নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাস বলে: দক্ষিণ আমেরিকার মাটি থেকে কোনও ইউরোপিয়ান দল কাপ নিয়ে যেতে পারেনি। ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে বলতে অক্ষম; কেবল ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাই বলতে পারে সে। তবু, ইতিহাসের সেই বাস্তবতাকে বদলে দিতে গেলে, বিশ্বফুটবলের আরেক পরাশক্তি আর্হেন্তিনার বিপক্ষে
।
টিম-জার্মানি যদি নিজেদের মেলে ধরতে না-পারে, মোটেই সহজ হবে না কাজটা। মেসির আর্হেন্তিনা ছাড় দেবে না জার্মানদের। কিন্তু দলটা টিম-জার্মানি, হেরে যাওয়ার এক সেকেন্ড আগে পর্যন্ত যারা হারতে শেখেনি। এই দলের মূলার বলছে: 'মেসি, সন্দেহ নেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়ার; কিন্তু তার বিপক্ষে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কোনওদিনও হারিনি আমি।' টুইটারে লিখেছেন: [ Muller: "We've played against Messi a few times. I've never lost a competitive game against him." #GER #GERARG
6:43 PM - 11 Jul 2014 ]
টিম-জার্মানি আর্হেন্তিনার ছেলেদের চেয়ে একদিন বেশি বিশ্রাম পেয়েছে। দলের প্রায় সব খেলোয়ারই শারীরিকভাবে ফিট। তারা যে এখনও পর্যন্ত সেরা খেলাটা খেলেনি, তার প্রমাণ: মেসুত ওজিল বা রিউয়েসের গোল স্কোরের দিকে তাকালেই পাওয়া যায়। মূলার ও ক্লোসাও তাদের যোগ্যতা অনুসারে গোল করেনি। লুকাস পডোলস্কিরও কোনও গোল নেই।
মূলার অবশ্য, বিশ্বকাপ শুরুর আগে, এ বাসনাই ব্যক্ত করেছিলো যে, গত বিশ্বকাপে অর্জিত পুরস্কারটা সে, এ বিশ্বকাপেও আরেকবার পেতে চায়। সেই বাসনা পূরণ করতে গেলে, ফাইনাল ম্যাচে আরও ২-গোল তাকে করতে হবে। ক্রুজ বা শুরলেও আর ২/১টা গোল করতে পারলে সেরা তরুণ খেলোয়ারের পুরস্কারটা পেয়ে যাবে। মিরোস্লাভ ক্লোসা সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেছে যদিও, কিন্তু এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ, ক্লোসা অবশ্যই চাইবে আরও ২/১ গোল করে, নিজের রেকর্ডটাকে আরও কয়েক বছর সুরক্ষিত রাখতে। ম্যানুয়াল ন্যুয়ের, নিঃসন্দেহে ভালো গোলকীপার, বিশ্বসেরাদের অন্যতম। কিন্তু গোল্ডেন গ্লভস পেতে হলে, এই ম্যাচে তাকেও সেরা কিছু নৈপূণ্য দেখাতে হবে। আসরের পর আসর কেবল তৃতীয় স্থান পেতে থাকা জার্মান জাতীয় দল তো হতাশ ও ক্লান্ত। তারও চতুর্থ শিরোপাটা চাই-ই চাই।
বিশ্বসেরা ডিফেন্স ও আক্রমণভাগ আছে জার্মানি ও আর্হেন্তিনা উভয় দলেরই। কিন্তু টিম-জার্মানি যেখানে এগিয়ে: সেটা হলো মাঝমাঠ। জার্মান মাঝমাঠ কী বস্তু... তা তার মেধাবি-প্রতিপক্ষরাও ঠিকঠাক খেয়াল করতে পারে না। ওই মাঝমাঠই প্রতিপক্ষের সামনে সফলতম স্টপার, ওই মাঝমাঠই সংযোগ দিয়ে দেয় আক্রমণের বিদ্যুতে। বিশ্বকাপের শেষ আটে ওঠা কোনও দলই কারও চেয়ে কম নয়। কেবল জার্মান মাঝমাঠই যে কোনও দলের চেয়ে পৃথক উচ্চতা দিয়েছে লাম-বাহিনীকে। কিন্তু তাদের কাছে, আমার প্রত্যাশা: নিজেদের সর্বোত্তম নৈপূণ্য দেখিয়েই ম্যাচটা খেলবে তারা। চতুর্থ শিরোপা অর্জনের লক্ষে অন্তত ৪টা গোলও করবে।
শুভকামনা রইলো আমার প্রিয়দল, টিম-জার্মানির জন্য।
গো এহেড, জোয়াখিম ল্যুয়ভ, তোমার গেমপ্ল্যানে আস্থাশীল আমি।
জয়তু জার্মান-পাওয়ার ফুটবল!
উপভোগ্য একটা ম্যাচের অপেক্ষায় রইলাম।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জার্মানী ইতিহাস সৃষ্টি করলো।ল্যাটিন এমেরিকা থেকে কাপ প্রথমবারের মত ইউরুপে গেল।ব্রাজিল অবশ্য ইউরোপ থেকে কাপ এনেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: আর্জেন্টিনা ।