![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন ফার্স্ট ইয়ারে সবে ভর্তি হয়েছি। আমি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, হাওয়ায় উড়াই গাত্র –ভাব নিয়ে দলবেঁধে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করি।কিনতু হলে চলাফেরা করি আসামির মত। বড় ভাইদের হুকুম তামিল করতে পারলে ধন্য হয়ে যাই। গেস্ট রুমে নিয়মিত হাজিরা দিই। হলে, ক্যাম্পাসে- চলাফেরার বিস্তর নিয়মকানুন রপ্ত করি। সব জায়গায় চলে অনুশীলন। টিভি রুমের প্রথম তিন সারিতে বসা যাবেনা, কেন্টিনের প্রথম চার টেবিলে বসে খাওয়া যাবেনা, লুঙ্গি পরে দোকানে যাওয়া যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। এ নিয়মগুলোর দুএকটা ফাঁকি দেয়া সম্ভব হলেও বড় ভাইদেরকে সালাম দিয়ে হ্যান্ডশেক করা ছিল অলঙ্ঘ্যনীয়। হ্যান্ডশেক করার আবার ছিল নানান কায়দা কানুন। যদি কাউকে পাওয়া যেত যে এসব নিয়মের ব্যাতিক্রম করেছে, তবে আর রক্ষে নেই। চেইন অব কমান্ড অনুসারে নিয়মিত ঝাড়ি তো ছিলই- বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকতো রাত ১২টায় বড় ভাইদের রুমে হাজিরা। রুমে যাওয়া মাত্র পুরো ঝড় বয়ে যেতো(পরে বুঝেছি ওগুলো ছিলো ফাঁকা বুলি- স্রেফ ভয় পাইয়ে দেবার জন্য)। বড় হাজিরা দেওয়ার সুবাদে আমাদের গালিভান্ডারের সীমিতি কেটে যেতো অনেকটাই। হাজিরা শেষ করে রুমে ফিরলে সবাইকরুণ চোখে তাকাতো। কেউ হয়তো দয়াপরবশ হয়ে একটু জায়গাও ছেড়ে দিতো ঘুমানোর জন্য।
ঘুমানোর জন্য একটু জায়গা পাওয়া আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া ছিলো সমান কথা। রুমের লাইট কেউ অফ করলো তো দুই মিনিট পর বাইরে থেকে কেউ এসে আবার অন করে দিলো। ব্যাস-শুরু হয়ে গেল গালাগালি। অভিভাবকসুলভ কেউ আবার মিটমাট করে দিতো রাত দুপুরের সেই কাজিয়া। আরো কত ঘটন-অঘটন যে ঘটতো সে কথা বিস্তারিত অন্য কোথাও বলবো।
আরও অনেক অনেক কথা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবন নিয়ে। হয়তো মনে হতে পারে হল জীবন বিভীষিকার জীবন- কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সত্যি কথা বলতে কি আমিসহ যারা একসাথে ছিলাম সবাই সেই দিনগুলো অনেক মিস করি। কেন? আশা করি সময় পেলে শেয়ার করব।
(চলবে)
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬
পল্লীবালক বলেছেন: ধন্যবাদ আবির।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: শিগগিরি লিখুন পরের পর্ব।
আমার হল-হোস্টেলে থাকার ভাগ্য হয়নি খুব ইচ্ছে ছিল এই জীবনটা দেখার। তবে গত ডিসেম্বরে সেই আশা কিছুটা হলেও পূরন হয়েছে সেই কাহিনি এখানে,
কাহিনীময় পরীক্ষা
এবং তার আগের বছর ডিসেম্বরের একরাত
হোস্টেলে একরাত কাটিয়ে হরতালে তাল-বেতাল পরীক্ষা
পড়ার আমন্ত্রন রইল
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
পল্লীবালক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। আমি একেবারেই নতুন ব্লগার। যাই হোক, আমার অভিজ্ঞতার কথাগুলো আমি অবশ্যই শেয়ার করব আপনাদের সাথে। আপনার আগ্রহের কথা জেনে খুব ভাল লাগলো।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ঢাকা বিশ্বদিব্যালয়ে পড়ে হলে থাকার অভিজ্ঞতা না থাকলে নাকি জীবনই বৃথা।
আমার এই একটাই আফসোস। ৫টা বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও একটা রাত হলে কাটাতে পারিনি।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৩
পল্লীবালক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, হলে না থাকলে এমন অনেক কিছু মিস করেছেন যেটা কেবল হলে থাকলেই অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, হলে থাকা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর সেরা বিদ্যাপীঠ। স্বাগতম আপনাকে এখানে, এবং সামুতে।
( মন্তব্য যদিও আবেগায়িত হয়ে গেল, কিন্তু কি ার করা? ভালোবাসা ার আবেগ তো একই মুদ্রার ে পীঠ ও পীঠ)