নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা এখন ক্যালেন্ডারের ভেতর দিয়ে চলে যেতে পারি:
৮ ডিসেম্বর ১৯২৭ তারিখে; মানচিত্রের ভেতর দিয়ে
চলে যেতে পারি: স্টকহোম সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে;
চন্দ্রালোকহীন কিশকিশে অন্ধকারে কুয়াশামণ্ডিত
সেই এক সন্ধ্যে পৌণে সাতটায়, যেখানে, সার্দিনিয়ার
এই ছোটখাটো মেয়েটি, একাধিক ফেরি ও ট্রেনের
বদৌলতে, তিন দিন তিন রাতের দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে
এইমাত্র পা রাখলেন, প্ল্যাটফর্মে। তার বয়স ৫৬,
চোখের রং বাদামি, চুল শাদা,চামড়া গোলাপি;
জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৭১;
জন্মস্থান: নাওরো, সার্দিনিয়া;
নাম: গ্রাজিয়া মারিয়া কোজিমা দামিয়ানা দেলেদ্দা।
মাত্র দু সপ্তাহ আগে, প্রথমবারের মতো সৃজিত তার
পাসপোর্ট বলছে: এটাই তার একমাত্র বিদেশ ভ্রমণ।
এর আগে, তার শৈশব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে; বিয়ে
হয়েছে সম্পূর্ণ অচেনা আগন্তুক এক যুবকের সাথে
সমুদ্র পেরিয়ে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, যে কিনা
পৌঁছে গিয়েছিলো সার্দিনিয়ার সেই পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে;
এই মেয়ে ইতালীয়, কিন্তু তার ভাষা রোমান নয়__ সার্দো;
জীবনের মতো একটা জীবন পাইয়ে দিতে, যে তার একমাত্র
শিশুপুত্রের হাতে, স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ একটা ব্রেসলেট ধরিয়ে দিয়ে,
বাবা-মার কাছে রেখে, সেই কিশোরিবেলায় নিরুদ্দিষ্ট হয়েছিলো
রোমের জনসমুদ্রে; কিন্তু রোমান শেখেনি কোনওদিন।
নরওয়ের সুধী সমাবেশে,
আর দুদিন পর, সার্দিয়ানার গল্প শোনাবে সে, যাকে
ভদ্রলোকেরা বলে থাকে: নোবেল বক্তৃতা। ওটা
শুনতে শুনতেই, জল-স্থল ও পাহাড়খচিত মানচিত্রের
ভেতর দিয়ে আমরা যেতে চাই: নাওরো, সার্দিনিয়ায়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫৯
পোয়েট ট্রি বলেছেন: না; এটা ইতালিয় একজন 'গ্রাজিয়া দেলেদ্দার গল্প। বাঙালির চোখকে আরেকটু দূর-প্রসারী ও আন্তর্জাতিক বানিয়ে তোলার স্বপ্ন। তাকে ক্সুদ্র কুয়া থেকে চিনিডাঙ্গার বিলে সাঁতার কাটতে শেখানোর গল্প।
ঈদ মুবারক।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০১
পোয়েট ট্রি বলেছেন: এটা
সহজ কবিতা
রহমান হেনরীর কবিতা
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এটা কি অনুবাদ কবিতা ?
এনিওয়ে , ঈদ মুবারক