![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য সুন্দর, সত্য পথে চলি, সত্য কথা বলি।
আমাদের সুনছীব যে, আমরা আহলে হাদিছদের মত মূর্খ হই নি। যদি আহলে হাদিছদের মত মূর্খ হতাম, তাহলে আজ হয়ত শবে কদর নিয়ে নিচের কথাগুলো বলতাম:
• শবে কদরের রাতে নফল নামায পড়া বিদয়াত। এ রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে; কিন্তু নফল নামাযের কথা কুরয়ান শরীফে বলা নাই।
• এ রাতে 8 রাকাত তারাবীহ পড়ে ঘুমিয়ে গিয়ে সকালে ফযর পড়িবেন। রাত জাগবেন না। ফযর মিস হতে পারে।
• বুখারী শরীফে আছে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রমাদান ও অন্য মাসে 11 রাকায়াতের বেশি পড়তেন না। তাই এ রাতে নফল নামায , ইবাদত করা বিদয়াত।
• সারা বছর নামায নাই, এক দিন নামায পড়ে কি হবে?
• যে কোন দিনই আল্লাহকে ডাকা যায়। একদিন বিশেষভাবে ডাকা বিদয়াত।
মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ দয়া যে, আমরা আহলে হাদিছ, সালাফী, ওহাবী , জামাতীদের মত গোমরাহীর পথ বেছে নেই নি এবং মানুষকে ইবাদত থেকেও ফিরিয়ে রাখি না। আলহামদুলিল্লাহ।
মহান আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২০
টম. বলেছেন: হা হা হা । আপনার পোষ্ট পড়ে হাসি পেয়েছি ।
আমি আহলে হাদীসের শীর্ষ পযায়ের আলেমদের কাছ থেকে ৫ দিন শবে কদরের ইবাদত করার জন্য বলতে শুনেছি ।
তবে বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে আহলে হাদীদের মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখেছি । তাদের ভিতরও মতভেদ আছে ।
যেমনঃ হানাফী মাযহাবের ভিতর মতভেদ রয়েছে । কিছু লোক পীরদের মানে আর কিছু লোক পীর মানাকে শিরক বলে ।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আহলে হাদিছেরা শবে কদরকে মানতেই পারে না। যদি মেনেই থাকে, তবে তারা স্ববিরোধী। তাদেরকে উপরের কথাগুলো শুনিয়ে তার ব্যাখ্যা শুনে আবার একটি কমেন্ট করবেন। অপেক্ষায়য় থাকলাম
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
বাঁধলেই বাঁধন বলেছেন: আমি যতদূর জানি .... তারা মানে । তবে শুধু ২৭শে রমজান নয়, ২০শে রমজান হতে ২৯শে রমজান পর্যন্ত বেজোড় রাত্রি গুলোতে ইবাদত করে বেশী । অর্থাত, ২১,২৩,২৫,২৭,২৯শে রমজান ।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
টম. বলেছেন: আহলে হাদিছেরা শবে কদরকে মানতেই পারে না।
ভাইয়া আপনার জানার ভিতর ভুল আছে । আপনার কথা শুনে গুগলে সার্চ দিয়ে পেয়ে গেলাম আমার আগের মন্তব্যের প্রমাণ । তাদের ওয়েবসাইটের শবে কদর সম্পর্কে কি বলা হয়েছে দেখুন রামাযানের শেষ দশক, লাইলাতুল কদর ও ইতিকাফ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২১
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আপনার লিংকটি পড়লাম। ভেরি পোর ইনফরমেশন।
সূরা কদর থেকেই তো কদর রাতের বিশেষত্ব সম্পরকে জানা যায়। কিন্তু আমি জানতে চাই, এ রাতে নফল নামায ও আমল করা সম্পরকে তারা কি বলে?
তাদের জবাব জানা খুব দরকার। তারা যে ভন্ড- এটা প্রমাণ করতে হবে
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
মাহমুদ। বলেছেন: @ভুলে ভরা জিবন- আপনি ভুল,উপ্রে একজন লিঙ্ক দিয়েছে পড়ুন। এই ধরণের পোষ্ট দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অহেতুক ডিভাইডেসন তৈরি করবেন না এমনিতেই হাজার রকম মতভেদ তৈরি হয়েছে তার উপর যদি এইসব পোস্ট দেন তাহলে আর বলার কিছু থাকবে না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: যারা মুসলিম উম্মাহের ইজমার মাঝে ডিভাইডেশন এনেছে, তাদেরকে মুসলিম উম্মাহ থেকে সেপারেট করে দিতে চাই
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
বেলাল আহমেদ রাসেল বলেছেন: ভাই না জেনে কথা বলেন কেন?
আপনি কি লেজ ওয়ালা কাদিয়ানী নাকি?
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
খইকাঁটা বলেছেন: আহালে হাদীসপন্থীরা হাদীসের বাহিরে কিছুর কথা চিন্তাও করে না। তার হাদীসকে সব কিছুর দলিল হিসাবে মনে করে। এটার প্রেক্ষিতে লেখক হয়ত একথা বলেছেন। আর যারা তর্ক জুড়ে দিয়েছেন তারা কেউই আহালে হাদীস সমর্থকদের সাথে কথা না বলেই মন্তব্য লিখছেন। যেহেতু তারা হাদিসের বাইরে চিন্তাও করে না তাই শব ই কাদর তাদের জন্য নিশ্চিত পালনীয় নয়, একারনেই লেখক বলেছেন যদি তারা শব ই কাদর মানে তাহলে সেটা স্ববিরোধী। এব্যাপারে আহালে হাদীসপন্থী কেউ ব্যতীত মন্তব্য না করাই ভাল, যেহেতু বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ভালভাবে অবগত নই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: জি আপনি ধরতে পেরেছেন।
যারা আহলে হাদিছ ফিরকার দাবীদার, তারাই শুধুমাত্র মন্তব্য করবেন।
যারা আহলে হাদিছ দাবী করে, তারা মূলত আহলে হাদিছ নয়;তারা আহলে বুখারী । আহলে হাদিছ হলে তারা সকল সহীহ হাদিছ শরীফ মানত।
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
মাহমুদ। বলেছেন: @বেলাল আহমেদ রাসেল - ভাই মুসলিম হিসাবে অন্য কাউ কে এভাবে আমাদের ট্যাগিং করা উচিৎ নয়। আমি মনে করি শিয়া, সুন্নি, হানাফি, ওহাবী, মাযহাবী , আহলে হাদিস এই টার্ম গুলোই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কুরআন এবং সহি হাদিসের ভিত্তিতে শুধু মুসলমান হিসেবে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে
১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
টম. বলেছেন: @খইকাঁটাঃ
আহালে হাদীসপন্থীরা হাদীসের বাহিরে কিছুর কথা চিন্তাও করে না। তার হাদীসকে সব কিছুর দলিল হিসাবে মনে করে।.. যেহেতু তারা হাদিসের বাইরে চিন্তাও করে না তাই শব ই কাদর তাদের জন্য নিশ্চিত পালনীয় নয়, একারনেই লেখক বলেছেন যদি তারা শব ই কাদর মানে তাহলে সেটা স্ববিরোধী।
ভাইয়া, আপনি কি মনে করেন শবে কদর হাদীস দ্বারা সমর্থিত নই ?
আমি উপরে একটা লিংক দিয়েছিলাম । সেখান থেকে কপি পেষ্ট করছি ।
রামাযানের শেষ দশক এবং হাজার মাসের চেয়েও সেরা একটি রাত
১) রামাযানের শেষ দশকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী-পরিবার সহ সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন:
إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
“রামাযানের শেষ দশক প্রবেশ করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে নিতেন, নিজে সারা রাত জাগতেন এবং পরিবারকেও জাগাতেন।” কোমর বাঁধার অর্থ হল: পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা-সাধনায় লিপ্ত হওয়া। কোন কোন আলেম এর ব্যাখ্যায় বলেন: স্ত্রী সহবাস থেকে দূরে থাকা।
২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানে শেষ দশকে যত বেশি পরিশ্রম করতেন অন্য কখনো করতেন না:
আয়েশা (রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন:
))كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَجْتَهِدُ فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِى غَيْرِهِ((
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানের শেষ দশকে (ইবাদত-বন্দেগীতে) যে পরিমাণ পরিশ্রম করতেন অন্য কখনো করতেন না।”
শবে কদর
১) শবে কদরে কুরআন অবর্তীণ হয়েছে: আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
“আমি একে (কুরআন) অবর্তীণ করেছি শবে কদরে।” (সূরা কাদর: ১)
২) শবে কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম:
আল্লাহ বলেন:
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
"শবে কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সূরা কাদর: ৩)
৩) আল্লাহ তায়ালা শবে কদরকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করেছেন:
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ
“নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন)কে অবর্তীণ করেছি একটি বরকতময় রাতে।” (সূরা দুখান: ৩) (আর এ রাত হল শবে কদর।)
৪) শবে কদরে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করলে পূর্বের সকল ছোট গুনাহ মোচন হয়ে যায়:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
"যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সোয়াবের আশায় শবে কদরে রাত জাগরণ করে নফল নামায ও ইবাদত বন্দেগী করবে তার পূর্বের সকল (ছোট) গুনাহ মোচন করে দেয়া হবে।”
শবে কদর কখন হবে?
শবে কদর হবে রামাযানের শেষ দশকের বেজড় রাতে:
ক) আয়েশা (রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
« تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ »
“তোমরা রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান কর।”
খ) আবু হুরায়রা (রা হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
« أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِى بَعْضُ أَهْلِى فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِى الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ
Ò¯^‡cœ আমাকে লাইলাতুল ক্বদ্র দেখানো হল। কিন্তু আমার এক স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ায় আমি তা ভুলে গিয়েছি। অতএব, তোমরা তা রামাযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর।” কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, দু ব্যক্তির বিবাদের কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা ভুলে গেছেন।
গ) শবে কদর কি শুধু রামাযানের সাতাইশ রাতের জন্য নির্দিষ্ট?
আমাদের দেশে সাধারণত: মানুষ শুধু রামাযানের সাতাইশ তারিখে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করে এবং ধারণা করে এ রাতেই শবে কদর অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ ধারণা, সুন্নতের সাথে সঙ্গতীপূর্ণ নয়। কারণ, আয়েশা (রা হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
« تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
“তোমরা রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান কর।”
আবু হুরায়রা (রা হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
« أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِى بَعْضُ أَهْلِى فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِى الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ »
Ò¯^‡cœ আমাকে লাইলাতুল ক্বদ্র দেখানো হল। কিন্তু আমার এক স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ায় আমি তা ভুলে গিয়েছি। অতএব, তোমরা তা রামাযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর।”
ঘ) তবে শেষ সাত দিনের বেজড় রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি:
যেমন, নিম্নোক্ত হাদীসটি:
ابْنِ عُمَرَ - رضى الله عنهما - أَنَّ رِجَالاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِىِّ - صلى الله عليه وسلم - أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْمَنَامِ فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - « أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ »
ইবনে উমর (রা হতে বর্ণিত যে, কয়েকজন সাহাবী রামাযানের শেষ সাত রাত্রিতে ¯^cœ মারফত শবে কদর হতে দেখেছেন। সাহাবীদের এ ¯^‡cœi কথা জানতে পেরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: "আমি দেখছি তোমাদের ¯^cœ¸‡jv মিলে যাচ্ছে শেষ সাত রাত্রিতে। অত:এব কেউ চাইলে শেষ সাত রাত্রিতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে পারে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) এ মর্মে আরও হাদীস রয়েছে।
কোন কোন সালাফে-সালেহীন সাতাইশ রাত শবে কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেছেন। সাহাবীগণের মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা, মুআবিয়া, উবাই ইবনে কা’ব (রা
এর মতামত থেকে এটাই বুঝা যায়।
কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এভাবে নির্দিষ্টকরে লাইলাতুল কদর হওয়ার কোন হাদীস নাই। তাই উপরোক্ত সাহবীদের কথার উপর ভিত্তি করে বড় জোর সাতাইশে রাতে শবে কদর হওয়াকে অধিক সম্ভাবনাময় বলা যেতে পারে। নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সঠিক কথা হল, শবে কদর কখনো ২১, কখনো ২৩, কখনো ২৫, কখনো ২৭ আবার কখনো ২৯ রাতে হতে পারে।
সুতরাং শুধু সাতাইশ তারিখ নয় বরং কোন ব্যক্তি যদি রামাযানের শেষ দশকের উপরোক্ত পাঁচটি রাত জাগ্রত হয়ে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে নিশ্চিতভাবে শবে কদর পাবে। কিন্তু শুধু সাতাইশ রাত জাগলে শবে কদর পাবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
ঙ) শবে কদরের বিশেষ দুয়া:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বল:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
“হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।” (তিরমিযী, অনুচ্ছেদ, কোন দুয়াটি শ্রেষ্ঠ। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান, সহীহ)।
১)সহীহ বুখরী, অধ্যায়: শবে কদরের ফযীলত। সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ইতিকাফ।
২)সহীহ মুসলিম: রামাযানের শেষ দশকে (ইবাদত-বন্দেগীতে) বেশি বেশি পরিশ্রম করা।
৩) সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সোয়াবের আশায় রোযা রাখে।
৪) সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করা।
৫)সহীহ বুখারী, অধ্যায়: লাইলাতুল কাদরের ফযীলত।
৬) সহীহ বুখারী, অধ্যায়: লাইলাতুল কাদরের ফযীলত। সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: রোযা।
৭) সহীহ বুখারী, অধ্যায়: লাইলাতুল কাদরের ফযীলত।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১১
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আমি আহলে হাদিছ হলে সন্দেহ করতাম, হাদিছগুলো যয়ীফ কিনা!
প্রশ্ন: বিতরসহ ১১ রাকাতের বেশি নামায পড়া কি বিদয়াত নয় (আহলে হাদিছদের দৃষ্টিতে)? তাহলে সারা রাতে কয় রাকায়াত নামায পড়বেন?
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
টম. বলেছেন: কপি পেষ্ট করার ফলে ইমো চলে আসায় দুঃখিত ।
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
মাহমুদ। বলেছেন: খইকাঁটা বলেছেন: আহালে হাদীসপন্থীরা হাদীসের বাহিরে কিছুর কথা চিন্তাও করে না।
ভাই আপনার সাথে তর্কে যাব না কারন আমার জ্ঞান স্বল্প। আমার প্রশ্ন - কুরআন- হাদিসের বাইরে ইসলামিক কোন কিছু পালনের চিন্তা করার অবকাশ কি রয়েছে? যদি, জানা থাকে প্লিজ জানাবেন
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আমাকে বলুন, বুখারী শরীফএর বাইরে অন্য কোন সহীহ হাদিছ শরীফ এর আমল করা কি জায়িজ কিনা?
১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
টম. বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আহলে হাদিছ হলে সন্দেহ করতাম, হাদিছগুলো যয়ীফ কিনা!
প্রশ্ন: বিতরসহ ১১ রাকাতের বেশি নামায পড়া কি বিদয়াত নয় (আহলে হাদিছদের দৃষ্টিতে)? তাহলে সারা রাতে কয় রাকায়াত নামায পড়বেন?
মাহমুদ ভাইকে আপনি একটা প্রশ্ন করছেন : বুখারী শরীফএর বাইরে অন্য কোন সহীহ হাদিছ শরীফ এর আমল করা কি জায়িজ কিনা? । এবং খইকাঁটা ভাইকে মন্তব্য বলেছেনঃ যারা আহলে হাদিছ দাবী করে, তারা মূলত আহলে হাদিছ নয়;তারা আহলে বুখারী । আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনার জানায় প্রচুর ভুল আছে । তাদের বই এবং আলেমদের সাথে কথা বলে, ওয়াজ শুনে বুঝেছি তারা সহি ৬টি হাদীস মানে । আপনি আহলে হাদীস সম্পর্কে জানেন না তাই এ ধরনের মন্তব্যগুলো করেছেন । তার বাইরের গুলো তারা মানে না ।
আমি কুরআন-হাদীস সম্পর্কে অভিজ্ঞ নই । তাই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর বা ব্যাখা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আপনার উচিত হবে আহলে হাদীস সম্পর্কে জানতে হলে তাদের বই পড়া, লেকচার শোনা । তারপর তাদের সম্পর্কে সমালোচনা করা । কারো সম্পর্কে না জেনে সমালোচনা বা তর্ক করা বোকার লক্ষন ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: আমি তাসৈর সম্পরকে এটাই জানি যে, তারা বুখারী শরীফ মানে। এর বাইরে সরবোচ্চ আরো ৫টি হাদিছ শরীফের কিতাব মানে, তাও যদি বুখারী শরীফের বিপরীত হয়, তবে বাকি গুলোকে তারা গোনে না।
এবার আমি আপনাকে বলব, কোন ৬টি কিতাবকে তারা সিহাহ সিত্তাহ বলে? কেন বলে? প্রথম কে সিহাহ সিত্তাহ হিসেবে হাদিছ শরীফের শ্রেণীবিভাগ করেন? সিহাহ সিত্তাহর বাহিরে আর কোন সহীহ হাদিছ শরীফের কিতাব আছে কিনা?
আপনি কি জানেন, সব চাইতে বিশুদ্ধ হল সহীহাইন। তাহলে সিহাহ সিত্তাহ মানে কেন?
একটিকে শ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে, কিন্তু এর মানে এইনয় যে, বাকীসব ভেজাল।
আপনি উত্তর খুজে নিয়ে আসবেন। আহলে হাদিছ ফিরকার কাছে প্রশ্ন থাকল।
১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
খইকাঁটা বলেছেন: এই আলোচনাটা বন্ধ করেন। তারচাইতে আসেন আগে আমরা শুধরাই। নিজের মধ্যে পুরোপুরি ইসলামিয়াত এনে, অন্য মুসলিম ভাইদের নিকট দাওয়াত পৌছে দেই। আমার মনে হয় এতে করে কিছুটা হলেও ইসলাম উপকৃত হবে। যাযাকাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
আহলান বলেছেন: সকলে বলি আলহামদুলিল্লাহ ..