![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মামুন ম. আজিজ একে একে স্বপ্নগুলো সব হেঁটে হেঁটে ঐ চলে যাচ্ছে নরকের মাঝে আর একা একা স্বর্গের পানে হাঁটছি আর ভাবছি, স্বপ্নহীন হয়ে থাকা সেই স্বর্গে এক পরাজিত আত্মা গল্প কবিতা লিখবে কিভাবে [email protected] Blood Group: A+ http://mamunma.blogspot.com/
কবি ফরহাদ মাযহার কে যারা চেনেন বা দেখেছেন তারা অবশ্যই জানেন উনি সদা লুঙ্গি নামক নিম্নাঙ্গ আচ্ছাদক কাপড় পড়েন , কোন প্যান্ট বা ট্রাউজার উনি পড়েন না।
২ রা অক্টোবর মানে কাল সন্ধ্যায় ঢাকাস্থা এক প্রখ্যাত ক্লাবে ( ঢাকা ক্লাবে) এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উনি নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঢোকার সময় ড্রেস কোড এ লুঙ্গি না থাকায় তাকে ঢুকতে বাঁধা দেয়া হয়। পরে ভেতর থেকে একজন কর্তা ব্যক্তি এসে তর্ক জুড়ে দেন...
( এন টিভির নিউজে তর্ক শুনে মজা লেগেছে)
তর্কের এক পর্যায়ে মজলুম জননেতা মাওলানী ভাসানীর কথা উল্লেখ করে ফরহাদ সাহেব বলেন, আজ তিনি থাকলেও তো ঢুকতে পারতেন না।
সুন্দর যুক্তিযুক্ত কথা তিনি আরো বলেন , স্বাধীনতা এনেছেন কি এই জন্য?
পরে অনেক তর্কের শেষে যদিও বিশেষ বিবেচনায় তাকে ঢুকতে বলা হয়, তিনি অপমানের জন্য এবংএই লুঙ্গি বিহীন ড্রেস কোড না পরির্বতনের জন্য ঢুকেন নি আর।
এই হলো পোষাকীয় সভ্যতার রূপ?
শেখ সাদির এক গল্প আছে , জানেন তো নিশ্চয় সবাই।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
তারেক.মাহমুদ বলেছেন:
তাঁর পক্ষে এখন শ্লোগান দেয়া দরকার- "একটাই যুক্তি, লুঙ্গিতে মুক্তি"
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
দাউদ বলেছেন: লুঙ্গি আমাদের জাতিয় পোশাকের একটি অংশ। এটা পরে বাংলাদেশের কোথাও প্রবশের বাধা থাকাটা সমিচিন নয়। যেমন সমিচিন নয় উচ্চ আদালতের ইংরেজিতে রায় প্রদান বা উকিলদের গাউন পরা, গরমেও কালো কোট + টাই পরা। এসব উপনিবেশিক আচরন।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
পারভেজ বলেছেন: আমরা এখনো ঔপেনিবেশিকতার উচ্ছিষ্ট থেকে মুখ সরাতে পারিনি।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০০
ব্রাইট বলেছেন: "একটাই যুক্তি, লুঙ্গিতে মুক্তি"
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: যে ক্লাবে লুঙ্গি পড়ে ঢোকা ড্রেসকোড পরিপহ্নি যে ক্লাবে লুঙ্গি পড়ে না যাওয়াই উচিত। এখানে ভাসানী টেনে আনার কোন যুক্তি নেই। ভাসানী বেচে থাকলেও লুঙ্গি পড়ে আসলে ঠেকিয়ে দেবার প্রয়োজন ছিল। যদি ড্রেস কোডে লুঙ্গি থাকত তাহলে ঢুকতে দিতে আপত্তি নেই। যেহেতু নেই সেহেতু সবার জন্যে একই ড্রেস কোড। আমার কাছে ব্যাপারটা ইতিবাচক লাগল।
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৭
পথিক!!!!!!! বলেছেন: ড্রেস কোড থাকা উচিৎ না
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ছিঃ ছাড়া আর কিছুই বলা গেল না।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৪
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: উনি প্যান্ট পরলে সমস্যা কই?
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৫
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: রন্টি চৌধুরীর সাথে একমত হইলাম।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৬
১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: বিলাতি সাইজা ঘুরতে হইব নিজের দেশে শেষ পর্যন্ত
আমরা মনে লয় নকল্বাজিতে ও ১ম হইয়া যামু,
ড্রেসকোড ত হওয়া উচিত আমাগো জাতীয় পোশাক
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: লুঙ্গি পড়ে ক্লাবে ঢোকা যাবে না এই নিয়মটা মনে হয় আমাদের দেশের সংবিধান পরিপন্থি হবার কথা। এমন ক্লাব এই দেশে থাকা উচিত নয়।
১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ঢাকা ক্লাবে ছোট কাপড় পড়া নারীদের অবস্থান-গ্রহণযোগ্যতা এত দৃঢ়তার সাথে গ্রহন করা হয়, সেখানে লুঙ্গিতে ভয় কিসের?
১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১০
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বিবর্তনবাদীর কথার সাথে একমত হবার কারন নেই। লূঙ্গি ড্রেসকোডে না থাকাটা কোন ভাবে সংবিধান পরিপহ্নি?
লুঙ্গি হল একটা অন্তন্ত ক্যাজুয়াল ড্রেস, এটা সবজায়গায় প্রযোজ্য নাও হতে পারে। কোন কোন ক্লাব বা রেস্টুরেন্টে শার্টপ্যান্ট এমনকি স্যুট ড্রেসকোডে থাকতে পারে। এটি ক্লাব বা রেষ্টুরেন্টের ব্যাপার। পছন্দ না হলে আমরা ওই জায়গা পরিহার করব। ফরহাদ মজহার কি জানতেন না ওই ক্লাবের ড্রেসকোড? যদি না জেনে থাকেন তাহলে বলব তিনি তার খ্যাতির বহর দেখিয়ে ড্রেসকোড বা নিয়ম ভাঙতে গিয়েছিলেন।
১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১২
চাষী বলেছেন: বাংগালির ডেকচিতে চাইল নাই অথচ ঠাট বাটের শেষ নাই। আরে ব্যাটা তোগো বাপ চাচা চৌদ্দ গুস্টি লুংগি পড়ছে। এখন সাহেব গিরি দেখাও।
১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৩
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ড্রেস কোড থাকা উচিত না?
ড্রেস কোড বলতেই আমরা কেন এমন যুদ্ধাংদেহী অবস্থান নেই?
আমাদের স্কুলগুলোতে কি ড্রেসকোড নেই? সে স্কুলে সাদা শার্ট নীল প্যান্ট পড়ে যাবার কথা সেখানে যদি কেউ লুঙ্গি পড়ে যায় সেটা ঠিক হবে?
বলছি না যে লুঙ্গি ড্রেস হিসেবে বাইরে পড়ার যোগ্য না। লুঙ্গি আমাদের কালচারের অংশ হিসেবে আমরা যদি চাই একে অফিসিয়াল পোষাকও বানতে পারি। কিন্তু তা না করে আমরা ক্লাবের ড্রেসকোডে হস্থক্ষেপ কেন করব?
১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সবাই খুব ইগোতে লেগেছে ব্যাপারটাতে মনে হয়।
কথা হল লুঙ্গি পড়ে ক্লাবে যেতে কোন সমস্যা নেই যদি না লুঙ্গি ওই ক্লাবের ড্রেস কোডে থাকে। সমস্যাটা হচ্ছে নিয়ম ভাঙ্গার।
ধরেন আমি একটি ক্লাব যদি করি, আর ড্রেসকোড দেই লুঙ্গি, পান্জাবী, গামছা, শাড়ি। এখন ওই ক্লাবে যদি কেউ আসতে চান তাকে ওইসব পড়েই আসতে হবে। যদি স্যুট পড়ে আসেন তাহলে তা বেমানান, তাই তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। খুবই সাধারন ব্যাপার।
১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: @ রন্টি চৌধুরী - আমার জানামতে বাংলাদেশের যে কোন নাগরিকের দেশের ভেতরের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা সংবিধান নিশ্চিত করে। আর ক্লাব কোন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল নয় যেখানে সাধারনের অবাধ চলাচলে বাধা দেওয়া সম্ভব।
তাহলে অনেক হোটেল বা রেস্টুরেন্ট তাদের আইন রাখতে পারে সেখানে মহিলারা বোরখা ছাড়া ঢুকতে পারবে না। আমি সেসব নিশ্চয়ই সমর্থন করব না। কারন তা মানুষের অধিকার ক্ষরণ করে।
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২২
ডিজিটাল কলম বলেছেন: কাল থেকে যদি সবাই লুঙ্গি পড়ে অফিস করে তখনো কি শেখ সাদির কথা বলবেন...... ????????????
সব যায়গায় সব জিনিষ চলে না ভাই.......
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: দেশের ভেতর অবাধ চলাচল মানে নিশ্চই এটি না , যেখানে ঢুকতে টাকা লাগে সেখানে আমি জোর করে ঢুকব! তাহলে তো কোন কনসার্ট কোন প্রোগ্রামে যেতে টাকা লাগবে না। কোন ক্লাবে যেত অনুমতি লাগবে না, কোন বিয়ে খেতে দাওয়াত লাগবে না, কোন বাসায় গিয়ে চুরি করতে গৃহস্বামীকে তোয়াক্কা করতে হবে না।
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৫
বরফ মাখা জল বলেছেন: যারা ড্রেস কোডের কথা বলছেন, তাদের বলছি, আমি অনেক দেশেই দেখেছি শ্রীলঙ্কানরা যেকোন কর্পোরেট পার্টি কিংবা ডেন্স বারে লুঙি পরে যায়, সেখানেতো তাদের কখনো বাধা দিতে দেখিনি। এমন না যে তারা প্যান্ট পরেনা, কিন্তু কোন অফিসিয়াল পার্টি হলেই তারা তাদরে জাতীয় পোশাকে চলে আসে।
আমাদের সমস্যা হলো, আমরা ময়ুর পুচ্ছ ধারন করতে করতে স্বকীয়তা ভুলে গেছি। আর বিশ্ব নীতি প্রতিটি দেশের কালচারকে সম্মান করে। পাচ তারা হোক আর যাই হোক আমার দেশের সংস্কৃতিকে অসম্মান করার অধিকার করার অধিকার নাই
আমি নিন্দা জানাই নিজেকে, ক্লাব কর্তৃপক্ষকে, সবাইকে...এভাবে আমার আমিকে অপমান করার জন্য।
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: শাড়ি পড়ে ঢুকতে দেয় তো?
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বরফমাখা জলও ভুল ভাবে নিলেন।
শ্রীলংকানরা লুঙ্গিপড়ে বারে যায়, কেননা ওখানকার বারের ড্রেসকোডে এটা আছে। এটাকে তারা অফিসিয়াল করে নিয়েছে। আমরা আগে তো সেটি করি। যতক্ষন করছি না। আর ঢাকা ক্লাব যতক্ষন এটা এলাও করছে না ততক্ষন ফরহাদ মজহারের কান্ডটি নিয়মভঙ্গের উদাহরন ছাড়া আর কিছুই না।
ময়ুরপুচ্ছধারনের কিছু নেই। বরং যদি আমাদের নিজস্ব পোষাকের প্রতি দরদ থাকে তাহলে আমাদের উচিত নিজেদের জাতীয় পোষাকের প্রচলন বাড়ানোর জন্যে বা একে অন্তত জাতীয় পোষাক করার জন্যে সরকারের নজর কাড়া।
২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩১
খলিল মাহ্মুদ বলেছেন: একজন কবির অপমানিত হবার ঘটনা নিঃসন্দেহে অসমর্থনযোগ্য। যেখানে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, সেখানকার কর্তাব্যক্তিরা নিশ্চয়ই ফরহাদ মাযহারের নিজস্ব ড্রেসকোডের ব্যাপারে জানতেন, সেজন্য আগে থেকেই এটা গেটরক্ষকদের বলে রাখা উচিত ছিল।
তবে, কবি যখন বাঁধাপ্রাপ্ত হলেন, এ ব্যাপরে তর্কে না জড়িয়ে নীরবে বাসায় চলে যাওয়াটাই অধিকতর সম্মানের কাজ হতো বলে আমি মনে করি। নিমন্ত্রণকারীরা তাঁর অনুপস্থিতির খবর জানতে পেরে খোঁজখবর তো করতেনই। তখন তাঁর অভিমানের কথা জানানো যেতো। এটা আমার মতামত। আর যদি খোঁজ না নিত, তা থেকেও নিমন্ত্রণে নিজের ওয়েট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতো।
আর প্যান্ট-টাই-স্যুট : যারা এটাকে উপনিবেশিক পোশাক বলেন আমি তাঁদের পক্ষে নই। তাঁরা অনেকেই ড্রেসের ইতিহাস না জেনেও এ কথা বলেন। প্যান্ট-শার্ট হলো একটা সার্বজনীন পোশাক, যা পৃথিবীর যে কোনো দেশে যে কোনো পরিস্থিতিতে পরা যায়। এ পোশক শুধু উপনিবাসীরাই পরতো না, তামাম দুনিয়ার পোশাক এটা। আর লুঙ্গি আমাদের প্রিয় পোশাক হবার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো এর সহজলভ্যতা ও কম মূল্য। এমন একটা পোশাক যে আমাদের প্রিয় পোশাক, এতে গর্ব প্রকাশের চেয়ে আমাদের দীনতাই বেশি প্রকাশ পেয়ে থাকে।
সর্বোপরি, ভাষানীকে জড়িয়ে কথা বলা যেমন ঠিক হয় নি, লুঙ্গি পরে ভেতরে ঢুকতে দিতে হবে, এমন তর্ক করাও ঠিক হয় নি কবির। কবি মাযহার কবিগোষ্ঠিকে কয়েকধাপ নিচে নামালেন, নিজে ও কবিগোষ্ঠিকে অপমানিত করলেন।
২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩২
রায় চৌধুরী বলেছেন: সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন মেয়েদের ড্রেস েছাট হলেইতো লুঙ্গিতে ভয়!!!!!!!
২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৩
বেছু মেম্বার বলেছেন:
তবে আমি লুঙ্গি শাড়ীর বিরুধী। এটা বাঙালীর জাতির একটা সাংস্কৃতিক অপব্যয়।
একটা শাড়ীর কাপড় দিয়ে দুইটা জামা বানানো যাবে। একটা লুঙ্গির কাপড় দিয়ে দুইটা পেন্টু বানানো যাবে।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত।
২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: @ রন্টি চৌধুরি -- প্রশ্ন আসবে লুঙ্গি ড্রেস হিসেবে কি অপরাধ করল। যদি আমি প্যান্ট পড়তে পারি তবে কেন লুঙ্গি নয় যেটা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পড়ে। আর মানুষের বাসায় যাওয়া আর ক্লাবে যাওয়া এক নয়।
২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ঢাকা ক্লাবে ছোট কাপড় পড়া নারীদের অবস্থান-গ্রহণযোগ্যতা এত দৃঢ়তার সাথে গ্রহন করা হয়, সেখানে লুঙ্গিতে ভয় কিসের?
*************
উত্তম জাঝা
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪১
পথিক!!!!!!! বলেছেন: স্কার্ট আর লুঙ্গির পার্থক্য ক্যাবল দৈঘ্য্যে
২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪২
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: @খলিল মাহ্মুদঃ "আর লুঙ্গি আমাদের প্রিয় পোশাক হবার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো এর সহজলভ্যতা ও কম মূল্য। এমন একটা পোশাক যে আমাদের প্রিয় পোশাক, এতে গর্ব প্রকাশের চেয়ে আমাদের দীনতাই বেশি প্রকাশ পেয়ে থাকে।"
আপনার উক্তির এ অংশটুকু আমাদের সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। আপনার নীচ মানসিকতার জবাবেই শুধুমাত্র বলছি, একটি ভাল লুঙ্গির মূল্য অন্ততপক্ষে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ঊর্দ্ধে ৯৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত আছে। আর একটি চলনসই প্যান্ট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকাতেও পাওয়া যায়।
অবশ্যই আমি স্বীকার করি যে উপর্যুক্ত মূল্যের চেয়ে ঢের সস্তায় লুঙ্গি পাওয়া যায়। তবে আমার দেশের সংস্কৃতির বাহক একটি পোশাকের মূল্য কখনও টাকার অঙ্কে নিরূপণযোগ্য নয়।
২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৩
পথিক!!!!!!! বলেছেন: ঢাকা ক্লাবের অপকর্মের কাহিনী ব্যাপক আলোচিত তো সব তাই ....একটু রোষ ঝরে পড়ে কণ্ঠে কণ্ঠে
৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৪
কৃষ্ণ তরুণ বলেছেন: 'খলিল মাহ্মুদ বলেছেন: কবি মাযহার কবিগোষ্ঠিকে কয়েকধাপ নিচে নামালেন, নিজে ও কবিগোষ্ঠিকে অপমানিত করলেন।'
একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত আচরণে কোন গোষ্ঠি অপমানিত হবে কেন?
আমি লুঙ্গি পছন্দ করি। লুঙ্গি কম দামের জন্য নয়। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এর চেয়ে আরামদায়ক কোন পোশাক আমার কাছে বিকল্প নেই।
লুঙ্গির জয় হোক।
৩১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৪
আইরিন সুলতানা বলেছেন: কবি ফরহাদ মাযহার একজন সম্মানিত ব্যক্তি তাই এরকম একটি ব্যাপার আমাদের ইগোতে লাগবে এমনকি কবি ফরহাদ মাযহার -ও অপমানিত হয়েছেন নি:সন্দেহে। হয়ত উনি ড্রেস কোডের ব্যাপারটা জানতেন না বা উনি ভেবেছিলেন একজন সন্মানিত ব্যক্তি বিধায় তার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আমরা ঘরে যেমন সাধারণ জামা পরি তেমন জামা পরে পার্টিতে যাই না। আবার অফিসে গেলে খুব ঝলমলে কিছু পরিহার করি তবে স্মার্ট ড্রেস আপ করি। যেমন একটা সাধারণ উদাহরণ, আমি এলাকায় ঘোরাফেরা করলে একটা স্যান্ডাল পরে বার হয়ে যাই, কিন্তু অফিসে গেলে, বিশেষত ছেলেদের ক্ষেত্রে, স্যান্ডাল দৃষ্টিকটু।
ড্রেস কোড ব্যাপারটা সবখানেই আছে।উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক।
আজকালকার জেনারেশনের তো অনেকে লুঙ্গি বাসাতেই পড়েনা।
বাইরের কিছু কিছু দেশে তাদের একটু উদ্ভট (আমাদের চোখে) ডিজাইন বা রঙের পোষাক পড়তে দেখা তাদের বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে। যেমন ভুটান, নেপাল, নাইজেরিয়া। এগুলো তাদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক এবং স্বীকৃত, উল্লেখিত জাতীয় পোষাক। ফলে নেপালের/ভুটানের রাজাকে তাদের জাতীয় পোষাকে দেখে আমাদের হাসি পেলেও তারা এটা পরেই বীরদর্পে গুরুত্বপূর্ণ কোন অধিবেশনেও যোগ দিতে পারেন।
লুঙ্গি আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী হলেও কাগজে-কলমে স্বীকৃত পোষাক নয়।
৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৫
শয়তান হন্তারক বলেছেন: ফরহাদের টো টো করে লুঙ্গি পড়ে ঘুরে বেড়ানো তাঁর একটি ফ্যাশন । এতে কৃষকের প্রতিনিধিত্বও প্রকাশ পায়। তবে ওঁনার মাথার টিকিটা কিসের প্রতিনিধিত্ব করে তা আমি আজও বার করতে পারিনি। ফ্যাশন এর তীব্রতা আরো প্রকট হয় যখন ওটি পড়ে কোন ইংরেজভক্ত ক্লাবের পার্টিতে যোগদান করতে যাওয়া হয় । একজন উচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবি যখন লুঙ্গি পড়ে হাল ফ্যাশনের গাড়িতে যাওয়া আসা করে তখন লোকজন বলে ওঠে " আহা কি মহৎ লোক ! এরকম বাঁজখাই বুদ্ধিজীবি আর প্রগতিশীল হওয়া সত্বেও তিনি কৃষকদের মতই লুংগী পড়েন ।" এতে ফ্যাশনের আবেদন ও তীব্রতা আরো এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পায়। লুঙগী পড়ে টো টো করে এদিক সেদিক দৌড়ঝাপ দেয়াটা তখন আরো বেশি সুখানুভূতির সৃষ্টি করে।
তবে যা ঘটেছে , কোনভাবেই তার সমর্থন করতে পারছিনা। এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা যে এখনো বৃটিশদের গোলাম এই ঘটনা তার ইংগীতবহ।
৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: যে স্থানে ঢুকতে টাকা বা অনুমতি লাগে সরকারে কাছে হতে তারাও সেই অনুমতি নিয়ে নেয়। যেমন আমার যে বাড়ি সেটা আমি সরকারে কাছ থেকে নিয়েছি যার বিনিময়ে আমি খাজনা দেই। বাড়ির এই অধিকার আমি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করতে পারি কিন্তু এর আসল মালিক অবশ্যই রাষ্ট্র। যে লিজ নিয়েছে সে আইন করতে পারে তার এলাকায় বিচরণের ব্যাপারে কিন্তু সেটা দেশে সংবিধান লঙ্ঘন করে নয়।
নিজের পছন্দ মত কাপড় পড়ে আমি দেশে যত জায়গায় ঢুকবার অধিকার রাখি। যতক্ষণ না সেই কাপড় অন্যের অসুবিধার কারন হচ্ছে। উদাহরণ স্বরুপ কেউ যদি লুঙ্গি না পড়ে শুধু উপরের শার্ট পড়ে রাস্তায় বের হয় তবে তাকে বাধা দেওয়া যায়। কারন এটা অন্যের জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু কে লুঙ্গি পড়ল, আর প্যান্ট এটা কারন হতে পারে না। যদি হয় তবে তার পেছনের কারনটা আর যাই হোক বর্ণপ্রথারই সমতুল্য।
৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৬
কৃষ্ণ তরুণ বলেছেন: গান্ধীরে স্যুট টাই পড়িয়ে আমি কল্পনা করতে পারছি না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
পথিক!!!!!!! বলেছেন: কিন্তু প্রথম জীবনে উনি পড়তেন
৩৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৭
পথিক!!!!!!! বলেছেন: কথা হচ্ছে বিদেশে যখন উনি গ্যাছেন তখন তারা কিন্তু আটকায় নাই।
যাইহোক.....
রুলস ইস রুলস এই বাক্যটা আমাদের দেশটারে খাইছে অনেক আগেই ।
৩৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: ঢাকা ক্লাবকে আমি বেশ্যালয় হিসেবে চিনি । রাজ্যে অকর্ম সম্পাদন হয় এই ক্লাবে। বড় বড় দূনীতিবাজদের আখড়া এই ক্লাব। বিগত সরকারের সময় এই ক্লাব ত্তাবধায়েকর সরকারের শক্তিকে পুজিঁ করে সোহরাওদি উদ্যান দখল করতে চেয়েছিল। জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত এই উদ্যান তাদের গ্রাসে নিতে চেয়েছিল বেশ্যা পল্লীর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
৩৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
পারভীন রহমান বলেছেন: বিবর্তনবাদী বলেছেন: ছিঃ ছাড়া আর কিছুই বলা গেল না।
৩৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫০
রফিক এরশাদ বলেছেন: ভাগ্যিস আমি যাই নাই..আমি হাফ প্যান্ট পড়া আছিলাম!
৩৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্যান্ট-শার্ট হলো একটা সার্বজনীন পোশাক, যা পৃথিবীর যে কোনো দেশে যে কোনো পরিস্থিতিতে পরা যায়।
এ পোশক শুধু উপনিবাসীরাই পরতো না, তামাম দুনিয়ার পোশাক এটা।
এমন একটা পোশাক যে আমাদের প্রিয় পোশাক, এতে গর্ব প্রকাশের চেয়ে আমাদের দীনতাই বেশি প্রকাশ পেয়ে থাকে।
@ খলিল মাহমুদ - তামাম দুনিয়ার পোশাক প্যাট শার্ট কারন তামাম দুনিয়াতেই ইউরোপিয়ান উপনিবেশিক শক্তির ছোয়া লেগেছে। যদি ভারতীয়রা এমন উপনিবেশ স্থাপন করত তবে তামাম দুনিয়ায় এই লুঙ্গি, পাঞ্জাবি জাতীয় পোষাকই লোকে পড়তে দ্বিধা বোধ করত না। আর যেই উক্তি তে আপনি জাতীর দীনতা প্রকাশ করলেন তাতে আপনার উপনিবেশিক শক্তির প্রতি আপনার মানসিক দীনতা প্রকাশ পায়। যদি মন্তব্যটা বেশি শক্ত মনে হয় তবে দুঃখিত।
৪০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: কয়েকজনের জন্য ব্লগারে মতামত দেখে অবাক হচ্ছি । ফরহাদ মাযহার প্রতিবাদ করাটাকে শুভ চোখে দেখছে না তারা। অদ্ভুদ নীরবে চলে আসার বুদ্ধি দিচ্ছেন।
মদ খাওয়া বৈধতা পায়, নারীবাজি বৈধতা পায় এখানে লুঙ্গিতে সমস্যা। ঢাকা ক্লাবের সকল প্রকার অনৈতিক কার্যলাপ বন্ধ করা হোক।
৪১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: লুঙ্গি আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী হলেও কাগজে-কলমে স্বীকৃত পোষাক নয়।
@ আইরিন সুলতানা - কাগজে কলমে এই দেশে বাংলা স্বীকৃত ভাষা অথচ কোর্টে কিন্তু ইংরেজীই স্বীকৃত। একটা সময় কোর্টে শুধু স্বীকৃত ছিল ইংরেজী। সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে, কারন বাংলা আমাদের ভাষা।
লুঙ্গি আমি নিজেও পড়ি না। আসল কথা পড়তেই পাড়ি না। কিন্তু লুঙ্গি পড়া কাউকে আমি লুঙ্গির কারনে আটকাবার অধিকার রাখি না। সেটা ফরহাদ মাজহার হোক আর রিক্সা ওয়ালাই হোক না কেন।
আসলে ব্যাপারটা আমাদের মাইন্ডসেট। একটা সময় মানুষ খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভাবত তারা কালোদের দাস হিসেবে রাখবে। ভয়ঙ্গক্র একটা ব্যাপার। কিন্তু যারা দাস কিনত তারা সবাই কি খুব খারাপ মানুষ ছিল। নিশ্চয়ই না। সমাজ তাদের চিন্তা ভাবনাই সেভাবে গড়ে দিয়েছিল।
কয়েকশত বছর বিদেশীদের দ্বারা শাসিত হয়ে আমরা ওদের আজও নিজের অজান্তে প্রভু মনে করি। আমি নিজে শার্ট প্যান্ট পড়ি ভাল কথা কিন্তু লুঙ্গি পড়া কাউকে তার কাপড়ের জন্য আটকাবার অধিকার কারোর নাই। তারপর আবার ড্রেসকোড করে অর্থাৎ একধরণের আইন করে।
আমি মনে করি, ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল জারি করা উচিত।
৪২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আলোচনাটা আসলে ফরহাদ মাজহার কেন্দ্রিক নিয়ে যাওয়ার কোন অর্থ নাই। ফরহাদ মাজহার সেখানে ছিল বলে হয়ত আমরা এই বিষয়টা জানতে পারছি।
আলোচনা হল লুঙ্গি পড়ার কারনে বাংলাদেশের একটি ক্লাব একজন ব্যক্তিকে প্রবেশে আটকাতে পারে কিনা তাদের আইন অনুযায়ী। নিশ্চয়ই ক্লাবটির সরকারি রেজিস্ট্রেশন আছে। তাই তারা দেশের আইন মানতে বাধ্য।আমি আইনের ধারা জানি না, সাধারন বুদ্ধিতে বলতে পারি এমন আইন করা অপরাধ। যদি কোন দেশের সংবিধান মতে সেটা অপরাধ নাও হয় তবে সংবিধানে ত্রুটি আছে এটা নিশ্চিত।
৪৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৫
শয়তান হন্তারক বলেছেন: "কবি ফরহাদ মাযহার কে যারা চেনেন বা দেখেছেন তারা অবশ্যই জানেন উনি সদা লুঙ্গি নামক নিম্নাঙ্গ আচ্ছাদক কাপড় পড়েন , কোন প্যান্ট বা ট্রাউজার উনি পড়েন না।"
" নিম্নাঙ্গ আচ্ছাদক কাপড়"?????????!!!!!!!!!
লেখকের এই উক্তি ফরহাদ মজহার এর প্রতি অসম্মানের শামিল। লুঙ্গীর প্রতি যে স্বয়ং লেখক মশাইয়ের ঘৃণা রয়েছে এই কথাতেই তা পরিষ্কার। লেখককে অনুরোধ জানাই কোন খ্যাতনামা সম্মানীয় মানুষের ব্যাপারে কিছু লিখতে গেলে যেন আদব কায়দার ব্যাপারটা খেয়াল থাকে । ধন্যবাদ।
৪৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৬
খলিল মাহ্মুদ বলেছেন: যাঁরা আমাকে কটাক্ষ করছেন @
লুঙ্গি আমার বাপদাদা চৌদ্দগোষ্ঠি পরেছেন, আমিও পরি। কিন্তু আমার ছেলেরা পরে না। লুঙ্গি পরা নিয়ে রীতিমতো হাসিঠাট্টা করে আমার মেয়ে পর্যন্ত। লুঙ্গি পরনে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা অনেক গুণ বেশি। প্রথমত, এটা জাতিকে মুহূর্তে ঘুম পাড়িয়ে দেয় আর অলস বানায় প্যান্ট তা করে না। বেশিদিন আগে না, ২০ বছর আগেও মেয়েরা বিয়ের পরই শাড়ি পরতো। আর আজকাল বুড়িরাও পরেন সেলোয়ার কামিজ। হলে খোঁজ নিন, রাতে কয়টা ছেলে লুঙ্গি পরে ঘুমায়। অথচ, আমার সময়েও ছেলেদের দেখতাম বেশিরভাগই পরে লুঙ্গি, কেউ কেউ পায়জাম, কদাচিৎ কেউ হাফপ্যান্ট।
আর ঐতিহ্য কী জিনিস? সেটা কি একদিনে গড়ে ওঠে? সেটা কি বিশেষ কোনো ব্যক্তির বা গোষ্ঠির চর্চা? না। লুঙ্গির বদলে কোনো কোনো এলাকায় প্যান্ট পরে কৃষকগণ হালচাষ করেন। খবরবার্তা তো শুধু ঢাকা ক্লাবে কী হয়/হচ্ছে, তা রাখলেই চলবে না, একটু গ্রামগঞ্জের দিকে তাকান, সভ্যতা কোন্ দিকে যাচ্ছে দেখুন। এই সাধের লুঙ্গি এতই জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যের ধারক বাহক হলে এতোদিনে তা জাতীয় পোশক হলো না কেন? কে এই লুঙ্গিকে জাতীয় পোশাক হিসেবে স্বীকৃতি দেবে? ভোটাভুটি করে দেখেন, শতভাগ ভোট পায় কিনা। অন্তত আমি তো লুঙ্গিকে জাতীয় পোশাক হিসাবে স্বীকৃতি দেব না। বড়জোর পায়জামা আর শার্ট হতে পারে, কিন্তু কোনোক্রমেই লুঙ্গি নয়, স্যরি। আজ থেকে আরো ১০০ বছর পর এত র্যাপিড চেঞ্জ হবে ফ্যাশনে যে এই লুঙ্গি মসলিনের মতো একটা হারিয়ে যাওয়া পোশাক হবে, শুধু এর অপকারিতার জন্য।
পৃথিবীর সব সভ্য দেশে অনুষ্ঠানাদির জন্য ড্রেসকোড থাকে। ওটা মেনে চলা ঐ অনুষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানানোর নামান্তর।
আমরা সভ্য জাতি হতে চাই, আর নিয়মকানুন গুলো মেনে চলতে চাই।
নো মোর কমেন্টস ফ্রম মি।
৪৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হ্যা ঐতিহ্য একদিনে গড়ে উঠে না। আবার সময়ের সাথে বদলে যায়। ধরা যাক একদিন শার্টের চল উঠে গেল বা সেটা তখন ফকিরের ড্রেস। তখন যদি আমাদের কোন ব্লগার ভাইকে কেউ ঢাকা ক্লাব জাতীয় জায়গার দরজা হতে বিদায় দিয়ে দেয় তার হয়ত দুঃখ লাগবে না। সালোয়ার কামিজের চলও হয়ত উঠে যাবে। মেয়েরা শার্ট পান্টই পড়বে। সমস্যা নাই, কিন্তু যে সালোয়ার কামিজ পড়বে তাকে যদি ড্রেসের জন্য ভবিষ্যতে কোথাও বাধা দেওয়া হয় তবে সেটাকে মেনে নেওয়া ক্রীতদাসের মনভাবের নামান্তর হবে।
তবে আমার কাছে এটা দুঃখজনকই নয়, অপমান জনক মনে হয় আজও হবে আগামী তেও। এটা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অপরাধ। পৃথিবীর সভ্য দেশে অনুষ্ঠানাদির জন্য ড্রেসকোড থাকে হয়ত। আমি সেসব দেশে কখনও যাইনি। তবে, নিজেকে অসভ্য ভাবতে আমি নারাজ।
৪৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩৬
অরণ্যচারী বলেছেন: ঘৃণা করি ক্লাবের নামে উচ্চবিত্তদেরদের টাকা উড়ানোকে, ঘৃণা করি সাবেক বামপন্থী থেকে উগ্র ডানপন্থীতে রূপান্তরিত হওয়া কোন এক কবিকে।
৪৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪০
সরকার সেলিম বলেছেন: মালেশিয়া বা ভুটানের সবখানে যদি লুঙ্গির প্রবেশিধিকার থাকলে বাংলায় সমস্যা কই!! লুঙ্গি কি বাংলার জাতিয় পোশাক না।
বাংলার সবখানে লুঙ্গি প্রবেশিধিকার চাই।
লুঙ্গির মুক্তি হোক।
৪৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৬
প্রিয়সখা বলেছেন: অথযা সময় নষ্ট
বড় কষ্ট।
৪৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৬
আরেফিন জিটি বলেছেন: @খলিল মাহ্মুদ, "পৃথিবীর সব সভ্য দেশে অনুষ্ঠানাদির জন্য ড্রেসকোড থাকে। ওটা মেনে চলা ঐ অনুষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানানোর নামান্তর।
আমরা সভ্য জাতি হতে চাই, আর নিয়মকানুন গুলো মেনে চলতে চাই।"
সম্পুর্ন সহমত।
৫০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: @সরকার সেলিম - বাংলাদেশের আসলে কোন জাতীয় পোষাক নাই। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদের একটা লেখায় পড়ছিলাম। উনি র্যামন ম্যাগাসেসে পুরস্কার পাইছিলেন। তা অনুষ্ঠানে যারা পুরুস্কার নিবে তাদের অনুরোধ করা হইছিল তারা যেন চেষ্টা করেন নিজ নিজ দেশের জাতীয় পোষাক পড়তে। বেচারা আবদুল্লাহ আবু সাঈদ তখন জাতীয় পোষাক কি, তার ডকুমেন্ট খুজতে গিয়া দেখে এইদেশে জাতীয় বাঘ, মাছ, পাখি, গান সবই আছে কিন্তু পোষাক নাই। ঘটনা কয়েক বছরের আগের। তবে যতদূর জানি এখনও দেশে কোন জাতীয় পোষাক নাই।
৫১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: জাতীয় বাঘ = পশু
৫২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৩
নাজমুল আহমেদ বলেছেন:
প্রানবন্ত আলোচনা ভালো লাগে। বিবর্তনবাদী'দার কথায় যেমন যুক্তি আছে তেমনি যুক্তি আছে রন্টি ভাইয়ের কথায়। মাঝখানে খলিল মামার মনে হয় লুঙ্গির প্রতি একটু এলার্জি আছে রাত্রে মনে হয় উনার লুঙ্গি ঠিক থাকে না
৫৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৬
অ্যামাটার বলেছেন: শুধু ছিঃ! ছাড়া আর কিছু বলার নাই।
যাক, আমি ভাল আছি, অছুৎ।
@রন্টি দাঃ ড্রেস কোডের ব্যাপারটা আসছে পরে,
আগে বলি, এখানে ঔপনিবেশিক মানসিকতা কাজ করছে এখনও। সাদা সাহেব-মেম'রা পার্টি/ফাংশনে কালো নেটিভদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন করত। আর সব কিছু সময়ের সাথে বদলে গেলেও 'এলিট' ক্লাবগুলোর বিভাজনের সংস্কৃতি বদলায়নি। সুতরাং এখন এই বিভাজনের মনস্তাত্বিক আচার পরিহার করা উচিৎ, বোঝা যায়, কিছু লোক এখনও সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগছে। শুধু এটাই না, এখনও কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই দু'-তিনশ' বছর আগেকার মনোভব পরিবর্তল হয় নি। উদাহরণ হিসেবে বলাযায়, পুলিশ কনস্টেবলদের 'বটি' কাট চুল, স্বসস্ত্র বাহিনীর 'দরবার' সংস্কৃতি; ইত্যাদি অদ্যবধি চালু।
আর ড্রেস কোডের ব্যাপারে, আমি সঠিক জানি না, পথিক ভাই বলতে পারবেন হয়ত, ফরমাল স্যুট-টাইও কি পার্টি ড্রেস? মনে হয় না।
৫৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৭
সরকার সেলিম বলেছেন: bibirtonbadi: ami o ai rokom akta ghotona sunachilam tobe saita chilo ziyar amoler ghotona ! sekhane person ta chilo bodruddin umor!
৫৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @বিবর্তনবাদীঃ আমি সম্ভবত ক্লাস থ্রী বা ফোর-এ "পরিবেশ পরিচিতি সমাজ" বইটাতে পড়েছিলাম যে বাংলাদেশে পুরুষদের জাতীয় পোশাক পাঞ্জাবী-পায়জামা আর মহিলাদের শাড়ী। হাতের কাছে বই দুটো নেই। তাই ঠিক নিশ্চিত হতে পারছিনা।
৫৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩০
লাল দরজা বলেছেন: ঢাকা ক্লাবের মত একটা ভুয়া যায়গায় গেলে কিছু ভুংভাং নিয়ম মানতে হইব এইটাই স্বাভাবিক। বিচলিত হবার কিছু নাই। ঐখানে ওনার লুঙ্গি খুইলা যাওনের কাম আছিল, উনি ভুল করছেন।
৫৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: একটা কথা বলি। অনেক কম বয়সে উপমহাদেশের ইতিহাস পড়া শুরু করেছিলাম। পড়া শুরু করেছিলাম সেই সময়ের পটভূমিতে লেখা সাহিত্য। সেখানে দেখতাম, "কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ" - এই বাক্যটি। এইসব পড়ে আমার ফল হল, ক্লাস এইটে আমি ইংরেজী ভাষা বর্জন করি। সম্পুর্ণরূপে ইংরেজী পড়া বাদ দেই। বন্ধু বান্ধবকে উপদেশ দেই ইংরেজী বর্জনের।
ফলাফল আমিও ফরহাদ মাযহারের মত রেজাল্টের দিন বের হয়ে আসি। না ফেল করিনি। তবে আমার পক্ষে এটা ধরে রাখা আর সম্ভব হয় নি। ক্লাস টেনে আবার ইংরেজী পড়া শুরু করি। তবে এখনো মনে সেই আগুনটা রয়ে গেছে। যদি কোনদিন সামর্থ্য হয় ( হবে না জানি, সাত মণ ঘিও পুড়বে না; রাধাও নাচবে না ) এই ঢাকা ক্লাব নামক বিষফোঁড়াগুলো অপসারন করব। অন্যের শরীরে এই বিষফোড়া সহ্য করা যায়, কিন্তু নিজের শরীরে কখনই নয়।
৫৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
মইন বলেছেন: এতো দেখি সবাই বাচ্চাদের মতন আচরণ করতাছে।
এইখানে আমার মতামত:
প্রথমত: ঢাকা ক্লাব একটি প্রাইভেট প্রপার্টি। সেখানে ড্রেসকোড কেমন হবে, তা শুধুই নির্ধারণ করবে ক্লাবের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ। আপনি যদি ঘরের মালিক হন, তবে আপনার অপছন্দের পোষাক আপনি নিশ্চয়ই ঘরে পড়তে দিবেন না কাউকে।
দ্বিতীয়ত: ফরহাদ মজহারকে যখন দাওয়াত দেওয়া হয়, তখন নিশ্চয়ই দাওয়াতকারীদের খেয়াল রাখা উচিত ছিল কবির সম্মানের প্রতি দৃষ্টি রাখা, যা ঢাকা ক্লাবের দায়িত্বরতরা সম্পূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছে।
তৃতীয়ত: এইখানে কোনভাবেই লুঙ্গি বা বাঙ্গালী চেতনার প্রতি আঘাত করা হয়নাই। দায়িত্বরত গার্ড বা ম্যানেজার শুধুমাত্র সেটাই করেছে যেটা তাদের করতে বলা হয়েছে। স্কুলে যখন আপনার ছেলে বা মেয়ে স্কুল ড্রেস ব্যতিত অন্য ড্রেস পড়ে যায়, তখন কি স্কুল সেটা গন্য করবে? আপনি নিজেকেই জিজ্ঞেস করুন, আপনাকে যদি বলা হয় কোন অনুষ্ঠানে যেতে আপনি আপনার পরিষ্কার প্যান্ট বা পায়জামা খুজবেন। লুঙ্গি কিন্তু নয়। কথাটা কি মিথ্যে বলেছি?
চতুর্থত: একজন ব্লগার বলেছেন লুঙ্গির ভবিষ্যত অস্তিত্ব নিয়ে। একটা কথা বলা ভালো, আমি সাধারণত লুঙ্গি পড়িনা। কিন্তুর তবুও লুঙ্গির ভবিষ্যত নিয়ে আমি শঙ্কিত নয়। কারণ আমার চারপাশে যখন তাকাই তখন দেখি, আমার উপর নিচে, বড় ছোট, এমনকি দেশের ৬লাখ টাকার প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেরাও লুঙ্গি পড়ছে। লুঙ্গি পড়ে যে আরাম, আপনি সে আরাম পাননি বলেই হয়তো শঙ্কিত।
পঞ্চমত: একই ব্লগার হয়তো, লুঙ্গিকে অবজ্ঞা করেছেন এর দাম নিয়ে। ভাই অর্থ নিয়ে কখনোই অনর্থ সৃষ্টি করবেন না। কে বলবে আজ যে রাজা সেই কাল ফকির হবে না? কাল যে ছেড়া লুঙ্গি পড়ে আপনি ধানমন্ডির লেকের ধারে গিয়ে দাড়াবেন না কে বলেছে?
৫৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৫
সত্যান্বেষী বলেছেন: জামাতের আঁচল-ধরা বিভ্রান্তি 'বুদ্ধিজীবি'র এ কোন ভেক?
৬০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৬
সত্যান্বেষী বলেছেন: 'বিভ্রান্তি' কে বিভ্রান্ত পড়ুন।
৬১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৫১
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: বা;লাদেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী,সবগুলা সচিব, সবগুলা জেনারেল, সবগুলো প্রফেসর, সবগুলো ডক্টরেটকে ইন্টারভিউ নিন|
৯৯% এর বাবা লু;গি পরিধান করেছে|
৯৯% এর দাদা লে;টি পড়ে মাঠে হাল চাষ বা ক্ষেত নিরানি দিয়েছে|
১% এলিট আমলার ও চোর ব্যাবসায়ীর কালো টাকা হয়েছে, আজ ঢাকা ক্লাব, গলফ ক্লাব, ড্রেস কোড ভ; চ; শুরু করেছে|
জুতা দিয়া পিটাইয়া পাছার ছাল তুলে ফেলতে পারলে শান্তি পেতাম........!!!!!!!!!!
৬২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৩০
অলস ছেলে বলেছেন: বাংলাদেশীরা হৈলো ভুন্দাই জাতি, হীনমন্য।
আরে হতভাগার দল, মালেশিয়ানরা তোগো চাইতে অনুন্নত গরীব ছোটলোক কুজাত, তারা তাদের বাজু মালায়ু (লুঙ্গির মালে সংস্করণ) নিয়া যেইখানে ইচ্ছা ঐখানে যাইতাছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীগোরেও টিভিতে দেখা যায়। আর আমরা সাহেব হইছি। বৃটিশরাজ দেশটারে লাত্থি মাইরা ছাইরা দিয়া যায়া ঠিক করেনাই, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কইরা গোলাম বানাইলেই আমরা গাছে উইঠা আনন্দে নাচতাম।
+
৬৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪০
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: শুনতাম বৃটিশ শাসকরা নাকী প্রতি রাইতে মাইয়া না লাগাইয়া থাকতে পারতো না| সেই মাইয়া সাপ্লাইয়ের কামডা যারা করতো তারাই একসময় বৃটিশদের দান দক্ষিনায় ধনীক শ্রেনীতে নাম লেখায়, জমিদারীও পায়|
সেই শ্রেনীটাই এখন ড্রেস কোডের নামে লু;গীকে অপছন্দ করছে|
৬৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ছিঃ
৬৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: মইন বলছেন: তৃতীয়ত: এইখানে কোনভাবেই লুঙ্গি বা বাঙ্গালী চেতনার প্রতি আঘাত করা হয়নাই। দায়িত্বরত গার্ড বা ম্যানেজার শুধুমাত্র সেটাই করেছে যেটা তাদের করতে বলা হয়েছে।
গার্ড বা ম্যানেজারকে সেটাই বলা হয়েছে যেটা ঢাকা ক্লাবের রুলসের মাঝে আছে। আর রুলসে লুঙ্গি পড়ে ঢোকা যাবে না এটা থাকাই বাঙ্গালী চেতনার প্রতি আঘাত।
লুঙ্গি কেন ভাল জামা কাপড় পড়া যে কাউকে আচরণ সন্দেহজনক দেখলে সিকিউরিটি আটকাতে পারে। আর ঢাকা ক্লাব যতই প্রাইভেট প্রোপার্টি হোক না কেন, সরকারের কাছ থেকে তাদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করা আছে। তাই লুঙ্গি পড়লে ঢোকা যাবে না এমন বিধান রাখবার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আর রাখলেও তাদের ধরা উচিত।
৬৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: @খলিল মাহমুদঃ লুঙ্গি যদি আপনাকে অলস বানায় ও ঘুম পাড়ায়, তবে সেটা আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা। খুব বেশি উদাহরণের প্রয়োজন নেই, শুধু যদি ঢাকা শহরের লাখখানেক রিকশাওয়ালার কথা ধরি তবে মনে হয় না লুঙ্গি এদের অলস করেছে বা ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে।
আপনার সন্তানরা লুঙ্গিকে উপহাস করবে সেটাই স্বাভাবিক। কবি তো ঠিকই বলেছেন, "ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে"।
"আর ঐতিহ্য কী জিনিস? সেটা কি একদিনে গড়ে ওঠে? সেটা কি বিশেষ কোনো ব্যক্তির বা গোষ্ঠির চর্চা?" --আপনার এ প্রশ্নগুলোর জবাবে বলছি-- বাংলাদেশের লুঙ্গির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি একদিনে গড়ে ওঠেনি, আর ঢাকা ক্লাবের সদস্য ধনিকগোষ্ঠীর সংস্কৃতি পুরো দেশ তো দূরের কথা এর ৫% মানুষের চেতনার প্রতিফলন ঘটায় কি না সন্দেহ।
আপনি লুঙ্গিকে ভোট দেবেন না, সে আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি। কিন্তু কোন পরিসংখ্যানের বলে আপনার মনে হল যে লুঙ্গি অধিকাংশ ভোট পাবে না সেটা একটু পরিষকার করবেন?
ফ্যাশনে 'Rapid change' এর জন্য ১০০ বছর অপেক্ষা লাগবে না, তা প্রতি ঈদেই বদলায়। তবে আমার দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ফ্যাশানের মত কোন ঠুনকো জিনিস নয় বলেই আমি মনে করি।
@খলিল মাহমুদঃ @আরেফিন জিটিঃ "আমরা সভ্য জাতি হতে চাই, আর নিয়মকানুন গুলো মেনে চলতে চাই।" -- নিয়মকানুন বলতে আপনারা কী বোঝাতে চান? উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ নিয়মকানুন? বাংলাদেশী নিয়মকানুন কী দোষ করেছে বলবেন? "সভ্য" বলতেই বা আপনারা কী বোঝাচ্ছেন? ব্রিটিশ সভ্যতা? কেন? উপমহাদেশের মানুষ তো ব্রিটিশদের আগে সভ্য হয়েছে (প্রমাণঃ বটেশ্বল উয়ারী)। তো বাংলাদেশী সভ্য হলে সমস্যা কোথায়?
৬৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: পড়ুন 'বটেশ্বর'
৬৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: এত প্যাচালের কী দরকার ???
একটা প্রাইভেট মালিকানায় থাকা রেস্টুরেন্ট, তার নিজস্ব ড্রেস কোড বিধান চালু করতেই পারে। আমাদের বলার কিছু নাই।
এখন, সেই রেস্টুরেন্ট ভাল নাকি খারাপ সেটা এক কথা আর আমি পুঙ্গি পড়ে নিয়ম ভাংতে যাব, সেটা আরেক কথা।
আলতু ফালতু ড্রেস কোড আমি সমর্থন করি না। কিন্তু সেই জায়গাতে যদি যেতে হয়, তাহলে লুঙ্গি পড়ে যাব না।
প্যান্ট পড়তে সমস্যা কী? কবিরা প্যান্ট পড়লে কী পাপ হয়?? পুঙ্গি পড়া যাবে না, এটা যেমন গোড়ামী। তেমনি, লুঙ্গি ছাড়া অন্য কিছুও পড়তে পারব না, সেটাও গোড়ামী।
@ রন্টি চৌধুরী
আপনার কথার সাথে একমত। কিন্তু যুক্তিগুলার সাথে না। স্কুল আর রেস্টুরেন্টের ড্রেসকোডের তুলনা দেয়া হাস্যকর। আমি যদি বলি, গরুর ৪ পা, তাই বুদ্ধি বেশি। মানুষের অর্ধেক পা, তাই বুদ্ধি কম। ব্যাপারটা এমনই হাস্যকর লাগে, যেমন রেস্টুরেন্ট আর স্কুলের ড্রেসকোডের তুলনা।
তবে, একটা কথা সত্য। সেটা হল, প্যান্ট পড়লে পাপ হয় না। পয়ান্ট পড়ে যেতে বলছে, গেলে সমস্যা কী? সেইখানে লুঙ্গি পড়ে আলোচিত হবার দরকার নাই।
৬৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: টাইপোঃ প্যান্ট পড়তে সমস্যা কী? কবিরা প্যান্ট পড়লে কী পাপ হয়?? লুঙ্গি পড়া যাবে না, এটা যেমন গোড়ামী। তেমনি, লুঙ্গি ছাড়া অন্য কিছুও পড়তে পারব না, সেটাও গোড়ামী।
৭০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
মুহিব বলেছেন: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: রন্টি চৌধুরীর সাথে একমত হইলাম।
@বিবর্তনবাদী: আমি আপনার বাসায় যেকোন পোষাকে চলে যাওয়ার অধিকার আমার নাই। আর সহজভাবে চিন্তা করতে পারি। আমি কি অফিসে লুংগি পড়ে যেতে পারি? লুংগি কেন, জিন্স-টিশার্ট এমনকি হাফস্লিভ শাটৃ পড়েই তো যেতে পারি না।
৭১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১০
আইরিন সুলতানা বলেছেন: লুঙ্গি পড়ে তো আমাদের দেশে অফিসে যাওয়ারই প্রচলন নেই। অফিসের কোন নোটিশে "সরাসরি" উল্লেখও করা নেই যে, কেউ লুঙ্গী পড়ে অফিসে আসতে পারবেন না।তারপরও সাধারণ জ্ঞানেই কি আমরা সবাই একটি ড্রেস কোড মেনে চলছি না?? এবং তাহলে তো আমরা আমাদের চেতনাকে প্রতিদিনই আঘাত করছি!!!!!
এখানে একটা সহজ বিষয় উল্লেখ করতে হয়, ক্লাবের ড্রেস কোডে যদি থাকতো, ব্ল্যাক সুট এবং ব্ল্যাক বো-টাই, এবং কবি ফরহাদ মাযহার যদি ওইদিন ব্লু -স্যুট এবং স্ট্রাইপড ব্লু -টাই পড়ে যেতেন তাহলেও তিনি বাধা প্রাপ্ত হতেন।
"ড্রেস কোড" কনসেপ্টটাকি এর আগে আমরা জানতাম না? ঢাকা ক্লাব বলে নয়, এর প্রচলন সারা বিশ্বের এলিট ক্যাটাগরির ক্লাব/হোটেল এই আছে কিন্তু।
লুঙ্গি ঢাকা ক্লাবের ড্রেস কোডে নেই, তার মানে কোন মতেই এই নয় যে তা আমাদের চেতনাকে আঘাত করে।
তবে কবি ফরহাদ মাযহার -কে নিয়ে ঘটনাটা আমাকে আঘাত করে এই অর্থে যে,
উনি একজন সন্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং একই সাথে লুঙ্গী পোষাকটিকে উনি উনার জন্য সার্বজনীন করেছেন।তাই উনি এবং উনার পোষাক এখানে "আইকন", এজন্যই উনার সাথে বাক-বিতণ্ডা প্রলম্বিত হওয়াটাকেই দু:খজনক মনে হয়েছে। তবে গার্ড এর দোষ দেয়া যাবেনা অবশ্যই, গার্ড তার দ্বায়িত্ব রোবটিকভাবেই পালন করেছে। দোষ দিতে হলে ক্লাব ম্যানেজম্যান্ট এবং বিশেষত যে ব্যক্তিটি কবি ফরহাদ মাযহার কে দাওয়াতপত্র দিলেন তাদের।
বাইরের দেশগুলোতেও বিভিন্ন "এলিট" পার্টিগুলোতে একই ভাবে ড্রেস কোড মেইনটেইট করা হয়। এটা একেক ক্লাব/পার্টিতে একেক রকমও হতে পারে এবং আমন্ত্রিতদের ড্রেস কোড মেনেই ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।
ড্রেস কোডের প্র্যাকটিসটা এরকমই ।এখানে আমাদের ঐতিহ্যে আঘাত এসেছে, কিংবা ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এটা আবেগ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য হয় যুক্তি হিসেবে নয়।
অবশ্য এখানে যদি ব্যক্তি কেন্দ্রীক হিসেবে মানহানির মামলা দাঁড় করানো যায়, সেটা ভিন্নক্ষেত্র এবং আমার তাতে সহমত থাকবে। আবার যদি ঢাকা ক্লাবের বেলেল্লাপনার বিষয়গুলো নিয়েও সচেতনা তৈরীর প্রচেষ্টা হয়, তাতেও আমার সহমত থাকবে। কিন্তু "ড্রেস কোড" ব্যাপারটা এটার সাথে যায় না একেবারেই যদি না এরকম কোন দাবি তোলার চিন্তা থাকে যে, সারা বাংলাদেশে(অথবা বিশ্বে) কোন অনুষ্ঠানে ড্রেস কোড বলে কিছু থাকবেনা কখনই! .......এবং আমার মনে হয় না, এই দাবি তখন ধোপে টিকবে।
৭২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: লুঙ্গিতে শান্তি। লুঙ্গিতে সুবিধা।
৭৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩২
স্বপ্নশিকারী বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো।ঐখানে কাবলি স্যুট পরে ডুহকা নিষেধ কারন ওটা পাকিস্তানের পোশাক।কিন্তু আবার পাকিস্তানী নাগরিক ঢুকতে কোন বাধা নেই।
৭৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬
মো হ না বলেছেন: আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, ড্রেসকোডে একটা নির্দিষ্ট ড্রেসের উল্লেখ থাকলেও কবি ফরহাদ মাযহার লুঙ্গি পরে সেখানে গেলেন কেন? আমার তো মনে হয় ইচ্ছে করেই বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি এ কাজটি করেছেন। তা না হলে তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে আগেই ব্যাপারটা ফয়সালা করে নিতে পারতেন, কিংবা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন, এমনকি গেইটে গিয়ে বাঁধাপ্রাপ্ত হবার সময়ে সম্মান বাঁচানোর জন্য ফিরে আসতে পারতেন।
আমাদের ঘরের মানুষেরা ঘর থেকে বাইরে বেরুবার কালে লুঙ্গি পরে বের হন না। অফিসে তো লুঙ্গি পরার প্রশ্নই ওঠে না। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে কি আমাদের ছেলেরা লুঙ্গি পরে যায় ক্লাস করতে? একুশে বইমেলায় লুঙ্গি পরা কাউকে আমার চোখে পড়েনি আজও (কিছু ঝালমুড়িঅলা, পান বিক্রেতা ছাড়া; আমাদের কবি ফরহাদ মাযহার একজন সম্মানীয় ব্যক্তি)। আমাদের জাতীয় সংসদে কে কবে লুঙ্গি পরে গেছেন, কারো জানা থাকলে বলতে পারেন জ্ঞানবতী হই। লুঙ্গি আমাদের সর্বসাধারণের পোশাক, মানলাম। কিন্তু জাতীয় পোশাক হিসেবে বিবেচিত হবার মতো পোশাক বোধ হয় এটা নয়। আমার যদ্দূর মনে পড়ে, পায়জামা-পাঞ্জাবিকে জাতীয় পোশাক হিসেবে ঘোষণা দেবার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি বেশ আগে নেয়া হয়েছিল। জাতীয় পোশাক এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় যাতে ঐতিহ্যের পাশাপাশি আভিজাত্যও প্রকাশ পায়। শতাব্দীর পর শতাব্দী এতদ্অঞ্চলের মানুষ পায়জামা-পাঞ্জাবিকে আদর্শ পোশাক হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। দেশের বয়োবৃদ্ধ এলিট শ্রেণীর ব্যক্তিদের এজন্য প্যান্ট-শার্টের বদলে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরতে দেখা যায় আজও।
আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি-ব্যক্তিমালাকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানেই অফিস-পোশাক হিসেবে লুঙ্গি ব্যবহারের প্রচলন নেই। এর সাথে বৃটিশবাদ-উপনিবেশবাদ ইত্যাদি ধুয়া টেনে আনা বড্ড নির্বুদ্ধিতা মনে হয় আমার কাছে।
তবে, ক্লাব কর্তৃপক্ষেরও উচিত হয়নি কবিকে এভাবে অপমান করা।
৭৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
সুবিদ্ বলেছেন: আসলে কি মন্তব্য করা উচিত বুঝতেই পারছিনা......উনাকে দেশেতো সবসময়ই লুঙ্গি পরতেই দেখি.......পরে এসে কিন্তু উনাকে ঢোকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে.....
আচ্ছা, উনি কি দেশের বাইরেও লুঙ্গি পরেই যান???
৭৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৯
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: @ মো হ নাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ফরহাদ মজহারের লুঙ্গি পড়ে চলাচল একধরনের ভন্ডামি, যেমন ভন্ডামি ছিল এরশাদের সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাওয়া। আমার অবস্থান লুঙ্গির পক্ষে, ফরহাদ মজহারের পক্ষে নয়। আর তাই আপনার সাথে দ্বিমত রপাষণ করছি কিছু পয়েন্টে। পয়েন্ট-বাই-পয়েন্ট আসি--
১। "একুশে বইমেলায় লুঙ্গি পরা কাউকে আমার চোখে পড়েনি আজও (কিছু ঝালমুড়িঅলা, পান বিক্রেতা ছাড়া; আমাদের কবি ফরহাদ মাযহার একজন সম্মানীয় ব্যক্তি)।"-- একুশে বইমেলায় বাউলগানের আসর দেখেছেন তো নজরুল মন্চ্ঞে? বাউলরা কি পরে? কেন আপনার মনে হল পানওয়ালা - ঝালমুড়িওয়ালা ফরহাদ মজহারের মত সম্মান পাওয়া যোগ্য নন। কী দোষ তাদের?
২। "আমাদের জাতীয় সংসদে কে কবে লুঙ্গি পরে গেছেন, কারো জানা থাকলে বলতে পারেন জ্ঞানবতী হই।"-- আমাদের সাংসদদের কর্মকান্ড আমার কাছে অনুসরণীয় বা উদাহরণ দেওয়ার মত কিছু বলে মনে হয় না।
৩। "লুঙ্গি আমাদের সর্বসাধারণের পোশাক, মানলাম। কিন্তু জাতীয় পোশাক হিসেবে বিবেচিত হবার মতো পোশাক বোধ হয় এটা নয়।... জাতীয় পোশাক এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় যাতে ঐতিহ্যের পাশাপাশি আভিজাত্যও প্রকাশ পায়।... দেশের বয়োবৃদ্ধ এলিট শ্রেণীর ব্যক্তিদের এজন্য প্যান্ট-শার্টের বদলে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরতে দেখা যায় আজও।"-- আমার দেশের জাতীয় পোশাক, যা আমার দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে, তা কোন এলিটিস্ট-অভিজাততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটাবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
৭৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪১
মুহিব বলেছেন: এক্ষেত্রে ফরহাদ মাযহারের কথা ভুলে যান। ধরা যাক আমিই লুংগি পড়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে কি ঢুকতে দেয়া যাবে?
কুলখানিতে বা মসজিদে আমরা কি পড়ে যাই? স্কুলে বা অফিসে কি পড়ি? সবখানেরই একটা ড্রেস কোড আছে। ড্রেসকোড মেইনটেইন করা মানে যেখানে যাবেন তাকে অনার করা। অযথা বাঙ্গালী পোষাক বা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পোষাক বলে ইমোশন আনা মনে হয় ঠিক হবে না।
৭৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬
রিফাত হাসান বলেছেন: @ আইরিন সুলতানা এবং অন্যান্যরা, এই প্রসঙ্গে আমার ক্ষুদ্র মতামত জানালাম। আপনাদের মন্তব্য পেলে খুশি হবো।
Click This Link
৭৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯
আরেফিন জিটি বলেছেন: @অতন্দ্র তওসিফ, "নিয়মকানুন বলতে আপনারা কী বোঝাতে চান? উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ নিয়মকানুন? বাংলাদেশী নিয়মকানুন কী দোষ করেছে বলবেন?"
এখানে বাংলাদেশী বা উপনিবেশবাদী(ব্রিটিশ) নিয়মকানুনের কথা আসছে কেন, একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি আমার সংস্কৃতিকে ভালবাসি, বাংগালী হিসেবে গর্ববোধ করি, তবে একটি অনুষ্ঠানের সাধারন ড্রেসকোড তা যেই দেশেই হোকনা কেন সেটা একটা অনুষ্ঠানের একটা অংশ এবং তা মেনে চলাও একটা শিষ্ঠাচার ।
আমেরিকায় কোন ক্রুজ শিপে যদি ড্রেসকোড টক্সিডো থাকে আপনি আরমানির লাখ ডলারের ব্লেজার পড়েও সেখানে ঢুকতে পারবেন না, জাপানের মত দেশেও একই নিয়ম। লুন্গির দাম কম বা বেশী, দেশি সংস্কৃতি বা বিদেশি সেটা অন্য বিষয়।
৮০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৩
দাউদ বলেছেন: প্রথমেই নিন্দা জানাই খলিল মাহমুদ কে। খলিল সম্পূর্ণ ভাবে ডিকলোনিয়াল বাই প্রডাশান। তার জন্য করুনা...
বেশ জমে উঠেছে। তবে ড্রেস কোড নির্ধারণ হওয়া জরূরী। আমিও লুঙ্গি পছন্দ করি। নিয়মিত পরি। এমনকি অনেক সময় শপিং করতেও বের হয়েছি। কোন হীনমন্যতা বা অহং বোধ হয় নি।
ড্রেস কোড তৈরীতে অনেকে অভিজাততন্ত্রের সাফাই গেয়েছেন তাদের নিন্দা জানাই। আমরা ভুমিপুত্রদের পক্ষে...
৮১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৭
বিগব্যাং বলেছেন: ফরহাদ মগবাজার সাব পশ্চিমাদের টাকায় এনজিও দিয়া কোটিপতি হইতে লজ্জা পাননা, পশ্চিমাদের কাপড় পরতে লজ্জা পান... মুনাফেক কি গাছে ধরে না বলদের ্টকি দিয়া বাইরায়...
৮২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৭
পথিক!!!!!!! বলেছেন: শেষ পর্যন্ত আমরা পোষাক সর্বস্ব হয়ে উঠছি না তো!
৮৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১
বিবর্তনবাদী বলেছেন: অনেক যুক্তি তর্ক হল। অনেকদিন পরে ভালই লাগল। সবাইকে ধন্যবাদ।
উপনিবেশিকতা আমাদের মন মানসিকতাকে যে কতভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে আজও তার উদাহরণ পাওয়া গেল। বাংলাদেশের নাগরিক আমরা, অথচ আমাদেরই শহরের পাঁচ একর এলাকায় এমন একটি অংশ রয়েছে যেখানে যাবার যোগ্যতা আমাদের অনেকের নাই। কারন আমরা এলিট নই। সেই এলিটরা আবার কিছু আইন কানুন করেছে যেটাতে অনেকের আপত্তি নেই। এই এলিটদের আস্তানায় যে ড্রেস কোড আছে তাতে এইযুগের ফরহাদ মাজহার কেন মাওলানা ভাসানী এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পর্যন্ত ঢুকতে পারার কথা না (অমি পিয়ালের একটা কমেন্ট হতে জানা গেল মুজিব কোটও নাকি ড্রেসকোডে নাই)। মহাত্মা গান্ধির কথা তো আলোচনায়ই আসবে না। সে যদি এই ক্লাবে ঢুকতে যেত তবে তাকে পিটিয়ে বার না করে দিয়ে কেন ম্যানেজার ঢাকা হল তার জন্য হয়ত গার্ডেরই চাকরি যেত। সমাজের এলিট সদস্য হবার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার তালিকা হাতে ধরিয়ে দিলে খুব স্পষ্টই অনেকেই টের পাবেন তার কাছে রিক্সাওয়ালা, মুড়ি-চানাচুর ওয়ালা যেই স্তরের সমাজের একটি গোষ্টির কাছে আমাদের অনেকের অবস্থানও সেটাই।
উইকিপিডিয়া হতে ঢাকা ক্লাবের ইতিহাস অংশটি থেকে দুইটি লাইন উল্লেখ করলাম, In 1851, the European civil servants established the Dhaka Club on the northern corner of the racecourse as a club for British and other European people living in Dhaka. Until the early part of the 20th century, only white Europeans were allowed into the club.
একটা সময় ছিল যখন ট্রেনের কিছু কম্পার্টমেন্ট শুধু সাদাদের জন্য বরাদ্দ ছিল। মহাত্মা গান্ধি সেই কম্পার্টমেন্টের টিকেট কেটে উঠবার পরে তাকে কম্পার্টমেন্ট থেকে লাগেজ সহ ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। আজকের এলিট ড্রেসকোডের সমর্থকরা হয়ত সেই দিন গান্ধিকে বলতেন, "ট্রেনে কি কম্পার্টমেন্টের অভাব ছিল। ইচ্ছা কইরা ফুটানি দেখাইতে গেছিলা? কি মনে কর নিজেরে? অন্য কম্পার্টমেন্টে চড়লে জাত যায় নাকি। ট্রেন কম্পার্টমেন্টে কারা উঠতে পারবে তাদের আলাদা নিয়ম কানুন থাকতেই পারে। সেই নিয়ম মেনে চলা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মান দেখানো হয়। আজাইরা নাটক কইরা তুমি ভারতীয় উকিলদের জাত মারলা"।
গান্ধির পক্ষে সম্ভব ছিল না গায়ের চামড়া পরিবর্তন করার। সেই সাথে যেহেতু তিনি সেটা জন্মগত ভাবেই পেয়েছিলেন তাই বর্ণপ্রথা সেইদিন তার মনে গভীরে নাড়া দিয়েছিল। তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন, পশ্চিমা জামা কাপড় গ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় কৃষকের লেংটি।
এই এলিট গ্রুপের প্রতি অবনত মানুষের সংখ্যা আমার এবং অনেকের মত ডিগ্রিধারী শিক্ষিতদের মাঝে বরাবরই বেশি। আমরা এই ডিগ্রিধারী শিক্ষিতরা অফিসে পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে যেতে পারি না। কারন বলা হয়েছে এটা ড্রেসকোড। বেশি কথা বারাবার সুযোগ আমার নাই, কারন চাকরি গেলে আর একটা পাওয়া মুস্কিল। "কিন্তু এমন কেন?", এটা ভেবে দেখতে দোষ কি? উত্তরটা যদি হয় এটা আমাদের উপনিবেশিক মানসীকতার দীনতা তবেই কি সমস্যা। হয়ত আমরা কিছু করতে পারছি না, কিন্তু ব্যবস্থাটাকে সম্মান করাটাই আমার কাছে সভ্য না হওয়ার সমতূল্য। এখানে সমস্যা যতটা না লুঙ্গি তার চাইতে বড় মানসিকতা। ঐ ক্লাবে লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পায়জামা প্রভৃতি পড়ে ঢোকা যাবে না কারন কর্তৃপক্ষ এটাকে ছোটলোকের চিহ্ন বলে মনে করে। আর ক্লাবটি ছোটলোকদের (তাদের দৃষ্টিতে) দূরে রাখতে চায়। যেই ছোটলোকের মাঝে আমরা অনেকেই পড়ি এবং আমি তো অবশ্যই।
যাই হোক, আপাতত ব্লগে দেবার জন্য সময় শেষ হয়ে এসেছে। কাল থেকে আবার অফিস। জামা কাপড় গুলা একটু চেক করি, না আবার কোথাও কেউ ছোটলোক বইলা খেদায়া দেয়। সবাইকে শুভেচ্ছা। পথিক!!!! ভাইকে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
৮৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১
মং হ্লা প্রু পিন্টু বলেছেন: আমার একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, আমাদের আনজীবীদের সারাবছর ধরে কোট-টাই-কালো গাউন পরে এজলাসে ঢুকতে হয় কেন? এর পরিবর্তন করা যায় না?
৮৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
ফিনিক্সম্যান বলেছেন: বিবর্তনবাদীর চমৎকার মন্তব্যে প্লাস।
৮৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
পোড়া মরিচ বলেছেন: আমার দেশ আর নয়া দিগন্ত ছাড়া আর কোনো পত্রিকা এই মহান ব্যক্তিত্বের অপমান নিয়া লেখার সাহস করলনা কেন এইটা আমার প্রশ্ন?
৮৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: পোড়া, সবকিছুর মাঝে আমার দেশ আর নয়া দিগন্ত টানা মগজে গোবর থাকার লক্ষণ, দই মারতে চাইলে অন্যখানে যাওয়াই ভাল।
৮৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
অচেনা সৈকত বলেছেন: বিতর্কে যাব না। তবে এ ব্যাপারে একটা তথ্য জানাতে চাই, বুয়েটের এক প্রাক্তন ভিসি নিয়ম করেছিলেন কোন ছাত্র লুঙ্গী পড়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকলে ৫০ টাকা জরিমানা হবে। কখনো এই আইনের প্রয়োগ হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে আইনটা ইন্টারেস্টিং, সন্দেহ নেই। এটাও তো বাতিল করা উচিত।
৮৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
কার্ল মার্কস বলেছেন: বিবর্তনবাদীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ফারহান দাউদের সাথে একমত।
প্রু পিন্টু যে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তাতেও কথা বলা জরূরী।
৯০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিব না বলেছেন: আইরিন সুলতানা, আরেফিন জিটি, খলিল মাহমুদ এবং মোহনার বক্তব্যের সাথে একমত। হ্যাফ প্যান্ট পরে প্রাইমারী স্কুলে যাইতাম। হাই স্কুলে ক্লাস এইট পর্যন্ত মাঝে মাঝে লুঙ্গি পড়তাম। এক কড় হেডমাস্টার আইসা আইন কইরা দিল- নো লুঙ্গি। তারপর স্কুল, কলেজ আর ভার্সিটিতে লুঙ্গি পড়ার সৌভাগ্য হয় নাই
যারা লুঙ্গির জন্য এত দরদ দেখাইতেছেন আর দেশীয় ঐতিহ্যের জন্য লাফালাফি করতেছেন, তারা লুঙ্গি পইড়া কে কবে কলেজ ভার্সিটি আর অফিস আদালতে গেছেন হেইডা আগে কন। লুঙ্গি হইল আরামের পোশাক আর ঘুমানোর পোশাক। এইটা হইল বাসায় পড়ার পোশাক। এইটা পইড়া কেউ পার্টিতে যায় নাকি? তাইলে জাইংগা পইড়াও তো জায়েজ হওনের কথা। যারা ভূটান আর শ্রীলংকার উদাহরণ দিয়া লুঙ্গির মাহাত্ম্য গাইতেছেন, তারা চোখ দিয়া চাইয়া দেহেন ঐগুলান লুংগি না অন্য কিছু। এই দেশীয় ঐতিহ্য আর বৃটিশ উপনিবেশবাদের কথা বলতে বলতে এক শ্রেনীর ব্যাকডেটেড মানুষ এই দেশটার উন্নতি করতে দিল না। উপরে একজন ভাল কথা লিখছেন- কবি ফরহাদ মযহার এনজিও কইরা কোটি টাকা কামাইতেছেন অথচ লুংগি ছাইড়া প্যান্ট পড়তে পারেন না। এইগুলো হইল হিপোক্রেসি। দেশটা দিনে দিনে হিপোক্রেটে ভইরা যাইতেছে, কবি সাহেবকে আর দোষ দিয়া লাভ কি?
ফারহান চাচ্চু- ব্যক্তি আক্রমন কইরা ফালাইছেন। মাফ চান। কারন খলিল মাহমুদ আর আপনারে আমার একই কিছিমের মনে হয়, আপনি বরং এক কাঠি সরেস। মাইন্ড খাইয়েন না
৯১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৭
সত্যান্বেষী বলেছেন: বিগব্যাং বলেছেন: ফরহাদ মগবাজার সাব পশ্চিমাদের টাকায় এনজিও দিয়া কোটিপতি হইতে লজ্জা পাননা, পশ্চিমাদের কাপড় পরতে লজ্জা পান... মুনাফেক কি গাছে ধরে না বলদের ্টকি দিয়া বাইরায়...
একদম খাটি কথা। ফ. মজহার লোকটাকে আমার কাছে চূড়ান্ত বিভ্রান্ত এবং ভন্ডের একশেষ।
৯২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪১
ফারহান দাউদ বলেছেন: যাহা বলিব সত্য বলিব , না মাইন্ড খাই নাই, ২ নম্বর নিক নিয়া আসা লোকজন এবং মানসিক ভারসাম্যহীনদের কথায় মাইন্ড করতে গেলে সারাদিনই মাইন্ড খায়া বইসা থাকা লাগবে, অত সময় কই?
৯৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: @ যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিব নাঃ হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইস চেনেন কক্স'স বাজারের? টানা ৪ দিন এই হোটেলের রেস্টুরেন্ট, স্যুইমিং পুল, বারবিকিউ, কটেজ, প্রাইভেট বীচ ইত্যাদি দাবড়িয়ে এসেছি ২ খানা ১নং রুহিতপুরি লুঙ্গি পরে...
৯৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
মগ্নতা বলেছেন: বিবর্তনবাদীর মন্তব্যে +
৯৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
সায়েম মুন বলেছেন: আগে দেখতাম স্কুল/ কলেজের বড় ভাইরা লুঙ্গি পইড়া দিব্যি ক্লাস করতাছে। আমাদের সময়ে আর চোখে পড়েনি। দিন বদলের হাওয়ায় আমরা ভুলে গেছি আমাদের জাতীয় পোশাকের কথা। এখন লুঙ্গি পরিহিত লোকজন দেখলেই তথাকথিত ভদ্রসমাজ চাষা মনে করে।
৯৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৫০
অ্যামাটার বলেছেন: হুমম, জল দেখি আরও গড়িয়েছে!
বিবর্তনবাদীকে ধন্যবাদ বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য।
খলিল মাহমুদ কে সকলে যথাসম্ভব ইগনোর করেন। লোকটা মেন্টালি সিক।
আইরিন সুলতানা'র কথায় অবাক হলাম। অপ্রত্যাশিত। উইথ ডিউ রেসপেক্ট, উনার কথাগুলোর সাথে একমত না।
"আইরিন সুলতানা বলেছেন:...ড্রেস কোডের প্র্যাকটিসটা এরকমই ।এখানে আমাদের ঐতিহ্যে আঘাত এসেছে, কিংবা ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এটা আবেগ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য হয় যুক্তি হিসেবে নয়।
অবশ্য এখানে যদি ব্যক্তি কেন্দ্রীক হিসেবে মানহানির মামলা দাঁড় করানো যায়, সেটা ভিন্নক্ষেত্র এবং আমার তাতে সহমত থাকবে।"---
একটা ব্যাড প্রাকটিস যদি চলে আসে আবহমান কাল ধরে যুগের পর যুগ, তাহলেও কি আমাদের সেই অপসংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে?
আর বিষয়টা ব্যাক্তিতান্ত্রিক নয় মোটেও! একজন ফরহাদ মাযহার এখানে প্রতীকি। মানুষের ক্ষোভ ফুঁসে ওঠার একটা উপলক্ষ মাত্র। এটা অতি অবশ্যই সমষ্টিগত।
ব্রিটিশরাজ বিদেয় হয়েছে পাঁচ যুগ আগে, রেখে গেছে তাদের কিছু কু-আচার।
৯৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৭
দূরন্ত বলেছেন: বর্ণবাদী নিয়মের এ উত্তরাধিকারকে নিন্দা জানাই।
ঢাকা ক্লাবকে বন্ধ করার সময় এসে গেছে।
৯৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৩৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এই যে এক একজন পন্ডিত এসেছেন বাংলা ভাষায় গলা বাজি করতে! জিনিসটা "কাপড় পরা" হবে, "কাপড় পড়া" নয়। আমি যদিও কাপড় পরতে শিখেছি, পড়তে শিখিনি। বই না পড়ে কাউকে তাই "কাপড় পড়তে" দেখলে আকাশ থেকে পড়ার অভ্যেস আছে।
৯৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪০
সৈয়দ মবনু বলেছেন: মানসিকতায় গোলামী থাকলে নিজের দেশে নিজের পোশাকের অপমান দেখার পরও বোবা শয়তানের মতো নীরব থাকতে হয়। যে শয়তানরা লুঙ্গিকে অপমান করলো তারা মূলত এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষকে অপমান করলো। এই অপমানের জন্য কি একাত্তরে আমাদের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছিলো। ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
১০০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৮
সরকার সেলিম বলেছেন: রাষ্ট্রিয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে লুংগির মুক্তি দেয়া হোক!!
Click This Link
১০১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানেও লুঙ্গি পরার চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। যেমন, ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পায়জামা-পাঞ্জাবি না পরে লুঙ্গি পরে খালি পায়ে প্রভাতফেরি করতে পারি। ষোলই ডিসেম্বর বা ২৬শে মার্চের প্যারেডে লুঙ্গি পরিহিত একটা কনটিনজেন্ট রাখা যেতে পারে। আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের ড্রেসকোড লুঙ্গি-পাঞ্জাবি হতে পারে। জাতীয় সংসদের অধিবেশন সমূহে পুরুষ সাংসদের জন্য ড্রেসকোড লুঙ্গি করা যেতে পারে। অফিসের জন্য লুঙ্গি পরাটা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। ছাত্রদের জন্যও লুঙ্গি পরা উন্মুক্ত করা যেতে পারে। পুলিস ও সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ আনুষ্ঠানিক প্যারেডে লুঙ্গি পরে মার্চপাস্ট করতে পারেন। আমাদের কোর্ট-কাচারির ড্রেসকোডে লুঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আমাদের জাতীয় চেতনা সমুন্নত ও জাগ্রত করবার জন্য সর্বত্র লুঙ্গির ব্যবহার উন্মুক্ত রাখতে হবে। যে কোনো অনুষ্ঠানে বা স্থানের জন্য নির্দিষ্ট ড্রেসকোড থাকলেও লুঙ্গিকে সর্বক্ষেত্রে উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। ভারতের তামিল নাড়ুতে প্রথমে লুঙ্গির ব্যবহার শুরু হয়েছিল, কালের বিবর্তনে তা আমাদের বাঙালিদেরও সার্বজনীন পোশাকে পরিণত হয়েছে। ১৫শ শতাব্দির শেষের দিকে প্যান্ট ব্যবহার শুরু হয় ইউরোপে। তারও অনেক অনেক আগে পারস্য, চায়না ইত্যাদি দেশে প্যান্টের প্রচলন ছিল। কিন্তু কম্বলের লোম বাছতে গেলে তো আর কম্বল খুঁজে পাওয়া যাবে না; তদ্রূপ আমাদের ঐতিহ্যের পোশাক কোন্টি তা খুঁজতে গেলেও হয়তো আমাদের নিজেদের পোশাক কোন্টি তা বের করা সম্ভব হবে না। তদুপরি লুঙ্গিকেই, অন্তত ভারত থেকে ধার করা হলেও, আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে বা জাতীয় পোশাক হিসাবে ধরে নিয়ে আমাদের জাতীয় চেতনাবোধ ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করবার প্রয়াস পেতে পারি।
লুঙ্গি আমাদের সবার পোশাক। মহাত্মা গান্ধী, ভাসানী ও ফরহাদ মযহারের মতো আসুন আমরা সবাই প্যান্ট বর্জন করি, লুঙ্গি পরি। একই সঙ্গে দেশীয় পণ্যের প্রমোশনের জন্য বিদেশী পণ্য বর্জন করা উচিত।
লুঙ্গি পরা ছাড়া আমরা বাঙালি হতে পারি না। লুঙ্গি ছাড়লে বাঙালিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। লুঙ্গিকে অপমান করলে নিজস্ব ঐতিহ্যকে অপমান করা হবে। তাই তীব্র জাতীয় চেতনাবোধের জন্য, চলুন, আমরা সবখানে লুঙ্গি পরি।
কবি ফরহাদ মযহারকে অপমানকারীদের বিচার হোক।
এখান থেকে কপি এন্ড পেস্ট Click This Link
ফারহান দাউদ এন্ড এ্যামাটার@, আপনাদের অভদ্রজনোচিত আচরণের জন্য আজীবন ব্লক খেয়ে আছেন, সেই ক্ষত নিশ্চয়ই ভুলতে পারছেন না! এজন্য কি এভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করতে হবে?
৮৮ এবং ৯৭ নং কমেন্ট দুটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করছি। লেখক@
এবং মডারেটরের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
১০২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮
পারভেজ রবিন বলেছেন: @ খলিল মাহমুদ জয়পাড়ার লুঙ্গি পড়বেন, অন্তত তিনশ টাকা দামের, আপনের ধারণা পাল্টে যাবে। পড়ছেন আলতু ফালতু লুঙ্গি, তাই এই ধারণা আপনার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৮
স্বপ্নকথক বলেছেন: ছি!