নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছা মানব, দানবদের ধ্বংস করি

পলাতক মুর্গ

পলাতক মুর্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা পরবর্তী পৃথিবীর চিত্র কেমন হতে পারে (একটি ছবি ব্লগ)

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৬



এই ভাইরাসের মাধ্যমে বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা সম্ভবত ভেঙে যাবে। কারণ ভবিষ্যতে এই ধরণের বিপর্যয়/ হুমকি মোকাবেলায় বিশ্বের বর্তমান সিসটেম যে একেবারেই প্রস্তুত না তা প্রমান হয়ে গেছে। দুর্বল পরিকল্পনা ও অদক্ষ নেতৃত্বের গোমর ফাঁক হয়ে গেছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব রাজনীতির প্রকৃতি কীভাবে পরিবর্তিত হতে চলেছে তা এখনও দেখার বিষয়। তবে নীচের কয়েকটা পয়েন্ট অনুযায়ি কিছু পরিবর্তন হতে পারে:

১) হাইপার-বিশ্বায়ন সম্ভবত রিট্রিট মোডে চলে যাবে।


২) হাইপার বিশ্বায়নের বদলে সম্ভবত মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়ারি গ্লোবালাইজেশনের ধারনা ফিরে আসবে। আমেরিকা হয়তো মিত্রদের বাঁচানোর জন্য আগের মত আর ইফোর্ট দিতে চাইবে না।


৩) পৃথিবী হয়তো আগের মত আর সচ্ছল, বড় এবং উম্মুক্ত থাকবে না।


৪) আমেরিকা কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার পতন না হলেও অর্থনৈতিক গ্র‌াভিটি চীনের দিকে আরও দ্রুত শিফট হতে পারে।


৫) করোনা পরবর্তি বিশাল অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিপর্যয়ের কারণে দেশে দেশে জাতীয়তাবাদি চেতনা আরও মজবুত হতে পারে।


৬) কৌশলগত-জোট ভিত্তিক শক্তির লড়াই আরও বাড়তে পারে এবং ফলে সম্ভবত আমরা যুদ্ধ এবং মাইগ্রেশন আরও বৃদ্ধি পেতে দেখব।


৭) অনেক কিছুর সংজ্ঞা সম্ভবত আগের মত নাও থাকতে পারে, এবং বেকুব টাইপের অনেক রেজিম পুরাতন ধারনার উপর এডভেন্চার খেলতে গিয়ে ধরা খেতে পারে।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০০

জহির ডিজিপি বলেছেন: বিশ্বে রাজনীতি পরিবর্তন হয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীভূত হতে পারে ও বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যয় দিকে ধাপিত হতে পারে

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৩

পলাতক মুর্গ বলেছেন: বিকেন্দ্রীভূত ইতোমধ্যে অনেকখানি হয়ে গেছে, এখন এটি আরও তরান্বিত হবে মনে হচ্ছে।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম একটা পোষ্ট আমি দিতে চেয়েছিলাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৪

পলাতক মুর্গ বলেছেন: দেন, তাহলে বিষয়টা আরও ক্লিয়ার হবে।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মৌলবাদিদের স্বপ্ন কখনোই পুরন হবে না। সরি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১০

পলাতক মুর্গ বলেছেন: হবে, অলরেডি ভারতে একটি মৌলবাদি হিন্দুরাষ্ট্র প্রায় প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। আমেরিকান সরকারও মৌলবাদের দিকেই যাবে, ট্রাম্পের অনেক কার্যক্রম সেটাই বলে। ইউরোপেও আস্তে আস্তে মৌলবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। ব্রেক্সিট তার একটা প্রমান।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: বর্তমান অর্থনীতির ধ্যাণ ধারণা বোধহয় ছ্যারাব্যারা হয়ে যেতে পারে :||

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৭

পলাতক মুর্গ বলেছেন: ছ্যারাব্যারা না হলেও বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ১. হাইপার গ্লোবালাইজেসনে ৩টা শক্তি কাজ করে। যথা - অর্থনীতিক শক্তি, মানব যোগাযোগ শক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি এবং প্রযুক্তিগত বাধা শক্তি অর্থাৎ Internet-of-Things (IoT), big data, এবং Artificial Intelligence (AI) আবার শেষের দুই শক্তি প্রথম শক্তিকে অর্থাৎ অর্থনৈতিক শক্তিকে সাহায্য করে। সুতরাং আমি মনে করি না হাইপার গ্লোবালাইজেসন রিট্রিট মুডে চলে যাবে। তবে আমেরিকার বর্তমান প্রশাসন অর্থনীতির গ্লোবালাইজেসন পছন্দ করে না। এটা আমেরিকার স্বার্থেই।

২. আপনার ২ নং পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বলতে পারেন বর্তমান মার্কিন প্রশাসন ক্ষমতা আসার পর থেকেই অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকে। তাই নেটো, জাতিসংঘ ইত্যাদিতে মার্কিন চাঁদা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন করোনা ভাইরাস কালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে সরে আসার ঘোষণা করোনার আগেই দেয়া হয়েছে। করোনা এই ঘোষণা বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।

৩. পৃথিবী আগের মতোই সচ্ছল এবং বড় থাকবে কিন্তু উন্মুক্ত থাকবে না। এটা খুব স্বাভাবিক যে যেহেতু সব কিছু বন্ধ আছে তাই সাময়িক অর্থনৈতিক মন্দা হবে। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি দ্রুত কাটিয়ে উঠবে কিন্তু যত দুর্বল অর্থনীতি তত কষ্ট বেশি হবে সময় বেশি লাগবে।

৪. আপনার ৪ নং পয়েন্ট করোনা ভাইরাস পূর্ববর্তী অবস্থার ধারাবাহিকতা। তবে এই ব্যাপারে আমেরিকা এবং ইউরোপ সজাগ। তারা চীনকে সব সময় চাপে রাখবে। পরিণতি নির্ভর করবে চাপ প্রয়োগের সক্ষমতার উপর এবং চীনের চাপ সহ্য করার ক্ষমতার উপর। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আমেরিকা ট্যারিফ দিয়ে চাপ দেয়ার পর চীনারা প্রথম পাল্টা ট্যারিফ দিয়ে পাল্টা চাপ দেয়ার চেষ্টা করে। তারপর একটা নেগোসিয়েশন করে মন্দের ভাল অবস্থায় আসে।

৫. আপনার ৫ নং পয়েন্টও করোনা পূর্ববর্তী পরিস্থিতি। করোনা এইগুলিকে সাহায্য করছে। "আমেরিকা ফার্স্ট" এই শ্লোগান যত জোরদার হবে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী চেতনা জোরদার হবে।

৬. তবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না বলে আমার মনে হয়। বাইরে থেকে কূটনৈতিক এবং সামরিক সাহায্য দিবে। তবে এই কথা ঠিক এতে উদ্বাস্তু এবং মাইগ্রেসন বাড়বে। তবে এইখানে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে উদ্বাস্তুদের অসুবিধা হবে। আগে যেমন করতো সেই ভাবে ইউরোপ এবং আমেরিকা উদার ভাবে উদ্বাস্তু গ্রহণ করবে না। এইগুলি স্থানীয় সমস্যা হিসাবে থাকবে।

৭. এই কথা ঠিক তবে ঘটনা ঘটবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত। মাল্টিনেশনাল জয়েন্টগুলি ছোট ছোট রাষ্ট্র শাসন করবে।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:১০

পলাতক মুর্গ বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.