নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি

পরম কাঁইজি

সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি, ধর্ম ও শাস্ত্রীয় মতবাদকে ছোট করা বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের লেখার উদ্দেশ্য নয়। তথাপিও; যদি; অজানতে আমাদের লেখার বিষয়বস্তু বা কোনো বাক্য কারো মতের বিপক্ষে যায়; সেক্ষেত্রে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনে রাখতে হবে; যেহেতু; আমাদের পোস্টগুলো বিষয় ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী। লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা; কাউকে হেওপ্রতিপন্ন করা নয়। তাই; সকলের প্রতি আবারও বিনীত নিবেদন; প্রতিটি পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের করে লেখককে উৎসাহিত করবেন। যেহেতু; প্রতিটি পোস্ট তৈরিতে লেখকের প্রচুর মেধা ও শ্রম ব্যয় হয়। আর যদি তা না পারেন; তবে; খারাপ মন্তব্য করা হতে বিরত থাকবেন। লেখাতে তথ্যগত ভুল, অসংগতি ও ইতিহাস বিভ্রাট দেখা গেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। গুরু গৃহ কর্তৃপক্ষ ও পরম কাঁইজি

পরম কাঁইজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব-১

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২২



জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ)/ বলন/ Gabriel (গ্যাবরিয়েল)
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’। এর মূলকসদস্য ‘ইঙ্গিত’, রূপক পরিভাষা ‘প্রত্যাদেশ’, উপনাম পরিভাষা ‘ঐশিবাণী, দৈববাণী ও প্রতিভাস’, অন্যান্য চারিত্রিক পরিভাষা ‘গীর্বাণ, বলন ও সুবোল’ ও ছদ্মনাম পরিভাষা ‘অবতার, ঐশিদূত ও দীপন’।
গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত রূপক পরিভাষা Gabriel (গ্যাবরিয়েল) হতে আরবি ‘جبريل’ (জিবরীল) ও পরে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) নামক রূপক পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে।
টীকা (Annotation)
বিষয়টি অত্যন্ত স্মরণীয় যে, গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতিকে প্রলয়ক্ষণের শিঙ্গাবাদক বা বংশীবাদক প্রতীতি বলা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের পারস্য পুরাণ (Persian mythology) বা আরব্য পুরাণে (Arabian mythology) Seraphim (সের‌্যাফিম) বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) প্রতীতিকে প্রলয়ক্ষণের শিঙ্গাবাদক বা বংশীবাদক বলা হয়।
অন্যদিকে গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) Michael (মাইখেল) বা ‘ميكائيل’ (মিকাইল) প্রতীতিকে ঐশিবাণী বাহক প্রতীতি বলা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের পারস্য পুরাণ (Persian mythology) বা আরব্য পুরাণে (Arabian mythology) Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতিকে ঐশিবাণী বাহক প্রতীতি বলা হয়।
এটি ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতির আলোচনা। এজন্য এখানে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতিকে ঐশিবাণী বাহক প্রতীতি ধরে আলোচনা অগ্রসর করা হলো। পাঠককুলকে রূপক বর্ণনা বিভ্রান্তির মহাবিপদ হতে রক্ষা করার জন্যই বিষয়টি আগেই স্মরণ করানো হলো।
Gabriel এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotes of the Gabriel)
১ "And I heard a man's voice between the banks of the Ulai, and it called, “Gabriel, make this man understand the vision." (Daniel 8:16, English Standard Version (ESV).
২ "And the angel answering said unto him, I am Gabriel, that stand in the presence of God; and am sent to speak unto thee, and to shew thee these glad tidings." (Luke 1:19, New Testament).
৩ "In the sixth month of Elizabeth’s pregnancy, God sent the angel Gabriel to Nazareth, a town in Galilee." (Luke 1:26 New International Version (NIV).
৪ "Yea, whiles I was speaking in prayer, even the man Gabriel, whom I had seen in the vision at the beginning, being caused to fly swiftly, touched me about the time of the evening oblation." (Daniel 9:21, King James Version (KJV)).
Gab [গ্যাব] n ১ কথা, বাচন, কহন, আলাপ, আলাপন, আলাপ-আলোচনা, গল্প, বৃথা গল্প, বকবকানি, জল্পন, জল্পনা ২ চাপা, চোপা (চাপাবাজি) ক্রি জল্পনা করা, বৃথা গল্প করা, talk, speculation, prate, utterance, discussion {ই}
Gabble [গ্যাবল] v ১ বলা, বকা, কথা বলা, কথোপকথন করা ২ বকবক করা, তুচ্ছ আলাপ করা, অসার কথা বলা, চুপিসারে কথা বলা, আবোল-তাবোল বলা, বিড়বিড় করা, অস্ফুট স্বরে বলা ৩ হড়বড়ানি, হড়বড় করে বলা, দ্রুত ও অস্পষ্ট স্বরে কথা বলা 1.talk 2.tattle, maunder, blab, blether, blather, blither, babble, jabber, patter, footle, blah-blah {ই}
Gabriel [গ্যাবরিয়েল] n বাগ্দেবতা, কণ্ঠপ্রতীতি, স্বর্গীয় সংবাদবাহক (a divine messenger), ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) (প্র) ১ হিব্রু রূপকারদের সৃষ্টি প্রধান ৪ জন প্রতীতির মধ্যে একজন ২ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে যে প্রতীতি স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকে ৩ (বাইবেলের রূপক বর্ণনা অনুযায়ী) যে শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর দেবদূত কুমারী মেরীকে যিশুর জন্ম ব্যাপারে আগাম সংবাদ দিয়েছিলেন (লূক ১: ২৬-৩৮)। এছাড়াও যিনি দীক্ষাদাতা জোহনের পিতা জাকারিয়া এবং ড্যানিয়েলের নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন ৪ (ইসলামী পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যের রূপক বর্ণনা অনুযায়ী) সেই প্রতীতি যিনি বসিধের নিকট ত্রিতয় অবতীর্ণ করতেন ((in the Bible) the archangel who foretold the birth of Jesus to the Virgin Mary (Luke 1:26–38), and who also appeared to Zacharias, father of John the Baptist, and to Daniel; (in Islam) the archangel who revealed the Koran to the Prophet.) (পরি) ১ কণ্ঠপ্রতীতি, বাক্প্রতীতি, জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলেন যিনি, যে প্রতীতি বোবার কণ্ঠে না থাকার কারণে বোবা কথা বলতে পারে না ২ মানুষের মুখের কথা, স্বর্গরূপ মনে উদিত ভাব সপ্তকর্মরূপ সপ্তাকাশ অতিক্রম করে মুখ দ্বারা যিনি প্রকাশ করেন (ব্য্য) মুখের কথার চেয়ে শক্তিশালী ও মর্মঘাতী আর কিছু নাই বলে শ্বরবিজ্ঞানে মুখের কথাকে অধিক শক্তিশালী বলা হয় (শ্ববি) বাক্, কথা, ভাষণ, speak, ক্বওল (আ.ﻗﻮﻞ) (আপ্রশ) ইঙ্গিত, কম্পন, স্পন্ধন, গীর্বাণ, গীষ্পতি (আপ) যবান (ফা.ﺯﺒﺎﻦ), ইরশাদ (আ.ﺍﺮﺸﺎﺪ), ইলহাম (আ.ﺍﻟﻬﺎﻢ), এলান (আ.ﺍﻋﻼﻦ), পয়গাম (ফা.ﭙﻴﻐﺎﻢ), ফরমান (ফা.ﻔﺭﻤﺎﻦ), হাদিস (আ.ﺤﺪﻴﺚ) (ইদৈ) orator, speaker (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে যে প্রতীতি স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় তাকে Gabriel (গ্যাবরিয়েল) বলা হয় ২ জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলে যে প্রতীতি তাঁকে Gabriel (গ্যাবরিয়েল) বা বলন বলা হয় (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি প্রতীতি বিশেষ (ছনা) অবতার, ঐশিদূত ও দীপন (চাপ) গীর্বাণ, বলন ও সুবোল (উপ) ঐশিবাণী, দৈববাণী ও প্রতিভাস (রূপ) প্রত্যাদেশ (মূল) ইঙ্গিত {ই}
ইংরেজি Gab (গ্যাব) অর্থ কথা, বচন ও কহন ইত্যাদি। Gab (গ্যাব) হতে Gabble (গ্যাবল) পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। Gabble (গ্যাবল) অর্থ অস্পষ্ট স্বরে কথা বলা, ফিসফিস করে কথা বলা। অতঃপর গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) এসে Gabble (গ্যাবল) Gabriel (গাবরিল) হয়েছে। তারপর গ্রিক পুরাণ (Greek mythology) হতে পারস্য পুরাণে (Persian mythology) এসে এটি ‘جِبْرِيل’ (জিবরিল) হয়েছে। পরবর্তীকালে এটি আরব্য পুরাণে (Arabian mythology) এসে ‘جِبْرِيل’ (জিবরিল) ও ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিবরাইল) ইত্যাদি হয়েছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন মিথোলজিতে Gabble, Gabriel, ‘جِبْرِيل’ (জিবরিল) ও ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিবরাইল) যাই বলা হোক না কেন, এর অর্থ যে মুখের কথা এতে কোন সন্দেহ নেই। শ্বরবিজ্ঞানে যেহেতু মূলককে রূপক পরিভাষার আড়ালে রেখে আলোচনা করা হয় বিধায় এখানে কথার আলোচনার মূল হচ্ছে যার সাহায্যে জীব কথা বলে। অর্থাৎ বাক্প্রতীতি, বাগ্দেবতা, কণ্ঠপ্রতীতি, কণ্ঠদেবতা, কণ্ঠেশ্বর, কণ্ঠপতি, বাগ্মী, দেবী সরস্বতী, সরস্বতী দেবী। অর্থাৎ কণ্ঠে বসে কথা বলেন যিনি। বোবার কাছে মুখ ও মুখগহব্বর থাকার পরও- যে প্রতীতি না থাকার কারণে সে কথা বলতে পারে না। এককথায় কণ্ঠপ্রতীতি। একে বাংলা ভাষায় ‘বলন’, ইংরেজি ভাষায় Gabriel (গ্যাবরিয়েল) ও আরবি ভাষায় ‘جبريل’ (জিবরীল) বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলা হয়।
জিবরিল (جِبْرِيل) এর ওপর কুরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি
(Some highly important quotes of the Gabriel of the Holy Quran)
১ “ قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَىٰ قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللَّهِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ” উচ্চারণঃ ‘কূল্ মান্ কা-না ‘আদুওয়্যাল লিজিবরীলা, ফাইন্নাহূ নাঝ্ঝালাহূ ‘আলা- ক্বলবিকা বিইয্নিল্লাহি মুসোয়াদ্দিক্বল্ লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি অহুদাওঁ অবুশরা লিলমু‘মিনীন।’ অর্থঃ “বলো, ‘যে বলনের শত্রু হয় (সে অনুশোচনায় মরুক), কেননা নিশ্চয় বলন তা কাঁইয়ের অনুমতিতে তোমার অন্তরে অবতীর্ণ করে থাকে, তার সামনে থাকা গ্রন্থের সমর্থক, পথনির্দেশ ও বিশ্বাসীদের জন্য সুসংবাদরূপে।” (কুরান, সুরা বাক্বারা- ৯৭)।
২ “مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ” উচ্চারণঃ ‘মান্ কা-না ‘আদুওঁ অলিল্লাহি অমালা-য়িকাতিহী অরুসুলিহী অজিবরীলা অমীকা-লা, ফাইন্নাল্লা-হা ‘আদুওয়্যাল্লিল্ কা-ফিরীন।’ অর্থঃ “যে শত্রু হবে কাঁইয়ের, তাঁর প্রতীতিদের, তাঁর সাঁইগণের, বলনের ও বরুণের- তবে নিশ্চয় কাঁই যবনদের শত্রু।” (কুরান, সুরা বাক্বারা- ৯৮)।
৩ “ إِن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ۖ وَإِن تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَٰلِكَ ظَهِيرٌ ” উচ্চারণঃ ‘ইন্ তাতূবা ইলাল্লাহি ফাক্বদ্ সোয়াগাত্ কুলূবুকুমা- অইন্ তাজোয়া-হার ‘আলাইহি ফাইন্নাল্লা-হা হুওয়া মাওলা-হু অজিবরীলু অসোয়া-লিহুল্ মু’মিনীনা অল্মালা-য়িকাতু বা’দা যা-লিকা যোয়াহীরু।’ অর্থঃ “যদি তোমরা উভয়ে কাঁইয়ের কাছে সন্তাপ করো। কারণ; তোমাদের উভয়ের অন্তর বাঁকা হয়েছে, তোমরা যদি তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য করো, তবে কাঁইই তার অভিভাবক এবং বলন ও সৎকর্মশীল বিশ্বাসীরাও। তাছাড়া অন্যান্য প্রতীতিরাও তার সাহায্যকারী।” (কুরান, সুরা তাহরিম- ৪)।
জিবরিল [جِبْرِيل], জিব্রাইল [ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ] (রূপ)বি ১.বলন, সুবোল (সাঅ) অত্যন্ত কঠিন, অধিক শক্তিশালী (ভাঅ) স্বর্গীয় বার্তাবাহক, স্বর্গীয় বাণীবাহক (প্র) কুরানী মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে যিনি স্বর্গীয়বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন, যিনি স্বর্গধাম হতে মর্ত্যধামের মানুষের নিকট স্বর্গীয়বাণী নিয়ে অবতরণ করে থাকেন (পরি) ১ কণ্ঠপ্রতীতি, বাক্প্রতীতি, জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলেন যিনি, যে প্রতীতি বোবার কণ্ঠে না থাকার কারণে বোবা কথা বলতে পারে না ২ মানুষের মুখের কথা, স্বর্গরূপ মনে উদিত ভাব সপ্তকর্মরূপ সপ্তাকাশ অতিক্রম করে মুখ দ্বারা যিনি প্রকাশ করেন (ব্য্য) মুখের কথার চেয়ে শক্তিশালী ও মর্মঘাতী আর কিছু নাই বলে শ্বরবিজ্ঞানে মুখের কথাকে অধিক শক্তিশালী বলা হয় (শ্ববি) বাক্, কথা, ভাষণ, speak, ক্বওল (আ.ﻗﻮﻞ) (আপ্রশ) ইঙ্গিত, কম্পন, স্পন্ধন, গীর্বাণ, গীষ্পতি (আপ) যবান (ফা.ﺯﺒﺎﻦ), ইরশাদ (আ.ﺍﺮﺸﺎﺪ), ইলহাম (আ.ﺍﻟﻬﺎﻢ), এলান (আ.ﺍﻋﻼﻦ), পয়গাম (ফা.ﭙﻴﻐﺎﻢ), ফরমান (ফা.ﻔﺭﻤﺎﻦ), হাদিস (আ.ﺤﺪﻴﺚ) (ইদৈ) orator, speaker (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে যে প্রতীতি স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় তাকে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলা হয় ২ যে প্রতীতি জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলে তাঁকে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বা বলন বলা হয় (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি প্রতীতি বিশেষ (ছনা) অবতার, ঐশিদূত ও দীপন (চাপ) গীর্বাণ, বলন ও সুবোল (উপ) ঐশিবাণী, দৈববাণী ও প্রতিভাস (রূপ) প্রত্যাদেশ (মূল) ইঙ্গিত {আ}





বাংলা ভাষায় এর আরো অনেক সুন্দর সুন্দর রূপক নাম রয়েছে। নিচে শ্বরবিজ্ঞানের মূলকের আভিধানিক, রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম বিষয়ক কয়েকটি পরিভাষা তুলে ধরা হলো;
মূলক সদস্যঃ ইঙ্গিত।
আভিধানিক প্রতিশব্দঃ আভাস, ঠার, শাট, সংকেত, সংবাদ ও সন্দেশ।
রূপক পরিভাষাঃ প্রত্যাদেশ।
উপমান পরিভাষাঃ ঐশিবাণী, কথা, দীপন, দৈববাণী, বাণী, বারতা, ভাষণ ও ভাষা।
চারিত্রিক পরিভাষাঃ গীর্বাণ, গীষ্পতি, প্রণব, বলন১, বাগীশ, বাগ্মী, লক্ষণ, স্বনিত ও সুবোল।
ছদ্মনাম পরিভাষাঃ অবতার, ঐশিদূত, কথন, কুশল, দেবনাগরী, দেববাক্য, দেবভাষা, দেবাদেশ, দৈববাণী, প্রতিভাস, প্রত্যাদেশ, বচন, বাক্, বাক্য, বাক্যনবাব, বাক্যবাগীশ, বাক্যবিশারদ, বাক্যবীর, বাচন, বোল২, ভাষক, রাজভাষা, রেহা, স্বন, স্বনন, স্বর, স্বর্গীয়বাণী ও হরবমবম।
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) এর সংজ্ঞা (Definition of Gabriel)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে যে প্রতীতি স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় তাকে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলে।
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) এর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theosophical definition of Gabriel)
যে প্রতীতি জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলে তাঁকে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলে।
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) এর প্রকারভেদ (Classification of Gabriel)
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) দুই প্রকার। যথা- ১.উপমান ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) ও ২.উপমিত ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল)।
১. উপমান ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) (Analogical Gabriel)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে যে প্রতীতি স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় তাকে উপমান ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলে।
২. উপমিত ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) (Compared Gabriel)
যে প্রতীতি জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলে তাঁকে উপমিত ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলে।
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) এর কাজ (Gabriel's work)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে ঐশিবাণী, ঐশিবার্তা বা স্বর্গীয়বাণী মর্ত্যবাসীর নিকট পৌঁছে দেওয়াই Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতির প্রধান কাজ। এছাড়া মর্ত্যধামের মানুষের সুখ-দুঃখের সংবাদ ও মনোনীত প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় বিষয়-আশয় স্রষ্টার নিকট পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতির কাজ। তাদের রূপকথায় আরো বর্ণিত আছে যে, Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতির ৭০,০০০ পাখা আছে। তিনি চোখের পলকে বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে পারেন।
জিব্রাইল (ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ) এর পরিচয় (Identity of Gabriel)
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের অধীন একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে স্বর্গীয় বার্তাবাহক বা বাণীবাহক প্রতীতিকে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলা হয়।
ভারতীয় পুরাণে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) (Gabriel at the Indian mythology)
ভারতীয় পুরাণে Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতির কোন অস্তিত্ব নেই। কারণ ভারতীয় পুরাণগুলো অবতারবাদ (Non-semitism/ incarnationalism) নির্ভর। সারা বিশ্বে শাস্ত্রীয় মতবাদ দুই প্রকার। যথা- ঐশিবাদ (semitism) ও অবতারবাদ (Non-semitism)। যে মতবাদে ঈশ্বর নিজে অবতরণ না করে তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মর্ত্যধামে ঐশিবাণী প্রচার করেন তাকে ঐশিবাদ বলে। অন্যদিকে যে মতবাদে ঈশ্বর সরাসরি মানুষরূপে অবতরণ করে মর্ত্যধামে স্বর্গীয়বাণী প্রচার করেন তাকে অবতারবাদ বলে। ভারতীয় পুরাণ মতে মর্ত্যধামকে পাপমুক্ত করার জন্য যুগে যুগে ঈশ্বর মানুষরূপে অবতরণ করেছেন। যেমন- রাম অবতার ও কৃষ্ণ অবতার। তাই ভারতীয় পুরাণী দর্শনে স্বর্গীয়দূত বা ঐশিদূতের কোন প্রয়োজন, ব্যবহার ও নাম নেই।
মানবদেহে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) এর অবস্থান (Gabriel's position in the human body)
আত্মতাত্ত্বিক মনীষীদের বাস্তববাদী আত্মদর্শন অনুযায়ী যে প্রতীতি জীবের কণ্ঠে বসে কথা বলে তাকে Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) বলা হয়। জীবের কণ্ঠে দু‘জন প্রতীতি বাস করে। একজন অন্ন গ্রহণ করে এবং অন্যজন কথা বলে। বোবার কাছে Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) নেই বলেই সে কথা বলতে পারে না।
সারা বিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক মনীষীদের মতে ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) হলো মুখের কথার (Saying)/ (قول) রূপক পরিভাষা। আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের সূত্র হলো- ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্যের যে কোন মূলকের রূপক নামকরণ করলে তা প্রতীতিতে (Angel)/ (ملاك) পরিণত হয়। এ সূত্র অনুযায়ী (Saying)/ (قول)কে রূপক নামকরণ করে Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) প্রতীতি নির্মাণ করা হয়েছে।
আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের শূন্যকসূত্রঃ “মূলকের পরে শূন্য (০) হ্রাস-বৃদ্ধি করলে গাণিতিকভাবে দশগুণ পরিবর্তন হলেও মূলকের কোনো পরিবর্তন হয় না।” এ সূত্র অনুসারে ৭০,০০০ হতে ০০০ ফেলে দিলে মাত্র ৭০ থাকে। এটি হলো মানুষের গড় হৃদকম্পন (Heartbeat)। বিশ্ব বলতে মানবদেহ। তিনি চোখের পলকে বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে পারেন এটি পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যের অলঙ্কার। মস্তিষ্করূপ স্বর্গে সৃষ্টি ইঙ্গিত দেহরূপ মর্ত্যে কথারূপে প্রকাশ করাকেই স্বর্গের বাণী মর্ত্যে প্রচার বলা হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় যে ঐশিবাদী (Semitic) বা অবতারবাদী (Non-semitic) পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত স্বর্গীয় দূত Gabriel বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিব্রাইল) হচ্ছেন মানুষের মুখের কথা।

মিকাইল (مِيكَائيل)/ (Michael. মাইখেল)
============================
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘চক্ষু’ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘চারিত্রিক পরিভাষা’। এর মূলক ‘চক্ষু’, রূপক পরিভাষা ‘দ্রষ্টা’, চারিত্রিক পরিভাষা ‘নয়ন’ ও অন্য ছদ্মনাম পরিভাষা ‘দৃষ্টি’।
গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত রূপক পরিভাষা Michael (মাইখেল) হতে আরবি ‘مِيكَالَ’ (মিকাল)/ ‘مايكل’ (মিকালা), ‘ميكائيل’ (মিকাইল) ও পরে ‘ميخائيل’ (মিখাইল) নামক রূপক পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে।
Michael এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotes of the Michael)
1 "But the prince of the kingdom of Persia withstood me one and twenty days; but, lo, Michael, one of the chief princes, came to help me: and I remained there with the kings of Persia." (Daniel, Chapter 10:13).
2 "But I will tell thee that which is inscribed in the writing of truth: and there is none that holdeth with me against these, but Michael your prince." (Daniel, Chapter 10:21)
3 "And at that time shall Michael stand up, the great prince who standeth for the children of thy people; and there shall be a time of trouble, such as never was since there was a nation even to that same time: and at that time thy people shall be delivered, every one that shall be found written in the book." (Daniel, Chapter 12:1).





Mickle [মিকল]/ Muckle [মাকল] n ১ অধিক, প্রচুর, অঢেল, প্রচুর পরিমাণ ২ বড়, মহান {ই}
Michael [মাইখেল] n মহান প্রতীতি, বড় দেবদূত, ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) (ভাঅ) চক্ষু, চোখ, নয়ন, আঁখি, অক্ষি, লোচন, গো, নেত্র, দৃষ্টি, দর্শনেন্দ্রিয়, Eye, ‘ﻋﻴﻦ’(আইয়্যিন) বিণ দর্শক, দর্শনকারী, দর্শনেন্দ্রিয় (প্র) (Old testament) অনুসারে শ্রেষ্ঠ দেবদূত (শ্ববি) দ্রষ্টা দেবতা, জীবের দর্শন জ্ঞানদানকারী দেবতা (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘চক্ষু’ পরিবারের ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি প্রতীতি বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে জল বর্ষণকারী প্রতীতিকে Michael বলা হয় ২ শ্বরবিজ্ঞানে জীবের দর্শন ইন্দ্রিয়কে Michael বলা হয় (ছনা) দৃষ্টি (চাপ) নয়ন (রূপ) দ্রষ্টা (মূল) চক্ষু {ই}
Michaelmas [মাইখেলমাস] n মহান প্রতীতির জন্মতিথি উপলক্ষে ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় খ্রিস্টীয় পার্বণবিশেষ {ই}
প্রথমে এটি ইংরেজি Mickle (মিকল) ছিল। পরবর্তীকালে গ্রিস রূপকারগণ (Greek mythologists) Mickle (মিকল) হতে Michael (মাইখেল) পরিভাষা সৃষ্টি করেন। Michael (মাইখেল) অর্থ বড়, মহান, শ্রেষ্ঠ। অতঃপর এটি গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) এসে একজন শ্রেষ্ঠ প্রতীতি চরিত্রে পরিণত হয়েছে। তারপর এটি গ্রিক পুরাণ (Greek mythology) হতে পারস্য পুরাণে (Persian mythology) প্রবেশ করে। অতঃপর পারস্য পুরাণে (Persian mythology) এসে এটি ‘مِيكَال’ (মিকাল) রূপলাভ করে। অতঃপর এটি আরব্য পুরাণে (Arabian mythology) এসে ‘مِيكَال’ (মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) ইত্যাদি রূপলাভ করেছে।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর ওপর কুরানের ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি
(A highly important quote on the Michael of the Holy Quran)
আয়াতটি; “مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ” উচ্চারণঃ ‘মান্ কা-না ‘আদুওঁ অলিল্লাহি অমালা-য়িকাতিহী অরুসুলিহী অজিবরীলা অমীকা-লা, ফাইন্নাল্লা-হা ‘আদুওয়্যাল্লিল্ কা-ফিরীন।’ অর্থঃ “যে শত্রু হবে কাঁইয়ের, তাঁর প্রতীতিদের, তাঁর সাঁইগণের, বলনের ও বরুণের- তবে নিশ্চয় কাঁই যবনদের শত্রু।” (কুরান, সুরা বাক্বারা- ৯৮)।
মিকাল [مِيكَال], মিকাইল [مِيكَائيل] (রূপ)বি বড় প্রতীতি, মহান প্রতীতি (ভাঅ) চক্ষু, চোখ, নয়ন, আঁখি, অক্ষি, লোচন, গো, নেত্র, দৃষ্টি, দর্শনেন্দ্রিয়, Eye, ‘ﻋﻴﻦ’(আইয়্যিন) বিণ দর্শক, দর্শনকারী, দর্শনেন্দ্রিয় (প্র) শ্রেষ্ঠ দেবদূত (Old testament) (শ্ববি)দ্রষ্টা দেবতা, জীবের দর্শন জ্ঞানদানকারী দেবতা (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘চক্ষু’ পরিবারের ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি একটি প্রতীতিবিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে জল বর্ষণকারী প্রতীতিকে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলা হয় ২ শ্বরবিজ্ঞানে জীবের দর্শন ইন্দ্রিয়কে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলা হয় (ছনা) দৃষ্টি (চাপ) নয়ন (রূপ) দ্রষ্টা (মূল) চক্ষু {আ}
বাংলা ভাষায় এর আরো অনেক সুন্দর সুন্দর রূপক নাম রয়েছে। নিচে শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক বৈশিষ্ট্য সারণির ‘চক্ষু’ মূলকের আভিধানিক, রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম বিষয়ক কয়েকটি পরিভাষা তুলে ধরা হলো;
মূলক সদস্যঃ চক্ষু।
আভিধানিক প্রতিশব্দঃ অক্ষি, আঁখি, আখি, গো২, নেত্র ও লোচন।
রূপক পরিভাষাঃ দ্রষ্টা।
উপমান পরিভাষাঃ ০০
চারিত্রিক পরিভাষাঃ নয়ন১ ।
ছদ্মনাম পরিভাষাঃ দৃষ্টি।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর সংজ্ঞা (Definition of Michael)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে জল বর্ষণকারী প্রতীতিকে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলে।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of Michael)
শ্বরবিজ্ঞানে জীবের দর্শন ইন্দ্রিয়কে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলে।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর প্রকারভেদ (Classification of Michael)
মিকাইল (مِيكَائيل) দুই প্রকার। যথা- ১.উপমান ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) ও ২.উপমিত ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল)।
১. উপমান ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) (Analogical Michael)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে জল বর্ষণকারী প্রতীতিকে উপমান ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলে।
২. উপমিত ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) (Compared Michael)
শ্বরবিজ্ঞানে জীবের দর্শন ইন্দ্রিয়কে উপমিত ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলে।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর কাজ (Michael's work)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে আকাশের মেঘ পরিচালনা, মেঘের জলবর্ষণ, জীবের অন্ন-পানীয় প্রদান ও মানুষের সুখ-সাচ্ছন্দ নির্বাহ Michael বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) প্রতীতির প্রধান প্রধান কাজ। অন্যদিকে বাংভারতীয় উপমহাদেশে জল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত দেবতা দু‘জন। এঁরা হলেন ইন্দ্র ও বরুণ। অবতারবাদী (Non-semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে আকাশের মেঘ, মেঘের জলবর্ষণ, মর্ত্যবাসী জীবের অন্ন-পানীয় ও মানুষের সুখ-সাচ্ছন্দ নির্বাহ করার কাছে সর্বদা নিয়োজিত থাকে ইন্দ্র। অন্যদিকে সাগর-উপসাগর, নদ-নদী, পুকুর-পুষ্কুনি ও খাল-বিলের জল নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার কাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকে বরুণ। ইন্দ্র, বরুণ, Michael বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) সর্বদা জল নিয়ন্ত্রণ, জল বিতরণ ও জলবর্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে।
মিকাইল (مِيكَائيل) এর পরিচয় (Identity of Michael)
এটি; শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘চক্ষু’ পরিবারের অধীন একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। মেঘ, মেঘের জল, সাগর ও নদ-নদীর জল নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণ এ প্রতীতির কাজ। গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) সাগর-উপসাগরের জল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতীতিকে বলা হয় Oceanus (I‡mbvm)| অন্যদিকে নদ-নদী ও খাল-বিলের জল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতীতিকে বলা হয় Nereid & Oceanid ইত্যাদি। পরিশেষে বলা যায় Nereid & Oceanid এবং ইন্দ্র ও বরুণ এর মতো আলোচ্য Mickle (মিকল), Muckle (মাকল) Michael (মাইখেল), ‘مِيكَال’ (মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) যে জলের দেবতা এতে কোন সন্দেহ নেই। পার্থক্য কেবল এতটুকু যে, গ্রিক পুরাণে (Greek mythology) সাগর-উপসাগরের জল নিয়ন্ত্রণকারী এবং নদ-নদী ও খাল-বিলের জল নিয়ন্ত্রণকারী দেবতা ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু পারস্য পুরাণে (Persian mythology) সাগর-উপসাগর এবং নদ-নদী ও খাল-বিলের জল নিয়ন্ত্রণকারী দেবতা একজন।
অন্যদিকে কুরানী শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপকথায় বর্ণিত জিব্রাইলের ব্যাপারে যেমন ৭০,০০০ পাখা; চোখের পলকে বিশ্ব পরিভ্রমণ ও স্বর্গীয়বাণী বহন ইত্যাদি বর্ণনা পাওয়া যায় ‘مِيكَال’ (মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) এর ব্যাপারে তেমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। উল্লেখিত কারণে এখানে কুরানোক্ত আরবি ‘مِيكَال’ (মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) পরিভাষাটির বাংলা রূপান্তররূপে ‘ইন্দ্র’ পরিভাষা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় যে; ঐশিবাদী (Semitic) বা অবতারবাদীদের (Non-semitic) পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত স্বর্গীয় দূত Michael বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) হচ্ছেন মানুষের চোখ বা চক্ষু।
ভারতীয় পুরাণে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) (Michael at the Indian mythology)
বাংভারতীয় পুরাণে Michael বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) প্রতীতিকে বলা হয় ‘ইন্দ্র’ বা ‘বরুণ’। উল্লেখ্য ভারতীয় পুরাণে (Indian mythology) জলপ্রতীতি দু’জন। যথা- মেঘের জলপ্রতীতি ‘ইন্দ্র’ এবং সাগরের জলপ্রতীতি ‘বরুণ’। অর্থাৎ ইন্দ্র হচ্ছেন আকাশের জলদেবতা এবং বরুণ হচ্ছেন স্থলভাগের জলরাশির জলদেবতা। তবে এখানে মাইকেল, মিকাল ও মিকাইল ইত্যাদি পরিভাষা দ্বারা কেবল মেঘের জলরাশির প্রতীতি ইন্দ্রকে বুঝানো হয়েছে। উল্লেখিত কারণে এখানে কুরানোক্ত আরবি ‘مِيكَال’(মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) পরিভাষাটির বাংলা রূপান্তররূপে ‘ইন্দ্র’ পরিভাষা গ্রহণ করা হয়েছে।
মানবদেহে ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) এর অবস্থান (Michael's position in the human body)
ভারতীয় পৌরাণিক দর্শন অনুযায়ী জলবর্ষণ বা জলনিয়ন্ত্রণকারী প্রতীতি দু‘জন। যথা- বরুণ ও ইন্দ্র। সাগর, নদী, বিল-খাল ও পুকুর-পুষ্কুনির জল নিয়ন্ত্রকারী প্রতীতি হচ্ছেন বরুণ। অন্যদিকে মেঘ ও মেঘের জল নিয়ন্ত্রণ এবং মেঘের জলবর্ষণকারী প্রতীতি হচ্ছেন ইন্দ্র। ঐশিবাদীদের জলদেবতা Michael বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলতে ভারতীয় পুরাণে ইন্দ্রকে বুঝানো হয়েছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন মিথোলজিতে মাইকেল, মিকাল ও মিকাইল যাই বলা হোক না কেন এর অর্থ যে বড় বা মহান এতে কোন সন্দেহ নেই। এখানে বড় বা মহান বলতে ‘জল’কে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু জল ব্যতীত কোন জীব বাঁচতে পারে না। তাই এখানে জলকে বড় বা মহান ধরা হয়েছে। যেহেতু; পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে রূপক পরিভাষার অনুকুলে মূলকের আলোচনা করা হয়। এজন্য এখানে জলের আলোচনা দ্বারা জলধর বা জলবর্ষণকারী বা জলপ্রতীতির আলোচনা করা হয়েছে। তবে জল বর্ষণকারী প্রতীতি অনেক থাকলেও, এখানে কেবল চোখকে বুঝানো হয়েছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যেই প্রধান প্রতীতি চারজন। তা হলো- ১.দ্রষ্টা ২শ্রোত্র ৩.নাস্য ও ৪.বলন। ‘বলন’ কণ্ঠস্বর, ‘নাস্য’ নাসিকা, ‘শ্রোত্র’ কর্ণ ও ‘দ্রষ্টা’ হচ্ছে চোখ। বেদনা ও সাধনার অশ্রু চোখ দিয়ে বের হয় বলেই ‘জলধর’ বা জলপ্রতীতি বলতে চোখকে বুঝানো হয়। অল্পকথায় মাইকেল, মিকাল ও মিকাইল ইত্যাদি পরিভাষা দ্বারা প্রাথমিক পর্যায়ে চোখকেই বুঝানো হয়। একে বাংলা ভাষায় ‘দ্রষ্টা’, ইংরেজি ভাষায় Michael (মাইখেল) ও আরবি ভাষায় ‘مِيكَال’ (মিকাল) বা ‘مِيكَائيل’ (মিকাইল) বলা হয়। তবে উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে মাইকেল, মিকাল ও মিকাইল এসব পরিভাষা দ্বারা কানাইকে (যোনি) বুঝানো হয়ে থাকে।

(ইস্রাফিল) (اسرافيل)/ Seraphim (সের‌্যাফিম)
================================
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘নাসিকা’ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘চারিত্রিক পরিভাষা’। এর মূলক ‘নাসিকা’, রূপক পরিভাষা ‘বাঁশী’, উপমান পরিভাষা ‘বীণ ও বেণু’, চারিত্রিক পরিভাষা ‘বেণুকা ও শুষির’ এবং ছদ্মনাম পরিভাষা ‘শঙ্খ ও শিঙ্গা’।
গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত রূপক পরিভাষা seraphim (সের‌্যাফিম) হতে আরবি ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) নামক রূপক পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য এ পরিভাষাটি কুরানে উল্লেখ নেই।
Seraphim এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotes of the seraphim)
1 "Above him stood the seraphim. Each had six wings: with two he covered his face, and with two he covered his feet, and with two he flew." (Isaiah 6:2 English Standard Version (ESV)).
2 "Then one of the seraphim flew to me, having in his hand a burning coal that he had taken with tongs from the altar.” (Isaiah 6:6 English Standard Version (ESV)).
Seraph [সের‌্যাফ] n আবেগ, আলোক, Seraphim (সের‌্যাফিম), ‘ساروف’ (সেরুফ), ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (প্র) ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে উঁচু শ্রেণির প্রতীতি বা সর্বোচ্চ সারির দেবদূত {ই}
Seraphs [সের‌্যাফস] n.pl আবেগ, আলোক, seraph, seraphim (সের‌্যাফিম), ‘ساروف’ (সেরুফ), ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (প্র) ঐশিবাদী (semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে উঁচু শ্রেণির প্রতীতি বা সর্বোচ্চ সারির দেবদূত {ই}





Seraphim [সের‌্যাফিম] n আবেগ, আলোক, seraph, ‘ساروف’ (সেরুফ), ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (প্র) ঐশিবাদী (semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে উঁচু শ্রেণির প্রতীতি বা সর্বোচ্চ সারির দেবদূত (শ্ববি) নাসিকা, নাক, নাসা, নাস্য, nose, ‘আ.ﺍﻨﻑ’ (আনিফা) (আপ্রশ) কুকুর, প্রহরী, বায়ুকল, রক্ষী, শিঙ্গা, diarchy বিণ বংশীধারী, বংশীবাদক (বাদৈ) নাস্য (আদৈ) ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (ইদৈ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘নাসিকা’ পরিবারের একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘প্রতীতি’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে প্রলয়ক্ষণের বংশীবাদক প্রতীতিকে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয় ২ আত্মতাত্ত্বিক মনীষীদের বর্ণিত আত্মদর্শন মতে জীব দেহের অম্লজান গ্রহণকারী ইন্দ্রিয়কে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয় (ছনা) শঙ্খ ও শিঙ্গা (চাপ) বেণুকা ও শুষির (উপ) বীণ ও বেণু (রূপ) বাঁশী (মূল) নাসিকা {ই}
বাইবেলে পরিভাষাটির ৩টি রূপ ব্যবহার হতে দেখা যায়। যথা; seraph, seraphs & seraphim. তবে seraphs দ্বারা সর্বদা বংশীবাদক প্রতীতির বহুবচন বুঝায়। পরিভাষাত্রয় দ্বারা সর্বদায় উঁচু শ্রেণির প্রতীতি বা সর্বোচ্চ সারির দেবদূত বুঝায়।
পৃথিবীর বিভিন্ন মিথোলজিতে seraph, seraphs, seraphim, ‘ساروف’ (সেরুফ), ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) যাই বলা হোক না কেন, এর অর্থ যে নাসিকা এতে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু; শ্বরবিজ্ঞানে মূলককে রূপক পরিভাষার আড়ালে রেখে আলোচনা করা হয়, সেহেতু; এখানে নাসিকার আলোচনার মূল হচ্ছে; যার সাহায্যে জীব অম্লজান (Oxygen) গ্রহণ করে। এ প্রতীতিকে বলা হয় নাস্য দেবতা, শ্বাসগ্রহণকারী দেবতা, বংশীবাদক দেবতা, শিঙ্গাবাদক দেবতা ইত্যাদি। অর্থাৎ; যিনি শ্বসনক্রিয়া পরিচালনা করে জীবকুলকে বাঁচিয়ে রাখেন তাকেই seraphim বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) দেবতা বলা হয়। এককথায়; ইনি হলেন নাস্য প্রতীতি। একে; বাংলা ভাষায় ‘শিঙ্গাধর’, ইংরেজি ভাষায় seraphim (গ্যাবরিয়েল) ও আরবি ভাষায় ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয়।
এছাড়াও এ প্রতীতিকে গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত Orpheus (অর্ফিয়াস) ও Zephyr (জেফার) এর সাথেও তুলনা করা যায়। কারণ; Orpheus (অর্ফিয়াস) বংশীবাদক ও Zephyr (জেফার) বাতাসের দেবতা।
Orpheus [অর্ফিয়াস] (ms) n প্রাচীন গ্রিসের পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত কিংবদন্তীখ্যাত হোমারপূর্ব কবি ও বংশীবাদক {ই}
Zephyr [জেফার] (ms)n পশ্চিমা বাতাস, কোমল সুবাতাস, মৃদুমন্দ বায়ু (প্র) পশ্চিমা বাতাসের অধিপতি বা অধিদেবতা {ই}
ইস্রাফিল [اسرافيل] (রূপ)বি আবেগ, আলোক, seraph, seraphim (সের‌্যাফিম), ‘ساروف’ (সেরুফ) (প্র) ১ ঐশিবাদী (semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে উঁচু শ্রেণির প্রতীতি বা সর্বোচ্চ সারির দেবদূত ২ শাস্ত্রীয় কুরানী মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে প্রলয় প্রতীতি, মহাপ্রলয় ক্ষণের মহান বংশীবাদক, মহা প্রলয়ক্ষণে যে প্রতীতি বংশী বাজিয়ে থাকেন (শ্ববি) নাসিকা, নাক, নাসা, নাস্য, nose, ‘আ.ﺍﻨﻑ’ (আনিফা) (আপ্রশ) কুকুর, প্রহরী, বায়ুকল, রক্ষী, শিঙ্গা, diarchy বিণ বংশীধারী, বংশীবাদক (বাদৈ) নাস্য (ইদৈ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘নাসিকা’ পরিবারের একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘প্রতীতি’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; প্রলয়ক্ষণের বংশীবাদক প্রতীতিকে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয় ২ শ্বরবিজ্ঞানে; জীবের শ্বসন কার্য পরিচালনাকারী ইন্দ্রিয় নাসিকাকে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয় (ছনা) শঙ্খ ও শিঙ্গা (চাপ) বেণুকা ও শুষির (উপ) বীণ ও বেণু (রূ) বাঁশী (দেত) নাসিকা {ই. seraphim>}
বাংলা ভাষায় এর আরো অনেক সুন্দর সুন্দর রূপক নাম রয়েছে। নিচে শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক বৈশিষ্ট্য মূলকের আভিধানিক, রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম বিষয়ক কয়েকটি পরিভাষা তুলে ধরা হলো;
মূলক সদস্যঃ নাসিকা।
আভিধানিক প্রতিশব্দঃ নাসা।
রূপক পরিভাষাঃ বাঁশী।
উপমান পরিভাষাঃ তুরি, ধ্বনিনালা, বংশী, বাঁশরি, বিষাণ, বীণ১, বীণ, মুরলি, মোহনবাঁশী, মোহনমুরলী, শঙ্খ ও শিঙ্গা।
চারিত্রিক পরিভাষাঃ বেণু, বেণুকা ও শুষির।
ছদ্মনাম পরিভাষাঃ গৃহমৃগ, ঘোণা, জয়শঙ্খ, জয়শৃঙ্গ, দুপেয়ে, দোনলা, দোপেয়ে, দ্বিবিধ, পাঞ্চজন্য, বংশীধর, বংশীধারী, বংশীবদন, বংশীবয়ান, বংশীয়াল, বায়ুপথ, বায়ুভুক, বায়ুমণ্ডল, বায়ুযান, বারিঘরট্ট, বেণুবন, মহাশঙ্খ, মহুরি, রাজবংশী, রামশিঙ্গা, শুণ্ডক, শুন, শুনক, শুনী, সরমা, সারমেয়, সারমেয়ী, সিংদরজা, সিংহদ্বার, স্থূণা ও হেঙ্গল।
ইস্রাফিল (اسرافيل) এর সংজ্ঞা (Definition of Seraphim)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে প্রলয়ক্ষণের বংশীবাদক প্রতীতিকে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলে।
ইস্রাফিল (اسرافيل) এর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of Seraphim)
আত্মতাত্ত্বিক মনীষীদের বর্ণিত আত্মদর্শন মতে জীব দেহের অম্লজান গ্রহণকারী ইন্দ্রিয়কে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলে।
ইস্রাফিল (اسرافيل) এর প্রকারভেদ (Classification of Seraphim)
ইস্রাফিল (اسرافيل) দুই প্রকার। যথা; ১.উপমান ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) ও ২.উপমিত ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল)।
১ উপমান ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (Analogical Seraphim)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে প্রলয়ক্ষণের বংশীবাদক প্রতীতিকে উপমান ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলে।
২ উপমিত ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (Compared Seraphim)
আত্মতাত্ত্বিক মনীষীদের বাস্তবমুখী বর্ণনা মতে জীব দেহের অম্লজান গ্রহণকারী ইন্দ্রিয়কে উপমিত ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলে।
ইস্রাফিল (اسرافيل) এর কাজ (Seraphim's work)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে শিঙ্গায় ফুৎকার করে বিশ্ব ধ্বংস করা এবং ফুৎকার করে মৃত মানুষ জীবিত করা এ প্রতীতির প্রধান কাজ।
ইস্রাফিল (اسرافيل) এর পরিচয় (Identity of Seraphim)
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘নাসিকা’ পরিবারের অধীন একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে প্রলয়ক্ষণের বংশী বা শিঙ্গবাদক প্রতীতিকে Seraphim বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) বলা হয়। তাদের রূপক বর্ণনা মতে অন্তিমকালে যখন বিশ্ব ধ্বংস করা হবে; তখন এ প্রতীতি তাঁর কাছে থাকা বিশাল শিঙ্গায় ফুৎকার করবেন। তাঁর হাতে দিগন্ত প্রসারী শিঙ্গা থাকবে। সাধারণ শিঙ্গার ফুৎকার সামান্য দূরত্ব অতিক্রম করে। কিন্তু তাঁর শিঙ্গার ফুৎকার কেবল পৃথিবী নয় বরং মহাবিশ্বের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ভেদ করবে। তাঁর শিঙ্গার মুখ হতে বায়ুর পরিবর্তে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বের হতে থাকবে। একবার ফুৎকার করার পর সহস্র বছর অবধি চলতে থাকবে শিঙ্গার ফুৎকারের শব্দ তরঙ্গ। ----------- তিনি শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া মাত্র আকাশ ও পৃথিবী ভেঙ্গে তুলার মতো উড়তে থাকবে। মানুষ, গোরু, পাহাড় ও সাগর কিছুই রক্ষা পাবে না। সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
তবে কুরানী শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; তাঁর ফুৎকারে সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও প্রভুর মুখ ধ্বংস হবে না। এদের মতে আরো কথিত আছে যে, তিনি মাত্র দু‘বার ফুৎকার করবেন। প্রথম ফুৎকারে আকাশ-ভূমিসহ সবকিছু ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় ফুৎকারে কেবল মানুষ যার যার সমাধি-স্থান হতে উই পোকের মতো উঠতে থাকবে। দৈত্যদের ব্যাপাটি জানা যায় না। তবে মানুষকে একটি সেতু পার হতে হবে। পুরাণীরা এটিকে বলেন বৈতরণী। অন্যদিকে কুরানীরা একে বলেন ‘ﭙﻞ ﺼﺮﺍﻄ’ (পুলসিরাত)। কাল্পনিক এ সেতুটি অতিক্রম করার পর মানুষ ও দৈত্যদের কৃতকর্ম অনুযায়ী বিচারকার্য আরম্ভ হবে।
বড় হাস্যকর বিষয় হলো বাইবেলের অনুসারী ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মতে বংশীবাদক প্রতীতি হচ্ছেন Gabriel (গাবরিল) বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিবরাইল)। অন্যদিকে কুরানীদের মতে বংশীবাদক প্রতীতি হলেন Seraphim বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল)। অনুরূপভাবে ত্বরিক্বা ব্যবসায়ী ও ত্বরিক্বাবাজ লোকদের মধ্যে কারো মতে রুহ লত্বিফা ডান স্তনের দুই আঙুলি নিচে। আবার কারো মতে তা বুকের মধ্যস্থলে। অন্যদিকে নফস লত্বিফার অবস্থান কেউ বলে নাভিমূলের নিচে আবার কেউ বলে চোখের উভয় ভ্রূর মাঝখানে।
পরিশেষে বলা যায় কুরানী শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে Seraphim বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) হলেন বংশীবাদক প্রতীতি। কিন্তু বাইবেল অনুসারী শাস্ত্রীয় মনীষীদের মতে Gabriel (গাবরিল) বা ‘ﺠﺑﺮﺍﺌﻴﻞ’ (জিবরাইল) হলেন বংশীবাদক। তবে আশার বাণী হলো আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক বা বিজ্ঞানীদের মতে নাম যাই হোক না কেন বংশীবাদক প্রতীতি বলতে কেবল নাসিকাকেই বুঝায়। তাঁরা আরো বলেন যে, গ্রিক ও পারস্য উভয় পুরাণের মধ্যে পরিভাষার সামান্য পার্থক্য থাকলেও এদের সত্তা এক ও অভিন্ন। সেটি হচ্ছে মানুষের নাসিকা।
ভারতীয় পুরাণে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) (Seraphim at the Indian mythology)
ভারতীয় পুরাণে কোন প্রকার শিঙ্গাবাদক বা বংশীবাদক প্রতীতির উল্লেখ নেই। কারণ ভারতীয় পুরাণ মতে প্রতি ১৪ মন্বন্তর পর ব্রহ্মা নিজেই ব্রহ্মাণ্ড ভেঙ্গে ফেলেন। অতঃপর আবার নতুন বিশ্ব সৃষ্টি করেন। ব্রহ্মা নিজেই অবিরত এমন ভাঙ্গাগড়া করেই চলেছেন। তাই এখানে শিঙ্গা, বংশী, বাঁশী বা মুরলী বাজিয়ে বা ফুৎকার করে বিশ্ব ধ্বংস করার জন্য পৃথক কোন প্রতীতি সৃষ্টি করা হয়নি। তদুপরি ব্রহ্মার ভ্রমণসঙ্গী নারদকে অনেক ক্ষেত্রে বংশীবাদক বা বীণাবাদকরূপে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভারতীয় পৌরাণিক নারদকে গ্রিক পৌরাণিক Seraphim এবং পারস্য/আরব্য ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) এর সাথে তুলনা করা যায়।
নারদ (রূপ)বি বৈণিক, বীণাবাদক, বীণাসম্বন্ধীয় (প্র) ভারতীয় পৌরাণিক বিখ্যাত বীণাবাদক দেবতা বিশেষ।
মানবদেহে ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) এর অবস্থান (Seraphim's position in the human body)
সারা বিশ্বের বাস্তববাদী আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীদের মতে Seraphim বা ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) এর ঐ শিঙ্গাটি হচ্ছে যার যার নাসিকা। ফুৎকার ২টি হচ্ছে নাসিকার শ্বাস। প্রথম শ্বাসটি হচ্ছে পুরুষ-নারী মিলনের সময়ে যে শ্বাসে শুক্রপাত আরম্ভ হয় সেটি। কারণ ঐ শ্বাস দ্বারাই পুরুষরূপ আকাশ ও নারীরূপ ভূমি ভেঙ্গে পুরুষের শুক্র ও নারীর সুধায় পরিণত হয়। আর তা নাসিকার শ্বাসরূপ বাতাস দ্বারা উড়তে থাকে। তাই শাস্ত্রীয়রা রূপক আকারে বলে যে, আকাশ ও ভূমি ভেঙ্গে তুলার মতো বাতাসে উড়তে থাকবে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ফুৎকারটি হচ্ছে সন্তান জন্মের পর নাসিকা দ্বারা প্রথম যে শ্বাসটি প্রবেশ করে। কারণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাসিকা দ্বারা বাতাস প্রবেশ করার পর; সে সন্তানটি আবার জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। ভিতরে বাতাস প্রবেশ না করলে, নাসিকা দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস আরম্ভ না হলে দাই-চিকিৎসক সবাই সন্তানকে মৃত ঘোষণা করে। বৈতরণী বা ‘ﭙﻞ ﺼﺮﺍﻄ’ (পুলসিরাত) হচ্ছে জীবনসেতু, যৌবনসেতু ও যৌবনকাল ইত্যাদি। সবাইকে এ সেতুটি অবশ্যই অতিক্রম করতে হয়। সেতুটির সূচনা হচ্ছে ১১ বছর হতে এবং শেষ হচ্ছে ৪০ বছর বয়সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর। মানুষের কৃতকর্মের বিচার হচ্ছে সংসারকুল। সংসার সমরাঙ্গনে যে যেমন কর্ম করবে সন্তানরূপে উত্থিত হয়ে সে তেমন সুখ-দুঃখ ভোগ করবে।

আযরাইল (عزرائيل)/ যম/ Archangel (আখেঞ্জেল)
==================================
এটি শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্যের ‘কানাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’। এর প্রকৃত মূলক ‘যোনি’, রূপান্তরিত মূলক ‘কানাই’, রূপক পরিভাষা ‘রজকিনী’, উপমান পরিভাষা ‘অন্ধকুপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখী২ ও প্রস্তর’, চারিত্রিক পরিভাষা ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ ও ছদ্মনাম পরিভাষা ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা৪ ও রাক্ষস’।
গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত রূপক পরিভাষা Archangel (আখেঞ্জেল) হতে আরবি ‘عزرائيل’ (আযরাইল) নামক পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য এ পরিভাষাটি পবিত্র কুরানে উল্লেখ নেই।
আযরাইলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotes of the Archangel)
"But even the archangel Michael, when he was disputing with the devil about the body of Moses, did not dare to bring a slanderous accusation against him, but said, "The Lord rebuke you!" (Jude 9).





ইংরেজি Arch (আর্ক) ও Angel (এ্যাঞ্জেল) পরিভাষাদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে Archangel (আখেঞ্জেল)। Arch অর্থ ধনুকাকৃতি ও Angel অর্থ প্রধান। অর্থাৎ Archangel (আখেঞ্জেল) অর্থ হচ্ছে ধনুকশ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠধনুক, প্রধান ধনুক ও ধনুক প্রধান ইত্যাদি। স্ত্রী-ভগ ধনুকের মতো বাঁকা বিধায় শ্বরবিজ্ঞানে ভগকে ধনুক বলা হয়। এখান থেকেই হরধনু, রামধনু, ধনুভঙ্গ, ধনুকভঙ্গ পণ ইত্যাদি পরিভাষা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে- স্ত্রী জননাঙ্গ এতই শক্তিশালী যে, পুরুষরা সাধারণত কাম দ্বারা তাকে অবদমিত করতে পারে না। পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে এর অসংখ্য উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম রয়েছে। যেমন- অনন্ত, ধন্বন্তরী ইত্যাদি। শ্বরবিজ্ঞানের সূত্রানুসারে মূলকের রূপক নামকরণের পর, তা প্রতীতি বা দৈবিকায় পরিণত হয়। এজন্য ধন্বন্তরী একজন প্রতীতি।
গ্রিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতীতি হচ্ছে Archangel (আখেঞ্জেল)। পারসিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে একে বলা হয় ‘عزرائيل’ (আযরাইল)। শাস্ত্রীয় পুরাণী মনীষীরা একে নরান্তক, ‘ধন্বন্তরী’ ও যম ইত্যাদি বলে থাকে। ‘যম’ অর্থ মৃত্যুপ্রতীতি বা মৃত্যুদূত। ইংরেজি পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে একে Archangel (আখেঞ্জেল) ও Reaper (রিপার) ইত্যাদি বলা হয়। ভারতীয় পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে ধন্বন্তরীকে দেব-চিকিৎসক বলা হয়। কামদেবতা মদনের কামরোগ উপশম করে, তাই তিনি দেব চিকিৎসক। ধনুকের মতো বাঁকা (ভগ) আকৃতিধারী অর্থাৎ ধন্ব ধারী যে, সে-ই ধন্বন্তরী। আরো পরিষ্কার করে বলা যায় যে, বাংলা ধন্ব (ধনুক) ও ধারী পরিভাষা দ্বারা ধন্বধারী হতে ধন্বন্তরী পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। অর্থাৎ ধন্ব + ধারী = ধন্বধারী > ধন্বন্তরী হয়েছে। ভারতীয় পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে ধন্বন্তরী পরিভাষাটির মূলক হচ্ছে স্ত্রী জননাঙ্গ (যোনি)।
Arch [আচ] n ধনুকাকৃতি খিলান, স্থাপত্য-অলঙ্কার বা তোরণরূপে নির্মিত খিলানে ঢাকা পথ, যে কোন ধনুকাকৃতি বস্তু, লতা-গুল্মাদি বেয়ে উঠবার জন্য নির্মিত ধনুকাকৃতি কাঠামো ক্রি ধনুকাকারে বাঁকানো, ধনুকাকৃতি করা, ধনুকাকৃতি হওয়া বিবিণ (নারী ও শিশু সম্বন্ধে) সকৌতুক দুষ্টুমিতে ভরা, সকৌতুক দুষ্টুমিপূর্ণ, বাঁকা চাহনি, বাঁকা হাসি বিণ প্রধান, বিশিষ্ট, চরম; Archenemy (প্রধান শত্রু) {ই}
Angel [অ্যাঞ্জেল] n ১ প্রতীতি, দৈবিকা, জ্যোতিকা, দেবতা, দেবদূত ২ অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী ও নিষ্পাপ ব্যক্তি ৩ (সদয়, চিন্তাশীল ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা বা প্রশংসা জ্ঞাপনে ব্যবহৃত) কুলদেবতা বিণ প্রতীতিপ্রতিম, দৈবিকাপ্রতিম, দেবদূত প্রতিম {ই}
Archangel [আখেঞ্জেল] n ১ ‘ধন্বন্তরী’, নরান্তক, যম, যমদূত, মৃত্যুদূত ২ কামদেব, কামদেবতা, চন্দ্রচেতনা (প্র) ১ সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেণির প্রতীতি বা স্বর্গীয়দূত, উঁচু শ্রেণির প্রতীতি ২ প্রতীতিদের যুবরাজ ৩ উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার শ্বেত সাগরের একটি বন্দর বিশেষ। এর জনসংখ্যা ৩,৪৮,৭০০ (২০০৮)। শ্রেষ্ঠশ্রেণির দেবদূত আখেঞ্জেল মাইকেলের নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে। এবং এ নামেই এখানে অবস্থিত (শ্ববি) অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী (ভাঅ) গুদ, গুহ্য, ভগ, মাঙ্গ, মার্গ, যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (আঞ্চ) গুয়া, সেঁটা, গাঁড় (ইপ) destroyer, origin (আদৈ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ), দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ) (দেপ্র) এটি; শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘কানাই’ পরিবারের ছদ্মনাম পরিভাষা ও যোনির ‘রূপান্তরিত-মূলক’ এবং শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘প্রতীতি’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিকে Archangel বলা হয় ২ সারা বিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের বাস্তব বর্ণনা মতে স্ত্রী যোনিকে Archangel বলা হয় (ছনা) কালনাগিনী, দস্যু, দানব/ দৈত্য৩, ব্রজপুর, মরা৪ ও রাক্ষস (চাপ) কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (উপ) অন্ধকুপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি২ ও প্রস্তর (রূ) রজকিনী (মূল) কানাই {ই}
আযরাইল [عزرائيل] (রূপ)বি ১ ‘ধন্বন্তরী’, নরান্তক, যম, যমদূত, মৃত্যুদূত ২ কামদেব, কামদেবতা, চন্দ্রচেতনা (প্র) কুরানী মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিবিশেষ (শ্ববি) কানাই১, অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী (ভাঅ) গুদ, গুহ্য, ভগ, মাঙ্গ, মার্গ, যোনি, sex, vagina, ‘আ.ﻔﺮﺝ’ (ফারজ) (আঞ্চ) গুয়া, সেঁটা, গাঁড় (ইপ) Leaky, destroyer, origin (আদৈ) ‘راشح’ (রাশাহ), (আ.ﻤﻜﺔ) (মক্কা), ‘আ.ﺪﺟﺎﻞ’ (দাজ্জাল), ‘আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ’ (হামান), ‘আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ’ (হারুত) (দেপ্র) এটি; শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘কানাই’ পরিবার প্রধান ও যোনির ‘রূপান্তরিত-মূলক’ এবং শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘প্রতীতি’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয় ২ সারা বিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের বাস্তব বর্ণনা মতে স্ত্রী যোনিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয় (ছনা) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা৪ ও রাক্ষস (চাপ) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (উপ) অন্ধকুপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখী২ ও প্রস্তর (রূপ) রজকিনী (মূল) কানাই {ই. Archangel>}
আযরাইল (‘عزرائيل) এর সংজ্ঞা (Definition of Archangel)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।
আযরাইল (‘عزرائيل) এর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of Archangel)
সারা বিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের বাস্তব বর্ণনা মতে স্ত্রী যোনিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।
আযরাইল (‘عزرائيل) এর প্রকারভেদ (Classification of Archangel)
আযরাইল (‘عزرائيل) দুই প্রকার। যথা; ১.উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) ও ২.উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল)।
১. উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) (Analogical Archangel)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিকে উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।
২. উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল) (Compared Archangel)
সারা বিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের বাস্তব বর্ণনা মতে স্ত্রী যোনিকে উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।
আযরাইল (‘عزرائيل) এর কাজ (Archangel's work)
ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহার ও সর্ব প্রকার ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করা এ প্রতীতির প্রধান কাজ। শাস্ত্রীয় পণ্ডিত মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে, এ প্রতীতি সর্বদা সর্বজীবের প্রাণ সংহার, দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি, সর্ব প্রকার দৈব দুর্ঘনা সংঘটন ও গাড়ি দুর্ঘটনা সংঘটন কাজে নিয়োজিত থাকে। এছাড়া ভূমিকম্প সৃষ্টি, পাহাড়ধ্বস ঘটানো, দালান-কোঠার ধ্বস ঘটানো, গাছপালা উপড়ে ফেলে প্রাণী হত্যা করা, ঘূর্ণিবায়ু-ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করা, নৌকাডুবি করা, জাহাজডুবি করা ও বিমান দূর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ হত্যা ইত্যাদি ‘عزرائيل’ (আযরাইল) প্রতীতির প্রধান প্রধান কাজ।
আযরাইল (‘عزرائيل) এর পরিচয় (Identity of Archangel)
এটি; শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক-বৈশিষ্ট্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের অধীন একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত ঐশিবাদী (Semitic) শাস্ত্রীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে জীবের প্রাণ সংহারকারী প্রতীতিকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। শাস্ত্রীয় কুরানী মনীষীদের রূপকথায় বর্ণিত আছে যে, Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) দেখতে বিকট আকৃতির। দেহ এতো বিশাল যে, সর্বদা তাঁর এক পা ভূমিতে এবং অন্য পা আকাশে থাকে। তাঁর মাথায় সাত সাগরের জল ঢেলে দিলে এক ফোঁটা জলও মাটিতে পড়বে না। তিনি দেখতে নিকষ কালো। গায়ে বড় বড় কালো কালো লোম। তিনি একসাথে অসংখ্য জীবের প্রাণ সংহার করতে সক্ষম। বিশ্বের এতো জীবের প্রাণ তিনি একাই হরণ করেন। তাঁর সঙ্গী-সহচর কেউ নেই। ---------- ইত্যাদি। তিনি মানুষের বুকের ওপর বসে সারা দেহ হতে তাড়িয়ে-দৌড়িয়ে ও টেনে-হেঁচড়ে আত্মা বের করে নিয়ে আসেন। তিনি যার মুখ দিয়ে আত্মা বের করেন, তার শবটি হাঁ করে থাকে। তিনি যার চোখ দিয়ে আত্মা বের করেন; তাঁর শবটি চোখ ফুটিয়ে থাকে। একথায় তিনি যাকে ধরেন তাঁর ধ্বংস বা মৃত্যু নিশ্চিত।
অন্যদিকে আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীদের বাস্তবমুখী দর্শন অনুযায়ী যে প্রতীতি যৌনসঙ্গমে দ্বিপস্থ জীবের পুরুষদের শুক্রপাত ঘটায় তাকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। অর্থাৎ বিশ্বের সব স্ত্রী প্রাণীর যোনিকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। সারা বিশ্বের সর্ব প্রকার শাস্ত্রীয় ও পারম্পরিক পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে স্ত্রী যোনিকে যম ও শুক্রপাতকে মৃত্যু বলা হয়। শাস্ত্রে যা বর্ণনা করা হয় তাকে কখনোই মৃত্যু বলা হয় না। বরং তাকে বলা হয় প্রয়াণ। প্রয়াণ ও মৃত্যু কখনোই এক নয়। জীবের প্রয়াণ হওয়া জৈবিক ব্যাপার। অন্যদিকে মৃত্যু স্বেচ্ছাধীন। যেমন বলা হয় “মরার আগে মরো” বা ‘موت قبل أن تموت’ (মাওতু কাবলা আন তা‘মুতু) বা (Death before you die)।
ভারতীয় পুরাণে ‘عزرائيل’ (আজরাইল) (Archangel at the Indian mythology)
অন্যদিকে ভারতীয় পুরাণী মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; মৃত্যুদূত বা যমের নির্দিষ্ট কোন পরিচয় নেই। যেমন শ্রীমদ্ভগ্বতগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে;
“বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।”
অর্থঃ “মানুষ যেমন জীর্ণ-শীর্ণ পুরোনো বস্ত্রগুলি ত্যাগ করে অন্য নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে; তেমন জীবাত্মা পুরোনো শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর গ্রহণ করে।” (শ্রীমদ্ভগ্বতগীতা)।
ভারতীয় পুরাণী মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; সৃষ্টকর্তা ব্রহ্মা, পালনকর্তা বিষ্ণু ও সংহারকর্তা শিব। শিবের অন্যনাম মহাদেব। মহাদেব জীবের সংহারকর্তা। তবে এখানে এতটুকু বলা যায় যে, গ্রিক, পারস্য ও আরব্য পুরাণ মতে স্ত্রী যোনিকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বলা হয়। অন্যদিকে ভারতীয় পুরাণ মতে পুরুষের শিশ্নকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বলা হয়।
ভারতীয়, গ্রিক ও পারস্য পুরাণের সামঞ্জস্য রক্ষার ক্ষেত্রে এমন বলা যায় যে, পুরুষের শুক্রক্ষয়, শুক্রধ্বংস ও শুক্রপাতকারী রূপে ভারতীয় রূপকার মনীষীগণ শিশ্নকে চিহ্নিত করেছেন। এ সূত্র ধরেই তাঁরা পুরুষাঙ্গ বা শিশ্নের চারিত্রিক পরিভাষা শিব বা মহাদেবকে সংহারকর্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে গ্রিক ও পারস্য রূপকারগণ শুক্রক্ষয় ও শুক্রধ্বংসকারী রূপে যোনিকে চিহ্নিত করেছেন। এ সূত্র ধরেই তাঁরা যোনির চারিত্রিক পরিভাষা Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বা ধন্বন্তরীকে সংহারকর্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মানবদেহে ‘عزرائيل’ (আজরাইল) এর অবস্থান (Archangel's position in the human body)
মানবদেহে ‘ধন্বন্তরী’ বা Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর অবস্থান বিষয়ে অনেক মতবাদ পাওয়া যায়। যেমন কোন ঘরানায় বলা হয় যমের বাস কানে। যারা এ মতবাদের প্রবক্তা তাদের যুক্তি হলো কান দিয়ে কোন কথা শোনার পর মানুষের রাগ সৃষ্টি হয়। ফলে সে কাউকে আঘাত করে। ঐ আঘাতে সে প্রয়াণলাভ করে। তাদের এ খোঁড়া যুক্তি ধোপে টেকে না। কারণ কান দিয়ে শোনা ছাড়াও চোখ দিয়ে দেখে, জ্ঞান দ্বারা গবেষণা করে ও মন দিয়ে ভেবেও মানুষের রাগ সৃষ্টি হয়। আর সে রাগে হত্যাকাণ্ডও হয়ে থাকে। আবার অনেকে ভাড়াটিয়া হয়েও কাউকে হত্যা করে। অতএব কান দ্বারা কোন কিছু শোনা ছাড়াও মানুষের রাগ সৃষ্টি হতে পারে এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
আবার কোন ঘরানায় বলা হয় যমের বাস পিঠে। যারা এ মতবাদের প্রবক্তা তাদের যুক্তি হলো; মৈথুনের সময়ে নারীরা যদি পুরুষের পিঠ স্পর্শ করতে পারে; তবে দ্রুত শুক্রপাত হয়ে যায়। তাই যমের বাস পিঠে। এদের এ খোঁড়া যুক্তি ধোপে টেকে না। কারণ অনেক নারী কাম আসনের জন্য পিঠ স্পর্শ করতে পারে না বা করে না। তবে তাদের শুক্রপাত কি বন্ধ থাকে? আবার পুশুকুল তো পিঠ স্পর্শ করার প্রশ্নই আসে না। তবে কামের সময়ে পুরুষ জাতীয় পশুদের শুক্রপাত কি বন্ধ থাকে?
আবার বাইবেল অনুসারী অনেক গবেষকের মতে Archangel নামে ভিন্ন কোন প্রতীতি নেই। তাদের মতে প্রধান প্রতীতিদের সমষ্টিকে একত্রে Archangel বলা হয়। অর্থাৎ প্রধান প্রতীতিদের সংখ্যাকে Archangel বলা হয়। যেমন Seven Archangels & eight Archangels. অন্যদিকে অনেক বাইবেল গবেষকের মতে Archangel হচ্ছে প্রতীতিদের পদবি। এটি বাস্তবিকভাবে কোন নাম নয়। তাদের বক্তব্য হলো আদি বাইবেলে সরাসরি মাত্র দু‘জন প্রধান প্রতীতির নাম রয়েছে। যথা- Gabriel & Michael. অন্যান্য নামগুলো বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকা হতে সাম্প্রদায়িক শাস্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তাই Archangel কে কোনভাবেই স্বতন্ত্র প্রতীতি বলা যায় না।
আরেকদল গবেষকের মতে শাস্ত্রীয় মূল পুস্তকে উল্লেখ না থাকলেই যে প্রতীতি বলা যাবে না এমন যুক্তি সঠিক নয়। কারণ কুরানেও তো ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) ও ‘عزرائيل’ (আজরাইল) প্রতীতির উল্লেখ নেই। তাই বলে ধর্মান্ধ শাস্ত্র অনুসারীদের মধ্যে প্রতীতিদ্বয়ের প্রেম ও ভালোবাসা কি উক্ত প্রতীতিদ্বয়ের চেয়ে কম আছে? বরং সমানভাবেই চারজন প্রতীতিকে মান্য করে তারা। সেহেতু শক্ত করেই বলা যায় যে; পবিত্র বাইবেলে উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক Archangel একজন বিশিষ্ট প্রতীতি। কারণ সারা শাস্ত্রীয় বিশ্বে Archangel এর স্বতন্ত্র আকৃতি, ভালোবাসা, ব্যবহার ও চরিত্র গড়ে উঠেছে। তাই একে একজন শ্রেষ্ঠ প্রতীতির মর্যাদা দিয়ে শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করাই প্রত্যেক গবেষকের কাজ হওয়া উচিৎ।
ধন্বন্তরী রূপে ‘عزرائيل’ (আজরাইল) ('عزرائيل' is as a Archangel)
গ্রিক পুরাণে বর্ণিত Archangel ও পারস্য পুরাণে বর্ণিত ‘عزرائيل’ (আজরাইল) পরিভাষার বাংলা অনুবাদ ধন্বন্তরী গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত। বাংলাভাষায় এর আরো অনেক সুন্দর সুন্দর রূপক নাম রয়েছে। নিচে শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈক্তিক বৈশিষ্ট্য সারণির ‘কানাই’ মূলকের আভিধানিক, রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম বিষয়ক কয়েকটি পরিভাষা তুলে ধরা হলো-
মূলক সদস্যঃ কানাই।
আভিধানিক প্রতিশব্দঃ কানা১ ও ছিদর।
যোনির প্রতিশব্দঃ গুদ, গুয়া, গুহ্য২, গুহ্যক ও যৌনাঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ।
রূপক পরিভাষাঃ রজকিনী।
উপমান পরিভাষাঃ অগ্নিকুণ্ড, অগ্নিগর্ভ, অন্ধকুপ, অন্ধ্রদেশ, অলাত, অশ্বী, অহি, আইলা, আখা, আয়লা, আলাত, উখল, উখলি, উখা১, উঠান, উদখল, উনন, উনান, উনুন, করঙ্গ, কুমির, কুম্ভির, কির্মীর, কুয়া১, কুয়ো, কুর্ম, কূর্ম, কোদাল, গিরিপথ, গুহা, গোকুল, চিতা, চিমটা, চুলা, চুল্লি, জাঁতি, জাঁতিকল, ঝিল, ডহর, ডাইনি, ডাকিনী, ডোবা১, তলোয়ার, তিমি, দ, দও, দানব, দ্রোণী, নাগ২, নেকড়ে, পাখি২, পিনাক, পুকুর, পুষ্কর, পুষ্করিণী, প্রমোদকানন, প্রমোদোদ্যান, প্রস্তর, বধির, বয়রা, বাঘ, বাঘিনী, বাঘী, বিছা, ব্যাঘ্র, ভুজঙ্গ, ভুজঙ্গনা, যাঁতি, যাতা, শ্মশান, সর্প, সর্পিণী, সর্পী, সাঁড়াশি, সাপ, সাপুড়িয়া, সাপুড়ে, হবনী, হসন্তি, হসন্তিকা, হাঙ্গর ও হেঁশেল।
চারিত্রিক পরিভাষাঃ অনন্ত, অনিরুদ্ধ, কদ্রু, কবন্ধ, কল্মাষ, গার্গ্য, গোকুল, জলেশ, তাড়কা, তুম্বুরু, দ্রুপদ, ধন্বন্তরী, নরান্তক, নাগেন্দ্র, নাগেশ, পদ্মাবতী, ফণিশ্বর, বরুণ, বাসুকি, বিদর্ভ, বিষহরী, বৃত্র, বৈশম্পায়ন, ভীম, মনসা, মাধাই, মারীচ, রজকিনী, রজকী, শাবর, শাল্মাল, শাল্মালি, সগর, সুমালী, সৌদাস, সৌবল, সৌভিক, সৌম্যা, স্রাবণী, হিবাচী ও হিমাঙ্গ।
ছদ্মনাম পরিভাষাঃ অগ্নিবেশ্য, অগ্নিভাণ্ড, অগ্ন্যস্ত্র, অঘাট, অঘাসুর, অঙ্গারধানী, অঙ্গারপূর্ণ, অঙ্গিরা, অচ্ছোদ, অডং, অতল, অথর্বা, অন্তঃসলিলা, অন্তর্বেদি, অন্নপূর্ণা, অব্জদেব, অভয়া, অভিরাম, অযোধ্যা, অয়নবৃত্ত, অয়নমণ্ডল, অয়োময়, অয়োমুখ, অয়োমুখী, অরণি, অরদী, অরিষ্টনেমি, অলর্ক, অশ্বত্থমা, অশ্বপাল, অশ্বা, অশ্বিনী, অশ্বিনীকুমার, অশ্ম, অহিক, অহিচ্ছত্রদেশ, অহিতুণ্ডক, অহিভুক, অহীশ্বর, আখণ্ডল, আখেটিক, আগ্নিমাঠর, আগ্নেয়গিরি, আগ্নেয়াদ্রি, আঙ্গারধানী, আড্ডা, আড়ামু, আড়ামো, আততায়ী, আতায়ী, আথাল, আনন্দপুর, আনন্দমঞ্জুলা, আয়োদধৌম্য, আশীবিষ, ইন্দ্রবর্মা, ইন্দ্রাসন, উঘা, উত্তরকোশল, উৎস, উপকীচক, উপবন, উপসুন্দ, উলূখল, ওঝা, কঙ্কমুখ, কচ্ছপ, কমঠ, কমণ্ডলু, করাল, করালিনী, করালী, করোয়া, কর্কট, কর্কোটক, কর্বুর, কর্মক্ষেত্র, কর্মভূমি, কর্মশালা, কর্মস্থল, কর্মস্থান, কল১, কলঘর, কলসি, কলাপী, কল্মাষপাদ, কাছিম, কাঠগড়, কামকুম্ভির, কামট, কামবর্ত্ম, কামার, কামারঘর, কামারশাল, কার্মুকধারী, কার্মুকধারিণী, কাল৩, কালকেতু, কালনাগ, কালনাগিনী, কালনেমি, কালসর্প, কালসাপ, কালসাপিনী, কালিয়, কালী২, কালীয়, কুণ্ড, কুণ্ডলিনী, কুন্তলা, কুমারশাল, কুমুদব্রতী, কুমুদিনী, কুম্ভ, কুম্ভকর্ণ, কুম্ভশাল, কুম্ভশালা, কুম্ভাণ্ড, কুম্ভিপাক, কম্ভীনসী, কুলকুণ্ডলিনী, কুলির, কুলিয়ক, কুহকজাল, কুহকী, কৃতবীর্য, কেলিগৃহ, কেশিনী, কেশী, কৈটভ, কোষা১, কোসল, ক্ষপাচর, ক্ষপাট, ক্রুর, খর, খল, খলট, খাই২, খাণ্ডার, খাণ্ডারনী, খাণ্ডারী, খেদঙ্গ, খেদা১, খোক্কশ, খোক্কস, গগনমার্গ, গজারি, গণভবন, গারুড়িক, গারুড়ী, গিরিকন্দর, গিরিগহ্বর, গিরিগুহা, গিরিদরী, গিরিবর্ত্ম, গুফা, গুম্ফা, গূঢ়পাদ, গূঢ়ফণা, গূঢ়মার্গ, গেঁড়াকল, গোকর্ণ, গোখরা, গোত্রভিৎ, গোপ, গোবাঘ, গোবৈদ্য, গোব্রজ, গোভাগাড়, গোমসা, গোয়াল, গোরক্ষক, গোষ্ঠ, গোষ্ঠগৃহ, গোষ্ঠবিহার, গৌরাঙ্গ১, গ্যাঁড়াকল, গ্রীষ্মমণ্ডল, ঘাটি, ঘোড়াশাল, ঘোষ২, চক্র, চক্রধর, চক্রব্যুহ, চক্রী, চণ্ড, চত্বর, চত্বাল, চাতর, চাতাল, চিতা১, চিত্ররথ, চিত্রশিখণ্ডী, চৈত্ররথ, চোল, ছিন্নমস্তক, ছিন্নমস্তা, জউঘর, জউহর, জগন্মোহন, জগমোহন, জতুগৃহ, জন্মান্ধ, জমদগ্নি, জয়সেন, জরাসন্ধ, জলছত্র, জলদস্যু, জলদেবতা, জলপতি, জলযন্ত্র, জলযান, জলশূকর, জলসত্র, জলসেচাকল, জলাধিপ, জলাধিপতি, জলেশ্বর, জাঙ্গলী, জাঙ্গুলী, জারিতা, জীবান্তক, জ্বালেশ্বর, ঠগ, ডিম্বক, ডিহি, ডুণ্ডক, ডুণ্ডুভ, ডেকরা, ডেকরী, ডেগরা, ডেহেরি, তক্ষক, তঞ্চক, তড়াক, তড়াগ, তণ্ডুলাম্বু, তরক্ষু, তরাই, তর্ক্ষু, তাতাল, তাপিতা, তারকাসুর, তার্ক্ষ্য, তিমিঙ্গিল, তীর্থ, তৃণকান্তার, তেজবর, তেজোগর্ভ, তৈলকার, তৈলিক, ত্যান্দোড়, থৈল, থৈলতদার, থৈলা২, দংশ, দংশক, দগ্ধরথ, দণ্ডস্থান, দন্তবক্র, দন্তাল, দমক, দময়িত্রী, দয়াহীন, দরি, দর্ভাসন, দলনী, দস্যি, দস্যু, দানব, দানবদলনী, দাবা, দিঙনাগ, দীর্ঘরোমা, দুঃশাসন, দুনী, দুরজন, দুর্জন, দুর্নিবার, দুর্নিবার্য, দুর্বিগাহ, দুর্বিনীত, দুলকি, দৃঢ়স্যু, দেবখাত, দৈত্য৩, দোন, দোনী, দোলমঞ্চ, দোহারা, দ্বারদেশ, দ্বারপ্রান্ত, দ্বিজিহ্ব, দ্বীপী, ধড়িবাজ, ধনুর্ধর, ধনুর্ধারী, ধরণীধর, ধরাশয্যা, ধরাসন, ধর্মক্ষেত্র, ধর্মপথ, ধর্মরথ, ধর্মশালা, ধর্মারণ্য, ধাউড়, ধুনাচি, ধূমবর্ণ, ধৃতবর্মা, ধৃতরাষ্ট্র, ধৃষ্টকেতু, ধৃষ্টদ্যুম্ন, ধেনুক, ধোঁকারটাটি, ধোনকার, ধোপা, ধোপানী, নক্র, নখায়ুধ, নটক, নন্দিকেশ্বর, নন্দিন, নরক, নরককুণ্ড, নরগ্ন, নর্তনশালা, নলকুবর, নলিয়া, নলে, নাখাল, নাখালপাড়া, নাগগর্ভ, নাগদমন, নাগপতি, নাগপাশ, নাগফণা, নাগফণী, নাগমাতা, নাগরাজ, নাগলোক, নাগাধিপ, নাগাধিপতি, নাগাধিপা, নাগিনী, নাগী, নাচঘর, নাটমন্দির, নাটমহল, নাট্যগৃহ, নাট্যমন্দির, নাট্যরঙ্গ, নাট্যশালা, নাড়ী, নারিকেলমালা, নাশক, নাশন, নাশী১, নিকুম্ভিলা, নিপান, নিমি, নিরাপদনগরী, নিশুম্ভ, নিষদদেশ, নৃত্যশালা, পটীয়স, পটীয়ান, পট্টিশ, পতঞ্জলি, পদ্মপ্রিয়া, পন্নগ, পন্নগী, পরাক্রমশালী, পরাক্রান্ত, পরাবসু, পরিখ, পল্বল, পাড়া২, পাণ্ড্যদেশ, পাতালকেতু, পারিন্দ্র, পাশ১, পাশক, পাশী, পিশাচ, পুরোভূমি, পুষ্পদন্ত, পুষ্পোৎকটা, পৈঘর, প্রগল্ভ, প্রচেতা, প্রদাতা, প্রবঞ্চক, প্রবঞ্চিকা, প্রবল, প্রবৃত্তিমার্গ, প্রাগজ্যোতিষপুর, প্রেক্ষাগার, প্রেতপুরী, প্রেতলোক, প্রেমদেশ, প্রেমধাম, প্রেমাঙ্গন, প্রেমাগার, প্রেমাধার, প্লাবক, প্লাবী, ফণ, ফণা, ফণাকর, ফণাধর, ফণাবান, ফণাভৃৎ, ফণি১, ফণিদ্র, ফণিনী, ফনিরাজ, বজ্রদ্রংষ্ট্র, বজ্রনখ, বজ্রযান, বড়বা, বধক, বধী, বধ্যভূমি, বধ্যস্থলী, বধ্যস্থান, বর্গি, বহ্নিমুখ, বাতাপি, বাথান, বাসুকেয়, বাহুমূল, বিচিত্রবীর্য, বিটলা, বিতংস, বিদেহ, বিদ্যুৎজিহ্ব, বিদ্যুন্মালী, বিপ্রচিত্তি, বিভাবসু, বিমানঘাঁটি, বিলাপিনী, বিলাপী, বিশাখা, বিশ্বাসঘাতক, বিষকুম্ভ, বিষবৈদ্য, বিষহর, বিহঙ্গ, বিহঙ্গী, বীরভদ্র, বৃকোদর, বেঙ্গমা, বেড়া২, বেতাল, বেষ্টনী, বৈঠকঘর, বৈদ্য, বৈদ্যশালা, বৈষ্ণবাস্ত্র, ব্যাঘ্রনখ, ব্যাঙ্গমা, ব্যাঙ্গমী, ব্যাধ, ব্যাল, ব্যালী, ব্রজ১, ব্রজপুর, ব্রহ্মদৈত্য, ব্রহ্মপিচাশ, ব্রহ্মরাক্ষস, ভড়, ভস্মলোচন, ভাওর, ভাটি১, ভিমরুল, ভীমকর্মা, ভীষণ, ভীষণা, ভুজকোটর, ভুজগপতি, ভুজগেন্দ্র, ভুজপাশ, ভুজঙ্গজননী, ভুজঙ্গম, ভুজঙ্গিনী, ভুজঙ্গী, ভুশণ্ডি, ভুশুণ্ডি, ভূষণ্ড, ভৃঙ্গী, ভোগগৃহ, মউমাছি, মকর, মকরকুণ্ডল, মকরকেতন, মকরকেতু, মকরধ্বজ, মকরবাহন, মকরবাহনা, মকরবাহিনী, মঞ্চ, মড়ক২, মড়া, মড়িঘর, মধুছন্দা, মধুসূদন, মন্থরা, ময়দানব, মরা৩, মল্লভূমি, মশান, মসান, মহাখালি, মহানস, মহাপক্ষী, মহাবিষ, মহাবৈদ্য, মহাশ্মশান, মহোদর, মহোরগ, মাঠ, মাতঙ্গিনী, মাতঙ্গী, মাতামহী, মায়াবিনী, মায়াবী, মায়িক, মায়িনী, মার্গ, মালবৈদ্য, মুচিনী, মুরু, মূলোষ্ণ, যজ্ঞকুণ্ড, যজ্ঞবেদি, যন্ত্রগৃহ, যব, যমঘর, যমপুকুর, যমপুরী, যমালয়, যশোর, রংপুর, রক্ষ, রক্ষপুরী, রঙ্গমঞ্চ, রঙ্গশালা, রঙ্গস্থল, রঙ্গভূমি, রঙ্গালয়, রঞ্জকঘর, রণক্ষেত্র, রণচণ্ডী, রণস্থল, রণাঙ্গন, রথীতর, রন্ধনগৃহ, রন্ধনশালা, রন্ধনী, রমনা, রমনাপার্ক, রম্ভ, রসবতী, রসময়ী, রাক্ষস, রাক্ষসী, রাখাল, রাজভিষক, রাজসর্প, রাবণচিতা, রাবণমুখী, রায়বাঘিনী, রাহু, রেবন্ত, রোহিণী১, লব, লীলাকানন, লীলাক্ষেত্র, লুটেরা, লোহার, লোহারু, শকুনি, শতঘ্ন, শতপদী, শতপাদিকা, শত্রুঘ্ন, শবর, শবরী, শবাহারী, শমনভবন, শমনসদন, শম্বু, শম্বুক, শরশয্যা, শশিমুখ, শশিমুখী, শস্ত্রজীবী, শস্ত্রধর, শস্ত্রধারী, শস্ত্রপাণি, শস্ত্রভৃৎ, শস্ত্রাজীব, শস্ত্রী, শার্দূল, শার্দুলী, শূরসেন, শূর্পণখা, শেষনাগ, শৈবলিনী, শোণিতাক্ষ, শ্রী, শ্রীপাট, শ্মশানপুরী, শ্মশানভূমি, সঙ্কর্ষণ, সন্দংশ, সন্দংশিকা, সন্দংশী, সমন্তপঞ্চক, সমরপোত, সমরভূমি, সমরাঙ্গন, সম্পাতি, সরসা, সরসী, সর্পভুক, সর্পরাজ, সর্পহা, সর্বগ্রাসী, সর্বগ্রাসিনী, সর্বনাশিনী, সর্বনাশী, সর্বভক্ষ, সর্বভক্ষ্য, সর্বভুক, সাধনঘর, সিংহিকা, সিংহিনী, সিংহী, সীতাকুণ্ড, সুকেশ, সুদর্শনচক্র, সুযোধন, সুরথ, সুরসা, সূর্যধর্মা, সেনানিবাস, সেনাশিবির, স্থানেশ্বর, স্থূলশিরা, স্নানাগার, স্ববৈদ্য, স্মরহর, স্মরারি, স্রাবস্তী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, স্রোতোবহ, হত্যাকারী, হন্তা, হন্তারক, হন্তী, হরিদ্বার, হর্তা, হাঁড়ি, হাড়গিলা, হাফারঘর, হালট, হাসিয়াল, হিড়িম্বা, হুতাসন, হেঁশেলঘর, হেদুয়া, হেদো ও হোমকুণ্ড।
মৃত্যু ও প্রয়াণের মধ্যে পার্থক্য (The difference between Death and Decease)
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
১ অজ্ঞতা, ঘুম ও শুক্রপাতকে মৃত্যু বলে।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
১ জীবের তিরোধানকে প্রয়াণ বলে।
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
২ অসংখ্যবার নরজীবের মৃত্যু সংঘটিত হতে থাকে।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
২ প্রত্যেক জীবের প্রয়াণ মাত্র একবার হয়।
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
৩ মৃত্যুর পর পুনঃপুন জীবের পুনরুত্থান হতে থাকে।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
৩ প্রয়াণের পর আর জীবের পুনরুত্থান হয় না।
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
৪ শাস্ত্রীয় ও পারম্পরিক-সাহিত্যে মৃত্যু নিয়ে অনেক গল্পকাহিনী রয়েছে।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
৪ শাস্ত্রীয় ও পারম্পরিক-সাহিত্যে প্রয়াণ নিয়ে তেমন আলোচনা নেই।
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
৫ নর ব্যতীত নারীর কোন মৃত্যু নেই।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
৫ নর-নারী উভয়ের অবশ্যই প্রয়াণ হয়।
মৃত্যু Demise (ডিমাইজ)/ ‘زوال’ (ঝাওয়াল)
৬ মৃত্যু ১৮ প্রকার।
প্রয়াণ Death (ডিসিজ)/ ‘وفاة’ (ওফাত)
৬ প্রয়াণের প্রকারভেদ নেই।
এছাড়া প্রয়াণের আগে প্রয়াণ করো এমন কথা বিশ্বের কোন শাস্ত্রে কেউ লেখেছে বলে আমাদের মনে হয় না। আর মরণের অনেক প্রকার রয়েছে। যেমন;
মরার প্রকারভেদ (Classification of Die)
পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে বিভিন্ন অর্থে মৃত্যু/ মরা পরিভাষাটির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। যথা- ১.প্রয়াণ ২.ঘুম ৩.অজ্ঞতা ৪.দীক্ষাগ্রহণ ৫.পাণিগ্রহণ ৬.অখণ্ডতা ৭.শুক্রধর (অটল) ৮.শুক্রপাত ৯.সন্তান ১০.সন্তানগ্রহণ ১১.কবন্ধ ১২.শিশ্ন ১৩.বৈরাগ্য ১৪.সংযম ১৫.মড়ক ১৬.পরিত্যক্ত ১৭.শুকানো ও ১৮.বিপদগ্রস্থ। ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত ‘মরা’ পরিভাষাটির কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেখানো হলো।
১ প্রয়াণ (দেহত্যাগ) (Death): “মরলে পাব বেহেস্তখানা, তা শুনতে মন মানে না, বাক্বির লোভে নগদ পাওনা, কে ছাড়ে এ ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/৩)।
২ ঘুম (Sleep): “শুয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মরে সারা।” (বলন)।
৩ অজ্ঞতা (Ignorance): “তেমাথা রাস্তায় বসে কাপুরুষ পাইলে ধরে, জলের চুলায় মরা মাথা বাতাসে রান্না করে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৪ দীক্ষাগ্রহণ (Initiation): ১ “মরার আগে মরা।” ২ “মরার আগে মরতে পারে, বাঘ টাগে কী করতে পারে, সে মরা কী আবার মরে, মরলে সে অমর হয়।” (পবিত্র লালন- ১১০/৩)।
৫ পাণিগ্রহণ (Marriage): “গত এক ফাল্গুন মরেছে (বিবাহ করেছে) “ (বলন)।
৬ অখণ্ডতা (Integrity): “মরেছিল সাঁইজি লালন, পাইনে তাঁর পুনর্জনম, এমন মরা মরে কয়জন, স্বেচ্ছা ঝুলে ফাঁসিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৭ শুক্রধর (অটল) (Spermatic/ Semen defender): “মরতে পারলে ধরতে পারা যায়, মুখের কথা না।” (পবিত্র লালন- ৩৯০/৩)।
৮ শুক্রপাত (Ejaculation): “ভজো মানুষের চরণ দু’টি, নিত্যবস্তু হবে খাঁটি, মরলে হবে সব মাটি, ত্বরায় এভেদ লও জেনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/২)।
৯ সন্তান (Progeny): “মরাকে আর মারবি কতো, বেন্ধে যমরশিতে, যমের কী আর সাধ্য আছে আবার তারে মারিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
১০ সন্তানগ্রহণ (Annexation/ Taking offspring): “এক জনমে কয়বার মরে, দেখে না গণনা করে।” (বলন)।
১১ কবন্ধ (Acephalous/ Comet): “মরায় মরা গিলা।” (বলন)।
১২ শিশ্ন (Penis): “বাঁজানারীর ছেলে মরল, একি হলো দায়, মরা ছেলের কান্না দেখে, মোল্লাজি ডরায়।” (পবিত্র লালন- ৬৮৪/১)।
১৩ বৈরাগ্য (Dispassion): “মরার আগে কেউ স্বাধীন হয় না। (বলন)।
১৪ সংযম (Restraint): “মরণের আগেতে মরা, আপন মন বলিদান করা, প্রাণ অপেক্ষা যে পিয়ারা, তারে কী বুঝায় শরায়।” (পবিত্র লালন- ২৮৭/৩)।
১৫ মড়ক (Corpse): “মরা ছাগল পথের পাশে পড়ে আছে।” (বলন)।
১৬ পরিত্যক্ত (Rejected): “তিনজন মরেছে বা (Out) হয়েছে।” (বলন)।
১৭ শুকানো (Arid): “মরা গাছ।”
১৮ বিপদগ্রস্থ (Imperil): “মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।”
শ্বরবিজ্ঞানে মরা দুই প্রকার। যথা; ১.উপমান মরা ও ২.উপমিত মরা।
১ উপমান মরা (Analogical Die)
সাধারণভাবে সর্ব প্রকার পতনকে উপমান মরা বলে।
২ উপমিত মরা (Compared Die)
শ্বরবিজ্ঞানে শুক্রপাত করাকে উপমিত মরা বলে।
এবার পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, আলোচ্য Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) পুরুষ জাতীয় জীবের শুক্রপাতরূপ মৃত্যু সংঘটন করে। আর পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যে যে মৃত্যুর আলোচনা করা হয়েছে বা হয় তা কখনোই প্রয়াণ নয়। বরং তা অবশ্যই মৃত্যু।
(সংক্ষিপ্ত সংকলন)
তথ্যসূত্রঃ কুরানের আধ্যাত্মিক অনুবাদ
অনুবাদকঃ বলন কাঁইজি
-------------------------------------------------------------------------------
কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব- ১
কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব- ২
কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব- ৩
কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব- ৪
কুরানে ব্যবহৃত ইংরেজি পরিভাষা; পর্ব- ৫
---------------------------------------------------------------------------
আধ্যাত্মিকবিদ্যা (Spiritualism), আত্মদর্শন (Introspection), আত্মতত্ত্ব (Apperception), দেহতত্ত্ব (Physiology), পরম্পরাতত্ত্ব (Traditionalism), দিব্যজ্ঞান (Theosophy), স্বরূপদর্শন (Ontology), নরত্বারোপ (Personification), বলনদর্শন টীকা (Bolon philosophy’s note), শ্বরবিজ্ঞান (Theology) ও পুরাণ (Mythology).

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই লেখাটির প্রয়োজনীয় রেফারেন্স পোস্টে সংযুক্ত করুন। পাশপাশি, আপনার বর্তমান নিকটি ব্লগনীতিমালা অনুসারে গ্রহনযোগ্য নয়। তাই বিকল্প কয়েকটি নাম সাজেস্ট করে দ্রুত ফিডব্যাকে মেইল করুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

পরম কাঁইজি বলেছেন: অনুগ্রহ করে পষ্টের নিচে তথ্য সূত্র লক্ষ করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.