![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৃষ্ণপক্ষের মুহিব-
হুমায়ুন আহমেদ এর ট্রেডমার্ক-মধ্যবিত্ত সমাজেরই একজন। এই পৃথিবীর সুখ ঠিক তাদের ভাগ্যে সয় না। যতদিন এখানে থাকতে হয়- নানামুখি বিপরীত শক্তি তাদের নিষ্পাপ কোমলতাকে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত করে দিতে চায়। কিন্তু এসব ম্লানিমা তাদের ঠিক স্পর্শ করতে পারে না। জেবা আপার মতো মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করে নিলেও, একসময় আসল সত্যটা বেরিয়ে আসে। উপরতলার মানুষদের সব মেকি ভালবাসার মুখে থুথু ছিটিয়ে, সবকিছু ছেড়ে- কোনো এক কঠিন মুহূর্তে জেবা আপা চলে আসে; যেখানে মুহিব মৃত্যুশয্যায় আর তার নিজের সামনে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ। এঁদের জীবনে ভালবাসার মুহূর্ত যে আসেনা তা নয়; বরং সবচে তীব্র ভালবাসার সন্ধানই তারা পায়। অরুর মতো মেয়ে-যারা প্রচণ্ড ভালবাসায় জড়িয়ে রাখতে জানে; জেবা আপার মতো বড় বোন-মায়ের স্নেহের অভাব যে বুঝতে দেয়না; বজলু, তোফাজ্জল, লেয়াকতের মতো বন্ধু এঁদের জীবনকে পরতে পরতে নিবিড় মায়ায় জড়িয়ে রাখে। প্রিয়দর্শিনীর মতো, লীনার মতো শিশুদের স্পর্শে এঁরা নিষ্পাপ থাকে। তবে এসবকিছুই ক্ষণিকের জন্য। এ পৃথিবীতে- আনন্দ বেদনার তীর্থযাত্রায়- বেদনাই হয় তাঁদের নিত্যসঙ্গী। হঠাৎ কোনোদিন হয়তো একটু সুখস্বপ্নের আভাস দেখা যায়। শান্তি সুখের ছোট্ট নীড় বাঁধার জন্য, একটু নিরাপত্তার জন্য- সেই স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখতে গিয়েই হয়তো তাদের বিদায় নিতে হয়। যারা থেকে যায়, সেই হারানোর বেদনার ভার বয়ে বেড়াতে হয় সারাটা জীবন। সুখের মাঝে ডুবে থাকলেও ওই এক টুকরো দুঃখ বিঁধে থাকে কাঁটার মতো।
©somewhere in net ltd.