নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
।। বঙ্গভূম ।।
ত্যামুন দিন কবে আসবেক
যখুন গরুড় বাহনে চড়ি আকাশে যেতি যেতি মা-লক্ষ্ণী শুধাবেন
উদিক উটা কী দেশ গ';
লদী ভরি জল টমটম করে, মাঠ ভরি ধান
কাল-কাল মানুষগুলান খিলখিল খিলখিল করি হাসে।
অন্তরযামী, লারায়ণ মিটিমিটি হাসবেন।
শুধাবেন, 'তুমার মনে লাই
কতবার এইচ ইদিকে, তুমার মনে লাই
কত পুজা লিউচ
ই হল বঙ্গভূম।
বান হইছিল, উরা বাঁধ বাঁধল
লদী শুকাইছিল, এখুন কেলান হইচে,
বচ্ছরে তিন-তিনবার ধান উঠে। দেখ ক্যানে
লতুন দালান হইচে কত। উদের আর কষ্ট লাই।
বিকালের সোনার পারা লহর
উই শুন__ টিকটিক টিকটিক করি শব্দ উঠে__
বল দিনি, উ কিসের শব্দ?'
'কী জানি।' মা-লক্ষ্ণী অবাক হই তাকান।
'মানুষ এখুন কাজ করি ফিরছে।
শিশুরা পড়া করি ফিরছে।
উ মুড়ি খাওয়ার শব্দ বটে; দুধে ভিজাই মুড়ি খায়
বঙ্গভূমের মানুষ!'
হায়, ত্যামুন দিন কবে আসবেক গ'? কবে আসবেক?
দুধ পাবেক, পেট ভর মুড়ি পাবেক পোড়া দেশের মানুষ!
ত্যামুন দিন কবে আসবেক গ'?
।। এলিজি ।।
তোমার জন্য শোকসভা হবে না মহম্মদ আলি
কেননা
ক্ষমতার লড়াইয়ে তুমি ছিলে না
নামডাকে ছিলে না
তাছাড়া, তুমি পা ফসকে পড়ে গেছ।
অতএব এই কবিতা।
শুক্রবার সকালের পর কাজ করোনি তুমি
তবু শনিবার অবধি মাইনে পাবে।
ঠিকেদার সদয় হলে
পনেরো হাজার টাকা জীবন বীমা
তা-ও পাবে তোমার বিবি,
পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকলে যা পেতে না।
মেট্রো রেল ভবনের ওই উঁচু দেওয়াল
তোমার হাতে রং...
মানুষকে ছোট দেখাচ্ছে, ছোট দেখাচ্ছে
ভাবতে ভাবতে তোমার পা ফসকে গেল।
এই খবরটাও সকলের জানা দরকার।
।। বেগুন ।।
আমি গোল বেগুন ফুটো করে তার মধ্যে সেঁধিয়ে যেতে চাই।
চারদিকে এত মাছি, এত ফড়িং
চেতনার চৌকো চেহারায় ঠোক্কর লাগে।
চোখে আলো লাগে।
আমি পোকার মত শুয়ে থাকতে চাই বেগুনের মধ্যে বেগুন হয়ে।
বেগুনের শাঁস খেয়ে, বেগুনের গদিতে গড়াগড়ি দিতে দিতে বুঝতে চাই
জন্মমৃত্যুর চক্রান্ত।
বেগুনের বালিশে মাথা রেখে বেগুন মুড়ি দিয়ে ঘুমোতে চাই।
বেগুনকে জাপটে ধরে শুনতে চাই তার ভেতরের বীজ
ফোটার চিকচিক শব্দ।
আমি মোহকূপে ডুবে যাবো।
আরও ভেতরে ঢুকে যাবো, আরও ঠাণ্ডার মধ্যে, বাঁকা পথে, যাতে আলো
না গায়ে লাগে।
আমি বুঁদ হয়ে থাকবো বেগুনরসের নেশায়।
তারপর একদিন আরামের কষ্টে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মিশে যাবো বেগুনের সঙ্গে।
বেগুনের বাইরের পালিশ দেখে তোমরা বুঝতেই পারবে না, ভেতরে কে,
ভেতরে কেন।
।। চাকা ঘুরছে ।।
অনেকদিন আগে
আমি তখন উকিল পাড়ায় ঘুরে বেড়াই,
আপিস দেখি, আর ভাবি
এরা কেউ কি কোনওদিন আমাকে নেবে?
মাঝে মাঝে পাশ জোগাড় করে___ বিধানসভায় গিয়ে
বসতাম তখন,
আর দেখতাম
বিরোধীপক্ষের সামনের আসনে রোগা টিংটিঙে
জ্যোতিবাবু, খুব তেজী,
মূখ্যমন্ত্রী শালপ্রাংশু বিধান রায়ের কাছে ঝাড় খাচ্ছেন।
এখন চাকা ঘুরে গেছে,
এখন জ্যোতিবাবুই সবাইকে কারণে-অকারণে ঝাড় দেন,
এখন জ্যোতিবাবুই ভুলে গেছেন এমন দিন থাকবে না।
তাই তো
আমি বিরোধীপক্ষে একজন তেজী মানুষকে দেখতে চাই
খুব শিগগির___
তিনি যদি মহিলা হন তাতেও আপত্তি নেই আমার,
কেননা প্রথম দফায় ঝাড় না খেলে
কে কবে মূখ্যমন্ত্রী হয়েছে, বলুন?
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: 'বঙ্গভূম' কবিতার ভাষাটা কি সাঁওতালী ?? নাকি ওপার বাংলার কোন উপজাতীয় ভাষা ??
সবগুলো কবিতাই ভালো লেগেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
বাউল আলমগী সরকার বলেছেন: শিয়ার দেওয়ার জন্য অনেক শুভেচ্ছা