![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেয়েছি পথের দেখা !! শেষ জানিনা তার!! আমার ফেবুঃ www.facebook.com/abul.mofiz
মহানবী(সঃ) এর কি জানাযা হয়েছিলো!! যদি হয়ে থাকে তবে কে জানাজা পড়িয়েছিলো!! দলিল ভিত্তিক উত্তর চাচ্ছি!!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: হালকা বুঝা গেলো!! ধন্যবাদ!!
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৭
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ পুরান লোক নতুন ভাবে :
নিচের মহানবী সা. এর আল্লাহর সান্বিদ্ধে চলে যাওয়া থেকে জানাজা পর্যন্ত কিছু ঘটনা "আর রাহীকুল মাখতূম" থেকে দেওয়া হলো।
এর লেখক- আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপুরী
অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মোনাওয়ারা
অনুবাদ ও প্রকাশনা খাদিজা আখতার রেজায়ী
পরিবেশনা আল কোরআন একাডেমী লন্ডন বাংলাদেশ সেন্টার
আন্তর্জাতিক সীরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী
এর পরপরই তাঁর হাত ঝুঁকে পড়লো এবং তিনি পরম প্রিয়ের সান্বিদ্ধে চলে গেলেন। ‘ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।’ অর্থাৎ আমরা সবাই আল্লাহর জন্যে এবং তাঁর কাছেই আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। এ ঘটনা ঘটেছিলো একাদশ হিজরীর ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার চাশত এর নামাযের শেষ সময়ে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বয়স ছিলো তখন তেষট্টি বছর চারদিন। চারদিকে শোকের ছায়া হৃদয়বিদারক এ শোক সংবাদ অল্পক্ষণের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো। মদীনার জনগণ শোকে অভিভূত হয়ে গেলেন। চারদিকে ছেয়ে গেলো শোকের কালো ছায়া। হযরত আনাস (রা.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন আমাদের মাঝে আগমন করেছিলেন সেদিনের চেয়ে সমুজ্জল দিন আমি আর কখনো দেখিনি। আর যেদিন তিনি আমদের ছেড়ে চলে গেলেন, তার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন আমি আর কখানো দেখিনি। ২১{দারেমী, মেশকাত, ২য় খন্ড, পৃ-৫৪৭} প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর হযরত ফাতেমা (রা.) শোকে কাতর হয়ে বললেন, ‘হায় আব্বাজান, যিনি পরওয়ারদেগারের ডাকে লাব্বায়ক বলেছিলেন। হায় আব্বাজান, যাঁর ঠিকানা হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদাউস। হায় আব্বাজান, আমি জিবরাঈল (আ.)-কে আপনার ওফাতের খবর জানাচ্ছি।’ ২২[সহীহ বোখারী, মরযে নবী অধ্যায় ২য় খন্ড, পৃ-৬৪১] হযরত ওমর ও হযরত আবু বকরের প্রতিক্রিয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের খবর শুনে হযরত ওমর (রা.) জ্ঞানহারা হয়ে পড়লেন। তিনি দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন, কিছু কিছু মোনাফেক মনে করে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত হয়েছে, কিন্তু আসলে তাঁর ওফাত হয়নি। তিনি তাঁর প্রতিপালকের কাছে ঠিক সেইভাবে গেছেন যেভাবে হযরত মূসা ইবনে এমরান (আ.)গিয়েছিলেন। হযরত মূসা (আ .) তাঁর কওমের কাছ থেকে চল্লিশ দিন অনুপস্থিত থাকার পর পুনরায় ফিরে এসেছিলেন অথচ তাঁর ফিরে আসার আগে তাঁর স্বজাতীয়রা বলাবলি করছিলো যে, মূসা (আ .)-এর ওফাত হয়েছে। আল্লাহর শপথ, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ফিরে আসবেন এবং যারা মনে করছে তিনি মারা গেছেন তিনি তাদের হাত পা কেটে ফেলবেন। ২৩[ ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড, পৃ-৬৫৫] হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) সানহা নামক জায়গায় নিজের বাড়ীতে ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের খবর শুনে ঘোড়ায় চড়ে দ্রুত ছুটে এলেন এবং মসজিদে নববীতে প্রবেশ করলেন। এরপর কাউকে কোন কথা না বলে সোজা হযরত আয়েশা (রা.)-এর ঘরে গেলেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেহ মোবারক তখন ডোরাকাটা ইয়েমেনী চাদরে ঢাকা ছিলো। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) পবিত্র চেহারা থেকে চাদর সরালেন, চুম্বন করলেন এবং কাঁদলেন। এরপর বললেন, আমার মা বাবা আপনার ওপর কোরবান হোক, আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্যে দু’টি মৃত্যু একত্রিত করবেন না। যে মুত্যু আপনার জন্যে লেখা ছিলো তা আপনার হয়েছে। এরপর হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বাইরে এলেন। হযরত ওমর (রা.) সমবেত লোকদের সাথে কথা বলছিলেন। হযরত আবু বকর (রা.) তাঁকে বললেন, ওমর বসে পড়ো। হযরত ওমর (রা.) বসতে অস্বীকৃতি জানালেন। এদিকে সাহাবার হযরত ওমরকে ছেড়ে হযরত আবু বকর (রা.)-এর প্রতি মনোযোগী হলেন। হযরত আবু বকর (রা.) বললেন, তোমাদের মধ্যেকার যে ব্যক্তি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পুজা করতো সে যেন জেনে রাখে যে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত হয়নি। আর তোমদের মধ্যেকার যে ব্যক্তি আল্লাহর এবাদত করতো তারা যেন জেনে রাখে যে, আল্লাহ তায়ালা চিরঞ্জীব, তিনি কখনো, মৃত্যু বরণ করবেন না। পবিত্র কোরআনে আল্রাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন, ’মোহাম্মদ কেবল রসূল মাত্র, তাঁর পূর্বে বহু রসূল গত হয়ে গেছে। সুতরাং যদি তিনি মারা যান বা নিহত হন তবে কি তোমরা পৃষ্ট প্রদর্শন করবে? এবং কেউ পৃষ্ট প্রদর্শন করলো সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করবে না বরং শীঘ্রই কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করবেন।’ (সূরা আলে এমরান, আয়াত ১৪৪] মানসিক যন্ত্রণায় দিশেহারা এবং অস্থির সাহাবারা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর বক্তব্য শুনে বিশ্বাস করলেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রকৃতই ইন্তেকাল করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর শপথ, কেউ যেন জানতোই না যে, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের এই আয়াত নাযিল করে রেখেছেন। আবু বকর (রা.)-এর তেলাওয়াতের পর সবাই এই আয়াত মুখস্থ করলেন। সবার মুখে মুখে তখন এই আয়াত ফিরছিলো। হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব (রা.) বললেন, আল্লাহর শপথ, হযরত আবু বকর (রা.)-কে শুনে আমি যেন মাটি হয়ে গেলাম। আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না। হযরত আবু বকরকে এই আয়াত তেলাওয়াত করতে শুনে আমি মাটি ঢলে পড়ে যাচ্ছিলাম। কেননা তখন স্পষ্টতই বুঝতে পারছিলাম যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্যি সত্যি ইন্তেকাল করেছেন।২৪[সহীহ বোখারী, ২য় খন্ড, পৃ-৬৪০-৬৪১] দাফনের প্রস্তুতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দাফনের জন্যে কাফন পরানোর আগেই তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনয়নের প্রশ্নে সাহাবাদের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধে দেখা দিলো। ছাকিফা বনি সাআদায় মোহাজের ও আনসারদের মধ্যে বাদানুবাদ হলো। অবশেষে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর খেলাফতের ব্যাপারে সাবই একমত হলেন। একাজে সোমবারের বাকি দিন কেটে গেলো। রাত এসে গেলো। সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। পরদিন সকাল হলো, সেদিন ছিলো মঙ্গলবার। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র দেহ সেই ইয়েমেনী চাদরে আবৃত ছিলো। ঘরের লোকেরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। পরদিন মঙ্গলবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেহ অনাবৃত না করেই তাঁকে গোসল দেয়া হলো। যারা গোসল করিয়েছিলেন তারা হলেন হযরত আব্বাস, হযরত আলী, হযরত আব্বাসের দুই পুত্র ফযল এবং ছাকাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুক্ত করে দেয়া দাস শাকরান, হযরত উসামা ইবনে যায়েদ এবং আওস ইবনে খাওলা (রা.)। হযরত আব্বাস ও তাঁর দুই পুত্র রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাশ ফেরাচ্ছিলেন। হযরত উসামা এবং হযরত শাকরান পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। হযরত আলী (রা.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গোসল দিচ্ছিলেন। হযরত আওস (রা.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজের বুকের সাথে চেপে রাখছিলেন। গোসল দেয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিনখানি ইয়েমেনী সাদা চাদর দিয়ে কাফন দেয়া হয়। এতে কোর্তা এবং পাগড়ি ছিলো না। ২৫[সহী বোখারী, ১ম খন্ড, পৃ-১৬৯, সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড, পৃ-৩০৬] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শুধু চাদর দিয়েই জড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোথায় দাফন করা হবে, সে সম্পর্কেও সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, সকল নবীকেই যেখানে তুলে নেয়া হয়েছে, সেই জায়গায় দাফন করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত, হওয়ার পর হযরত আবু তালহা (রা.) সেই বিছানা ওঠালেন, যে বিছানায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করেন। সেই বিছানার নীচে ব খনন করা হয়। এরপর দশজন দশজন করে সাহাবা হুজরায় প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে জানাযার নামায আদায় করেন। এ নামাযে কেউ ইমাম হননি। সর্বপ্রথম বনু হাশেম গোত্রের লোকেরা নামায আদায় করেন। এরপর মোহজের এরপর আনসাররা, এরপর অন্যান্য পুরুষ এরপর মহিলা, এবং সবশেষে শিশুরা জানাযার নামায আদায় করেন। জানাযার নামায আদায়ে মঙ্লবার পুরো দিন অতিবাহিত হয়। মঙ্লবার দিবাগত রাত্রে প্রিয় নবী মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মুজতবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দাফন করা হয়। তাঁর পবিত্র দেহ কবরের ভেতর রাখা হয়। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঠিক কখন দাফন করা হয় আমরা জানতে পারিনি। তবে বুধবার রাতের মাঝামাঝি সময়ে কিছু শব্দ পেয়েছিলাম। ২৬[শেখ আব্দুল্লাহ রচিত মুখতাছার সীরাতে রসূল পৃ-৪৭১, এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন বোখারী শরীফের মরজুন নবী অধ্যায়। আরো দেখুন ফতহুল বারী, সহীহ মুসলিম, মেশকাত। এছাড়া ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড, পৃ-৬৪৯-৬৬৫, তালকীহ, পৃ-৩৮-৩৯, রহমতুল লিল আলামীন ১ম খন্ড,পৃ-২৭৭-২৮৬]
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৬
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!! এক শিক্ষিত মূর্খের সাথে আজকে ঝগড়া করে এসেছি!! সে বলে আমাদের মহানবী(সঃ) এর নাকি জানাযার নামায পড়া হয় নাই!!
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২২
নেবুলাস বলেছেন: ইবনে ইসহাক বলেন: আবু বকরের (রাঃ) বাইয়াত সুসম্পন্ন হওয়ার পর মঙ্গলবার দিন জনগন রাসূলুল্লাহর(সাঃ) দাফনের আয়োজন করলো।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর গোসলের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন: আলী ইবনে আবু তালিব, আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব, ফজল ইবনে আব্বাস, কুসাম ইবনে আব্বাস, উসামা ইবনে যায়িদ ও রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মুক্ত গোলাম শাকরান (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)। এছাড়া বনু খাজরাজ গোত্রের বনু আওফ পরিবারের আওস ইবনে খাওলী(রাঃ) আলী ইবনে আবু তালিবকে(রাঃ) বললেন, “হে আলী, আল্লাহর দোহাই! রাসূলুল্লাহর (সাঃ) কাফন-দাফনে আমাদের অংশ নিতে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।” আওস (রাঃ) বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সাহাবা ছিলেন। আলী (রাঃ) বললেন, “এসো!” তিনি এসে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) গোসলে অংশ গ্রহন করলেন। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) বুকের সাথে হেলান দিয়ে ধরে রাখলেন। আর আব্বাস, ফজল ও কুসাম (রাঃ) তাঁকে আলী (রাঃ) এর সাথে প্রয়োজন মতো ঘুরাতে লাগলেন। উসামা ইবনে যায়িদ ও শাকরান (রাঃ) পানি ঢালতে লাগলেন আর আলী(রাঃ) তাঁকে বুকের উপর হেলান দিয়ে ধোয়াতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) জামা গায়েই ছিল। সেই জামার উপর দিয়ে মৃদুভাবে কচলিয়ে ধুয়ে দিতে লাগলেন আলী (রাঃ)। সরাসরি গায়ের চামড়ায় হাত লাগাননি। ধোয়ার সময় আলী (রাঃ) বলছিলেন,”আমার পিতা মাতা আপনার ওপর কুরবান হোক। জীবিত বা মৃত উভয় অবস্থাতেই আপনার গায়ে কত সুগন্ধ!” গোসলের সময় অন্যান্য মৃত দেহ থেকে যেসব নাপাক বস্তু বের হয় রাসূলুল্লাহর (সাঃ) দেহ থেকে তার কিছু্ই বের হয়নি। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) গোসল সম্পন্ন হলে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন পরানো হলো, দুই খানা সুহারী এবং একখানা ইয়ামানী চাদর যা কয়েক ভাঁজ দিয়ে পরানো হলো।
মঙ্গলবার রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) গোসল ও কাফন দিয়ে তাঁর বাড়িতে তাঁর খাটে শুইয়ে রাখা হলো। এরপর দাফন নিয়ে সাহাবীদের মধ্যে মতান্তর দেখা দিল। কেউ বললেন, ”মসজিদে নববীতে দাফন করব।” কেউ বললেন,”অন্যান্য সাহাবীদের সাথে দাফন করবো।” আবু বকর(রাঃ) মীমাংসা করে দিলেন এই বলে যে, রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) আমি বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক নবীকে তার ইনতিকালের জায়গাতে দাফন করা হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে বিছানায় শুয়ে ইনতিকাল করেছিলেন তা তুলে ফেলে তার নিচেই কবর খনন করা হয়।রাসূলুল্লাহর (সাঃ) কবর খনন করেন আবু তালহা। তিনি লাহাদ কবর খননে পটু ছিলেন।রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) শোয়ানোর জন্য কবরে নেমেছিলেন আলী, ফজল, কুসাম ও শাকরান। খাওলী আবারো রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) কবরস্থ করার কাজে আনসারদের অংশ দেয়ার দাবি জানালে আলী (রাঃ) তাকে কবরে নামতে বললেন এবং তিনি সকলের সাথে নেমে ঐ কাজে অংশ নিলেন। এরপর লোকজন দলে দলে এসে জানাজা পড়তে লাগলো। পুরুষের পড়া শেষ হলে মহিলারা পড়লেন। তারপর শিশু কিশোররা। অবশেষে
রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) দাফন করা হয় বুধবার মধ্যরাতে।
সূত্র: সিরাত ইবনে হিসাম (পৃ:৩৫২ রাসূলুল্লাহর (সাঃ) কাফন দাফন)।
আগের পোষ্টটিতে অনাকাঙ্খিত ইমোটিকন আসাতে দয়া করে ডিলিট করে দিবেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৭
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
তারাবেষ্ট বলেছেন: তুলনাহীন ভাল পোষ্ট এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
"এক শিক্ষিত মূর্খের সাথে আজকে ঝগড়া করে এসেছি!! সে বলে আমাদের মহানবী(সঃ) এর নাকি জানাযার নামায পড়া হয় নাই!!"
সারা জীবন মিথ্যা ঝগড়া করে অনেক কষ্ট পেলাম ভাই!!!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: ভাই আমিও এই পোষ্ট যেইদিন দিয়েছি সেই দিন এক উচ্চ শিক্ষিত মূর্খের সাথে তর্ক করেছি!! এরা কতো বড় মূর্খ চিন্তাও করা যায় না!!
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
ঘূর্নী বলেছেন: ধন্যবাদ ....
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: হুম
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৩
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: I love my Rasul (sa) but I can follow u
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: Try it!!
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
শাহ্ আজাহার বলেছেন: হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত পূর্ববর্তী কিছু সিদ্ধান্তঃ
নবী করীম [ﷺ]-এঁর ইন্তিকালের সময় ঘনিয়ে আসলে হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) হযরত আবুবকর (رضي الله عنه)-কে সংবাদ পাঠান। হযরত হাফসা (رضي الله عنها) সংবাদ দেন নিজ পিতা হযরত ওমর (رضي الله عنه)-কে এবং হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها) খবর দেন হযরত আলী (رضي الله عنه)-কে, (বেদায়া নেহায়া)। তাঁরা কেউ ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন না। ইত্যবসরে হুযুর (رضي الله عنه)-এঁর ওফাত শরীফ সংঘটিত হয়।
হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) সংবাদ পেয়ে সানাহ্ নামক মহল্লায় তাঁর স্ত্রী বিনতে খারেজার গৃহ হতে তড়িৎ গতিতে চলে আসেন এবং নবী করীম [ﷺ]-এঁর চাদর মোবারক সরিয়ে ইন্নালিল্লাহি বলে হুযুরের [ﷺ] কপাল মোবারক তিনবার চুম্বন দিয়ে বলেন - “ইয়া রাসুলুল্লাহ। আপনি হায়ত-মউত উভয় অবস্থায় কত পবিত্র”! এ কথা বলে তিনি সোজা মসজিদে নববীতে চলে যান এবং ক্রন্দনরত অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামকে শান্তনা দিয়ে ভবিষ্যৎ কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেন। কেননা, নবী করীম [ﷺ]-এঁর কাফন-দাফনের পূর্বেই ইসলামী রাষ্ট্রের পরবর্তী উত্তরাধিকারী নির্বাচন করা একান্ত জরুরী ছিল। তা না হলে বৈদেশিক আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার মোকাবেলা কে করবে? এবং জানাযার ইনতিযাম কে করবেন?
হযরত ওমর (رضي الله عنه) প্রথমে নবী করীম [ﷺ]-এঁর ইন্তিকালের কথা স্বীকারই করেন নি। তাঁর অবস্থা ছিল তখন ভাব বিহবলতাপূর্ণ। হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) যখন কোরআনের আয়াত “ওয়ামা মোহাম্মদুন ইল্লা রাসূল” তিলাওয়াত করে শুনালেন - তখন হযরত ওমর ও অন্যান্য সকলের বিহবলতা কেটে যায় এবং ভবিষ্যৎ কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেন। হযরত ওমর (رضي الله عنه) মত প্রকাশ করেন যে, যেহেতু হুযুর [ﷺ]-এঁর নির্দেশে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ইমামতি করেছেন, সুতরাং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব ও খিলাফতের জন্য তিনিই যোগ্যতম ব্যক্তি। একথা বলে হযরত ওমর (رضي الله عنه) হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এঁর হাত ধরে বলে উঠলেনঃ- فاخذ عمر بيده و قال بايعتك ـ فبا يعه الناس (بخارى)
“হে খলিফাতুর রাসূল! আমি আপনার নিকট আনুগত্যের বাইআত করছি।” এভাবে মসজিদে উপস্থিত মোজাহিরগণ হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এঁর হাতে বাইআত করেন- (বোখারী)। সোমবারের অবশিষ্ট দিন ও রাত মসজিদে নববীতে বাইআতের কাজ চলতে থাকে।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে মদীনার বনু সায়েদার দরবার হলে আনসারগণ একত্রিত হয়ে খেলাফতের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের মতামত ছিল - মোহাজিরগণের খলিফা হবে একজন, আর আনসারগণের খলিফা হবেন আনসারদের মধ্য হতে অন্য একজন। হযরত সাআদ ইবনে ওবাদা আনসারী (رضي الله عنه) ছিলেন এই প্রস্তাবের উদ্যোক্তা। এমন সময় হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (رضي الله عنهما) এবং অন্যান্য সাহাবীগণ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁদের কথা শুনে বললেন - এক রাজ্যে দু’খলিফা মনোনীত হওয়ার অর্থ - নিজেরই নিজেদেরকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলা। তিনি নবী করীম [ﷺ]-এঁর বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন - হুযুর [ﷺ] বলেছেন - “আল খিলাফাতু মিন কোরাইশিন” অর্থাৎঃ- “আমার পরবর্তী খলিফা হবে কোরাইশদের মধ্য হতে।”
আনসারদের মধ্যে অনেকেরই এ হাদীসটির কথা স্মরণ ছিলো না। হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এঁর মুখে এ হাদীস শুনে সকলের হুঁশ হলো এবং একটি বিপর্যয় থেকে উম্মত রক্ষা পেল। দুই খলিফার প্রস্তাবক হযরত সাআদ ইবনে ওবাদা (رضي الله عنه) সামনে অগ্রসর হয়ে বললেন - “আনতুমুল উমারা ওয়া নাহনুল ওযারা” অর্থাৎ “আপনারা মোহাজির কোরাইশগণ হবে শাসক এবং আমরা আনসারগণ হবো উযির বা পরামর্শদাতা।” একথা বলেই তাঁরা সবাই হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এঁর হাতে হাত দিয়ে বাইআত করলেন। হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) সকিফা বনী সায়েদা-এঁর বাইআতের কাজ সমাপ্ত করে মসজিদে নববীতে চলে আসেন এবং মিম্বার শরীফে আরোহণ করে আপন খেলাফতের ঘোষণা দেন ও নীতি নির্ধারণী ভাষণ প্রদান করেন। এ ভাষণে তিনি নবী করীম [ﷺ]-এঁর পথ ও মত অনুসরণ করার কথা ঘোষণা করেন। তারপর শোকে বিহবল হযরত আলী (رضي الله عنه) ও হযরত যোবাইর (رضي الله عنه)-কে ডেকে আনেন এবং তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ
“আপনারা দু’জন এখনও বাইআত না করে কি মুসলমানদের শক্তি ও ঐক্য দুর্বল করতে চান”? হযরত আলী (رضي الله عنه) ও হযরত যোবাইর (رضي الله عنه) তদুত্তরে বললেন - “হে খলিফাতুর রাসূল! আপনার বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা আপনার নিকট বাইআত করলাম” (বেদায়া ও নেহায়া)।
এই দুজনের বাইআতের মাধ্যমে নবীপরিবারের ঘনিষ্টজনদের বাইআতের কাজ সমাপ্ত হলো। সুতরাং শিয়াদের অভিযোগ খণ্ডন হয়ে গেলো। তারা বলে, হযরত আলী (رضي الله عنه) নাকি হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এঁর হাতে বাইআত করেন নি।
হুযুরের জানাযার ধরণঃ
========
জানাযাঃ
উম্মতে মোহাম্মাদীর সকলকেই চার তাকবীরের সাথে এক ইমামের পিছেন ইক্বতাদা করে জানাযার নামায পড়ানো হয়। এতে তিনটি অংশ আছে। যথাঃ- আল্লাহর সানা, নবী করীম [ﷺ]-এঁর উপর দরূদ শরীফ এবং মৃত ব্যক্তির জন্য আম দোয়া। এটাকে নামায বলা হয় এজন্য যে, এতে ইমাম ও মোক্বতাদী আছে। শরীর পাক হতে হয়। কিবলামুখী হতে হয়। নাভীতে হাত বাঁধতে হয়। শুধু রুকু, সিজদা, বৈঠক ও ক্বিরাত নেই এবং তাশাহুদও পড়তে হয় না। তবু এটাকে নামায বলা হয় এজন্য যে, মূর্দাকে সামনে রেখে কেবলামুখী হয়ে হাত বেঁধে ইমামের পিছনে ইক্বতাদা করতে হয়। এতেই প্রমাণিত হয় যে, জানাযা হলো নামায। শুধু দোয়া হলে এসব করতে হতনা। এর একটি অংশ মাত্র দোয়া।
এজন্য হাদীস অনুযায়ী জানাযা নামাযের পরপরই সকলে গোল হয়ে আর একবার দোয়া করা হয় হাত তুলে। তৃতীয়বার দোয়া করা হয় মাটি দেয়ার পর। মিশকাত শরীফে আছে “আক্ছিরোদ্ দোয়া লিল্ মাইয়িতি” অর্থাৎ “তোমরা মৃত ব্যক্তির জন্য বেশী করে দোয়া কর।” বেশী অর্থ - ন্যূনতম তিনবার দোয়া করা। অপর হাদীসে এসেছে “ইজা সাল্লাইতুম আলাল মাইয়েতে, ফা-আখ্লিছু লাহুদ্দোয়া” অর্থাৎঃ- “যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জানাযা আদায় করবে, তার পরপরপই বিনা বিলম্বে আর একবার খাছ দোয়া করবে” (মিশকাত কিতাবুল জানায়েয)। মুসলমানগণ এভাবেই আমল করে আসছেন। এটা হলো সাধারণ মৃত ব্যক্তিদের কথা। (জানাযার পর দোয়া সম্পর্কে আমার লিখিত” ফতোয়ায়ে ছালাছা” পাঠ করুন)।
হুযুরের জানাযার ধরণঃ
নবী করীম [ﷺ]-এঁর ক্ষেত্রে জানাযার বিশেষ ধরণের বৈশিষ্ট্য ছিল। হুযুর [ﷺ]এর বেলায় কোন ইমাম ছিলো না। মোক্বতাদীও ছিলো না। কেবলামুখী হওয়াও ছিলো না। হাদীস শরীফে শুধু সালাত শব্দের উল্লেখ আছে। এখানে সালাত অর্থ দোয়া ও দরূদ। ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)-এঁর প্রতি নবী করীম [ﷺ] যে অসিয়ত করে গেছেন, সে অনুযায়ী সাহাবীগণ নবী করীম [ﷺ]-এঁর হুজরা মোবারকে প্রবেশ করে রওযা মোবারকের কিনারায় রক্ষিত খাঁটের কাছে গিয়ে দরূদ ও সালাম পেশ করে বের হয়ে আসতেন। একদল বের হওয়ার পর আর এক দল প্রবেশ করতেন এবং দরূদ ও সালাম পেশ করতেন। এভাবে প্রথমে পুরুষগণ, তারপর মহিলাগণ, তারপর ছোট ছোট বালকগণ, তারপর আশ্রিত দাস-দাসীগণ ও মাওয়ালীগণ ব্যক্তিগতভাবে হুজরায় প্রবেশ করে দরূদ ও সালাম পেশ করেছিলেন। সাধারণ জানাযা নামায হলে মহিলাগণ অংশগ্রহণ করতে পারতেন না।
আল্লামা সোহায়লী (রাহঃ) বলেন - আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদের সুরা আহযাবে যেভাবে দরূদ ও সালাম পড়ার জন্য মু’মিনগণকে নির্দেশ করেছেন, ইন্তিকালের পরও অনুরূপভাবেই শুধু দরূদ ও সালাম পেশ করা হয়েছিল (বেদায়া ও নেহায়া ৫ম খ- ২৬৫ পৃষ্ঠা)।
মাওয়াহিব-লাদুন্নিয়া গ্রন্থে আল্লামা শিহাবুদ্দিন কাসতুলানী শারহে বোখারীতে উল্লেখ করেছেনঃ-
ومن خصا ئصه صلى الله عليه وسلم انه صلي علبه الناس افواجا افواجا بغير امام وبغير دعاء الجنازة المعروف ذكره البوهقي وغيره ـ
অর্থঃ- ”নবী করীম [ﷺ]-এঁর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এটিও একটি বৈশিষ্ট্য ছিল যে, লোকেরা দলে দলে এসে ইমাম ছাড়াই দরূদ পাঠ করতেন। তাঁরা প্রচলিত জানাযার দোয়া ও তাকবীর পড়েননি। ইমাম বায়হাকী ও অন্যান্য মোহাদ্দিসগণ এরূপই বর্ণনা করেছেন” (আন্ওয়ারে মুহাম্মদীয়া মিন মাওয়াহিব লাদুন্নিয়া পৃষ্ঠা ৩২০। হুযুর [ﷺ] হায়াতুন্নবী, সেজন্যই প্রচলিত জানাযা হয়নি।
হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (رضي الله عنهما) কর্তৃক জানাযা সালাতের ধরণঃ
হযরত আবু বকর (رضي الله عنهما) কিভাবে জানাযার পরিবর্তে শুধু দরূদ ও সালাম পাঠ করেছিলেন - তার একটি পরিষ্কার বর্ণনা আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া গ্রন্থের ৫ম খ- ২৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে। উভয় সাহাবীর আমল মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম নামে জনৈক রাবী লিখে রেখেছিলেন। ওয়াকেদী ঐ দলীলখানার ভাষ্য এভাবে বর্ণনা করেছেন-
لما كفن رسول الله صلى الله عليه وسلم وضع على سريره دخل ابوبكر وعمن رضي الله عنهما ومعهما نفر من المها جرين والانصار بقدر ما يسع البيت فقالا : السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبر كاته وسلم المها جرون والا نصار كما سلم ابوبكر وعمر ثم صفوا صفوا صفوفالايؤمهم احد ـ فقال ابوبكر و عمر وهما فى الصف الاول حيال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم انا نشهد انه قد بلغ ما انزل اليه ونصع لا مته و جا هد فى سبيل الله حتى اعز الله دينه وتمت كلمته وأومنبه وحده لاشر يك له فا جعلنا الهنا ممن يتبع القول الذي انزل معه واجمع بيننا وبينه حتى تعر فنابنا و تعر ـ تنابه فانه كان بالمؤ منين رؤوفا رحيما لانبتغي بالايمان به بديلا ونشترى بهثمناامدا فيقول الناس : امين امين ويخر جون ويدخل اخرون حتى صلى الر جال ثم النساء ثم الصبيان ـ
অর্থঃ- ”নবী করীম [ﷺ]-কে কাফন পরিধানের পর খাঁটের উপর রেখে ঐ খাঁট (হুজরার ভিতর) রওযা মোবারকের পাশে রাখা হলো। হযরত আবু বরক ও হযরত ওমর (رضي الله عنهما) হুজরার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কয়েকজন মোহাজির ও আনসারকে সাথে নিয়ে প্রবেশ করলেন। তাঁরা দু’জনে প্রথমে এভাবে সালাম আরয করলেন - “আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবীউ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।” হযরত আবু বকর ও ওমর (رضي الله عنهما)-এঁর ন্যায় মোহাজির ও আনসারগণও সালাম আরয করলেন। তারপর সকলে সারি বেঁধে খাঁটের চতুর্দিকে দাঁড়ালেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ইমাম ছিলেন না। রাসূল করীম [ﷺ]-এঁর খাঁটের চতুর্পাশ্বে দন্ডায়মান কাতারগুলোর মধ্যে প্রথম কাতারে হযরত আবু বকর ও ওমর (رضي الله عنهما) দাঁড়িয়ে এভাবে মুনাজাত করলেনঃ
“হে আল্লাহ! আমরা সাক্ষ দিচ্ছি যে, নবী করীম [ﷺ]-এঁর উপর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে, তিনি তা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। উম্মতকে তিনি উপদেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহর পথে তিনি জেহাদ পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টার ফলে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর দ্বীনকে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর কলেমা পূর্ণতা লাভ করেছে। লা-শারীক আল্লাহর উপর লোকেরা ঈমান এনেছে। হে আমাদের মা’বুদ! তুমি আমাদেরকে তাঁর উপর অবতীর্ণ যাবতীয় বাণীর অনুসরণকারী বানিয়ে দাও। তুমি আমাদের ও উনার মধ্যে মিলন ঘটিয়ে দাও। তুমি আমাদের (কার্যকলাপের) দ্বারা যেন তাঁর পরিপূর্ণ প্রকাশ্য পরিচয় পাও এবং তাঁর মাধ্যমেও আমাদের প্রকাশ্য পরিচয় পাও। কেননা, তিনি মু’মিনদের প্রতি রউফ এবং রাহীম। তাঁর প্রতি ঈমান আনার বিনিময়ে আমরা কিছুই প্রতিদান চাইনা এবং তাঁর নাম ভাঙ্গায়েও আমরা কখনও দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিল করতে চাইনা।”
কাতারে দাঁড়ানো লোকজন শুধু আমীন আমীন বলেছেন। তাঁরা বের হয়ে যাওয়ার পর অন্য একদল প্রবেশ করতেন। এভাবে প্রথমে পুরুষগণ, তারপর মহিলাগণ, তারপর শিশুগণ ক্রমান্বয়ে প্রবেশ করে সালাম ও দরূদ পেশ করেছেন। (আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া কৃত ইবনে কাছির ৫ম খ- ২৬৫ পৃষ্ঠা)। মঙ্গলবার দিন গোসল ও কাফনের পর হতে মধ্যরাত পর্যন্ত এভাবেই পালাক্রমে দরূদ ও সালামের অনুষ্ঠান চলতে থাকে।
সুতরাং নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হলো যে, ইমাম বিহীন এবং চার তাকবীর বিহীন শুধু দরূদ, সালাম ও মোনাজাতের মাধ্যমেই জানাযার কাজ সমাধা করা হয়েছে।
অন্যদের বেলায় প্রচলিত জানাযার নিয়ম নবীজীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরূপ করার অন্য একটি কারণ এও ছিল যে, নবী করীম [ﷺ] ইন্তিকাল করলেও তাঁর সাথে রুহ মোবারকে যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নি। তাই তিনি ইন্তিকাল অবস্থায়ও ঠোঁট মোবারক নেড়ে নেড়ে ”ইয়া হাবলি উম্মাতী! ইয়া হাবলি উম্মাতী!” বলে কেঁদেছিলেন। এজন্যই একথার উপর সকলে একমত পোষণ করেছেন যে, ”নবী করীম [ﷺ] হায়াতুন্নবী-জিন্দানবী। তাই তাঁর জানাযা হয়নি - শুধু সালাম ও দরূদ পড়া হয়েছে।
উক্ত হায়াত বরযখী - না দুনিয়াবী, এ নিয়ে ইখতিলাফ থাকলেও শেষ সমাধান হলো - দুনিয়াবী হায়াতেই তিনি জীবিত আছেন। (আদিল্লাতু আহলিস সুন্নাহ, শিফাউস সিক্বাম, ফতহুল বারী শরহে বোখারী, দ্বারু কুতনী)।
দাফন কার্যঃ রওযা মোবারকঃ
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (رضي الله عنها) বলেনঃ-
توفى رسول الله يوم الاثنين ودفن ليلة الا ربعاء ـ
অর্থঃ-রাসূল করীম [ﷺ] সোমবার দিন ইনতিকাল করেন এবং বুধবারের পূর্ব রাত্রে তাঁকে দাফন করা হয়” (বায়হাকী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল)। এটাই বিশুদ্ধ মত। মঙ্গলবার দিন পবিত্র গোসলকার্য ও কাফন অনুষ্ঠান শেষে সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (رضي الله عنهما)-এঁর নেতৃত্বে দরূদ ও সালাম এবং দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠানের পর পালাক্রমে পুরুষ, নারী ও শিশুগণ হুজরা মোবারকে প্রবেশ করে অনুরূপভাবে দরূদ-সালাম ও দোয়া মুনাজাত করতে থাকেন। এই অনুষ্ঠান মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরত্রি পর্যন্ত চালু থাকে। তারপর রওযা মোবারকে পবিত্র দেহ মোবারক স্থাপন করা হয়।
প্রথমে রওযা মোবারকে নবী করীম [ﷺ]-এঁর একখানা লাল ইয়ামানী চাদর বিছানো হয়, যা তিনি সচরাচর পরিধান করতেন। এ চাদরখানা তিনি জঙ্গে হোনাইনে (৮ম হিজরী) গণিমতের মাল হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছিলেন। নবী করীম [ﷺ] এ চাদরখানা তাঁর রওযা মোবারক বিছিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন। হযরত হাসান (رضي الله عنه) বলেনঃ-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم افرشوا لى قطيفة في لحدي فان الارض لم تسلط على اجساد الانبياء ـ
অর্থঃ- “রাসূল করীম [ﷺ] এরশাদ করেছেন - তোমরা আমার রওযা মোবারকে আমার সম্মানে একখানা চাদর বিছিয়ে দিও। কারণ, এই জমিন নবীগণের শরীর মোবারক নষ্ট করতে পারে না বদন মোবারকে প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে না” (বেদায় পৃষ্ঠা ২৬৯)। ওয়াকিদী বলেন- كان هذا خا صا لرسول الله رواه ابن عساكر ـ
অর্থঃ- “চাদর বিছানোর এই ব্যবস্থা শুধু নবী করীম [ﷺ]-এঁর জন্যই খাস” (ইবনে আছাকির)। কেননা, তিনি রওযা মোবাকে চিরদিন জীবিত থাকবেন।
রওযা মোবারকের স্থান নির্ধারণ নিয়ে প্রথমে বিভিন্ন মতামত দেয়া হয়। কেহ বলেন - জান্নাতুল বাক্বীতে দেওয়া হোক -কেননা সেখানে অধিক দোয়া-ইসতিগফার করা হয়। কেউ কেউ মন্তব্য করেন - মিম্বার শরীফের কাছে রওযা করা হোক। আবার কেউ কেউ বলেন -বরং নবী করীম [ﷺ]-এঁর মিহরাবে নামাযের স্থানেই কবর শরীফ করা হোক। প্রকৃত অবস্থা তাঁদের তখনও জানা ছিল না। এমন সময় হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) আসলেন এবং এর সমাধান এভাবে দিলেন-
ان عندي من هذا خبرا وعلما سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما قبض نبى الا دفن تيث توفى (بيهقى)
অর্থঃ-“এ ব্যাপারে আমার কাছে একটি সঠিক সংবাদ ও তথ্য আছে। তা হলো - আমি স্বয়ং নবী করীম [ﷺ]-কে বলতে শুনেছি যে, নবীগণ যেস্থানে ইন্তিকাল করেন সেখানেই তাদের দাফন করা হয় (বায়হাকী)।”
তারপর হযরত আবু বকর এভাবে নির্দেশ দিলেন- فا خروافراشه و حفروا تحت فراشه ـ
অর্থঃ-“তোমরা নবী করীম [ﷺ]-এঁর বিছানা মোবারক সরিয়ে নিয়ে যাও এবং সেস্থানেই রওযা শরীফ তৈরী করো” (ইমাম আহমদ)।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক নবী করীম [ﷺ]-কে খাঁটে উঠিয়ে গোসল দেওয়ার জন্য অন্য পার্শ্বে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিছানার স্থানে রওযা মোবারক প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। একাজের জন্য মক্কাবাসী আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ (رضي الله عنه) এবং মদীনাবাসী আবু তালহা যায়েদ ইবনে সাহল (رضي الله عنه)-কে অনুসন্ধান করার জন্য হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) দু’জন লোক পাঠান। মদীনাবাসী আবু তালহা সাহাবীকে প্রথম পাওয়া গেল। সুতরাং তিনি এসে মদীনা শরীফের নিয়মে বগলী বা সিন্ধুকী রওজা শরীফ তৈরী করেন।
তিন চাঁদের স্বপ্নঃ
এ প্রসঙ্গে বায়হাকী শরীফে বর্ণিত সাঈদ ইবনে মোসাইয়েব তাবেয়ী (رحمة الله عليه)-এর একখানা রেওয়াতে উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) একদিন স্বপ্নে দেখেন, তিনটি চাঁদ তাঁর কোলে পতিত হয়। এ ঘটনা পিতা আবু বকর (رضي الله عنه)-কে জানালে তিনি মন্তব্য করেন - “যদি তুমি সত্যই এ স্বপ্ন দেখে থাকো, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে - তোমার গৃহে পৃথিবীর তিনজন শ্রেষ্ঠ মানবের মাযার শরীফ হবে। যখন নবী করীম [ﷺ]-এঁর ইন্তিকাল হয়, তখন হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) হযরত আয়েশাকে লক্ষ্য করে বলেনঃ- يا عا ئشة هذا خير اقمارك
অর্থঃ-“হে আয়েশা! তোমার স্বপ্নে দেখা তিন চাঁদের মধ্যে ইনিই হচ্ছেন প্রথম সর্বোত্তম চাঁদ।” (বায়হাকী সূত্রে বেদায়া ও নেহায়া পৃষ্ঠা ২৬৮)। পরবর্তীতে আরো দুই চাঁদের মাযার হয় সেখানে - অর্থাৎ হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (رضي الله عنهما)।
বেদনা বিধুর মুহূর্তঃ
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। উম্মাহতুল মোমেনীনগণ এবং হযরত ফাতিমা (رضي الله عنهم اجمعين), হযরত আয়েশা (رضي الله عنها)-এঁর হুজরার অপর অংশে কান্নারত ছিলেন। হযরত উম্মে সালামা (رضي الله عنها) বলেনঃ-
بينما نحن مجتمعون نبكى لم نمن ورسول الله صلى الله عليه وسلم في بيوتنا ونحن نتسل برؤيته على السرير اذ سمعنا صوت الكرارين فى السحر فقالت ام سلمة فصحنا وصاح اهل المسخد فارتجت المدينة صيحة واحدة واذن بلال نالفجر (واقدى)
অর্থঃ-“আমরা বিবিগণ একত্রিত কান্নাকাটা করছিলাম। রাত্রে আমাদের নিদ্রা হয়নি। নবী করীম [ﷺ] আমাদের ঘরেই ছিলেন। আমরা নবী করীম [ﷺ]-কে খাঁটে শয়নরত অবস্থায় দেখে মনকে এই বলে প্রবোধ দিচ্ছিলাম যে, তিনি তো আমাদের মাঝেই আছেন। ভোরের দিকে ক্রন্দনরত লোকদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। উম্মে সালামা (رضي الله عنها) বলেন - আমরাও চিৎকার দিয়ে উঠলাম এবং মসজিদে অবস্থানরত শোকাতুর লোকেরাও চিৎকার দিয়ে উঠলো। সকলের কান্নার রোল মিলে মদীনার জমিন থর থর করে কেঁপে উঠলো। এমন সময়ই হযরত বেলাল (رضي الله عنه) ফজরের আযান দিলেন।” এটা ছিল দাফনের শেষ পর্যায়ের ঘটনা।
হাদিসঃ “যে আমার রওযা মোবারক যিয়ারত করবে, তার জন্য শাফায়াত করা আমার উপর ওয়াজিব হয়ে যাবে” (সুনানে দার কাতানী, ২য় খন্ড, ২৭৮; বায়হাকি, শোয়াবুল ঈমান ৩: ৪৯০, ৪১৫৯, ৪১৬০; হাকীম তিরমিজি, নাওয়াদিরুল উসুল ২: ৬৭)। হুযুর [ﷺ]-এঁর রওযা মোবারক হচ্ছে আরশের চেয়েও উত্তম এবং রওযা মোবারক হতে মিম্বার শরীফ পর্যন্ত মধ্যখানের জায়গাটুকু হচ্ছে “রিয়াদুল জান্নাত” অর্থাৎ বেহেস্তর বাগান। নামাযে যাতায়াত কালীন সময়ে হুযুরের চরণধুলি পাওয়ার কারণে যদি স্থানটির এই মর্তবা হয়, তাহলে রওযা আতহারের মর্যাদা কী হতে পারে? মূলকথাঃ- বদন মোবারকের বরকতে রওযা পাকের মাটি আরশ হতেও উত্তম হয়েছে এবং কদম মোবারকের বরকতে মধ্যবর্তী স্থানটি রিয়াদুল জান্নাতে পরিণত হয়েছে।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
শাহ্ আজাহার বলেছেন: বিঃদ্রঃ উপরোক্ত লিখাটি শাইখুল মুদাররিসীন আল্লামা হাফেয মুহাম্মদ আব্দুল জলিল (رحمة الله عليه) এর নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিতাব হতে সংকলিত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে লেখনীতে উল্লেখিত সূত্রের কিতাবাদি পড়া যেতে পারে। সবাইকে আল্লাহপাক ও উনার প্রিয় হাবীব নূর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে সহী বুঝ দান করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩১
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: এ ব্যাপারে আমি একটু তথ্য দিতে পারি। জনাব রেজা মাহবুব চিশতি-এর লেখা শানে পাক পাঞ্জাতন নামক বইটির ৬৯-৭০ নং পাতায় যা পেলাম তা হুবহু তুলে ধরলাম।
"রসুলুল্লাহ (দ.)-এর অন্তিমশয্যায় থাকাকালীনই বিশিষ্ট সাহাবিসহ মুসলমানের মধ্যে মত-পার্থক্য সৃষ্টি হয়। হাদিসে কেরতাস তার সাক্ষ্য দেয়। অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে নবী এন্তেকাল করলেন। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সত্যের যে বিজয় মুকুট উম্মতের মাথায় পরিয়ে দিয়ে তিনি ইহধাম ত্যাগ করবেন, তাকে ভূলুণ্ঠিত দেখতে পেয়ে তিনি যারপরনাই দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত হলেন। অন্তিমশয্যায় তাঁর উম্মতগণ তার মুখের উপর নির্দেশ অমান্য করে এবং প্রত্যাখ্যান করে। হজরত আলী (আ.), ইমাম হাসান, ইমাম হোসাইন, আবুজর, সালমান ফারসী, মিকদাদসহ অল্পসংখ্যক লোক রসুলের দাফন-কাফন সম্পন্ন করেন, কারণ রসুলের এন্তেকালের পর আবু সুফিয়ান গ্রুপ রসুলের দাফন-কাফন ফেলে নতুন খলিফা নির্বাচনে ব্যস্ত ছিলেন।"