নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান হবার পর থেকে নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছি । প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রশ্ন করি- আমি কে? আমি কি? আমি কোত্থেকে আসছি ? আমি কিছুই জানি না । মাঝে মাঝে নিজেকে শূন্য মনে হয় । মনের অজান্তেই নিজেকে ভাবায়, এই জগৎ সংসার কেমন করে সব শূন্য থেকে শূন্যে মিলে যায়।

সাফায়েতুল ইসলাম

সম্প্রতি লেখক গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ান, বিকালে ঘুড়ি উড়ান, আর সন্ধ্যা হয়ে এলে এক ঝাঁক মাথা ভর্তি ঝিঁঝিঁপোকার শব্দে বিভোর হতে থাকেন।

সাফায়েতুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মার মুক্তি লাভের উপায়

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

প্রতিটা মানুষের আলাদা একটা জীবন থাকে। একেবারেই ব্যক্তিগত কিছু গল্প থাকে। খুব কাছে গিয়ে মিশলে বুঝা যায় তারা কতোটা স্বতন্ত্র আর অনন্যপরতা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রত্যেকটি মানুষ একেক ভাবে চারপাশের ভুমিকা পালন করে চলছে। জীবনের সাথে যা কিছুই বয়ে চলছে তার কোন কিছুই আলাদা নয়, বিক্ষিপ্ত কোন ঘটনা নয়। সমস্ত ঘটনার সম্পৃক্ততা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। খতিয়ে দেখলে বুঝা যায় বিষয়গুলো কতোটা ইন্টারকানেক্টড। ইতিমধ্যে যারা পর্যবেক্ষণের অদ্ভুত ক্ষমতা অর্জন করেছেন এবং যাদের অন্তর্দৃষ্টি খুব উন্নত তারা বিষয়গুলো দ্রুত সিঙ্ক্রোনাইজ করতে পারবে। আপনি যতই হিলিঝিলি আর হাংকি-পাংকি করেন- পরিশুদ্ধ ক্বলবের বিকল্প মনুষ্য খাঁচা থেকে কারো কোন মুক্তি নেই।

ক্বলব সুফি দর্শনে ছয়টি পবিত্রতা বা লাতাইফ-ই-সত্তার এর মধ্যে দ্বিতীয় বোঝায়। ক্বলব পরিচর্যা করার জন্য বিশেষ কিছু লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। যেমন সন্ন্যাসব্রত বা মন্দ থেকে অব্যাহতি। অ্যাসেটিসিজম বা বাংলায় সন্ন্যাসব্রত হচ্ছে ঐন্দ্রিক ভোগবিলাস থেকে বিরত থেকে আধ্যাত্মিকতা অর্জনের লক্ষ্যে জীবনধারণ করা। তাকওয়া পালন করা যা আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা। তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ যা কিছু দেন তাতে সন্তুষ্ট থেকে শুকর আদায় করা। ক্রোধকে নিয়ন্ত্রন করা। নেয়ামতের আশা করা। ইখলাস বা নিয়তের বিশুদ্ধতার পরিচর্যা করা।


অন্যদের পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মিলিয়ে খানিকটা সন্তুষ্টি পাওয়া গেলেও দিনশেষে বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের একাই করতে হয়। বিপদে পড়লে বুঝা যায় কে আপন পর। তাই কম্পেয়ার না করে ভালকিছু শিখতে চেষ্টা করুন। আমি প্রবলভাবে বিশ্বাস করি- মানুষ চাইলে বহুদিক থেকে নিজেকে বিবর্তিত করতে পারে। একজন মানুষ তার ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পরিবর্তন ঘটাতে পারে অনেক কিছু, তাদের রূপ লাবণ্য এমনকি চেহারার ধরণ পর্যন্ত। এছাড়া পালটে দিতে পারেন সমস্ত সংবেদনশীলতা ও দর্শনশক্তি। এই প্রকৃয়াটি মোটেও সহজ নয়, সর্বদা তালিমের মধ্যে থাকতে হয়।

আত্মার মুক্তি বলতে পরকালের বিষয়ক ধারণা দেয়। দুঃখ, মৃত্যু ও পুনর্জন্মের চক্র (সংসার) থেকে প্রকৃত জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তিকে বোঝায়। মোক্ষ হল অজ্ঞানতা হতে মুক্তিলাভ। এটি অর্জন করতে গিয়ে বিষয়টি কারো কারো ক্ষেত্রে খুব ভয়ংকর ও বিশ্রী অবস্থার সৃষ্টি হয়।

আমি নিজেও খুব জটিল এক পরিস্থিতির মধ্যে আঁটকে আছি। এতদিন যা জেনেছি, মনপ্রাণ দিয়ে যা বিশ্বাস করেছি, ধীরেধীরে সবকিছুর সুফল পাচ্ছি। আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। লাইফে ঝুঁকি না নিলে বড় রকমের সুখ শান্তি আসে না, সৃষ্টির প্রশান্তি হাতছানি দিয়ে ডাকে না। কোন প্রকার রিস্ক ছাড়া এসব প্রত্যাশা করাটাই নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ। অনেকটা পথ হেঁটেছি, কতগুলো ভোর দেখেছি, আমি তো সর্বস্বান্ত বড় ক্লান্ত। সবকিছু ফেলে দূরে সরে গিয়েছি একটু একটু করে। হয়তো আমাদের কারোও দোষ ছিলো না, হয়তো কোনকিছুই করার নেই, আমাদের অবসাদ জয় করেছে ভালোবাসা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আত্মার মুক্তি নয়। মুক্তি হোক সকল অন্ধ বিশ্বাসের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.