নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিই কৃষ্ণকান্ত নন্দী ( ৩য় খণ্ড )।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

আমিই কৃষ্ণকান্ত নন্দী
------------------------

পুনতিমারি নামে একটি ওলন্দাজ জাহাজ ছিল। এই জাহাজের মাধ্যমে কাশিমবাজার থেকে রেশমের মালপত্র পাঠানো হচ্ছিল। গঙ্গা নদী বেয়ে পুনতিমারি জাহাজ রেশমের মালপত্র নিয়ে কাশিমবাজার থেকে চুঁচুড়ার দিকে যাচ্ছিল। স্বাভাবিক কাজের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান না করেই জাহাজটি চুঁচুড়াতে যাচ্ছিল। চুঁচুড়ার কাউন্সিল জাহাজটিকে চুঁচুড়াতে আটকে দিল। সেই সময় দরবারের রেসিডেণ্ট ছিল সাইকেস। জাহাজের মালপত্র সাইকেসের ছিল ভেবে চুঁচুড়ার কাউন্সিল ১৭৬৬ সালে ২৯ নভেম্বর সাইকেসকে চিঠি লিখলো। ১৭৬৭ সালে ২রা ফেব্রুয়ারিতে এই বিষয়টাকে কলকাতা বোর্ডের নজরে আনা হলো। সাইকেস জাহাজের মালপত্রের কথা অস্বীকার করলো। সাইকেস জানালো, তার ভৃত্য কান্তবাবু এই জাহাজটি ভাড়া করেছিল এবং কিছুক্ষেত্রে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক আদেশ জারি হলো যে, কোন গোমস্থা বা চাকর কোন ইউরোপিয়ানকে কোন কিছু ভাড়া দিতে পারবে না এবং দেশের সরকারের অধীনে কোন চাকরি গ্রহণ করতে পারবে না। কৃষ্ণকান্ত বাবু আঘাত পেয়ে নবাবকে জানালো এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে। যারা অভিযোগ করেছিল তাদেরকে অনুসন্ধানের জন্য পাঠানো হলো। পনেরো দিন পরে তারা কোন কিছু না পেয়ে ফিরে এলো। ওলন্দাজ ফ্যাক্টরির প্রধান ভার্নেটকে চুঁচুড়াতে সাক্ষীদের পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্দিষ্ট সময় চলে যাবার পরেও কেউ উপস্থিত হলো না, তখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলো ১৭৬৭ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এবং শেষে বিষয়টাকে বন্ধ করে দেওয়া হলো। আর কোন তথ্য না পাওয়াতে এই ব্যাপারটাকে বাতিল করে দেওয়া হলো।
১৭৬৫ সাল থেকে ১৭৬৮ সাল পর্যন্ত কৃষ্ণকান্ত বাবু ফ্রান্সিস সাইকেসের বেনিয়ান ছিল। কৃষ্ণকান্ত বাবু হেস্টিংসের বেনিয়ান ছিল ১৭৫৬ সাল থেকে।
কৃষ্ণকান্ত বাবু রেশমের ব্যবসা শুরু করেছিল ১৭৬৯ সাল থেকে।

কাশিমবাজারে মহাজনতুলির বাসিন্দারা আসলে ছিল গুজরাটি। ১৭৭৩ সালে ৭ অক্টোবর, হেস্টিংস মুরদাহ জুম্মা কর বাতিল করে দিল। হিন্দুদের শবদেহ দাহ করার জন্য হিন্দুদের মুরদাহ জুম্মা কর দিতে হতো, যা হেস্টিংস বাতিল করে দিল। পুরীতে যাবার রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং বর্গীদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ ছিল এবং হেস্টিংসের জন্য হয়েছিল। হেস্টিংস, হিন্দু এবং মুসলিমদের জন্য সমানভাবে কর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। কান্তবাবুর পুত্র লোকনাথ নন্দী ১৭৮৫ সালের পর নন্দীর পরিবর্তে রায় ব্যবহার করতো। লোকনাথের পুত্র হরিনাথ পদবি হিসাবে রায় ব্যবহার করতো। কান্তবাবুর ভাই কৃষ্ণচন্দ্র মুর্শিদাবাদে জগৎ শেঠের গোমস্থা হয়েছিল। কান্তবাবুর আর এক ভাই নরসিং, রোগার বারওয়েলের বেনিয়ান ছিল। ১৭৭২ সালে বাংলার গভর্ণর হলো হেস্টিংস।

কান্তবাবুর নিজস্ব ঘোড়া ছিল। তার একটি বড় নৌকা ছিল - ময়ূরপঙ্খী। এছাড়া অন্য নৌকাগুলি হলো - রঙ্গলাল, ছোট ময়ূরপঙ্খী, পাঞ্জাব নৌকা এবং পাটনি নৌকা। কলকাতায় যেতে কান্তবাবু, রঙ্গলাল নৌকা ব্যবহার করতো। কৃষ্ণকান্তবাবু অনেক সময় নিজেকে কান্তবাবু হিসাবে পরিচয় দিত। কান্ত শর্মা অনেক সময় কান্ত হিসাবে নিজের পরিচয় দিত। যদিও কান্ত শর্মা মারা গেল ১৭৩১ সালে ২রা নভেম্বর। আবার শ্রীরামপুরে ড্যানিশ ফ্যাক্টরির গোমস্থা ছিল কৃষ্ণকান্ত কোটমা। আবার কৃষ্ণকান্ত সেন,নিজেকে কান্ত হিসাবে পরিচয় দিত। আবার ঐ সময়ে কৃষ্ণকান্ত শর্মা এবং কৃষ্ণকান্ত পালিত নামে আরও অন্য ব্যক্তি ছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.