নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূতপ্রেতে ভয় না থাকুক

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৫

ভয় ডর যদি না থাকে তোর, তুই কি তবে বাঘ
ভূতপ্রেতে ভয় না থাকুক, কাকে করিস ডর?
ভূত ধরা কি এতই সহজ, ভীষণ কঠিন কাজ
ভূতপ্রেতের আস্তানাতে করিস না রে আঘাত।
চোখের দেখা নয় রে সঠিক সবই ভুলে ভরা
কি দেখতে কি দেখেছিস তোরা মানুষেরই ব্যাখ্যা।
রাতের বেলায় জঙ্গলেতে কেনো তোরা ঘুরিস
যা দেখেছিস সত্য কিনা বলতে কি আর পারিস?
কি শুনতে কি শুনেছিস তোরা মানুষেরই কথা
এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে তোর যাবতীয় সব চেষ্টা।
কাদের জন্যে ঘুরছিস রে তুই বলতে পারিস আমায়
কে বলেছে ঘুরতে তোদের এই গভীর রাতের বেলায়।
কেউ যায় না জঙ্গলেতে ভূতপ্রেতের কাছে
চেষ্টা করেও বিফল হবি বুঝবে না কেউ তোকে।
রাতের বেলায় কষ্ট করে তুলেছিস যত ছবি
সব চেষ্টা বৃথা যাবে বলবে মানুষ নকলি।
মানুষ যদি না বোঝে তোর সত্য কথাটা
কি হবে তোর ভূতপ্রেতের মূর্তি দেখাটা।
তুই দেখেছিস ঠিক দেখেছিস সত্য তোরই কাছে
তুই কি পারবি সত্যটাকে সত্য বলে রটাতে।
তাই তো বলিস তুই তো আগে কি কথাটা বল্‌
বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান ছাড়া আর তো কিছুই নয়।
আলো ফেলে যতই দেখা ভূতপ্রেতের দেখা নাই
সাদা মূর্তি ভূত হয়ে রে কোথায় সাদা কাপড় পায়?
সব ভূতেরই সাদা কাপড় কেনো তবে হয়
কালো কাপড় কাদের বেলায় জানতে সবাই চায়।
তুই কি পারবি উত্তর দিতে নাকি উত্তর মুখে নাই
বরং বলতে পারিস সাজানো নয় সবই সত্য হয়।
তুই কি ভাবিস মানুষ বোকা এতো বোকা নয়
বলবে তারা টাকার জন্যে সৃষ্টি করিস ভয়।
রাতের বেলায় কে ভয় দেখায় বলতে পারিস তোরা
কারা চেঁচায় ভেতর থেকে ধর্‌ না এবার তোরা।
ভূতের সাথে বল্‌ না কথা কেমন সাহস হয়
কেনো রে ভূত পালিয়ে বেড়ায় বল্‌ না তোরা আমায়।
ভূতের ভয়ে মানুষ মরে এটাই সত্য কথা
তোদের ভয়ে ভূত লুকাবে এটা মিথ্যা কথা।
মানুষ দেখে ভয় পেয়েছে কোন্‌ ভূতেরা বল্‌
তোদের কাছে আসতে তাদের কিসের এতো ছল?
শিক্ষা দিক্ষা নাই রে বলে আজকে ভূতের দুরবস্থা
তোদের দেখে পালিয়ে বেড়ায় যতসব মূর্খ ভূতের দলেরা।
আমার মতোন ভূত যদি ভাই থাকতো জঙ্গলেতে
তোদের সামনে হাজির হয়ে বলতাম তোরা কে?
ভয়ে তোরা দৌড় দিতিস ভাই কাঁপতো বুকের পাঁটা
এরা সব বুড়ো হাবড়া ভূত তাই তো এরা নড়ে না।
ভূতেরা না চেঁচায় যত, চেঁচাস তত তোরা
তোদের কথা শুনবো নাকি শুনবো ভূতের কথা।
সাদা কাপড় হলেই বুঝি হয় কি তারা ভূত, এমন কথা ভাবিস না
কি ক্ষমতা আছে তোদের ভূতের কাছে যা না।
আগুন জ্বলতে দেখলে বুঝি পিলে চমকে যায়
ছোট্ট বাচ্চার কান্না শুনে বল্‌ তো তোরা কি মনে হয়?
তোরা এসেছিস ভূত ধরতে নাকি ভূতের সাথে ভাব করতে
এতই যদি সাহস তোদের কেনো কথা তোদের মুখে?
কি ঢুকেছে তোর ভেতরে তুই তো নিজেই জানিস না
বই পড়ে না পারিস ধরতে, বইতে আছে কিসের শিক্ষা।
বইটা পড়ে শেখ না আগে ভূতের গঠন হয় কি করে
নইলে তোরা মরবি শেষে ভূতপ্রেতেরই লম্বা হাতে।
বই পড় বই পড় তোরা সত্য কথা আগে বল্‌
জন্ম মৃত্যুর রহস্য খুঁজতে আগে তোরা বইটা পড়।
তুই কি পারিস হঠাৎ করে, না বলে-কয়ে অন্যের ঘরে ঢুকতে
তুই কি পারিস অন্যের ঘরে আলো জ্বালিয়ে ছবি তুলতে।
যদি তা তুই না পারিস করতে তবে, কিসের মানুষ তোরা
কেনো তবে পড়ে আছিস ভূতপ্রেতের পেছনে তোরা?
আমরা ভূতপ্রেত আছি কিনা তাই এসেছিস জানতে
উনিশ শত একাত্তরে আমি প্রদীপ বলেছিলাম তোদেরকে।
সাত সাতটা জীবন নিয়ে আমি প্রদীপ প্রথম পুনর্জন্ম নিয়েছি মহাবিশ্বে
আমি রাজা কৃষ্ণনাথ রায় বলছি আজ মহাবিশ্বের সকলকে।
রাতের অন্ধকারে ভূতের ছবি তোলা বন্ধ কর তোরা এইমুহূর্তে
শয়তানেরা আছে যেখানে কেনো করিস আঘাত তাদেরকে।
সব শয়তানেরা যদি আসে তোর ঘরেতে চলে
তুই কি পারবি সবকিছু ফেলে তুই, সব শয়তানকে তাড়াতে,
নাকি তুই জাহির করতে চাইছিস তোদের মানুষকে
ভূতপ্রেত আছে কিনা এই পৃথিবীর বুকেতে।
সবাই মরে, সবাই মরে, ভূতপ্রেত হয়, এর ব্যতিক্রম নাই
একদিন তোরা থাকবি মরে এমন জঙ্গলেতে, মনে রাখিস তোরা সবাই।
সেদিন তোরা খুঁজিস ইচ্ছেমতোন করে, যেসব বই পড়ে তোরা পণ্ডিত হয়েছিস
রাখ তোরা সব বইয়ের কথা, বই ছেড়ে আজ তোরা কি খুঁজতে চলেছিস?
কোথাও কিছুই পাবি না রে, তোরা কিছুই খুঁজে, শুধু এক ভয় ভীতি ছাড়া
মরার পরে সবাই আছে শুনে রাখিস তোরা এক নিদারুণ সত্য কথা।
কি ভেবেছিস তোরা, বই পড়ে পণ্ডিত হয়েছিস নাকি মূর্খ হয়েছিস আজ
কি জানতে চাস তোরা জঙ্গলেতে এসে, তোরা কি বলতে পারিস আজ?
ভয় দেখিয়ে খেঁদাতে চাই তোদের মতোন মানুষকে
দিস নি তোরা আমাদেরকে শান্তিতে ঘরে থাকিতে।
এক মুঠো ভাতের জন্যে পড়ে ছিলাম ঘরের মধ্যে
মরার পরে আজ আছি রে আমরা সবাই জঙ্গলে।
কেনো এসেছিস তোরা আজ এমন জঙ্গলে
যা চলে যা, যা চলে যা, এখন জঙ্গল থেকে।
তোদের মতোন মানুষ হয়ে জন্মানোর চেয়ে
মরার পরে শয়তান হয়ে ভালো আছি মহাবিশ্বে।
ভয় ভীতি নাই আমাদের, সবাই মিলে থাকি একসাথে
আমার আমার বলে কিছু নাই আমাদের মধ্যে।
যখন যেখানে ইচ্ছা করে চলে যাই আমরা উড়ে
কেউ পারে না ধরতে আমায় যাচ্ছি কোথায় আমরা উড়ে।
যাকে ইচ্ছা তাকে দেখাই ভয়, এই তো আমাদের স্বাধীনতা
এখানে সুখ নাই, দুঃখ নাই, নাই পুরানো স্মৃতিকে ধরে রাখা।
সবকিছু ভুলে আমরা সব শয়তান আছি গাছের ওপরে
কি আর হবে অতীতের কথা ভেবে, ভুলে যেতে চাই সকলকে।
তোরা চলে যা চলে যা এই গভীর জঙ্গল থেকে
নইলে মরবি তোরা আমাদের কারোর না কারোর হাতে।
ভূতপ্রেত জিন শয়তান দেখা, তোরা ছেড়ে দে ছেড়ে দে
যেদিন শয়তান হবি সেদিন দেখিস নিজেকে দুচোখ ভরে।
শয়তান আমরা নই, শয়তান হলো মানুষ
আমরা শয়তান হলে তোরা কি এখনো জঙ্গলে থাকতে পারতিস?
দেখ না একবার তোরা মানুষের আস্তানায় আঘাত করে
তোদের পিঠের ছাল চামড়া তুলে ঝুলিয়ে দেবে ফাঁসীকাঠে।
কতক্ষণ ধরে থাকবি তোরা আমাদের ভূতপ্রেতের ডেরায়
আলো জ্বালিয়ে কি দেখবি তোরা কিছুই বোঝার নাই।
কত কতজনে মরেছে অপঘাতে মুক্তি তাদের নাই
মরলে ভূতপ্রেত হবি জেনে রাখিস তোরা সবাই।
কত পুঁথি পড়েছিস তোরা, ভূতপ্রেতের স্বীকৃতি নাই
মুক্তির পথ পারিস কি বলতে সে ক্ষমতা তোদের জানা নাই।
যা চলে যা এখান থেকে, থাকিস না আর জঙ্গলে
পালা পালা এখান থেকে যা পালিয়ে যা এখান থেকে।
মানুষের সাথে বনিবনা নাই, শুনে রাখিস তোরা সকলে
তোরা যেভাবে আছিস থাক না সেইভাবে
কেনো এসেছিস তোরা গভীর রাতে আমাদেরকে জ্বালাতে।
কি খুঁজছিস তোরা ওখানে, ওখানে কিছুই নাই
আমরা সবাই অদৃশ্য শক্তি শুনে রাখিস তোরা সবাই।
কত কি দেখার আছে কতটুকু দেখেছিস তোরা
ভূতপ্রেত হয়ে দেখিস তোরা জীবনের বাকি কর্মকাণ্ডটা।
আমি ভূত কেনো দেবো তোকে আমার পরিচয়
জেনে রাখিস তোরা ভূতপ্রেতের একটাই পরিচয়।
মরেও বেঁচে আছি, কেউ চায় না আর আমাকে
আমি তো পারি নি রাজা কৃষ্ণনাথ রায় হতে।
আমি রাজা কৃষ্ণনাথ রায়, মরার পরেও ছিলাম আমি
আমার সাথে ছিলো আমার কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ি।
দেখ তোরা পড়ে আছিস গভীর রাতে শয়তানের আস্তানাতে
কত ক্ষমতা তাদের তোরা বুঝবি নে কোনোদিনে।
দেখ তোরা কি ঘটে এই শিমূল গাছের গোড়াতে
কি পরিষ্কার করছিস তোরা ঝোঁপঝাঁড় গুলোকে কেটে।
একবার কোপ দিয়ে দেখ তোরা কি ঘটে এই শিমূল গাছে
কোপ দিতেই পড়ে গেলো সে শিমূল গাছের গোড়াতে।
যেমনভাবে রক্ত বের হচ্ছে শিমূল গাছে, ঠিক তেমনভাবে
রক্ত ঝরছে ওর মুখে, চলে যা এখনই শয়তানের ডেরা থেকে
নইলে বাঁচবি নে তোরা কেউ এইমুহূর্তে।
কত সাহস আছে তোদের দেখ তোরা চলে যা এখনই
তিনজনের তাড়াতাড়ি পলায়ন হঠাৎ তখনই।
লড়াই করা যায় না শয়তানের সাথে
নইলে মেরে ফেলবে একমুহূর্তে।
মনে রাখিস আমার কথা ভূতপ্রেত জিন শয়তান কত শক্তিমান
ভুলেও তোরা পা বাড়াস না আর জঙ্গলের এই শিমূল তলায়।
আমি প্রদীপ জ্বলে যাই
সবাইকে সত্য কথা বলে যাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.