নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার মৃত্যুর সঠিক বিচার হয় নি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

আমার মৃত্যুর সঠিক বিচার হয় নি
----------------------------------------

আমি ছিলাম কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়। পুনর্জন্ম নিয়ে আজ আমি প্রদীপ। জাতিস্মর হয়ে জন্ম নিলাম। স্মৃতির পথে হাঁটতে হাঁটতে আমি পৌঁছে গেলাম কাশিমবাজার রাজবাড়িতে। আমি খুঁজে পেলাম নিজেকে। কে আমাকে স্বীকার করলো আর কে আমাকে স্বীকার করলো না তাতে আমার কোন দু:খ নেই। আমি খুঁজে পেয়েছি নিজেকে। আমি সেই রাজা কৃষ্ণনাথ রায়। আমার নামে বহরমপুরে একটা কলেজ আছে। কৃষ্ণনাথ কলেজ। কৃষ্ণনাথ রায় সম্বন্ধে সঠিক তথ্য পৃথিবীর কোন মানুষ জানে না। সত্য আগুনের চেয়ে ভয়ংকর। আমি কলম ধরেছি সেই সত্যকে জানাতে। সত্য না জানলে মনে সন্দেহ বাসা বাঁধবে। সত্যকে প্রমাণ করতে হয় না। সত্য সত্যই। আমি যে সত্য বলছি তার কি প্রমাণ আছে,আসলে সত্য একটাই হয়। মিথ্যা হয় অগণিত।

স্মৃতি বড় মধুর। আজ ৮ এপ্রিল২০১৫। আর আমি ৩১ অক্টোবর, ১৮৪৪ সালের কথা বলছি। আসলে সেদিন কি ঘটেছিল।
৩০ অক্টোবর, ১৮৪৪ সাল- এই দিন আমি রাজকার্য্যে অফিসে ছিলাম। আমার স্ত্রী স্বর্ণময়ী তথা সারদাসুন্দরীর কথা ভাবছিলাম। আমার এক মেয়ে ছিল,নাম লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর বয়স দুই বছর। আমার স্ত্রী গর্ভবতী। আজ তিন মাস হলো স্বর্ণময়ী গর্ভবতী। আমি ভাবিছিলাম যে এবার আমার ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। ছেলে হলে কি করবো আর যদি মেয়ে হয় তাহলে কি করবো। এই ভাবনা থেকে আমি একটা উইল লিখতে শুরু করি। উইলের বিষয় পরে বিস্তারিতভাবে লিখবো। সেই উইলে আমি নয় নন্বর প্যারাগ্রাফে বলেছিলাম- বানজেতিয়া দোতলা বাড়িটি নিয়ে একটি কলেজ হবে,আর সেই কলেজে ছেলেমেয়েকে ইংরেজী,লাতিন,ফরাসী,সংস্কৃত,বাংলা,পারসিয়ান, আরবি এবং বিজ্ঞান পড়ানো হবে। একটা বাড়িতে হাসপাতাল বানানো হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ ব্রিটিশ ভদ্রলোক এবং ভারতীয় ঐ হাসপাতালের জন্য নিয়োগ করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। উইলটা বাংলায় লিখেছিলাম। তিনজন বন্ধু উইল না পড়ে সহি করলো। তারা হলেন- সি জি স্ট্রেটেল,জি ডি হার্কলোটস, রবার্ট ইয়ং। কেশব সরকার আমার ভৃত্য ছিল। কেশব আমাকে বললো-"মহারাজ,আপনি সহি না করলে,উইলের কোন মূল্য থাকবে না। কেশব আমাকে কলম এবং কালি এনে দিলো। আমি সহি করলাম।
ঘরে ফিরলাম সন্ধ্যার সময়। আমি রাত দশটার সময় উইলটা নিয়ে ইংরেজীতে অনুবাদ করতে থাকলাম। হ্যারিকেনের আলোয় আমি লেখালেখি করতে থাকলাম। স্ত্রী স্বর্ণময়ী বিছানায় শুয়ে পড়লো। পুরো লেখা শেষ করতে ভোর হয়ে গেলো।
৩১ অক্টোবর, ১৮৪৪ সাল- ভোর পাঁচটা। আমি ভাবলাম আমি তো ছয়টা নাগাদ একটা জায়গায় যাবো। এখনো দেরী আছে। একবার স্বর্ণময়ীকে আমার উইলের কথা বলি। আমি স্বর্ণময়ীকে ডাকলাম- স্বর্ণময়ী, আমি একটা উইল লিখেছি। স্বর্ণময়ী বিছানা থেকে উঠে আমার সামনে চলে আসে। আমি বললাম- বানজেতিয়াতে আমার নামে ইউনিভার্সিটি হবে,আর সেখানে একটি কলেজ আর হাসপাতাল বানাবো। স্বর্ণময়ী বললো-সারা রাত ধরে তুমি এই সব করছিলে। বললাম- হ্যাঁ,ভালো হবে বলো। স্বর্ণময়ী বললো-তোমাকে কলেজ বানাতে হবে না। বললাম- কেন? স্বর্ণময়ী বললো- কলেজ বানাতে হবে না,কেন আমি বুঝি না, তুমি মেমদের সাথে ফূর্তি করবে বলে কলেজ বানাচ্ছো? আমি বললাম- এ তুমি কি কথা বলছো, সেখানে ছেলে মেয়ে সবাই পড়বে। তবু স্বর্ণময়ী নাছোড়বান্দা। আমার খুব রাগ হলো। ইচ্ছা হলো দোতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দিই। কিন্তু মন বলে উঠলো,আমি মরে গেলে মা ছেলে হারানোর শোকে কাঁদবে। আমি স্ত্রীকে বললাম- তুমি লেখাপড়ার কিছু বোঝো না। স্বর্ণময়ী বললো- আমি অ আ পড়তে জানি,লিখতে জানি। আমি বললাম- অ আ জানলে লেখাপড়া হয় না। আর আমি হাসপাতাল বানাবো। সেখানে কত মানুষের চিকিৎসা হবে। স্বর্ণময়ী আমার হাত থেকে উইল কেড়ে নিয়ে মেঝেতে ছুঁড়ে দিলো। স্বর্ণময়ীর ওপর আমি ভীষণ রেগে গেলাম। আমি বললাম- এই জীবন আমি আর রাখবো না। স্বর্ণময়ী বললো- সারাদিন মদ খেয়ে কাটাবে,আমি কিভাবে থাকি তার কোন খোঁজ রাখো? আমি রাগ সামলাতে পারলাম না। আমি নিজের দু হাতে নিজের গলা টিপে ধরলাম। শ্বাসরুদ্ধ করলাম। আমার মৃত্যু হলো।
আমি চোখ মেললাম। দেখি আমার মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। বিছানায় বাম দিকে কাত হয়ে শুয়ে আছে আমার স্ত্রী স্বর্ণময়ী। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমি স্বর্ণময়ীকে ডাকলাম- স্বর্ণময়ী, আমি ভুল করেছি,আমাকে ক্ষমা করো। স্বর্ণময়ী ডানদিকে ফিরে বললো- আমিও মরবো। স্বর্ণময়ী উঠে বসিলো। আমি স্বর্ণময়ীর কাছে গিয়ে বললাম- না,স্বর্ণময়ী, তুমি মরো না। স্বর্ণময়ী বললো- আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো,রাজবাড়িতে মুখ দেখাবো কি করে। আমি বাঁচতে চাই নে,আমিও মরবো। আমি বললাম- না স্বর্ণময়ী, তুমি মরো না। আমি তোমাকে সাহায্য করবো। স্বর্ণময়ী কাঁদতে কাঁদতে বললো- আমার ওপর তোমার এত রাগ হলো যে তুমি নিজের হাতে তোমার গলা টিপে নিজেকে মেরে ফেললে,কেন রাগ করে তুমি আমাকে চড় মারতে পারতে,আমি তো তোমার চেয়ে ছোট,ভুল করলে তুমি আমাকে চড় মারতে পারতে। আমি বললাম- না স্বর্ণময়ী, আমি তোমাকে চড় মারতে পারি নি। স্বর্ণময়ী বললো- চড় মারতে পারো নি তো কি হয়েছে,রাগ করে দুটো জিনিষ ভেঙে ফেলতে পারতে। আমি বললাম-স্বর্ণময়ী,আমি পারি নি। আমি ভুল করেছি,ক্ষমা করো আমাকে। আমি আর এই মুহূর্তে আর মানুষ হয়ে আসতে পারবো না। তবে আমি তোমাকে সাহায্য করবো। তুমি মরো না। স্বর্ণময়ী কাঁদতে থাকলো। এই সময় দরজায় কড়া নাড়ানোর শব্দ। স্বর্ণময়ী বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিতেই মা হরসুন্দরী ঘরে ঢুকলো। স্বর্ণময়ী হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকলো। হরসুন্দরী বললো- কি করে হলো? স্বর্ণময়ী বললো- মা,রাজার সাথে জোরে জোরে কথা বলেছিলাম,তাই রাজা আমার ওপর রাগ করে নিজের হাতে গলা টিপে আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম। আমি সবাইকে দেখতে পাচ্ছিলাম। দেখলাম মায়ের চোখে জল। আমার মা তার বৌমাকে বললো- বৌমা দরজা বন্ধ করে দাও,ঘরে কাউকে ঢুকতে দিও না।
মা বাইরে এলো। তখন সকাল সাড়ে পাঁচটা। আমি ভাবলাম যে ছয়টার সময় আমার যে জায়গায় যাবার কথা ছিল,আর যাওয়া হলো না। আমার খোঁজ হয়তো করবে। স্বর্ণময়ী দরজা বন্ধ করে দিলো। আমি মায়ের পিছু পিছু এলাম। মা শ্রীনাথকে দেখতে পেয়ে বললো- শ্রীনাথ,রাজা আত্মহত্যা করেছে,এখন আমি কি করবো,বৌমাকে কি করে বাঁচাবো। মা চোখের জলে কাঁদতে থাকলো। শ্রীনাথ স্তম্ভিত হয়ে গেলো। শ্রীনাথ বললো-তাই তো বুঝতে পারছি নে কি করবো। মা বললো- শ্রীনাথ,রাজার ইংরেজ বন্ধু দুজনকে বরং এখনই ডেকে আনো। তারা যদি কিছু করতে পারে। মা ওখানেই একাকী বসে থাকলো। শ্রীনাথ ইংরেজ বন্ধুদের ডাকতে গেলো। মায়ের চোখ ছল ছল করছে। জোরে জোরে কাঁদতে পারছে না। চুপচাপভাবে বসে রইলো। আধ ঘণ্টা পরে আমার ইংরেজ দুই বন্ধু সেখানে উপস্থিত হলো। স্ট্রেটেল এবং হার্কলোটসকে দেখতে পেয়ে আমার মা তাদেরকে বললো- তোমাদের বন্ধু রাজা আত্মহত্যা করেছে। আমার বৌমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করো। মা কাঁদতে থাকলো। বন্ধুরা মাকে কাঁদতে বারণ করলো। বন্ধুরা জানতে চাইলো- কি হয়েছিল? মা বললো-জানি না। বৌমা বললো সে নাকি রাজার সাথে জোরে জোরে কথা বলেছিল,তাই রাজা রাগ করে নিজের হাতে গলা টিপে আত্মহত্যা করেছে। তোমরা যেভাবে পারো আমার বৌমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করো। দুই বন্ধু নিজেদের মধ্যে কথা বললো। তারা শ্রীনাথকে বললো গাড়ী বের করতে। গাড়ী চলে এলো। মা শ্রীনাথকে নিয়ে আমার ঘরের কাছে গেলো। মা তার বৌমাকে ডাকলো। দরজা খুললো। শ্রীনাথ আমার মৃতদেহ নিয়ে দোতলা থেকে নীচে নামলো। গাড়ীর পেছনের সিটে আমাকে বসিয়ে রাখলো। আমার মাথা সিটের পেছনে হেলান দিয়ে রাখলো। শ্রীনাথ সামনে বসলো। আর পেছনে ইংরেজ দুই বন্ধু বসলো। সাড়ে ছয়টা নাগাদ গাড়ী ছেড়ে দিলো। আমিও গাড়ীর মধ্যে ছিলাম। একসময় হার্কলোটস বললো- দেখো,রাজা কেমন শুয়ে আছে,যেন কিছুই হয় নি। বারোটা নাগাদ গাড়ী ঢুকলো কলকাতা জোড়াসাঁকো রাজবাড়িতে। গাড়ী থামতেই দুই বন্ধু কোলে করে রাজাকে দোতলার ঘরে নিয়ে এলো। শ্রীনাথ ঘরের বাইরে নীচের তলায় থাকলো। দুই বন্ধু দোতলার ঘরে রাজাকে এনে একটা চেয়ারে বসিয়ে রাখলো। হার্কলোটস বললো- কিভাবে রাজার স্ত্রীকে বাঁচাবো? রাজাকে বরং গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে ফ্যানে ঝুলিয়ে দিই। কিন্তু স্ট্রেটেল বললো- না,সেটা ঠিক হবে না। তাহলে আমরা মারা পড়ে যাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের জেল হয়ে যাবে। এমনিতেই রাজার গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। তার ওপর দড়ির ছাপ পড়ে যাবে। বেলা দুটো হয়ে গেলো। তারা তখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না। আড়াইটা নাগাদ সিদ্ধান্ত নিলো। বন্দুক দিয়ে গুলি করা হবে। হার্কলোটস বন্দুক ঠিক করলো। আমাকে ভালোভাবে চেয়ারে বসিয়ে রাখলো। আমার ডানহাত বাড়িয়ে রাখলো। হাতে টাকা রাখলো। বামহাতটাকে চেয়ারে হাতলের ওপর রাখলো। আমার চোখ দুটো খুলে রাখলো। স্ট্রেটেল ঘরের বাইরে চলে গেলো। হার্কলোটস ভেতর থেকে বরকন্দাজকে ডাকলো এবং বললো- রাজা তোমাকে ডাকছে,রাজার হাতে টাকা আছে,নিয়ে নাও। রাজার জন্য দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে আনো। বরকন্দাজ রাজার হাত থেকে টাকা নিয়ে ঘরের বাইরে চলে এলো। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকলো। এই সময় শ্রীনাথ চ্যাটার্জীও দোতলায় উঠতে থাকলো। প্রায় তিনটা বাজে। হার্কলোটস তাড়াতাড়ি বন্দুক রাজার হাতে রেখে রাজার মাথা লক্ষ্য করে গুলি করলো। মাথা ভেদ করে গুলি চলে গেলো। রক্তে ভেসে গেলো গলা। হার্কলোটস তাড়াতাড়ি ঘরের এক কোণায় এসে চেয়ারে বসে পড়লো। গুলির আওয়াজ শুনে বরকন্দাজ,শ্রীনাথ,স্ট্রেটেল রাজার ঘরে ঢুকলো। রক্তাত্ত রাজার দেহ। রাজার হাতে বন্দুক। অদূরে বসে আছে হার্কলোটস।
আমি প্রেতাত্মা। আমি সেদিন ঘরে ছিলাম।
পরবর্তীকালে বিচারে প্রমাণিত হয় রাজা বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেছে।
সত্য চিরতরে চাপা পড়ে গেলো। মিথ্যারই জয় হলো। তাই আমার প্রশ্ন- সত্য কাকে বলে?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনি তো আত্মহত্যাই করেছেন, নিজের হাতে হোক আর বন্দুকের গুলিতে হোক!
এখানে মিথ্যাটা কোথায়???

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি ছিলাম কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়। পুনর্জন্ম নিয়ে আজ আমি প্রদীপ। জাতিস্মর হয়ে জন্ম নিলাম। স্মৃতির পথে হাঁটতে হাঁটতে আমি পৌঁছে গেলাম কাশিমবাজার রাজবাড়িতে। আমি খুঁজে পেলাম নিজেকে। কে আমাকে স্বীকার করলো আর কে আমাকে স্বীকার করলো না তাতে আমার কোন দু:খ নেই। আমি খুঁজে পেয়েছি নিজেকে। - একদম ঠিকাচে ভাই।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেটা মিথ্যুক! সত্যের দোহাই তুলে মিছা কথা কস! স্বর্নময়ীর লগে যে ইংরেজ বন্ধুর পরকীয়া ছিল.. তা বুঝী আমি জানিনে! তারপর একদিন হাতে নাতে দেখে ফেলেছিলি! তারপর আমার কাছে কি দু:খ করেছিলি! প্রানফাটা সেই কষ্টের কথাতো আমি ভুলিনি ৬ জনমেও! আর দিব্যি এখণকার না জানা মানুষগুলোর কাছে মিথ্যা বলে দিলি!

সেই পরকীয়া যখন থামছিলই না! তুই বেশি চাপ দিতেছিলি- তারপর সারা রাত দু:খে মদে চুর হয়ে ভোরে যখন ঘরে ফিরেছিল দেখিস -বেটা ইংরেজ তোর বিছানায়......তুই স্বর্ণময়ীকে থাপ্পর মারলি.. আরও বেশী মারতে চাইছিলি....তখনই না ইংরেজ বেটা স্বর্ণময়ীকে স্থায়ী ভাবে পাবার জন্য তোকেই গুলি করে মারে! হুহ.. যা বেটা খালি মরে করছ তুমিও জাতিস্বর! আরও বহু জাতিস্বর কিন্তু আছে! চাপাবাজি কম কইরো ;)

@ পাঠক- উনার ষ্টাইলে উনারে জবাবটা কেমন হইলো? ;) =p~ =p~ =p~

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই! চরম হইছে।


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ :-P

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভৃগু ভাই দারুণ দিয়েছেন। কিন্তু ঐদিন আমিও তো ছিলাম। স্বর্ণময়ীকে স্থায়ীভাবে পাওয়ার জন্য ইংলিশ ব্যাটা যখন রাজা কৃষ্ণনাথ রায়কে গুলি করে মারে। তার আগে রাজা অনেক ফস্টিনস্টি করেছিল। রাজবাড়ীতে কোন সুন্দরী নারীকে ভোগ করতে তার আর বাকি ছিল না। সেকথা রাজ অন্দরমহলের সবাই জানতো। রাজার এই দুশ্চরিত্রের জন্য রানী মার মনে শান্তি ছিল না। আমি ছিলাম রাণীমার ভাই কৃপা সিন্ধু। রানী মা বাড়ি এসে তার দুঃখের কথা আমাদের জানাতো। আমরা শুধু উপরওয়ালার কাছে আশীর্বাদ চাইতাম। প্রায় রাতে রাজা মদ মহিলা নিয়ে ব্যভিচারী জীবন কাটাতে। সে সব কথা সব ভুলে গেছে রাজা কৃষ্ণনাথ রায়? ভৃগু ভাই আপনি সেদিন ছিলেন আমার বন্ধু কৈলাস উপাধ্যায়। দেখুন একবার চেষ্টা করে সেদিনের সেই ঘটনা মনে পড়ছে কিনা। রাজবাড়ীর অন্দরমহলের চাপা অসন্তোষ রানী মা একটা সময় সহ্য করতে না পেরে ইংরেজকে জানালে ইংরেজ গুলি করে রাজাকে হত্যা করেছিল। আমিও জাতিস্মর আজ কইয়া দিলাম। দিনে দশটা করে ঢপের চপ খেতে হয়, নইলে জাতিস্মরের কথা সব মনে পড়ে, তার উপর প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমি চাই না ওসব মনে করতে বা কারো উপর প্রতিশোধ পরায়ন হতে।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.