নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে, জানাতে এলাম।

আমি একজন সরল, সোজা মানুষ। সত্য বলতে, জানতে, জানাতে পছন্দ করি।

ভুলে ভরা জিবন

সত্য সুন্দর, সত্য পথে চলি, সত্য কথা বলি।

ভুলে ভরা জিবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানর থেকে কোন মানুষ আসে নি, শুধু নাস্তিকরাই এসেছে (তাদের ভাষ্যমতে)

১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

অনেকে বলে, অমক বানরের সাথে, অমক হনুমানের সাথে মানুষের ডিএনএ-র মিল পাওয়া গেছে। তাই তারা ধরেই নেয়, তাদের আদি পিতা হচ্ছে বানর বা হনুমান। কত্ত বড় উজবুক!



যারা এরূপ বলে, তাদের কাছে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চারও প্রশ্ন হতে পারেঃ



১) একটা বানর নিশ্চয় হাজার বছর বাঁচে না। একটা বানর যদি ৫০ বছরও বাঁচে, তাহলে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি বানরকে বেছে নিয়ে দেখি যে সে তার জীবদ্দশায় কখনো কি মানুষ হয় কিনা? না মানুষ হল না। আমরা ১০০টা বানরের উপর পরীক্ষা চালাতে পারি। না, তারাও হল না। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কোন বান্দর তার জীবদ্দশায় মানুষে রূপান্তরিত হয় নি।



২) আচ্ছা হতে পারে, যুগের পর যুগ বিবর্তনের দ্বারা বানর হতে মানুষ এসেছে। একটা বানর মানুষ না হলেও বানরের পোলা-মাইয়া মানুষের দিকে ধাবিত হতে পারে। তাহলে আসুন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি গর্ভ‌বতী বানরকে বেছে নিয়ে দেখি যে সে তার জীবদ্দশায় কখনো কি মানুষ বা মানুষের কাছাকাছি বান্দর প্রসব করে কিনা? না সে তো হুবহু আরেকটা বান্দর প্রসব করল। তাহলে আমরা ১০০ পুরুষ বানরের উপর পরীক্ষা চালাতে পারি। না, সবই বান্দর। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, বান্দর শুধু বান্দরই প্রসব করে, মানুষ নয়।



৩) যদি বান্দর বিবর্তনের ধারায় মানুষে পরিবর্তন হত, তবে মধ্যবর্তী মনুষ্য-বান্দরগুলো কই? মানুষ কথা কইতে পারে। কিন্তু মানুষের আগের স্টেজের কোন বান্দর কথা কয়, এটাও গবেষণার বিষয়। কিন্তু না কোন বান্দরই কথা কইতে পারে না। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, বান্দর থেকে মানুষ হওয়ার কোন মধ্যবর্তী স্টেজ নাই। নাস্তিকগুলো সরাসরি বান্দরের মুত্রথলি থেকে পয়দা হয়েছে।



৪) যদি বান্দর বিবর্তন হয়েই মানুষ হয়, তবে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী সব বান্দরই মানুষে বিবর্তন হতে বাধ্য। কিন্তু তাহলে এখনো বান্দর কেন দেখা যায়! আর বান্দর বিবর্তন হয়ে শুধু বান্দরই রয়ে যায়, হনুমানও হতে পারে না। তাই অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কোন মানুষই বান্দর থেকে বিবর্তিত হয় নি, শুধুমাত্র নাস্তিকেরাই তাদের দাবী অনুযায়ী বান্দরের উত্তরসূরী।



তাই মনুষ্য অঞ্চল হইতে সকল বান্দরকে চিড়িয়াখানায় বা জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। ওদের জন্য দরকার লৌহ শিকল।



http://shobujbanglablog.net/52584.html

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: মানুষ বাদর ভাই ভাই, এই বিষয় কোন কথা নাই।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: ঠিকই কইছেন... নাস্তিক-বান্দর নানাত ভাই

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: শুধুমাত্র নাস্তিকেরাই তাদের দাবী অনুযায়ী বান্দরের উত্তরসূরী =p~ =p~ =p~ =p~

+++++++++

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: জি অবশ্যই

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২১

আদরসারািদন বলেছেন: নাস্তিকগুলা সরাসরি বান্দরের মুত্রথলি থেইকা পয়দা হইছে =p~

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: দিল সে..

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আদরসারািদন বলেছেন: https://www.facebook.com/Sadia0000

এই বানরের বাচ্চাটারে মেইল করবো এখন

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: হেও কি ঐ দলে নাকি?

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

আহলান বলেছেন: হ্যারা খুব চালাক , বলে মানুষের রুপই হলো সর্বোচ্চ আধুনিক বিবর্তনিক রুপ ( কারণ মানুষকে অন্য কোন প্রানীতে পরিণত হতে এখনো তারা দেখেনি) ....... ;) ;)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৮

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: হুমম.. নাস্তিক অতি আধুনিক পদের প্রাণী

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

বিডি আমিনুর বলেছেন: তাই মনুষ্য অঞ্চল হইতে সকল বান্দরকে চিড়িয়াখানায় বা জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। ওদের জন্য দরকার লৌহ শিকল।
সহমত।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: <<>>

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪১

নষ্ট ছেলে বলেছেন: নাস্তিকদের বান্দরের মত লাফানি দেইখা কি আপনের বিশ্বাস হয় না যে বান্দরই তাদের পূর্বপুরুষ B-))

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: যদিও আমি নাস্তিক নই। তবে বিবর্তনবাদের থিউরিকে একটি সাইন্টেফিক ফ্যাক্ত হিসেবে জানি। তাই উত্তরগুলো দিচ্ছি।

প্রথমে বলে রাখি, মানুষ বানর থেকে আসেনি। বানর ও মানুষ আর সকল এপ প্রজাতির প্রাণী এক কমন পূর্বপুরুষ থেকে ক্রমশবিবর্তিত হয়ে এই অবস্থায় এসেছে। সেই পূর্বপুরুষ না দেখতে ছিল বর্তমান বানরের মত, না বর্তমান মানুষের মত।

একটা বানর নিশ্চয় হাজার বছর বাঁচে না। একটা বানর যদি ৫০ বছরও বাঁচে, তাহলে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি বানরকে বেছে নিয়ে দেখি যে সে তার জীবদ্দশায় কখনো কি মানুষ হয় কিনা? না মানুষ হল না। আমরা ১০০টা বানরের উপর পরীক্ষা চালাতে পারি। না, তারাও হল না। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কোন বান্দর তার জীবদ্দশায় মানুষে রূপান্তরিত হয় নি।[/sb

লক্ষ লক্ষ ধরে ক্রমশ বিবর্তনের মাধ্যমে কমন পূর্বপুরুষ (বানর না) থেকে হোমো সাপিয়েন্ট বা মানুষ এসেছে। রাতারাতি বিবর্তিত হয়না।

২) আচ্ছা হতে পারে, যুগের পর যুগ বিবর্তনের দ্বারা বানর হতে মানুষ এসেছে। একটা বানর মানুষ না হলেও বানরের পোলা-মাইয়া মানুষের দিকে ধাবিত হতে পারে। তাহলে আসুন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি গর্ভ‌বতী বানরকে বেছে নিয়ে দেখি যে সে তার জীবদ্দশায় কখনো কি মানুষ বা মানুষের কাছাকাছি বান্দর প্রসব করে কিনা? না সে তো হুবহু আরেকটা বান্দর প্রসব করল। তাহলে আমরা ১০০ পুরুষ বানরের উপর পরীক্ষা চালাতে পারি। না, সবই বান্দর। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, বান্দর শুধু বান্দরই প্রসব করে, মানুষ নয়।

লক্ষ লক্ষ ধরে ক্রমশ বিবর্তনের মাধ্যমে কমন পূর্বপুরুষ (বানর না) থেকে হোমো সাপিয়েন্ট বা মানুষ এসেছে। রাতারাতি বিবর্তিত হয়না।

৩) যদি বান্দর বিবর্তনের ধারায় মানুষে পরিবর্তন হত, তবে মধ্যবর্তী মনুষ্য-বান্দরগুলো কই? মানুষ কথা কইতে পারে। কিন্তু মানুষের আগের স্টেজের কোন বান্দর কথা কয়, এটাও গবেষণার বিষয়। কিন্তু না কোন বান্দরই কথা কইতে পারে না। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, বান্দর থেকে মানুষ হওয়ার কোন মধ্যবর্তী স্টেজ নাই। নাস্তিকগুলো সরাসরি বান্দরের মুত্রথলি থেকে পয়দা হয়েছে।
হোমো এইরেক্টাস আমার নিকটবর্তী পূর্বপুরুষ ক্রমশ বিবর্তনের মাধ্যমে ভোকাল কর্ড বিভিন্ন রকম শব্দ করার ক্ষমতা অর্জন করে। তাছাড়া নিয়ান্ডাটল যা সরাসরি হমিনিড (আদি মানুষ প্রজাতিসমুহ)ও ছিল না।

৪) যদি বান্দর বিবর্তন হয়েই মানুষ হয়, তবে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী সব বান্দরই মানুষে বিবর্তন হতে বাধ্য। কিন্তু তাহলে এখনো বান্দর কেন দেখা যায়! আর বান্দর বিবর্তন হয়ে শুধু বান্দরই রয়ে যায়, হনুমানও হতে পারে না। তাই অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কোন মানুষই বান্দর থেকে বিবর্তিত হয় নি। /sb]।

লক্ষ লক্ষ ধরে ক্রমশ বিবর্তনের মাধ্যমে কমন পূর্বপুরুষ (বানর না) থেকে হোমো সাপিয়েন্ট বা মানুষ এসেছে। রাতারাতি বিবর্তিত হয়না। কমন পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়ে সকল প্রজাতির এপ (শিম্পাঞ্জী , হনুমান, মানুষ, বানর আরও প্রায় ২০০টিরও বেশি প্রজাতির এপ) । সবাই সবার থেকে আলাদা। তারা আমাদের খুব দূরের কাজিন বলতে পারেন। আপনার কাজিন থেকে যেমন হুবুহু আপনার মত দেখতে কেউ আসা সম্ভব না ঠিক তেমনি আপনি কোন এপ থেকে বর্তমান এপ থেকে হুবুহ বর্তমান মানুষও একইভাবে অলীক।

চাইলে আমার বিবর্তনের কনফিউশন নিয়ে লেখা সিরিজটি পড়তেও আপনার আরও দ্বিধা থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। লিংক দিলাম
বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ) পর্ব ১

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.