নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর কষ্টের চিঠি

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

ক্ষতিরন্নেসা,
প্রিয়তমা বলে সম্বোধন করা আজ আর আমার পক্ষে সম্ভব হলো না। তাই তোমার নাম ক্ষতিরন্নেসা লিখেই আজকের চিঠি লেখা শুরু করতে হলো। কারণ দু’বছর পূর্বেই তোমার আমার মাঝে সে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তোমার কাছে আমার চিঠি লেখা উচিৎ নয়, তবু মনের জ্বালা মিটানোর জন্য দু’টি কথা লিখছি। যদি এ চিঠি তোমার হাতে পৌঁঁছে, তবে তুমি পড়বে কিনা জানিনা, তবে আমি আমার মনের দুঃখ, কষ্ট, বেদনা কিছুটা লাঘব করার জন্য এ কাজটি করছি।

অনেক ভালবেসে তোমাকে বিয়ে করেছিলাম। বাবা-মায়ের এ বিয়েতে মত ছিল না। তাদের অজান্তেই বিয়ে করে ফেলি। বাবা বিয়ের কথা জানতে পেরে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল। তোমার বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। দু’বছর পর বাবা মারা গেল। কিছুদনি পর আমাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নিল। মা নাতীর মুখ দেখে খুব খুশি হয়ে অতীত ভুলে গেলেন। নাতীর মায়ায় মা আমাদেরকে নিজের বাড়ি নিয়ে এলেন। কিন্তু আমার বাড়ি ফিরে আসা ভাইয়েরা বাধা না দিলেও তোমাকে তারা সহ্য করতে পারল না। একসময় এসব নিয়ে ভাইয়েদের সাথে আমার মনোমালিন্য শুরু হলো। জমিজমা ভাগ করে তারা পৃথক সংসার করল। আমিও পিতার সম্পত্তির তিন বিঘা জমি ভাগ পেয়ে সংসার আলাদা করে ফেললাম।

তুমি মায়ের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতে। তা সত্বেও নাতীর মায়ায় পরে মা আমাদের কাছেই থেকে গেল। শুধু আমার ছেলেটির কারণে তোমার শত অত্যাচার মা সহ্য করতে লাগল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরেকটি পুত্র সন্তান আমাদের ঘরে এলো। কিছুদিন পর মা মারা গেল। মারা যাওয়ার কিছুদিন পূর্বেই মা তার নামের সমস্ত সম্পত্তি আমার দুই ছেলের নামে লিখে দিয়ে গেল।

বিয়ের সময় তুমি ক্লাস সিক্সের ছাত্রী ছিলে। লেখা পড়ায় মনোযোগী ছিলে না বলে সিক্স পাস করা তোমার পক্ষে সম্ভব হয় নাই। যুদ্ধের পরে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার একটা সুযোগ এলো। তোমার নামে ফরম ফিলাপ করে তোমার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর লেখা তো দুরের কথা প্রশ্ন বোঝারও ক্ষমতা তোমার ছিল না। যুদ্ধোত্তর দেশে পরীক্ষার হলে কোন প্রকার কড়াকড়ি না থাকায় তোমার খাতায় আমি প্রশ্নের উত্তর নিজ হাতে লিখে দিলাম। তাতে তুমি ২য় বিভাগে পাশ করেছিলে।

দু’বছর পর পরিবার পরিকল্পনায় চাকরির সুযোগ এলো। কিন্তু ইন্টারভিউয়ে তুমি কিছুই উত্তর দিতে পারলে না। কারণ তোমার লেখাপড়ার দৌড় কতটুকু তাতো আমি জানি। তাই ভাগে পাওয়া পৈতৃক সম্পত্তি তিন বিঘা বিক্রি করে ঘুষ দিয়ে তোমার ইন্টারভিউয়ে পাশ করার ব্যবস্থা করি। তুমি পাশ করে চাকরী পেলে। বাকী জমিটুকুও বিক্রি করে তোমার একবছরের ট্রেনিংয়ের খরচ বাবদ দিয়ে দিলাম। কারণ, আশা ছিল ট্রেনিং শেষে চাকরীতে জয়েন করে বেতন পাওয়ার পর আমাদের আর কোন কষ্ট থাকবে না। তোমার বেতনে দু’টি সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে পারবো। এই আশায় বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি শেষ করে তোমার চাকরীর ব্যবস্থা করেছিলাম।

একবছর পর ট্রেনিং শেষ হলো। তুমি আমাকে খবর দিলে প্রথম বেতনের টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি খুশি হয়ে শহরে চলে গেলাম। তুমি প্রথম বেতনের টাকায় বাজার করে খুব ভাল ভাল রান্না করে খাওয়ালে। তোমার হাসিমাখা আদরে পৃথিবীটা যেন স্বর্গের মত মনে হলো। তোমার প্রত্যেকটা কথাই আমার কাছে অমৃত মনে হতে লাগল। আমি আমার অতীতের সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে সুখের স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। পুরো পৃথিবীটাই আমার কাছে স্বর্গ মনে হলো। আমি স্বর্গ সুখের হাওয়ায় ভাসতে লাগলাম।

আসার সময় আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে দিলে। আমি খুশি হয়ে টাকাগুলো না গুনেই পাঞ্জাবীর পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। বিদায়ের সময় তুমি নিজ হাতে আমার পাঞ্জাবীর পকেটে একটি হলুদ খাম ঢুকিয়ে দিয়ে বললে, ‘এটা কিন্তু রাস্তায় খুলবে না, তোমার জন্য একটা চমক দিয়ে দিলাম’। মাথায় হাত দিয়ে কসম করিয়ে বললে, বাড়ি না যাওয়া পর্যন্ত যেন হলুদ খামটি না খুলি। আমি তখন তোমার ভালবাসায় মুগ্ধ, তাই তোমার সব কথা বিশ্বাস করে হাসি মুখে বিদায় নিলাম। তোমার দিব্যি অনুযায়ী হলুদ খামটি রাস্তায় ছুঁয়েও দেখলাম না।

বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হলো। শোয়ার সময় ঘরে আলো জ্বালিয়ে তোমার চমক হলুদ খাম খুলে চমকে উঠলাম। সত্যিই চমক বটে! নীল কাগজে সরকারী ফরমে তোমার দস্তখতকৃত একখান তালাক নামা। চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার ভাইয়েরা আমার মাথায় পানি ঢালছে।

পরদিন ঘটনাটি পুরো গ্রাম ছড়িয়ে গেল। আমি লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারলাম না। আমার নামছিল আহম্মদ আলী সবাই ডাকতে লাগল আহম্মক আলী। সাত গ্রামের লোক এখন এই নামেই চেনে। পরে ছেলে দু’টাকেও তুমি তোমার বাপের বাড়ি রেখে দিলে। দু’মাস পরে খবর পেলাম ট্রেনিং চলা অবস্থায় তুমি তোমার অফিসারের সাথে প্রেমে মত্ত হয়েছিলে। চাকরিতে জয়েন করার পর সেটা বাস্তবায়ন করেছো। আমি নিঃশ্ব হলেও তুমি অনেক সুখী হয়েছো। অফিসার স্বামীর সাথে ঘুরে বেড়াতে তোমার গর্বে বুক ফুলে যায়। বেকার স্বামীর পরিচয় আর দিতে হয় না।

কত যে নিঃস্ব আমি সেটা তোমাকে বললে লাভ হবে কিনা জানিনা। তোমার কারণে পৈতৃক জমি হারালাম, তোমাকে হারালাম, দাদার দেয়া নিজের নামটা হারালাম, সন্তানগুলোও হারালাম। নিজের সন্তানদের সামনে গিয়ে সন্তান বলে ডাকতে পারি না। বুক জুড়ে হাহাকার। আমার মত এমন নিঃস্ব পৃথিবীতে আর কেউ আছে কিনা জানিনা। সন্তান দু’টির মুখ দেখতে বড় ইচ্ছে করে। কিন্তু দেখব কি করে? পিতা হিসাবে তাদের হাতে তো কিছু দেয়া দরকার? কিন্তু দেয়ার মতো আমার তো কোন সামর্থ নেই! খালি হাতে কি ওই কচি মুখগুলার কাছে যাওয়া যায়? কি যে কষ্ট আমার! হাসলেও মানুষ আমাকে আহাম্মক বলে কাঁদলেও আহাম্মক বলে। মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আত্মহত্যা করলেও মানুষ আমাকে আহাম্মক বলবে। সুখের মুখ দেখতে গিয়ে কত কঠিন, কত কষ্টের জীবন যে অতিবহিত করছি তা কাউকে বুঝাতে পারছি না।

যাক এসব কথা আর কিছু লিখে তোমার সময় নষ্ট করতে চাই না। তুমি ভাল থাকো সুখে থাকো।

ইতি
তোমার প্রাক্তন স্বামী
আহম্মক আলী
অতীতের আহম্মদ আলী

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: জটিল চিঠি !!! হয় নাকি এমন !!!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: হয় নাই কি বলেন আপা, এ ঘটনা ঘটে রাগে দুখে শোকে ভোগে ভুগতে ভুগতে একজন বুড়া হয়ে মারাই গেছে। ধন্যবাদ নাহার আপা।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রামানিক ভাই । কি লিখলেন ? ভয় পাইতেছি না জানি আপনার যদি ওরকম .. :-&

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: আমার এরকম হওয়ার সম্ভাবনা নাই, কারণ আমারটা আমার ইনকামের উপর নির্ভরশীল। যাইবো কই? ঘুইরা ঘুইরা আমার কাছেই আসতে হইবো।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

সুমন কর বলেছেন: একদম ভিন্ন রকমের চিঠি। দারুণ হয়েছে।

আহম্মক আলীর চিঠি পড়ে মজা পেলাম।
+।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক




চিঠির ছলে একটি বাস্তবের গল্প পড়লুম ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। এরকম অনেকের জীবনেই ঘটেছে। আমরা হয়তো তার কিছু কিছু জানি আবার অনেকে জানি না। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আসেপাশে কারো জীবনের ঘটনাই তুলে আনলেন মনে হয়। সারাজীবন কস্ট দেয়া অনেকের প্রতিও মায়া পরে যায়। সেই মায়া থেকে নিজে নিজেই চিঠি লিখে রেখে দেয়া যায়। মন হালকা হতেও পারে হয়তো। অনেকেই করে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫০

প্রামানিক বলেছেন: এরকমই অনেকের জীবনে হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪২

চলন বিল বলেছেন: আমি ওই লোকের জায়গায় থাকলে মেয়ের মুখে এসিড মারতাম। এত্ত সহজে ছাড়তাম না।

আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু তাকে এমন শাস্তি দিয়েছি যে লাইফে আর কারো সাথে প্রেম করার চিন্তা মাথায় নেবে না।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: যারে শাস্তি দিলেন সে জীবনে প্রেম না করুক বিয়ে হয়েছে কিনা?

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হাসঁবো না কাদঁবো??

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২

প্রামানিক বলেছেন: যেটা ইচ্ছা আমার তাতে অসুবিধা নাই।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
সুখের মুখ দেখতে গিয়ে কত কঠিন, কত কষ্টের জীবন যে অতিবহিত করছি তা কাউকে বুঝাতে পারছি না।

আপনিতো ভাই কবি মানুষ তাই বলে এমন কঠোর চিঠি লিখেও কি পাঠকদের সচেতন করার দায়ীত্বও নিবেন?

কবির প্রতি ভালোবাসা রহিল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: কবির কাজই হলে সমাজের দু:খ বেদনা হাসি কান্না লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা, তাই করেছি। ধন্যবাদ ভাই রেজাউ করিম, আপনার সুচিন্তিত মতামত পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কঠিন চিঠি, কাছের কারো কাছ থেকে শোনা নাকি?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: শোনা না চোখের দেখা। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি তো খুবই অ-ভিজ্ঞ লুক

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২১

প্রামানিক বলেছেন: অভিজ্ঞতার দেখছেনডা কি? আমি তো শুরুই করি নাই।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাবলাম হাসবো খানিক। এখন হাসবো না কী করব বুঝতে পারছি না

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই আহম্মক আলীর দুখে হসতে গিয়ে কান্না আসে। ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৯

মানবী বলেছেন: ক্লাস সেভেন এর এক কিশোরী এখনও পুরোপুরি শৈশব ছেড়ে আসেনি, তাকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে, সে তেমনটিই হবে। এখানে আহম্মদ আলী তার স্ত্রীকে নিতান্ত অপ্রয়োজনে অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া শিখিয়েছে। সে শিখিয়েছে পড়াশুনা না জেনে অনৈতিক ভাবে পাশ করায় সমস্যা নেই, এমনকি সেই শিক্ষা আরো কড়া ভাবে হাতে কলমে শেখাতে সে নিজে স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, ঘুষ দিয়ে অযোগ্য স্ত্রীর চাকুরির ব্যবস্থা করেছে। যার মগজে এমনি ভাবে নীতিবর্জিত মূল্যবোধহীণতা ঢুকিয়ে দেয়া হয়, সেই স্ত্রী অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে অবাক হবার কিছু নেই।পুরো ঘটনায় স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার চেয়ে আহম্মদ আলী চরিত্রের অনৈতিক কাজের প্রতি প্রবল আকর্ষণ বেশি প্রকট হয়েছে।

অনৈতিকতা জীবনের এক পর্যায়ে এসে বিপদ টেনে আনবেই, এখানে নারী পুরুষ বিবেচ্য নয়।

নিতান্ত মজা করে লেখা একটি গল্পে বেশি সিরিয়াস কিছু বলে থাকলে দুঃখিত! ধন্যবাদ প্রামানিক।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী, খুব খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে, আমি যে সময়ের গল্প বলছি সে সময়ে ক্লাস সেভেন মানে এখনকার মত ছোট ছোট বাচ্চা মেয়ে নয়, তখনকার বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই ক্লাস সিক্সে উঠত এখনকার ক্লাশ টেনের ছেলে মেয়েদের বয়স নিয়ে। আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়ি তখন আমাদের ক্লাসে অর্ধেকেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ছিল বিবাহযোগ্য। প্রাইমারী পাশ করে হাইস্কুলে গিয়ে ওদেরকে আর পাইনি। ছেলেরা বিয়ে করে সংসারী হয়েছে মেয়েদের বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে।
কথা হলো কে অনৈতিক করল কে নৈতিক করল সেদিকে খেয়াল করে আমি লিখিনি। আমি লিখেছি একটি ঘটনা। সেই ঘটনায় পরিণতিতে কার কি দশা হয়েছে। শুভেচ্ছা রইল মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মানবী বলেছেন: সত্তরের দশকের সময়ও খুব অল্প বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেবার প্রবণতা ছিলো। আজকাল যেমন প্লেগ্রুপ, নার্সারী, কেজি পেড়িয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ার সুযোগ হয় সে সময় এতো সব হার্ডল ছিলোনা। সেসময় প্রাইমারী স্কুলে আঁদের বিয়ের বয়স হতো তা সামাজিক প্রচলনের কারনে, তাঁরা বয়সে বড় ছিলেন এমন নয়। আর তাই বিয়ে হলেও ম্যাচুরিটি একজন কিশোর কিশোরীর মতোই ছিলো বলে আমার ধারনা।
আর সেসময় বাদ ই দিলাম, বর্তমান সময়ও এমন যে ঘটেনা তা কিন্তু নয়। এখানে বয়ষ টা মূখ্য নয়, নির্বিকারচিত্তে অনৈতিক কাজ করে যাবার প্রবণতা আর তার কুফলটা লক্ষ্যনীয়।

আমি জানি আপনি এতো কিছু খেয়াল করে লিখেন নাই. তারপর ও আপনার লেখনির গুনে এমন মন্তব্য করা :-)
আর আমার মন্তব্যটি মোটেও মূল্যবান নয়, মূল্যবান আপনার এই পোস্টটি! ধন্যবাদ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী। আমি যদি অনৈতিকের দিকে খেয়াল করে লিখি তাহলে সমাজের অনৈতিক কাজগুলো গল্পে উঠে আসবে না। কাজেই গল্প লেখার উদ্দেশ্যই হলো সমাজের বাস্তব দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা বা কল্পনায় ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন কিছু ফুটিয়ে তোলা।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার এরকম হওয়ার সম্ভাবনা নাই, কারণ আমারটা আমার ইনকামের উপর নির্ভরশীল। যাইবো কই? ঘুইরা ঘুইরা আমার কাছেই আসতে হইবো। =p~ =p~ =p~

প্রামানিক ভাই, আমি মানবী'র সাথে একমত, আহম্মদ আলী আসলেই অন্যায়ের বীজ বপন করে দিয়েছিলেন, তার ফল ছিল তার ডিভোর্স...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাই, মানবী অনৈতিকের কথা উল্লেখ করেছেন, এখানে অনৈতিক কিছু আছে বলে মনে হয় না। কারণ আহম্মদ আলীর বিয়া করা বৈধ স্ত্রী হলো ক্ষতিরন্নেসা। তার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক নয়। আহম্মদ আলী ভালবেসে প্রেমে মত্ত হয়েই বউয়ের পিছনে সব সম্পত্তি শেষ করেছে। বউকে ভালবাসা অনৈতিক নয়। বউকে সুখী করার জন্য কিছু করাটাও অনৈতিক নয়। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ৭২সালের পরীক্ষায় নকল করাটা নিয়ম নীতি হিসাবে অনৈতিক, তবে সেই সময়ে শতকরা ৯৫জনই এই পন্থায় পাশ করেছে, তারাই এখন দেশের বড় বড় কর্ণধর, মনবীর কথা হিসাবে আহম্মদ আলীই শুধু নয় ওই সময়ে পাশ করা সবাই অনৈতিক হিসেবে বিবেচিত।

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২১

এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: ভাই আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। লেখাটি খুব ভালো লেগেছে এবং হেসেছিও

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এম আরাফাত মাহমুদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.