নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুর পেছনে আছে কোয়ান্টাম শক্তির রহস্য

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন

ব্যর্থ মানুষ

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজায় ঈদের দিনেও গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফলে খুশির ঈদের দিনেও গাজায় চলছে গোলাবর্ষণ। তবে গোলাবর্ষণের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গেছে। হামাস রোববার জানিয়েছিল, তারা জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবিত ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি মেনে নিচ্ছে। বিশেষ করে সোমবার পবিত্র ঈদ হওয়ায় তারা প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে। কিন্তু ইসরাইল জানিয়েছে, তারা হামলা অব্যাহত রাখবে। এমনকি আরো ব্যাপক পরিসরে হামলা চালাতে যাচ্ছে।





সামরিক ক্ষয়ক্ষতি:

ইসরাইলের সাথে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম বিগ্রেডের যুদ্ধে ইসরাইল স্বীকার করেছে ৪০ জন সেনা ও ২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। যদিও হামাস দাবি করেছে এ সংখ্যা ৫০ এর বেশি।এছাড়া ১জন সৈন্যকে আটকের দাবি করেছে হামাস। অপরদিকে ইসরাইলের যুদ্ধ বিমান ও ট্রাংক থেকে গোলা বর্ষনে ১ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছে। গাজা পরিনত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।কিন্তু এই অভিযানে কতজন হামাস যোদ্ধা মারা গেছে তার কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেনি ইসরাইল। এই সামরিক অভিযানের প্রধান লক্ষ ছিলো হামাসের টানেল বা সুড়ংগ গুলো ধ্বংস করা। ইসরাইলের সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন এক্ষেত্রে তাদের সাফল্য খুব সামান্য। কারন খুব কম টানেল চিহৃত করা বা ধ্বংস করা গেছে। ইসরাইল যে ধরনের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করছে তাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হত্যা কয়েক ঘন্টার মধ্যে করতে সক্ষম।বেসামরিক নাগরিক হত্যা করে কোনো যুদ্ধে জয় পাওয়া যায় না।

অপরদিকে সামরিক লোকদের হত্যা করার ক্ষেত্রে হামাস ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে। এত বেশি সংখ্যক সৈন্য নিহত হওয়ায় ইসরাইলের ভেতর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক সপ্তাহের একটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে হামাসের অস্ত্রশস্ত্র ও টানেলগুলো ধ্বংস করে দেয়া হবে। কিন্তু তাতে কোনো সফলতা আসেনি। বরং হামাস এখন ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করছে। অবরোধ প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত বলে জানিয়েছে। না হলে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। এছাড়া যে সৈন্যকে আটক করা হয়েছে তার মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কাছ থেকে হামাস বড় ধরনের সুবিধা নিতে পারবে। তা হতে পারে ইসরাইলের কারাগারে আটক হামাস নেতাদের মুক্তির বিনিময়ে। এর আগে ইসরাইলি সৈন্য গিলাত শালিতের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ১ হাজারের বেশি বন্দীকে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলো।



কূটনৈতিক সাফল্য-ব্যর্থতা :

এই যুদ্ধে ইসরাইল কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।প্রথমে মিশরের মাধ্যমে দেয়া যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখান করে।কারন মিশরের আল সিসি সরকারকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না হামাস। শেষ পর্যন্ত প্যারিসে যে আলোচনা চলছে তাতে যোগ দিয়েছে কাতার ও তুরস্ক। এই দুই দেশের সাথে হামাসের ঘনিষ্ট যোগাযোগ আছে। কাতার ও তুরস্কের সাথে আলোচনা পরোক্ষভাবে হামাসের সাথে আলোচনা।এছাড়া হামাস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে গাজার ওপর আরোপ করা অবরোধ প্রত্যাহার না করা হলে হামাস যুদ্ধ বিরতি বা কোনো ধরনের শান্তি প্রস্তাব মেনে নেবে না। অপরদিকে মিশরের প্রস্তাব প্রত্যাখানের মধ্যে দিয়ে হামাস দেশটির গুরুত্বকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সিসি ও তার পৃষ্টপোষক ইসরাইলের জন্য ছিলো একটি আঘাত।



গাজাবাসীর পক্ষে মিশরে মিছিল; পুলিশের গুলিতে নিহত ২



মিশরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের পর গাজাবাসীর পক্ষে মিছিল করতে গিয়ে দুই মুসল্লি নিহত হয়েছেন। রাজধানী কায়রোর উপকণ্ঠে আল-ইমরানিয়া এলাকায় ইখওয়ানুল মুসলিমিনের কর্মীরা এ মিছিল বের করেছিলেন।



গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বের করা এ মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ওই দুই ব্যক্তি নিহত হন। রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন এলাকায়ও মিছিল ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কায়রোর পুলিশ মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী সব সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।





কালেক্টেড

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দজ্জাল B:-)

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫০

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: হুম ভালই বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.