নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতি যাই হোক, দেশ মানবতা সততার পক্ষে এক থাকি

কমজান্তা

মানবতার কথা বলি। বিবেকের বিচার মানি। অপরাধীর বিরুদ্ধে বলি সে যেই হোক, ডান বাম, মোল্লা মিষ্টার, সরকারী দল বিরোধী দল।

কমজান্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মীরজাফরের সাথে আরেক নাম তোরাব আলী

২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:২০

মীরজাফরের সাথে আরেক নাম তোরাব আলী



মীরজাফর, একটি নাম। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি কোন নাম নয়। এটি বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ। ক্ষমতার লোভে নবাব সিরাজুদ্দৌলার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে দেশের স্বাধীনতাকে বিকিয়ে দিয়েছে মীর জাফর। তাই হাজার বছর ধরে মীর জাফরকে বিশ্বাস ঘাতক হিসেবে এত চরম ভাবে ঘৃনা কওে আসছে যে কেউ আর মীর জাফর নামটি রাখেনা। দীর্ঘ দিন পর সেই বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফরের নাম মুছে দিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়কে খান খান করে যে নামটি ঘৃন্য হয়ে ওঠেছে সে হলো তোরাব আলী। যার ষড়যন্ত্রের ফলে জাতি হারালো ৬০জন বীর সেনানীকে।



বাংলাদেশের ইতিহাসে এক জঘন্যতম কালোদিন হলো ২৫ফেব্র“য়ারী ২০০৯। সীমাহীন হিংস্রতা, চরম পাশবিকতা, নারকীয় তান্ডব, অবর্ণনীয় নির্যাতনের ঘটনা যেন কারবালার মর্মদুন্তু কাহিনীকেও হারমানায়। সেই ঘটনা বিদ্রোহের মধ্যে পড়েনা, সেসব হলো হায়েনার বর্বরতা। এদিনের ঘটনা এতটা নির্মম, নিষ্ঠুর, নির্দয় ভাবে হয়েছে যে দেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষই পেশা, আদর্শ, ছোটবড়, ধর্মবর্ণ, শিক্ষিত অশিক্ষিত, দলমত নির্বিশেষে সেই ঘটনায় হৃদয়ের গহীনে আঘাত পেয়েছে। ঝরঝর করে অশ্র“ গড়িয়েছেন অনেকে, কেউ হাউমাউ করেও কেঁদেছেন, কেউবা আবার কেঁদেছে বোবা কান্না। বুকের মাঝের এই কষ্ট আসলে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ভালবাসা। এই কষ্ট যেমনি ভাবে প্রায় সত্তরটি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা, পাশাপাশি দেশের এতগুলো চৌকস, নির্ভীক, সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হারানোর বেদনা, তেমনি ভাবে দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশও বটে। এই ষড়যন্ত্র কোন ব্যক্তি, পরিবার, দল কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সুতরাং দেশের শক্রুদের খুঁজে বের করে এমন কঠোর শাস্তি দিতে হবে যেন কোন দিনও কেউ এহেন জঘন্য কাজের সাহস না করে।



আমাদের গোয়েন্ধা বিভাগ যদি শক্তিশালী ও দেশপ্রেমিক হতো এবং সেদিন যদি ঘটনার শুরুতেই প্রদক্ষেপ নেয়া যেত তাহলে হয়ত বেশ কিছু অফিসারকে বাঁচানো যেত। এছাড়া গুলিবিদ্ধদেরকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত। লুটপাট ও ভাংচুর নিশ্চিত ভাবে ঠেকানো যেতো এবং কোটি টাকার সম্পদ খোয়া যেতনা। রাতের আঁধারে কেউ নির্যাতিত হতোনা। লুট হয়ে বেহাত হতোনা জীবন বিপুল পরিমান মারোনাস্ত্র। বেঁচে আসা একজন অফিসার বললেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষন নাকি টনিক হিসেবে কাজ করেছে, সেই টনিক প্রথম দিন ব্যবহার করলেতো ক্ষতির পরিমান অন্তত আশি শতাংশ কম হতো। ভেতরের লোকদের বের হবার নিশ্চয়তা না নিয়েই সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার ফলে অপরাধের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুন। আলোচনার দীর্ঘসূত্রীতার কারনে খুঁজে খুঁজে খুন করা, লুটপাট, নির্যাতন, গনকবর, অস্ত্র লুট, জওয়ানদের পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদির সুযোগ হয়েছে। সেনাবাহীনি এলাকাবাসীকে তিন কিলো দুরে যাওয়ার ঘোষনার সাথে সাথেই জওয়ানরা পালাতে শুরু করলো, মাত্র আধা ঘন্টায় দশহাজার জওয়ান প্রায় সবাই উদাও অথচ সুপ্রশিক্ষিত একশত সেনা অফিসার জীবন রক্ষা করতে পারলেন না। প্রথমদিন যদি সেনা বাহীনি এভাবে ঘোষনা দিয়ে ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করতো তাহলে একই ভাবে জওয়ানরা পালিয়ে যেত। তাহলে হয়ত ১৫/২০জন অফিসার হারানো ছাড়া আর কোন ক্ষতিই হতোনা। প্রথম ১৫/২০জনকে নাকি গুলি করেছে প্রায় ৪৫মিনিট পরে। এতগুলো সময় পাওয়ার পরও আমরা পারিনি আমাদের দক্ষ অফিসারদের রক্ষা করতে।



যাই হোক প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় সফল হয়েছেন বলে মিডিয়ায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ/মন্ত্রীগন দাবী করছেন। ৬০-৭০জন মানুষের খুন হওয়া, লুটপাট, নির্যাতন, অস্ত্র লুট এসব কিছুতো ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনার সফলতা। ষড়যন্ত্রকারীদের সফলতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সফলতা একাকার হয়ে যাচ্ছে কেন। প্রিয় মানুষটিকে হারানোর পর এমন সফলতার কথা শুনলে স্বজনদের কলিজায় কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয় না? তাই ওদের আমরা আর কষ্ট না দেই।



এই ঘটনায় কয়েকটি পরিবার তাদের কর্তাদেরই হারায়নি শুধু, সেনা বাহিনীরও খুব বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তারা অভিজ্ঞ অফিসার হারিয়েছে। ত্রিশ বছরে হয়ত আবার পদোন্নতি পেয়ে বেশ কিছু অফিসার আমরা পাব কিন্তু বিগ্রেডিয়ার বারী, কর্ণের মুজিব, কর্ণেল গুলজারকে পাব কই। এছাড়া আমাদের সীমান্ত রক্ষী বিডিআর ধবংস হয়ে গেছে, যেমনি ভাবে চেইন অব কমান্ড গেছে তেমনি গেছে অবকাঠামো, তথ্য, বিভিন্ন উইং এবং সবছে বড় যে ক্ষতি তা হলো আস্থার সংকট। এছাড়া দুই বাহিনীর মধ্যে মনস্তাত্বিক ব্যাবধান সৃষ্টি, দেশের আভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শক্তির তথ্য কিছুটা প্রকাশ হওয়া এবং অন্যদের নাক গলানোর সুযোগ সৃষ্টি।



তদন্তকারী সংস্থা গুলোকে খুঁজে বের করতে হবে কারা এই ঘটনার পরিকল্পনাকারী এবং কারা বাস্তবায়নকারী আর কারা সহযোগিতা কারী। এজন্য বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সন্দেহের তালিকায় এনে খতিয়ে দেখতে হবে। ১) প্রথমত আমাদের দেশের বিডিআরকে ধবংস করে সীমান্ত দূর্বল করলে যাদের লাভ ঘটনা তারাই ঘটাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই মানুষের ধারণা একটি প্রতিবেশী দেশের গয়েন্ধা সংস্থার পরিকল্পনা ও অর্থায়নে এবং স্থানীয় লোভী এজেন্টদের সহযোগিতায় রৌমারি ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সব কিছুই তদন্তের পর বলা যাবে ২) দ্বিতীয়ত সৎ ও দক্ষ সেনা অফিসারদের সরিয়ে দিয়ে চোরাচালান ব্যবসা কণ্টক মুক্ত করতে চোরাচালান মাফিয়া চক্র এই ঘটনা ঘটাতে পারে। ৩) আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রকৃয়া শুরু হওয়ায় তারা ঘটালো কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার। তাদের সাথে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাবেক সেনা কর্মকতা, বিডিআর কর্তা আছে কিনা তার খোঁজ নিতে হবে। ৪) শুধু তাই নয় সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে এমন গোষ্ঠীর প্রতিও নজর দিতে হবে। সরকারী দলের প্রধান প্রতিপক্ষ দলও হতে পারে ৫) আবার মন্ত্রিত্ব বঞ্চিত সিনিয়র নেতাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ মোস্তাকদের উপস্থিতি যুগে যুগে থাকে। মিডিয়া এসেছে ঘটনার সময় বিদ্রোহীরা প্রকাশ্যে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েছে, এসব কারা কেন করেছে সবই তদন্ত সাপেক্ষ কিসের ইঙ্গিত। ৬) আর জঙ্গিদের বিষয়টিতো অবশ্যই দেখতে হবে। তবে জঙ্গিরা এই পর্যন্ত যতগুলি মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ ও বোমাবাজি করেছে তা তারা স্বীকার করেছে বা লিপলেট দিয়ে জানান দিয়েছে, তারা কোন ঘটনাই লুকায়নি। পিলখানার ঘটনায় তারা এখনও দায়িত্ব স্বীকার করেনি। দেখা যাক সময় ফুরিয়ে যায়নি।



তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা যা কিছু জেনেছি তা হলো সাবেক বিডিআর সদস্য তোরাবআলীর বাসায় কয়েকটি পরিকল্পনা ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সভা হয়েছে যাতে ডিএডি তৌহিদ, রহিম সহ কয়েকজন বিডিআর এবং আরও কয়েক নেতা অংশ নেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক বাহির থেকে মুখোশ পরা কিলার গ্র“প প্রেরন ও হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্যে বিদ্রোহীদের পক্ষে মিছিলকারীদেরকে দুষেছেন। সেই মিছিলের নেতৃত্ব এবং বিদ্রোহীদের খাবার সরবরাহ করেছেন লেদার লিটন নামে এক ব্যাক্তি যিনি তোরাব আলীর পুত্র। এই তোরাব আলী একটি রাজনৈতিক দলের ৫৮নং ওয়ার্ড সভাপতি। দেশবিরোধী এই ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে ঐ দলের নেতাদের নাম চলে আসছে। এমনকি এসব ষড়যন্ত্রের কথা রিমান্ডে তোরাব আলী, তৌহিদ সহ অন্যান্যরা স্বীকারও করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনার সাথে জেএমবি জড়িত। তবে গোয়েন্ধারা এই ঘটনায় এখনও জেএমবির কোন সংশ্লিষ্টতা পায়নি বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি তোরাব আলী গং ও জঙ্গি নেতারা একসাথে মিলে কাজ করেছে। এটি যদি সত্যিই হয় তাহলে গত সরকারের আমলে জেএমবিকে দিয়ে কারা কাজ করিয়েছে সেই বিষয়টিও সামনে চলে আসে। ইতোপূর্বেকার বিভিন্ন ঘটনার সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে মধ্যমসারির নেতাদের পাঠানো, আলোচনার নামে সময় নষ্ট, ক্ষমা ঘোষনা, সেনা অভিযান বন্ধ রাখা, সব কিছুই ষড়যন্ত্রকারীদের গাইড লাইন মোতাবেক হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় তিনিও যথাযথ প্রদক্ষেপ নিতে বেগ পেয়েছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা ঘটনা ঘটানোর জন্য নাকি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে, তাহলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতেও নিশ্চয় বরাদ্ধ রেখেছে। জানিনা এর ভবিষ্যত কি। তবে অপরাধীদের কিছু অংশ ধরা খেয়ে গেছে। আর যাই হোক এই ঘটনা নিয়ে ছিনিমিনি করলে জনগন কাউকেই ক্ষমা করবেনা।



দেশের এই কঠিন সময়ে আমাদেরকে (১) সংকীর্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উর্দ্ধে উঠে প্রদক্ষেপ নিতে হবে। পিলখানার রক্তাক্ত ঘটনা যেই ঘটাকনা কেন, অপরাধী যেই হোক, যে দলেরই সদস্য হোক, সে দেশের শক্রু, মানবতার শক্রু, তার অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। সামান্য দলীয় পরিচয়ের কারনে তোরাব আলীরা যদি পার পেয়ে যায় তবে শহীদের রক্ত আমাদের ক্ষমা করবেনা। প্রধানমন্ত্রীতো স্বজন হারানোর বেদনা বুঝেন, আশা করি এই খুনিদের কঠোর শাস্তি দিবেন, যদি নিজ দলেরও কেউ হয়। দেশের শত্র“রা দলের নাম ব্যবহার করেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে। এদের কোন ক্ষমা নাই। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম যেদিন শহীদের স্ত্রী সন্ত্রান আর স্বজনদের সামনে ফায়ারিং স্কোয়াডে খুনীদেরকে ব্রাশ করে জাতি কলংক মুক্ত হবে। সকল অপরাধীই পাবে যথার্থ শাস্তি।

(২) ঘটনার সবছে ক্ষতিগ্রস্ত হলো নিহত কর্মকর্তাদের পরিবার। তাদের সন্তানদের পড়ালেখা, চিকিৎসা, থাকা, খাওয়াসহ জীবন যাত্রার মান আগের তুলনায় কোন অংশেই যেন ঘাটতি না হয় সেই বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কষ্ট, আবেগ একটা সময় শেষ হয়ে যাবে কিন্তু পরিবার গুলোর প্রতিটি মুহুর্তের চাহিদার প্রেক্ষিতে তারা প্রতিক্ষনই এই কষ্ট বয়ে বেড়াবেন। এমনকি অফিসারদের বাঁচাতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে যে সকল বিডিআর জওয়ান নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকেও সহযোগিতা করতে হবে। স্বজন হারানো সেই বিডিআর পরিবারের বিষয়টি কেউ নাকি খবরও নিচ্ছেনা। এমনকি তাদের নাকি পদে পদে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে অথচ তারা সহমর্মীতা ও সহযোগীতা পাওয়ার অধিকারী। তারা অফিসারদের বাঁচাতে জীবন দিয়েছে।

(৩) বিডিআরের ইমেজ ও ভাব মর্যাদা, মনোবল চরম সংকটে আছে। বিডিআরের নামের সাথে একটা ঘৃনা একটা আতংক জড়িয়ে গেছে। তাই বিডিআর নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম নিয়ে, নতুন ভাবে যে অবকাঠামো তৈরি হবে সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি প্রশিক্ষিত চৌকস বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সেনা বাহিনীর সিপাহীদের মধ্য থেকে প্রথমে একটা সংখ্যা প্রেষনে দেয়া যেতে পারে। পরবর্তীতেও নতুন বাহিনীর নিজস্ব কোন রিক্রুটম্যান্ট পদ্ধতি না রেখে সবসময় রিক্রুটম্যান্ট যদি সেনাবাহীনির সিপাহীর সাথে হয় সেটাও হতে পারে। শিক্ষা, প্রশিক্ষন, সুযোগ সুবিধা সমান সমান হলে আর কোন ঝামেলাও হবেনা। যেভাবেই হোক সুশৃংখল, সাহসী ও দক্ষ একটি বাহিনী গড়ে তুলতেই হবে।

(৪) শুধু সীমান্ত রক্ষীই নয় সাথে সাথে কয়েক স্তর বিশিষ্ট গোয়েন্ধা বিভাগ গঠন করতে হবে। যাতে কেউ বিপথগামী হলেও যে কোন তথ্য কতৃপক্ষের নিকট পৌছে যায়। এমনকি গোয়েন্ধা বিভাগের নিজস্ব অভিযান পরিচালনার মত অবকাঠামো এবং শক্তি সামর্থ থাকতে হবে। নতুন করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। তবে হয়ত ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যেতে পারে। এই ঘটনায় আমরা যতটুকু পেছনে এলাম তার ছেয়ে বহুগুন সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, জনবল বরাদ্ধ সরকারকে দিতে হবে।



সবশেষে বলতে চাই, প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের কোন অবহেলা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য কোন দোষীকে বাঁচিয়ে দেয়ার বা কোন নির্দোষকে অপরাধী করার প্রবনতা থাকলে তা হয়ত কিছুদিন গোপন থাকবে কিন্তু সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি না পেলে লজ্জা, ঘৃনা, অপমান আর শহীদের আত্মা সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে আমাদেরকে। তাই আসুন এই বিয়োগান্তুক ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসি এবং কাদাছোঁড়াছুঁড়ি না করে জাতীয় ঐক্যের জন্য একে প্লাটফর্ম হিসেবে কাজে লাগাই এবং আগামী দিনের বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলি। ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিতাড়িত করি জাতীয় সমস্যা সমুহ এবং কাজে লাগাই সকল সম্ভবনাকে।



লেখকঃ মানবাধিকার কর্মী ও

এমফিল গবেষক, চবি।





মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২৩/-৪

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:২৭

রুবেল শাহ বলেছেন: আপনি কি মনে করেন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা না করে পাল্টা আক্রমণে গেলে ক্ষয় ক্ষতি আরো কম হত.............. ?

২| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:২৯

প্রগতিশীল বলেছেন:
পত্রিকার খবর অনুযায়ী বিডিআর হত্যাকান্ডের নাটের গুরু তোরাব আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা।
তার সাথে আওয়ামী লীগের আর কে কে জড়িত তা খুজে বের করা দরকার।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৩২

সরকার সেলিম বলেছেন: + দিলাম .

দিন বদলের শ্লোগান ও একটি ইনডিসেন্ট অনুরোধ

Click This Link

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৫৩

'লেনিন' বলেছেন: প্রগতিশীল বলেছেন:
পত্রিকার খবর অনুযায়ী বিডিআর হত্যাকান্ডের নাটের গুরু তোরাব আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা।
তার সাথে আওয়ামী লীগের আর কে কে জড়িত তা খুজে বের করা দরকার।
এখানে দেখুন তো কিছু ক্লু খুঁজে পান কীনা? প্রধাণমন্ত্রীর ভাষণে বিলম্ব, খুনীদের পালানোর সব ব্যবস্থা করে দেয়া। আর ১০০০০ সৈনিক অস্ত্র সমর্পন না করতে চাওয়ার পরও রাজনৈতিক সমাধান এর ছেলেখেলা.... কী নির্দেশ করে?

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৪

গ্ল্যাডিয়েটর বলেছেন: মানবাধিকার কর্মীদের বিডিয়ার সদস্যদের জন্য এতো স্বচ্চার দেখে মনে হ্য় তাদের পিছনেও টাকা খরচ করা হয়েছে, তারা মনে হয় এখনও ঘাতকদের পরিকল্পনার একটি অংশ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে । আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে যাতে তাদের পরিকল্পনার কোনো অংশ যেন সফল না হয় ।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩২

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
প্রথমদিন যদি সেনা বাহীনি এভাবে ঘোষনা দিয়ে ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করতো তাহলে একই ভাবে জওয়ানরা পালিয়ে যেত।
------------------------------

মাথাত টিকির লেদা পরিমান ঘিলু থাকলেও বুঝতেন যে, অস্ত্র হাতে ক্ষ্রিপ্ত জওয়ানরা আর্মি দেখলেই পালাইবে না। আর ঢাকা শহরে ওপেন স্ট্রীট ফাইটে আর্মি ১০ মিনিটে জিতা জাইবো না |

সেই সাথে সারাদেশের বিডিআর ক্যাম্প গুলাতে জওয়ানরা এই ঘটনায় অংশ নিলে কয়েক হাজার লাশ পড়তো।

এখন যে বিডিআর রা সব দলে দলে আত্নহত্যা কর্তাছে সেইটা নিয়া কিছু কইবেন নাকি?

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩৬

রাজনীতিক বলেছেন: তোরাব আলী এখনও পুরোপুরি মীর্জাফর হতে পারে নাই। তার সাথে আওয়ামী লীগের কোন শীর্ষ নেতারা জড়িত তা প্রকাশ করে দিলেই সরকারীভাবে তাকে মীরজাফর ঘোষণা করা হতে পারে।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৪৪

খলিল মাহমুদ বলেছেন: মর্মান্তিক। ছবিগুলো দেখলেই বুক ফেটে যায়।
তদন্ত চলছে জানতে পারি মিডিয়ায়, কবে শেষ হবে তা আল্লাহই জানেন।
তবে রাত ১০টায় লোডশেডিং করে যে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা সন্দেহের বাইরে না।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫২

'লেনিন' বলেছেন: "অস্ত্র হাতে ক্ষ্রিপ্ত জওয়ানরা আর্মি দেখলেই পালাইবে না।"

বীরত্ব কোথায় ? খুন-খারাবিতে? অস্ত্র হাতে নিয়েছে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তাই রাতের আঁধারেই পালিয়ে গেছে মূল খুনীরা। একটু চিন্তা করে কথা বলুন।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

অলস ছেলে বলেছেন: ভালো লিখেছেন। যত দিন যাবে, ততই পরিস্কার হবে, প্রথমদিন সকালে সাথে সাথে কমান্ডো অভিযান চালালে এই ষড়যন্ত্র সফল হতো না এভাবে, এত নির্মম পরিণতি হতো না।
তোরাব আলী তো পুতুল। মীরজাফর কে ঐটা নিভৃত যতনে মনের সংগোপনেই থাকুক। ইতিহাস পারলে দেখবে।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:০১

অলস ছেলে বলেছেন: দিশাহারা ওমর সোলাইমান ভাইএর মন্তব্য পড়লে মনে হয়, দুই বাহিনী দুই দিক থেকে খোলা তলোয়ার হাতে ধেয়ে যাবে, ষ্ট্রীট ফাইটিং =p~

আর্মির কি কমান্ডো পাঠিয়ে ক্র্যাকডাউন অপারেশন করার যোগ্যতা নেই? ঐরকম বাহিনী আর স্নাইপার রাইফেল দিয়ে জয়েন্ট অপারেশন করলে নয়টায় শুরু করে বারটা বাজার আগেই এই গণহত্যাকারীদের বারটা বেজে যেত। এগারটা সাড়ে এগারটায় অফিসারদেরকে লাইন ধরে বাইরে এনে মারা আর সারা রাত পরদিন ধরে নির্যাতন হত্যা করতো হতো না। কিন্তু যত যোগ্যতাই থাকুক, মীরজাফর আংকল লাগাম টেনে রাখলে কি করার আছে, কিছু মীর মদন আর মোহনলাল কে মরতেই হবে।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:০৭

সুফিয়ান ডট কম বলেছেন: ............. আহারে........... আপনারে যে ক্যান তদন্ত কমটিতে রাখলো না...


"..............শহীদের স্ত্রী সন্ত্রান আর স্বজনদের সামনে ফায়ারিং স্কোয়াডে খুনীদেরকে ব্রাশ করে জাতি কলংক মুক্ত হবে। সকল অপরাধীই পাবে যথার্থ শাস্তি।"...................."


এইটা নাকি মানবাধিকার কর্মী....

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৪১

ডারউইন বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৩১

আবু সালেহ বলেছেন:

লিখার বিষয়বস্তু পছন্দ হইছে.....

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৪১

সোনার বাংলা বলেছেন:
সহমত।

১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

আকাশ_পাগলা বলেছেন: পিলখানার বাইরেও বি ডি আর থাকে, এটা বোধহয় জানেন না। হা হা হা হা হা।


পিলখানায় কমান্ডো আপারেশ্ন যদি সফলও হত, সারা বাংলাদেশের বাকি ক্যাম্প গুলাতে কী হত ??? ধারণা আছে ?? সে সময় সবাই ওদের পক্ষ নিছিল, কেউ জানত না যে ওরা ভিতরে এই সব করছে।
সারা দেশের সকল ক্যাম্পে শত শত মানুষ্কে জিম্মী করত। আর্মি কয়টায় অপারেশন চালাত ?? তাও নিজের দেশে ??


ট্যাংক দিয়ে ইনফ্যানট্রি মারা যায় ??? আরও কত কিছু শুনব ।

পিলখানায় যদি ট্যাংক অপারেশন চালাতো, বি ডি আর রা মহিলার আর বাচ্চা দের কে দিয়ে হিউম্যান ওয়াল বানাতো।
মানে বুঝেন ??


যাই হোক, মিডিয়া যা জানত, সরকারও তাই জানত। এটা অবশ্যি সরকারের চরম ব্যার্থতা। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা পুরোপুরি ব্যার্থ। তবে, সে সময়ে মাত্র নতুন সরকারের কাছ থেকে আমরা কতটুকুই বা আশা করব???


আমি মনে করিনা যে, হাসিনার নীতি বা কৌশলে কোন ভুল ছিল । তবে, সরকার যা ভিতরে ভিতরে কতটুকু নড়বড়ে সেটা সারা দুনিয়া বুঝলো।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২৮

জাকী বলেছেন: বাল!!!!!!!!!!!!দালাল দালাল!!!!!!!!!
যাই হোক, মিডিয়া যা জানত, সরকারও তাই জানত। এটা অবশ্যি সরকারের চরম ব্যার্থতা। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা পুরোপুরি ব্যার্থ। তবে, সে সময়ে মাত্র নতুন সরকারের কাছ থেকে আমরা কতটুকুই বা আশা করব???
আমি মনে করিনা যে, হাসিনার নীতি বা কৌশলে কোন ভুল ছিল । তবে, সরকার যা ভিতরে ভিতরে কতটুকু নড়বড়ে সেটা সারা দুনিয়া বুঝলো.
বাল বাল বাল বাল বাল!!!!!!!!!!!!!!!!

did PM asked BDR team " where is DG? i wanna talk to DG? Give him a mobile call."
No pm did not look for DG rather he entertained BDR men with tea-snacks.
Her every step is wrong including general amenesty and allowing BDR men to flee.
biggest mistake by hasina. shame shame

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪০

'লেনিন' বলেছেন: জাকী রেগে গিয়ে ইংরেজীতে যা বলেছেন... সেগুলোই মূল পয়েন্ট!
সাধারণ ক্ষমা তাৎক্ষণিকভাবে ওদের নিরস্ত করার জন্য হয়তো ঠিক ছিলো। কিন্তু অফিসারদের সাথে কথা বলা... বা নিদেন পক্ষে দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ কোনোটাই করেনি প্রধাণমন্ত্রী।

বরং ২৭ তারিখে শেখ রেহানাকে মিডিয়ার সামনে টেনে এনে যে নাটক করেছে তা তার অন্তরের প্রতিহিংসার চরিতার্থ করার মানস বলেই সন্দেহ জাগে।

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

অলস ছেলে বলেছেন: দু:খ দু:খ। কপালে আরো আছে। সবাই কত সুশীল। কত বিশ্লেষণ, কত চিন্তা। আহারে। আইসবেনে যখন সময় দেবেনে। এখন কিছু করার নেই, অনাগত ভবিষ্যতের দু:স্বপ্ন দেখিয়ে গণক সেজে হাসির পাত্র হওয়া ছাড়া।

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১:১৫

কেএসরথি বলেছেন:

অনেক প্রশ্ন, উওর কম।

সত্যটা কি কখনও আলোর মুখ দেখবে?

এই হত্যার বিচার হোক, যেসব বিডিআর সদস্য তাদের সেনা কর্মকর্তাদের সাথে প্রান দিয়েছেন, তাদের কে শহীদ মর্যাদা দেয়া হোক।

সেনা সৈনিক মানিকের শেষ কথাগুলো মনে ভাসে। সে তার মাকে ফোন করে বলেছিল "মা, তোমাদের সাথি মনি হয় আর দেখা হবি না। আমি স্যারদের সাথে ৩ তলায় লুকায় আছি। সব দোষের জন্য মাফ করি দিও মা..."

চোখে ভাসে দৃশ্যগুলো যেন আমিও ওখানে ছিলাম।

মোবাইল থেকে লুকিয়ে SMS করেছিলেন একজন মেজর।

"Bro, my 13 years of service went in to vain. They are taking me hostage at gunpoint."

অনুবাদ: "ভাই, আমার ১৩ বছরের চাকুরী বৃথা গেল। ওরা বন্দুকের সামনে আমাকে জিম্মী করতে যাচ্ছে।"

খারাপ লাগে মনে হয়, এমন মৃত্যু কারো যেন না হয়। এমন মৃত্যু কারো প্রাপ্য নয়।

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:০৪

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @জাকী

খারাপ লাগে।

আমার কোন কথায় মনে হল, আমি দালালী করলাম ??
আমার কাছে যেটা ঠিক মনে হয়েছে, সেটাই বললাম।

এগুলো যদি দালালী হয় কিছু বলার নাই। সাহারা যখন ভিতরে ঢুকল, ওকেও তো আওটকে রাখতে পারত। ও তো রিস্ক নিয়েই ঢুকছে। আলোচনা আগে না হলে, হয়ত ওকেও আটকে রাখত। তখন ? কাউকে বের করে আন্তে পারত??


আমার আব্বা তখন শ্রী মঙ্গলে রওনা দিছিলেন। আমি সরাসরি জানতে পারছি, বাইরের অবস্থা কী ।
বি ডি আর রা পুরা এলাকা ঘেরাও দিছিল। পুরা এলাকা। ওখানে আর্মি যেতে অনেক সময় নিবে। ওখানে ট্যাংক নিয়ে যাবে??


আব্বু বলতেছিল, খালি দুয়া কর, এখন যেন যুদ্ধ না লাগে। জানি না তাহলে কী হত। কত মানুষ জিম্মী হত।

দশ দিন পরে এসে সব কিছু জেনে আগের ঘটনা বিচার করলে হয় না।
আগেই তো বললাম, মিডিয়া যা জানত, সরকারও তাই জানত। মিডিয়া যেভাবে বলেছিল, মনে হচ্ছিল বিডি আর এর পক্ষেই থাকা উচিত। তখনো কোন লাশ ভেসে উঠে নি ম্যানহোল দিয়ে। পরের দিন হয়তবা গুটি কয়েক।

আমি নিজেই ফেসবুকে বি ডি আর এর পক্ষের গ্রুপে যোগ দিহিলাম। তখন কে জানত আসল ঘটনা কী??


এখন সব দেখ শুনে স্রোত বুঝে ঘটনা শেষে খালেদার মত বাণী দিলে ত হবে না।

স্বীকার করা আর না করা আপনার ব্যাপার, তখন বেশির ভাগ লোকই বি ডি আর এর পক্ষ নিছিল।

২২| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৩৩

অলস ছেলে বলেছেন: বেশিরভাগ লোকের সমর্থন যে বিডিআর এর পক্ষে ছিল, এটাও ছিল পরিকল্পনার একটা অংশ। মেকানিজম সম্পুর্ণ সফল। এই মেকানিজম ভাঙ্গার জন্যই ক্র্যাকডাউন দরকার ছিল, সাথে সাথে। মানুষ খেপে যেতো, অনেক কিছুই হতো, কিন্তু যতকিছুই হতো তার সাথে বিডিআর আর সেনাবাহিনীকে দুর্বল অবস্থায় চলে যাওয়ার কোন তুলনা হয় না। যাইহোক, এসব বলে তো কোন লাভ নেই, আপনি আমি সব পুতুল, চাবি যেমতে যেমতে দেওয়া তেমতে তেমতে নাচি।

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৬:২৮

আসিফ রহমান বলেছেন: মগবাজারের কিছু বাছা বাছা শুয়াররে ধইরা ভালমত পিটাইলে অনেক কিছু জানা যাবে এই ব্যাপারে।

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩

আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: মাইনাস।

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০০

নামহীনা বলেছেন: আকাশ_পাগলা -র সাথে একমত।

২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৫২

নুসরাত জাহান যুথি বলেছেন: সরকার ঐ সময় আসলে কিছুই করে নাই। সরকার ঐ সময় চুপ করে বসে থাকলেও একই ঘটনা ঘটত।

২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:২৮

দ্বীপবালক বলেছেন: তোরাব আলীদের অভাব নেই ছোট্ট আমাদের দেশটাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.