নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিস্কার

পড়ুয়া_পড়ুয়া

“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিস্কার করে।” ---নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

পড়ুয়া_পড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী ব্যাংকের আয় : কতোটা সুদবিহীন আসলে ?

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪

ইসলামী ব্যাংকের প্রবক্তারা আয়ের যে উৎসগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো :

১. অংশীদারি কারবার হতে অর্জিত মুনাফা;

২. ব্যয়-ই-সালাম ও ব্যয়-ই-মুয়াজ্জাল হতে প্রাপ্ত মুনাফা(অগ্রিম বিক্রিও নগদ বিক্রি);

৩. ইজারা বন্দোবস্ত হতে লব্ধ আয়;

৪. ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া(hire purchase);

৫. বিনিয়োগ নিলাম(investment auctioning);

৬. কমিশন ও সেবামূল্য(service charge);

৭. বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়;

৮. পন্য ফাইন্যান্সিং(commodity financing);

৯. নিজস্ব প্রকল্প হতে লব্ধ মুনাফা; [আল-নাজ্জার]



বলা হয় যে এসব আয়ের উৎসে সুদের কোনো ভূমিকা নেই । তাই কয়েকটি একটু বিস্তারিত বিচার করে দেখা যেতে পারে । যেমন, ইজারা বন্দোবস্ত থেকে লব্ধ আয় । অর্থনীতির সাধারণ ধারনা থেকে জানি ইজারা প্রথা আর যাই হোক, কোনো উৎপাদনশীল প্রকৃয়া নয় । যিনি ইজারা নেন, তিনি ইজারাভুক্ত সম্পদকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতেও পারেন (যেমন জমি, দোকান ঘর ইত্যাদি), আবার নাও লাগাতে পারেন (যেমন বাড়ী,গাড়ী, গ্যারেজ ইত্যাদি) । কিন্তু যিনি ইজারা দেন তার আয় সম্পূর্ণই অনুৎপাদিত আয় । এই আয়ের সাথে বন্ধকী কারবার, এমনকি সুদের কারবারেরও তফাৎ খুব সামান্যই ।



একইভাবে ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া (hire purchase) আসলে কী ? নাজ্জার প্রমুখরা বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন , এই পদ্ধতিতে ব্যাংক নিজেই জমি কিনে বাড়ী তৈরী করে ভাড়াটে নিয়োগ করে, " ভাড়াটেগন যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্ব স্ব ভাড়াটে বাড়ূর মালিক হতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয় । এতে বাড়ি ও জমির মূল্য নির্ধারণ এবং একে সুবিধাজনক কিস্তিতে ভাগ করে ভাড়ার সাথে যুক্ত করে দেয়া হয় । ভাড়াটিয়াকে ভাড়ার সাথে উক্ত কিস্তিও পরিশোধ করতে হয় ।"



দু'টি প্রশ্ন এখানে উত্থাপন না করে পারা যায় না । প্রথমত : বাড়ীর দাম যদি কিস্তি হিসেবে শোধ করাই হয় তাহলে আবার আলাদা করে ব্যাংক ভাড়া নিচ্ছে কেন ? এটা কি প্রদত্ত ঋণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ সুদ না বলে অন্য ভাষায় অন্য শব্দের আড়ালে উসূল করা বোঝায় না ?



দ্বিতীয়ত : এই তাত্ত্বিকদের মতে কোনো বিনিয়িগের জন্য পূর্বনির্ধারিত আয় নাকি ইসলামী মতে জায়েজ হয় না । ড. এম.এ.মান্নানের মতে, " উৎপাদন ক্ষেত্রে পূঁজির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ইসলামে স্বীকৃত । জাতীয় আয়ে পূঁজির প্রাপ্য লব্ধ মুনাফার হারের উপর নির্ভরশীল । ইসলামী বিধানে এই প্রাপ্য পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হতে পারে না ।" [ ইসলামী অর্থনীতি: তত্ত্ব ও প্রয়োগ ,১৯৮৩ পৃ-১০২] তাহলে ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া (hire purchase) পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংকের পূর্ব নির্ধারিত চুক্তিবদ্ধ আয় কেমন করে হালাল হয় ?



একইভাবে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় থকে এই ব্যাংক যে আয় করবে তাও কি উৎপাদন ও বিনিয়োগ ভিত্তিক মুনাফা নাকি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কমিশন এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সুদ আদায় ? এবং এই দ্বিবিধ আয় কি অন্য ব্যাংকের দ্বারা পূর্বনির্ধারিত নয় ? আসলে ইসলামী ব্যাংক যখন ব্যাংক হিসেবে কাজ করে তখন তার ইসলামী সত্ত্বা লকারে ঢুকিয়ে রাখে, আর ব্যাংকের কাজ হয়ে গেলে কোরআন, হাদিস ও অন্যান্য ফিকাহ শাস্ত্র থেকে নানা আরবী, ফার্সী ও তুর্কী শব্দ প্রয়োগে তার ইসলামী সত্ত্বা হাজির করে ।



আগের লেখাটি এখানে :

ইসলামী ব্যাংকের কর্মনীতি : বিশেষত্বটা কোথায় ?

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-৪

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০

জইন বলেছেন: ইসলামের নামে সুদ হালাল করছে

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৩

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ইসলামী লেবাস ধরে ভন্ডামী !

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪

চয়ন বলেছেন: সুদকে বানিয়েছে মুনাফা... হা হা হা। আপনি যতই কাককে ময়ূরের পালক পড়ান না কেন কাক তো কাকই রয়ে যাবে।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ঠিকই বলেছেন চয়ন । আজকের যুগে সুদ হয়ে গেছে মুনাফা । ব্যবসা এর নাম ।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

লড়াকু বলেছেন: ধর্মের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা ভালোই চলছে। :)

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১৫

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: লোভাতুর ব্যবসার কোনো মা বাপ নাই । আবার ধর্ম !

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৪০

মুক্ত মানব বলেছেন: ইসলামী ব্যাংক কতটা সুদবীহিন সেটা বলতে চাইছি না। আমি একটু অন্য বিষয়ে আলাপ করি। ব্যাংক এবং সুদ নিয়ে।
* আপনি যদি ব্যাংকে আমানত হিসেবে ১ ভরি স্বর্ণ রখেন তবে কি ব্যাংক ১ বছর পর ১ ভরি স্বর্ণের ৮%-১০% বেশি দেয়? আমার জানা মতে দেয় না। আপনি যে পরিমান স্বর্ণ আমানত রাখবেন ঠিক সেই পরিমানই ফেরত দেবে। এখন টাকা ও স্বর্ণ উভয়ই প্রচলিত অর্থে সম্পদ। টাকার ক্ষেত্রে কেন ৮%-১০% বেশি ফেরত দেয় আর স্বর্ণের ক্ষেত্রে কেন দেয় না, জানেন নাকি?

*আপনি আজ যে জিনিষ ১০০ টাকায় কিনছেন এক বছর আগে নিশ্চই তার দাম ১০০ টাকা ছিল না। আবার এক বছর পর নিশ্চই তার দাম ১০০ টাকাই থাকবে না। কোন অস্বভাবিক কারণ ছাড়াই প্রতি বছর পন্যের দাম বেড়ে যাওয়া বা মুদ্রাস্ফিতির কারনে আমি যদি আজ ব্যাংকে ১০০ টাকা রাখি তবে এক বছর পর ১০০ টাকাই ফেরত পেলে তার আসলে মূল্যমান ৯০ টাকার বেশি হবে না। অর্থাৎ ১ বছর আগে যে জিনিষ আমি ৯০ টাকায় কিনতে পারতাম ১ বছর পরে সেটা বর্তমানের ১০০ টাকায় আর যে টা ১০০ টাকায় কিনতাম সেটা বর্তমানের ১১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাংলাদেশে যদিও মুদ্রাস্ফিতির হার অনেক বেশি। এখন আপনি হিসাব করে দেখুন, ব্যাংক আপনাকে যে টাকা বেশি দিচ্ছে অর্থাৎ যাকে আপনি সুদ বলছেন সেটা আসলেই সুদ নাকি সুদ আর আসলের যোগ ফল মিলে আপনার জমা রাখার সম মানের টাকাই আপনাকে ফেরত দেয়া হচ্ছে।
*ডিসকাউন্টিং কিম্বা ইনফ্লেশনের ব্যাপারটা ফাইন্যান্সের ছাত্ররা ভাল বোঝাতে পরবে। আমি শুধু এ টুকই বলতে চাইছি, যে টাকে আপনি সুদ বলছেন সেটা আসলে সুদ না।
* এখন আপনি হয়ত ইসলাম ও সুদ নিয়ে উদাহরন দিবেন। আমি আগেই ক্লিয়ার করতে চাই, সেই সময়ের সুদ আর আজকে আমরা যেটাকে সুদ বলছি তা এক নয়।আরও ভাল ভাবে বুঝতে চাইলে আপনাকে ফেস ভ্যালু ও [Intrinsic] ভ্যালু বুঝতে হবে। আপনার জানা দরকার, সুদ শব্দটা যে সময় হতে এসেছে সেই সময়ের মুদ্রার ফেস ভ্যালু আর ইন্ট্রিনসিক ভ্যালু সমান ছিল। আজ একটা ১০০ টাকার নোটের ইন্ট্রিনসিক ভ্যালু বড়জোড় দু টাকা হলেও ফেস ভ্যালু কিন্তু ১০০ টাকাই।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: মুদ্রাস্ফিতি সম্পর্কিত আপনার কথাগুলো জানি । সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতিতে মূল্যস্ফিতির কোনো ব্যাপার ছিল না । তাই টাকার কোনো সময় ভিত্তিক অবমূল্যায়ন হতো না । সুদ ছিল সেখানে প্রকৃতই একটি অতিরিক্ত উপার্জন ।কিন্তু আজকের যুগে তা নয় । ১৯৯০ সালের দিকে ১০০ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে যা কেনা যেত , এখন তা কিনতে মনে করেন ১৭২ টাকা লাগে । এখন কোনো ব্যক্তি যদি ৬ বছর আগে তার বাড়িতে ১০০ টাকা জমিয়ে রাখতেন , তাহলে আজ তার পক্ষে সেই টাকায় অনেক কম জিনিস কেনা সম্ভব হতো । কাজেই কেউ যদি ১৯৯০ সালের দিকে ১০০ টাকা তার থেকে ধার নিয়ে আজকে এসে ১০০ টাকাই শোধ করে, তাহলে আসলে ক্ষতি হয়ে যায় । ব্যাংকের সুদের হার টাকার এই অবমূল্যায়নের ক্ষতিপূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ বৃদ্ধির হারের দিকে লক্ষ্য রেখে আমানতকারীর ক্ষেত্রে টার সামান্য নীচে এবং ঋণ গ্রহীতার ক্ষেত্রে টার সামান্য উপরে নির্ধারণ করে । উপরোক্ত হিসেব ঠিক থাকলে , ব্যাংক হয়তো দেখলো সরল সউদের হার বার্ষিক ১২% হলে টাকার অবমূল্যায়নজনিত ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব হয় । সুতরাং সে আমানতকারীকে হয়তো বার্ষিক ১০ % হারে সুদ দেয় এবং ঋণ গ্রহীতের কাছ থেকে বার্ষিক ১৫% হারে সুদ নেয় । সুদের এই চরিত্রও প্রাচীন খেলাফতের যুগ থেকে সম্পুর্ণ হয়ে গেছে । এ ব্যাপারে অন্য কোনো পোস্টে পারলে যা বুঝি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো । আপনাকে ধন্যবাদ ।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৫২

মাহমুদ রহমান বলেছেন: ভাড়ার ব্যাপারে যেটা বলেছেন সেটা এরকম হওয়ার কথা..

ধরুন আমি বাড়ী করব। ইসলামী ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে একাজে শরীক হলাম। আমি ব্যাংককে ডাউন পেমেন্ট দিলাম ২০ টাকা আর ব্যাংক দিলো ৮০ টাকা, তা দিয়ে বাড়ী হলো। বাড়ী হয়ে যাওয়ার পরে বাড়ী ভাড়া হিসাবে আমি এবং ব্যাংক উভয়েই যথাক্রমে ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং ৮০ শতাংশ পাবে। এভাবে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদে ব্যাংককে ৮০ টাকা এবং ততদিনের জন্য ভাড়ার টাকা হিসাব করে টোটাল যোগ করে (যদি মাসিক কিস্তি হয়) মাস সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে পরিশোধ করলে এক সময় বাড়ী আমার হবে।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৫৮

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: উদাহরনটা ভালোই দিয়েছেন । এখন আপনি নিজেই খেয়াল করুন - ব্যাংকের মূল ৮০ টাকার সাথে আপনি ভাড়ার টাকার ৮০ % ও অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করছেন । বাড়ীর দামও কিস্তি হিসেবে শোধ করবেন আবার একই সাথে ভাড়া হিসেবে অতিরিক্ত অর্থও দেবেন । বাহ !

আবার উদ্ধৃত করছি নিজের পোস্ট থেকেই- নাজ্জার প্রমুখরা বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন , এই পদ্ধতিতে ব্যাংক নিজেই জমি কিনে বাড়ী তৈরী করে ভাড়াটে নিয়োগ করে, " ভাড়াটেগন যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্ব স্ব ভাড়াটে বাড়ীর মালিক হতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয় । এতে বাড়ি ও জমির মূল্য নির্ধারণ এবং একে সুবিধাজনক কিস্তিতে ভাগ করে ভাড়ার সাথে যুক্ত করে দেয়া হয় । ভাড়াটিয়াকে ভাড়ার সাথে উক্ত কিস্তিও পরিশোধ করতে হয় ।"

দু'টি প্রশ্ন এখানে উত্থাপন না করে পারা যায় না । প্রথমত : বাড়ীর দাম যদি কিস্তি হিসেবে শোধ করাই হয় তাহলে আবার আলাদা করে ব্যাংক ভাড়া নিচ্ছে কেন ? এটা কি প্রদত্ত ঋণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ সুদ না বলে অন্য ভাষায় অন্য শব্দের আড়ালে উসূল করা বোঝায় না ?

দ্বিতীয়ত : এই তাত্ত্বিকদের মতে কোনো বিনিয়িগের জন্য পূর্বনির্ধারিত আয় নাকি ইসলামী মতে জায়েজ হয় না । ড. এম.এ.মান্নানের মতে, " উৎপাদন ক্ষেত্রে পূঁজির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ইসলামে স্বীকৃত । জাতীয় আয়ে পূঁজির প্রাপ্য লব্ধ মুনাফার হারের উপর নির্ভরশীল । ইসলামী বিধানে এই প্রাপ্য পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হতে পারে না ।" [ ইসলামী অর্থনীতি: তত্ত্ব ও প্রয়োগ ,১৯৮৩ পৃ-১০২]

দ্বিতীয় বিষয়টা তো আপনি বেমালুম এড়িয়ে গেলেন । ধরেন ঐ বাড়ীর ভাড়া মাসিক ১০ টাকা নির্ধারন করে হলো। তাহলে ব্যাংককে মাসিক মূল কিস্তির সাথে এই টাকাও আপনাকে শোধ করতে হবে । এই যে মাসিক ভাড়া পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হলো ইসলামী ব্যাংকের এই পূর্ব নির্ধারিত চুক্তিবদ্ধ আয় তত্ত্ব অনুযায়ী কেমন করে হালাল হল ?

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাহমুদ রহমান বলেছেন: আর ইজারার ব্যাপারটা স্রেফ ভাড়া দেয়ার মত। এখানে তো দোষের কিছু থাকার কথা না।

আমরা যেমন বাসা ভাড়া করে থাকি, এখানে তো উৎপাদনশীল কোন বিষয় নেই। মাস গেলে ভাড়া দেই। অন্যায় করি নাকি?

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৩

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ইজারা প্রক্রিয়া কোনো উৎপাদনশীল প্রক্রিয়া নয় । যিনি ইজারা নেন, তিনি ইজারাভুক্ত সম্পদকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতেও পারেন (যেমন জমি, দোকান ঘর ইত্যাদি), আবার নাও লাগাতে পারেন (যেমন বাড়ী,গাড়ী, গ্যারেজ ইত্যাদি) । কিন্তু যিনি ইজারা দেন তার আয় সম্পূর্ণই অনুৎপাদনশীল আয় । অনুৎপাদনশীল খাত থেকে লব্ধ আয়কে আপনি কীভাবে দেখবেন ? এই আয়ের সাথে বন্ধকী কারবার ও সুদের কারবারের মৌলিক কোনো পার্থক্য দেখাতে পারবেন ? অবশ্য আপনি নিজেই বলেছেন -'ইজারার ব্যাপারটা স্রেফ ভাড়া দেয়ার মত।..এখানে তো উৎপাদনশীল কোন বিষয় নেই। '

আর মাস গেলে ভাড়া দিয়ে আপনি কোনো অন্যায় করেন না, কিন্তু ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে, সরল ধর্মবিশ্বাসকে বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে, হারাম-হালালীর প্যাঁচ কষিয়ে সে ভন্ড আপনাকে ঠকাচ্ছে সেও কোনো অন্যায় করছে না বলে মনে করেন না তো ???

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: শব্দটি হবে অনুৎপাদনশীল আয়।



মুক্ত মানব@ এই মজার জিনিসটা কিন্তু কারো মাথায় আসছে না, ব্যাঙকগুলো কিভাবে কৈয়ের তেলে কৈ ভাজছে। এই মূদ্রাস্ফীতি ও সুদকে নাম দিয়েছিলাম 'মূদ্রস্ফীতি জনিত ভাতা ও মূদ্রাস্ফীতি জনিত ক্ষতি থিওরী'।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৪

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হ্যাঁ । অনুৎপাদনশীল আয়। ধন্যবাদ ।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৫

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণটা শেয়ার করবেন ?

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

আরিফুর রহমান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৭

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: শুধু এটুকুই !! আর কিছু বলবেন না ?

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাদাত হাসান বলেছেন:
আপনার এই পোস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন, বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় শতভাগ শরিয়া ব্যাংকিং পরিচালনা সম্ভব কিনা?
যদি তা না হয় তাহলে ইসলামী ব্যাংক মন্দের ভাল।

ইসলাম দুইটা মন্দ জিনিসের মধ্যে তুলনামুলক কম মন্দ জিনিস গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২৬

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় শতভাগ শরিয়া ব্যাংকিং পরিচালনা সম্ভব যদি নাই হয় , তবে 'ইসলামী ব্যাংক' নাম দিয়ে ধর্ম নিয়ে এই ব্যবসা আর 'ইসলামের' অবমাননাকে আপনি কার দিকে তাকিয়ে মন্দের ভালো বলছেন ???

তত্ত্ব আর প্রয়োগের মধ্যে অসঙ্গতির এই ভন্ডামী আর তার ধারাবাহিকতা এত সহজেই অনুমোদন পেয়ে গেল আমার কাছে !!!

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১১

অন্যরকম বলেছেন: অর্থনীতি সবসময়ই আমার কাছে প‌্যাঁচাইল্লা জিনিস মনে হয়!!!! সারাদিন স্পেকট্রাম, ফ্রিকুয়েন্সি, মাইক্রোওয়েভ আর নাট-বল্টু নিয়া কাম কাজ করি.... অর্থনীতি আর নাড়াচাড়া করা হয় না... :(

আপাতত আলোচনার পাঠক হয়ে রইলাম!

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২৯

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হুম ! সাধারন পাঠক নাকি 'অন্যরকম' ??? -:)

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪০

মাহমুদ রহমান বলেছেন: ৫ নং কমেন্টের জবাবে যা বললেন তাতো একই কথার পুনরাবৃত্তি.....

ভাড়া আমি কোথায় দিতেছি? আমার ভাড়ার অংশ আমি নিচ্ছি আর ব্যাংক তার অংশ সে নিচ্ছে। আমি তো ব্যাংককে কোন ভাড়া দিচ্ছি না।

আর অর্থনীতি কেবল উৎপাদনশীল খাত নিয়েই ডিল করে না, সেবামূলক খাতও জড়িত।

আপনি নিচের লাইনে কি কইলেন?.....

"আর মাস গেলে ভাড়া দিয়ে আপনি কোনো অন্যায় করেন না, কিন্তু ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে, সরল ধর্মবিশ্বাসকে বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে, হারাম-হালালীর প্যাঁচ কষিয়ে সে ভন্ড আপনাকে ঠকাচ্ছে সেও কোনো অন্যায় করছে না বলে মনে করেন না তো ???"

সরল ধর্মবিশ্বাসই তো তাদেরকে হালাল হারাম বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। এটাই তো তাদের ব্যবসার ভিত্তি। এখানে ইজারার ব্যাপারে হারামটা কোথায় দেখান?

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫১

পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হুম । আপনার এই কথাটা কিন্তু জব্বর হয়েছে । সরল ধর্মবিশ্বাসই , যা আপনার ভাষায় তাদেরকে হালাল হারাম বিবেচনা করতে 'বাধ্য করছে' , সেটাই তাদের ব্যবসার 'ভিত্তি' । এইটা অন্তত আপনি স্বীকার করলেন দেখে ভালো লাগলো । যেটুকু অস্বীকার করলেন তার ব্যাখ্যায় পরে আসছি । নতুন পোস্ট লিখে নিই । তয় আপনে কিন্তু আবারও 'পূর্বনির্ধারিত চুক্তিতে মুনাফা' বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন ।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০

মাহমুদ রহমান বলেছেন: When the Prophet p.b.u.h. observed in Madinah the practiced of people paying in advance the price of fruits to be delivered within one, two or three years. The sale, however, did not specify the quality measure or weight of the dates at the start of the contract. The Prophet p.b.u.h. ordained that “Whoever pays money in advance (for fruits) (to be delivered later) should pay it for a known quality, specified measure and weight (of dates or fruit) of course along with the price and time of delivery” (Reported by Imam Bukhari, Muslim and others)

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫০

আলোর মিছিল বলেছেন: আপনাকে এবং মাহমুদ রহমান ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ।

১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১১

নিভৃত পথচারী বলেছেন: নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধকরণের হাস্যকর প্রচেষ্টাটি কিন্তু বর্তমানে ভয়াবহ ব্যধির আকার ধারণ করেছে যে মহামারিতে সাধারণ মানুষ অজান্তেই আপদমস্তক নিমজ্জিত হচ্ছে। কি স্পর্ধিত উচ্চারণ ব্লগার মুক্ত মানব -এর "সেই সময়ের সুদ আর আজকে আমরা যেটাকে সুদ বলছি তা এক নয়।"

আপনারা নিজেরা যদি নতুন নামে একটি নতুন ধর্ম তৈরী করে নেন তবে তাতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ইসলাম ধর্মের নামে নিজেদের মনগড়া বিধি বা প্রলাপ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার অধিকার নেই কারও।

লেখক আপনার শুভ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ও এর ব্যপক প্রচার ও প্রসার কামণা করি।

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪১

নিভৃত পথচারী বলেছেন: আপনি যদি দয়া করে অনুমতি প্রদান করেন তবে আপনার এ বিষয়ে লেখাগুলো সংকলিত করে তা প্রতিনিয়ত প্রতারিত সরলপ্রাণ সাধারণের মাঝে প্রচার করতে পারি।
(অবশ্যই লেখক সূত্রে আপনার নাম উল্লেখ সাপেক্ষে)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.