নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকগুলো উপপাদ্য এবং স্বতঃসিদ্ধ জানা থাকবে আমাদের। ফলে, কোনও কিছুইকেই অনিয়ম মনে হবে না; কেননা, জ্যামিতি বিদ্যাকে রক্ষা করতেই হবে। অতএব একটা অসমস্যাকে আমরা বৃত্তের বাইরে থেকে টেনে-হিঁচড়ে ভেতরে নিয়ে...
কে যেন ঢেকে দিচ্ছিলো কাকে!
ফলে, এই ছায়া;
ছায়ার ভেতরে জোড়া জোড়া ছায়ামূর্তি
এক জোড়া শাদা-ঘুঘুর জন্য
আর্তনাদ করছি, দেহে ও মনে
একই সুরে বাজাচ্ছি এস্রাজ;
কে যেন বুকের মধ্যে লুকিয়ে রেখে
দুষ্প্রাপ্য করেছে ঘুঘু দুটিকে
যতই এগিয়ে...
পাখি হওয়ার সুবিধা এই যে
উড়ে যেতে যেতেও গান গাওয়া যায়
মলত্যাগ করা যায়
এবং অসুবিধা হলো:
কাজ দুটো পাখিরা নির্বিচারেই করে থাকে
যদি পাখি হতাম, উড়ে যেতে যেতে
নির্দিষ্ট কোনও স্থানে পৌঁছেই
হঠাৎ শুরু করে...
জমজ ও ধাঁধাময় স্তনভার তোমারই তো!
ফিসফাস, কানাঘুঁষো করছে নানা লোকে।
উড়ন্ত সাপের ঈর্ষা ওদুটোকে পীঠে তুলে
ঢুকে যাচ্ছে নির্জনের অখ্যাত জঙ্গলে;
তুমিই তো বরাবর ভাঙ্গী রমনী!
পুজোর মন্দিরে ঢুকে কামনার লাল
দেখেছিলে ব্রাহ্মণের শান্ত...
সংস্কৃতির একাল সেকাল আছে, ইতিহাসের নেই। রাজপথের ইতিহাস বলছে, অনাদিকাল থেকেই, এ হলো সেই চলচ্চিত্র, যেখানে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে। আর বুদো যদি হয় বোবা, তবে তো উদোরই জয়ডঙ্কা! ঘাড়...
এই কবিতার কোনও পঙক্তি কোনও সত্যকেই প্রমাণ করে না; বরং সমস্ত প্রমাণকে অপ্রমাণিত করে তোলে এবং এর প্রতিটি শব্দ তার অর্থের স্থায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে করতে এগিয়ে যায় তোমার দিকে। কিংবা...
নামটা হয়তো 'মেয়ে-পটানো'-রকমের সুন্দর হলো না; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেরোচ্ছে বইটা। হা হা হা...
==============
মহান একুশে বইমেলা ২০১৫ তে...
নারী, খুবই সুদূরের রাজহংসী
প্রতীক্ষার ভেতরে সুন্দর
দীর্ঘশ্বাসই প্রসাধন তার
কাছে এলে
স্বপ্নের মর্ম ভাঙে
জলের অমল ঢেউ ব্যর্থ-বাতিল হয়ে যায়
কাছে এলে
ডানাদ্বয় মুছে যেতে থাকে
শুভ্র পালক-খসা মাংসপিণ্ডে
লোভের কোরবানী হয়ে যায়
পালকে জলের দাগ, শ্যাওলাগন্ধ,...
ভাবলে, খুবই অস্থির লাগে; ভেতরে ভেতরে
এতো অবাক নিয়ে, গোবেচারা সেজে, এই শহর
কী করে এতো ভাবলেশহীন, নির্বিকার থাকে!
ভাণ ও উদাসীনতাই কি যেকোনও শহরের ডাক-নাম?
সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট একটা সড়কের সন্ধানে
শহরের...
নিষেধের মুখে ছাই; নগ্ন চোখে তাকিয়েছি
তোমার শরীরে। ছুঁড়ে ফ্যালো পোশাকের
সমস্ত জঞ্জাল। উন্মুক্ত হও।...
ফুলের ছোবল-খাওয়া সাপ এসে শুয়ে আছে
উঠানের ঠিক মাঝখানে। আসমানে চাঁদ নেই,
আবাসিক বাতি নিভে গেছে; রাত্রিকালীনে ব'লে
সাপের বিক্ষত ফণা সুশ্রূষার যোগ্যতা পাবে না!
নিরাপত্তা-চৌকি ভেঙ্গে গেল। হু হু বাতাসের
পিছু-ধাওয়া করছে আজ...
বলে যে, পারবো
তারপর
ভেতরে ঢোকে
কসরত চালিয়ে যায়
ঝনঝন করে ওঠে তালা, খোলে না
তারপর
ক্লান্ত, বের হয়ে আসে,
তালার পদতলে নতমুখ
বসে থাকে কিছুক্ষণ;
তারপর
দৌড়ে পালায়
পঁচিশ ডিসেম্বর। রাত দশটা।
দরোজায় বেজে উঠলো কলিংবেল। আহ,
নিশ্চয় প্রাচ্যদেশের সেই তিনজন প্রজ্ঞাবান, অবশ্যই
হাত-ভরা ফুল রয়েছে তাদের! ভীষণ আনন্দিত আমি।
নিজ হাতে দুয়ার খুললাম; কিন্তু হায়! কাউকেই দেখা গেল না...
হতোদ্যম আমি ফিরে...
অন্ধকার সরে যেতেই জেগে ওঠে কমলালেবু বন
তোমার নিঃশ্বাস ও ফিসফাসের আওয়াজ পাই
আর তোমার মুখ থেকে উড়ে আসে কাগজিলেবুর
এবং কমলালেবুর ঘ্রাণ। আমদের কমলাবনে, বহুদিন
ফুল আসে না; হিন্দুস্তান, পাকিস্তান, এমনকি চীনদেশ
থেকে ছোট-বড়...
গুরুতর ব্যাপারগুলোকেও
অনেক হালকাভাবে নেওয়া, তার স্বভাব...
©somewhere in net ltd.