নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুর পেছনে আছে কোয়ান্টাম শক্তির রহস্য

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন

ব্যর্থ মানুষ

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুচরিতা

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

সুচরিতা খুব অদ্ভুত এক সমস্যায় পরেছে। ফিরোজ নামের এক ছেলেকে সে ভালোবেসে ফেলেছে। তারই ক্লাস মেট । সমস্যা হলো ফিরোজ ছেলেটা বিশ্বাসই করতে পারেনা কোন মেয়ে তাকে ভালো বাসতে পারে। সুচরিতা দুই একবার বলার চেষ্টা করেছে “ ধর কোন মেয়ে তোকে ভালো বাসে…

-পাগল হইছিস। আমাকে ভালোবাসবে? আমার কিছুই নেই যে আমাকে ভালোবাসবে। জানিস আজ পর্যন্ত কোন মেয়ে আমার দিকে পুর্ন চোখে পর্যন্ত তাকাইনি…” সুচরিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।



একবার সে একটা কাজ করে ফেললো। ফিরোজকে একটা এস এম এস করলো । “You are my valentine” ফিরোজ এস এম এস ব্যাক করলো “Volunteer বানানটাও শিখলি না। আর আমি তো সব সময়ই তোর জন্য সেচ্ছাসেবী। হাহাহা। এটা বলার কি আছে?”



সুচরিতা একবার ফিরোজকে একটা প্রেম পত্র দিয়ে বসলো। ফিরোজ সেদিন সুচরিতার সাথে দেখা হলে বললো –“ তোর চিঠিটা দেখেছি। কিছু বানান ভুল আছে। আর তাছাড়া সাধু চলিত একাকার করেছিস কিছু জায়গায়। ব্যাকরনে দুর্বল। ভালো কথা কাকে পাঠাবিরে??”



সুচরিতা একবার তার একবন্ধুকে মধ্যবর্তী হিসাবে লাগিয়ে দিলো। সেই বন্ধু ফিরোজকে বললো “ধর সুচরিতা তোকে ভালোবাসে যদি…” ফিরোজ কথা কেড়ে নিয়ে বললো “তুই সুচরিতার কিছুই জানিসনা গাধা। ওর রুচী অনেক অনেক ভালো…তুই যা তো এখান থেকে…”



অবশেষে সুচরিতা একটা রিস্ক নিয়েই বসলো। এক আধো আলো সন্ধ্যায় হাটতে হাটতে ফিরোজের হাত ধরে বললো –“আমি তোকে ভালোবাসি ফিরোজ…” ফিরোজের কি জানি হয়ে গেলো।সে কাপতে কাপতে মাটিতে পরে গেলো সেন্স লেস হয়ে।সুচরিতা চিৎকার করে উঠলো “হেল্প হেল্প”। রোকেয়া হলের দারোয়ান ছুটে আসলো। “মনে হয় মিরকা রুগী। দেখি আপামনি আপনা স্যান্ডেলটা দেন। স্যান্ডেলের গন্ধ শুকলে মিরকা রুগীর হুস ফেরে। মেল্লোস মার্কা রোগ”।দারোয়ান জোড় করে সুচরিতার স্যান্ডেল নিয়ে ফিরোজের মুখের লাছে ধরতে গেলো। সুচরিতা এই দৃশ্য নিতে পারলোনা। সেও জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। দারোয়ান চিৎকার করে উঠলো “শালা দুইটাই দেখি মিরকা রুগী। কি ভয়ানক। মনে হয় জায়গার কোন দোষ আছে। পালাই”। দারোয়ান পালিয়ে গেলো। সুচরিতাদের বন্ধুরা তাদেরকে হসপিতালে নিয়ে গেলো।



হসপিতালে জ্ঞান ফেরার পর সুচরিতা ফিরোজের রুমে ঢুকলো।। ফিরোজ উপুর হয়ে শুয়ে “ডেল কার্নেগী” পড়ছিলো। সুচরিতার দিকে তাকিয়ে বললো- “ডেল কার্নেগী পড়ছি। আত্ববিশ্বাস বাড়ানোর বুদ্ধি”। সুচরিতা ফিরোজের দিকে তাকিয়ে বললো-“আমি কি তোর পাশে বসতে পারি?” ফিরোজ ভয়ানক আত্ববিশ্বাসের সাথে বললো-“একবার বসলে তো আর উঠে যেতে পারবিনা। সারাজীবনের জন্যই পাশে বসতে হবে”



সুচরিতা সারাজীবনের জন্যই ফিরোজের পাশে বসল

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.