![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাঁজ কাটা ! খাঁজ কাটা !! খাঁজ কাটা গল্প!!!
.......................
আমি কিছু লিখতে গেলেই আমার চোখের নজর যতদূর যায় আমি শুধু পোড়া বেগুন ভর্তাই দেখতে পাই! তাই কবিতা, গল্প কিংবা উপন্যাস নয় আমার লেখার পাতা ভরে ওঠে শুধু পোড়া বেগুন ভর্তায়! ছোট বেলায় শোনা আপনাদের এক ছাত্রের খাজ কাটা কুমিরেরের রচনা লেখার কথা স্মরণ থাকবে হয়তো, যেখানে ছাত্রকে যে বিষয়েই রচনা লিখতে দেয়া হবে সে যেভাবে যেমন করেই কুমিরের খাজ কাটা লেজ তুলে আনবেইঃ শুনুন তবে সেই গল্প!
এক শিক্ষক তার এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে খুবই সমস্যায় আছে । শিক্ষার্থী বাংলায় খুব দূর্বল বিশেষ করে রচনা মুখস্ত তো করতেই পারেনা আবার নিজেও সৃজনশীল কিছু লিখতে পারেনা!
তাই শিক্ষক তার এই দূর্বলতা দূর করার জন্য একটি উপায় বের করলেন । তিনি ঠিক করলেন তার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন একটি করে রচনা লিখতে দিবেন নিজের মন মত করে লিখতে। এতে করে যদি কিছু নিজে থেকে লিখতে লিখতে কিছুটা রচনা লেখায় পারদর্শী হতে পারে ।
সে অনুসারে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে যেকোন প্রাণী সম্পর্কে একটি রচনা লিখে নিয়ে আসতে বলল ।
শিক্ষার্থী যথারীতি ''কুমির'' এর উপর একটি রচনা লিখে নিয়ে আসল । রচনাটি ছিল এরকম
একটি লেখা তা আমি কুমির জলে বাস করে । এর চারটি পা আছে । দুটি চোখ আছে । লম্বা চোয়াল বিশিষ্ট মুখ আছে । দাঁত খুব শক্তিশালী । এর একটি লেজ আছে । লেজের উপর খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে)
এরপরের সেই শিক্ষক তার প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে রচনা লিখতে বলায় সে লিখলো, আমার প্র
সে লিখল- আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম মোহাম্মদ আসাদ। তার চোখ গুলো গোলগোল।
কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেনে রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাজ কাটা, খাঁজ কাটা... (খাতার পাঁচ পৃষ্ঠা শেষ)।
শিক্ষক তার রচনা দেখে খুব রাগান্বিত হল । এবার শিক্ষার্থীকে গরুর রচনা লিখে নিয়ে আসতে বলল।
শিক্ষার্থী গরু সম্পর্কে লিখে নিয়ে আসল -----
গরু গৃহপালিত প্রাণী । এর চারটি পা আছে । দুটি কান, দুটি চোখ, একটি মাথা ও একটি লম্বা লেজ আছে। গরু ঘাস খেয়ে জীবন ধারণ করে । গরুকে নদীর ধারে ঘসে খেতে দেয়া হয় । ঐ নদীতে কুমির থাকে । কুমিরের লেজের উপর থাকে খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে) ।
শিক্ষক এটা দেখে খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন । একে তো কুমিরের কাছ থেকে সরাতে হবে । তাই তিনি অন্য রকম একটি বিষয়ে অর্থাৎ উড়োজাহাজ সম্পর্কে রচনা লিখতে বললেন ।
শিক্ষার্থীও উড়োজাহাজ সম্পর্কে রচনা লিখে আনল এরকম -----
উড়োজাহাজ আকাশে উড়ে । এর সাহায়্যে সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায় । উড়োজাহাজ মাঝে মাঝে দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে নদীতে আছড়ে পড়ে । সেই নদীতে কুমির থাকে । সেই কুমিরের লেজ থাকে খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা ................. (এভাবে লিখতে লিখতে তিন পৃষ্টা লিখে এনেছে) ।
শিক্ষক কোন উপায় না দেখে তাকে নবাব সিরাজোদ্দৌউল্লাহ সম্পর্কে রচনা লিখে নিয়ে আসতে বললেন ।
শিক্ষার্থী সিরাজোদ্দৌউল্লাহ রচনায় লিখে নিয়ে আসল ----
সিরাজউদ্দোল্লাহ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন । ১৭৫৭ সালে তিনি পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় । যুদ্ধের সময় তিনি মীর জাফর, রায় দূর্লভ, জগৎ শেঠ এদের উপর বিশ্বাস করে দ্বায়িত্ব দিয়ে খাল কেটে কুমির এনিছিলেন । সেই কুমিরের পিঠে ছিল খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা ...............................................
এভাবেই সেই ছাত্রের মতো আমার সব লেখাও হয়ে ওঠে ভর্তাময়। অনেকদিন বিরতি নিয়েও এ যন্ত্রনা থেকে নিষ্কৃতি না পেয়ে আবারও বেগুন ভর্তাকথনঃ
বেগুন ভর্তা আরও সুস্বাদু করতে অনুসরণ করতে পারেন।
উপকরণ: বেগুন ২,৩টি। পেঁয়াজ-কুচি বড় ১,২টি। শুকনা-মরিচ টালা ৫,৬টি। লবণ, ধনেপাতা-কুচি ও সরিষার তেল পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি: প্রথমে বেগুন ধুয়ে মুছে নিন। এবার ছুরির আগা দিয়ে বেগুনের গেয়ে একটু দাগ কেটে অল্প তেল মাখিয়ে নিন।
গ্যাসের চুলায় বসিয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বেগুনগুলো পুইড়িয়ে নিন। তারপর পোড়া বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে নিন যতটুকু সম্ভব। মরিচ টেলে নিন।
একটি বাটিতে পেঁয়াজ-কুচি, মরিচ, ধনেপাতা, সরিষার তেল ও লবণ নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে বেগুনগুলো দিয়ে ভালো করে ভর্তা করুন।
ব্যস, হয়ে গেল পোড়া বেগুনের ভর্তা। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। আর আমাকে পোড়াতে থাকুন মনের হরষে! কারণ কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনা!
রেসিপি সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম
গল্প সূত্রঃ হাসির গল্প
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৩
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনাকে মিস করছিলাম।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমিও মিস করেছি অনেক।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
মাথায় ভাঁড়ামী ছাড়া অন্য কিছু নেই?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৭
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আগাছার মাঝে বসবাস করে
আরতো কিছু শিখি নাই ভাঁড়ামী ছাড়া!
মুক্ত পরিবেশে আপনাকে স্বাগতম।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কেমন আছেন?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কৃপায়
ভালো আছি।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ডিনারে কি বেগুন ভর্তা আছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০০
পোড়া বেগুন বলেছেন:
রাখা যেতেই পারে! এমনকি হাজী বিরিয়ানীর সাথেও!
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কই ছিলেন এতোদিন?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০২
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আগাছা থেকে দূরে, বহু দূরে...
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগার সোনাগাজী আপনাকে চিনতে/বুঝতে পারেন নি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৪
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমার ধরণা আপনি বুঝতে ভুল করেছেন,
সোনাগাজী নন! তিনি অতি বিচক্ষন!
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কুমির রচনা কমন পরছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৯
পোড়া বেগুন বলেছেন: এক মরুভূমিতে থাকতো এক জলদস্যু,
সে দস্যু মাঝে মাঝে জলে নামতো। সেই জলে থাকতো এক কুমির,.
তার পরে সেই একই গল্প, খাঁজ কাটা! , খাঁজ কাটা! খাঁজ কাটা!!!
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগার অপ্সরা আপুও আপনাকে মিস করসেন হয়তো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২২
পোড়া বেগুন বলেছেন:
তিনি আছেন তার হারিয়ে যাওয়া হরেণের সন্ধানে!
তারতো আমাকে মিস করার কথা নয়!
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
কামাল৮০ বলেছেন: বেগুন ভর্তার রচনা লিখতে বললে কি লিখবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৭
পোড়া বেগুন বলেছেন:
কে কি লিখবে তা আমার জানা নেই,
তবে আমাকে হরিণ ধরতে বলুন আর অপ্সরা ধরতে বলুন,
আমি সবগুলোকে ভর্তাই করে ফেলবো মনে হয়!
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৫
অপ্সরা বলেছেন: এক দেশে ছিলো একটা ছোট্ট চারা গাছ। কই থেকে যে বাগানের আগাছায় জন্মেছিলো। মালি ফেলে দিতে গিয়েও ফেললো না। সেই গাছ তরতরিয়ে বড় হলো। তাতে ধরলো একটা ফল .... মালী এসে বললো, আরে ইডা তো বাইগন। তয় শুধু বাইগন না বাইগনের বাইচ্চা বাইগন.. তারপর সেই বাইচ্চা একটু বড় হতেই মালী সেই বাইগন ছিড়ে নিয়ে তার বউকে দিলো।
বউটা খড়ির চুলায় পুড়িয়ে বানালো বাইগনের ভর্তা।
শুকনা মরিচ লবন তেল দিয়ে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩০
পোড়া বেগুন বলেছেন:
অদক্ষ মালী হলে যা হবার তাই হয়! তার বোধগম্য হয় নাই কোনটা আগাছা আর কোনটা গুনে ভিরা বেগুন! ভাগ্যিস বউটা তার বুদ্ধিমতি ছিলো তাই এমন গুণবতী বেগুনকে ফেলে না দিয়ে গবেট মালীটাকে বেগুন ভর্তার মজা ও কদর বুঝাতে সক্ষম হইছিলো!
কথায় আছেনা,
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখিবে তাই।
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও আর পৃষ্ঠা তিনেক সপ্নে পাওয়া বেগুন ভর্তার আরো বহুশোত রেসিপি দিতে পারতেন
হারিয়ে গিয়ে ফের আসলেন- বেশ, ব্লগে একটা কুমির ছেড়ে দেন এখন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
পোড়া বেগুন বলেছেন:
দাদা তাতে শুধু বেগুন ভর্তার জয় জয়কার হবে। তবুও আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করার জন্য নিজেকে পুড়িয়ে আবারও একটি বেগুন ভর্তার নতুন রেসিপি দিলাম, দেখুন মজা কেমন!
বেগুন ভর্তার প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
বেগুন, সরষের তেল, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, টমেটো, নুন স্বাদ মত।
প্রস্তুত প্রণালীঃ বেগুন কে পুড়িয়ে নিয়ে বা হাল্কা ভেজে নিয়ে বেগুন ভর্তা বানানো যায়। আবার কেউ কেউ বেগুন একটু হালকা সিদ্ধ করে নেন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে সেখানে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভাজা ভাজা হলে টমেটো কুচি দিতে হবে, তারপর তাতে বেগুনের টুকরো গুলি দিয়ে দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। একেবারে শুকনো শুকনো হয়ে গেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন বেগুনের ভর্তা। এই
ভর্তাকে আমাদের দেশে বাইগুন ভর্তা , বেগুন ভর্তা বলা হলেও ভারতের ভোজপুরী ভাষী অঞ্চলে এবং উত্তর প্রদেশের পূর্ব অংশে এবং পশ্চিমে বিহারে ‘বেইগান কা চোখা’ নামে পরিচিত।
কুমির অলরেডি ছেড়ে দিয়েছি, নিচে দেখুন তার তান্ডব!
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১২
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
যে তরিকা বাতলে দিলেন, তাতে তো মনে হয় বেগুন তার আগ্রাসী বৈশিষ্ট্য ছাড়তে বাইধ্য হইবো। সত্যি কি সে তার জিহাদী ভুমিকা ছাড়বোনি? মানে চুলকানি? যদি সে তার এই এই বৈশিষ্ট্য ছাড়তে পারে, তয় একদিন তারে নিয়া খেলতে বসুম
।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
পোড়া বেগুন বলেছেন: সৈয়দ সাব,
বেগুনের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যদিও আপনার মতো অনেকের মাঝেই প্রচলিত একটি ধারণাকে রয়েছে—বেগুনের নাকি কোন গুনই নাই। তবে আপনি যদি আপনার খাদ্যতালিকায় ১০০ গ্রাম বেগুন অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে ৪২ কিলো-ক্যালকে যে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা পাবেন, সেটা হচ্ছে ২.২ গ্রামের মতো। এ ছাড়া বেগুন থেকে আমরা প্রোটিন পাই। বেগুন থেকে আমরা ১.৮ গ্রামের মতো প্রোটিন পেয়ে যাব।
বেগুন থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। বেগুন থেকে আমরা ২৮ মিলিগ্রামের মতো ক্যালসিয়াম পেতে পারি। এ ছাড়া বেগুন থেকে আমরা ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রামের মতো পেয়ে যাই। বেগুন থেকে আমরা আয়রনও পাই। বেগুনে ০.৯ গ্রামের মতো আয়রন পাব। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যচাহিদায় যেসব ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, তার মধ্যে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং ভিটামিন বি৬-এর যে চাহিদা, বেগুন থেকে আমরা তার ৫ শতাংশ পেতে পারি।
বেগুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা
পুষ্টিবিদের মতে বেগুন থেকে আমরা ফাইবার পেয়ে থাকি। ফাইবারের পাশাপাশি পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ পাই, যেগুলো সাধারণত আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ২০১৯ সালে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুন থেকে আমরা যে ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েডস পেয়ে থাকি, সেগুলো সাধারণত আমাদের হার্টজনিত বা হার্টের রোগজনিত বিভিন্ন ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেগুন থেকে আমরা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড পেয়ে থাকি, সেটি সাধারণত আমাদের শরীরের যেসব খারাপ কোলেস্টেরল আছে, সেগুলোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেগুন থেকে পাওয়া অ্যান্থসাইনিন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যেগুলো আছে, সেগুলো সাধারণত আমাদের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বেগুনে পর্যাপ্ত ফাইবার পাওয়া যায় এবং বেগুনে কম ক্যালোরি থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে। বেগুনে বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাওয়া যায়, যেগুলো আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। বেগুনে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়, যেটি আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। বেগুন আমাদের চোখ ভালো রাখতেও সাহায্য করে। বেগুন আমাদের ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেগুনে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাঙ্গানিজ কিন্তু ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র সঙ্গে বন্ধন তৈরি করে হাড়ের গঠনকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
তবে সতর্কতা হিসেবে মনে রাখতে হবেঃ
বেগুনে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি আছে এবং যাদের ব্রণ অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে, তাদের চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করে তবেই খাদ্যতালিকায় বেগুন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শুধু শুধু বেগুনে চুলকানি আছে বলে বেগুনকে গাল মন্দ করবেন না। আগে নিজে ভালো হোন, তার পরে বেগুন ভাজি অথবা ভর্তা খান!
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫১
অপ্সরা বলেছেন: যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখিবে তাই।
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
কথা ঠিক। বউটার পোড়া বেগুনের ভরতা খেয়ে ঐ বেটা মালী এই প্রবাদ পড়ে বাগানে ছাই না পেয়ে মাটি খুড়তে শুরু করলো। সেই খুড়াখুড়িতে এক বিরাট দিঘীর জন্ম নিলো। আর সেখানে চলে আসলো এক গায়েবী কুমীর।
কুমীরটা অদ্ভূৎ! তার সারা গায়ে পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া......
তাি দেখে বুদ্ধিমতী বউটা বললো, এখন থেকে নতুন গল্প শুরু হলো...... কুমীরটার গায়ে পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া পোড় খাওয়া
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৬
পোড়া বেগুন বলেছেন:
এক পোড়া বেগুন নিয়ে সমস্যায় আছি, তার পরে আবার আপনি সোনার হরিণ ধরতে না পেরে মনের দুঃখে পোড় খাওয়া কুমির ধরে এনে ছেড়ে দিলেন; এবার দেখুন তার তান্ডব! গর্ত খুড়ে কুমির আনলো বোকা মালী!
যদিও টিকতে পারবে বলে মনে হয়না! গর্তের কুমিরের সমুদ্র দূরের কথা খালও দেখা হবেনা। মরবে পানি না পেয়ে, এমন দেখিছি অনেক।
কিছু সবজান্তা শমসের আছেন যারা বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য লিখতেও গর্ত খুঁড়ে কুমিরের লেজ টেনে পোড় খাওয়া কুমির বের করে আনেন আনেন!
একবার রচনা এলো বাবামায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য। তো সে ছাত্র লিখলো- বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে। কুমিররাও তাই করে। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে।এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা,খাজ কাটা…দশ পৃষ্ঠা শেষ!
আপনার মন্তব্য লিখুন
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পোস্ট ও কমেন্ট তো রীতিমতো জমে উঠেছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমিতো ভয়ে ভয়ে আছি দাদা!
পোড়া বাগুন হইয়া তো ভালই ছিলাম এবার
পোড়া কুমির তাড়া করতাছে!
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২
স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: জলে নামিয়া কূমিরের লগে পাঙা নিবাইন কেল্লাই? আইজগা জৈনক ব্লগার ত্রেড খাইয়াছে। ভিটা চাড়া হৈবান্নি? ভুলেউ ভুলভার্ন কুমিররে উত্তেজিতকরণ করবাইন নহে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫
পোড়া বেগুন বলেছেন:
জলে নামিয়া কুমিরের সাথে পাঙা নেবার সাহস কই?
আমি এখন জলে নয় চুলায় পুড়তেছি!
পুড়বো তবুও ভিটা ছাড়া হইতে চাইনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওয়েল কাম ব্যাক পোড়া বেগুন।