নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে, জানাতে এলাম।

আমি একজন সরল, সোজা মানুষ। সত্য বলতে, জানতে, জানাতে পছন্দ করি।

ভুলে ভরা জিবন

সত্য সুন্দর, সত্য পথে চলি, সত্য কথা বলি।

ভুলে ভরা জিবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিলাদের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়া নাজায়িজ

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯

অতীতের আমল নিষিদ্ধ হয়ে গেলে তার উপর আমল করা নাজায়িজ। নামাযের মধ্যে কথা বলা, শরাব পান করা এগুলো ইসলামের প্রথম যুগে ছিল, পরে মানসুখ/বাতিল হয়ে যায়। আবার হজ্জ, নামায, কুরবানি, হিজাব এগুলো প্রথমে ছিল না-পরে এসেছে। প্রথম যুগের দলীল দেখিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া আমলকে চালু করার চেষ্টা করা মুনাফেকী ছাড়া আবার কি হতে পারে?



মহিলাদের জামাতের জন্য মসজিদে যাওয়া নাজায়িজ, এটা খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিস সালাম উনাদের যামানায় ইজমা হয়ে গেছে। যারা ইজমা মানে না, তারা গোমরাহ ব্যতীত আর কিছুই নয়।



পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়,

عَنْ حَضْرَتْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِـىْ وَسُنَّةِ الْـخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ تَـمَسَّكُوْا بِهَ وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ.

অর্থ : “হযরত ইরবায বিন সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত মুবারক ও আমার খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত মুবারক পালন করা অপরিহার্য। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ, তিরমীযী শরীফ, ইবনে মাযাহ্ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)



কাদিয়ানীদের মসজিদে মহিলা জামাত হয়, বাকিটা বুঝে নেন।



অথচ, হাদিছ শরীফে আছে, “মহিলারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় জামায়াতে উপস্থিত হতেন (পরবর্তিতে) আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মহিলাদেরকে জামায়াতে আসতে নিষেধ করেন। তখন মহিলারা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নিকট এ বিষয়টি জানান। তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ঠিকই করেছেন।” (ফতহুল ক্বাদীর, গায়াতুল আওতার, হিদায়া, নেহায়া, আইনুল হিদায়া, তাহতাবী, দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া)



অনুরূপ “বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফ”-এও উল্লেখ আছে।



Click This Link



Click This Link



Click This Link

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

টেম্পেস্ট বলেছেন: হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম। এর মানেটা বলবেন? যা জানেন না বা অল্পবিস্তর জানেন তা মানুষের সামনে না বলায় ভাল। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪১

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: যতটুকু জানি, ততটুকু তো আপনাকে জানাতে পেরেছি। শিখতে পেরেছেন কিছু?

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

শিক্ষক ৭১ বলেছেন: রাসুল সা: এর সময়ও মহিলারা জামাতে যেতেন । আমার মতে ফিৎতনার আঙ্ককা না থাকলে জামাতে যাওয়া নিষেধ নয় । অযথা মুসলমানদের মধ্যে ঝামেলা পাকাবেন না ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: মায়ারিফে মাদানিয়াহ, শরহে তিরমিযী ৮ম জিলদ ১০৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করার কারণ হলো বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানগণের জনসংখ্যা ও জনশক্তি বৃদ্ধি করা। হযরত আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সে যুগ ফিতনা ফাসাদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা একেবারেই বিপরীত।

‘বাদায়ের’ লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন ইত্যাদিতে যোগদান করার অনুমতি নেই। কেননা আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘(হে মহিলাগণ) তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক।’ এ ছাড়াও মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়ার মধ্যে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে।”

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

ইউসুফ কামাল বলেছেন: আপনি কোন যুগে বসবাস করছেন? নবীজি (সঃ) এসে, নবুয়্যত শেষ হয়ে, কোরআন নাজিল সম্পূর্ণ হয়ে, নবীজি (সঃ)-এর বিদায়ও হয়ে গেছে।
দয়া করে ভালো ভাবে রিসার্চ না করে কোন কিছু প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
শুধু এটুকু বলার জন্যই লিখা।
আমি আর কোন কিছু লিখা, বা কোন রেফারেন্স লেখতেও যাবো না। আপনি শুধু নিজের মনটাকে প্রশস্ত রাখুন। কারণ নবিজীর (সঃ) যুগে মহিলারা এমনকি বাজার করা, যুদ্ধেও গিয়েছেন।
আর কোরআন-এর আয়াতঃ "বলো, যে অন্ধ আর যে চক্ষুস্মান, তারা কি কখনও সমান হতে পারে?" -বুঝে নিন। আর যা পুরোনো কিতাবে পাবেন তাই গিলতে ও গিলাতে যাবেন না, আপনার আর ঐ ব্যক্তির বদহজম হবে, আমার কথা বিশ্বাস করেন, আমিও এইরকমই ছিলাম।
মা-আসসালাম।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: হাদিছ শরীফে আছে, “মহিলারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় জামায়াতে উপস্থিত হতেন (পরবর্তিতে) আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মহিলাদেরকে জামায়াতে আসতে নিষেধ করেন। তখন মহিলারা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নিকট এ বিষয়টি জানান। তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ঠিকই করেছেন।” (ফতহুল ক্বাদীর, গায়াতুল আওতার, হিদায়া, নেহায়া, আইনুল হিদায়া, তাহতাবী, দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া)

অনুরূপ “বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফ”-এও উল্লেখ আছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আপনার মন বড় করতে চাইলে কি সেকুলারদের মত মেয়েদেরকে বোরকা পড়ার বিরোধিতা করবেন? মন যেমনই হোক, ইসলাম সবার উপরে। ইসলামে মহিলাদের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়া নাজায়িজ। এটাই শেষ কথা।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: খুব জানতে ইচ্ছা করে, যারা তারাবীহর নামায নিয়মিত জামাতে পড়ে, তারা কোথায় পেল?

হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম উনার যামানা থেকেই তো তারাবীহর নামাযের জামাত চালু হল। তাহলে কেন ওহাবী, সালাফী, আহলে-হাদিছেরা তারাবীহর নামায জামাতে পড়ে?

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০

কষ্টসখা বলেছেন: ইজমা মানতে হবে তবে সেটা পবিত্র কোরআন বা সহীহ হাদিসের বিপরীত হলে অবশ্যই পরিতায্য।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: ইজমা কি কুরআন শরীফ, হাদিছ শরীফের বিরুদ্ধে হয় নাকি!!

খুব জানতে ইচ্ছা করে, যারা তারাবীহর নামায নিয়মিত জামাতে পড়ে, তারা কোথায় পেল?

হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম উনার যামানা থেকেই তো তারাবীহর নামাযের জামাত চালু হল। তাহলে কেন ওহাবী, সালাফী, জামাতী-শিবির-মওদুদী, আহলে-হাদিছেরা তারাবীহর নামায জামাতে পড়ে?

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

সবুজ-ভাই বলেছেন: বুরখা কি ইসলামী কোন পোষাক ? জানতে চাচ্ছিলাম।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩২

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আপনার কি ধারণা?

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: পৃথিবীর অনেক মুসলমান দেশেই মেয়েরা মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ পড়ে। তাহলে তারা সঠিক ইসলাম পালন করছে না?

তারাবিহ জামাতে পড়ার নিয়ম কি নবী(সাঃ) করে গেছেন, না পরে এসেছে?

ইসলামকে নিয়ে ত্যানা পেচাবেন আর তারপরেই বলবেন "ইসলাম গেল" "ইসলাম গেল" -- তা তো হবে না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: পৃথিবীর অনেক মুসলমান দেশেই মেয়েরা ফুটবল খেলছে, নাচছে, গাইছে, মডেলিং করছে;

পৃথিবীর অনেক মুসলমান দেশেই রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র চাল আছে, নারী-প্রধান হয়ে বসে আছে;

পৃথিবীর অনেক মুসলমান দেশেই সুদ, ঘুষ চালু আছে;

পৃথিবীর সব দেশে চালু থাকলেও শুধু একা হলেও আপনাকে ইসলাম মানতে হবে। মহিলাদের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়া নাজায়িজ। সংখ্যা দিয়ে, দেশ দিয়ে ইসলামের মাসয়ালা বের করা হয় না। আশা করি, সেটা জানেন।

ঐসব দেশে মহিলা জামাত চালু হওয়ার কারণ হল, জাহিল লোকের প্রাদুর্ভাব।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: তারাবীহর নামায আমাদের নবী কারীম ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে একাকী পড়েছেন ও পড়তে বলেছেন।

পরবর্তীতে হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম তিনি তারাবীহর নামাযের জামাত চালু করেন।

আরও পরবর্তীতে হযরত উসমান আলাইহিস সালাম তিনি ২০ রাকায়াত তারাবীহর নামাযের জামাতে কুরআন শরীফ খতম চালু করেন।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: হাদিছ শরীফেও আমাদের নবী পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদের জামায়াতে নামাযের চেয়ে একাকী নামাযের প্রতি উতসাহিত করেছেন।

হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়,“মহিলাদের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে একা নামায পড়ায় ২৫ গুণ বেশী ফযীলত পাওয়া যায়।” (দায়লমী শরীফ ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৩৮৯)

আমাদের নবী পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে মহিলা জামায়াতকে নিরুতসাহিত করেছেন, সেই মানসুখ আমল (মহিলা জামায়াত) কি করে চিহ্ণিত গুটিকয়েক গোষ্ঠী জারী রাখতে পারে!!!

তারা কি তাহলে আমাদের নবী পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাইতেও বেশি পরহেযগার দাবী করে!!??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.