবার পারে নাই, আবার যদি ঘুমের মধ্যে আইসা ভর কইরা ক্ষতিটতি কইরা ফালায়, এর লাইগা মাথায় হাত দিয়া পাহারা দিতেছি।
ভুতের ভয়ে গিন্নী নিজে না ঘুমিয়ে রাত জেগে আমাকে পাহারা দিচ্ছে। তার পাহারা দেয়া দেখে কানাডার বুড়ির কথা মনে পড়ে গেল, মনে মনে বললাম, হয়রে কানাডার অভাগী বুড়িরে---, বাঙালি বউদের মত যদি তোরা স্বামীদের খেদমত করতিস, তাহলে কি বুড়ো বয়সে আত্মহত্যা করার জন্য রেল লাইন খুঁজতে হয়?
বাঙালিদের টাকা পয়সার অভাব আছে বটে কিন্তু বাঙালি বউদের মত এত ভালোবাসা কানাডায় আছে কি না সন্দেহ। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েই সব শেষ করে দেয়। শেষ বয়সে একাকি জীবন যাপনে অসহায় হয়ে পড়ে। কানাডার এইসব লোকজনের অসহায়ত্বের কথা মনে হতেই কানাডা যাওয়ার ইচ্ছায় ছেদ পড়ে গেল। বার বার মনে হতে লাগল কানাডার অফুরান্ত সুখের একাকিত্ব জীবনের চেয়ে বাঙালি বধুদের ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়ে চারটা ডাল ভাত খাওয়া অনেক শ্রেয়।
আগের পর্ব পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন
কানাডার জঙ্গলে এক রাত
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০০
শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে দারুণ একখান উপদেশ দিয়েছেন চাঁদগাজী ভাই, সামনে কোন স্বপ্ন নিয়ে লিখলে নুরু ভাইয়ের উপদেশ আর আপনার পরামর্শ নিয়েই লেখারা চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ
২| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কাইকর বলেছেন: বাহ....সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কাইকর, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @একটু আগেই তো খাটের উপরে শোয়া দেখলাম, খাটের নিচে পড়লা কেমনে?
ধুর ভাই?
কি আকামডাই না করছেন?
আমি ভাবলাম কানাডা থেকে আসার সময় স্টেশনের ঐ মেয়েটাকে নিয়ে আসতে বলবো? গিন্নী বানাবার একটা প্ল্যান করছিলাম
পুনশ্চঃ বাঙালি বউয়েরা ইদানিং ডাইনি হয়ে যাচ্ছে
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
শামচুল হক বলেছেন: আরে ভাই খাটে থেকে পড়ার আগে কইবেন না, আমি তো কানাডার সব কিছু আপনাদের আইনা দিতে রাজী ছিলাম, কিন্তু খাট থেকে পড়েই তো সব সর্বনাশ হয়ে গেল, এখন তো আর উপায় নাই। ধন্যবাদ রসিকতার জন্য
৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই স্বপ্ন ভালো লেগেছে। তবে কানাডায় যাওয়াটা কী স্বপ্নের মত বাস্তব? এত সহজে হাল ছেড়ে দেবেন? বাঙালী বৌ এর আপ্যায়ন তো কানাডাতে নিয়ে গিয়েও পাবেন। তাইবলে এভাবে আশাহত হওয়াটা একটা শূণ্যতা তৈরী করলো।
শুভ কামনা প্রিয় শামচুল ভাইকে।
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫২
শামচুল হক বলেছেন: পদাতিক দা, উপায় যখন থাকে না তখন এ ছাড়া আর উপায় নাই। মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আধুনিক জীবন উন্নত জীবনের বেশ কিছু খারাপ দিক এনেছেন মজায় মজায়।
লেখায় ভালোলাগা ভাই।
১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, লেখাটি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগল, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার মনে আরো কিছুদিন থাকতে পারতেন কানাডাতে। তাহলে আমরা আরো কিছু জানতে পারতাম
ঝরঝরে লেখা, পড়তে সু-স্বাধু লাগল।
১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৬
শামচুল হক বলেছেন: হা হা হা আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু থাকা সম্ভব হলো না। ধন্যবাদ আপনাকে রসিকতা করার জন্য্।
৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৯
পবন সরকার বলেছেন: এক কথায় দারুণ
১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৭
শামচুল হক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৯
পবন সরকার বলেছেন: কাহিনী পড়ে হাসতে হাসতে জান শেষ। শোফা থেকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা।
১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
শামচুল হক বলেছেন: আপনি লেখা পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম।
৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪১
পবন সরকার বলেছেন: গিন্নীর কথা শুনে ব্যাক্কল হয়ে গেলাম। গিন্নী বলে কি? আমি আছাড় খেলাম কানাডাতে আর গিন্নী আমাকে খাটের নিচ থেকে টেনে উঠায় আর বলে খাটের নিচে পড়লা ক্যামনে? লজ্জায় কোন কথাই বললাম না।
হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাওয়ার অবস্থা।
১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
শামচুল হক বলেছেন: আবারো মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১০| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭
লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার!
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১১| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
জুন বলেছেন: "কানাডার অফুরন্ত সুখের ------- ডাল ভাত খাওয়া ভালো " - এটা কয়জন বোঝে শামচুল হক ভাই । এন্ডিংটা ভালোই তবে কুকুরের ভয়ে শীতের রাতে ঠ্ন্ডা পানিতে গোসল
+
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা, আমার এই কাল্পনিক রম্য কাহিনীটা আপনি আর জী এস আহমেদ ভাইসহ আর দুই একজন যত সহজে বুঝতে পেরেছেন অন্যরা তত সহজে বুঝতে পারে নাই, যে কারণে কেউ আমাকে কানাডায় থাকতে বলতেছেন আবার কেউ আমাকে নানা প্রশ্ন করছেন, আসলে এ্টা যে একটা রম্য কাহিনী এটাই অনেকের মাথায় ধরে নাই। সোহানী আর সামু পাগলাসহ আরো দুই একজন তো আমার উপর ক্ষেপেই গেছে। আহমেদ জী এস ভাই তো প্রথম পর্বেই মন্তব্যে লিখেছেন "শামচুল হক আপনি কখন গুলিস্থানে আছাড় খাইবেন সেই অপেক্ষায় আছি", আমি যে গুলিস্থানে আছাড় খাবো এটা জী এস আহমেদ ভাই আগেই অনুমান করতে পেরেছিল। আপনি লিখেছেন দরজা খোলা প্লেনে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া আপনার মত বিদেশে যেতে পরলে কত ভালোই না হতো শামচুল হক। আপনার এবং জী এস আহমেদ ভাইয়ের সাহিত্যিক দূরদর্শিতার প্রশংসা না করে পারছি না। আপনারা সহজেই বিষয়টি ধরতে পেরে সঠিক মন্তব্যই করেছেন। আপনাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
১২| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গিন্নীর নাম কি?
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
শামচুল হক বলেছেন: বাঙালিদের গিন্নীর নাম বলতে নাই তাতে কপালে দুঃখ হয়। আপনি দেখলেন না কুত্তা দেইখা ভয় পাইছি দেইখা গিন্নী আমারে ঠান্ডা পানির ভিতর নোয়া পোড়া পানি দিয়া শীতের মধ্যে চুবায়া ছাড়ল। এই সামজিক কুসংস্কার এখনও আমরা মেনে চলি। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
১৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রম্য হিসেবে ভালই হয়েছে।
ভাল থাকুন।
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Good
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এবারের পর্বও অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: আঙ্গুরফল টক।
১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, যার ভাগ্যে যেটা জোটে না সেটাই টক।
১৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এবারের পর্বও খুবই মজার হয়েছে শামচুল ভাই, পর্বের মত এবারো খুব হেসেছি। লাইক।
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের কাছে লেখা ভালো লাগলেই আমার কাছেও ভালো লাগে। আপনি পড়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম।
১৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: মজা পেলাম
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
শামচুল হক বলেছেন: আপনি মজা পেয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কানাডার অফুরন্ত সুখের ------- ডাল ভাত খাওয়া অনেক শ্রেয়" - এটাই তাহলে গল্পের উপসংহার?
পরের পর্বটা আগে পড়ে ফেললাম। এবারে যাচ্ছি আগেরটাতে।
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনাদের মত গুনী ব্লগার আমার মত নগন্য ব্লগারের ব্লগে পদার্পন করলেই খুশি হই তারোপর আপনি পড়েছেন জেনে আরো খুশি হলাম। আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
২০| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: উঁচু-নিচু সব সমাজেই কিছু অসঙ্গতি আছে এবং থাকবেই। নিরবচ্ছিন্ন সুখ বা দুঃখ বলে কিছু নেই।
আমি একজন প্রাক্তন 'উন্মাদ' (ম্যাগাজিন) হওয়ায় লেখাতে ঝাঁপ দিলুম তাড়াতাড়ি।
আগেরটা পড়া হয় নি। এটা পড়লাম। বেশ মজা করে লিখেছেন। অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন লেখাতে, পড়তে ভালোই লেগেছে।
লিখতে থাকুন। শুভকামনা ব্লগার শামচুল হক।
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২১| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
সিগন্যাস বলেছেন: কুকুরের হাত থেকে বাঁচার জন্য শহর ছেড়ে জঙ্গলের দিকে দৌড়াতে লাগলাম।
বার বার জঙ্গলে কি করেন???
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
শামচুল হক বলেছেন: আগের বার প্লেন থেকে ধাক্কা দিয়ে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল পরের বার কুকুরের তাড়া খেয়ে জঙ্গলের দিকে দৌড়াতে ছিলাম। ধন্যবাদ ভাই রসিকতা করার জন্য।
২২| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রবাসে যারা যায় তাদের মন সব সময় দেশের প্রতি পড়ে থাকে। উপসংহারটা অন্যভাবে টানতে পারতেন। যা হউক সেটা লেখকের ইচ্ছা। বাকী সব ঠিক আছে। গল্প হিসেবে মানদন্ড বজায় রাখতে পেরেছে।
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
শামচুল হক বলেছেন: সব গল্পের উপসংহার একই স্টাইলের হলে গল্পের বিভিন্নতা থাকে না তাই এটি ব্যাতিক্রমী করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
২৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
হাঙ্গামা বলেছেন: বুড়ির পরে একটা সুন্দরী কন্যা পাওয়ায় আশবাদী হইছিলাম।
কিন্তু একি !!? একেবারে খাটের তলায় !!
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১
শামচুল হক বলেছেন: আর কি কমু ভাই, আছাড় খাইলাম কানাডায় আর পড়লাম গিয়া ঘরের খাটের তলায় এইডা কাউরে কইতেও পারতেছি না। :ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।
২৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪
সোহানী বলেছেন: আপনার উপর মোটেও ক্ষেপি নাইরে ভাই। শুধু যে ভুল তথ্যগুলো দিচ্ছেন তা শুধরে দিচ্ছি। জী ভাই বা জুন আপু শুধরাই নাই কারন উনার এখানে থাকেন না। আমি আর সামুপাগলা থাকি বলে বাস্তবতা জানি। আমরা কেন, যারাই এখানে থাকে তারাই আপনাকে সঠিক তথ্যটা দিতে চাইবে। কারন গল্পের ছলে হোক আর রম্য হোক আপনি যদি ভুল তথ্য উপস্থাপন করে তাহলে তা শুধরে দেয়াটাই কি ঠিক নয়
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
শামচুল হক বলেছেন: বোন সোহানী, গল্পের শুরুটাই তো ভৌতিক কাহিনী দিয়ে শুরু, প্লেন থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলে সেই লোক বাঁচার কথা, ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলে গাছের উপর পড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে নিচে পড়ার পরও কোন ব্যাথা পেল না এইটা কি বস্তবে কখনও সম্ভব।
২৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০
সোহানী বলেছেন: কারন গল্পের ছলে হোক আর রম্য হোক আপনি যদি ভুল তথ্য উপস্থাপন করে তাহলে তা শুধরে দেয়াটাই কি ঠিক নয় কি??? যেমন এখানে কুকুরের মাংসের কথা বলেছেন....। এখানে কুকুরকে নিজের সন্তানের মতো দেখা হয় তাই এর মাংস কেন, এর গায়ে হাত ও কেউ দিতে পারবে না। এখানে আইন খুব কড়া, কোন পেট এ্যানেমেলকে এ্যাবিউজ করতে পারবেন না। তারউপর মেয়েটিকে তার মা মেরেছে.... এটা এখানে এক প্রকার অসম্ভব। সাথে সাথে ৯১১ কল। পুলিশ আপনার বারোটা বাজাবে। যেখানে একটা পশুর গায়ে হাত দিতে পারে না সেখানে মানুষের গায়ে হাত দেয়া ভয়াবহ। যাহোক, এমন গল্প বা রম্য পড়তে ভালো লাগে যেখানে বাস্তবতার সাথে অন্তত কিছু মিল আছে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। অনেক ভালো থাকুন।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২
শামচুল হক বলেছেন: আইন হয়তো কড়া এর ভিতরেও মেয়েটির কাহিনী মনে হয় বস্তবেই ঘটেছে। কারণ গালে থাপ্পর না দিলেও বন্ধুর কারনে যে মেয়েকে তার বাবার কাছে জোর করে পাঠিয়েছে এবং এই কারণে মেয়েটির লেখা পড়ায় বিঘ্ন ঘটেছে এরকম একটি ঘটনা সামু পাগলার লেখায় আছে এবং স্বামী যে তার স্ত্রীকে অত্যাচার করে এবং স্ত্রী তারপরেও পুলিশে কল করে নাই এ ঘটনাও পেয়েছি। কাজেই আমার লেখা কাল্পনিক হলেও একেবারে যে বাস্তব বিবর্জিত তা নয়।
২৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৭
কামালপা বলেছেন: @সোহানী, কানাডায় থাকতে থাকতে আপনার চোখে ধাঁধাঁ লেগে গেছে। ওদের যা দেখেন তাই আপনার কাছে সুন্দর লাগে। ওদের অন্ধকার দিকগুলো আপনার চোখে পড়ে না। বস্তির লোক শহরে আসলে যা হয়, আপনার হয়েছে সেই অবস্থা। অন্ধভক্তি থেকে দূরে থাকুন। ব্রেন ওয়াশড অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৩
শামচুল হক বলেছেন: অনেকের চোখেই হয়তো সব ঘটনা নজরে আসে না যে কারণে অনেক কিছু বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
২৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১০
কামালপা বলেছেন: আপনি মায়ে খেদানো যে মেয়েটির কথা লিখেছেন, তার কাছাকাছি ধরনের বাস্তব ঘটনার উল্লেখ আছে হুমায়ুন আহমেদের "হোটেল গ্রেভার ইন" বইতে। সেখানে বাচ্চা মেয়েকে ফেলে আমেরিকান মা বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে চলে যায়। সত্যি ঘটনা।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২০
শামচুল হক বলেছেন: বইটি মনে হয় আমিও পড়েছিলাম, ছোট্ট একটি মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে মা প্রতি রাতেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বাইরে চলে যায় আর মেয়েটি রাত বারোটা পর্যন্ত গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মায়ের জন্য কাঁদতে থাকে, গভীর রাতে মা যখন ফিরে আসে তখন সুস্থ্য নয় মদ্যপ অবস্থায় ঢুলতে ঢুলতে ফিরে আসে। বিদেশে যত সুখ মনে করি এর মাঝেও কিছু কষ্টকর ঘটনাও আছে। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
২৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,
আগেই তো কইছিলাম গুলিস্থানে আছাড় খাইবেন সেই আছাড়ই তো খাইলেন তয় গুলিস্থানে না, জলস্থানে মানে নালার জলে ।
বুড়ি আপনের রাইতে থাকতে কয় নাই কেন জানেন ? আপনেরে তার আট নম্বর সোয়ামী হিসাবে পছন্দ হয় নাই । আমাগো দেশী বউই ভালো ।
আর ভুল তো আর একটা করছেন । শীতের রাইতে ঠান্ডা পানিতে গোছল কইররা কাপুনি কমাইতে তো লেপ দুইডার নীচে মাইয়ার মায়েরে নিয়া ............... ঠান্ডা এক্কেরে কানাডা গিয়া উঠতো ।( তহন সোহানী আর সামু পাগলা
শীতে কাঁপতে কাঁপতে আপনেরে কইতো কানাডার ঠান্ডা বাংলাদেশ দিয়া আহে নাই , উত্তর মেরু দিয়া আইছে ।
)
আর লেপ কা নীচে কেঁয়া হ্যাঁয় ..... নামে একটা সিনেমার কাহিনী হইতো । পোস্ট দিতেন । পোস্ট হিহিহিহিহিহি......ট !!!!!!!!!!!
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৩
শামচুল হক বলেছেন: হা হা হা ওস্তাদ যা কইছেন, তা আর কাউরে কওয়া যাইতেছে না। তবে আপনার মত গুণী মানুষের মন্তব্য করায় খুশি হইলাম। ধন্যবাদ জী এস আহমেদ ভাই।
২৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: কানাডা যাবার খুব শখ ছিল !
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২১
শামচুল হক বলেছেন: সুযোগ পেলে চলে যান তবে আমার মত বিয়ারিং চিঠি হয়ে চলে যেতে নিষেধ করি।
৩০| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রম্য হিসাবে প্রথম পর্বের চেয়ে একটু কম মজা হয়েছে, তবে গল্প হিসাবে চমৎকার। এরকম আরও লিখুন।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।
৩১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২৫
সোহানী বলেছেন: @কামালপা.... ভাইজান এক্কেরে ঠিক কতা কইছেন। ছিলামতো কমলাপুর বস্তিতে তাই কানডার সাদা চামড়া আর লাল নীল বাত্তি দেইকা চোখে রঙ্গীন চশমা লাগছে। তাই আর কিচ্চুই চোক্কে পড়ে না............
@শামচুল হক ভাই... অনেক কিছুই বলি সুযোগ পেলে কারন এটি ব্লগ। আমার আপনার যা মনে আসে তাই মন খুলে বলার জন্য ব্লগ। আপনার মনে হয়েছে তাকে ভিসা টিকেট ছাড়া প্লেনে চড়িয়ে কুকুরের মাংস খাওয়াবেন আর আমার মনে হয়েছে পাঠককে কিছু কানাডিয়ান লাইফ ম্যাসেজ দেই তাই আমি লিখলাম। সেখান ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই।
অনেক ভালো থাকুন।
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৫
শামচুল হক বলেছেন: এক্কেরে ঠিক কথাই বলেছেন বোন, ব্লগে যার যা মন চায় তাই লেখে এখানে খ্যাপাখ্যাপি করলে আরো বিপদ। যেমন আপনি কানাডার আত্মহত্যার কারণ লিখতে গিয়ে লিখেছিলেন নিচের লেখাটি--
তাহলে কেন তাদের সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। কেন তারা মরতে যায়??????? আমার মাঝে মাঝে তাদের আত্মহত্যার অবস্থা দেখে মনে হয় যেয়ে বলি, প্লিজ তোরা কয়টা দিন খরার সময় উত্তরবঙ্গে থেকে আয়। সারাদির মাঠে কাজ করবি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত... ক্ষেত নিড়ানো, ধান মাড়া, গরু চড়ানো তারপর পর এক মুঠো ভাত দিব। আর সে ভাত খাবার পর যে আনন্দ তা আগে ফিল করে আয়.... ছাগল কোথাকার।
হাঁ এর উত্তটা খুব সহজ, ওরা গবেষনা করে যেটা বের করছে তার থেকে আমরা ভালো জানি। ...... ফ্রি সেক্সের দেশ এটি। কে যে বাবা বা কে যে স্বামী তা অনেকেই জানে না। সম্পর্ক তৈরী হওয়ার মূল ভিত্তিই শারীরিক সম্পর্ক। একটি ছেলে বা একটি মেয়ে তার বয়:সন্ধি থেকে কতজনের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশানে জড়িয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। তারপর ঠক বাছতে গাঁ উজারের মতো একসময় দেখে বয়স অনেক এবং কাউকেই পাচ্ছে না জীবন সঙ্গী হিসেবে। তারপর শুরু হয় হতাশা। আর ফ্যামিলি বন্ডিং না থাকার কারনে কেউই এগিয়ে আসে না এ দু:সময়ে।
দ্বিতীয় কারন পরিবার না থাকা। শিশুদের মোটামুটি একটা বড় অংশই সিঙ্গেল মাদারের কাছে বড় হয়। বাবা নামক কেউ থাকলে ও তার সাথে মাসে বা বছরে দেখা হয়। মা একা সন্তানকে মানুষ করতে যেয়ে খুব একটা সময় দেয় না কারন তাকে নতুন বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে ব্যাস্ত থাকতে হয়। একাকী বড় হওয়া শিশুটি দিনের পর দিন হতাশায় ভোগে। পরিবারের আদর ভালোবাসা কোনভাবেই কপালে জোটে না। যদিও বা কালে ভদ্রে নতুন বাবা পায় কিন্তু সে সৎ বাবা খুব রেয়ারই আপন হয়।
আমি আপনার কাহিনীকেই রংচং লাগিয়ে একটা রম্য কাহিনী বানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। কাজেই বোন এখানে মনে হয় আপনারও দোষ নাই আমারও দোষ নাই।
৩২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
শিখা রহমান বলেছেন: গল্পের শেষটা ভালো লেগেছে। প্রথম পর্বটা না পড়েই দ্বিতীয়টা পড়ে ফেললাম।
সোহানী আপুর সাথে কুকুরের মাংসের বিষয়ে একমত। কুকুরের মাংস শুনেই মনে হচ্ছিলো যে বাস্তবে যেহেতু এটা উত্তর আমেরিকায় সম্ভব নয়, সেহেতু এটা নিশ্চয়ই স্বপ্ন।
আপনি সুন্দর গল্প বুনতে পারেন। লেখার ধরন, বর্ণনা ও গল্পের প্লট ভালো লেগেছে।
ভালোলাগা ও শুভকামনা রইলো।
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন শিখা রহমান, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৩৩| ১৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:২০
সোহানী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো যে আমার ছোট্ট একটি লিখা আপনার মনের গভীরে দাগ কেটেছে এবং তা নিয়ে গল্প লিখেছেন।
হাঁ, উপরে আমি যা লিখেছি তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। পারিবারিক বন্ধনহীনতা ওদেরকে অনেক ভাবেই ধ্বংস করে। আমি আপনার লিখায় বা মন্তব্যে এ ধ্বংস নিয়ে কিন্তু কোনই দ্বিমত পোষন করিনি। কয়েকটা বিষয় শুধু শুধরে দিতে চেয়েছি যেমন, রিফিউজি বলা, দেশ নিয়ে আমাদের আবেগ না দেখানো বা লেখা না দেয়া, তাদের মানসিকতা, কুকুরের মাংস খাওয়া, সন্তানকে মারা। হাঁ কিছুতো ব্যাতিক্রম আছেই তবে সেটা কিন্তু উদাহরন নয়। তবে আবারো বলছি যেহেতু এটি ব্লগ তাই সত্যিইটা ধারনা দেবার চেস্টা করছি। যদি বই আকারে লিখতেন তখন কিন্তু কিছু বলার থাকতো না। আশা করি বিষয়টা ক্লিয়ার হয়েছে।
অনেক ভালো থাকেন। ঈদ মোবারক।
২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কানাডার তথ্য দেয়ার জন্য। এরকম তথ্য আরো আশা করি।
৩৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি আসলে দেশের বাহিরে থেকেছেন, বা আছেন?
২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬
শামচুল হক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আমি বর্তমানে দেশে আছি।
৩৫| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৮
নিশি মানব বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে ভাই!
গল্পটা রম্য হলেও শিখা এবং বুঝার বিষয় আছে অনেক কিছুই।
যারা গভীর চিন্তার অধিকারী, তারাই কেবল বুঝবেন।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৬| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাঙালী গিন্নীরা আই যাই হোক, বরের যত্ন নিতে জানে। কানাডার গিন্নীদের কিছু শেখা উচিত এদের থেকে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫০
শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথা ১০০% সত্য। বাঙালি বউদের ভালোবাসা কানাডায় আছে কিনা সন্দেহ।
৩৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:০৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন! বাঙালি গিন্নীদের সাথে আসলেই কাউকে তুলনা করা যায় না। আপনার গল্পের এই মেসেজটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে! লিখতে থাকুন অবিরাম।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২
শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, যেখানে নারী পুরুষের অবাধ স্বাধীনতা সেখানে স্ত্রীর কাছে দু'একজন ব্যতীত সকলের কাছে সারা জীবন ভালোবাসা পাওয়া খুবই দুষ্কর। সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩
লোনার বলেছেন: ভাই, আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো, আপনাদের একটা গল্প শোনাই। লেখাটা এখানে রয়েছে:
view this link
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৬
শামচুল হক বলেছেন: আপনার গল্পটাই আগে পড়েছি। আপনি অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন। আসলে অভাবে থাকলেও বাঙালি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে ভালোবাসা আমৃত্যু অটুট থাকে তা কানাডার খোলামেলা পরিবেশে কখনই পাওয়া সম্ভব নয়। যেখানে পরিবার নাই সেখানে বাবা মার খেদমত তো প্রশ্নই আসে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।
৩৯| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনি যদি কখনো বিদেশে না যান কখনোই অনুভব করতে পারবেন না দেশ প্রেম কি জিনিস। বিদেশে যারা থাকে তারা দেশের প্রতি প্রচন্ড টান অনুভব করে । এই টানে কোন কৃত্রিমতা নেই। নিখাঁদ অনুভূতি। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ বিদেশে যায়। সেখানে কাজ করে । দেশে টাকা পাঠায়। তাদের মন পড়ে থাকে প্রিয় জন্ম ভূমির মাটি। আমি আমার কোন লেখায় তাদের প্রতি কটুবাক্য কিংবা কটাক্ষ করতে রাজি নই। তাদের প্রতি আমার শুভ কামনা সব সময়।
২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪১
শামচুল হক বলেছেন: বাঙালি যারা বিদেশে থাকে তাদের নিয়ে আমার এতটুকু হেয় মনোভাব নেই, কারণ তারা অনেক কষ্ট করে রেমিটেন্স পাঠায় এটা আমি জানি। আমি গল্পটাতে কানাডার অতি স্বাধীনতা ভোগকারী কিছু অধিবাসির কাহিনী কল্পনায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই ধরণের স্বপ্ন দেখা বেশ জটিল! ব্লগার নুরু সাহেব থেকে এগুলোর ব্যাপারে উপদেশ নিন।