![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Focus on self development, the country will developed.
১৯৬৪ সালের ৪ আগস্ট তোনকিন উপসাগরে কয়েকটি মার্কিন জাহাজের ওপর হামলার এক সাজানো ঘটনা ঘটিয়ে ছিল মার্কিন সরকার। এভাবে কৃত্রিম উপায়ে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ওয়াশিংটন। কিন্তু জনসন ওই ঘটনার কিছু দিন পরই যুদ্ধ করার অনুমতি পান কংগ্রেসের কাছ থেকে। ওই ঘটনার কয়েক মাস পর তিনি নিজের ওই দাবির মিথ্যা বা বানোয়াট হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, 'আমি যতদূর জানি আমাদের নৌ-সেনারা কয়েকটি তিমি মাছের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে এবং সেখানে শত্রুর কোনো চিহ্নই ছিল না।'
ভিয়েতনামে মার্কিন সেনার সংখ্যা ছিলো ৫ লাখের বেশী । ৫৮ হাজার মৃত ও আহত ও পঙ্গু হওয়া তিন লাখ মার্কিন সেনা নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় । এ যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চরম লজ্জা জনক ভাবে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু পরাজয় বরনের আগে সঙ্ঘটিত করেছিল মারাত্নক গনহত্যা। অথচ আমেরিকার সরকার এক বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু করেছিল এই যুদ্ধ। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, সেই মার্কিনরাই আবার মানবতা নিয়ে সবচেয়ে বেশী সরব।
মিয়ানমারের সেনা চৌকিতে হামলার অভিযোগে সেই আমেরিকান স্টাইলে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে। খবরে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে, অভিযান পরিচালনাকালে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের ব্যাপকহারে অনুপ্রবেশের আশংকা করছে বাংলাদেশ।
হাজারো সমস্যার আবর্তে নিষ্পেষিত পক্ষাঘাত গ্রস্ত, অসহায়, ক্ষুধার্ত, ভিত পলায়নপর একটা জনগোষ্ঠী সুগঠিত সেনাবাহিনীর উপর হামলা করবে ? যেখানে মিয়ানমার নিজেই চাইছে এমন একটা অযুহাতের সুযোগ ।
একজন বোকাও বুঝবে মিয়ানমার সরকার এক বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু করেছে এই হত্যাযগ্য । মিয়ানমারের চারদিকে আজ নির্যাতিত মুসলমানের কান্না শোনা যাচ্ছে। নাফ নদে ভাসছে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। আগুনে পুড়ছে ঘরবাড়ি। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, অং সান সুচি মানবতার ঝান্ডাধারী!!
পরাক্রমশালী আমেরিকার নির্যাতন মেনে নেয়নি ভিয়েতনামের মত পুচকে একটা রাষ্ট্র । আমেরিকার ইতিহাসে এক ন্যক্কারজনক ও কলঙ্কজনক অধ্যায় যোগ করে দিয়েছে ।
নির্যাতনের স্বীকার রোহিঙ্গা মুসলমান মানুষ গুলো এক সময় রুখে দাঁডাবে, বিশ্ব মানবতা চক্ষুষ্মান হবে । মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিচিহ্ন করার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
আমার বিশ্বাস সেই দিন মিয়ানমার নির্যাতনের কথা স্বীকার করতে গিয়ে মিথ্যা বলবে না বরং লজ্জিত হবে।
©somewhere in net ltd.