নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার যত বৈপরিত্য

জন্মেছিলাম সেনা ছাওনির সামরিক হাপাতালে। তারুণ্যময় জীবনের অেনকটা সময় কেটেছে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধ লড়ায়ে। শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তির লক্ষে সর্বহারার একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রমে এখনো আস্থাশীল সমসন দৃঢ়তায়। অথচ কর্মে নিয়োজিত আমি বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন

মকসুদ মনি

নিপিড়িত শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের লড়ায়ে আমিও একজন।

মকসুদ মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক সকালের আরতি

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

সব প্রেমিক পুরুষের মত আমি আমার ভালবাসাকে কত ভাবেই না চেয়েছি সাজাতে। কত রুপেই না দেখেছি তোমাকে। চালতা ফুলের মালাকে ভেবেছি পৃথীবির শ্রেষ্ঠ অলংকার----যেদিন দেখলাম তোমাকে প্রভাতফেরির স্নিগ্ধ সাদা শাড়ীতে। আমি কোনদিন দেখিনি স্নান শেষে নদী হতে কোমল পদক্ষেপে ঘরে ফেরা ভিজা চুলের কোন নারীকে। কিন্তু আমি খুব করে বুঝি কানু পাগলের বাঁশীটায় সুর দিয়ে যেত আসলে যমুনায় যাওয়া রাধা। কেননা চুলে সাপের মত বেণী করে কিংবা বাতাসে উড়াতে উড়াতে যখন যেতে তুমি আমার জানালার সামনে দিয়ে তখন আমার বুকের মাঝে বেজে উঠতো একটা চিনচিনে ব্যাথার ছলাৎ সূর। যে ব্যাথার সূরটা তোমাকে শুনাবো বলে সেদিন বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরেছিলাম তোমায় ফোল্ডার স্ট্রীটের হুড তোলা রিকশায়। 'পটা বাউল' গলা ফাটিয়ে যতই বলুক কানু বদমাইশ--- দোষটা কিন্তু বেশীই ছিল রাধার উথালপাথাল রুপের। খুব ম্লান মনে হত আল্‌ মাসুমের আল্পনা কিংবা শফিকুলের তুলির আঁচড়--- যখোন তুমি হেটে হেটে একে যেতে যত তোমার পায়ের ছাপ।

কত নামেই না ডাকে সবাই তাদের ভালবাসাকে। 'চন্দনা আমার চন্দনা' কিংবা রবীন্দ্র কাব্যের নায়িকার মত পবিত্র সুন্দরী 'রমা'। অথচ তোমার কোন নামই দিতে পারিনি আমি। যত রুপেই তোমকে ভাবিনা কেন, যত নামেই তোমাকে ডাকিনা কেন তা যেন অসম্পুর্নই থেকে যায়। নন্দীদের বাগান হতে চুরি করে আনা গন্ধরাজ ফুল কতদিন ফেলে দিয়েছি পুকুরের জলে। অথচ কত যত্নেনা রেখেছি ছাদের কার্নিশে। যেই তুমি সামনে এসেছো মনে হয়েছে তোমাকে কি মানায় এই তুচ্ছো একটা ফুলে, যাও তোমাকে দিলাম শরতের সমস্ত আকাশ। সেই আকাশ সমান আমার ভালবাসার সাম্রাজ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোমাকে রাণী করে বসিয়েছিলাম সেদিনের সেই শিশুতলার উৎসবে। শিশুতলার বন্ধু বকুল-রাসেল-রিনেট- শিলা কিংবা ধুমধাম স্মার্ট পলাশেরা সমৃদ্ধ করেছিল আমাদের ভালবাসাকে তাদের অনুচ্চারিত ইন্ধনে। কি চমৎকার উপস্থাপন তোমার ভালবাসা প্রকাশের! প্রথম দিনেই তুমি নিয়ে নিলে শিশুতলার জবরদখল, যখন তুমি ব্যাগ হতে একে একে সবাইকে চকলেট দিয়ে আমার সামনে ধরলে হৃদয়ের মত টকটকে লাল একটা গোল্ডলীফের প্যাকেট। এখোনো স্পষ্ট---- সেদিন নিজেকে মনে হয়েছিল মহান কমরেড চে'র মত এক গর্বিত পূরুষ। খুব করে আমি বুঝেছিলাম সেদিন--- তুমি কখোনই হতে দিবেনা বৃদ্ধি লাশকাটা মোড়ের হতাশার পরিধি; কিছুতেই ঘটবেনা আমার জীবনে শ্যামা পরিহাসে সাচ্চু পাগলের নষ্টো যন্ত্রনার পুনরাবৃত্তি।

শিল্পী হোটেলের নিরব আলাপন, অষ্টোব্যাঞ্জনের মন্থর সন্ধ্যা কিংবা বন্ধুর জুয়ার আসর হতে নিয়ে আসা টাকায় হাতিরপুলের সেই সরগরম আড্ডা --- সেই সব দিনের আবীর লাগানো স্মৃতিগুলো যখন উল্টিয়ে দেখি তখন দৃঢ় হই আরো ভালবাসার বিশ্বাসবোধে। একটি দিবসের ভালবাসায়, একটি দুটি নামের মাঝে বেধে ফেলা সংসারি ভালবাসা নয় আমাদের ভালবাসা। তুমিতো আমার বুনো শিমল। যার উপরে শক্ত খোলস, ভিতরে নরম তুলোর মত ভালবাসা। তাই আমি কখনই ভয় পাইনা ডুবে মরার কোন নষ্টো নদীর মোহনায়।

ভাল থেকো আমার বেহুলা রাণী, ভালথেকো আমার শাকচুন্নি-পেত্নী রাণী।

ভাল থেকো ঘুটে কুড়ানী, ভাল থেকো আমার শ্যামা পাখি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.