নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ও দাদা
ও ভাই বন্ধু প্রতিবেশী
শোনো:
তোমাদের কাঁটাতারে ঝুলে আছে
আমাদের নিহত স্বদেশ
তোমার করুণাসিক্ত এক আঁজলা জল
হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি মর্ত্যের মরু মরু পথে
আমার হৃদয়ে তুমি অম্লান, অটল
ভাস্বর হয়ে আছো আমার শপথে
যখন ছোট্ট শিশু ছিলাম, মনে হয়, পাঁচ কি ছয় বছরের, আমার ভাবনার ভিতর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম, বিশ্বের মহোত্তম কবিতা সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসার প্রতিযোগিতা। চূড়ান্তে নির্বাচিত হয়েছিলো দু’টি: ব্লেইকের...
আগেও বলেছি, পুনর্ব্যক্ত করছি: কোনও একটি দেশে/ভূখণ্ডে, কোনও বিশেষ একটি দিনে যতজন সংক্রমিত হচ্ছে, তাদের প্রায় ৯০-৯৫% কে শনাক্ত করতে চাইলে, আগেরদিন যতজন সংক্রমিতকে শনাক্ত করা হয়েছে, তার অন্তত ১০গুণ...
ইতিহাস পরিভ্রমণে দেখা যায়, নেফতালি রিকার্দো রিয়েস বাসোয়ালতো নামক চিলির ঊনিশ বছর বয়েসি এক যুবক নিজের প্রথম কবিতাগ্রন্থ প্রকাশের জন্য বাবার মূল্যবান হাতঘড়ি বিক্রি করছে [১৯২৩]। বইটার নাম দিয়েছে Crepusculario;...
.
মৃত্যুর পর, একটা মমি হয়ে,
৩০০০ বছর অপেক্ষা করবো—
তোমার জন্য;
ইত্যবসরে, তিন তিনবার ভূমিকম্প হবে।
ওইসব ওলোট-পালট, প্রথমবার, ঢেকে দেবে
আমাকে। —দ্বিতীয়বার, উন্মোচন করবে।
তৃতীয়বার, সে আমাকে বিলুপ্তিতে পাঠানোর আগে,
অন্তিম বাসনাস্বরূপ,
তার কানে...
সাঁইজি’র একটা গানের বাণী মোটামুটি এ-রকম:
‘‘গেঁড়ে গাঙ্গের ক্ষ্যাপা
হাপুর হুপুর ডুব পড়িলে।
ইবার মজা যাবে বুঝা
কার্তিকের ওলানীর কালে।।
কুঁতপি যখন কফের জ্বালায়
তাবিজ তাগা বাঁধবি গলায়।
তাতে কি হবে ভালায়
মস্তকের জল শুষ্ক হলে।।
বায় চালা দেয়...
রচিত হচ্ছিলো— লোমহর্ষক কবিতা। যারা জখম হয়েছে, সাহসী; শেষ গর্জনত্যাগের আগে, তাদের নিঃশ্বাসের সীমিত আসমান, আর রক্তের বিপুল রঙধনু ফুঁড়ে, কতগুলো অরণ্যের সবুজ— সূর্যের লালিমা; কত ঝাঁক দোয়েল; কয় বিল...
●
হয়তো কারও বাতাস-মাখা চুলে
জলঋতু পাঠিয়েছিলো গান—
গানের কলি গুনগুনিয়ে ওড়ে
তাহার যদি জাগার কথা ভোরে
অনেক বেলা ঘুমিয়ে থাকে ভুলে
আমার শুধু হৃদয়ে আনচান
ধারণ করে, ফাঁপর-লাগা মনে
সজলমেঘ, আকাশ খুঁজে মরা—
আকাশ তবু পাই না...
তোমার নাভির গন্ধে গাছে গাছে ফুটলো বকুল—
না, কোনও বসন্ত-শীত-বর্ষাঋতুর স্বপ্ন নয়,
বিনয়ের চিহ্নায়ন ভুল নয়;
দেহে যদি বাসনা ও সাধ জন্ম নেয়
বকুল তো যে কোনও মুহূর্তে ফুটতে পারে!
কামনা শব্দটি আজ সবুজে সবুজে...
রক্তের মধ্যে
মরিচার দাগ হয়ে বসে যাচ্ছে দিনগুলো__
আমরা তোমাকে ভুলিনি, সুনীল মুণ্ডা!
শৈশব পেরোতে না পেরোতেই, সুদিনগুলো
গণিতের কাল্পনিক সংখ্যার মধ্যে ঢুকে পড়লো,
সত্যগুলো ঢুকে পড়লো অবাস্তব ও মিথ্যার ভাঁজে ভাঁজে
আর বানোয়াট গল্পের...
নিজের ভেতরে তোমার মুখচ্ছবি দেখতে পেয়ে
খুব অস্থির হয়ে উঠেছিলো
জল
ডানার জন্য প্রাণপণ ছটফট করছিলো;
শেষে, রোদ আর উত্তাপ পাঠালো
সূর্য
আনন্দে উড়ে উঠলো সে, ভাসতে লাগলো শূন্যে
আর নিজের ভারে নিজেই গলে গলে পড়লো
নিচে
জলই...
একেকবার দিন আনতে
কত কত দিন যে চলে যায় অামাদের!
এখন প্রায় নিশ্চিত বলা যায়, আরও বহুদিন, এভাবেই, পড়ে পড়ে মার খেতে হবে__
মাথার ওপরে মেঘকালো অশ্বদল উড়তে উড়তে অট্টহাসি শুনিয়ে যাবে
উড়ুক্কু বাইন...
রহমান হেনরীর নতুন কবিতাগ্রন্থ: শতরথগুঞ্জন
পয়লা ফাল্গুন থেকে
পাওয়া যাচ্ছে__
বাংলা একাডেমির বহেরাতলায়
লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে
দাঁড়কাকের স্টলে (স্টল নং ২৯)
©somewhere in net ltd.