নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
গতপরশু নবীনগর থেকে ঢাকায় ফিরতেছিলাম। সাভার পার হতেই হঠাৎ টিউ শব্দ কানে এলো। বাসের ভিতর পাখির শব্দ কোথা থেকে এলো সেটা দেখার জন্য কৌতুহলী চোখ নিয়ে ডান পাশের সিটের দিকে তাকিয়ে দেখি বিশ বাইশ বছর বয়সের একটি ছেলে জিন্সের প্যান্ট পরে বসে আছে, তার রানের উপর একটি টিয়া পাখি। পাখিটি কয়েকবার টিউ টিউ করলে ছেলেটি একটি ছোট্ট কৌটা থেকে ভিজানো ছোলা বের করতেই পাখিটি ঠোট এগিয়ে দিল।
ছেলেটি দুই আঙুল দিয়ে ছোলা ধরতেই পাখিটি ঠোট দিয়ে ছোলা নিয়ে খেতে লাগল। ছোলা খাওয়া শেষ হতেই পাখিটি টিউ করে উঠে ছেলেটি সাথে সাথে একটি করে ছোলা আঙুল দিয়ে ধরে এগিয়ে দেয়। এভাবে ছোলা খাওয়া শেষ হলে পাখিটি আর টিউ শব্দ করে না। বোঝা গেল পাখিটির পেট ভরেছে। ছেলেটির পাখি প্রেম দেখে খুব ভাল লাগল। ফার্মগেট নামার সময় পাখিটি ঘাড়ে তুলে নিল। পাখিও যেন বন্ধুর ভালবাসায় দুর্বল, ঘাড়ে চড়ে চুপ করে বসে থাকল। ছেলেটি বাস থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছে পাখিটি তার কাঁধেই বসে আছে। পাখি এবং মানুষের মাঝে এই বন্ধুত্ব দেখে আশ্চার্যই হলাম।
১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
প্রামানিক বলেছেন: ছোলা ছেলেটার হাতে টিয়া পাখির গালে। ধন্যবাদ
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
জুন বলেছেন: আমার বাসার পাশ দিয়ে প্রতিদিন ৪টে টিয়ে উড়ে আবার গাছে বসে সাথে চলতে থাকে তাদের টিউ টিউ চেচামেচি ।
ছেলেটার কথা জেনে খুব ভালোলাগ্লো যে পাখিটিকে ছোট্ট খাচায় বন্দী করেনি ।
১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
প্রামানিক বলেছেন: খোলা অবস্থায় পাখি যে এমন পোষ মেনেছে দেখে আশ্চার্যই হলাম। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল লাগল ।ধন্যবাদ
১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাবন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
সেলু বলেছেন: ভালো লেগেছে
১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলু। অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: ৯৮-৯৯ এর দিকে নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রচন্ড ঝড়েরর কবলে পড়েছিলাম। ঝড়ের পরে বাগানে ঘুরতে গেলে একটা আহত পাখি পাই। পরবর্তীতে পাখিটির সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। খাঁচায় নয় খোলাই রাখতাম। মনে আছে হাতে নিয়ে মরিচ খাওয়াতাম। পরে অবশ্য পাখিটি উড়ে চলে যায়। তখন নিজেকে পাঠ্য বইয়ের ঝগড়ুর সাথে তুলনা করে সান্তনা দেই। তারপর থেকে আর পাখি-টাখি পোষা হয়নি আজ অবধি।
১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাম প্রকাশে ইচছুক নহে। আপনার দেয়া বর্ননা ও মূল্যবান মন্তব্য ভাল লাগল। সব পাখি নিজের মত করে পোষ মানতে চায় না। আপনি পোষ মানাতে পেরেছিলেন জেনে খুশি হলাম।
৬| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমারও এই রকম একটা টিয়া পাখি ছিল। আমার সঙ্গে থাকত। কিন্তু এক দিন আমার পোষা বিড়ালটা টিয়া পাখিটাকে খেয়ে ফেলে।
১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লেখাজোকা শামীম। বিড়ালের কারণে অনেক কিছুই পোষা যায় না। আমার বাবার পোষা কবুতুর বিড়ালে খেয়ে ফেলায় বাকীগুলো ভয়ে আর খোপে ঢোকে নাই। পরে এমনি এমনি সব উড়ে গেছে। আপনিই দেখি বিড়ালের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত। শুভ্চেছা রইল।
৭| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
কাবিল বলেছেন: আমার একটা টিয়া পাখি ছিল। আমাদের পরিবারের ৪/৫ জন সদস্যের নাম ধরে ডাকতে পারত। ছেড়ে দিলে গাছে গাছে ঘুরে বেড়াত ঠিকই কিন্তু ক্ষুধা লাগলে নেমে আসত। কারন প্রাকৃতিক খাবার খেতে অভ্যস্ত ছিল না।
৭/৮ বছর পরে একদিন হঠাৎ করেই মারা গেল। তারপর অনেক গুলো এনেছি কিন্তু পোষ মানাতে পারিনি।
আপনার পোস্ট পরে আমার সেই স্মৃতি গুলো মনেপরে গেল।
১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। সব পাখি নিজের মত করে পোষ মানতে চায় না। যেটা পোষ মানে ভাল ভাবেই মানে। আপনার টিয়া পাখি পালন করার কথা শুনে ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।
৮| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর বন্ধুত্ব।
১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পাখি প্রেম ভালো লাগলো।
মানুষের সাথেই পশুপাখির বন্ধুত্ব হয়।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১০| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো ঘটনাটা শহীদ ভাই!
বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হোক সকলের মাঝে।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকর দা। অনেক অনেক শুভ্চেচা রইল।
১১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পাখি পালার অভ্যাস আমার ছিল।
তাই পাখি প্রেম কি আমি তা খুব ভাল করেই জানি
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফেরদৌসা রুহী। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১২| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫০
একলা ফড়িং বলেছেন: বাহ! দারুণ তো! এমন সচরাচর দেখা যায় না। সবাই খাঁচায় বন্দী করেই পাখিকে ভালোবাসতে চায়, যেটা আমার কাছে খুব অমানবিক মনে হয়।
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই একলা ফড়িং। আপনার মূল্যবান মন্তব্য ভাল লাগল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:০০
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: লেখাটিপড়ে আফসোস হচ্ছে ইশ মানুষও যদি এমনি হতো!
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ লীন প্রহেলিকা। আসলেই মানুষ যদি এই পাখিটির মত সবসময় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতো তাহলে মানুষে মানুষে এত গন্ডগোল হতো না।
১৪| ১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার পাখিপ্রেম ।
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কলমের কালি শেষ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
আমি আরিফুল ইসলাম বলেছেন: পাখি প্রেম ভাল ।কিন্তু পাখিদের একটি অভ্যাস হল পালিয়ে যাওয়া ।
Lawsteer
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমি আরিফুল ইসলাম। কথা ঠিকই বলেছেন, পাখি খাঁচা থেকে বের হলেই আর ফিরে আসে না। কিন্তু এই পাখিটি খাঁচায় বন্দী না করেই লালন পালন হচ্ছে তাই মনে হয় পালিয়ে যাবে না।
১৬| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১২
রূপা কর বলেছেন: খুব সুন্দর প্রেম +++্
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুপা কর। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০১
সুমন কর বলেছেন: খুব ছোটবেলা বাসায় টিয়া পাখি ছিল, তখনকার কথা মনে পড়ে গেল। এমন বন্ধুত্বই কাম্য।
১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। আমার পোষ্ট করা লেখা এবং ছবি দেখে আপনার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যাওয়া খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ১৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
মনিরুল হাসান বলেছেন: কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাখিটি উড়ে যাচ্ছে না দেখে আশেপাশের মানুষ যখন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, ছেলেটি নিশ্চয়ই তখন মনে মনে খুব গর্ব বোধ করে।
১৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: জি ভাই, কথা ঠিকই বলেছেন। তার এই পাখি পালন গর্ব করার মত। তার হাত থেকে যে ভাবে ছোলা নিয়ে নিয়ে খাচ্ছিল আমি দেখে তো অবাক। খাঁচায় আবদ্ধ না করেও পাখিটি তার পোষ মেনেছে এটা ছেলেটির গর্ব করার মতই একটি বিষয়।
১৯| ১৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
বটের ফল বলেছেন: মনে পড়ে গেলো মন্টি'র কথা। আমাদের পোষা টিয়া ছিল। নিয়ে এসেছিলাম এক্কেবারে ছোট্টটি থাকতে। তখন ওর চোখ ফোটেনি। আমিও ছোট ছিলাম তখন। ও খেত আমাদের সাথে টেবিলে। ওর একটা আলাদা বাটি ছিল। ওতে না দিলে মন্টি'র সে কি অভিমান !!!!!! একবার রাগ করলে আর খাওয়ানো যেতনা। রাতে ঘুমাতো আব্বুর সাথে, বিছানায়। রাতের খাবার পর ঘুমাবার আগ পর্যন্ত আমার সাইকেলের কেরিয়ারটাই ছিল ওর রাজ্য। যখন ঘুমানোর সময় হতো, আব্বু একটা ডাক দিত, মন্টি সাইকেল থেকে নেমে বিছানায় চলে যেত। আমাদের সাথে খেলতো, , আরো কত কি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শেষমেষ একদিন এক কুকুরের কামড়ে সব শেষ !!!!!! কবর দিয়েছিলাম বাড়ির কামিনী গাছের নিচে ।
মনে পড়ে গেল আবার সব । ও ছিল আমাদের পরিবারের একজন।
ভালো থাকবেন অনেক বেশি।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩০
প্রামানিক বলেছেন: পাখি পোষার চমৎকার কাহিনী শোনালেন ভাই। এরকম পোষা পাখি খুব একটা চোখে পড়ে না। অনেকেই খাঁচায় বন্দী করে রাখে সেটা বন্দী থাকে বটে পোষ মানে না। পাখি ছেড়ে দিলে যদি দুরে না গিয়ে কাছে কাছে থাকে সেটাই হলো আসল পোষা পাখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:০৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই বোবা প্রাণীদের ভালবাসার বন্ধনটা এতই গভীর যে আসলেই মনে দাগ কেটে যায়। অসাধারণ পোস্ট। ভাই খুবই ভাল লেগেছে।
১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: টিউ টিউ টিউ
ছোলা কৈ ????