![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম। লাল-সবুজের পতাকা দখল করে নেয় বিশ্বের মানচিত্র।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় দিন আজ তাই আমরা সবাই বিজয় উৎসব করি মাতি উল্লাসে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে উল্লাস করলেও মুক্তিযুদ্ধকে আমরা ধারণ করি কিনা।
অবশ্যই না।
মুক্তিযুদ্ধের অবস্থান যেখানে হওয়া উচিত ছিল সেখানে হয়েছে বলে কোন বাংলাদেশীকে দেখে মনে হয় না। এর কারণ একটাই - গত চার দশকে যে যেভাবে পারছে সে সেভাবে মুক্তিযুদ্ধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছিল। এখনও একি অবস্থা বিরজমান।
একজন রাজাকারের(সত্য বা মিথ্যা তর্কে যাচ্ছি না) ফাঁসির পর এই বাংলাদেশ দেখে মনে হয়েছে অল্লাস করার মত কিছুই পাইনি। শাহবাগ ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও একবারের জন্যও জয় বাংলা স্লোগান উঠেনি।
গত চার দশকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই বা কি করা হয়েছে? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সমান ভাবে রাজনীতির মাঠে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কি করেছে?? মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নামক একটা হাস্যকর ভাতা ছাড়া। হাস্যকর এইজন্যই যে পাকিস্তানীরা মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পরিমাণ জানলে গগণ বিদারী অট্টহাসি দিবে।
স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে মারামারি এখনো শেষ হয়নি। শেষ হয়নি মুক্তিযোদ্ধার অবৈধ সনদ পাওয়াও।
দেশের জন্য যুদ্ধ করার পর যারা সনদ নেওয়াকে অসম্মানজনক মনে করে সনদ নেয়নি তাদের কোন হিসেব কি কোন চেতনাধারী করেছে??
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে ডাক্তার কখন আসবে পথ চেয়ে থাকতে হয় তখন আমাদের মূল্যবোধ বা চেতনা কি লজ্জায় মুখ লুকায় না??
কোন মুক্তিযোদ্ধা যখন দুবেলা ভাতের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে তখন চেতনা কি ঘৃণায় আমাদের থুথু ছিটায় না??
এই লজ্জা রাখি কোথায় যখন কেউ মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করে তখন মনে প্রশ্ন জাগে বৈধ নাকি অবৈধ? কারণ অবৈধ সনদে অনেকেই এখন অবৈধ মুক্তিযোদ্ধা।
সব বুঝে শুনে আমরা নিজেদের এমন জড় পদার্থ বানিয়ে রেখেছি যেন কিছুই অস্বাভাবিক নয়। এসব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিছু যায় আসে না।
বিজয় দিবসের দাবী একটায় - সকল মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হোক। অবশ্যই যাতে "মুক্তিযোদ্ধা ভাতা" নামক হাস্যকর ও নিজেদের জন্য অপমানজনক না হয়। শিক্ষা উল্লেখ করি কারণ উনাদের শিক্ষার বয়স নাই। কেউ চাইলে সেটাও দিতে হবে।
অন্তত যারা গরীব অসহায়ভাবে বেঁচে আছে উনাদের জন্য করা হোক।
যারা ফুল দিচ্ছেন বা দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাচ্ছেন তাদের বলবো - আপনার এই সম্মান উনাদের ত্রিসীমানায়ও যেতে পারে না। এই ফুলের ঘ্রাণ উনারা জীবনে কখনো পাবেন না। যেটা পাবে সেটা প্রার্থনা। যেই ধর্মের হন না কেন উনাদের জন্য ৫ মিনিট প্রার্থনা করুন। অবশ্যই উনারা পাবেন, এতে কোন সন্দেহ নাই।
বিজয় দিবস অমর হোক।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
সেফানুয়েল বলেছেন: কিছুদিন পর হয়তো শুনবো যে রাজাকারেরাই মুক্তিযোদ্ধ করেছিলো আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা নারী ও শিশু হত্যাকারী ছিলো।
আমাদের তরুণ সমাজ আর কতকাল ঘুমিয়ে থাকবে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: যেখানে তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেব মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে বুঝতে পারেনি, বাকীরা কি বুঝবে?