![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য সকলকে স্বাগতম। কোন পুরানো পোষ্টেও নির্দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারেন; সাড়া পাবেন।
"পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে" -
এটা পাহাড়ি নেতাদের দাবী, শান্তিচুক্তির দাবী, CHT কমিশনের প্রধান দাবী। আমাদের সমাজেরও অনেকেই এটা সমর্থন করেন।
রাজনৈতিক দলের হিসাবে নিলে আওয়ামী লীগ - ঠিক একাজে তৎপর নয় তবে করতে চায়, ভাবতে চায় ধরণের একটা অবস্হানে। আবার আওয়ামী লীগকে শান্তিচুক্তির একটা পক্ষ (covenant) হিসাবে দেখে যদি বিচার করি তবে একটা দায় এই দলের আছে। কিন্তু এখন পাহাড়ের সমাধানটা কী এনিয়ে তাদের কোন হোম ওয়ার্ক আছে বলে জানা যায় না।
উপরে "ঠিক একাজে তৎপর নয়" বললাম এজন্য যে গত বছর পার্বত্য এলাকা থেকে যে এক ডিভিশন সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছিল সেটা ঐ সময় বার্মার সাথে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের উত্তেজনায় সামলাতে নেয়া স্ট্রাটেজির অংশ হিসাবে সেনার অভ্যন্তরীণ রিএরেঞ্জমেন্ট বলেও অনেক মনে করেন। এটা সামরিক বিষয়াদি, স্বভাবতই তা ঢেকে করার কথা তাই, পাহাড় থেকেই কিছু সেনা প্রত্যাহার বলেই বক্তব্য দেয়া হয়েছিল। আমার ধারণাটা এই অনুমানের কাছাকাছি।
অন্যদিকে, বিএনপির কথা, "সেনা প্রত্যাহারের জন্যই এবারের দাঙ্গা সংঘাত হয়েছে" - এটা একটা মাঠের বাকচাতুরি গিমিক ছাড়া কিছুই নয়। একটা দায়সারা দিকও আছে ওর মধ্যে। রাজনীতিতে মাঠের গিমিক দরকার হয় হয়ত কিন্তু কোন দলের কোন ইস্যুতে শুধু বাকচাতুরি ওর রাজনৈতিক অবস্হান হতে পারে না। বিএনপির শান্তিচুক্তি পছন্দ নয় এটা আমরা বুঝতে পারি কিন্তু পাহাড়ের সমাধানটা কী এনিয়ে তার কোন স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্হান বিএনপি আমাদেরকে জানায়নি।
ফলে সারকথায় পার্বত্য চট্রগ্রামের সমস্যা বলতে - সেনা প্রত্যাহার কে চায় কে চায় না কেবল এখানে লেপটে দাড়িয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সা.ইন ব্লগে পাহাড়ি ইস্যু নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে, সেটা পক্ষে বিপক্ষে যাই হোক আমার ভাল লেগেছে। আমাদের সামাজিক স্বভাবে এমন তর্কবিতর্কের রেওয়াজ ছিল না, সম্ভবত তার কিছু কাটবে এতে। এটা সামহয়ারইন এর সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্লগ হওয়ার দিকে একধাপ আগালো বলেই মনে করি।
কিন্তু প্রপাগান্ডা নয় এটাকে গঠনমূলক গোছানো দিকে নেবার ব্যাপারে আমরা সীমাহীন অপটু রয়ে গেছি; কোনটা তর্ক, কোনটা কুতর্ক আর কোনটা স্রেফ গালাগালি - এই বাধাগুলো থেকে বের হয় তর্ককে সিধা রাখার ব্যাপারে আমাদেরকে আরও দক্ষ হতে হবে। পক্ষের অথবা বিপক্ষের যে কেউ একটা ভালো ভাববার মত পয়েন্ট দিল কী না অথবা কী তার যুক্তিতর্ক - সেটা বুঝে নেবার চেয়ে আমরা অনেকেই খুঁজি কে কে আমার পক্ষে বললো আমাদের নজর সেখানে; যেন দলে ভারি হতে পারাটাই চিন্তার-বিচার যোগ্যতা এবং সমাধানে পৌছানোর পথ, মোক্ষ লাভ। এসব নিয়ে আমাদের ভাববার, করার অনেক কিছু বাকি আছে। সালাউদ্দিন শুভ্রের একটা পোষ্ট "কেন আপনি পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের পক্ষ নিবেন? Click This Link
আমার কাছে সমাজের "পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প" প্রসঙ্গে আমাদের সামাজিক চিন্তা ধারার সাথে প্রতিনিধিত্তমূলক বলে মনে হয়েছে। শুভ্রর পোষ্ট পড়ার সময় থেকেই চলতি এই পোষ্টের বক্তব্য মাথায় আসে। সেনা থাকা না থাকাকে পাহাড়ী সমস্যার কেন্দ্র বিন্দু মনে করে দেখার এই ষ্টাইলটা কাউন্টার প্রডাকটিভ, আমাদের পিছনের দিকে নিবে - বলে আমি মনে করি। কিন্তু এটাই আমাদের অনেকে পছন্দ; আমরা অনেকেই এভাবেই দেখতে অভ্যস্হ হয়ে উঠছি; সেই অর্থে এটাকে তাদের ভাবনার প্রতিনিধিত্ত্বমূলক বলছি।
কেন কাউন্টার প্রডাকটিভ, আমাদের পিছনের দিকে নিবে বলছি সেখান থেকেই কথা শুরু করব।
যারা মনে করছেন এখনই সেনা প্রত্যাহার করলে পাহাড়ি সমস্যার একটা সমাধানে পাওয়া যাবে - এরা সেনা প্রত্যাহার মানে নিপীড়ন উধাও হয়ে যাবে - এমন একটা সরল ইকুয়েশনের ভাবনা থেকে একথা বলছেন। নিপীড়ন অত্যাচার তা সে সেটেলার বা সেনা যেই করুক কেবল লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর যেসব ছবি আমরা দেখছি বা ঘটনা শুনছি তা থেকে এর এক স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়ায় সেনা প্রত্যাহারকেই সমাধান মনে করা হয়েছে - এটা স্বাভাবিক বটে কিন্তু যথেষ্ট সময় দিয়ে ভাবা কোন চিন্তা এটা নয়; একেবারেই নব শিশুর অপটু চিন্তা এটা।
সেনা প্রত্যাহার করলেই কী কোন বা কিছু সমাধান আমরা আশা করতে পারি? না কি এটা যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা হোম ওয়ার্ক না করে বলা একটা কথা - সেটার বিচারে এখন যাব।
ধরা যাক আগামিকাল থেকে কোন চেরাগ বলে সমস্ত সেনা পার্বত্য এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। চেরাগ বলতে হচ্ছে কারণ কোন দলের সিদ্ধান্তে এটা ঘটবার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। এরপর আমরা সেখানে কী দেখতে পাব? সেখান থেকে কথা শুরু করি।
১. জুম্মল্যান্ড ওয়েব সাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৬ সালে মোট পনের লাখ বসবাসীর মধ্যে Jummas(Indigenous) ৪৭%, Bengali (Muslim) ৫৩%। সেটেলার বা সমতলীরা একদিকে আর অন্যদিকে পাহাড়িরা এদের মাঝে ব্যাপক অলআউট একেবারে মরণপণ বলতে যা বুঝায় সেভাবে পরস্পরকে কেটে সাফ করে ফেলার একটা ঝোঁক পাহাড়ী-সমতলী উভয়েরই আছে। এটাই একমাত্র সমাধান মনে করার যে মনোভাব আছে এই ভাবনারই ছিটেফোটা চলতি সময়ে বাস্তবায়ন দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে এই ব্লগে জড়ো হয়েছি। ছিটেফোটার আসলটা অর্থাৎ অলআউট চরম অবস্হাটা আমরা এখনও দেখিনি, দেখছি না কারণ দুপক্ষের ক্ষমতা ভারসাম্যের মাঝখানে আর এক উপাদান হয়ে আছে সেনাবাহিনী।
২. সেনারা সমতলীদের দিকে একটু কান্নি মেরে আছে, ভারকেন্দ্র সেদিকে - এই অভিযোগ সত্য না মনে করার কারণ নাই। কিন্তু সেনাবাহিনীর কান্নি মারার পরও ওদের মাঝখানে থেকে ভারসাম্যে তৈরিতে একটা ভুমিকা রাখছে সেটাও সত্যি; পরিস্হিতি কাটাকাটি সংঘর্ষ ব্যাপক অলআউট একেবারে মরণপণ পর্যায়ে যাচ্ছে না - এই চরম জায়গায় যাতে না পৌছায় এই অর্থে সেনাবাহিনীর ভারসাম্য ভুমিকা আছে একথাই বলছি আমি।
এই পরিস্হিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার প্রাকটিক্যাল অর্থাৎ মাঠের মানে হলো,
পাহাড়ি ও সমতলী উভয়ের মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে নির্মুল, বিতারণ করে সমাধান - এই এথনিক ক্লিনজিংয়ের যে ধারণার দুই পক্ষে বিদ্যমান তাকে কার্যকর হতে দেয়া। এর আরও সোজা মানে হলো, আমরা পাহাড়ী সমস্যা ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের অপশনটা তুলে নিলাম। আমরা নিপীড়ন, অত্যাচারের লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর ছবি দেখে বা ঘটনা শুনে তা থেকে হয়ত এর স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান মনে করছি - যথেষ্ট ভেবে বা না ভেবে তাঁরা এই অপশনে যাচ্ছেন। আমি এই সমাধান ভাল না মন্দ সে বিচারে যাব না, কেবল বুঝে না বুঝে ভাবা এই সমাধান মানে কী, কী চাচ্ছি আমরা, এর পরিণতি কী সেটাই এখানে ব্যাখ্যা করছি কেবল। বাকী সিদ্ধান্ত পাঠক আপনাদের।
কিন্তু এই অপশনের এখানেই শেষ নয়, আরও পরিণতি আছে। ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের এই সিনারিওতে তাদের এই ভাবনায় অন্য একটা বড় সমস্যা এদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান - এই অপশন যারা নিতে চাচ্ছেন এরা কিন্তু পাহাড়িদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার বন্ধ হোক, সেখান থেকে তাঁরা পাহাড়ীদের রক্ষা করতে চান, লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর ছবি গল্প নিজেকে আর দেখতে না হোক - এগুলোই হলো তাঁদের বাসনা। এই ভাবনার প্রধান সমস্যা হলো, সেনা প্রত্যাহারের পর পাহাড়ি-সমতলী কে পরস্পরকে কত বেশি ক্লিনজিং করে ধুয়ে মুঝে সাফ উধাও করে দিতে পারে - এই প্রতিযোগিতায় জিতবে কে, কে বিজয়ী হবে - পাহাড়ি না সমতলী - এটা দুনিয়ার কারও কাছে এর নিশ্চিত খবর নাই। যে পাহাড়িদের বাঁচানোর রাস্তা হিসাবে এই রাস্তায় যেতে তাঁরা অপশন তুলে নিলেন সেখানে পাহাড়িরাই সমতলীদের নিশ্চিন্ন করে দিতে পারবেন এর কোন নিশ্চয়তা তাঁদের কাছে নাই। এটাই মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি।
তাহলে সেনা প্রত্যাহারের অপশনধারীরা তখন কী করবেন; ওরা তো চেয়েছিলেন পাহাড়ীদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ওদের প্রতি সহানুভুতিশীল থাকতে। কিন্তু ক্লিনজিং পর পাহাড়ীরা জিতবে কী না এর কোন নিশ্চয়তা নাই। তাহলে দাঁড়াচ্ছে আমাদের ঐ সিদ্ধান্ত দাড়িয়ে তাঁরা চাইলেও "কেবল পাহাড়িরাই বাঁচবে" এমন করে তা জানা নাই। তবু ধরা যাক, ক্লিনজিং প্রতিযোগিতা শেষে সাফসুতরার পর ঘটনাচক্রে পাহাড়ীদের আমরা যদি বিজয়ী দেখতে পাইও তবে পাহাড়িদের হাতে সমতলীদেরকে এথনিক ক্লিনজিংয়ের রক্ত কী আমরা দেখব না? দেখতে পেলে কী আমরা খুশি হব, খুশিতে পাহাড়ীদের বুকে তুলে নিব? লোমহর্ষক ছবি দেখার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা আমাদের মনের চাওয়া যেখান থেকে ঘটনার শুরু - এই মনের কী হবে?
তাহলে দেখতে পাচ্ছি সারকথায়, এখনই সেনা প্রত্যাহার চাওয়া মানে দাঁড়াচ্ছে,
১. পাহাড়ী সমস্যা ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের অপশনটা তুলে নেয়া।
২. সমতলীদের সাথে ক্লিনজিং প্রতিযোগিতা শেষে সাফসুতরার পর পাহাড়িরাই বিজয়ী হবে এমন নিশ্চতা নাই।
৩. করিৎকর্মা সাফসুতারা করতে পারলেও পাহাড়িদের সফল হাতে সমতলীদেরকে এথনিক ক্লিনজিংয়ের রক্ত লেগে থাকবে।
৪. হেগের আন্তর্জাতিক কোর্ট কাচারিও হতে পারে।
এই পরিস্হিতিতে কারা এখন সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান দেখেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটা তাদের ইচ্ছা। তাঁরা কি চেয়ে কী পাচ্ছেন এই বুঝ তাদের। আমার কিছু বলবার নাই সিদ্ধান্ত তাদের।
অনেকের মনে হতে পারে আমি সেনা প্রত্যাহার চাইনা বলে বাকচাতুরিতে কথা সাজিয়েছি। দুঃখিত আপনাদের সন্দেহ বাতিকগ্রস্হ মনকে শান্ত কি করে করা যায় আমি জানি না, আমি কেবল বলতে পারি, আপনাদের সে ধারণার কোন ভিত্তি নাই। তবে, আসলেই যদি আমরা এক রাষ্ট্র কনষ্টিটিউশনের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান চাই তবে অনেক ভেবে, হোম ওয়ার্ক করে এরপর কথা বলতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের সবার আগে সিরিয়াস কিছু নীতিগত অবস্হান নিতে হবে। গত কয়েকদিনের বিভিন্ন ব্লগে যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে তাতে আমার রিডিং হলো ঘটনা পরিস্হিতি যত ভয়াবহ জটিলতায় চলে গেছে সে তুলনায় আমাদের সাধারণ মতামত অনেক অনেক পিছনে। দেখছি এখন আমরা একটা কনসেনশাসে পৌচেছি পাহাড়ীদের আমার সমান জ্ঞান করতে হবে, একটা সহঅবস্হানের জায়গায় সমাধান খুঁজতে হবে। কিন্তু পাহাড়ী সমস্যা এতটুকু চিন্তার ঐক্য দিয়ে কিছুই সমাধান করতে পারবে না। সমান জ্ঞান করে কিছু করার বোধ কমপক্ষে ১৫ বছরের পিছনে; পরিস্হিতি যা দাবি করে ক্রমশ যে জটিল জায়গায় পৌচেছে তা আরও মনোযোগ ভাবনা চিন্তা ইমিডিয়েট করণীয় দাবী করে। ঘটনার পিছনে দৌড়ে এখন আমাদের যাদের মনে হচ্ছে সেনা প্রত্যাহারই সমাধান এটাও যে যথেষ্ট না ভেবে বলা কথা এটা আমরা উপরেই দেখলাম। এর মুল কারণ সেনা প্রত্যাহারের বিষয় ভুমি বিরোধের সমাধান থেকে আলাদা করে বিচার করা যাবে না, আলাদা নয়ও। এসব দিক বিবেচনায় সাধারণ নীতিমালার দিক থেকে যা ভাবতে পারি সেগুলোর কিছু তালিকা এখানে আমি নীচে দিচ্ছি।
১. সীমাহীন না সীমাওয়ালা কোন সামরিক বলপ্রয়োগের মধ্যে পাহাড়ি সমস্যার সমাধান নাই।
২. এভাবে কোন দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় নাই, যাবে না। এটা আদৌ নিরাপত্তা রক্ষা করার কোন পদ্ধতিই নয়।
৩. পাহাড়ী এলাকায় ব্যারাকের বাইরে সেনাবাহিনী থাকবে না, ঠিক যেমন আমাদের বিভিন্ন জেলা শহরে, কিন্তু ব্যারাকের চৌহদ্দির ভিতরে, সেনাবাহিনী আছে সেরকম থাকতে হবে।
৪. সেনাবাহিনী পাহাড়ী বা সমতলী কারও দিকে কান্নি মারতে পারে না।
৫. যদি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান চাই তবে ওর কেন্দ্র হতে হবে ভুমি কমিশন। শক্তিশালী ও দায়িত্তবান কমিশন এবং পরিস্কার কাজের নীতিমালাসহ এক ভুমি কমিশন। পাহাড়ের সমস্ত ভুমি বিরোধ শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিই হবে ওর কাজ।
৬. এই কমিশনের কাজ, সাফল্যের অগ্রগতির সাথে সাথেই একমাত্র সেনা প্রত্যাহার সম্ভব।
পাঠককে খেয়াল রাখতে বলব এগুলো সবই নীতিগত অবস্হানের কথা বললাম। যা যা আমরা এরপর থেকে বিভিন্ন ধাপে, সময়ে করব ওর নির্দেশনামূলক গাইডলাইন এগুলো। এবং এর কোন একটাকে আলাদা করে নিয়ে বাস্তবায়নে লেগে পরার কথা আমি বলছি না।
এই নীতিমালাগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে করা যাবে সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে; সেই প্রশ্নে,
১. সেনা প্রত্যাহারের ভাবনার আগে পাহাড়ের সমতলীদের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২. সেটেলারদের সেটেল করা ঠিক হয়েছিল কী না এর চেয়েই গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাস্তবে ফ্যাক্টস হলো সমতলীরা পাহাড়ে আছে, সে সম্পর্ক ভুমি কমিশনের সিদ্ধান্ত কী নেয়া যায় এটাই একনকার জরুরী বিষয়। জুম্মল্যান্ডের হিসাবেই এরা ৫০ ভাগের বেশি। ভুমি কমিশনকে এ সম্পর্কে সমাধান বের করার জন্য কাজ করতে হবে।
৩. পাহাড়ের সমতলীদের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত মানে ভূমি বিষয়ক, ভূমি কমিশনের সক্রিয়তা। পাহাড়িদের সমস্যারও গোড়া হলো ভূমিতে বসবাস, চাষাবাদ ও জীবিকার অধিকার।
৪. ভূমি কমিশনের কাজের নীতিগত গাইডলাইন নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা এবং দ্রুত তা শেষ করা, যাতে ভুমি কমিশন কাজ শুরু করে একটা সমাধান করতে পারে।
৫. সবার আগে সমতলী-পাহাড়ী সবপক্ষকে একটা ষ্টাটাস কো অর্থাৎ যেখানে যে অবস্হায় যা আছে তা মেইনটেন করতে হবে। ততদিন যতক্ষণ পর্যন্ত না ভুমি কমিশন সিদ্ধান্তে এসে মাঠে কি কি বদল কোথায় কী হবে তা না বলে। ভুমি কমিশনকে একাজ করার পরিবেশ দিতে হবে। ভুমি সংক্রান্ত যার যা ক্ষোভ অভিযোগ আছে তা দায়েরের একমাত্র জায়গা হতে হবে ভুমি কমিশন; ভুমি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নিজেই কোন দখল, বেদখল মারামারি সংঘর্ষ কঠোরহস্তে দমন করতে হবে।
৫. এমন কী সেনা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও পক্ষ নেবার, কান্নি মারার, ভুমি বিরোধের বিচার - এগুলো করতে পারবে না। করার প্রশ্নই আসে না। এটা তার কাজ নয়, একাজ করে সেনারা কেউ করে বসলে সেটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে তার কোন কাজ নাই একথা সহ তাদের কাজের লিখিত তালিকায় তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ভুমি কমিশন কোন বিষয়ে যে রায় দিবে এর বাস্তবায়নই ওর কাজ।
৬. ভুমি কমিশন তার কাজের মাধ্যমে পাহাড়ী সমতলীদের আস্হার জায়গা হয়ে উঠতে হবে। এটা খুবই গুরুত্তপূর্ণ। কারণ ভূমি কমিশনের উপর সবার আস্হা, এর ন্যায়বিচারপরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে পাড়ায় পাড়ায় পাহাড়ী সমতলীদের পরস্পরকে নির্মুলের চিন্তা করার দরকার পড়বে না। বরং কমে আসবে। সমতলীদের ব্যাপারে আলাদা আলাদা ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভূমি কমিশন যা সুপারিশ করবে সরকার সে পদক্ষেপ নিবে, তবে এসব সিদ্ধান্ত কাজের মুলনীতি হবে, সমতলী কেউ এখন যে লিভিং ষ্টাটাসে, আয়ে আছে এর সামজ্ঞস্যপূর্ণ তা হতে হবে, ক্ষতিগ্রস্হ করা যাবে না। এসব কাজের মধ্য দিয়ে সামাজিক একে অপরের পড়শী শত্রুতা কমতে থাকবে। পরস্পর সহাবস্হান আস্হা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, এনজিওর ভুমিকা নিতে পারে। তবে এনজিও কোন কোন লক্ষ্য গাইডলাইনের মধ্যে পাহাড়ে আস্হা তৈরির পক্ষে কাজ করবে তা আগেই ঠিক করে দিতে হবে। এনজিও বুরো পাহাড়ে এনজিও কাজের এসব নির্দেশনা গাইড লাইন ভুমি কমিশনের সাথে কথা বলে নির্ধারণ করে দিবে।
ইত্যাদি ইত্যদি আরও অনেক কিছু বলা যেতে পারে তবে আশা করি মুলভাবটা পাঠককে বুঝাতে পেরেছি। তাই এখানেই থামছি।
এসব কাজ ঠিক ঠাক মত চললে কমিউনিটি সম্প্রীতি সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে সেনা প্রত্যাহারও সেই একই গতিতে চলতে থাকবে।
আসলে সেনা প্রত্যাহার বলে কিছু থাকবে না যদি শুরুতেই একটা কাজ করে নেয়া যায়।
উপরে যে পথের কথা বললাম এগুলো মুলত একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তমূলক কাজ। ফলে ক্ষমতাশীন সরকারের সিরিয়াস রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিতে পারেন, যিনি হবেন পার্বত্য ইস্যুতে রাষ্ট্রের প্রধান এজেন্ট বা কর্তা। আসলে তিনি হবেন পার্বত্য ইস্যুতে অন্তর্বতীকালীন এই সময়ে রাষ্ট্রের মুল রাজনৈতিক এজেন্ট। ঐ অঞ্চলের সেনা, পুলিশ সহ সব বাহিনী, সিভিল প্রশাসন তার অপারেশনাল অধীনে কাজ করবে। ভুমি কমিশনের সিদ্ধান্তের তিনি তার কাজের সাথে সমন্বয় করবেন এবং বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবেন। তিনি আইন শৃঙ্খলার কোন কাজে প্রয়োজন অনুসারে পুলিশ বা সেনা ব্যাবহার করবেন। পর্যায়ক্রমে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়লে সেনাবাহিনীকে ধীরে ধীরে আর তার সিভিল প্রশাসনের অধীনে রাখার দরকার পড়বে না, সামরিক মূল কমান্ডে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন।
আমি এখানে আমার আইডিয়াটাকে এক্সপ্লোর করার জন্য কথাগুলো পয়েন্ট আকারে বললাম। এখানে মুল আইডিয়াটাই পাঠকের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। আমার পয়েন্টে মিলিয়ে সব হতে হবে এমন নয়।
এখন সারকথায় বললে ভূমি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগটা হলো প্রথম কাজ, এর মাধ্যমে কমিউনিটি হারমনি বা সম্প্রীতি তৈরি করার আগে সেনা প্রত্যাহার করার দাবির নীট মানে হবে একটা এথনিক ক্লিনজিংয়ের পক্ষে দাঁড়ানো, জেনে অথবা না জেনে। সেনা প্রত্যাহার ভূমি সমস্যা থেকে আলাদা কোন ইস্যু না। এভাবে তা দেখা যাবে না, সুযোগ নাই।
যারা মনে করেন পাহাড়িদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আসল ও একমাত্র সমাধান তাঁরা
আমার এই লেখার ধরণ কেউ পছন্দ করবেন না। করার কারণও নাই। কারণ, একটা রাজনৈতিক সমঝোতা করতে চাই এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এটা লেখা হয়েছে।
এর বিপরীতে, কোন রাজনৈতিক সমঝোতা না হোক, সমঝোতায় আস্হা নাই, কোন ফল পাওয়া যাবে না - ইত্যাদি যারা ভাবেন তাদের দিক থেকে দেখলে তাদের জন্য সবার আগে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দাবী তোলাটাই সঠিক। এটা পাহাড়ীদের বিছিন্ন হবার পথে সমাধানে যেতে সাহায্য করবে। তবে এরা এথনিক ক্নিনজিংয়ের যে ঝোঁক পাহাড়ি-সমতলী উভয় কোয়ার্টারে আছে এটা কী করে মোকাবিলা করবেন আমি জানি না। তবে এথনিক ক্নিনজিংয়ের ভয়ঙ্কর বিপদ আছে এটা আমি নিশ্চিত। তারা মনে করতে পারে, এথনিক ক্নিনজিংয়ের পথেই তারা সমাধান করবে, করতে পারে।
পাঠক সিদ্ধান্ত, অবস্হান আপনাদের যার যার। সিদ্ধান্ত যাই নেন, নেবার পর যেন মনে না হয় আগে বুঝিনি - সেই অবস্হা এড়াতেই এলেখাটার গুরুত্ত্ব, আমার ভুমিকা।
এখানের এই প্রসঙ্গ শেষ করছি।
____
এবার একটা অন্য প্রসঙ্গ: আইনী তর্ক ও রাজনৈতিক তর্ক
দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে - এই ভাবনা ঠিক বেঠিক বিচার - এই বিষয় নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আমাদের মধ্যে অবস্হান আছে। আমি কীভাবে এই বিষয়টাকে দেখি সেটাই এখানকার প্রসঙ্গ।
দেশকে খন্ড বিখন্ড করে কাউকে অধিকার দেয়া অর্থাৎ কারও আলাদা রাষ্ট্র হতে চাওয়া বা হতে দেওয়া - এ ব্যাপারে আমার আগের পোষ্টে একটা তর্ক উঠেছিল। সেই তর্কটাকে সিধা চলতে দেবার জন্য আমাদেরকে কিছু কথা মনে রাখতে হবে।
প্রথমত পরিস্কার করে নিতে হবে আমরা এই তর্কটা আইনী দিক থেকে দাড়িয়ে মানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কনষ্টিটিউশনের চোখে তাকায়ি করতে চাই, না এর বাইরে রাজনৈতিক ফ্রেমে দাড়িয়ে দেখতে চায়।
আইনী ফ্রেমের তর্ক মানে, কনষ্টিটিউশনের যে আইনকানুন আছে তার ফ্রেমের ভিতরে থেকে তর্ক করা, তর্ক তোলা বা তর্কের সমাধান বাতলানো। ফলে এটা চিন্তাকেও কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের ভিতর বেঁধে রেখে কথা বলা।
কিন্তু চিন্তা তো আমরা না চাইলেও স্বাধীন। চিন্তা কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের বাইরেও ভেবে কোন যুক্তিতর্ক হাজির করে বসতে পারে। কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের বাইরে যেয়ে ভেবে কোন যুক্তিতর্ক যখন হাজির করা হয় সেটাকে রাজনৈতিক তর্ক বলছি। আইনি ফ্রেমের মধ্যে তর্কের কথাবার্তার ভিতরও রাজনৈতিক উপাদান আছে তবে তা পরোক্ষে। এখানে জেনে শুনে আইনী তর্কের ফ্রেমে বেঁধে চিন্তাকে কাজ করতে হয় বলে এই অর্থে তা পরোক্ষ রাজনৈতিক তর্ক। এটাই কনষ্টিটিউশাল বা আইনী দিক থেকে তোলা তর্ক; সংক্ষেপে আইনী তর্কও বলি।
আইনী তর্ক একথা বলার মানে আমি মেনে নিলাম মানুষের (চিন্তার) রাজনৈতিক তর্ক বলে আরও একটা কিছু হতে পারে।
তবে আইনী তর্কে, যুক্তিতর্ক তোলার সময় এক পক্ষ তর্কটা আইনী সীমার মধ্যে ধরে বিপক্ষকে আটকাতে চাচ্ছে আর বিপরীত পক্ষ আইনী সীমা না মেনে রাজনৈতিক তর্কের জায়গা থেকে তা খন্ডন করছে - এই অবস্হা যদি হয় তবে এই তর্কের কোন শেষ নাই। কোন ফল পাবার আশা সেখানে না করাই ভাল। তর্ক ভুল বুঝাবুঝি এড়িয়ে সফল জায়গায় নিতে গেলে একটা আন্ডারষ্টান্ডিং দরকার তর্কটা আইনী ফ্রেমের মধ্যেই করব না, বাইরে বেরিয়ে রাজনৈতিক তর্ক করব; খেলার নিয়ম আগে বেঁধে নেবার মত। তাহলে তর্ককে সিধা রাখা যায়।
"দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে"- এই বিতর্কে ধরা যাক রহমান নামের একজন বলছেন,
সে দেশ স্বাধীনের এক সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্র কনষ্টিটিউশন গড়ার পর সে নিজেই দেশের কোন এক অংশ জনগোষ্ঠিকে দেশ খন্ড করে ওদের আলাদা রাষ্ট্র করার দাবিকে সমর্থন করতে পারে না।
রহমানের এই উত্তরটা সঠিক।
তবে এখানে রহমান তর্কটা আইনী ফ্রেমের মধ্যে বেঁধে নিয়েছেন, যুক্তিবুদ্ধি সাজিয়ে তুলেছেন এটা খেয়াল রাখতে হবে।
তর্কটা হচ্ছিল অন্য একজন আহমেদের সাথে।
আহমেদ পাহাড়িদের স্বাধীন "জুম্মু ল্যান্ড এর দাবী" ওদের ওয়েব ঠিকানায় দেখেছে, সে তা সমর্থ করে; এবং সেও একজন মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু রহমানের কথা শুনে ভেবাচ্যাকা খেয়ে আহমেদ দ্রুত একটা আইনী রাস্তা নিয়ে বলছে, "''আমি যে দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে - এমন বলছি না। আমি স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার কথা বলছি। এটা দেশকে খন্ড করা নয়। কারণ, আহমেদ জানে রাষ্ট্র ভেঙ্গে আর এক রাষ্ট্রের কথা কনষ্টিটিউশনের চোখে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাই সে নিজের মনের কথা নিজেই চুরি করল।
এখন আহমেদের কথা দাঁড়াল, সে "স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন" দিতে চায়; স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন দেয়া বা চাওয়া আর দেশকে খন্ড করে সেই খন্ড নিয়ে কাউকে আলাদা রাষ্ট্র করতে দেয়া এককথা নয়।
যদিও বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশনের বাইরেও কারও স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন হতে পারে, সম্ভব। কিন্তু সেটা মানে না করে, বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশনের মধ্যেই স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসনের কথা যদি ধরে নেই তবে আহমেদের এই কথা রহমানের মতই আইনী ফ্রেমের মধ্যেই এসে বেঁধে নিয়ে যুক্তিবুদ্ধি সাজিয়ে বলা কথা। এবং বলা বাহুল্য তা একদম ঠিক কথা।
এই হিসাবে রহমান ও আহমেদের তর্কাতর্কি বিচারের এখানেই শেষ হবার কথা, কেস ডিসমিস।
কিন্তু দেখা গেল বাস্তবে তা হয়নি। ওরা তর্ক চালিয়েই যাচ্ছে।
কেন তর্ক শেষ হয়নি কারণ আহমেদের এর পরিচয় দুইটা। এক সে রহমানের মতই মুক্তিযোদ্ধা আর এক সে জুম্মল্যান্ডের সমর্থক। তবে এখানে তর্ক চলাকালে একটা একদম আইনী সীমার মধ্যে এবং "মুক্তিযোদ্ধা" হয়েই সে থাকতে চেয়েছে। এটা আহমেদের একটা কম্প্রোমাইজ, নিজের সাথে নিজের।
কিন্তু আমি আহমেদকে জাগিয়ে বলতে চাই, আহমেদের এই কম্প্রোমাইজ করার কোনই দরকার ছিল না, নাই। আহমেদ যা তাই সে "রাজনৈতিক তর্ক" তুলে বলতে পারত।
রহমান তার যুক্তিতর্ক কনষ্টিটিউশনাল আইনী ফ্রেমের মধ্যে যা বলেছে তা সঠিক। কিন্তু তা হলেও রাজনৈতিক যুক্তিতর্কে আরও অনেক কিছু বলার থেকে যায়।
যেমন আমি আহমেদ হলে বলতাম, "আমি নিজে মুক্তির যোদ্ধা, অন্যের মুক্তির যুদ্ধকে আমার সমর্থন করা স্বাভাবিক। ফলে ওদেরও আলাদা হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার সব পথ, ব্যাপক আলাপ আলোচনা উদ্যোগ প্রচেষ্টা শেষ মাথায় (exhaust) চরমে পৌছানোর পরই সে পথ ওরা নিবে এই আশা করি।
আহমেদের হয়ে এই উত্তরটা সঠিক। এবং এখানে কিছু লুকাতেও হয়নি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৯
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ ভুডুল।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০০
আতিকুল হক বলেছেন: সত্যি কথা বলতে গেলে জল যতখানি ঘোলা হচ্ছে, সমাধানের পথটা স্পষ্ট করে কেউ বলছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভূমি বিরোধ। বাঙ্গালিরা ওখানে আছে সেই বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। তারা ওখানে আছে, থাকবে। সেটা মেনেই সমতার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। আর্মি থাকবে কি থাকবে না, সেটা সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যপার। কিন্তু আসল সমস্যাগুলোর সমাধান ঠিক করা দরকার। নাহলে লাভের গুড় অন্য কেউই খাবে, গরীব পাহাড়ি-বাঙ্গালির ভাগে কিছু জুটবে না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৯
পি মুন্সী বলেছেন: আপনাকে লক্ষ্য করতে বলব,
আমি বলেছি "বাঙ্গালিরা ওখানে আছে", কিন্তু ওরা থাকবে কি না কিভাবে থাকবে, কোন ফর্মুলায় কতজন, না কী একজনও না - সেটা মাঠে ভুমি কমিশনকে মাঠের ভাবনায় ভাবতে সুযোগ দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে, ধৈর্য লাগবে।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০৬
এ.জে. মিন্টু বলেছেন: কথেবিডির এই টেমপ্লেটটি খুব ভাল লাগে -
এইসব ক্যাচাল বাদ দিয়ে চলেন, সবাই পাহাড়ে যাই। সবাই মিলে গাছ উপরিয়ে ঘাস লাগিয়ে আছি। ভয় কিছের ১৫ কোটি মানুষের দুইটা হাতে দুইটা গাছ উপড়াইয়ে ফেললে তো পাহাড় আর থাকবে না আর পাহাড় না থাকলে পাহাড়িও থাকবে না, পাহাড়ি না থাকলে ভারতও এইসব ন্যাংড়া পাহাড়ও নিতে চাইবো না, আর ই ইউ ও পাহাড়ি গো স্বাধীন করার স্বপ্ন থাকবে না।
চল চল পাহাড়ে চল!
চল চল পাহাড় চল!
পাহাড়ে পাহাড়ে সুন্দর সুন্দর ঘাসের কার্পেটিং করবো, আহারে পাহাড়িরা ঘাসের কার্পেটের নিচে শুয়ে থাকবে, জুম্মুলেন্ড এর স্বপ্ন দেখবে শুয়ে শুয়ে। আর মহাপন্ডিত এবং মহাত্মা পি মুন্শী কে দিয়ে গাছ কাটা প্রকল্পের উদ্বোধন করানো হবে।
১৫ কোটি নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে কয়েক লাখ ( টাকা ) মাইনাস হলেও তেমন ক্ষতি নাই। সুতরাং সংখ্যা এবং অঙ্ক নিয়ে যাদের চিন্তা তাদের কাছে ডিজিট টা তো একটা ব্যাপার বৈকি।
আরেকটু বলি, অনেকেই জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বেশ চিন্তিত, কিন্তু জমি জমার হিসাব করতে গিয়ে উপমানু দের কথা কেউ চিন্তা করে না।
পাহাড়ি গো রাইখা শুধু শুধু ঝামেলা কইরা লাভ কি।
চল চল পাহাড়ে চল,
গাছ কাটি, ঘাস লাগাই.............
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৮
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার কাজটা একটা পাবলিক নুইসেন্স এর কাজ হিসাবে দেখছি আমি। পাবলিক নুইসেন্স আমি পছন্দ করছি না।
আপনি বুঝবেন আশা করি।
ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০৯
ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: পাবর্ত্য চাটগাঁ তো ভারতের অঙ্গরাইজ্য। ঐখানে বাংলাদেশের সৈন্য থাকা বেআইনী।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩১
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার কথাগুলো খোঁচানো ধরণের। ঐ খোঁচায় কিছু রক্ত ঝড়বে হয়ত।
সমাধান নিয়ে চিন্তা করেন।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২১
কখনও মানব কখনও দানব বলেছেন: @বেরাইটাবাল, তুমার নেত্রি তো কৈছিল ফেনী পইজ্জন্ত ইন্ডিয়া লৈয়া যাইব। তুমি কমাইয়া কৈলা ক্যা? ফাউল কথা না কৈলে হয় না?
মুন্সীজী, আমার্টা আর ৪ লম্বর্টা মুইছা দেন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৪
পি মুন্সী বলেছেন: মুঝতেই যদি চাচ্ছেন তাহলে লিখলেন কেন?
এটা দুই দলের খোচাখুচির জায়গা হোক এটা আমি চাই না। দয়া করে আমাকে সহায়তা করবেন।
লেখা মুঝলাম না । মুঝতে বলেছেন এটাই যথেষ্ট ও ভাল অনুভব।
ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:০৩
লুৎফুল কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ পি মুন্সী. ঢাকার মাঝখানে যদি সেনাবাহিনী থাকতে পারে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নই কেন. সেখানে আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য যদি সেনাবাহিনী দরকার পরে তাহলে অবশ্যই সেনাবাহিনী থাকবে. সেনাবাহিনীর ভূমিকা অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে. আমাদের দেশের সুশীল নামের কুশীলরা তো সেনাবাহিনীই চাইনা.
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৬
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ লুৎফুল কাদের।
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষার কাজে সামরিক ষ্ট্রাটেজির অংশ হিসাবে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলো দেশের কনষ্টিটিউশনাল সীমার মধ্যে নানা স্হানে বিন্যস্ত থাকে। এই ষ্ট্রাটেজির খুটিনাটি বিস্তার কেমন সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বের বিষয় নয়। কনষ্টিটিউশনাল দায়িত্ত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বের নির্ধারিত সরকারী নীতি - এই দুই মোটা দাগের দায়িত্ত্বের অধীনে সেনাবাহিনী তার উপর সঁপে দেয়া কর্তব্য পালন করে ও করবে।
ফলে এমন কোন কথা বা দাবী আমরা করতে পারি না যা এই দায়িত্ত্ব কর্তব্য পালন থেকে নিবৃত করা বুঝায়।
অপারেশন উত্তরণ সহ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে যা করেছে যা করে তা সরকারী নীতিরই অংশ। এই সরকারী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের কারও কিছু বলার থাকলে সরকারের কাছেই বলতে হবে, সরকারের নীতির সমালোচনা করা যেতে পারে; সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। আর এই কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সেনাবাহিনী বা এর কোন সদস্য যদি সীমার বাইরে চলে গিয়ে আইনভঙ্গ করে থাকে তবে সে অভিযোগও সরকারের কাছে করতে হবে। সরকারের আগ্রহে বা সেনা স্বউদ্যোগে করা কোর্ট অফ এনকোয়ারীতে তদন্ত করে এর উপযুক্ত ব্যবস্হা নিবে।
এসব দিক বিবেচনা না করে সরাসরি কেবল সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এই কথার কোন মানে নাই।
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৩৬
সাজিদ বলেছেন: আমরা সবাই পারলে উন্নত দেশ এবং তাদের মানুষদের পদলেহন করি। সেটা মার্কিন, বৃটিশ অথবা হালে ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, সিংগাপুরে এসে ঠেকেছে। কিন্তু ধর্ম প্রচার করে কেউ উন্নত হয়নি। এর পিছে চরম জাতিয়তাবাদি আর ভিশনারী নেতাদের নেতৃত্ব আছে। সেটা অনেক সময় অন্য দেশের জন্য ক্ষতিকর হলেও। ভারত আর চীন এত বড় দেশ তারপরও পুরা বিশ্ববাসীর ধিক্কারকে উপেক্ষা করে কাশ্মির, তিব্বতে যে কোনো মূল্যে স্বার্বভৌমত্ব বজায় রাখছে। শ্রিলংকাও তামিলদের দমন করেছে। মালয়েশিয়াতেও চাইনিসদের উপর অনেক ানাচার হয়, মালাদেরকে অনেকভাবে প্যট্রনাইজ করা হয়। আমরাতো ওদেরকে অনেক বেশী সুযোগ দিচ্ছি, সরকারী চাকরী, পড়াশুনায়। যে কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পাহাড়ি সংস্কৃতি উপস্হাপন করা হয়। তাদের আর কি চাই? তাপরও তারা সুযোগ পেলেই বাংগালীদেরকে মারবে, যদি কিছুডিন পরপর দাবি করে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে তাহলে আমাদেরকেও পারতে হবে কঠিন হতে এবং আমরা সেটা পারবো যদি বন্ধুপ্রতিম ভারত তাদের সহায়তা না করে। বাংলাদেশের কোথায় সেনা থাকবে সেটা সেখানকার স্হানীয় মানুষ ঠিক করে না, সেটা ঠিক করবে সরকার/সেনাবাহীনি।
যারা একবার অস্ত্র হাতে স্বাধিনতার জন্য যু্দ্ধ শুরু করেছে তাদের সাথে আলোচনা করে দির্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না যেটা আমাদের পক্ষে আসবে। যারা সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে তারা হয় না বুঝে বলছে অথবা তাদের এর পিছনে কোনো স্বার্থ আছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫১
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার লম্বা মন্তব্যে আমার জবাব হবে ছোট।
সীমাহীন বা সীমার মধ্যে কেবল বলপ্রয়োগ করে কোন ক্ষোভ অসন্তোষ দমন করার নীতি চলতে পারে না; এদিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে না, হয় না। রাষ্ট্রের জন্য ভালো ফলদায়ক নয়। ফলে সুস্হ সবল সংহত রাষ্ট্র চাইলেও এর বিপরীতটাই আমরা পাব।
"তাদের আর কি চাই?" কথাটা এগ্রেসিভ, উগ্র বলতে যা বুঝায় ফলে নেগেটিভও। এধরণের ভাবনা আমাদের ক্ষতি করবে। যথেষ্ট ভেবেচিন্তে বলা কথা বলে আমার মনে হয় না।
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পাহাড়ি সংস্কৃতি উপস্হাপন তো ভাল দিক। পাহাড়িদের যদি আপনার আমার মত বাংলাদেশের নাগরিক বলে অনুভব করেন তাহলে তো আমাদের খুশি হবার কথা।
মুল কথা হলো, আমাদের রাষ্ট্রে পাহাড়ী জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ত্বের মারাত্মক ঘাটতি আছে, এটা দৃশ্যমান। সমস্ত সমস্যার উৎস সেখানে থেকে। আমাদের রাষ্ট্রের কনষ্টিটউশনের মধ্যে সমাধানের আকাঙ্খা থাকলে প্রথম কাজ এই দিকগুলি অনুভব করা। এরপর যত দ্রুত সম্ভব এই অ-প্রতিনিধিত্ত্ব হয়ে ফেলে রাখা দিকগুলো কাটিয়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নেয়া।
পৃথিবীতে রাষ্ট্র ভেঙ্গে আলাদা নতুন রাষ্ট্র হবার ঘটনা আমাদেরটা সহ যতগুলো ঘটেছে এর পিছনে সবগুলো ক্ষেত্রে মূল কারণ "জনগোষ্ঠির উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ত্বের" অভাব এবং দীর্ঘ দিন ধরে উপেক্ষায় একে ফেলে রাখা থেকে উদ্ভুত।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:০৬
অলস ছেলে বলেছেন: শান্তি আসুক। এথনিক ক্লিনজিং চাইনা। হানাহানি চাইনা। এক পোষ্টে একজনের মন্তব্যে দেখলাম, মানবতাকে সমুন্নত করতে দরকার হলে পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলকে পঞ্চাশ হাজারে নিয়ে আসতেও রাজী। তখন ভাবলাম, আমাদের সমস্যা অনেক গভীরে। তাই এখন দেশপ্রেম বা জাতিয়তাবাদের কথা বললেই মানসিক অসুস্থতা বা অপ্রকৃতিস্থতার দায় নিতে হয়। আমাদের নিজেদের পরিচয় আর জাতি হিসেবে ভবিষ্যত পথচলার লক্ষ্য না থাকলে এমন সমাধানবিহীন তর্ক চলতেই থাকবে। ক্ষতি হবে রাষ্ট্রের, কিন্তু পরোয়া থাকবেনা কারো।
এলাকার এক বন্ধু বলছিলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি আলাদাই হয়, তাহলে চট্টগ্রাম কি দোষ করলো? আমরা আমাদের বন্দর এর উপার্জনে সারা বাংলাদেশ কে ভাগ দেবো কেন? বরং আমরাও হতে পারি সিঙ্গাপুরের মতো। ভালোইতো।
সেনাবাহিনী এখন এই তথাকথিত মানবতাবাদী সচেতন সমাজের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা তো দেশ স্বাধীনের আগ থেকেই চলে আসছে। এতদিন ধীরে ধীরে কোন সমাধানের কথা না বলে কিংবা এখনো সুচিন্তিত কোন পরিকল্পনার চিন্তা না করে এখন হঠাৎ যাদের আচমকা বোধোদয়ের জোয়ার এসেছে, এদের অবস্থা চিন্তা করলে দেখি, আমাদের দেশের হুজুগে মানুষদের মাঝে মাঝেই এমন বোধোদয়ের জোয়ার এসেছে মিডিয়াতাড়িত হয়ে, পরিণতি কখনোই ভালো হয়নি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৯
পি মুন্সী বলেছেন: "সেনাবাহিনী এখন এই তথাকথিত মানবতাবাদী সচেতন সমাজের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে"।
মুল কথা হলো, আমাদের রাষ্ট্রে পাহাড়ী জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ত্বের মারাত্মক ঘাটতি আছে, এটা দৃশ্যমান। সমস্ত সমস্যার উৎস সেখানে থেকে। আমাদের রাষ্ট্রের কনষ্টিটউশনের মধ্যে সমাধানের আকাঙ্খাআমাদের থাকলে প্রথম কাজ এই দিকগুলি অনুভব করা। এরপর যত দ্রুত সম্ভব এই অ-প্রতিনিধিত্ত্ব হয়ে ফেলে রাখা দিকগুলো কাটিয়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নেয়া।
পৃথিবীতে রাষ্ট্র ভেঙ্গে আলাদা নতুন রাষ্ট্র হবার ঘটনা আমাদেরটা সহ যতগুলো ঘটেছে এর পিছনে সবগুলো ক্ষেত্রে মূল কারণ "জনগোষ্ঠির উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ত্বের" অভাব এবং দীর্ঘ দিন ধরে উপেক্ষায় একে ফেলে রাখা থেকে উদ্ভুত।
আমার এই কথা পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায়ও সত্য।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৫৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ পি মুন্সী।চমৎকার বিশ্লেষণ।এখন খেলার নিয়ম মেনে ফ্রেমের ভেতর থেকে একটু তর্ক করি।
যারা সেনা প্রত্যাহার এর বিষয়টাকে সমাধান হিসেবে দেখছেন, সেনা প্রত্যাহার হলে সম্ভাব্য যে এথনিক ক্লিন্জিং এর সংঘাত হতে পারে তার একটি রূপ রেখা আপনি তাদের দিয়েছেন যা খুবই বাস্তব সম্মত।কিন্তু তাদের আরেকটি দাবী আপনি ইগনোর করে গেছেন।তা হলো, বাঙ্গালী সেটলার (সেটলার শুধু বাঙ্গালীরাই!!) পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া।যদি তাদের (সেনা প্রত্যাহার এর দাবীদার) এই দ্বিতীয় দাবীটিকে আপনি মেনে নেন তাহলে এথনিক ক্লিন্জিং এর কোন সম্ভাবনা থাকেনা।এখন আপনি বাঙ্গালী সেটলারদের সরিয়ে নেয়ার দাবীটি ভুলে গেছেন এবং তারপর একটি হাইপোথেটিক্যাল সমাধান দিয়েছেন এমনটি আমি ভাবতে নারাজ।তাহলে, যেটা দাড়াচ্ছে, বাঙ্গালী সেটলারদের সরানোটা আপনি যৌক্তিক মনে করছেননা বা এটাকে সম্ভাব্য কোন পদক্ষেপ হিসেবে ধর্তব্যের মধ্যে আনছেননা।এর কারনটা একটু ব্যখ্যা করলে ভালো হয়।তা নাহলে সেনা প্রত্যাহারের দাবীদারীরা এখন টেবিল চাপড়াবেন, 'এতো হবেনা।সেনা প্রত্যাহার চাই, বাঙ্গালী সেটলার উ্ৎখাত চাই তারপরে ভূমি কমিশনের হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক।' তাই আপনার এই পয়েন্টটা আরেকটু ব্যাখ্যার দাবী রাখে।
এই বিষয়টা ছাড়া আপনার লেখায় খুব সুন্দর ভাবে আপনি একটি সিদ্ধান্তে পৌছেছেন বা দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছেন যে বাঙ্গালী পাহাড়ী সহাবস্থান সম্ভব এবং তা বর্তমান অবস্থার ভেতর থেকেই কোনরূপ রক্তপাত বা ক্লিন্জিং এর মধ্যে না গিয়ে।এখন আপনার এই দিক নির্দেশনার চিত্রটা খুব আইডিয়াল একটা রাষ্ট্রের জন্য মানানসই।আইডিয়াল বলতে বোঝাতে চাচ্ছি, রাষ্ট্রের শক্ত আইনী কাঠামো আছে, সৎ জনবল আছে এবং সত্যিকারের ইচ্ছা আছে সমস্যা সমাধানের।সেই অর্থে আমাদের রাষ্ট্র কি আইডিয়াল রাষ্ট্র? মনে হয়না।
আপনার হাইপোথেটিক্যাল সিনারিওর পথে বাস্তবের কিছু সুপ্ত অদৃশ্য ডাইনামিক্স (কাঁটা) আছে, এগুলো কি? ।এক হচ্ছে, আমার মনে হয়না পাহাড়ী/বাঙ্গালী সমস্যা এখন শুধুমাত্র ভূমি বিরোধের মধ্যে সীমবদ্ধ।কালের ক্ষেপণে এ সমস্যা এখন জাতিগত (অন্তত সেভাবেই একে উসকে দেয়া হয়েছে)।একদল আর একদলকে দেখতে পারেনা।এই দেখতে না পারাটার সাথে ভূমি অব্যবস্থাপনা, ব্যবসা/বানিজ্য তথা আর্থিক স্বার্থ জড়িত।ধরুন বাঙ্গালী সেটলারদের যদি সরিয়ে নেয়া হয় তবে সব ব্যবসাগুলি কাদের হাতে যাবে (উল্টোটা হওয়ার সম্ভাবনা নাই, কারন ওরকম কোন দাবী নাই) ? আর এই মোক্ষম সুযোগটা ইউপিডিএফ বা লারমারা ছাড়বে কেনো? এই দুই দল এখন আবার এক পাতে ভাত খায়।
দ্বিতীয়ত: এই সমস্যা এখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের।এই স্বার্থ এখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে।এই পরিমন্ডলে বাঙ্গালী এখন অত্যাচারী হাউন্ড (সারমেয়??) এবং আমাদের প্রভূ মনমোহন সিং এর কাছে সিএইচটি নয়াদিল্লীতে গতকাল বিচার দিয়েছে তার ইন্টারভেনশনের !!! জন্য।আমরা সায়েস্তা হবার অপেক্ষায় আছি।এই লিঙ্কটা দেখুন দয়া করে
গতকাল থেকে জ্বরে ভূগছি, তাই শেষে হয়তো কিছু প্রলাপ বকেছি, ফ্রেমের বাহিরে চলে আসার জন্য ক্ষমা চাইছি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
পি মুন্সী বলেছেন: আমি ইচ্ছা করেই সেটেলার বা সারা সমতলীদের পাহাড়ে এরা অগম্য থাকবে এই অপশন ভাবিনি। যদিও আমি জানি এরকম দাবি আছে।
আইনী ফ্রেমে খেলার নিয়মে যদি থাকতে চান অর্থাৎ উপস্হিত কনষ্টিটিউশনের মধ্যে যদি সমাধান চান তবে আমি বলেছি "বসবাসের অধিকার" প্রসঙ্গে আগের পোষ্টে এটা আপনি আমি সকলে মানতে বাধ্য। এটা ১৯০০ সালের ম্যানুয়ালে কী ছিল সেই প্রমাণ দেখিয়ে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না। আমাদের কনষ্টিটিউশন ও ঐ ম্যানুয়াল এক সাথে মিলিয়ে পড়লে যেসব জায়গা ম্যানুয়াল কনষ্টিটিউশনের বিরোধী হবে সেখানে সেখানে ম্যানুয়াল কনষ্টিটিউশনকে সুপ্রীম বিবেচনা করবে এবং মেনে নিতে বাধ্য হতে হবে।
কোন দলের সরকার, খোদ রাষ্ট্রপতি, কোন পাহাড়ী নেতা চুপচাপ একটা চুক্তি করেও এই বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে যেতে পারবে না। এই অধিকার কারই নাই। চুক্তি করলেও তা অবৈধ হতে বাধ্য।
কাজেই সমস্ত সেটেলার বাঙালী গণভাবে "প্রত্যাহার" এই নীতি আইনী চোখে এই কনষ্টিটিউশনের অধীনে অসম্ভব।
এখন এই পরিস্হিতিতে আপোষ রাজনৈতিক মীমাংসায় অনেক কিছুই সম্ভব। কনষ্টিটিউশনের বাধ্যবাধকতা মেনে সেটা নিয়ে কী কী করার সুযোগ আছে মাঠে তা খুজে বের করার জন্যই ভুমি কমিশনকে কাজে লাগানো ও এটাকে কেন্দ্রবিন্দু করার কথা বলছি বারবার।
একেবারে সোজা কথায় ভুমি কমিশনকে কাজে লাগানো ও এটাকে কেন্দ্রবিন্দু করার কথা - মুখ্য এক নম্বর কথা না করে যারাই সেনা প্রত্যাহার দাবীকে বুঝে বা না বুঝে, পপুলার করতে চাইবে বুঝতে হবে এরা একই কনষ্টিটিউশনের অধীনে সমাধান খুঁজছেন না। আলাদা জুম্মল্যান্ডের পথেই সমাধান মনে করেন।
এই ধারার সাথে বিদেশের অনেককেই সামিল হতে দেখবেন; ওরা হস্তক্ষেপ করুক এটা চাইবে। যেমনটা আপনি উল্লেখ করেছেন।
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৫৮
সাজিদ বলেছেন: নিরীহদের হত্যা বা লুন্ঠন কেউই চাইতে পারে না। এথনিক ক্লিনজিং অবশ্যই নয়। কিন্ত যারা আমার দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে তাদের জন্য বিকল্প কি?
আর আমরা সে পথেই হাটছি। এরশাদ মিয়া বলতাসেন যে প্রদেশ করবেন। আসলে এটা তার কথা নয়। তাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে। যাই হোক সময় হলেই অনেকে বুঝবে। প্রদেশ হলে আমরা চট্টগ্রামবাসী স্বাধিন হব সবার আগে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয়ভাবে আমরা কি পাচ্ছি? তার থেকে অনেক বেশী দেয় চট্টগ্রাম। কিন্টু সেই তুলনায় সরকারিভাবে চট্টগ্রামবাসীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের অবদান খুবই নগন্য। ঢাকায় এতবড় বইমেলা হয়। চট্টগ্রামে এর ১০% ব্যাপ্তিরও একটা বইমেলা হয় না। ভাল স্কুল কলেজের সংখ্যা হাতে গোনা। কতগুলো ভালো হাসপাতাল হয়েছে চট্টগ্রমে গত ২০ বছরে? যোগাযোগ ব্যাবস্হার দুরাবস্হা। কিছু হলেই পানি উঠে যায় বেশীর ভাগ এলাকায়। এতদিন কিচু করছে না শুধু মহিউদ্দিন আর সাকারা দুটি বড় দলে আছে বলে। তারা দলত্যাগি হয়ে নিজেরা আন্ডোলোন শুরু করে দিলে সমর্ঠনের অভাব হবে না। কারন ঢাকায় বসে সুশীলরা বহু বড় বড় কথা বলতে পারেন কিন্তু চট্টগ্রামবাসী বেকে বসলে ঘটিজীবি হতে হবে সবাইকে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০১
পি মুন্সী বলেছেন: "কিন্ত যারা আমার দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে তাদের জন্য বিকল্প কি?"
আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রায় একই সময়ে কাদের সিদ্দিকীও ধরেছিল, পাহাড়ীরাও ধরেছিল।
কাদের সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান করেছিলাম, কনষ্টিটউশনের চোখে ফাঁসী দিতে হয়, সে পথে যাইনি। আজকে বলা যায় কাজটা ঠিক ছিল, ফলাফল খারাপ হয়নি। সে অধ্যায় আমরা এখন ভুলেও যেতে পেরেছি সমস্যা হয় নাই।
একইভাবে, পাহাড়িদের ক্ষেত্রেও একই রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান করে ওদের দেশে ফিরিয়ে এনেছি, আরও রাজনৈতিক সমঝোতা লাগবে এটাও বুঝি। কিন্তু এক্ষেত্রে ঐ অধ্যায় ভুলে যাবার পরামর্শ দিতে পারছি না, পারলে ভাল বোধ করতাম।
ঐ ঝোঁকে, সম্ভাবনার কথা ভুলা যাবে না এটা যেমন সত্যি আবার, সবসময় এই কথা মনে রাখার কারণে এখনকার রাজনৈতিক সমঝোতা যদি করার সুযোগ থাকে একে অবহেলা করব - এটা ঠিক হবে না। এজন্য সে সুযোগ ভন্ডুল করে দেয়া যাবে না, এটা ভুল হবে।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৫
লালসালু বলেছেন:
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০২
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ লালসালু।
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: আমাদের সামাজিক স্বভাবে এমন তর্কবিতর্কের রেওয়াজ ছিল না, সম্ভবত তার কিছু কাটবে এতে। এটা সামহয়ারইন এর সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্লগ হওয়ার দিকে একধাপ আগালো বলেই মনে করি।
সেইটাই
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৫
পি মুন্সী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। এই কৃতিত্ত্ব সামহয়ার-ইনের। প্রশংসা ওর প্রাপ্য।
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: লেখা পড়ুমনে । একটু দেরি হইবো
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৬
পি মুন্সী বলেছেন: পড়বেন বুঝলাম।
কিন্তু আপনার ছবিতে দরজায় তালা মেরে রেখেছেন কেন? ঢুকব কী করে?
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫০
কৌশিক বলেছেন: পূর্ব তিমুর লিবারেশন প্রশ্নে (শেখ ফজলে এলাহীর পোস্টে আপনার মন্তব্যের জবাব দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফজলে উত্তর দিয়েছে কিনা জানি না এখনও) আমার আর্গুমেন্ট ছিলো, কিন্তু এখনও শেষ করতে পারি নি। তবে তিমুর প্রসংগে যাবার আগে আমি যে প্রসংগে কনসেন্ট্রেট করতে চাচ্ছিলাম তা হলো ইন্ট্যারন্যাল মাইগ্রেশনের পেছনের সরকারী নীতি, বা আপনার প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা তাদের স্বাধীনতার দাবী শঙ্কা ও এর সাথে আদিবাসী জনবসতি কনসেন্ট্রেশনে ইমব্যালেন্স তৈরীর কোন সংযোগ আছে কিনা।
অফটপিক: একটা বিশেষ জাতির প্রতি অমর্যাদা প্রকাশ পায় এমন কিছু মন্তব্যের ক্ষেত্রে আপনার উদারনৈতিক অবস্থান চোখে পড়েছে আপনার পূর্বের পোস্টে, বা আপনার সাথে যারা সহমত পোষণ করেছে তাদের ক্ষেত্রে (যা আপনার চোখে পড়েছে বলে মনে করি)। সেদিকে আপনার অভিভাবকসুলভ দৃষ্টি থাকলে ভালো লাগতো।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১
পি মুন্সী বলেছেন: পাহাড়ীদের স্বাধীনতার দাবী নিয়ে আমি একেবারেই শঙ্কিত নই। যে নিষ্পেষণে সীমাহীন উদ্বাস্তুতার মধ্যে ওদের গরীব মানুষগুলোর ভয়াবহ দিন কাটছে - এতে ওদের ভিতর কেউ কেউ স্বাধীনতার দাবীর ঝোঁক নিয়ে দাঁড়াবে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক।
আমার শঙ্কা অন্য খানে। এই অস্হির পরিস্হিতিতে যারা ওদের কজ এর সমর্থনে পাশে দাঁড়ানোর ভুমিকা নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, এদের নিজেদের এজেন্ডা আছে। শেষ পর্যন্ত পাহাড়ীরা বাংলাদেশের মধ্যে থাকতে পারুক আর নাই পারুক সেটেলমেন্ট যেখানে গিয়েই দাড়াক - একটা টালমাটাল অস্হিতিশীলতা তৈরি করে সেসব এজেন্ডা উঁকিঝূকি মারা শুরু করেছে। এটাই দিনকে দিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠছে। পাহাড়ী স্বাধীনতার ইস্যু ছাপিয়ে এটা গুরুত্ত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এক বিডিআর ঘটনায় আমাদের এখনও কিছুই দেখা হয়নি।
বিডিআরের ঘটনাটাকে যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার (মানে আপনার আমার জানমালের নিরাপত্তা) দিক থেকে দেখেন তবে ওর নীট ক্ষতি হলো আমাদের রাষ্ট্র সীমিত সাধ্যের মধ্যেও আরও দূর্বল হয়ে গেছে। আমাদের আভ্যন্তরীণ বিভেদগুলোকে আরও চোখা করে দিয়ে গেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র, সমাজ কিংকর্তব্যবিমুঢ হয়ে সমান দুইভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার বিপদ টের পেতে শুরু করেছে। আমাদের অগোছাল সমাজের গাঠনিক তন্তুতে আগুন দেবার চেষ্টা করছে ওরা।
সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর সাথে জনগণের সম্পর্ক উষ্ণ এমন নয়, এর মানে এই নয় যে এই প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে পড়লে আমাদের এখন খুশি হতে হবে। কারণ, ভেঙ্গে গড়বার মত পাল্টা রাজনৈতিক চিন্তা, সংগঠন, সামাজিক ঐক্য সমাজে তৈরি হয়ে নাই; এই ভাঙ্গনকে কাজে লাগিয়ে একে গড়বার বিষয় হিসাবে নিব আমরা এমন তৈরি নই।
কাজেই সময়টা ভিতরে ভিতরে নিজেরা খন্ড বিখন্ড না হয়ে যা আছে তাই নিয়ে সংহতভাবে বাইরের আক্রমণ প্রতিরোধ করার সময়। এই অর্থে আমাদের নিরাপত্তার কথা বলছি আমি। এটাই আমার সবচেয়ে শঙ্কার কারণ।
এক হাসিনাতে ওরা সন্তুষ্ট নয়, একটা কারজাই তাদের লাগবেই, আমরা যেন ধীরে ধীরে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মত হয়ে যাই - এটাই ওদের লক্ষ্য।
গত পরশু দিল্লীতে মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ চেয়ে মিছিল হয়েছে। ইইউ ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।
অবস্হা এমন জায়গায় গেছে যে বন্ধু হাসিনা সরকারকেও এর বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াতে হয়েছে। আজকের পত্রিকায় সরকারের প্রতিবাদ বিবৃতি দেখুন।
আমাদের সরকারী নীতির কারণে ইন্ট্যারন্যাল মাইগ্রেশনের ঘটনার কোন আলামত দেখি না যেটাতে পশ্চিম কনসার্ন বোধ করতে পারে।
আমাদের পাহাড়ী সমস্যা যদি তাদেরকে এতই ব্যাকুল বেচাইন করে ফেলে - এমন ব্যাকুলতা প্রকাশ করা ওদের যদি মজ্জাগত স্বভাব হত তবে, গুজরাট বা কাশ্মিরের ঘটনায় আমরা অনেক আগেই তাদের ব্যাকুলতার প্রকাশ দেখতে পেতাম।
এই দুনিয়ায় কেউ কারও অভিভাবক হতে পারে না। নিজেকেই নিজের অভিভাবক হয়ে শাসন করতে জানতে হবে। নইলে মুক্তি নাই, কোথাও কোন আলো নাই।
গত বছর এই মাসেই আমার সতর্কতামূলক পোষ্টগুলোতে এই কথাগুলোই বলেছিলাম। আপনাকে তখন আমি বুঝাতে পারি নাই। পারলে, আগ্রহী হলে এখন সে পোষ্টগুলো আবার পড়েন, এই অনুরোধ করছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ পি মুন্সী।আমার মন্তব্যে আপনার ব্যাখ্যাটার পরে এখন মোটামুটি দাবীদাওয়া গুলোর প্রজ এন্ড কন্স দুটো দিকই উঠে এসেছে।সম্ভাব্য পরিস্থিতি গুলো আপনি সুন্দর ভাবে ব্যখ্যা কেরেছেন।অপেক্ষা করছি আলোচনাটা আরও গঠনমূলক হয়ে উঠুক, বিভন্ন পর্বে বিভিন্ন জন মন্তব্য করেছেন তাদের পদধূলি এখানে আশা করছি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬
পি মুন্সী বলেছেন: ভাল।
আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি মনে হচ্ছে।
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৭
জিপিএস বলেছেন: আপনার আগের পোস্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম তাতে অবস্থা হয়েছে যারা জুতার মাপে পা না কাটলে কিছুই ঠিক পায় না তাদের বিরাগ ভাজন হয়েছিলাম। কারো নাম নিতে চাই না। সেখানে উর্বর মস্তিষ্কে ''হিপোক্রেসি'' পর্যন্ত আবিষ্কার করে ছেড়েছিলেন।
তদুপরি আপনার সাথে আলোচনায় নিরুত্তাপ ভদ্রোলকী কেতায়ও আমার সমস্যা হয়। আপনি ধন্যবাদ মার্কা গেট লস্ট বইলা অভ্যস্ত। এর আগে সেই অভিজ্ঞতাও আমার হইছে। ফলে উত্তর-প্রতিউত্তরের রুচি হারাইয়া ফেলছিলাম। কারণ ওইটা বেকার, রাষ্ট্র এবং নিরাপত্তার কথা বলা মাত্র যারা উগ্রতা আর জাতীয়তাবাদ সন্ধান করেন তাদের সাথে ব্লগীয় ক্যাচাল কারার ইচ্ছা জমাইতে পারি নাই।
এখন, আপনারে কি কি ট্যাগ লাগাইয়া সেনা/সামরিক তন্ত্রের প্রচারক বানানোর কাজে এরা (বুড়ি)গঙ্গাজল খাইয়া নামে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। পোস্ট পর্যবেক্ষণ...
০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৪৪
পি মুন্সী বলেছেন: মানুষের কিছু স্বভাব বিল্ট-ইন মানে যাকে বলে কোম্পানীর সিষ্টেম। কোম্পানী তৈয়ারের সময় যে স্বভাব বাইধা ছাইড়া দিছে এর বাইরে যাইতে পারি না।
তো, আমার কোম্পানীর সিষ্টেম হলো, "নিরুত্তাপ ভদ্রোলকী কেতায়" আলোচনা করা। বদলাবার চেষ্টা করে দেখছি ভালের চেয়ে মন্দের জায়গা হয় বেশি।
এছাড়া, আর একটা কথা আছে। আমি তো পার্টির দলিল লিখছি না, দলবাজির প্রপাগান্ডাও না, এমন কি পল্টনের বক্তৃতার কোন ভাষণও না। আলোচনা যখন করতে চাই তখন ভাষা নরম হওয়াই বলে যাতে অন্যেরা নির্ভয়ে মনের উত্তর লিখতে পারে। আর সবচেয়ে বড় লাভ দলবাজির লোকদের অত্যাচার থেকে বাচতে পারি খানিক।
যাক সে কথা, ধন্যবাদের কথায় আসি।
বৃটিশরা সাধে থ্যঙ্কু চালু করে নাই। আমাদের প্রাক-পুজিতান্ত্রিক কালের ইন্টারপারসনাল বহু হেঁপা ওদের সমাজকেও সামলাতে হয়েছিল। ফলে এমন এক ধন্যবাদ আবিস্কার করছে যে একেবারে গোল আলুর মত - ঝালে ঝোকে অম্বলে চচ্চরি সবখানে দেয়া যায় - কিন্তু একএক জায়গায় স্বাদ একএক রকম।
ফলে কাউকে ধন্যবাদ দিয়ে বলা যায় - গেট লস্ট; আমি আলাপ করতে চাই না, বলেছেন ভালো হয়ত কিন্তু আপনি একটা গর্দভ; বলেছেন ভালো কিন্তু আপনি মুখ খুললে কেবল গালাগালি বের হয়; আপনার কথায় তাল দিলে আমি যা বলতে চাই বলা হবে না; আপনার কথা হয় না কিন্তু হয় না যে সেটা আবার আপনাকে বলতে পারছি না; স্রেফ সৌজন্যতা দেখিয়ে কাউকে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া; ইত্যাদি আরও হতে পারে। এছাড়া সবার উপরে সত্যিসত্যিই ভদ্রতা-সৌজন্য বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এগুলো তো আছেই।
এখন সমস্যা হলো যখন ধন্যবাদ বলতে কেবল কৃতজ্ঞতা বুঝে, বা সম্মতি জানানো বুঝে। কী করবেন মাফ কইরা দেন।
পর্যবেক্ষণ থাকবেন ভাল কথা, দেখেন। ধন্যবাদ।
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৫
মাহাদি হাসান বলেছেন: "পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে" -
এটা পাহাড়ি নেতাদের দাবী, শান্তিচুক্তির দাবী, CHT কমিশনের প্রধান দাবী। আমাদের সমাজেরও অনেকেই এটা সমর্থন করেন। [/sb
২০০৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ সাধারন পরিষদের ৬১তম অধিবেশনে আদিবাসী অধিকার সনদ প্রণীত হয়। সেখানে আদিবাসী অধ্যষিত ভৌগলিক সীমানা সমূহে "Demilitarization" করা কিন্তু আন্তর্জাতিক নীতিসমূহের অংশ বিশেষ। এ ব্যাপারে সনদে বলা হচ্ছে যে, "Emphasizing the contribution of the demilitarization of the lands and territories of indigenous peoples to peace, economic and social progress and development, understanding and friendly relations among nations and peoples of the world." [/s
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৮
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৭
মাহাদি হাসান বলেছেন: মানে শুধু পাহাড়ী নেতা, শান্তি চুক্তি, কমিশন শুধু নয় আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত সনদেও এই দাবি করা হয়েছে।
০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৩২
পি মুন্সী বলেছেন: লক্ষ্য করেছেন বোধহয়, indigenous peoples শব্দটা।
১. এখন বাংলাদেশের পাহাড়ীরা indigenous peoples কি না সে নিয়ে মেলা বিতর্ক শুরু হয়ে যাবে - এটা আমার জন্য এখানের কথার উদ্দেশ্য মাটি হয়ে যাবে।
২. বাংলাদেশ ঐ সনদ সংসদে সম্পূর্ণত রেটিফাই না করে থাকলে এর কোন প্রভাব বাংলাদেশে নাই। এছাড়া পাহাড়ীরা "আদিবাসী" কিনা এটা সরকারের স্বীকার-অস্বীকার করার ব্যাপার আছে। সম্প্রতি সারকুলার দিয়ে সরকার indigenous peoples বা আদিবাসী বলা বন্ধ করতে বলেছে।
৩. এমন কী মনিটর থেকে কী-বোর্ড হয়ে যাওয়া উকিল খোদ CHT Commission সাম্প্রতিক ঘটনায় যে প্রেস রিলিজ দিয়েছে সেখানেও ইংরাজীতে Pahari এভাবে উল্লেখ করেছে। নীচে দেখুন বক্তব্যের প্রথম লাইন:
"The CHT Commission (CHTC) is appalled to receive reports of the arson attacks carried out on over 200 Pahari homes......."
৪. সন্তু লারমা শান্তিচুক্তির পর ঢাকায় এসে সর্বপ্রথম এই "পাহাড়ী" শব্দটা চালু করেছিলেন। মনে রাখতে হবে ঢাকার বাবুভদ্রলোকদের সামনে সেই তার প্রথম এসে সভা সমিতিতে কথা বলা, এর আগে তিনি তো গোপন আন্ডারগ্রউন্ড, আইনের চোখে অবৈধ রাজনীতিক, ফলে প্রকাশ্য কথাবার্তা বলতে হয়নি। তবে উনার এই শব্দটা দরকার পড়েছিল পাহাড়িদের চাকমা, মারমা ইত্যাদি নৃবৈশিষ্ট বিভেদ এড়িয়ে একটা শব্দে সবাইকে জড়ো করার দরকারে। পরে এনজিও প্রজেক্টের খপ্পড়ে পরতে গিয়ে আবার নতুন নাম "আদিবাসী" নিতে হয়েছিল।
৫. জাতিসংঘের ঐ উল্লেখিত প্রস্তাব উঠে আসার পিছনের কথা কী, কেন এধরণের একটা প্রস্তাব করার বা দরকার পড়ল। আমরা অনুমান করতে পারি কেবল বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে এটা করা হয়নি। আর এই ধরণের আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোকে কিভাবে লবী করতে হয়, ভিতরের ডায়নামিক্স কী এগুলো পাহাড়ি-সমতলীর রাজনীতি প্রায় কিছুই জানা নাই যদি না কেউ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে শিখিয়ে হাতে ধরে পরামর্শ দেয়। সে যাই হোক, এর ব্যকগ্রাউন্ডে যা তাগিদ দিয়েছিল তা হলো ইমিগ্রান্টদের দেশ আমেরিকা মহাদেশ, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদির কথা ভেবে। মুল ইস্যু এমনিতেই কয়েকশ বছর ধরে এক কর্ণারে ফেলে রাখা indigenous peoples এদের সেই কর্নারেও তেল, খনিজ এখন মহামূল্যবান হয়ে যাওয়াতে সেগুলো তুলতে যেয়ে আবার নির্বিচারে উৎখাত (ভারতের নতুন আগ্রাসী ক্যাপিটালিজম নিজেদের খনিজ তুলতে গিয়ে একই কান্ড করছে আর ভারতের মাওবাদী বলে এখন যাদের কথা শুনছি তারাই এই আন্দোলন করছে) করার দুর্দমনীয় উদ্যোগজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে একটা আইনী রক্ষাকবজ। সারকথায় জাতিসংঘের "আদিবাসী অধিকার সনদ" এর প্রেক্ষিত indigenous peoples এলাকায় তেল, খনিজ তোলার দিকে নজর পড়া থেকে।
এমন কী এজন্য indigenous peoples বলে ক্যাটাগরিতে ফেললেই একমাত্র এনজিও ফান্ড সংগ্রহ সবচেয়ে সহজ। বাংলাদেশে পাহাড়ীদের "আদিবাসী" শব্দটা যত না স্হানীয় দরকারে এর চেয়ে বেশি এনজিও, ইউএনডিপির ফান্ড সংগ্রহের দরকারে।
৬. তবু আপনি মনে করি কথাটা তুলে ভাল করেছেন। আপনার তথ্য পোষ্টকে সমৃদ্ধ করবে।
৭. আমার অবস্হান হলো, আদিবাসী বলি কী না বলি এতে অবস্হানের উপরে এর কোন প্রভাব নাই। যে যেটা পছন্দ বলতে পারেন।
লক্ষ্য করবেন আমি আদিবাসী বলি কী না বলি এই বিতর্ক না তুলেই আমার কথা বলে গিয়েছি। আমার কথার মধ্যে এটা সবসময়ই অপ্রাসঙ্গিক থেকে আছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:৫৮
সাজিদ বলেছেন: ওদের আর কি চাই কথাটা উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ স্বিকার করে নিলাম। কিন্তু পাহাড়ের অবাংগালীরাকি এটা দাবি করতে পারবে যে তারা রাষ্ট্রিয়ভাবে বৈষম্যের স্বিকার হচ্ছে যার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে?
কাদের সিদ্দীকির বিরোধটাও যতটা রাজনৈতিক ছিল ততটা দেশদ্রোহী ছিল না। আর আসল কথা হলো ভারতীয় সরকারের নীতির পরিবর্তন। তারপরও উনি দেশে ফেরত আসেন ৯০ এর পর। আমাদের শন্তু লারমাতো মন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে সুশীল সমাজে ঘুরে বেড়ায়। এখন কথা হলো পাহাড়ি মানুষ নাকি একদম নিরীহ শান্তিপ্রিয় তাহলে তাদের পিছনে উসকে দিচ্ছে কারা। হঠাত করে কেন দাংগা শুরু হলো। ইউরোপীয় কমিশনের কাজ কি ওখানে?
০৭ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০০
পি মুন্সী বলেছেন: সরি সাজিদ। এর আগে এখানে ফিরতে পারি নাই। রিলোকেশনের কারণে সময় আর নেট কানেকশনের সমস্যায় আছি। আরও সাত দশদিন পরে সব সেটেল হবে আশা করছি।
"পাহাড়ের অবাংগালীরা কি এটা দাবি করতে পারবে যে তারা রাষ্ট্রিয়ভাবে বৈষম্যের স্বিকার হচ্ছে যার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে?" - অবশ্যই তাঁরা বৈষম্যের স্বীকার।
আপনি "পাহাড়ের অবাংগালীরা" বলতে নিশ্চয় পাহাড়ীদের বুঝিয়েছেন আমি ধরে নিচ্ছি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে তাঁদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ত্ব হচ্ছে না, নাই - এটাই তো মুল সমস্যা। সময় থাকতে এই সমস্যার দিকে মনোযোগ দিয়ে সমাধান করতে হবে। নইলে আন্তঃজনগোষ্টির মধ্যে এটা শত্রুতার দিকে মোড় নিবে, বাইরের সুযোগ সন্ধানীরা এর সুযোগ নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে ইত্যাদি।
যে কোন জনগোষ্ঠির রাষ্ট্রে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ত্ব থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ। এর উপরই নির্ভর করে তাঁরা ঐ রাষ্ট্রের আনুগত্যে থাকবে কী থাকবে না। এতে কোন সমস্যা থাকলে কালক্রমে তা ঐ রাষ্ট্র থেকে তাদের বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাবেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজকর্ম বিবৃতি লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয় যেটা হাসিনা সরকারও প্রতিবাদ, প্রত্যাখান করতে বাধ্য হয়েছে।
ভাল থাকবেন।
২০| ০২ রা মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫
জাতি জানতে চায় বলেছেন: ভাল বলছেন। যেভাবে সেটেলার/আদিবাসী/উপজাতি আর ভূমির অধিকার নিয়া কিছু ভারতপন্থীর (এরকম বলার কারন হচ্ছে ভারতের যেকোন এটিচ্যুডকে তাদের কাছে সাদরে গ্রহনযোগ্য মনে হয়!) কচলাকচলি শুনে মনে হয় ৭১ এ পুরো বাংলাদেশ আলাদা না হয়ে ৬৪টা দেশে বা নিদেনপক্ষে ৬/৭টা দেশে (বিভাগ অনুযায়ী) ভাগ হওয়া উচিৎ ছিলো! দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবাঙালীরা (যদিও আমি মনে করি আমরা সবাই বাংলাদেশী) বাস করলেও শুধুমাত্র পাহাড়ে সেনাবাহিনীর এই ভিন্ন উপস্থিতির বাস্তবিক কিছু কারনকে এনারা এড়িয়ে যান! ঐদিন যদি সেনাবাহিনীর কান্নি বাঙালীদের প্রতি না থাকত তাহলে ঘটনা নিয়ন্ত্রনহীনভাবে বাঙালীর বিরুদ্ধে যেত! কারন বাঙালীদের কোন সশস্ত্র সংগঠন নাই, তাছাড়া সেখানে পরিবেশগত কারনেই সাধারন বাঙালীরা পাহাড়ী অপেক্ষা দূর্বল! তখন উনাদের (ভারতপন্থী) চোপা এভাবে না খুলে হয়ত অনেকটা নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকত!
আর পাহাড়ীদের মনোযোগ অনেকটাই ভূমি কেন্দ্রিক, তাও আবার সামষ্টিক, যেটা আমাদের অনেকের কাছেই সন্দেহজনক! এই পাহাড়ীদের খুব একটা দেখি না তাদের বন্ঞ্চনার কথা বলতে, ভূমিই তাদের কাছে একমাত্র লক্ষনীয় বিষয়!!! অনেকটা পুরান ঢাকার লোকাল এরিয়া গুলার মত! এক এরিয়ার মাস্তানের অন্য এরিয়ায় প্রবেশ নিষেধ, অজান্তেও যদি প্রবেশ ঘটে আর বিপক্ষ সেটা টের পেয়ে যায় তাহলে ঐ অনুপ্রবেশকারী কপালে খারাবীই আছে!!! এমনকি ডিশ কানেকশনের মত ব্যবসা গুলাও এই নীতির অন্তর্ভুক্ত!!! এ ধরনের বালখিল্য আচরন এইসব ব্লগারদের কাছেই গ্রহনযোগ্য বলে মনে হচ্ছে! আজকে যদি এদেরকে আলাদা করেও দেয়া হয় তাহলে কি তারা টিকে থাকতে পারবে!!! ভারত কি সিকিমকে টিকতে দিয়েছিলো??!! কোন কারনে এসব পাহাড়ী এলাকার বসবাসের উপযোগীতা কমে যায় তাহলে বাস্তবিক কারনেই তারা আমাদের দিকেই অনুপ্রবেশ করবে, ভারতে না!!! পাহাড়ীদের এ ধরনের বিচ্ছিন্ন হওয়ার চিন্তা কারা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে বা উসকে দিচ্ছে???!!
০৭ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩০
পি মুন্সী বলেছেন: একটা রাষ্ট্রে সমস্যা সংকট যাই থাকুক, যত গভীর সংঘাত হোক না কেন - সেনাবাহিনী কোন একটা জনগোষ্ঠির পক্ষ নিয়ে অপর জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে তান্ডব চালাতে পারে না; এটা হলো সাধারণ নীতি মালা। এই নীতির ব্যাত্যয় ঘটলে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্নতার দিকে এগোবেই।
আমি সবসময় বলে চলছি, পাহাড়ী সমস্যা মূলত আমাদের রাষ্ট্রে তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ত্বের সমস্যা। এর সমাধান পেতে গেলে আমাদেরকে এমন এক জায়গায় দাড়িয়ে সমাধান খুজতে হবে, কথা বলতে হবে যেটা বিবদমান দুই পক্ষ পাহাড়ী বা সমতলীর কোনটাই নয়। উভয়ের স্বার্থ রক্ষিত হয়, রাষ্ট্র টিকে যায় - এমন জায়গায় দাড়িয়ে কথা বলতে হবে।
আপনার লেখাটা লক্ষ্য করে আমার মনে হয়েছে, আপনি এক পক্ষের ক্ষোভ বিক্ষোভ সমস্যা সেগুলো আমাদের জানিয়েছেন। এগুলো জানা, জানানো দরকার আছে। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়, সমাধান নয়।
সমাধানের কথা বলতে হবে, খুজতে হবে - উভয়ের স্বার্থ রক্ষিত হয়, রাষ্ট্র টিকে যায় - এমন জায়গায় দাড়িয়ে।
বিচ্ছিন্নতা যদি এড়াতে চান তবে, পাহাড়ীদের কে আপনার আমার মত বাংলাদেশের সমান নাগরিক ভাবতে হবে - জায়গা করে দিতে হবে।
এর বাইরে একটাই পথ, বলপ্রয়োগে দাবিয়ে রাখা আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেখা।
মাঝখানে বিদেশী যারাই আছে ওদের এজেন্ডাও এর ভিতরে বাস্তবায়ন হতে দেওয়া - যেটা সবচেয়ে বিপদজনক।
২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:২৫
বাঙ্গাল বলেছেন: আপ্নি বড় বেশি লেখেন...তবে ভাল লেখেন... সংক্ষেপ জিনিস্টা আপ্নের নাই।হেহে। পরে পড়ে জানাব।
০৭ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ বাঙ্গাল।
আমার মনে হয় আমার "বড় বেশি লেখার" দরকার আছে। সবাই নিশ্চয় আপনার মত নয়, বিভিন্ন ভাবনা চিন্তা সব আপনার মত নয়। সেই বিভিন্ন ভাবনা চিন্তাগুলোকে এড্রেস করতে আমার মনে হয় আমি কমই লিখেছি।
কাজেই সংক্ষেপ জিনিষটা আমার নয়। বরং আরও বিস্তারে বলতে হবে।
আমি যা বলি, সমাজের অভ্যস্ত চিন্তা এভাবে দেখতে, ভাবতে অভ্যস্ত নয়। ফলে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে শিখার, অভ্যস্ততার একটা পরিবেশও তৈরি করার কাজের ভিতর দিয়ে আমাকে এগোতে হয়। অন্যথায়, ভুল বুঝাবুঝির বাড়ে।
ফলে সংক্ষেপ আপনার পথ নয়। সবাই আপনার মত পাঠক হলে হয়ত এর দরকার হত না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৬
ভুডুল বলেছেন: +