নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবণ সংগ্রাম

পথের কাঙাল

ছাত্র

পথের কাঙাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইরেন

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১০

সেদিন ইফতারির একেবারে আগমুহুর্তে মসজিদের পাশ দিয়ে যেতেই সাইরেন বেজে উঠল।তাড়াতাড়ি একটা দৌড় দিলাম।ইফতার করতে হবে যথাসময়ে সেকারণে।ভাগ্যিস বাসা থেকে বেশী দূরে ছিলামনা বলে রক্ষা।ইফতারের আইটেম যদিও সাধারণ কিন্তু মনে হচ্ছিল অমৃত।খেতে খেতে মনে হল যে, এক সময় ইফতারির জন্য গরীব বাচ্চা ছেলেরা "খালাম্মা ইফতার দিবেন?" বলে পুরো মহল্লায় ঘুরে বেড়াতো।এখন দৃশ্যটা খুবই কম দেখা যায়।ভাবলাম,বেশ তো।গরীব কমে যাচ্ছে।আমরা আরো মোটা তাজা হচ্ছি।ভালই।
এরপরে নিউজ দেখতে বসলাম।দেশের খবর, অর্থনীতির খবর।বিদেশের খবর আসতেই প্রতিদিনের মতই মনটা খারাপ হয়ে গেল।সিরিয়া ইরাকে আরো মৃত্যুর সংবাদ,সংঘর্ষ।আমাদের সাথে তাদের পরিস্থিতি মিলালাম।কেমন আছে তারা?
তাদের দেশে যখন সাইরেন বাজে তখন তারাও দৌড়ায়।তবে খাবার জন্য নয় বরং বিমান হামলা থেকে বাঁচার জন্য।তাদের ইফতারিতে ধুলো বালি থাকে,থাকে রক্তে ভেজা মাদুর আর কান্নার জলে ভেজা খেজুর।তারা জানেনা পরেরদিন তার সামনে বসা প্রিয়জনটিকে হয়তো কবর দিয়ে ইফতার করতে হতে পারে। কী অপরাধ তাদের??
আবার জায়নবাদীদের চক্রান্ত বাস্তবায়নে তৎপর আইএস তো আছেই মুসলমানদের রক্ত ঝরাতে আরো উন্মত্ত।
নিজেকে বেশ অপরাধী মনে হল।এত নিয়ামত থাকা সত্ত্বেও আমরা আল্লাহর নাফরমান বান্দা।তাঁকে স্মরন করিনা।আবার নিজের মুসলিম ভাইদের স্মরণে একটা মুহুর্তও থমকে দাঁড়াইনা।তারা মারা যাচ্ছে আমাদের কি??আমরা তো শান্তিতে আছি।শপিংএ এতটুকু কম হলে মনোঃক্ষুণ্ণ হই।সেহরিতে লেবু না পেলে চেঁচামেচি করি।ইফতারির শরবতে চিনি কম হলে কাজের লোকদের সাথে অভদ্রতা করি।
একটা যুগ নাকি ছিল।যে যুগে সিন্ধুর রাজা দাহিরের অত্যাচারে অত্যাচারিত মুসলিম ভাইদের সাহায্যে মুহাম্মাদ বিন কাসিম এলেন বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে।
জানেন কেন তারা এটা তারা পেরেছিল।কারণ তারা পুরো মুসলিম জাতিকে একটি দেহের মত মনে করত।যার একটি চুল উপড়ানো হলেও সমস্ত শরীর তার জন্য ব্যাথা অনুভব করত।আর আমরা আজ মিথ্যা জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনায় শতধা বিভক্ত।একজনের ভুল আরেকজনে ধরায় পারঙ্গম।কিন্তু প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করতে সবচেয়ে কৃপণ।
হায়,মুসলিম বিশ্বে আজ এরকম পাপীও নেই যে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিবে?তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত সেই তারিক বিন যিয়াদও নেই??ইহুদী খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সালাহউদ্দিন আইয়ুবীও নেই? কবে এ জাতির বন্ধ্যাত্ব ঘুচবে??কবে এ অমানিশা ভেঙে সাইরেন বাজিয়ে এজাতি আবার জেগে উঠবে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের জন্য??

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কবে এ জাতির বন্ধ্যাত্ব ঘুচবে??কবে এ অমানিশা ভেঙে সাইরেন বাজিয়ে এজাতি আবার জেগে উঠবে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের জন্য??

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

পথের কাঙাল বলেছেন: সঠিক বিষয়টা ধরতে পেরেছেন।ধন্যবাদ ভাই।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"হায়,মুসলিম বিশ্বে আজ এরকম পাপীও নেই যে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিবে?তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত সেই তারিক বিন যিয়াদও নেই??ইহুদী খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সালাহউদ্দিন আইয়ুবীও নেই? কবে এ জাতির বন্ধ্যাত্ব ঘুচবে??কবে এ অমানিশা ভেঙে সাইরেন বাজিয়ে এজাতি আবার জেগে উঠবে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের জন্য?? "

-বড় হয়েছেন, পড়ালেখা শিখেছেন, ভাবতে শিখেন: এই এটোমিক যুগে, তারিক বিন যিয়াদ, সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কি করতো?

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

পথের কাঙাল বলেছেন: "বড় হয়েছেন, পড়ালেখা শিখেছেন, ভাবতে শিখেন: এই এটোমিক যুগে, তারিক বিন যিয়াদ, সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কি করতো?"
তাদের সময় যুদ্ধাবস্থা ছিল যার বিরুদ্ধে তারা একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে যুদ্ধ করেছিল ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে।আর যদি বর্তমান সময় হত তবে সেক্ষেত্রে তারা মুসলমান জাতিকে এক প্লাটফর্মে আনতে পারত।তারা মুসলমানদেরকে লিড দিতে পারত।মনে করেন কোথাও মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে নির্যাতন বন্ধের জন্য তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারত।মায়ানমারের রোহিঙ্গারা,কাশ্মীরের মুসলমানেরা,ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য এমন কিছু করতে পারত যাতে করে এগুলো বন্ধ হয়।পশ্চিমা দুনিয়া এখন কথায় কথায় সামরিক হামলার হুমকি দেয় আর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে।সঠিক নেতৃত্ব থাকলে মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞান,অর্থনীতি আর সামরিক ক্ষেত্রে আজকের বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হত।তখন এসমস্ত হুমকি প্রতিউত্তর মুসলমানরা দিতে পারত।কিন্তু সেটি কোথায়??আমি মূলত এ বিষয়টাকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছি।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিশ্বের সবার সাথে চলতে হলে, সবার মতো বিদ্বান হতে হবে; সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কি করেছে ভেবে মরলে হবে না, আইনস্টাইন কি দিয়ে গেছে, সেটা বুঝতে হবে; পিয়াজু ইত্যাদি কম খাবেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

পথের কাঙাল বলেছেন: সালাহউদ্দিন তার সময়ের সর্বাধুনিক রণনীতি গ্রহণ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের মুকাবিলা করেছিল।এসময় সালাউদ্দিন জন্মালে তিনি আগে মুসলমানদের লেখাপড়া করতে বলতেন,বিবেকবোধ সম্পন্ন হতে বলতেন।আর সেই সাথে নবতম আবিষ্কারগুলো মুসলিম সভ্যতায় আত্তিকরণ করে নিতেন।আইনস্টাইন কি দিয়ে গেছে শুধু এটা নিয়ে চিন্তা না করে এর চেয়ে উত্তম উপায়ে কীভাবে বিজয় আনা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.