নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৫

ওরে কোন্‌ বাড়ির শয়তান রে তুই বল্‌ তো একটিবার
বাঁশবাগানে থেকে করিস বড়ই জ্বালাতন।
কি নাম তোর, কেনো থাকিস, বাড়ি ঘর কি নাইরে তোর
যা না ফিরে তোর বাড়িতে, কেনো আছিস বাঁশবাগানের ভেতর?
মরার পরে কে দিয়েছে ধবধবে ওই সাদা থান
দিন দুপুরে রাতবিড়েতে কেনো থাকিস হেথায় বল্‌?
দেহ যদি থাকতো রে তোর কিছুই তোকে বলতাম না রে
দেহ ছাড়া কেনো আছিস বন বাদাড়ে বাঁশবাগানে?
কি আছে রে তোর এমন ক্ষমতা বলতে পারিস আমায়
বাঁশবাগানে সাদা থানে দেখতে তোকে ভালো মানায়।
কোন্‌ বাড়ির শয়তান রে তুই বল্‌ তো একটিবার
ঝেঁটিয়ে তোকে বিদায় করি, না মাড়াস আর হেথায়।
রাতের বেলায় মানুষ দেখে, করিস মুখে বিশ্রী আওয়াজ
মানুষের ঘাড় মটকাতে কেনো থাকিস তোরা হেথায়?
তুই তো আছিস পাকা বাড়ির শয়তান
মরার পরে পেয়েছিস বুঝি এমন সাদা থান।
মরার পরে কেনো তোকে সবাই বলে শয়তান
কেউবা বলে ভূতপ্রেত দৈত্যদানব জিন ভূত মস্তান।
যে নামেই ডাকি তোকে, তুই তো মানুষ নোস
দেহ ছেড়ে থাকবি কোথায় সেটাই এবার বোঝ।
ভূতপ্রেতের দেহ নিয়ে কেনো থাকিস হেথায়
কেনো থাকিস ভয় দেখাতে বলতে পারিস আমায়?
ওরে ও শয়তান রে তুই যা না তোর নিজের ঘরে
সেথায় গিয়ে ঘাড় মটকে খা না ভালো করে।
পথেঘাটে বাঁশবাগানে আর থাকিস না তোরা
তোদের মতোন ভূতপ্রেত চাই না মোটে আমরা।
তোরা যদি না আসিস মোর কোনো উপকারে
কেনোরে তোদের পুষবো আমি আমার বাগানেতে।
যা না চলে নিজের ঘরে কেনো আছিস হেথায় পড়ে
ভিটেমাটি না থাকে তোর এলি তবে কোথা থেকে?
ওরে ও বড়বাড়ির শয়তান, কেনো রে তুই আছিস হেথায়
গাঁয়ের বৌ মেয়েদের দিকে লুকিয়ে কেনো তাকাস?
সাদা থানে ভয় পাই না, আছে মুড়ো ঝাঁটা
ভয় দেখানো বের করবো দেখবো বুকের পাঁটা।
বড় বাড়ির শয়তান রে তুই, আছিস পথেঘাটে
মেয়ে মানুষ দেখলে বুঝি পড়িস হঠাৎ ঝাঁপিয়ে।
তাই তো বলি ওরে ও শয়তান, কেনো করিস মুখে তুই বিশ্রী আওয়াজ
মুখে বুঝি তোর ছিপি আঁটা, নইলে মানুষ জেনে যাবে তোর কীর্তিকলাপ।
এর ঘাড়ে নয়তো ওর ঘাড়ে চাপতে তুই শয়তান থাকিস বুঝি হেথায়
এতো লোভ ছিলো তোর মধ্যে, তুই নোলা হয়ে জন্ম নিস পরের বার।
তুই শয়তান কথা না বলে ভয় দেখাস এমনভাবে মানুষকে
মারবো তোকে ঝাঁটা পিটিয়ে নইলে জুতো দেবো তোর মুখে।
কথা যদি না পারিস বলতে, দেখবো এবার কত ক্ষমতা আছে তোর মধ্যে
তুই শয়তান লুকিয়ে থাকিস ভয় ডর কিছুই বুঝি নেই আর তোর মধ্যে।
ওরে ও শয়তান, বড়বাড়ির শয়তান, থাক না সেথায় গিয়ে
কেনো রে তুই লুকিয়ে থাকিস গ্রামে গঞ্জে এসে।
কেনো রে তুই নজর দিস গাঁয়ের বধূর দিকে
সুযোগ পেলে কেনো চাপিস তাদের দেহের মধ্যে?
এবার তোকে বলে দিলাম, আর কখনো নয় এমন কাজ
নইলে রে তুই মনে রাখিস, হবে না তোর পুনর্জন্ম আর।
দিন সাদা, রাত কালো, জানে সব মানুষ
সাদা জিন, কালো জিন, অন্ধকারের অমানুষ।
ভয় দেখানো জিনের কাজ, ভয় ডর তাদের মোটে নাই
ভয় ডর যাদের আছে তারা মানুষ নামের পরিচয়।
ওরে ও বড় বাড়ির শয়তান, আর লুকিয়ে নয় গাছের মাথায়
দেহ নিয়ে যা চলে যা যে বাড়ি তোর পছন্দ হয়।
ওরে ও শয়তান, আর জ্বালাতন করিস না
দেহ নিয়ে যা চলে যা, আর ভয় ডর দেখাস না।
জায়গা ছেড়ে যা চলে যা যে বাড়ি তোর পছন্দ হয়
সুযোগ পেলে ঢুকে যাবি যে মহিলা গর্ভবতী হয়,
তবেই তোর জন্ম হবে, নইলে কিন্তু জন্ম নয়।
মনে রাখিস শয়তানেরা আমার কথাটা
যা চলে যা তাড়াতাড়ি নইলে জন্ম হবে না।
শোনো শোনো গর্ভবতী ভুলটি তুমি করো না
ভর দুপুরে, সন্ধ্যাবেলায় পুকুরঘাটে যেয়ো না।
নইলে তোমার গর্ভে যাবে ঢুকে
যত শয়তান আশেপাশে ঘুরছে।
বিশ্বাস করা আর না করা কি যায় আসে তাতে
জন্ম নেওয়ার পদ্ধতি শুনে রাখো সকলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.