![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি, ধর্ম ও শাস্ত্রীয় মতবাদকে ছোট করা বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের লেখার উদ্দেশ্য নয়। তথাপিও; যদি; অজানতে আমাদের লেখার বিষয়বস্তু বা কোনো বাক্য কারো মতের বিপক্ষে যায়; সেক্ষেত্রে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনে রাখতে হবে; যেহেতু; আমাদের পোস্টগুলো বিষয় ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী। লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা; কাউকে হেওপ্রতিপন্ন করা নয়। তাই; সকলের প্রতি আবারও বিনীত নিবেদন; প্রতিটি পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের করে লেখককে উৎসাহিত করবেন। যেহেতু; প্রতিটি পোস্ট তৈরিতে লেখকের প্রচুর মেধা ও শ্রম ব্যয় হয়। আর যদি তা না পারেন; তবে; খারাপ মন্তব্য করা হতে বিরত থাকবেন। লেখাতে তথ্যগত ভুল, অসংগতি ও ইতিহাস বিভ্রাট দেখা গেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। গুরু গৃহ কর্তৃপক্ষ ও পরম কাঁইজি
দুর্গার স্বরূপ বিশ্লেষণ
(Analysis of Sooth of Od)
‘ تحليل واقع من ‘التطوير التنظيمي’
(তাহলিল ওয়াক্বায়া মিন আত্তাতুয়ির আত্তাঞ্জিমি)
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘শুক্র’ পরিবারের অন্যতম একটি ‘ছদ্মনাম পরিভাষা’। রূপক সাহিত্যে বর্ণিত সব পরিভাষার সর্বদা দু’টি দিক বিদ্যমান। তা হচ্ছে কাল্পনিকদর্শন (Mythosphilosophy) বা প্রপক (Extensive) ও আত্মদর্শন (Theosophy)। অথবা কাল্পনিকতত্ত্ব (Mythology) ও আত্মতত্ত্ব (Theology)। এ সূত্র অনুসারে দুর্গারও দু’টি দিক রয়েছে। সাধারণ মানুষ অর্থাৎ সাধারণ শাস্ত্রীয়রা কেবল কাল্পনিক দর্শন ছিটেফোটা জানে কিন্তু আত্মদর্শন বা আত্মতত্ত্ব জানে না একেবারেই। মহাত্মা লালন সাঁইজি বলেছেন- “আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে, দিব্যজ্ঞানী সে হয়েছে, কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে, আমার মনের ঘোর গেল না।”(পবিত্র লালন- ৮২৮/৩)। রূপক সাহিত্যের পরিভাষাগুলোর আত্মদর্শন না জানা আর বোকার রাজ্যে বাস করা সমান। সে জন্য এখানে সংক্ষিপ্তভাবে দুর্গার কাল্পনিকদর্শন ও আত্মদর্শন আলোচনা করা হলো।
কাল্পনিকদর্শন (Mythosphilosophy) বা প্রপক (Extensive)
পরমা প্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ ও পুরাণোক্ত শিবপত্নী। মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ হতে বিতাড়িত করে স্বর্গরাজ্যলাভ করেন। দেবতারা বিপন্ন হয়ে ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা শিব ও দেবতাদের সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে যান। অতঃপর তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেন ও তাঁদের বিপদ হতে উদ্ধার করতে অনুরোধ করেন। কারণ ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর পুরুষের অবাধ্য হয়েছে। তখন বিষ্ণু বলেন- এই অসুরকে বধ করতে হলে নিজ নিজ স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়ে স্বস্ব তেজের কাছে এই প্রার্থনা করতে হবে যে, এই সমবেতভাবে উৎপন্ন তেজ হতে যেন এক নারী-মূর্তি আবির্ভূতা হন। এই নারীই অসুরকে বধ করতে পারবেন। এরূপ শুনে ব্রহ্মা, ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবতাদের দেহ হতে তেজ নির্গত হলো। সমবেত তেজরাশি হতে এক নারী-মূর্তি আবির্ভূতা হলেন। তখন সব দেবতা তাঁদের নিজ নিজ অস্ত্রাদি তাঁকে দান করলেন। এই দেবী মহিষাসুরকে তিনবার বধ করেন। প্রথমবার অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডারূপে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার দশভূজা দুর্গারূপে। রাত্রে ভদ্রকালীর মূর্তি স্বপ্নে দেখে মহিষাসুর এই মূর্তির আরাধনা করেছিলেন। দেবী মহিষাসুরের কাছে এলে মহিষাসুর বলেন, “আপনার হাতে মৃত্যুর জন্য কোন দুঃখ নেই। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমিও যাতে সর্বজনের পূজিত হই; তারই ব্যবস্থা করুন।” দেবী তখন বললেন- উগ্রচণ্ডা, ভদ্রকালী ও দুর্গা- এই তিন মূর্তিতে তুমি সব সময় আমার পদলগ্ন হয়ে দেবতা, মানুষ ও রাক্ষসদের পূজ্য হবে।” (দেবী ভাগবত, মার্কণ্ডেয়চণ্ডী ও কালিকা পুরাণ)।
সত্যযুগে সুরখ রাজা ও সমাধি বৈশ্য দুর্গা-মূর্তি প্রস্তুত করে তিন বছর পূজার্চনা করেছিলেন। ত্রেতাযুগে রাবণ চৈত্রমাসে বসন্তকালে এ দুর্গা দেবীর পূজা করতেন। সে জন্য এই পূজা বাসন্তীপূজা নামে বিখ্যাত। এছাড়া শ্রী রামচন্দ্র অকালে বোধন করে রাবণ বধের জন্য এই পূজা করেছিলেন (পৌরাণিক অভিধান)। অন্যদিকে রাবণ বধ এবং জানকীকে উদ্ধার করার জন্য শ্রী রামচন্দ্র বসন্তকালের পূর্বে শরৎকালে দেবীপূজা করেছিলেন। উল্লেখ্য, শ্রী রামচন্দ্র দেবী ভগবতীকে অকালে বোধন করেছিলেন। মূলত দেবীর পূজা বসন্তকালে হয়ে থাকে। আর সেই থেকে শরতে দেবীপূজা অকালবোধন নামে পরিচিত। শরতের এই পূজাই আমাদের দুর্গোৎসব। শরতের সঙ্গে সঙ্গে হেমন্তে কাত্যায়নী দুর্গা, বসন্তে বাসন্তী পূজারও প্রচলন আছে। (তথ্যসূত্রঃ- দৈনিক যুগান্তর, ২২ অক্টোবর, ২০১২ ইং)।
দুর্গার আগমন-গমন বাহনসমূহ
(The vehicles of arrivals-departure of Od (Durga))
সাধারণত দুর্গার গমন ও আগমনে চারটি বাহন দেখা যায়।
১. গজ বা হাতি
২. ঘোটক বা ঘোড়া
৩. নৌকা
৪. দোলা বা পালকি
দেবী দুর্গার গজ এ আগমন ও গমনকে কেন্দ্র করে বলা হয়েছে- “গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা।” অর্থাৎ এই আগমন ও গমনে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে মানুষকে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যে ভরিয়ে তুলবে।
অন্যদিকে ঘোটক দেব-দেবী ও মানুষের কাজে ব্যবহৃত হলেও গজের মতো মর্যাদা না দিয়ে ঘোটকে দুর্গার আগমন ও গমন নিয়ে বলা হয়েছে- “ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে”। অর্থাৎ ঘোটকে আগমন ও গমনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রেও অস্থিরতা প্রকাশ পাবে। যেমন, রাজনৈতিক উত্থান, পতন, সামাজিক স্তরে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, গৃহযুদ্ধ, দুর্ঘটনা, অপমৃত্যু ইত্যাদির প্রভাব বাড়বে।
আবার নৌকায় আগমন ও গমনে বলা হয়েছে “শস্যবৃদ্ধিস্তুথাজলম।” এ ক্ষেত্রে প্রবল বন্যা, ঝড়, অতিবৃষ্টি ইত্যাদির জন্যে একদিকে প্লাবন ও ক্ষয়ক্ষতি এবং অন্যদিকে দ্বিগুণ শস্যবৃদ্ধি। এর মধ্যে দোলায় আগমন ও গমন সবচেয়ে অশুভ। তাই দোলা সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, “দোলায়াং মরকং ভবেৎ”। মহামারি, ভূমিকম্প, যুদ্ধ, মন্বন্তর, খরা ইত্যাদির প্রভাবে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তো ঘটাবেই, আবার সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতিও হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, একমাত্র গজ ছাড়া দেবী দুর্গার অন্য তিন যানবাহনের মাধ্যমে ধ্বংস বা লয়কে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধুমাত্র গজই প্রয়োজন মতো বৃষ্টি ধারায় বসুন্ধরাকে ধন- ধান্যে সমৃদ্ধ করে তুলবে।
কৈলাস (Kailash)/ (Male body)
এটি একটি পর্বতমালা বিশেষ। পুরাণোক্ত মহাদেব ও কুবেরের বাসস্থানরূপে এ পর্বত বিখ্যাত। এর অবস্থান হিমালয়ের চূড়ায় মানস-সরোবরের উত্তর-পশ্চিম দিকে। এখানে মহাদেবের রাজপুরী অবস্থিত। মহাদেবের মহামান্যা স্ত্রী শ্রীমতি দুর্গা, শ্রীমতি পার্বতী এখানে বাস করেন। এ কৈলাস হতেই মহামান্যা শ্রীমতি দুর্গা প্রতিবছর মর্ত্যধামে গমনাগমন করে থাকেন।
আত্মদর্শন (Theosophy)
এবার আমাদের কথা হচ্ছে কে এই দুর্গা? আর পুরাণীরা কেন দুর্গাকে মা বলে থাকেন? অন্যদিকে কুরানীরা ফাত্বিমাকে মা বলে থাকেন। তবে কী দুর্গা ও ফাত্বিমার মধ্যে তাত্ত্বিক কোন মিল আছে?
হ্যাঁ এরূপ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- বাংভারতীয় পুরাণীরা মানবদেহের যে সত্তাকে মা দুর্গা বলে থাকেন; কুরানীরা সে সত্তাকেই মা ফাত্বিমা বলে থাকেন। মা দুর্গা ও মা ফাত্বিমা মানবদেহের একই সত্তা কেবল ভাষার ভিন্নতা মাত্র। দুর্গার অপর নাম আদ্যা বা আদ্যাশক্তি। যিনি জগৎ সৃষ্টির আদি কারণ। যাকে সৃষ্টি করা না হলে এ বিশ্ব সৃষ্টি করা হতো না। নিচে দুর্গা বা আদ্যাশক্তির আত্মতাত্ত্বিক দর্শন তুলে ধরা হলো। সর্ব প্রথমে ওপরোক্ত প্রপকটির মধ্যে ব্যবহৃত রূপক ও ছদ্মনামগুলোর মূলক বের করে দেখানো হলো।
ক্রমিক ছদ্মনাম মূলক
১ মহাদেব শিশ্ন
২ কৈলাস পুরুষদেহ
৩ পার্বতী বীর্য
৪ হাতি/ গজ পুরুষদেহ
৫ ঘোড়া/ ঘোটক পুরুষদেহ ও মন
৬ নৌকা পুরুষদেহ, নারীদেহ ও ভগ
৭ দোলা/ পালকি নারীদেহ
৮ শিব শিশ্ন
৯ দুর্গা বীর্য
১০ স্বর্গ দেহ
১১ দেবতা বৈক্তিকসদস্যের ছদ্মনাম
১২ ব্রহ্মা কালোবর্ণের মানবজল
১৩ বিষ্ণু সাদাবর্ণের মানবজল
১৪ মহিষাসুর শিশ্ন
১৫ মহিষাসুর বধ বীর্যপাত
হাতি/ গজ (Elephant)
সাধারণত বিশালদেহী এক প্রকার বন্য প্রাণীকে হাতি বলা হয়। কিন্তু রূপক সাহিত্যে যে কোন বিশালদেহী প্রাণীকেই হাতি বলা হয়। আর এ সূত্র ধরেই রূপক সাহিত্যে মানবদেহকে হাতি বলা হয়। তবে রূপক সাহিত্যে ব্যবহৃত হাতি পরিভাষাটির দ্বারা একমাত্র পুরুষদেহকেই বুঝায়। যেমন পবিত্র কুরানে বলা হয়েছে- “আপনি কী দেখেন না যে- আপনার প্রতিপালক হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ আচরণ করেন?” “أَلَمْ تَرَى كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ” (আলাম তারা কাইফা ফায়ালা রাব্বুকা বি আসহাবিল ফিল)। (Alam tara kayfa fa'ala rabbuka bi-ashabil feel). "Have you not seen how your Lord dealt with the Elephant forces? (কুরান, সুরা ফিল- ১)। “তাদের চক্রান্তকে তিনি কী পথভ্রষ্টায় পতিত করেন না?” “أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ” (Alam yeaj'al kaydahum fee tadleel). "Did He not make their plot go astray?" (কুরান, সুরা ফিল- ২)। “তাদের প্রতি পক্ষীদল প্রেরিত হয়।” “وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ” (ওয়া আরসালা আলাইহিম ত্বইরান আবাবিল)। (Wa arsala alayhim tayran ababeel). "And sent against them birds, in flocks." (কুরান, সুরা ফিল- ৩)। “তাদের প্রতি তলদেশ হতে প্রস্তর নিক্ষিপ্ত হয়।” “تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلٍ” (তারমিহিম বিহিজারতিম মিন সিজ্জিল)। (Tarmeehim bihijaratim min sijjeel). "Striking them with stones of Sijjîl." (কুরান, সুরা ফিল- ৪)। “পরে তাদের চর্বণকৃত ভুষিবৎ করা হয়।” “فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَأْكُولٍ” (ফাজায়ালাহুম কায়াসফিম মা’কুল)। (Fa ja'lahum ka'asfim ma'kul). "And made them like an empty field of stalks." (কুরান, সুরা ফিল- ৫)।
ঘোড়া/ ঘোটকঃ (Horse)
সাধারণত এক প্রকার ভারবাহী ও দ্রুত গমনশীল গৃহপালিত প্রাণীকে ঘোড়া বলা হয়। তবে রূপক সাহিত্যে মানবদেহ ও মনকে ঘোড়া বলা হয়। এখানে ঘোড়া বলতে মানবদেহকে বুঝানো হয়েছে। মানবদেহ দুই প্রকার। যথা- ১.পুরুষদেহ ও ২.নারীদেহ। রূপক সাহিত্যে ব্যবহৃত ঘোড়া পরিভাষাটির দ্বারা যদি দেহ বুঝানো হয় তবে তা হবে অবশ্যই পুরুষদেহ। কারণ নারীদেহকে কখনই ঘোড়া বলা হয় না। যেমন মহাত্মা লালন সাঁইজি বলেছেন- “শশকপুরুষ সত্যবাদী, মৃগপুরুষ ঊর্ধ্বভেদী, অশ্ব বৃষ বেহুঁশ নিরবধি, কু’কর্মেতে সদায় মন” (পবিত্র লালন- ৯১৫/৩)।
নৌকাঃ (Boat)
সাধারণত সনাতনী ভাবে প্রস্তুত জলযানকে নৌকা বা তরী বলা হয়। কিন্তু রূপক সাহিত্যে দেহ ও মনকে নৌকা বলা হয়। তবে এখানে কেবল দেহকে নৌকা বলা হয়েছে। দেহ দুই প্রকার। যথা- ১.পুরুষদেহ ও ২.নারীদেহ। এখানে দেহ বলতে কেবল পুরুষদেহকেই বুঝাবে। উল্লেখ্য দুর্গা হচ্ছে পুরুষদেহের বীর্য, নৌকা হচ্ছে পুরুষদেহ এবং দোলা হচ্ছে নারীদেহ। এই বীর্য পুরুষ দেহরূপ নৌকায় চড়ে আসে এবং বীর্যপাতের পর নারীদেহরূপ দোলায় চড়ে স্বর্গধামরূপ জরায়ুতে যায়। যেমন- মহাত্মা লালন সাঁইজি লিখেছেন- “এ দেশেতে এ সুখ হলো, আবার কোথায় যাই না জানি, পেয়েছি এক ভাঙ্গা নৌকা, জনম গেল সেচতে পানি।” (পবিত্র লালন- ২১৬/১)।
দোলা/ পালকিঃ (Sedan)
সাধারণত রাজা, সম্রাট ও বিত্তবানরা মধ্যযুগে ও আধুনিক যুগের প্রাথমিক দিকে কোথাও যাওয়া আসার জন্য যে সনাতনী মানবযান ব্যবহার করতেন তাকে পালকি বা দোলা বলা হয়। তবে রূপক সাহিত্যে কেবল নারীদেহকে পালকি বা দোলা বলা হয়। কামযজ্ঞের সময় নারীদেহ পুরুষকে নাগরদোলার মতো দোলায় বলেই এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে- “দোলা দে দোলা দে, দোলা দেরে পাগলা।”
মহিষাসুর তিনবার বধের ব্যাখ্যা
(Explanation of three-kill of Piercer)
রূপক সাহিত্যে শিশ্নকে রূপকার্থে মহিষাসুর বলা হয়। কামযজ্ঞে রত হলে মহিষাসুরকে হত্যা করার জন্য কবন্ধ তিনবার কামরস নিক্ষেপ করে। ঊর্ধ্বরেতা সাধকরা বৈতরণী অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সাধারণ কামুকরা কবন্ধের হাতে মৃত্যুবরণ করে। একেই রূপক আকারে তিনবার মহিষাসুর বধ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রকৃতপক্ষে মহিষাসুর কখনই তিনবার মৃত্যুবরণ করে না। যদিও কোন কোন বর্ণনায় এর প্রমাণও তুলে ধরা হয়, তাও রূপক।
অন্যদিকে শাস্ত্রীয় কুরানী মনীষীরা বর্থ্যকে পাথর মারা বলে বিষয়টি উল্লেখ করে থাকেন। কামযজ্ঞে তিনবার কামরস নিঃসরণের চিহ্নরূপে তিনবার পাথর মারা হয়। এখানে বর্থ্য হচ্ছে ব্যর্থতা। শিশ্নের চিহ্নরূপে একটি কাঠি পুঁতে রেখে তাকে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে প্রতি ৭ মিনিট পর একবার কামরস নিঃসরণ হয়। এ সূত্র মতে কামযজ্ঞে রত হওয়ার প্রায় ৭ মিনিট, ১৪ মিনিট ও ২১ মিনিট পর কামরস নিঃসৃত হয়। তারপর আর কামরস আসে না। এরই রূপক ব্যাখ্যারূপে তিনবারে মোট ২১টি পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে শুক্রপাত না হলে সাধক অটলত্বলাভ করে। আর শুক্রপাত হলে সে মৃত্যুবরণ করে। পুরাণীদের মহিষাসুর বধ ও কুরানীদের বর্থ্যকে (‘ﺸﻴﻄﺎﻦ’. শয়তান) পাথর মারার মূল বিষয়টি এক ও অভিন্ন। কেবল উপমা নির্মাণের নৈপুণ্যতাটাই ভিন্ন।
দুর্গা
Od (ওড)/
‘التطوير التنظيمي’ (আত্তাত্বায়িরু আত্তাঞ্জিম)
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘শুক্র’ পরিবারের অন্যতম একটি ‘ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর মূলকসদস্য ‘শুক্র’, রূপক পরিভাষা ‘ধন’, উপমান পরিভাষা ‘অমির, আংগুর, খেজুর, নারী, নির্যাস, ধেনু, পিতৃধন, ফসল, রুটি ও স্বর্গীয়ফল’, চারিত্রিক পরিভাষা ‘নারাঙ্গী, বেহুলা, মায়া, রতী, রাধা, সীতা’ এবং অন্যান্য ছদ্মনাম পরিভাষা ‘আদিপিতা, আদিমানব, দৈত্য ও মা’।
দুর্গা (রূপ)বিণস্ত্রী আদ্যা, আদ্যাশক্তি, আদিভূতা, কালী, গৌরী, পার্বতী, ভগবতী, মহামায়া, বিপত্তারিণী বিস্ত্রী প্রকৃতি, পরমেশ্বরী, Od (ওড), ‘التطوير التنظيمي’ (আত্তাত্বায়িরু আত্তাঞ্জিম) (প্র) পুরাণোক্ত শিব বা মহাদেবের পত্নী (আবি)বি শুক্র, শুক্রাণু, বীর্য, বিন্দু, ধাতু, semen (সিমেন), ‘আ.ﻤﻧﻰ’ (মনি), ‘আ.ﻧﻂﻔﺔ’ (নুত্বফা) (আভা)বি গোবিন্দ, জল, বারি, পিতৃধন স্ত্রী অহল্যা, কালী, দুর্গা, বৈষ্ণবী, সীতা (আদৈ)বি ‘আ.ﺍﺪﻢ’ (আদম), ‘আ.ﻋﺯٰﻰ’ (ওয্যা), ‘আ.ﺠﻦ’ (জিন), ‘ফা.ﭙﺮﻯ’ (পরি), ‘আ.ﺯﻜﺎﺓ’ (যাকাত), ‘আ.ﻟﻮﻄ’ (লুত্ব), ‘ﻴﺯﻴﺪ’ (ইয়াজিদ) স্ত্রী (আ.ﺯﻟﻴﺠﺎ) (জুলেখা), (আ.ﺒﺎﻠﻜﺱ) (বিলকিস) (ব্য্য) সর্ব শাস্ত্রীয় মতবাদে শুক্র দ্বারা আদিমানব বা আদিপিতা নির্মাণ করা হয়- যেমন গোবিন্দ ও ‘আ.ﺍﺪﻢ’ (আদম) প্রমুখ। এছাড়া শুক্র দ্বারা রূপক সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে নারীচরিত্র নির্মাণ করা হয়- যেমন কালী ও (আ.ﺯﻟﻴﺠﺎ) (জুলেখা) প্রমুখ (দেপ্র) এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘শুক্র’ পরিবারের ‘ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও রূপক সাহিত্যের একটি দৈবিকা বা প্রতীতি বিশেষ (সংজ্ঞা) ১.পুরাণোক্ত শিবের স্ত্রীকে দুর্গা বলা হয় ২.রূপক সাহিত্যে পুরুষজাতির বীর্যকে রূপকার্থে দুর্গা বলা হয় (ছনা)বি আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি, দৈত্য ও মা (চরি)বিস্ত্রী দুর্গা, নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, রাধা, সীতা ও সুন্দরী (উপ)বি অমির, আংগুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন, রুটি ও স্বর্গীয়ফল (রূ)বি ধন (দেত)বি শুক্র {বাং.আদ্যা+ বাং.শক্তি}
দুর্গার ইংরেজি অনুবাদ Od (ওড)। ইংরেজি ভাষায় Od (ওড) এর তিনটি রূপ রয়েছে। যথা- OD, Od & od।
Random House Webster's Dictionary
Od
or
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭
পরম কাঁইজি বলেছেন: জয় গুরু প্রেম ভক্তি রহিল
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: স্বাগতম ওহে অতিথি!!
একটা গান হয়ে যাক---
মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি,
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।।