নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পঁচিশ ডিসেম্বর। রাত দশটা।
দরোজায় বেজে উঠলো কলিংবেল। আহ,
নিশ্চয় প্রাচ্যদেশের সেই তিনজন প্রজ্ঞাবান, অবশ্যই
হাত-ভরা ফুল রয়েছে তাদের! ভীষণ আনন্দিত আমি।
নিজ হাতে দুয়ার খুললাম; কিন্তু হায়! কাউকেই দেখা গেল না...
হতোদ্যম আমি ফিরে এলাম, বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখ রাখলাম
আসমানে। আসলে সেই উজ্জ্বল তারটিকে খুঁজছিলাম আমি। দেখলাম
অসংখ্য তারা, এবং কী মিষ্টি মিষ্টি সব নাম! এদেরেই কোনও একটা তারা
বড়দিনের জন্য নির্ধারিত।
শয়নকক্ষে ফিরে, গুণে গুণে, ঠিক
ততোটাই মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলাম
যতজনের অনুপস্থিতি বিচলিত করছে আমাকে।
মিনি টেবিলে সাজিয়ে রাখা কেকটাকে মুড়িয়ে দিলাম
মধু ঢেলে। যখনই কাটতে যাবো, শয়নকক্ষের দরোজায় টোকা
হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন এক দেবদূত; বিছানায়, কম্বলতলে ঢুকে
কিছুক্ষণের জন্য গরম করে নিলেন শরীরটাকে; নিশ্চুপ উঠে দাঁড়ালেন
এবং অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
সাজিয়ে রাখা এই কেকের মধুকে
আমারই অতীত ভেবে, এখন চাটবো আমি।
হয়ে উঠবো প্রেম ও মমতায় মোড়ানো নতুন মানুষ,
সমগ্র রাত্রির জন্য আমার আত্মায় অনুপস্থিতির যন্ত্রণা তুলেছে
যে স্বজনাত্মীয়, বন্ধু, প্রেয়সী ও জননী; তাদের নীরবতার মধ্যে
আবারও রূপান্তরের ভেতর দিয়ে আজ এই রাত আমার পুনর্জন্মের রাত।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কবিতা
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বড়দিন নিয়ে চমৎকার কবিতা! কিন্তু এতো দেরীতে দিলেন যে! +
ভালো থাকবেন ভ্রাতা।।