নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুর পেছনে আছে কোয়ান্টাম শক্তির রহস্য

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন

ব্যর্থ মানুষ

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি একজন জামাতি ছাগু, আসেন আমাকে গালি দিয়ে যান। আদালতে আল্লামা সাঈদীর ভাষণঃ (আপিল শুনানীর শেষ দিনে) এবং কিছু প্রশ্ন

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

" আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশের

প্রতিটি জেলা - উপজেলার সকল জনগণের কাছে অতি পরিচিত দেলাওয়ার

হোসাইন সাঈদী । এই মামলায় আমার নাম বিকৃতি করে তদন্ত কর্মকর্তা কখনো দেলোয়ার শিকদার, বর্তমানে সাঈদী, কখনো দেলু ওরফে দেইল্লা ও দেউল্লা বলে আখ্যায়িত করেছে । আমার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, জেনা ব্যাভিচারের অভিযোগ

এনেছে এসপি হান্নান। স্থানীয় এম্পির সাথে বসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী সাবুদ তৈরি করেছে । রোজ কিয়ামতের ভয় আছে, পরকালে বিশ্বাস আছে এমন কোন মুসলমান কোন মানুষের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনতে পারে না ।

আমার বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটির এক বর্ণও যদি সত্য হয় তাহলে আমি যেন ঈমান নিয়ে মরতে না পারি । রোজ কিয়ামতের দিন যেন রাসুল (সাঃ) এর শাফায়েত আমি না পাই । আর যদি আমার বিরুদ্ধে আনীত

অভিযোগ মিথ্যা হয় এবং যারা এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তারা যদি তাওবা না করে তাওবা যদি তাদের নসীবে না হয়, তাহলে গত চারটি বছর আমি ও আমার পরিবার এবং আমার ভক্ত অনুরক্তবৃন্দ যে কস্ট এবং যন্ত্রণা ভোগ করেছে, আমার

চোখের যে পানি ঝরেছে, আমার সন্তানদের চোখের যে পানি ঝরেছে তার প্রতিটি ফোটা যেন অভিশাপের বহ্নিশিখা হয়ে আমার আমাদের থেকে শত গুন যন্ত্রণা ভোগের আগে, কস্টভোগের আগে আল্লাহ যেন তাদের মৃত্যু না দেন ।

মিথ্যাবাদিদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ অযুত ধারায় বর্ষিত হোক । আর জাহান্নাম যেন হয় তাদের স্থায়ী ঠিকানা । আমার প্রতি যদি জুলুম করা হয় তাহলে এ বিচারের দুইটি পর্ব হবে । আজ এখানে একটি পর্ব শেষ হবে । আর রোজ কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে আরেকটি বিচার বসবে । সেদিন রাজাধিরাজ সকল সম্রাটের সম্রাট, সকল বিচারকের বিচারপতি, আসমান ও জমিনের মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা হবেন বিচারপতি। যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার প্রতি জুলুম করা হয় তাহলে আমার প্রতি যারা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন, আজ এখানে যারা আছেন তারা হবেন আসামি আর আমি হবো বাদী । আপনাদের তিনজনের প্রতি আমি আশা রেখে বলছি, আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ন্যায় বিচারের তাওফিক দান করুন ।



সাবেক এমপি গোলাম মওলা রণি

(সাঈদী সাহেবকে নিয়ে লেখা কলামে)-------

সাঈদী সাহেব দোয়া করেছিলেন "হে আল্লাহ তুমি আমার জিম্মাদার হয়ে যাও। আমি দেখতে চাই কার সে সাহস যে আমাকে তোমার জিম্মা থেকে বের করে নিয়ে যায়"। মজলুমের দোয়া কখনও বিফলে যায় না। সেদিনই আমার বদ্ধমূল ধারনা হয়েছে সাঈদী সাহেবকে ফাসি দেয়ার ক্ষমতা এ সরকার শুধু নয়, দুনিয়ার কারও নেই।



এই রায় দেয়া উচিত হয়নি : খন্দকার মাহবুব



জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।



বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গণে সাংবাদিদের কাছে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া উচিত হয়নি। তিনি মনে করেন নির্দোষ মাওলানা সাঈদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে



ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি: বললেন মাসুদ সাঈদী



ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে দাবি করেছেন একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছেলে মাসুদ সাঈদী। রায় প্রকাশের পর তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এ কথা বলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবিরা রিভিউ করবেন বলেও জানান তিনি।



এর আগে রায়ের আগে মাসুদ সাঈদী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আল্লামা সাঈদী বেকসুর খালাস’ মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে এই কথা শোনার জন্য কোর্টের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।



উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৭ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ বছর এবং ৮ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।



অধিকাংশ বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে ৬, ১১ এবং ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।



মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পরিবারের পক্ষ থেকে সুশীল সমাজ ও জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন-



মাওলানা সাঈদী যদি হত্যা, ধর্ষন বা লুটপাটের সাথে জড়িত থাকতেন তা হলে কি করে-

১। তার তফসির মাহফিলে লক্ষ লক্ষ লোক উপস্থিত হন?

২। তার ইমামতিত্বে কিভাবে লোক জন নামায আদায় করেন?

৩। যে সব এলাকায় সংগঠীত অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে সে সব এলাকায় তিনি কিভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন?

৪। তিনি ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে পালিয়ে থাকলে কিভাবে ১৯৭৩ সালে ঢাকার আর্মানিটোলায় মাহফিল করলেন? কিভাবে ১৯৭৪ সালে মতিঝিলে তাফসির মাহফিল করলেন? ১৯৭৪ সালে নিজ ঠিকায় কিভাবে পাসপোর্ট পেলেন?

৫। তিনি কিভাবে স্বাধীনতার পর জন্মগ্রহন কারী আলমগীর পশারির বাড়ী ১৯৭১ সালে লুট করলেন?

৬। যার বিরুদ্ধে পিরোজপুর শহরের এত অপকর্মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পিরোজপুর শহরের কোন সাক্ষী নাই কেন?

৭।সাঈদী সাহেব যদি প্রকৃতই পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহমেদ কে হত্যা করে থাকতেন তবে কেন তার ছেলে জাফর ইকবাল, মেয়ে সুফিয়া হায়দার, জামাই আলী হায়দার ও স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ সাক্ষী দিতে আসলেন না? কেন আয়েশা ফয়েজ তার মামলায় সাঈদী সাহেবের নাম উল্লেখ করেন নি?

৮।তিনি যদি ইব্রাহিম কুট্রিকে হত্যা করতেন তাহলে তার স্ত্রী কেন এজাহারে সাঈদী সাহেবের নাম উল্লেখ করেন নি?কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি?

৯। ১৯৭১ সালের অপকর্মের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল আইনে লক্ষাধীক লোককে গ্রেফতার ও ৩৭ হাজারের অধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কেন সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন মামলা হল না?

১০। পিরোজপুরের কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের অপকর্মের বোঝা কেন সাঈদী সাহেবের উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে?

১১। কলা চোর, ট্রলার চোর, যৌতুক আইনে দন্ডিত, স্ত্রীর গলায় ছুরি চালানো ব্যাক্তির সাক্ষের উপর ভিত্তি করে কিভাবে একজন নিরপরাধ লোককে দন্ডিত করা যাবে?

১২। সাঈদী সাহেব যদি সত্যিই যুদ্ধাপরাধ /মানবতা বিরোধী কোন অপরাধ করে থাকতেন তাহলে কেন বিগত ৪০ বছরে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হল না?

১৩। সেইফ হাউজে সাক্ষীদের দেড়মাস যাবত আটক রাখার পরও তারা মিথ্যা বলতে রাজী না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিত দেখিয়ে পুলিশের নিকট দেয়া জবানবন্দী কে প্রমান হিসাবে নিয়ে কি করে সাঈদী সাহেবের মত ব্যাক্তিকে শাস্তি দেয়া যাবে?

১৪। যে বিচারপতি নিজে বাইরের লোকের সাথে শলাপরামর্শ করে বিভিন্ন অর্ডার দিয়েছেন তার রেকর্ড কৃত সাক্ষ্য প্রমান কিভাবে নিরপেক্ষ হবে?

১৫। যে বিচার পতি নিজেই সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে তদন্তকমিটিতে ছিলেন তার গঠন কৃত চার্য কিভাবে নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করবে?

১৫। যেখানে শহীদ ভাগীরথীর ছেলে গনেশ চন্দ্র সাহা সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষী দিল ও বিশাবালীর ভাই শুখরঞ্জন বালীও সাক্ষী দিতে এসেছিল কিন্তু তাকে সরকারী লোকজন অপহরন করায় সে আর সাক্ষী দিতে পারেনি।এমতাবস্থায় উক্ত হত্যা গুলির জন্য কিভাবে সাঈদী সাহেবকে জড়ানো যাবে?



সংগৃহীত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.