![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার আছে অনেক কিছু ...বলার আছে অনেক লিখব সবই, বলবো সবই, একের পর একেক
কয়েকদিন আগে দুপুরের ঘটনা। ধানমন্ডি রুটের ভার্সিটি বাস ছাড়ার অপেক্ষায় টিএসসি মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। একটু সামনেই একটা মেয়ে খুব তেজী গলায় তার প্রেমিকের সাথে ঝগড়া করছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মেয়ে হাত থেকে মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিলো। ছেলেটাকেই আবার নির্দেশ আদেশ (!) দিলো মোবাইলটা তুলে এনে ঠিক করে লাগিয়ে দিতে! কিছুক্ষণ পর মেয়ে সেই ছেলেকে এমনই ধাক্কা মারলো যে ছেলের চশমা চোখ থেকে ছিটকে পড়ে ফ্রেম ও কাঁচ আলাদা হয়ে রাস্তায় লুটোপুটি খায়! এবার মেয়েটা একটু সরে বাসের কাছাকাছি এসে দাঁড়াতে তার কথা কানে এলো। ঝগড়ার কারণ এবার স্পষ্ট হলো! '' তোমাকে বলসিলাম মে মাসের শেষে আমাকে মোবাইল কিনে দিতে। মে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখনো তুমি মোবাইল দাও নাই!!"...মনে মনে ভাবলাম, এই তাহলে ঘটনা! এ কারণে ছেলে অপরাধী সাব্যস্ত! কিছুক্ষণ পর বুঝলাম ঘটনার ঘনঘটা আরো গভীর! ছেলে তার মা আর বোনের জন্য কিছু একটা কিনেছে, অথচ মেয়েটাকে সে ওই টাকায় মোবাইল কিনে দিতে পারতো!! কেন সে তাকে মোবাইল কিনে দিলো না- ঝগড়ার বিষয়বস্তু ফ্রয়েডিয় দর্শনের মারপ্যাঁচ পেরিয়ে শেষে এই বাক্যে ঠেকেছে! ছেলেটা হাসিমুখে সব ঝাড়ি সহ্য করে যাচ্ছে দেখে অবাক হলাম! ভাবলাম তবে মেয়েটা বোধহয় স্বভাবগতভাবেই তার প্রেমিকের সাথে প্রতিদিন যে কোনো বিষয়ে রাগারাগি করে। আর ছেলেটাও বহুদিনের অভ্যাসে এখন সেটাকে খুব স্বাভাবিক এবং নৈমিত্তিক আচরণ বলে ধরে নিয়েছে! মেয়েটা বলেই যাচ্ছে, ‘’যেদিন তোকে লাথি মেরে ফেলে চলে যাবো সেদিন বুঝবি......*****......এখন তো খুব ****.........”এর মধ্যে বাসের মামা থুক্কু ড্রাইভার ভাই চলে আসলো [ আমাদের বাসের ড্রাইভারদের আবার ‘ভাই’ বলার নিয়ম হয়েছে, তাদের ‘মামা’ বললে তারা অপমানিত হন! তারা আমাদের ভাই হতে চান, আমাদের মায়েদের নয়!], মেয়েটাও বাসে উঠে গেলো।
সবচেয়ে অবাক হলাম বাসে উঠবার পর মেয়ের আচরণ দেখে! একটু আগেই যে মেয়েটা প্রচন্ড অভিমান আর রাগ দেখাচ্ছিলো তার প্রেমিকের সাথে, সে-ই আবার তার বান্ধবীদের সাথে খুব হেসে হেসে গল্প করছে! এবং গল্পের বিষয়বস্তু এই যে সে আজ তার প্রেমিককে খুব একচোট নিয়েছে! এটা নিয়ে বান্ধবীদের সাথে তার খুব কৌতুক হলো! বাস ছাড়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্তও ছেলেটা গোবেচারা মুখে বাসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। মেয়েটা হাসি-ঠাট্টার ফাঁকে এটাও দেখে নিয়েছে ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে কি না, এবং তাদের কৌতুকের বিষয়বস্তুতে এটাও বাদ পড়লো না যে ছেলেটা এত কিছুর পরও ‘তার একান্ত বাধ্যগত’!! আমি মনে মনে হাসলাম, ‘হায়রে প্রেম!’
কিন্তু সেই সাথে কিছু বিষয় আমার ভাবনাকেও খোরাক জুগিয়েছে! মানুষ আসলে প্রেম করে কেন? কোনো সম্পর্কে কেন জড়ায়? ভাবছি মেয়ে এবং ছেলে দু’পক্ষের কথাই! অনেক মেয়েকেই আমি এভাবে ভাবতে দেখেছি যে তাদের প্রেমিক তাদের জন্য সকল অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য! প্রেমিকের টাকায় মোবাইল কেনা, জামা-কাপড়-শাড়ি কেনা ইত্যাদি ইত্যাদি! যে প্রেমিক এসব চাহিদা ‘বলিবামাত্র মেটাতে অপারগ’ তারা আসলে প্রেমিকের পর্যায়েই পড়ে না! এই মেয়েগুলো প্রেম করে কিসের জন্য? একটা আর্থিক কোষাগার হিসেবে প্রেমিককে ব্যবহার করার জন্য? যতক্ষণ সেই ছেলে তাকে আর্থিক সেবা দিতে পারছে, দামি গিফট দিতে পারছে, যখন তখন শাড়ি-গহনা কিনে দিচ্ছে, দামী রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াচ্ছে, ততক্ষণ তার সাথে সম্পর্ক। আর একটু উনিশ-বিশ হলেই সেই সম্পর্ক ‘বিষময়’ হয়ে ওঠা! প্রেমিকেরা আবার কিছু মেয়ের কাছে ‘গাধা’র বিকল্প ভারবাহীও হয় বটে! বই-খাতা-জিনিসপত্র-শপিং ব্যাগ থেকে শুরু করে পারলে মেয়েটার হ্যান্ডব্যাগও কাঁধে করে বহন করা তার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য! তাদের আরেকটি একান্ত কর্তব্য সবসময় মেয়েটার সাথে সাথে সবজায়গায় উপস্থিত থাকা এবং ‘ব্যক্তিগত সহকারী’র মতো মেয়েটিকে পানি খাওয়ানো থেকে শুরু করে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কর্তব্য পালন করা! দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কোনো ভুল হলে চাকরি নট! এই মেয়েদের ‘ভালোবাসা’র অনুভূতির জায়গাটা আসলে কোথায়?
আমার হয়তো পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যায় ভুলও হতে পারে! তবে আমি বেশির ভাগ মেয়েদেরকেই এভাবে প্রেম করতে ও প্রেম বিষয়ে ভাবতে দেখি! ভার্সিটিতে যখন কমনরুমে গিয়ে বসি, তখন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মেয়েদের আড্ডায় অনেক ধরণের কথা শুনি। কার বয়ফ্রেন্ড কি করেছে, কি কিনে দেয় নাই, কি দিয়েছে, কোন মেয়ের দিকে তাকিয়েছে, কোন মেয়ের কথা বেশি বলে,কার এক্স গার্লফ্রেন্ড কি করেছে...ইত্যাদি ইত্যাদি! আমি খুব মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনতে এবং আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে চেষ্টা করি! বুঝতে চেষ্টা করি, কে কেমন ভাবে কি ভাবছে! তাতে দেখেছি, বেশির ভাগ মেয়েরই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো খুব বৈষয়িক! ‘কার প্রেমিক কত ভালো’-এরকম একটা প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা সবার মাঝে কাজ করে! যার প্রেমিক যত দামী মোবাইল গিফট করেছে সে তত বেশি রেটিং প্রাপ্ত! এই রেটিং এর মানদন্ড একদমই বৈষয়িক! ভালোবাসার মানদন্ডও তাই!!
এই প্রসঙ্গ নিয়ে লিখতে শুরু করলে অনেক কথা লেখা যায়! কিন্তু তাতে ব্লগ পোস্ট হিসেবে এর শারীরিক গঠন অনেক ভারী হয়ে যাবে! এমনিতেই অনেক বড় লিখে ফেলেছি। তবে এই প্রসঙ্গগুলো অনেক আলোচনার অবকাশ রাখে। সামাজিক এবং মনোবৈজ্ঞানিক দুই দৃষ্টিকোণ থেকেই।
সবার কাছে একটা প্রশ্ন – ভালোবাসার মানদন্ডটা ‘বৈষয়িক’ হওয়াটা আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে কতটা যুক্তিযুক্ত ???
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৩৭
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: সহমত।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৩৪
সন্ধ্যাগীত বলেছেন: বুঝলাম.........লেখার আছে অনেক কিছু ...বলার যে পাই না কিছু.............
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৩৮
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: বলার কিছুই নেই????
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৩৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আমি এমনও দেখেছি, একটা ছেলে তার একটা গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে ৫০০ টাকার ফ্লেক্সিলোড এনে অন্য গার্লফ্রেন্ড(ফিমেইল ফ্রেন্ড না, গার্লফ্রেন্ড) এর সাথে কথা বলে বন্ধুদের বলছে, এক গাড়ির পেট্রোল দিয়ে আরেক গাড়ি চালাই।
তো এখানে তো ছেলেটা মেয়েগুলোকে ডিমপাড়া হাস বানাচ্ছে, এবং সেধরনের ঘটনা অনেক ঘটছে।
সমাধান একটাই, পার্টনার নির্বাচন করার আগে ভেবে করা উচিত। এক্সাইটমেন্ট পুরন করতে কিবা নিজের দলিল করা একটা গাধা দরকার বলেই যে কাউকে লাইফে এন্ট্রি হতে দেয়া থেকে বিরত থাকা দরকার।
সবাই আশা করে তার পার্টনার হবে চমৎকার, দারুন, মনের মত এবং আনকোড়া, কিন্তু যেহেতু চারপাশে এসব উদাহরন কম দেখে তাই নিজেকে তৈরি রাখে এসব না পাবার ধাক্কা সামলাতে, তাই নিজেই মানসিক সিকিউরিটি রাখতে গোলমেলে ধরনের হয়, অনেষ্ট হয় না। এভাবেই চক্রটি চলছে। এসবের মাঝেও মাঝে মাঝে ট্রু লাভ দেখি, তখন ভাল্লাগে।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হা......ছেলে-মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই এরকম ডিমপাড়া হাঁস জাতীয় উদাহরণ অনেক আছে। চারপাশে সম্পর্কগুলো এত ফ্লেক্সিবল! আর এত ঠুনকো! এত ফাঁপা! ......এই চক্রটা ক্রমেই বড় হচ্ছে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে এর রূপ ভিন্ন, কিন্তু এসেন্সটা সবজায়গাতেই এক!
তার মাঝেও সত্যিকারের বোঝাপড়া আর শ্রদ্ধায় ভালোবাসার সম্পর্ক দেখে ভালো লাগে।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪০
নীল-দর্পণ বলেছেন: প্রেম মানেই মনে হয় ধোকা, ধান্ধাবাজী....
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫১
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: নর্মাল কার্ভ এর সর্বোচ্চ বিন্দুতে এখন প্রেম এর এই রূপেরই অবস্থান! কিন্তু বিশ্বাসী আর সত্য সম্পর্কের অবস্থান একদমই নিম্ন বিন্দুতে!! খুবই কম!
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: হুমম
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: খুবই জটিল অবস্হা। অবশ্য এটা মানসিকতার উপর নির্ভর করে।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: মানসিকতাটাই এমন হচ্ছে কেন?
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৬
আলঝেইমার ক্রিস্টোসান বলেছেন: আমি বুঝি না ঐ ছেলে তাহলে এখনো কিভাবে ঐ মেয়ের সাথে টিকে আছে। ঐ মেয়েকে আমি কোনো দোষ দেবো না, দোষ দেবো ঐ ছেলেকে যে সুযোগ দেয়েছে তার ঐ গার্লফ্রেন্ডকে তার সাথে এরকম বিহ্যাভ করার।
পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে ৩ নং মন্তব্য।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৭
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ধন্যবাদ।
হা, ছেলেটা যে তাকে সুযোগ দিয়েছে তা তো অবশ্যই......
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৯
মোতাব্বির কাগু বলেছেন: হুমমম
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:০৪
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৪
সিউল রায়হান বলেছেন: বৈষয়িকতা মানলে প্রেম শব্দটা'র প্রচলিত অর্থটা বেমানান.... কারণ যে ভালবাসায় কারণ থাকে সেটা কোন ভালবাসাই নয়.....
তবে যদি ভালবাসার সংজ্ঞায় বেশী ঢিল দেন তাহলে বলা যায় সেই ভালবাসা মানে সেটা শুধুই বন্ধুমহলে ভাব নিয়ে টাইম পাস..... বৈষয়িকতা প্রদর্শন এখানে খুবই ভাইটাল......
আর এগুলোর মাঝামাঝি যদি আসেন তাহলে বলা যায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের কাছে ভালবাসাকে রক্ষার্থেই কিছুটা বৈষয়িক হতে হবে.....
তাই আপনার প্রশ্নের উত্তরের সারমর্মে বলা যায়: টাইম পাস ছাড়া অন্য যেকোন রিলেশনে বৈষয়িকতা ভালবাসার মানদন্ডে প্রত্যক্ষভাবে আসবে না, আসবে পরোক্ষভাবে জড়িত ফ্যাক্টরগুলোর সাথে এবং বেশ ভালমতই......
পোস্ট ভাল লেগেছে........ প্লাস
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:০৫
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: সামগ্রিকভাবে আপনার সাথে একমত। ...
আর অবশ্যই ধন্যবাদ......
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৬
লুথা বলেছেন: আমার বেলায় এমন কিছু হয় নাই... ২০০৬ এ গার্লফ্রেন্ড আইপড দিছিলো ৩০ জিবি'র এবং ২০০৭ এ দিছিলো HP লাপি...যদিও আমি নিতে চাই নাই কিন্তু একবার ভালেন্টাইন্স ডে এবং অন্নবাদ জন্মদিনে উপহার হিসেবে দিছিলো... আমিও সৎ এবং আমার গার্লফ্রেন্ডও সৎ... কারো মনে খারাপ কিছু নাই... তাই ভেজালও নাই, প্রব্লেমও নাই... আমিও তারে মাঝে মাঝে নিজের সাদ্ধমতো গিফট করি... কিন্তু কিছু না দিলেই সে বেশি খুশি হয়... আমিও কিছু না পাইলে খুশি হই, কিন্তু কিছু না নিলে সে অভিমান করে, তাই নিতে হয়... লুল
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:০৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: এটা কিন্তু পারস্পরিক অনুভূতির জায়গা থেকে আসছে। আর আমি যেটা বলছি সেটা আসলে 'প্রদর্শনের' জায়গা থেকে আসে! ''এটা আমাকে ও গিফট করেছে, ওটা আমি ওর কাছ থেকে অনেক আভিমান করে আদায় করেছি.........এইরকম......সেইরকম......'' কিংবা, 'বয়ফ্রেন্ড হইসো, গার্লফ্রেন্ড হইসো, দিতে তুমি বাধ্য'' মানসিকতাটা তো আসলে ''ভালোবাসা''র মানসিক দিক্টার চেয়ে বৈষয়িক দিকটাকেই বেশি প্রকট করে তোলে!
আপনাদের কথা শুনে ভালো লাগলো। .........
১১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:০২
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: এই জিনিসগুলো এখন অনেকটা 'ভাইস-ভার্সা' হয়ে গেছে, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে উভয়ের পক্ষ থেকেই এই নোংরামীগুলো পরিলক্ষিত হয়।
তবে একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না (ক্ষমা প্রার্থনীয়), আমার ভালবাসার মানুষটির দীর্ঘদিন ধরে খুবই আর্থিক সমস্যা ছিলো, আমি তার সব খরচ বহন করেছি। এখন অবশ্য আমি চাই যে সে সলভেন্ট হোক, কিন্তু সে অপারগ ছিলো বলে আমি তাকে কখনো ফিরিয়ে দেইনি।
সঠিকভাবে জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী বেছে নিতে পারলে এবং সত্যিকারভাবে ভালোবাসতে পারলে এমন অবস্থা কখনো হবে না নিশ্চয়ই।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:১১
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো কিন্তু অনুভূতির গভীরতা থেকেই আসে। মানে, আপনার ব্যাপারটা নিয়ে বললাম। আর সঠিক সঙ্গী নির্বাচনের জন্য যারা নিজেদের কিংবা পারিপার্শিক অবস্থাকে সময় দেয় না, বরং 'প্রেম' করতে হবে চিন্তা থেকে সম্পর্কে জড়াচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু 'ভালোবাসি' অনুভূতির চাইতে 'একটা বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড হতে হবে' চাহিদাটাই বেশি তীব্র.........
১২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:১৭
জটিল বলেছেন: ভাল লাগল , কতরকমের কত কিছু দেখলাম ।
তবে এটাও দেখেছি কেউ যদি আরও বেশি ভাল কিছুর আশায় পার্টনার পালটায় , দেখা যায় যে চরম ধোঁকা খায় । কেউ অল্পেই তুষ্ট কেউ বেশিতে , কিন্তু পারস্পরিক সততা , বিশ্বস্ততার মূল্য সবসময়ে থাকলেও ... ক্ষণিকের মোহের মায়াজালে সব নশ্বর জীবনে এসব অতীব ঠুনকো ।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩০
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: কলিকাল বলে কথা, দেখার মতো আরো কত কিছু আছে! দেখে দেখে খালি অবাক হতে হয়।
১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐগুলা কোন প্রেম না। আর ঐ পোলাডা কুনো পুরুষের জাইতেরই না।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩০
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:২১
ফারহান দাউদ বলেছেন: বিষয়গুলাই বৈষয়িক হয়া গেসে,দেখলে যা মনে হয় আরকি। খানিকটা ফ্যাশান,খানিকটা দেখানি,যে আমার এতগুলা আছে বা আমি এইরকম পারি,আর এইটা একপাক্ষিক না। অনেকক্ষেত্রেই দেখসি একটা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড নাই বইলা পোলাপান রীতিমত হতাশায় ভুগে কারণ সে যুগের হাওয়া থাইকা পিছায়া গেল,কাজেই তাল মিলাইতে যেমনেই হোক একজনরে জুটানি দরকার। এইদিকে এই সুযোগটা সুযোগসন্ধানী কেউ নিল,সেইটাও অনেকটা অন্যদের চেয়ে নিজেরে একটু স্মার্ট বা অগ্রসর দেখানির একটা চেষ্টা। আসল স্মার্টনেস যে কই,সেইটা নিয়া লোকজন কনফিউজড কারণ রঙিন চশমা খুইলা দুনিয়াটা দেখার সময় আজকাল মনে হয় কারো নাই। আপনে হয়তো মেয়েদেরটা দেখসেন,এইদিকে আমরা দেখসি
ছেলেদেরটা। মানুষের চিন্তাভাবনা যখন মানবিক দিক ছাইড়া খালি লাভকেন্দ্রিক হইবো তখন সেইটা ঘটতে বাধ্য।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩১
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: সহমত।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ছেলেদের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খুব বেশি দেখেছি, 'মেয়েকে সুন্দরী হতে হবে, ফর্সা হতে হবে, লম্বা হতে হবে...বাপের টাকা-পয়সা-জায়গা-জমি থাকতে হবে! ...'বন্ধুমহলে যাতে বগল বাজানো যায় , 'দ্যাখ! কি পাইসি আমি!'..................অনেক ছেলের কাছেই মেয়েদের শারীরিক অবয়ব আর আর্থিক অবস্থান প্রায়ই সম্পর্কের মানদন্ড হতে দেখি!
১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:২২
ডালিম রুমী বলেছেন: আগে দিতাম
মাঝে নিতাম
এখন দেইনা
কিছু নেইনা।
হা হা হা আসলে পাইনা।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:২৪
একজন সুখীমানুষ বলেছেন: লেখাটা অসাধারন হয়েছে। এই ধরনের মেরুদন্ডহীন ছেলে দেখলে গায়ে জ্বালা ধরে। আর ছেলে অথবা মেয়ে যারা তাদের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড কে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে তারাও পরবর্তীতে তারাও কোন না কোন ভাবে এসবের শিকার হয়।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: একটা কথা ছোটবেলায় পড়েছিলাম, 'একজন ব্যক্তি যেই আচরণ করে, সেই আচরণই ফিরে পায়'। কথাটা বিশ্বাস করি, এবং জীবনে চলার পথে বার বার এটা সত্য হতে দেখেছি!
১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:২৫
রুবেল শাহ বলেছেন: পৃথিবীতে প্রেম টেম বইলা কিচ্ছু নাইকা.................. +
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪১
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: প্রেম আছে বৈকি! তবে সেই প্রেমের এখন দেখা মেলে না, বিলুপ্তপ্রায়।
১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:২৬
অদ্রোহ বলেছেন: এটাতো দেখি অনেকটা গোয়ালের গরুর মত অবস্থা,বেচারার ওপর যেভাবে চোটপাট করা হল তাতে তার সাথে কোরবানির গরুর কোনো পার্থক্যই খুঁজে পেলামনা।এই কলিকালে সাচ্চা যুগল কি আসলেই দুর্লভ?
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: দুর্লভ তো বটেই.........
১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:৪৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইখানে কিছু পয়েন্ট যদি ডিপিক্টারে লই তাইলে কিছু জিনিস ক্লিয়ার!
আমার এক দুস্ত দেখা হইলেই কইতাম গায়ে কত গোস্ত (যদিও গন্জ্ঞি খুললে মেডিকেলের পুলাপান কন্কাল মনে কইরা তুইলা নিয়া যাইবো) আমারে মাঝে মধ্যেই জ্ঞান না চাইলেও ভর ভর কইরা কইতো," যেই মাইয়া পয়লা ডেটেই চাইনিজ যাইবার চায় মনে করবি সে একটা বড় মানের ক্ষেত, জীবনে চাইনিজ খায় নাই দেইখাই তর পকেট কাটবো!"
আমি কইলাম," দুস্ত, পকেট কাটবো কেমনে, খাওনের পর তো আমার পকেট খালি থাকবো, তখন তো বিল ওরই দিতে হইবো!"
ও একটা ঠোকনা দিয়া কইতো," আরে মদনা, তখন ও তরে থুইয়া পলাইবো আর তুই ঐখানে ফ্রীতে মাইর খাইয়া দুইদিন থালা বাসন পরিস্কার আর মোবাইলটা বন্ধক দিয়া আইবি!"
সেই বন্ধু থার্ড ইয়ারে উইঠা একটা বিবাহিত মাইয়ার প্রেমে পড়লো, ফোর্থ ইয়ারে ঐ মাইয়া তালাক নিলো, পাশ কইরা বেকার অবস্হায় বিয়া করলো। চাকরীর দেড় বছরের মাথায় একটা সুন্দর পুচকি আইলো। যেহেতু দেশের চাকরির অবস্হাও ভালো না, সেহেতু ওর ৬ মাস ধইরা চাকরি নাই। মাগার ওর বৌ টিউশনি কইরা সংসার চালায়। একবার ওর বাসায় গেছিলাম, ওদের হ্রদ্যতা দেইখা মনে হইলো আল্লা কিছু মানুষের কপালে নছিব কথাটা লেইখা দিছে, যেইডা আমাগো মতো মাইনষের কপালে লেখে নাই!
অখন কন, আপনি কি আমার জবাব পাইছেন?
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
২০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ২:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি তো মনে করি ভালবাসা ও ত্যাগ মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। কি পাব সেটা না ভেবে কি দেব সেটা ভাবলেই সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি দুজনেরই এই মনোভাব থাকে। তাহলে সেই সম্পর্ক মধুর হয়ে ওঠে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কেবল খাই খাই স্বভাবের হলে সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না। এটা কেবল প্রেম নয়, দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খাটে।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৬
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: সহমত।
২১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ৩:২১
সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: আমি প্রেমে পড়ার পক্ষে, প্রেম করার নয়। বিশুদ্ধ প্রেম হচ্ছে সেটাই যা বৈষয়িক চিন্তা থেকে একেবারেই মুক্ত। এরকম প্রেমের দেখা যদি না পাই জীবনে, তবে একা একা পথ চলাকেই শ্রেয় মনে করি।
লেখিকার অবজারভেসানের সাথে একমত।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ''বিশুদ্ধ প্রেম হচ্ছে সেটাই যা বৈষয়িক চিন্তা থেকে একেবারেই মুক্ত। এরকম প্রেমের দেখা যদি না পাই জীবনে, তবে একা একা পথ চলাকেই শ্রেয় মনে করি।''- সহমত।
২২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ ভোর ৪:২৬
সাব্বির শাহরিয়ার বলেছেন: ভালোবাসা যে কি?
আমার গার্লফ্রেন্ড ১.৫ বছরে আমার পিছনে প্রায় ১৫০০০০ টাকা খরচ কইরা আমারে ছাইরা চইলা গেল।
বুঝতে পারলাম না, এত টাকা ভালোবেসে খরচ করছে নাকি ভুল করে।
খুশি হব নাকি কষ্ট পাবো তাও বুঝলাম না।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন:
২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:২০
বজ্রনিনাদ বলেছেন: সোজা বাংলায় বলি,এই মেয়ে ওই ছেলেকে ভালোবাসে না,এটা ওর খেলা। তবে যারা এমন হয় তাদেরকে জীবনে কোন এক সময় অনেক আফসোস করতে হয়।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৮
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......
২৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫১
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ভালো অবজারভেশান। অনুমান ছিলো, কনফার্ম হইলাম। এদের ক্ষেত্রে জিনিসটা বিয়ার পরও কনটিনিউ করে
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ১০:২৫
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হা...ঠিক বলেছেন।
২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: হা হতোম্মি!
জীবনে আর প্রেম হইলো না!
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন:
২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
যীশূ বলেছেন: সবাই তো আর এক রকম না!
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২৯
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......কিন্তু বেশিরভাগটাই কেন এমন যে তাদের ব্যাপারগুলো মেনে নেয়া যায়না মানবিক যুক্তিবোধের জায়গা থেকে?
২৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮
যীশূ বলেছেন: আসলে সবকিছুই তো সংস্কৃতি আর চর্চা। আসলে মানুষে মানুষে সম্পর্কগুলো কেমন হওয়া উচিত এ নিয়ে আমরা কথা বলি খুব কম। একজনের সাথে আরেকজনের সম্পর্ক নিয়ে আসলে কথা বললে তা অনেকে পারসোনাল বিষয়ে ইন্টারফেয়ার হিসাবে নিয়ে নেয়। কিন্তু এতে দিনে দিনে আমাদের সম্পর্কগুলো আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: হুমম......ঠিক কথাই বলেছেন। একমত।
২৮| ০৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:১১
ফারহান দাউদ বলেছেন: "'বন্ধুমহলে যাতে বগল বাজানো যায় , 'দ্যাখ! কি পাইসি আমি!'. "
ব্যাপার কিন্তু ঐ একই,শো অফ। সবখানে একটা শোপিস নিয়া ঘুইরা বেড়ানি,ফ্যাশান আরকি। যে যা খুঁজে,তাই পায়,এইটাই হইলো কথা।
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৩
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: কিংবা যে যেমন সে আসলে তেমন্টাই খোঁজে!.........
২৯| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৮:৪২
নীরজন বলেছেন: প্রেম ভালোবাসার মধ্যে সবকিছুই নির্ভর করে বিশ্বাস এর উপর। আমার না থাকলে সে দিবে আর তার না থাকলে আমি দিব। কিন্তু এইটা হবে একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত বিষয়..........অন্য কারো সামনে এইটা নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের সম্পর্ককে অপমান করা....................আমার কাছে এইটাই মনে হয়।
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ''অন্য কারো সামনে এইটা নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের সম্পর্ককে অপমান করা....................আমার কাছে এইটাই মনে হয়''
আমারও তাই মনে হয়।
৩০| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
চাঙ্কু বলেছেন: প্রেম কিতা হেইডাই জানি না। তাই এই লেখা পড়ে কিছু বুঝলাম না
আফসুস
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:০৯
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ........
৩১| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনার ঘটনায় আমি দোষ পুরাই ছেলেটার ঘাড়ে চাপাব। ছাগলটা একটা অপদার্থ।
যদি এমন হত, মেয়েটা যা করছে ছেলেটাকে লুকিয়ে করছে, তখনই মেয়েটার দোষ দিতাম। কিন্তু, ও ত ওপেন ছেলেটাকে গালিগালাজ করছে, আর ছেলেটা সহ্য করছে। নির্লজ্জ পোলা।
দোস্তদের কাছে ভাব নেয়ার জন্যেই শুধু এই মেয়েটার সাথে ঘুরে। এই মেয়ে আমার সাথে ২ দিন থাকলে ওর শিক্ষা হত।(আল্লাহ না করুক, আমি ওর সাথে থাকতে চাই না।)
০৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯
প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: ছেলেটার সাইকোলজি নিয়েও আমি ইন্টেরেস্টেড, কিন্তু তাকে নিয়ে ভাববার মতো উপাদান তো খুব বেশি পাইনি কিছু আচরণ ছাড়া!
৩২| ০৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আপনার বর্ননা পড়ে আমার যা মনে হলো তা এইরকম ---
মেয়েটা একেবারেই অপরিপক্ক মানসিকতার অধিকারিনী তা না হলে ছেলেটা এমনভাবে সবকিছু হাসি মুখে মেনে নেয়াটার আসল কারন সে বুঝতে পারতো .... আর ঐ দিকে ছেলেটা অল্পে কিছু বলা মানুষ না , তার এই পরিবর্তন আস্তে আস্তে হয়েছে এবং সে নিজেকে যে পরিবর্তিত রূপে সে সময় মেয়েটির সামনে দাড়িয়েছিলো তা ক্ষনস্হায়ী নয়, বরং দীর্ঘস্হায়ী ... সেইসাথে আরো একটি কথা বলা যায়, মেয়েটি খুব ছোটখাটো বিষর নিয়ে ছেলেটির সাথে ব্রেক আপ করতে পারে কিন্তু এক না এক দিন সে অবশ্যই মুখে বলুক আর না বলুক ছেলেটির কথা স্মরন করবে ... অন্যদিকে ছেলেটি সহযে ব্রেকআপ না করলেও যদি কখনো করে তবে সেটা চুড়ান্তভাবেই করবে , আর কখনো ফিরে তাকাবে না ...
দু জনের মাঝে মনের টানে যদি কোন সম্পর্ক তৈরী হয় তবেই সেটাকে প্রেম বলা যায় ..... সেই সাথে, দু জনের নিজেদের মাঝে আন্ডারস্ট্যান্ডিং যদি না থাকে তবে তাকে কোনভাবেই ভালোবাসার সম্পর্ক বলা যায় না .... আর যদি কোন কিছু পাওয়ার আশায় কেউ এমন সম্পর্ক তৈরী করে, তাকে কপট বলা যায় প্রেমিক - প্রেমিকা না ।
৩৩| ০৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫
মাজেদুল ইসলাম বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষন,আসলে এই যুগে বেশিভাগ ছেলে-মেয়ে দুই নম্বর। ভালবাসা কি জিনিস এইটা তারা অনেকেই জানে না। বই-পত্র পড়ার অভ্যাস নাই, হিন্দি ছবি আর স্টার প্লাসের সিরিয়াল দেখা মেয়েরা কতটুকুইবা মানবিকবোধ সম্পন্ন হবে? আসলে আমাদের সমাজটায় ঘুন ধরেছে। শুধু প্রেম না সবখানেই দুই নম্বরি। দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত সেই শিক্ষা মানুষকে সৎ করতে পারছে না।
দুষ্ট গরুর যে শূন্য গোয়াল ভাল তাই,শুন্যতার মাঝে বসবাস করি,একলা চলি।
Click This Link
৩৪| ০৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩
আকাশ অম্বর বলেছেন: দাসপ্রথা !
৩৫| ০৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:২১
ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
+
সব প্রেম একরকম হয় না।
সিরিয়াসলী কোন প্রেমে জড়ানোর আগে প্রেমের মেরিট যাচাই করা গুরুত্বপুর্ন, আর কার সাথে জড়াচ্ছি সেটা বুঝে নেয়া ও তাকে রিড করতে পারাটা দরকার।
রন্টি চৌধুরীর করা এই মন্তব্যের সাথে আমিও একমত।
৩৬| ০৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
কালপুরুষ বলেছেন: লোক দেখানো প্রেম আর প্রাপ্তি নির্ভর প্রেম কখনো টেকসই হয়না। নেহায়েত গাধা না হলে এমন সম্পর্ক কেউ টিকিয়ে রাখেনা। কারো প্রতি অতিরিক্ত মোহ ভালবাসা না হয়ে মানসিক বিকারে রূপ নেয়। আর একপক্ষ সেটাকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে। আর মোহগ্রস্থ মানুষ সময়ে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে আর বিকারগ্রস্থ মানুষ কখনো সুস্থ প্রেম চিন্তা করতে পারেনা। মানসিকভাবে যেহেতু তারা দুর্বল তাই বাস্তবকে ফেস করতে ভয় পায়। সেই ছেলে বিয়ের পরেও কখনো মাথা তুলে কথা বলতে পারবেনা। সেক্ষেত্রে কখনোই তাদের এমন মেয়েকে বিয়ে করা উচিৎ নয়। আর এর পরিণতি হিসেবে তাদের ঘরে যে সন্তান আসবে সেও একরকম মানসিক রোগেই আক্রান্ত হবে, অল্পতেই ভয় পাবে- ব্যক্তিত্ব বলে কিছুই থাকবেনা। বাস্তবে দেখা এমন অভিজ্ঞতা ও সমাজ দর্শন এমনটাই ব্যাখ্যা দেয়।
৩৭| ০৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
ঋফায রহমান বলেছেন: আরেকটা প্লাস।
তবে এখানে আমার যেটা মনে হচ্ছে যে এখনকার এ ধরণের সম্পর্কগুলোকে সত্যিকারের ভালবাসার সংজ্ঞার মধ্যে ফেলা যায় না।
আসলেই কি যায়?
এটা তো এক ধরণের কি বলব......বলার ভাষা তো খুজে পাচ্ছি না।
৩৮| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:২০
বটগাছ বলেছেন: +
আপাতত হাতে সময় নেই। তবে আমার মতে প্রেম ‘বৈষয়িক’ হতে পারে, ভালোবাসা নয়। লেখা ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।
৩৯| ১২ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
হাদিউজ্জামান বলেছেন: প্রেমের মিথস্ক্রিয়া সবসময় জটিল, কিন্তু সেই জটিল সমিকরনের গলি ঘুপছি পেরিয়ে প্রেমের বর্তমান যে রুপ, তা নিতান্তই বৈষয়িক এবং আশংকাজনক।
আপাত হাস্যকর এই মহামারি নিয়ে কথা বলার এখনি সময়।......... বিষয়টি সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ............
৪০| ১৪ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কি জানি! আমিতো আমার ভালোবাসার মানুষটির কাছে বৈষয়িক এমন কিছুই চাইনি......শুধু সুখে দুখে/ কাছে-দূরে আমার পাশে/আমার সাথে আছে...থাকবে...এটাই উপভোগ্য মনে হয় আমার কাছে!
৪১| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:১৪
মোঃ সাকিব আল মাহমুদ বলেছেন: দারুন। দেখি লেখাটা প্রিন্ট করে, ক্লাসে শেয়ার করা যায় কিনা।
আমার কথা হচ্ছে, যে ছেলে (সবাই না, অবশ্যই), বাবার কষ্টের টাকায় "প্রেম করা" বা "গিফট" দেওয়া, নেওয়া, "রেস্ট্ররেন্ট" এ খাওয়া, আগ বাড়িয়ে "বিল" দেওয়া, বিভিন্ন রোমান্টিক স্থানে ঘুড়তে যাওয়া, এইটা তো ঠিক না। আমি কত বন্ধু দেখছি্। টাকা ধার করে গার্লফ্রেন্ড এর পিকনিক এর টিকেট কিনে দেয় আর থাকে মেসে। আবার আছে সেমিস্টার ফি। আজীব! এদের কে বুঝিয়েও কোন লাভ হয় না। আর "মেয়ে" (সবাই না, অবশ্যই), অনেকে এই ব্যাপার গুলা খুব এনজয় করে।
রেসপনসিবিলিটিস এর যে ফেক্টোর টা আছে, আমাকে বাবাকে একটু সাহাস্য করতে হবে, মা আজকে কি কি করলো, একটু আড বাড়িয়ে খোজ খবর নেওয়া, সময় পেলে মার সাথে আড্ডা, গরমে মাকে একটু হাত পাখার বাতাস খাওয়ানো, বোনের সাথে টপিকস ছাড়া গল্প করা, আত্নীয় সজ্বনের খোজ-খবর নেওয়া, প্রতিবেশি বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে আড্ডা, "প্রেম করারা সময়" আর কিন্তু থাকে না। তবে "সমালোচনা" যদি এই সব কিছুর মাঝে থাকে, তবে সব শেষ। শান্তি থাকবে না।
এহ! অনেক দিন পর বাংলা লিখলাম, রেনডম লিখছি, রিদম ছাড়া, দু:খিত।
৪২| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৫৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আগুন পোস্ট, সরাসরি প্রিয়তে। ৪/৫ বছরের ব্যাচেলর বিদ্যা অর্জনের সময়ে টিউশনির টাকার শতকরা ৫০ ভাগ জিএফের হাতে তুলে দেয়া আর ফুট ফরমায়েশ খাটার পর RAG ঠিক দু দিন আগে 'বিকট' অজুহাত তুলে সটকে পড়ার কাহিনীও ব্যাপক। মেয়েদের হাত খরচ তোলার ভাল মাধ্যম হয়েছে বি এফ বাগিয়ে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে প্রেমের অভিনয় করে যাওয়া। শেষে আব্বু আম্মুর পছন্দমত ছেলের গলায় মালা পরানো।
পুনশ্চ:: হালের ডিজুস যামানার হুজুগে মামা সম্বোধনটা আমার কাছেও ভীষণ আপত্তিকর। যাকে তাকে মামা না ডেকে সহজ সরল ভাই ডাকলে কি সমস্যা?
৪৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫০
নিশ্চুপ নিরবতা বলেছেন: পুরোটা পড়তে পারিনি। যতটুকু পড়লাম তাতে বিষয়বস্তু বুঝেছি। শুধু বলব তথাকথিত আবেগহীন প্রেম শুধু প্রেমই, তা "ভালবাসা"র আওতায় আসে না! আর এ ধরনের আচরন ছেলেদেরও করতে দেখেছি, সেক্ষেত্রে মেয়ে বেশি আবেগী হয় এবং ছেলেটির প্রতি ভীষণভাবে দুর্বল হয়।
এখন এ ধরনের ভিত্তিহীন সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখন এটা স্ট্যাটাস এর মত হয়ে গেছে। যেন একটা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড থাকাই লাগে!! না থাকলে কেমন দেখায়!! খাওয়া, ঘুমানো এর মতই যেন একটা অ্যাকটিভিটি!!! আবেগের স্থান নেই সেখানে।
তবে এর ব্যতিক্রম(যেমনটা হওয়া উচিত) যে নেই তা নয়। তবে সেরকমটা বিরল হয়ে পড়েছে। মানুষের বোধশক্তির উন্নততর বিকাশের অপেক্ষায় থাকলাম।
৪৪| ২২ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
গুহামানব বলেছেন: ভালোবাসা এক অন্তহীন দড়ি টানাটানি খেলা রে ভাই,
তবু
কিছু কিছু প্রেম দেখে আজো ভালো লাগে,
বিষয়ের লোভ ভুলে বাঁধা অনুরাগে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১:২৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সব প্রেম একরকম হয় না।
সিরিয়াসলী কোন প্রেমে জড়ানোর আগে প্রেমের মেরিট যাচাই করা গুরুত্বপুর্ন, আর কার সাথে জড়াচ্ছি সেটা বুঝে নেয়া ও তাকে রিড করতে পারাটা দরকার।