![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক যে, যে বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ে বেদ হলো সমাজের মূল ভিত্তি, সেখানে আমরা ভুলেই গেছি বেদের মূল শিক্ষাগুলো এবং নিজেদেরকে নানা ভুল-ভ্রান্তিসমূহের ধারণায় জড়িয়ে ফেলেছি যেমন, জন্মগত caste system-সহ নানারকম বৈষম্য। এরকম বিপথগামী চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা আমাদের সমাজকে ভীষণ ক্ষতিসাধন করেছে এবং বৈষম্যের সূত্রপাত ঘটিয়ে দিয়েছে। Dalit নামক জাতিচ্যুত ব্যক্তিদের আমরা দূরে ঠেলে দিয়েছি এবং এর ফলে আমাদের উন্নতি ও প্রগতির বিকাশ স্থবির হচ্ছে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে হিন্দু সমাজের মূলে গিয়ে বেদকে জানা - যার ফলে আমরা আমাদের মধ্যে ভাঙা সম্পর্কগুলো পুনরায় স্থাপণ করতে পারব।
এই লেখায় আমরা চেষ্টা করব বেদ অনুযায়ী আমাদের caste system সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটন করার এবং শূদ্রের আসল অর্থ খোঁজার।
১।
প্রথমত, কোনো প্রকার হিংসা বা বৈষম্যের স্থাণ নেই বেদে যেকোনো ব্যক্তি সম্পর্কে - সে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, বা শূদ্র কিনা।
২।
Caste system প্রায় নতুন। বেদে কোনো শব্দ নেই যার অর্থ বর্ণ/জাতি হতে পারে। আসলে, caste, জাতি আর বর্ণ এগুলো এক একটি এক এক অর্থ বহন করে।
Caste হলো একটি ইউরোপীয় নবধারা যার সাথে বৈদিক সংস্কৃতির কোনো সামঞ্জস্যতা নেই।
জাতি
'জাতি'র অর্থ হচ্ছে এক শ্রেণীভুক্তকরণ যার উৎস হচ্ছে জন্মে। ন্যায় সূত্র বলেছে "সমানপ্রসাভাত্মিকা জাতিহ্" অথবা তারা যাদের একইপ্রকার জন্মসূত্র যা এদেরকে একটি জাতিতে সমষ্টিবদ্ধ করে।
একটি প্রাথমিক আরো বড় শ্রেণীভুক্তকরণ ঋষিদের দ্বারা করা হয়েছে চারভাবে: উদ্ভিজ (অর্থাৎ গাছপালা), আন্ডাজ (অর্থাৎ ডিম থেকে যার উৎপত্তি যেমন পাখি এবং সরীসৃপ), পিন্ডজ (স্তন্যপায়ী), উষ্মজ (তাপমাত্রা বা পরিবেষ্টনকারী আবহাওয়ার জন্য যার জন্ম যেমন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি)।
তেমনিভাবে নানাপ্রকার পশুসমূহ যেমন হাতি, সিংহ, খরগোশ ইত্যাদি তৈরি করে এক ভিন্ন 'জাতি'। একইভাবে সমস্ত মানবকুল তৈরি করে একটি 'জাতি'।
একটি নির্দিষ্ট জাতির থাকবে একই ধরনের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য যারা সেই জাতি থেকে আরেক জাতিতে পরিবর্তিত হতে পারবে না এবং ভিন্ন জাতির বাচ্চা প্রসব করতে পারবে না। অর্থাৎ, জাতি হচ্ছে ঈশ্বরের সৃষ্টি।
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্রেরা কোনোভাবেই ভিন্ন জাতি নয় কারণ তাদের মধ্যে জন্ম সূত্রগত বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগত কোনো পার্থক্য নেই যা তাদেরকে ভিন্ন করবে।
পরবর্তীতে 'জাতি' শব্দটি ব্যবহৃত হতে শুরু করে যেকোনো প্রকার শ্রেণীভেদকরণের জন্য। তাই সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ভিন্ন ভিন্ন সমাজকেও ভিন্ন ভিন্ন 'জাতি' হিসেবে আখ্যা দেই। কিন্তু এ শুধু ব্যবহারের সুবিধার জন্য। আসলে আমরা মানবকুল এক জাতিরই অংশ।
বর্ণ
প্রকৃত যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র বোঝাতে তা হলো 'বর্ণ' ('জাতি' নয়)।
'বর্ণ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এই চারকে বোঝাতেই নয়, বরং দস্যু ও আর্যদেরকেও।
'বর্ণ' অর্থ হচ্ছে তাহাই যাহা গ্রহণ করা হয় পছন্দের দ্বারা। তাই, যেখানে 'জাতি' ঈশ্বর দ্বারা প্রদত্ত, 'বর্ণ' হচ্ছে আমাদের নিজস্ব পছন্দগত।
যারা আর্য হতে পছন্দ করে তাদের বলা হয় 'আর্য বর্ণ'। তেমনি যারা দস্যু হতে পছন্দ করে, তারা হয় 'দস্যু বর্ণ'। একইভাবে হয় ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
এই কারণেই বৈদিক ধর্মকে বলা হয় 'বর্ণাশ্রম ধর্ম'। বর্ণ শব্দটি ইঙ্গিত করে যে এটির ভিত্তি হচ্ছে নিজ পছন্দকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া ও যোগ্যতা অনুসারে পরিচালিত ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেয়া।
৩।
যারা বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত, তারা পছন্দ করেন 'ব্রাহ্মণ বর্ণ'। যারা প্রতিরক্ষা, যুদ্ধ-বিগ্রহ পছন্দ করেন, তারা হন 'ক্ষত্রিয় বর্ণ'। যারা অর্থনীতি ও পশুপালনাদি পছন্দ করেন তারা হন 'বৈশ্য বর্ণ' এবং যারা নিয়োজিত আছেন অন্যান্য সেবামূলক কাজ-কর্মে, তারা হন 'শূদ্র বর্ণ'। এসব শুধু বোঝায় নানা ধরনের পছন্দ যেসব মানুষজন তাদের কর্মের জন্য নির্বাচন করেন এবং এর সাথে 'জাতি' বা জন্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
৪।
পুরুষ সুক্তের অন্যান্য মন্ত্রসমূহ উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, ব্রাহ্মণ এসেছে ঈশ্বরের মুখ থেকে, ক্ষত্রিয় হাত থেকে, বৈশ্য উরু থেকে এবং শূদ্র পা থেকে। সেইভাবে এইসব বর্ণসমূহ জন্মগত। কিন্তু কোনোকিছুই এর চেয়ে বেশী ভ্রান্তিজনক হতে পারে না। আসুন দেখি কেন:
(অ)
বেদ ঈশ্বরকে বর্ণনা করে আকারহীন ও অপরিবর্তনশীল হিসেবে। এমন ঈশ্বর কিভাবে বিশাল আকৃতির মানুষের রূপ ধারণ করতে পারে যদি তিনি আকারহীনই হন? (যজুর্বেদ ৪০.৮)
(আ)
যদি ইহা সত্যিই হয়, তাহলে তাহা বেদের কর্মতত্ত্বের বিরোধীতা করবে। কারণ কর্মতত্ত্ব অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির জন্মগত পরিবার পরিবর্তিত হতে পারে তার কর্ম অনুসারে। সুতরাং একজন ব্যক্তি যে শূদ্র পরিবারে জন্ম নেয়, পরের জন্মে এক রাজার পরিবারে জন্ম নিতে পারে। কিন্তু যদি শূদ্রেরা ঈশ্বরের পা থেকে এসে থাকে, তাহলে সেই একই শূদ্র ঈশ্বরের হাত থেকে কিভাবে জন্ম নেয়?
(ই)
আত্মা হলো সময়হীন এবং কখনো জন্ম নেয় না। সুতরাং আত্মার কখনোই কোনো বর্ণ হতে পারে না। এ শুধুমাত্র যখন আত্মা জন্ম নেয় মনুষ্য হিসেবে তখনই এর সুযোগ থাকে বর্ণ বেছে নেবার। তাহলে বর্ণ দ্বারা কি বোঝানো হয় যা ঈশ্বরের একাংশ হতে আসে? যদি আত্মা ঈশ্বরের দেহ থেকে জন্ম না নিয়ে থাকে, তাহলে কি এই বোঝায় যে আত্মার দেহ তৈরি হয়েছে ঈশ্বরের দেহের অংশ থেকে? কিন্তু বেদ অনুযায়ী, এমনকি প্রকৃতিও চিরন্তন। এবং এই একই অনু-পরমানু পুনর্ব্যবহৃত হচ্ছে নানা মনুষ্যের মধ্যে। তাই কৌশলগতভাবে ঈশ্বরের দেহ থেকে জন্ম নেয়া কারো পক্ষে অসম্ভব, এমনকি আমরা যদি ধরেও নেই ঈশ্বরের দেহ আছে।
(ঈ)
উপরে উল্লেখ করা পুরুষ সুক্ত রয়েছে যজুর্বেদের ৩১তম অধ্যায়ে (এবং ঋগবেদ ও অথর্ববেদ বাদে যেগুলোতে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। যজুর্বেদে এ হচ্ছে ৩১.১১)। প্রকৃতভাবে এর অর্থ কি তা বোঝার জন্য, আসুন দেখি এর আগের মন্ত্রের দিকে লক্ষ্য করি ৩১.১০।
এতে প্রশ্ন করা হয়েছে - কে মুখ? কে হাত? কে উরু আর কেই বা পা?
এর পরের মন্ত্র এর উত্তর দিয়েছে - ব্রাহ্মণ হলো মুখ, ক্ষত্রিয় হলো হাত, বৈশ্য হলো উরু এবং শূদ্র হলো পা।
লক্ষ্য করুন, মন্ত্রটি কিন্তু বলছে না ব্রাহ্মণ "জন্ম নেয়" মুখ থেকে...এটি বলছে ব্রাহ্মণ "হলো" মুখ।
কারণ যদি মন্ত্রটির অর্থ হতো "জন্ম নেওয়া" তাহলে এটি উত্তর দিত না আগের মন্ত্রের প্রশ্নটির "কে মুখ?"
যেমন, যদি আমি প্রশ্ন করি "দশরথ কে?" উত্তরটি যদি হয় "রাম জন্ম নেন দশরথের ঘরে" তাহলে তা হবে অর্থহীন।
প্রকৃত অর্থ হচ্ছে:
সমাজে ব্রাহ্মণ বা বুদ্ধিজীবিরা তৈরি করে মস্তিষ্ক বা মাথা বা মুখ যা চিন্তা করে এবং বলে। ক্ষত্রিয় বা রক্ষণকর্মীরা তৈরি করে হাত যা রক্ষা করে। বৈশ্য বা উৎপাদনকারীরা এবং ব্যবসায়ীরা তৈরি করে উরু যা ভার বহন করে এবং যত্ন করে (লক্ষ্য করুন উরুর হাড় অথবা উর্বাস্থি তৈরি করে রক্ত এবং এ হচ্ছে দেহের সবচেয়ে শক্ত হাড়)। অথর্ববেদে উরুর বদলে "মধ্য" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ বোঝায় পাকস্থলী এবং দেহের মধ্যের অংশ।
শূদ্র বা শ্রমিকেরা তৈরি করে পা যা কাঠামোটিকে দাঁড় করায় এবং দেহকে চলতে সক্ষম করে।
পরবর্তী মন্ত্রগুলো আলোচনা করেছে অন্যান্য দেহের অংশ সম্পর্কে যেমন - মন, চোখ ইত্যাদি। পুরুষ সুক্ত বর্ণনা করেছে সৃষ্টির সূত্রপাত এবং তার স্থায়ী থাকা সম্পর্কে যার মধ্যে অন্তর্গত মানব সমাজ এবং বর্ণনা করেছে অর্থপূর্ণ সমাজের উপাদানসমূহকে।
তাই এ ভীষণ করুণ অবস্থা যে এমন সুন্দর সমাজ সম্পর্কে রূপক বর্ণনা এবং সৃষ্টি সম্পর্কিত বর্ণনা বিকৃত হয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে বৈদিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।
এমনকি ব্রহ্ম গ্রন্থগুলো, মনুস্মৃতি, মহাভারত, রামায়ণ এবং ভগবদগীতা বলে নাই কোনোকিছুই যার কাছাকাছি উপপ্রমেয় হতে পারে এমন অদ্ভূত যে ঈশ্বর তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণদের তাঁর মুখ হতে মাংস ছিঁড়ে কিংবা ক্ষত্রিয়দের তাঁর হাতের মাংস থেকে বা অন্যান্যসমূহ।
৫।
তাই এটি স্বাভাবিক কেন ব্রাহ্মণরা বেদ অনুসারে সবচেয়ে বেশী সম্মান লাভ করেছে। এমনটিই হচ্ছে আজকের বর্তমান সমাজে। বুদ্ধিজীবিরা এবং অভিজ্ঞরা আমাদের সম্মান অর্জন করেন কারণ তারা তৈরি করেন দিক প্রদর্শনকারী সারা মানবতার জন্য। কিন্তু যেমনভাবে পূর্বে আলোচিত হয়েছে যে, বেদে শ্রমের মর্যাদা সমভাবে জোর দেওয়া হয়েছে এবং এই কারণেই কোনো প্রকার বৈষম্যের উপাদান নেই।
৬।
বৈদিক সংস্কৃতিতে সবাইকে ধরা হয় শূদ্র হিসেবে জন্ম। তারপর ব্যক্তির শিক্ষা-দীক্ষা দ্বারা সে পরিণত হয় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যতে। এই শিক্ষা-দীক্ষার পূর্ণতাকে ধরা হয় দ্বিতীয় জন্ম। একারণেই এই তিন বর্ণকে বলা হয় "দ্বিজ" বা দু'জন্মা। কিন্তু যারা রয়ে যায় অশিক্ষিত (যেকোনো কারণেই হোক) তারা সমাজ থেকে বিচ্যুত হয়। তারা চালিয়ে যায় শূদ্র হিসেবে এবং করে যায় সমাজের সেবামূলক কাজসমূহ।
৭।
এক ব্রাহ্মণের পুত্র, যদি সে তার শিক্ষা-দীক্ষা সম্পূর্ণ করতে অসমর্থ হয়, পরিণত হয় শূদ্রে। তেমনিভাবে শূদ্রের পুত্র অথবা এমনকি দস্যু, যদি সে তার শিক্ষা-দীক্ষা সম্পূর্ণ করে, তাহলে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় কিংবা বৈশ্য হতে পারে। এ হচ্ছে নির্ভেজাল যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যবস্থা। যেমনভাবে এখনকার সময়ে ডিগ্রী প্রদান করা হয়, যজ্ঞপবিত দেয়া হতো বৈদিক নিয়ম অনুসারে। তাছাড়া, আচরণবিধির সাথে অসম্মতি ঘটলে যজ্ঞপবিত নিয়ে নেয়া হতো বর্ণগুলোর।
৮।
বৈদিক ইতিহাসে অনেক উদাহরণ রয়েছে বর্ণ পরিবর্তনের -
(ক)
ঋষি ঐতরেয়া ছিলেন দাস বা অপরাধীর পুত্র কিন্তু তিনি পরিণত হন শীর্ষ ব্রাহ্মণদের মধ্যে একজন এবং লেখেন ঐতরেয়া ব্রহ্ম এবং ঐতরেয়াপোনিষদ। ঐতরেয়া ব্রহ্মকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় ঋগবেদ বোঝার জন্য।
(খ)
ঋষি ঐলুশ জন্মেছিলেন দাসীর ঘরে যিনি ছিলেন জুয়াখোর এবং নিচু চরিত্রের লোক। কিন্তু এই ঋষি ঋগবেদের উপর গবেষণা করেন এবং কিছু বিষয় আবিষ্কার করেন। তিনি শুধুমাত্র ঋষিদের দ্বারা আমন্ত্রিতই হতেন না এমনকি আচার্য্য হিসেবেও অধিষ্ঠিত হন। (ঐতরেয়া ব্রহ্ম ২.১৯)
(গ)
সত্যকাম জাবাল ছিলেন এক পতিতার পুত্র যিনি পরে একজন ব্রাহ্মণ হন।
(ঘ)
প্রীষধ ছিলেন রাজা দক্ষের পুত্র যিনি পরে শূদ্র হন। পরবর্তীতে তিনি তপস্যা দ্বারা মোক্ষলাভ করেন প্রায়ঃশ্চিত্তের পরে। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.১.১৪)
যদি তপস্যা শূদ্রদের জন্য নিষিদ্ধ হতো যেমনভাবে উত্তর রামায়ণের নকল গল্প বলে, তাহলে প্রীষধ কিভাবে তা করল?
(ঙ)
নবগ, রাজা নেদিস্থের পুত্র পরিণত হন বৈশ্যে। তার অনেক পুত্র হয়ে যান ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.১.১৩)
(চ)
ধৃষ্ট ছিলেন নবগের (বৈশ্য) পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং তার পুত্র হন ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.২.২)
(ছ)
তার পরবর্তী প্রজন্মে কেউ কেউ আবার ব্রাহ্মণ হন। (বিষ্ণু পুরাণ ৯.২.২৩)
(জ)
ভগবদ অনুসারে অগ্নিবেশ্য ব্রাহ্মণ হন যদিও তিনি জন্ম নেন এক রাজার ঘরে।
(ঝ)
রাথোটর জন্ম নেন ক্ষত্রিয় পরিবারে এবং পরে ব্রাহ্মণ হন বিষ্ণু পুরাণ ও ভগবদ অনুযায়ী।
(ঞ)
হরিৎ ব্রাহ্মণ হন ক্ষত্রিয়ের ঘরে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৩.৫)
(ট)
শৌনক ব্রাহ্মণ হন যদিও ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম হয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৮.১)
এমনকি বায়ু পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও হরিবংশ পুরাণ অনুযায়ী শৌনক ঋষির পুত্রেরা সকল বর্ণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
একই ধরনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় গ্রীতসমদ, বিতব্য ও বৃৎসমতির মধ্যে।
(ঠ)
মাতঙ্গ ছিলেন চন্ডালের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন।
(ড)
রাবণ জন্মেছিলেন ঋষি পুলৎস্যের ঘরে কিন্তু পরে রাক্ষস হন।
(ঢ)
প্রবৃদ্ধ ছিলেন রাজা রঘুর পুত্র কিন্তু পরে রাক্ষস হন।
(ণ)
ত্রিশঙ্কু ছিলেন একজন রাজা যিনি পরে চন্ডাল হন।
(ত)
বিশ্বামিত্রের পুত্রেরা শূদ্র হন। বিশ্বামিত্র নিজে ছিলেন ক্ষত্রিয় যিনি পরে ব্রাহ্মণ হন।
(থ)
বিদুর ছিলেন এক চাকরের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং হস্তিনাপুর রাজ্যের মন্ত্রী হন।
৯।
"শূদ্র" শব্দটি বেদে দেখা গেছে প্রায় ২০ বারের মতো। কোথাও এটি অবমাননাকরভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কোথাও বলা হয়নি শূদ্রেরা হলো অস্পর্শযোগ্য, জন্মগতভাবে এই অবস্থাণে, বেদ শিক্ষা হতে অনুনোমোদিত, অন্যান্য বর্ণের তুলনায় নিম্ন অবস্থাণের, যজ্ঞে অনুনোমোদিত।
১০।
বেদে বলা হয়েছে শূদ্র বলতে বোঝায় কঠিন পরিশ্রমী ব্যক্তি। (তপসে শূদ্রম্ - যজুর্বেদ ৩০.৫)
একারণেই পুরুষ সুক্ত এদের বলে পুরো মানব সমাজের কাঠামো।
১১।
যেহেতু বেদ অনুযায়ী চার বর্ণসমূহ বলতে বোঝায় চার প্রকারের কর্মকান্ড যা পছন্দের উপর ভিত্তি করে, একই ব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে চার বর্ণের বৈশিষ্ট্য চার ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে। এইভাবে সকলেই চার বর্ণের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সারল্যতার জন্য, আমরা বলি প্রধান পেশাকে বর্ণের পরিচয় হিসেবে। এবং এই কারণে সকল মানুষের উচিত পূর্ণভাবে চার বর্ণ হবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা, যেমনভাবে বেদের জ্ঞান আমাদের বলে। এই হলো পুরুষ সুক্তের সারাংশ।
ঋষি বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অঙ্গীরা, গৌতম, বামদেব ও কন্ব - এরা সকলেই চার বর্ণের বৈশিষ্ট্যের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তারা বৈদিক মন্ত্রের অর্থ উদ্ভাবন করেছেন, দস্যু দমন করেছেন, দৈহিক শ্রমের কর্ম করেছেন এবং নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন সমাজ কল্যাণের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায়।
আমাদেরও উচিত এমনটিই হওয়া।
অবশেষে আমরা দেখলাম বৈদিক সমাজ সকল মানুষকে একই জাতি বা গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে, শ্রমের মর্যাদা বহাল রাখে, এবং সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ প্রদান করে যাতে তারা নিজ নিজ বর্ণ গ্রহণ করতে পারে।
বেদে কোনো প্রকার জন্মগত বৈষম্যের উল্লেখ নেই।
আমরা যেন সকলে একযুক্ত হয়ে একটি পরিবারের ন্যায় একতাবদ্ধ হতে পারি, প্রত্যাখান করতে পারি জন্মগত সকল বৈষম্যকে এবং একে অপরকে ভাই-বোন হিসেবে সদ্ব্যবহার করতে পারি।
আমরা যেন সকল পথভ্রষ্টকারীদের ভুল পথে এগুনো ব্যাহত করতে পারি যারা বেদে বর্ণভেদ সম্পর্কে ভিত্তিহীন দাবী করে এবং দমন করি সকল দস্যু, অসুর, রাক্ষসদের।
আমরা যেন সকলে আসতে পারি বেদের আশ্রয়ে এবং একত্রে কাজ করে মানবতার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে পারি এক পরিবার হিসেবে।
সুতরাং বেদ অনুযায়ী কোনো বর্ণভেদ নেই।
--------------------------
ফেইসবুকের এক গ্রুপের মাধ্যমে এই লেখাটি ইংরেজীতে পাই যেটিকে বাংলায় অনুবাদ করি। পাঠকের কাছে আশা করছি কোনো প্রকার ভাষাগত ভুল-ত্রুটী ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে মার্জনা করে দিবেন।
_________________________
There is no caste system in VEDAS
It is unfortunate that in this country of ours, where Vedas were the foundation of our culture, we forgot these original lessons of Vedas and got trapped in a variety of misconceptions regarding birth-based caste system and discrimination of people born in certain castes collectively known as Shudras.
The misleading theories of communists and biased indologists have already caused a great damage to our society and have sown seeds of differences. It is unfortunate that so-called Dalits consider themselves outcaste and hence we fail to unite together for prosperity and security. The only solution is to go back to the roots – the Vedas – and rebuild our understanding of our relationships with each other.
In this article, we shall evaluate the reality of caste system in Vedas and actual meaning of Shudra.
1.
As discussed in the first article “Vedas and Shudra”, there is absolutely no element of hatred or discrimination in Vedas regarding any person – be he or she a Brahmin, Vaishya, Kshatriya or Shudra.
2.
The concept of caste is relatively new. Vedas contain no word that can be considered a synonym for ‘caste’. The two words commonly considered to mean ‘caste’ are Jaati and Varna. However the truth is that, all the three mean completely different things.
Caste is a European innovation having no semblance in Vedic culture.
Jaati
Jaati means a classification based on source of origin. Nyaya Sutra states “Samaanaprasavaatmika Jaatih” or those having similar birth source form a Jaati.
An initial broad classification made by Rishis is 4-fold: Udbhija (coming out of ground like plants), Andaja (coming out of eggs like birds and reptiles), Pindaja (mammals) and Ushmaj (reproducing due to temperature and ambient conditions like virus, bacteria etc).
Similarly, various animals like elephant, lion, rabbits etc form different ‘Jaati’. In same manner, entire humanity forms one ‘Jaati’. A particular Jaati will have similar physical characteristics, cannot change from one Jaati to another and cannot cross-breed. Thus Jaati is creation of Ishwar or God.
Brahmin, Kshatriya, Vaishya and Shudra are no way different Jaati because there is no difference in source of birth or even physical characteristics to differentiate between them.
Later, word ‘Jaati’ started being used to imply any kind of classification. Thus in common usage, we call even different communities as different ‘Jaati’. However that is merely convenience of usage. In reality, all humans form one single Jaati.
Varna
The actual word used for Brahmin, Kshatriya, Vaishya and Shudra is ‘Varna’ and not Jaati.
The word ‘Varna’ is used not only for these four, but also for Dasyu and Arya.
‘Varna’ means one that is adopted by choice. Thus, while Jaati is provided by God, ‘Varna’ is our own choice.
Those who choose to be Arya are called ‘Arya Varna’. Those who choose to be Dasyu become ‘Dasyu Varna’. Same for Brahmin, Kshatriya, Vaishya and Shudra.
That is why Vedic Dharma is called ‘Varnashram Dharma’. The word Varna itself implies that this is based on complete freedom of choice and meritocracy.
3.
Those involved in intellectual activities have chosen ‘Brahmin Varna’. Those into defense and warfare are ‘Kshatriya Varna’. Those in economics and animal rearing are ‘Vaishya Varna’ and those involved in other support functions are “Shudra Varna”. They refer merely to various choices of professions and have nothing to do with any Jaati or birth.
4.
Often mantras of Purush Sukta are cited to prove that Brahmins originated from Mouth, Kshatriya from hands, Vaishya from thighs and Shudras from legs of God. Thus these varnas are birth-based. However nothing could be more deceptive. Let us see why:
a. Vedas describe God to be shapeless and unchangeable. How can such a God take shape of a gigantic person if He is shapeless. Refer Yajurved 40.8.
b. If indeed this were true, this would defy the theory of Karma of Vedas. Because as per Theory of Karma, one’s family of birth can change as per his or her deeds. So one born in Shudra family can take birth as king’s son in next birth. But if Shudras are born from feet of God, how can same Shudra again take birth from hands of God?
c. Soul is timeless and never born. So soul can have no Varna. It is only when it takes birth as human that it has a chance to opt a Varna. Then what is meant by a Varna coming from one part of God’s body? If Soul did not take birth from God’s body, then does it mean body of soul is prepared from God’s body parts? But as per Vedas, even nature is eternal. And same atoms recycle among various humans. So it is technically impossible for any one taking birth from God’s body, even if we assume God to be having a body.
d. The said Purush Sukta is in 31st Chapter of Yajurved, apart from Rigved and Atharvaved with some variations. In Yajurved it is 31.11. To see what it actually means, let us look at the previous mantra 31.10.
It asks a question – Who is mouth? Who is hand? Who is thigh and who is leg?
The next mantra gives the answer – Brahmin is mouth. Kshatriya is hand. Vaishya is thigh and Shudra becomes the legs.
Note that the mantra does not say that Brahmin “takes birth” from mouth…It says Brahmin “is” mouth. Because if the mantra would mean “takes birth” it would not answer the question in previous mantra “Who is mouth?”
For example, if I ask “Who is Dashrath?”, an answer like “Rama is born from Dashrath” would be meaningless!
The actual meaning is:
In society, Brahmins or intellectuals form the brain or head or mouth that think and speak. Kshatriya or defense personnel form the hands that protect. Vaishya or producers and businessmen form the thigh that support and nurture (note that thigh bone or femur produces blood and is strongest bone). In Atharvaveda, instead of Uru or Thigh, the word “Madhya” is used meaning that it denotes also the stomach and central part of body.
Shudra or Labor force form the legs that lay the foundation and make the body run.
The next mantras talk of other parts of this body like mind, eyes etc. The Purush Sukta describes the origin and continuation of creation including human society and states ingredients of a meaningful society.
Thus, its a pity that such a beautiful allegorical description of society and creation is distorted to mean something that is completely contrary to Vedic ethos.
Even the Brahman texts, Manusmriti, Mahabharat, Ramayan and Bhagvat do not state anything even close to crazy hypothesis of God creating Brahmins by tearing of flesh from his mouth, Kshatriya from flesh of hands and so on.
5.
It is thus obvious why Brahmins are accorded high respect in Vedas. This is same as what happens even in modern society. Scholars and experts get our respect because they form the direction-providers for entire humanity. However, as we have discussed in previous articles, dignity of labor is equally emphasized in Vedas and hence there is no element of discrimination.
6.
In Vedic culture, everyone is considered to be born as Shudra. Then based on his or her education, one becomes a Brahmin, Kshatriya or Vaishya. This completion of education is considered to be a second birth. Hence these three Varnas are called “Dwija” or twice-born. But those who remain uneducated for whatever reasons are not discarded from society. They continue as Shudra and perform support-activities for the society.
7.
A son of Brahmin, if he fails to complete his education, becomes a Shudra. Similarly, son of a Shudra or even a Dasyu, if he completes his education can become a Brahmin, Kshatriya or Vaishya. This is pure meritocracy. The way degrees are accorded today, Yajnopaveet was provided in Vedic system. Further, non-compliance with the code of conduct for each Varna could result in taking away of the Yajnopaveet.
8.
Many examples exist of change of Varnas in Vedic history.
a. Aitareya Rishi was son of a Daasa or criminal but became a Brahmin of highest order and wrote Aitareya Brahman and Aitareyopanishad. Aitareya Brahman is considered critical to understand Rigveda.
b. Ailush Rishi was son of a Daasi, gambler and of low character. However he researched on Rigveda and made several discoveries. Not only was he invited by Rishis but also made an Acharya. (Aitareya Brahman 2.19)
c. Satyakaam Jaabaal was son of a prostitute but became a Brahmin.
d. Prishadh was son of King Daksha but became a Shudra. Further he did Tapasya to achieve salvation after repenting.
(Vishnu Puran 4.1.14)
Had Tapasya been banned for Shudra as per the fake story from Uttar Ramayan, how could Prishadh do so?
e. Nabhag, soon of King Nedishtha became Vaishya. Many of his sons again became Kshatriya. (Vishnu Puran 4.1.13)
f. Dhrist was son of Nabhag (Vaishya) but became Brahmin and his son became Kshatriya (VP 4.2.2)
g. Further in his generation, some became Brahmin again (VP 9.2.23)
h. As per Bhagvat, Agniveshya became Brahmin though born to a king.
i. Rathotar born in Kshatriya family became a Brahmin as per Vishnu Puran and Bhagvat.
j. Haarit became Brahmin though born to Kshatriya (VP 4.3.5)
k. Shaunak became Brahmin though born in Kshatriya family. (VP 4.8.1). In fact, as per Vayu Puran, Vishnu Puran and Harivansh Puran, sons of Shaunak Rishi belonged to all four Varnas.
Similar examples exist of Gritsamad, Veethavya and Vritsamati.
l. Matanga was son of Chandal but became a Brahmin.
m. Raavan was born from Pulatsya Rishi but became a Rakshas.
n. Pravriddha was son of Raghu King but became a Rakshas.
o. Trishanku was a king but became a Chandal
p. Sons of Vishwamitra became Shudra. Vishwamitra himself was a Kshatriya who later became a Brahmin.
q. Vidur was son of a servant but became a Brahmin and minister of Hastinapur empire.
9.
The word “Shudra” has come in Vedas around 20 times. Nowhere has it been used in a derogatory manner. Nowhere it mentions that Shudras are untouchable, birth-based, disallowed from study of Vedas, lesser in status than other Varnas, disallowed in Yajnas.
10.
In Vedas, Shudra means a hard-working person. (Tapase Shudram – Yajurved 30.5). And that is why Purush Sukta calls them as foundation of entire human society.
11.
Since the four Varnas refer to 4 kinds of activities by choice, as per Vedas, the same person exhibits characteristics of the 4 varnas in different situations. Thus everyone belongs to all the 4 varnas. However, for simplicity sake, we refer to the predominant profession to be the representative Varna.
And hence, all humans should strive to be all the 4 Varnas to best of their capabilities, as per Vedic wisdom. This is the essence of Purush Sukta.
The Rishis like Vasisth, Vishwamitra, Angira, Gautam, Vaamdeva and Kanva exhibited traits of all the four Varnas. They discovered meanings of Vedic mantras, destroyed Dasyus, did manual labor and indulged in wealth management for social welfare.
We should also emulate the same.
In summary, we see that the Vedic society considers all humans to be one single Jaati or race, upholds the dignity of labor and provides equal opportunity for all humans to adopt the Varna of their choice.
There is no element of birth-based discrimination of any manner in the Vedas.
May we all unite together as one integrated family, reject the last element of birth-based discrimination of any manner and embrace each other as brothers and sisters.
May we also thwart the designs of those who want to mislead us by making baseless claims of casteism in Vedas and destroy the criminals aka Dasyu/Daas/Rakshas.
May we all come under the shelter of Vedas and work together to strengthen the humanity as one single family.
There is no caste-system in Vedas.
২| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:১৭
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩
পাপ্রদজ বলেছেন: অবশ্যই।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৪
নষ্ট কবি বলেছেন: বেদে নেই- আসলে তো গীতাতে ও নেই- সেখানেও বলা আছে সাম্যের গান- পৃথিবী মানেই সমতা । মানুষ মানেই সমান। আর মানুষ রুপী যে ঈশ্বরের ধারনা সেটা প্রায় সকল ধর্মেই আছে। মানুষ সবসময় ঈশ্বর কে নিজের মত কল্পনা করে এসেছে। কিনবা ঈশ্বর সবসময় মানূষ্কে নিজের মত করে বানিয়েছেন। ঘুরে ফিরে গল্প একই। বেদে কিনবা পুরানে কিনবা গীতায় কোন চরিত্রের কোন পদবি নেই। আছে বংশ। যেমন শ্রীকৃষ্ণ যদু বংশের লোক- কিন্তু উনাকে শ্রীকৃষ্ণ যদু বলা হয়নাই। ঠিক তেমনি- পঞ্চপাণ্ডব দের ও বলা হয়নাই।
আজকের এই কাষ্ট সিস্টেম তো মাত্র ৪০০ বছর আগের। লক্ষন সেনের ছেলে এক বাঈজি কে বিয়ে করে বসলে সমাজে ছি ছি পড়ে যায়। তখন তিনি ছেলের বৌ আর তাদের পরিবার কে জাতে তুলতে চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি পদবি দেন। আর ভাল মানুষ গুলো শেষ পর্যন্ত ঠকে যায়। এই অবস্থা এখনো বর্তমান।
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৪
পাপ্রদজ বলেছেন: কঠিন বাস্তব সত্য বলেছেন।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৫
সুনীল রায় বলেছেন: @ম জ বাসার
আপনি লিখেছেন বেদ, গীতা, শ্রুতি, শ্লোক, ঋক, সাম তোরা, যাবুর, ইঞ্জিল মানেই কোরান; কোরান মানেই অতীতের সকল ঐশী গ্রন্থের সমাহার, সংস্করণ। আপনার এই মানসিকতাই জঙ্গিবাদের মূল উৎস। মুসলিমরা যত দিন এই মানসিকতা নিয়ে থাকবে ততদিন জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি থাকবে, অশান্তি থাকবে।
আপনি আরও লিখেছেন সমস্যা করেছে সকল জাতির ব্যক্তি/দল রচিত ২ নম্বরী গ্রন্থসমূহ, যেমন: হাদিছ, ফেকতা, ইজমা, কিয়াস ও ফতোয়া; মহাভারত, রামায়ন, মনু সংহীতা, চন্ডি ইত্যাদি; মার্ক, মথি, লুক, ইরিন্থিয়, করিন্থিয় তথা নিউ ও ওল্ড টেষ্টামেন্ট ইত্যাদি। আপনার ধৃস্টতা দেখে স্তম্ভিত হচ্ছি। মহাভারত, রামায়ন, মনু সংহীতা, চন্ডি হিন্দুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু গ্রন্থ। নিউ ও ওল্ড টেষ্টামেন্ট খৃস্টানদের প্রধানদের ধর্ম প্রন্থ। অথচ আপনি এগুলিকে দুই নম্বরি গ্রন্থ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আপনার মত জঙ্গি দ্বিতীয় জন কোথায় আছে? এই জাতীয় মানসিকতাই বোমাবাজির মূল উৎসাহ বা প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
এখন কিন্তু আপনার ধর্ম গ্রন্থের সমালোচনা করার সুযোগ অন্যরা পেয়ে গেল। তারা বলতেই পারে যে গ্রন্থে অন্য ধর্মের লোক অর্থাৎ ইহুদি ও খৃস্টানকে শত্রু হিসেবে গন্য করা হয়েছে সেটা আর যায় হোক শান্তির ধর্মের গ্রন্থ নয়। যে গ্রন্থে অন্য ধর্মের মানুষকে কাফের ঘোষণা দিয়ে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা কিভাবে একটি ভাল ধর্মের গ্রন্থ হয়?
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫
পাপ্রদজ বলেছেন: উত্তর ঠিকই দিয়েছেন।
উপরের ব্যক্তির প্রথম কথার সাথে কিন্তু কিছুতেই একমত হওয়া যায় না।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২২
সোহেল চৌধুরী বলেছেন: @ ম জ বাসার
"... ... ...প্রচলিত ধর্মগুলির ১টি মাত্র সত্য অথবা সবই মিথ্যা... ... ..."
সহমত।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩০
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: @ ম জ বাসার:: আপনি রামায়ন, মহাভারত সম্বন্ধে যা বললেন তা মুখে আনতেও খারাপ লাগছে। আপনাদের কোরান সম্বন্ধে এই একই কথা ছুড়ে দিলে কি করতেন?
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
পাপ্রদজ বলেছেন: আসলে যতই বলি না কেন এসব লোক সমাজে থাকবেই।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩২
নষ্ট কবি বলেছেন: @সুনীল রায় উনাকে উনার মত থাকতে দিন- উনার কথায় তো কেউ চন্ডি মহাভারত পোড়াতে যাবেনা।
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
পাপ্রদজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
প্রদীপ মিত্র বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
পাপ্রদজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ঋক-গীতা-বেদ মূল গ্রন্থ বনাম ২ নম্বরী (হাদিছ) গ্রন্থের তফাত দেখুন:
মূর্তি পূজা:
প্র চলিত মুর্তি পুজা বেদ কখনও সমর্থন করে নি বরং বিরোধিতা করেছে:
‘ আজ্ঞা যজন্তি বিশ্বেশং পাষাণাদিষু সর্বদা’-ভগবান মুর্তিতে নন। ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভূতের ভজনাই ঈশ্বরের উপাসনা। সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমাস্থিত’- ইত্যাদি ৬/৩১ ও ২২৩ পৃ; বাং.গীতা: পৃ: ৩৭ ] অর্থ: যে সর্ব ভূতে অবস্থিত নারায়ানকে উপেক্ষা করে মুর্তিতে নারায়নের অর্চনা করে, সে ভস্মে ঘৃতাহুতিদেয়। [বাং গীতা; পৃ: ৩৭, মৌঢ়্যাদ্ভম্মন্যের জুহোতি স: ২২৪ পৃ:]
গরুর মাংস:
এটি সকলেরই জানা যে মুর্তিবাদ বা পৌত্তলিক জাতি থেকেই মোসলমানদের উৎপত্তি বা আগমণ। উল্লিখিত বেদের আলোকে মোসলমানগণ হিন্দু থাকাবস্থায়ই গরু খেতো অর্থাৎ পূর্ব পুরুষ হিন্দু থেকেই গরুর মাংস খাওয়া শিখেছে।
স¤প্রতি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদী জনাব অটল বিহারি বাজপায়ী গোপনে গরুর মাংস খেয়েছেন বলে কতিপয় হিন্দুগণ তাকে অভিযুক্ত করেন যা আমেরিকার পত্রিকায়ও প্রকাশ পায়। এই অভিযোগ খন্ডানোর জন্য আপন জীবনের উপর কছম খেয়ে ঘোষণা করেন যে, তিনি মরে যেতে রাজি কিন্তু গরুর মাংস খাননি বা খাবেন না। হিন্দু মৌলবাদের প্রধান গুরু বা ইমাম হয়েও বেদ-গীতা সম্বন্ধে তার তিল পরিমাণ ধারণা নেই। অথচ সেই ধর্মের দোহাই দিয়েই তিনি দিব্বি রাজ ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
হিন্দুদের গরু খাওয়া বেদের কোথাও নিষিদ্ধ নেই; বরং গরু খাওয়ার বিধান বেদেই সমর্থন করে, দেখুন:
“-বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩], মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮], অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হতো।- আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [ বেদ:৪/১/৬]।- গো হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হতো [বেদ:১০/৮৯/১৪]। ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ:১০:৮৬:১৪]। এমনকি উপনিষদ বলছে: ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবাদ সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরী।”
হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়া সম্বন্ধে মূল গ্রন্থের আরো বাণী:
Ancient Hindus Ate The Cow Motiram Ugdev, India
It is interesting to note that the cow used to be slaughtered by the ancient Hindus to enjoy its beef, entertain the guests and offer it as sacrifice to their deities.
[Mahatma] Gandhi himself says, "I know there are scholars who tell us that cow-sacrifice is mentioned in the Vedas. I... read a sentence in our Sanskrit text-book to the effect that Brahmins of old [period] used to eat beef" [M.K. Gandhi, Hindu Dharma, New Delhi, 1991, p. 120].--
There are clear evidences in the Rig Veda, the most sacred Hindu scripture, that the cow used to be sacrificed by Hindus for religious purposes. For instance, Hymn CLXIX of the Rig Veda says:--.
In the Rig Veda (RV: VIII.43.11) Agni is described as "fed on ox and cow" suggesting that cattle were sacrificed and roasted in fire. Another hymn (RV: X.16.7) mentions the ritual enveloping of the corpse with cow flesh before applying the fire on it.
In the Brahmanas at 1.15 in the Aiteriya Brahmana, the kindling of Agni on the arrival of King Some is compared to the slaughter of a bull or a barren cow on the arrival of a human king or other dignitary.
Similarly, at II.1.11.1 in the Taiteriya Brahmana and XXXI.14.5 in the Panchavinsha Brahmana, the rishi Agastya is credited with the slaughter of a hundred bulls.
In verse III.1.2.21 in the Satapatha Brahmana, sage Yajnavalkaya asserts that even though the cow is the supporter of everyone, he would eat beef "if it is luscious."
At IV.5-2.1 in the same Brahmana, it is said that a barren cow can be slaughtered in the Some sacrifice. Not only for religious purposes, but also for other purposes one could kill a cow and eat beef.
Thus at II.4.2 of the same Brahmana, it is suggested that a fat bull or fat goat should be sacrificed in honour of an important guest.
Similarly, the Brihadaranyaka Upanishada (VI.4.18) advises a couple to take an evening meal of beef or veal pulao, if they desire to beget a son who is learned in the Vedas [Robert Trumbull, As I see India , London, 1957, p.241].--.
'I want a learned and famous son, a captivating orator assisting at councils, who will master all the Vedas and live out his full life span' -- if this is his wish, he should get her to cook that rice with meat and the two of them should eat it mixed with ghee. The couple thus becomes capable of begetting such a son. The meat may be that of a young or a fully grown bull (veal or beef)--. ' " - Brhadaranyaka Upanisad 6:4:13-21.
(Actually, more than necessary was quoted above to show the Hindu position on beef/meat, but what the hell, it is a hilarious Hindu ritual.)
Anyways, had the meat mentioned above been even chicken, it would have still been extremely awkward for the so-called vegetarian faith, but this is BEEF and its consumption is being promoted for begetting a learned son according to the timeless
Vedas.
Here is another scriptural quote on meat:
"Meat is indeed the best kind of food." - Satapatha Brahmana 11:7:1:3; cf. 12:8: 3:12.
So much for ahimsa (non-violence) & vegetarianism.
Not only that, but if you have been reading other parts of this article, you will have seen other scriptural excerpts in which Hindu Gods themselves set an example of eating beef (for instance, Lord Indra in Rig-Veda Samhita & Lord Rama in Ayodhyakanda).
Lord Indra; the BEEF-Eater:
"[Sacrificer:] 'They are pressing out the impetuous, exhilarating Soma juices with the pressing-stone, for you, Indra. Drink them! They are cooking bulls for you; you will eat them, generous Indra, when they summon you with food.' " - Rig Veda 10:28:3.
"[Indra:] 'They have cooked for me fifteen bulls, and twenty, so that I may eat the fat as well. Both sides of my belly are full.' " - Rig Veda 10:86:14.
Even Lord Indra don't spare DOGs!
Lord Indra, although the King of Vedic Hindu Gods , is a totally hopeless character:
"[Indra:] 'Because I was in desperate straits, I cooked the entrails of a DOG, and I found no one
কবর দেয়া সিদ্ধ:
এই সম্বন্ধে পরবর্তী উক্তি হতে দেখা যায় এই মৃত ব্যক্তিকে ভূমিতে প্রোথিত করা হত। পৃথিবীকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, মাতা যেমন আপন অঞ্চল দিয়ে পুত্রকে আচ্ছাদন করে তেমন পৃথিবী যেন তাকে আচ্ছাদন করে। এ হতে মনে হয় ভূমিতে প্রোথিত করা মৃতদেহ সৎকারের তখন অন্যতম রীতি ছিল। [বেদ: ১ম খন্ড-৭২]।
মূর্তি পূজা:
প্র চলিত মুর্তি পুজা বেদ কখনও সমর্থন করে নি বরং বিরোধিতা করেছে:
‘ আজ্ঞা যজন্তি বিশ্বেশং পাষাণাদিষু সর্বদা’-ভগবান মুর্তিতে নন। ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভূতের ভজনাই ঈশ্বরের উপাসনা। সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমাস্থিত’- ইত্যাদি ৬/৩১ ও ২২৩ পৃ; বাং.গীতা: পৃ: ৩৭ ] অর্থ: যে সর্ব ভূতে অবস্থিত নারায়ানকে উপেক্ষা করে মুর্তিতে নারায়নের অর্চনা করে, সে ভস্মে ঘৃতাহুতিদেয়। [বাং গীতা; পৃ: ৩৭, মৌঢ়্যাদ্ভম্মন্যের জুহোতি স: ২২৪ পৃ:]
বিনীত।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪১
অংকন কুরী বলেছেন: @ম জ বাসার, আপনি যে একটা ফাউল লোক তা বলার অবকাশ নেই, বেদে আপনি কই থেকে মাংস খাবার শ্লোক দিলেন? শুধু একটা দিলাম এটার জন্য -[link|http://www.hindunet.org/srh_home/1996_2/msg00274.html|--বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩]]
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
হিন্দু ধর্ম বল্তে কোন ধর্ম নেই। হিমালয় পর্বতের পাদদেশে, সিন্দু নদীর অববাহিকায় ও হিন্দি ভাষাভাষীদের হিন্দু বলা হয়। সে দৃষ্টিতে ঐ এলাকায় বসবাসকারী মুছলিম, খৃষ্টান প্রভৃতি সকলেই হিন্দু।
তাদের ধর্মের নাম বৈদিক ধর্ম, সনাতন বা মূল বা সত্য ধর্ম, যাদের অনুসারীদের আর্য, ভদ্র, আদর্শ আরবিতে 'মুছলিম' বলে। কিন্তু শিয়া, ছুন্নী, হাম্বলী ইত্যাদিদের মত দুনিয়ার আর্য বা মুছলিম আর নেই।
কথিত হিন্দুদের আর একটি হাদিছ
বিষয়টি লিখতে বা শুনতে খারাপ লাগলেও স্বয়ং শীব ঠাকুরের মুখ নিঃসৃত বাণী বা ছহিহ হাদিছটি তার ভক্তগণ (ছাহাবাগণ) জিহ্বা বাঁকা করে অর্থাৎ কূটকৌশলে প্রচার করে সমগ্র হিন্দু স¤প্রদায়কে বিভ্রান্ত করেছে বিধায় গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান করে বর্ণিত হলো। এবং আমাদের হাদিছের স্বরূপ এবং মূল্যায়ন সম্পর্কেও পাঠকবৃন্দকে সচেতন হ’তে সাহায্য করবে। বিষয়টির তথ্যসুত্র দেয়া সম্ভব হয়নি কারণ কোন এক ব্রাহ্মণের মুখে শোনা এবং গুরুত্ব দিয়েছি এজন্য যে-বেদ-গীতায় মূর্তি পুজার দলিল নেই এবং শীব লিঙ্গ পুজারও ইতিহাস পাওয়া যায় নি। কেহ পবিত্র বেদ-গীতার আলোকে সংশোধন করে দিলে বাধিত হবো।
একদা শীব ঠাকুরের ছাহাবাগণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে গুরুর কাছে আরজ করলেন যে, ‘হুজুর দূর দূরান্ত থেকে জনসাধারণ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আপনার দরবারে এসেও সাক্ষাত লাভের সুযোগ পায় না। অতএব, আপনি অনুমতি দিলে আপনার পক্ষ হয়ে আমরা সাধারণের পুজা গ্রহণ করি এবং তাদের পক্ষ হয়ে আমরা আপনাকে পুজা করি।’ অর্থাৎ ভক্তদের নজরানাদি ভোগের অনুমতি গ্রহণ। এভাবে তারা প্রায়ই অনুমতি প্রার্থনা করতেন। প্রতিবারই শীব ঠাকুর বলতেন, ‘এক মেবা দ্বিতীয়ম।’ অর্থাৎ ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ অতঃপর এবং একদা শিষ্যগণ অনুরূপ নিবেদন করলে শীব ঠাকুর প্রচন্ড রেগে আপন পুংঅঙ্গ ইঙ্গিত করে বললেন, ‘শুনবি না তোরা! নে! আমার এটা পুজা কর।’ অতঃপর ছাহাবাগণ লজ্জিত ও হতাস হয়ে বাইরে এসে অপেক্ষমান জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ঠাকুর আজ আপনাদের দর্শন দেবেন না। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, যার যার বাড়ী গিয়ে ঠাকুরের লিঙ্গ পুজা করতে।’ নিরীহ সরল প্রাণ জনসাধারণ সেই থেকেই নাকি শীব লিঙ্গ মোবারক পুজার প্রচলন ঘটায়; যা আজও প্রচলিত আছে।
বিনীত।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৭
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: @লেখক: তুমি যেই হও, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তুমি না থাকলে এই জ্ঞানগর্ভে সাঁতার কাটা আমার হতো না।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম মি: সুনীল রায়,
১. আপনার ধারণা স্বয়ং ঈশ্বর, ভগবান বা আল্লাহর বিরুদ্ধে। কারণ কোন জাতির মূল ঐশী গ্রন্থ জংগীবাদের উত্স হতেই পারে না, যেহেতু উহা একাকার/একক আল্লাহ, ভগবাব, ঈশ্বর, গড বা স্রষ্টা প্রণীত।
জংগীবাদ মানেই বর্ণভেদ উহার মূল উত্স সকল জাতির ২ নম্বরী গ্রন্থসমূহ। এসম্বন্ধে জনাব পাপ্রদজের ‘বেদে কোন বর্ণভেদ নেই’ মুল্যবান প্রতিবেদনে জেনেছেন। তাহলে প্রচলিত হিন্দু ধর্মে বর্ণভেদ আসলো কোত্থেকে? ২ নম্বরী গ্রন্থ দায়ী না হলে আপনিই কি উহার উত্স????????????
অবিকল বেদের মতই কোরানে বর্ণভেদ যে নেই তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমান দেখুন:
১. যারা ভবিষ্যতে/কর্মের পর ফল/অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, প্রার্থনামত কাজ করে (প্রার্থনা বলবত রাখে) এবং সে অনুযায়ী যে ফল পায় সাম্যবাদের ভিত্তিতে ভোগ করে (পরার্থে ব্যায় করে)এবং তোমার প্রতি, তোমার পূর্বের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যা অবতীর্ণ হবে (পরকালে=পরের কালে/ভবিষ্যতে) তাতে যারা বিশ্বাস করবে; তারাই তাদের প্রতিপালকের পথে সু প্রতিষ্ঠিত এবং তারাই সফলকামী।(তথ্যসুত্র: ২: ৩-৫)
২. মুছলিমগণ, ইহুদীগণ, খৃষ্টানগণ, সাবিঈনগণ প্রভৃতি যারাই আল্লাহ এবং পরবর্তিতে/পরের কালে/ভবিষ্যতে বা পরিণতিতে (আখির) বিশ্বাস করে এবং সত্ পরিশ্রমী, তাদের জন্য পুরস্কার আছে তাদের পালণকর্তার কাছে। তাদের কোনই ভয় নেই এবং তার শোকার্ত হবে না। (২: ৬২)
৩. যারা বিশ্বস্ত ও সত্ পরিশ্রমী তারাই জান্নাতবাসী, জান্নাতেই তারা চিরস্থায়ী। (২: ৮২)
৪. বিশ্বস্ত ও সত্ পরিশ্রমীগণই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। (৯৮: ৭)
অনুরূপ কোরানে অসংখ্য সাক্ষি-প্রমান বিদ্বমান, যাতে বেদ-গীতার মতই জাতি/বর্ণভেদ নেই।
প্রচলিত মুসলমানদের বিষয় কোরান:
৫. পূর্ব বা পশ্চিমে মূখ ফিরানোতে কোনই ছোয়াব/পুণ্য নেই; পুণ্য আছে: যে কেহ আল্লাহ, পরের কালে/পরিণতিতে, পুণ্য আত্মা (ফিরিস্তা), সমস্ত ঐশী কিতাব এবং সকল নবিগণের (প্রেরণাপ্রাপ্ত/চৈতণ্যপ্রাপ্ত/দেবতা, অবতার/দার্শনিক)উপর বিশ্বাস আনলে এবং পরার্থে (ফিছবিল্লীল্লাহ/আল্লাহপ্রেমে)আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীণ, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, অভাবী, সাহায্যপ্রার্থী সাহায্য করলে, দাস মুক্তির জন্য অর্থদান করলে, প্রার্থনা বলবত রেখে (প্রার্থনা যা বলা হয় ঠিক সে অনুযায়ী জীবন চালনা করা; অর্থাত প্রার্থনামত পরিশ্রমে প্রার্থনা পূর্ণ করা)পবিত্র হলে (জাকাত), ওয়াদা পুরণ করলে, অর্থ সংকটে, দু:খ-ক্লেশে, সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। ইহারাই তারা যারা সত্যপরায়ণ এবং সফলকামী। (তথ্যসুত্র: ২: ১৭৭)
৬. মুমীনদের (মুসলমানদের)মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠই মুশরিক/কাফির। (তথ্যসুত্র: ১২: ১০৬)
৭. অধিকাংশ মানুষই বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কিন্তু তারা বিশ্বাসী নয়। (২: ৮)
৮. পারতপক্ষে দুনিয়া কোন ‘মুছলিম’ নেই; আছে ২ নম্বরী গ্রন্থের অনুসারী শিয়া, ছুন্নী, হাম্বলী, কাদিয়ানী প্রভৃতি কোরান বিরুদ্ধ বেদাতপ্রযুক্ত মুসলমান।
দুনিয়ায় কোন আর্য নেই, আছে নম, শুদ্র, কায়স্ত, ঠাকুর-ব্রাম্মন।
দুনিয়ায় কোন খৃষ্টান নেই, আছে: ক্যাথলিক প্রযুক্ত, প্রোটেস্টাইন প্রযুক্ত, ব্যাপ্টিষ্ট প্রযুক্ত, ম্যাথোডিষ্ট প্রযুক্ত, অর্থতক্স প্রযুক্ত খৃষ্টান।
অনুরূপ সকল জাতিই স্ব স্ব মূল ঐশী গ্রন্থ ত্যাগ করত: ২ নম্বরী গ্রন্থের ধারক ও বাহক হয়ে মূলত্ব হারিয়ে বিভ্রান্ত। তার একমাত্র কারণ সকল জাতির ব্যক্তি/দল রচিত ২ নম্বরী গ্রন্থসমূহ এবং উহাই সন্ত্রাস/বোমাবাজীর মূল উত্স।
৯. শরিয়তি ধর্মান্ধ মৌলবাদী মোল্লাদের বিশ্বাসের সংগে আপনার বিশ্বাসের, চরিত্রের কোনই পার্থক্য পাওয়া যায়নি। তারা কোরানের বিপরীতে ২ নম্বরী গ্রন্থ হাদিছ, ফেকতা, ফতোয়ার বিরুদ্ধে বল্লে অংগ-আত্মা জ্বলে পুরে ছাই হয়! অবিকল গীতা/বেদের বিপরীতে মহাভারত, রামায়ণ, চন্ডি, উপনিষদের বিরুদ্ধে বল্লে আপনার অংগ জ্বলে, প্রেষ্টিজ পাংচার হয়! অর্থাত ২ ধর্মের একক মৌলবাদী।
১০. কোরান সম্বন্ধে আপনার ধারণা নিতান্ত ভুল। কারণ যেখানে খুন-খারাবী, হত্যা, দেশ ত্যাগে বাধ্য করার কথা আছে ঠিক তার উপরেই লেখা আছে: যার তোমাদের হত্যা করেছে/করে, দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে/করে কেবলমাত্র তাদেরকেই হত্যা করতে, দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে; অন্য সাধারণকে নয়। অসম্পূর্ণ, খন্ডিত বা আংশিক আয়াত ব্যবহার করে একটি সত্যে মিথ্যা প্রমান করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কঠিণ অপরাধ।
১১. উত্তরাধীকার সুত্রে, জন্মগত সুত্রে, আকার-আকৃতি বা বেস-ভুষায় শিয়া, ছুন্নী, কাদিয়ানী, হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ হওয়া যায় কিন্তু ধার্মীক হওয়া যায় না। উহা সাধন, ভজন বা লেখা পড়ার মত অর্জন করতে হয়।
১২. সকল জাতির একাকার ঈশ্বরাবাদী ভদ্র, নম্র, নিবেদিত, আদর্শগণকেই আরবীতে ‘মুছলিম’ আর বাংলায় আর্য জাতি বলে এবং উহারাই বেদ-কোরানের আলোতে প্রকৃত ধার্মীক।
ভালো থাকুন।
বিনীত।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১১
ম জ বাসার বলেছেন: অংকন কুরী, ছালাম।
১. আপনি মনে হয় টুপি, দাড়ী ব্যবসার মতই টিকি-পৈতার ব্যবসা করেন।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নম: নম:।
বিনীত।
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১৮
তমালের কথা বলেছেন: @ম জ বাসার,
মূর্তি পূজা: আপনার কথাই দেখি, আপনি বলেছেন "ভগবান মুর্তিতে নন। ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভূতের ভজনাই ঈশ্বরের উপাসনা। "
এখন সর্বভূত বোঝাতে নিশ্চই মূর্তিকেও বোঝায় কারন সেটা সর্বভুতের মধ্যেই। আমি যদি নারয়ণকে রূপ দিতে চাই, তাহলে কি সেটা আপনার দেয়া লাইনগুলোতে না করা আছে?
গরুর মাংসঃ আপনি জানেন কি না জানি না কিন্তু লাল মাংস (red meat) খেলে স্বারিরিক কোলেসটোরাল ও অনেক ধরনের রোগ ধরতে পারে। সত্য কথা হলো মানুষের কোনো প্রকার মাংসই খাওয়া উচিৎ নয়। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক অনেক রিসার্চে পাওয়া গিয়েছে ভেজিটেরিয়ান খাবার খেলে অনেক ধরনের রোগের থেকে বাঁচা যায়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য এই লিংকই দেখুনঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Red_meat#Cancer
কবর দেয়া সিদ্ধ: This is based on the belief that a jiva is made up of five elements of prakriti (nature) which need to be returned to their source upon its death. Of
them fire, earth, water and air belong to the body and come from this world, whereas
the fifth element the ether (fine matter) belongs to the domain of the subtle body and comes from the higher worlds. By cremating the body, the elements are rightfully returned to their respective spheres, while the subtle body along with soul returns to the worlds beyond for the continuation of its afterlife.
এটা বুঝতে পারলে নিশ্চই বুঝতে পারবেন কেন দাহ করার দরকার।
পুরো ইনফরমেশন এখানেঃ Click This Link
সর্বভূতের উপাসনা নিয়ে একটাই কথা, সর্বভূতে মানে মূর্তিও। আমার চেনা জানা অনেক হিন্দু আছে যারা মূর্তি পুজা করে না।
@ম জ বাসার আপনার কথার সোর্স চাই। না সোর্স ছাড়া কথা বলা ডিবেইট নয়, বরংচ আমিও বলতে পারব যা ইচ্ছে। আপনার এই কথার সাথে একমত যে বর্ণভেদ পরের বইগুলোর বানানো। সেটার সাথে আমি একেবারেই একমত।
"কেবলমাত্র তাদেরকেই হত্যা করতে, দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে"
হিস্টোরি অনুযায়ী তাহলে ইজরাইল থেকে কিন্তু ইহুদিরাই থাকতে পারবে। মুসলীমরা কিভাবে আসলো?
"অংকন কুরী, ছালাম।
১. আপনি মনে হয় টুপি, দাড়ী ব্যবসার মতই টিকি-পৈতার ব্যবসা করেন।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নম: নম:।
বিনীত। "
আপনার কথা একজন perpetrator-এর মত। আপনি যেভাবে এই কথাগুলো বললেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি নিজেই এখানে ক্ষোভে মারামারি করতে চাচ্ছেন।
আলহামদুলইল্লাহ্, আল্লাহ আপনার মাথায় কিছু বুদ্ধি দেক কারন আপনার ব্রেইন মনে হচ্ছে একটা ১৪ বছরের বাচ্চার মত।
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:২৮
পাপ্রদজ বলেছেন: @ম জ বাসার,
আপনার কি সমস্যা হে ভাই? মূল পোস্ট থেকে দূরে যেতে যেতে আপনি তো দেখছি আলোচনাটাকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করছেন। আপনার কি উদ্দেশ্য এখানে একটা সাম্প্রদায়িক ঝামেলা তৈরি করা? নাকি উষ্কানীমূলকভাবে একটা অঘটন কিছু ঘটানো?
আলোচ্য বিষয় ছিল 'বেদে কোনো বর্ণভেদ আছে কিনা' - সে প্রসঙ্গ নিয়ে। আর আপনি কি সব কিছু তুলে ধরছেন যেন মনে হচ্ছে আপনি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছেন। কেউ কি আপনার কাছে জানতে চেয়েছে শিব ঠাকুরের শিব লিঙ্গের উৎস কি? কেউ প্রশ্ন করেছে গরুর মাংস হিন্দুধর্মানুযায়ী নিষিদ্ধ কিনা? শুধু শুধু এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ব্লগের পরিবেশ দূষিত করবেন না।
আর হ্যাঁ, সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই লেখাটি লেখা হয়েছে আমার নিচের লিংকের লেখার প্রত্যুত্তরে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/ppdj/29410645
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৫৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম মি:পাপ্রদজ,
১. আপনার আপত্তিটা কোথায় এবং কেন ভাই? বেদে বর্ণভেদ নেই কোরানেও বর্ণভেদ নেই প্রমান করা হয়েছে। লক্ষ্য করে থাকবেন যে, বাকি সবগুলি উত্তর পাঠকদের প্রশ্নের সাথে অংগাংগীভাবেই জড়িত।
২. ধর্ম বিষয় বলে কথা তাই কান টানলে চোখ, নাক, মূখসহ মাথাটা আসবেই আসবে। ভাবুন সত্য কি না!
৩.বেদ কোরানে বর্ণভেদ নেই সেটা ম জ বাসারও স্বীকার করে কিন্তু আপনাদের মধ্য বর্ণভেদ, গরু-শুকরভেদ কোথা থেকে আসছে, পুতুল, লিংগ পুজা কোথা থেকে আসছে, তা কি ধর্ম ভিন্ন অন্য ক্ষেত্র?
৪. সত্য আপন মাথায় পড়লে উহা থেকে রেহাই পেতে 'উস্কানী, অন্তরে আঘাত, কতিপয়ের শান্তি নষ্ট' ইত্যাদি ব্যতীত আর কোন জবাব থাকে না।
৫. আর হ্যা! ব্লগে যার লেখার প্রতুত্তরেই লিখেন্না কেন! তা সকল পাঠক ব্লগারের সামনে সমান গুরুত্ব নিয়ে হাজির হয়! তা আপনার জানা উচিত। ব্যক্তিগত কোন আলাপ আলোচনা থাকলে তার ব্যক্তিগত ঠিকানায় পাঠানোই উত্তম। কেহই তো আপনার কাছে ঐ সকল জান্তে চায়নি।
৬. কামনা করি ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগতভাবেই উপস্থাপন করুণ?
৭. বর্ণিত যুক্তিগুলি আপছন্দ হলে ডিলিট/ব্লক করার ক্ষমতা আপনার আছে।
বিনীত।
২১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫
পাপ্রদজ বলেছেন: আপনিই কিন্তু প্রথমে মন্তব্য করেন এই ব্লগের পোস্টে। আপনিই কিন্তু প্রথম আলোচনাটিকে ভিন্নদিকে ধাবিত করেন। পোস্টের বিষয় ছিল হিন্দু/সনাতন সমাজে বর্ণভেদ সম্পর্কে। সেখানে ইহা ভিন্ন অন্য কিছু আনাটাই তো অফটপিক।
যাক তবুও যখন আপনি বলছেন "কান টানলে চোখ, নাক, মুখসহ মাথাটা আসবেই" তখন এ বিষয়ে ভিন্নভাবে বলি। মুসলিম সমাজে কেন মহিলাদেরকে দোররা মারা হয় আজকের আধুনিক যুগে? গল্প হিসেবে শুনেছি, নবীজী একবার ডাকাতদের হাত থেকে বাঁচতে বালুর গুহায় আশ্রয় নেন। তখন ডাকাতরা খুঁজতে খুঁজতে না পেয়ে দেখে এক টিকটিকি। তখন একটা গুহাকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলে এটাতে নাকি লুকিয়ে? তখন টিকটিকি সম্মতিস্বরূপ টিক-টিক করে। এই থেকেই ধরা হয় টিকটিকি হারাম মুসলিম সমাজে, তা কি সত্য? আরো শুনেছি নবীজী তার ছেলের স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ ছিল যে কারণে তিনি পুত্রবধূকে বিয়ে করেন। এ কি সত্য? আরো শুনেছি ৮ বছরের এক মেয়েকেও নাকি নবীজী বিয়ে করেছিলেন। এও কি সত্য? নামাজ বা দোয়া মাহফিলের পরে কেন শুধু "সকল মুসলিমগণ শান্তিতে থাকুক" বলা হয়? কেন সকল মানবজাতি তথা জীবজগতকে নিয়ে বলা হয় না? আর এসবই বা কি যখন মুসলিম এক মেয়ে ঢাকায় শার্ট-প্যান্ট পড়ে ঘোরে, কিন্তু লন্ডনে, নিউ ইয়র্কে হিজাব পড়ে চলে? যদি অন্য পুরুষকে তার চুল/রূপ দেখানো নিষিদ্ধ হয়, তাহলে কেন তা স্থাণ হিসেবে পরিবর্তিত হয়?
এসবই কিন্তু শুনেছি মুসলিম বন্ধুদের থেকেই। এখন নিজেই চিন্তা করেন এমন কর্ম যিনি করেছেন, এমন ব্যক্তিকে যারা মানেন, তাদেরকে কি বলা যায়?
ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। আপনিই প্রথমে হিন্দু সমাজের সেকেলে প্রথাকে/নিয়মকে দেখিয়েছেন।
দেখুন, পরিবর্তন প্রয়োজন। সেটা হিন্দুসমাজে যেমন প্রয়োজন। মুসলিম সমাজেও প্রয়োজন। হিন্দু সমাজে তো তবুও রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগররা এসে বিধবা বিবাহ প্রথা - এসব পরিবর্তনকে নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু মুসলিম সমাজে তো তেমন কারো সম্পর্কে শুনিনি (যতদূর জেনেছি মুসলিমদের থেকেই)।
১৮| ২১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৫০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম দাদা তমালের কথা,
১. মুসলমানসহ পিপড়া, তেলাপোকা, নুনু-ভাগিনা সবই তো সর্বভূতের মধ্যেই! তাই বলে নিজের হাতে গড়া পুতুলকে পছন্দ করলেন কেন? পুজা শেষে পুজিত পুতুলের পাছায় লাত্থি মেরে ডুবিয়ে দেনই বা কেন? ইত্যাদি সর্বভুতের মধ্যে হলেও সর্বভুত নয়।
চুড়ান্ত কথা বেদে অংশ পুজা, পুতুল পুজাকে নিরুত্সাহিত করেছে যেখানে, সেখানে নারায়নকে রুপ দিতে চাওয়া কি বেদে হা করা আছে? নারায়নকে দেখেছেন কি যে রূপ দেন? বেদ বলেছে না কি? নিজকে নারায়নের বাপ/স্রষ্টা না কল্পনা/দাবি করলে রূপ দেয়া গুরুতর ধৃষ্ঠতা বটে!
২. গরুর মাংস সম্বন্ধে কথাগুলি কি বেদবাক্য?কচ্ছপ, শুকরের মাংস কি সাদা? না সবুজ না কালী? বেদ-গীতায় গরুর মাংস খাওয়া যায়েজ সেটাই মাত্র প্রমান করা হয়েছে। বেদবাক্য অস্বীকার করেন কেন? এবং তার উপরে অনধিকার চর্চা করেন কেন? কে আপনি/আপনারা?
৩. দাহ করা অবৈধ বলা হয়নি বা নিরূতসাহিতও করা হয়নি। শুধুমাত্র প্রমান করা হয়েছে যে, বেদ-গীতায় মাটিস্থ করার বিধানই আছে, দাহ করার নয়।বেদ-গীতার বিপরীতে কোন্ নারায়ন দাহ করার বিধান চালু করলো? কেন? কি অপরাধ বেদ-গীতার?
৪. প্রত্যেকটি দর্শন/পারার সুত্র/দ্রষ্টব্য দেয়া আছে; কোন্টি নেই সেটা বলেন?
৫. কোরান শ্রেষ্ঠতম নির্ভরযোগ্য হিষ্টোরী; উহার বিপরীতে সকল হিষ্টোরী অনির্ভরযোগ্য। ইহা সত্য যে, শিয়া/ছু্ন্নীদের বাস্তবতার সাথে কোরানের কোনই মিল নেই; এমনকি বিশ্বে ম জ বাসারসহ (প্রধানত ১জন মাত্র মুছলিম নেই।
৬. অবান্তর কথা! ইহুদিরা যদি কাউকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করে থাকে তবে তাদেরকেও বহিস্কার করার অধিকার প্রাপ্ত হয়। ইহুদিরা যদি কারো সম্পত্তি যবর দখল না করে তাবে তাদের পৈতৃক ভিটায় বসবাস করার ন্যয্য অধিকার আছে। বর্তমানে ইহুদি বনাম শিয়া/ছুন্নীরা যা করছে উভয়ই পরস্পর যুলুম অত্যাচার, বাড়াবাড়ি। জন্মগত অধিকারে বিশ্বে স্বাধিনভাবে বসবাস করার অধিকার জারজ সন্তানেরো সমানে সমান এমন কি পশুরও। শিয়া/ছু্ন্নীরা তা মানে না বলে কোরান দায়ি নয়।
৭. অবিচার অন্যায়ে হাতের পরিবর্তে হাত, নাকের পরিবর্তে নাক, কানের পরিবর্তে কান, হত্যার পরিবর্তে হত্যা, বিতাড়ীতের পরিবর্তে বিতাড়ন ইহাই প্রাকৃতিক ও ন্যয্য বিচার। ইহুদিদের কেতাবেও একই কথা লেখা আছে।
৮. আপনার বয়স কত মনে হয়? বেদ-কোরানের বিপরীতে যারা ধর্ম ব্যবসায় শুকর মদের চেয়েও হারাম ভক্ষণ করে তাদেরই বা বয়স কত? মিথ্যার উপর যোগ্য আঘাত পড়লেই মিথ্যাবাদীরা যুক্তি হারা হয়ে অসহায়ত্ব ফিল করে দেহ/মনে আঘাত করেছে বলে কূট-কৌশলে করুণা ভিক্ষা চায়।
৯. ‘কেহ বুদ্ধি দেক’ বাক্যটি তেলাওয়াত করে নিজের দায়িত্ব সারা হয় না। ‘ছালাম আলাইকুম’ আল্লাহ শান্তি দিক কিন্তু আপনি দিতে নারাজ? যদিও ঐ বাক্যে ‘আল্লাহ’ শব্দ নেই; তবুও শিয়া/ছুন্নীরা স্ব স্ব দায়িত্বে ফাকি দিতে ‘আল্লাহ’ শব্দ কল্পনা করে ঢুকায়।
আল্লাহ/ঈশ্বর আপনাকে ভালো রাখুক! কি না ই রাখুক তা তার ইচ্ছা। তিনি আমার আদেশ অনুরোধের অধীন নন।
বিনীত।
১৯| ২২ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ৯৫ ভাগ বক্তব্যের সাথে কোরানের কোনই সম্পর্ক নেই। প্রায় সবই ২ নম্বরী হাদিছ বা উপনিষদের গাজাখোরী গপ্প। পূর্বেই জেনেছেন কোরান/বেদ-গীতার পক্ষে ২ নম্বরী হাদিছ অর্থাত উপনিষদ বা উপ গ্রন্থগুলির সমর্থক নই বরং ঘোর বিরোধী; সুতরাং কোন প্রশ্ন করার থাকলে কোরানের বিপরীতে করুণ?
২. আয়সার বয়স সম্বন্ধে মতান্তর আছে (৬/৯ থেকে ৩০/৩৬) যেখানে, সেখানে আপনার পছন্দমত বয়সটি নিয়ে বিতর্কে সুবিধা করা যাবে না। তাছাড়া আপনাদের চেয়ে ঢের ঢের ঘোর বিরোধী আবু যেহেলগণ কেন ঐ সময় আপনার পছন্দ মাফিক বয়সটি ইসু হিসাবে ব্যবহার করেনি! আজ ১৫শ বছর পরে আপনারা কেন ব্যবহার করছেন! তা নিরপেক্ষ জ্ঞানীদের ভাবিয়ে তোলে।
৩. পালক পুত্র বা তার তালাক দেয়া স্ত্রীর সংগে পালক বাবার ( জন্মদাতা নয়) রক্তের কোনই সম্পর্ক নেই; কিন্তু মামীর সাথে মামার বরাবরে বাপ-মা'র সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে। সুতরাং সেখানে যৌন সম্পর্ক সে তুলনায় নিকৃষ্ঠ পশুতুল্য যৌনাচার।
কথা প্রসংগেই উহা বর্ণিত হলো মাত্র। কিন্তু শ্রী কৃষ্নের নামে হেন অপবাদ হাদিছের মতই উপগ্রন্থ বা উপনিষদেই লিখা আছে বেদ-গীতায় নয়। সুতরাং উহা বিশ্বাসযোগ্য নয়। শ্রী কৃষ্ন অবশ্যই নবি মুহাম্মদের মতই একজন বিশ্ব নবি হিসাবে কোরানের আলোতে বিশ্বাস করি। শুধু তিনিই নন! শিব, ইন্দ্র, অগাস্ত, মুনি, ব্রম্মা, মহাদেব, হরি ইনারা সকলেই বিশ্ব নবি।কিন্তু শিয়া, ছুন্নীদর কথা আলাদা; তারা মুছলিম নন; বরং বেদাত প্রযুক্ত মুছলিম।
৪. রামমোহন, বিদ্যার সাগরের সন্মানে আপনার অবশ্যই নিচের লিংক ভ্রমন করা জরুরী:
এখানে ক্লিক করুন
বিনীত।
২০| ২২ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২১
নষ্ট কবি বলেছেন: পাপ্রদজ- ম.জ.বাসারের পাগলামি অতিরিক্ত বেড়ে গেছে-উনাকে আর মন্তব্য করবেন না- পাগলের সাথে লাগতে গেলে নিজের ই মান সম্মান নষ্ট হয়- just ignore him.
২১| ২২ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
পাপ্রদজ কি আপনার উম্মত? ক্রিতদাশ? না তাল-বেএলেম? না পুতি?
২. নকল ঈমান সবসময়ই নড়বড়ে; পাগলেও পদদলিত করে। ধরে রাখতে চাইলেও ধরে রাখা যায় না।
বিনীত।
২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
অংকন কুরী বলেছেন: @ম জ বাসার, তোমারে উচিত জবাব দিছি বইলা আমারে উল্টাপাল্টা কথা( ম জ বাসার বলেছেন: অংকন কুরী, ছালাম।
১. আপনি মনে হয় টুপি, দাড়ী ব্যবসার মতই টিকি-পৈতার ব্যবসা করেন।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নম: নম:।
বিনীত।)!!!! কইলা, সাহস থাকে বেদে মাংস খাবার লেখা দেখাও, শুধু ইংরেজ, মুসলমানদের ভুলভ্রান্তি মূলক লেখা বেদের অনুবাদ আইনা দিবানা! পারলে জে লিংক দিলাম তাতে একটু চোখ দিও!
২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
“-বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩], মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮], অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হতো।- আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [ বেদ:৪/১/৬]।- গো হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হতো [বেদ:১০/৮৯/১৪]। ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ:১০:৮৬:১৪]। এমনকি উপনিষদ বলছে: ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবাদ সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরী।
মোল্লাদের মতই চোখ,কান, নাক হৃদয়ে সিল মারাগণ দেখেও দেখবে না। এদের সম্মন্ধে কিছু লেখা বালা নিষ্ফল।
লাস মাটি দেয়া, পুতুল পুজা সম্বন্ধে তা হলে আপনার কোনই আপত্তি নেই? মেনে নিলেন? তাহলে গরুর ব্যপারটা না মানার ছলনা কি?
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:০০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. বেদ, গীতা, শ্রুতি, শ্লোক, ঋক, সাম তোরা, যাবুর, ইঞ্জিল মানেই কোরান; কোরান মানেই অতীতের সকল ঐশী গ্রন্থের সমাহার, সংস্করণ।
২. সমস্যা করেছে সকল জাতির ব্যক্তি/দল রচিত ২ নম্বরী গ্রন্থসমূহ, যেমন: হাদিছ, ফেকতা, ইজমা, কিয়াস ও ফতোয়া; মহাভারত, রামায়ন, মনু সংহীতা, চন্ডি ইত্যাদি; মার্ক, মথি, লুক, ইরিন্থিয়, করিন্থিয় তথা নিউ ও ওল্ড টেষ্টামেন্ট ইত্যাদি।
৩. একক স্রষ্টা, এক পৃথিবী, এক মানব পরিবারের এক জন্ম-মৃত্যুর সুত্র; সুতরাং মাঝে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস অযৌক্তিক, অন্যায়।
৪. প্রচলিত ধর্মগুলির ১টি মাত্র সত্য অথবা সবই মিথ্যা; সত্য ধর্ম বের হতে পারে সকল জাতির ২ নম্বরী গ্রন্থগুলি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে যার যার মূল ঐশী গ্রন্থে ফিরে আসলে।
৫. ব্রম্মা, ব্রম্ম, অব্রম, আব্রাম, আব্রাহাম, ইব্রাহীম একই ব্যক্তি; পার্থক্য করেছে ব্যতিক্রম ভাষা আর গায়-গতরে ধার্মিক সাজা চতুর পাদ্রী, পন্ডিত, ঠাকুর, ব্রাম্মন, ভিক্ষু, মোল্লা, মাওলানাগণ।
দয়া করে ভিজিট করুণ এবং
সম্ভব হলে মন্তব্য করুণ।
আমার আন্তরিক ভালো রইল।
বিনীত।