নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ঊনিশ শ' আশি সালের ঘটনা। রাত দুইটার দিকে বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিল। গভীর রাত হওয়ায় ট্রেনের দুলুনিতে চোখে ঘুমের ভাব চলে আসে। সিটে বসা অবস্থায় কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম বলতে পারবো না। হঠাৎ ঝাকুনি খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি ট্রেন জামাল পুর স্টেশনে এসে থেমেছে। জামাল পুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পূর্ব মুহুর্তে দু’জন রেলওয়ে পুলিশ আমাদের কামরায় উঠল। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই তারা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে অবৈধ জিনিষ পত্র খুঁজতে লাগল। কারো ব্যাগেই কিছু পেল না। আমার সামনের সিটের যাত্রী স্যুট কোট পরা বিশিষ্ট ভদ্রলোক। মনে হয় কোন অফিসের কর্মকর্তা হবেন। তিনি একটা বড় ধরণের দামি ব্যাগ সিটের নিচে ঢুকিয়ে বসে আছেন। পুলিশ সবশেষে সিটের নিচ থেকে সেই ব্যাগটি টেনে বের করল। ব্যাগটি কার? জিজ্ঞেস করতেই সিটে বসে থাকা ভদ্রলোক বলল, ব্যাগ আমার।
-- ব্যাগের ভিতর কি আছে?
-- খারাপ কিছু নাই, তবে ব্যাগ খোলা যাবে না।
-- কেন?
-- সমস্যা আছে
-- কি সমস্যা?
-- সমস্যাটা বলতে পারছি না, যে কারণে খুলতেও পারছি না।
ভদ্রলোক এ কথা বলায় পুলিশের ব্যাগ তল্লাশির আগ্রহ বেড়ে গেল। ব্যাগে ছোট একটি তালা ঝুলানো ছিল। পুলিশ ব্যাগের তালা খোলার জন্য ভদ্রলোককে নির্দেশ দিল। ভদ্রলোক কোন মতেই ব্যাগের তালা খুলতে রাজি হলো না। অবশেষে পুলিশ ব্যাগ তল্লাশী করতে না পেরে ময়মনসিংহ স্টেশনে গাড়ি থামার সাথে সাথে একজন পাহারায় থেকে অন্যজন নেমে গেল। কিছুক্ষণ পর রেলওয়ে পুলিশের হাবিলদারসহ আরো তিনজন পুলিশ এসে হাজির হলো। মোট পাঁচজন পুলিশ দেখে ভদ্রলোকের মুখ শুকিয়ে গেল। ব্যাগের ভিতর কি আছে সেটা দেখার জন্য আমাদেরও আগ্রহ বেড়ে গেল। কিন্তু আমাদের আগ্রহ থাকলেও আমরা কেউ পুলিশের সামনে কোন কথা বললাম না।
স্টেশনে গাড়ি দাঁড়ানো অবস্থায় হাবিলদার কিছুই বলল না। গাড়ি ছেড়ে দেয়ার পর পরই কামরার দুই দরজায় তিনজন পুলিশকে পাহারা দিতে বলে হাবিলদার একজন কনস্টেবল সাথে নিয়ে ভদ্রলোকের কাছে এসে বলল, আপনার ব্যাগটা খোলেন।
-- ভাই ব্যাগটা না খুললে হয় না?
-- কেন, ব্যাগে কি আছে? সবাই ব্যাগ খুলে দেখালো আপনি দেখাবেন না কেন?
ভদ্রলোক মুখটা কাচুমাচু করে বলল, ভাই ব্যাগটায় সমস্যা আছে।
হাবিলদার রাগত স্বরে বলল, এই সব সমস্যা দেখার জন্যই সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছে। আপনি যদি স্বেচ্ছায় ব্যাগ না খোলেন তবে বাধ্য হবো ব্যাগসহ আপনাকে থানায় নিয়ে যেতে। আমি এই লাইনে দীর্ঘদিন হলো আছি। প্রতি মাসেই অবৈধ অস্ত্রসস্ত্রসহ স্ম্যাগলিং অনেক কিছু ধরে থাকি। কাজেই আপনাকে আমরা সহজেই ছাড়ছি না। আপনার ব্যাগে যদি অবৈধ কিছু না থাকে তবে এতো পীড়াপীড়ি করা সত্বেও আপনি ব্যাগ খুলছেন না কেন? আমাদের আর বুঝতে বাকি নাই, আপনার ব্যাগে কি আছে। এ কথা বলেই হাবিলদার কনস্ট্যাবলদের আদেশ দিল, এই সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দাও।
কনস্টেবলরা সাথে সাথে কামরার দরজা-জানালা বন্ধ করে দিল। হাবিলদার মেজাজ গরম করে ধমক দিয়ে বলল, এবার ব্যাগ খোলেন, নইলে অসুবিধায় পড়বেন।
হবিলদারের গরম মেজাজ হুমকি-ধমকি আর থানার কথা বলায় ভদ্রলোক কিছুটা ভরকে গিয়ে অনিচ্ছা সত্বেও পকেট থেকে চাবি বের করে হাবিলদারের হাতে দিল। হাবিলদার চাবি নিয়ে বলল, এবার আপনি ব্যাগটা খোলেন।
ভদ্রলোক বলল, আপনার যখন দেখার এতো আগ্রহ তখন আপনিই খোলেন। আমার পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নাই।
হাবিলদার চাবি দিয়ে তালা খুলে চেইন টান দিয়ে ব্যাগের মুখ হা করাতেই ব্যাগের ভিতর আরেকটি কাপরের ব্যাগ চোখে পড়ল। ভিতরের ব্যাগটির মুখ রসি দিয়ে ভালো করে বাঁধা।
হাবিলদার ব্যাগের ভিতরে ব্যাগ দেখে অবৈধ কোন জিনিষ পত্র আছে মনে করে খুব খুশি হলো। মনে মনে ভাবল, এবার হয়তো একজন ক্যুখ্যাত আসামী পাওয়া গেছে। একে ধরিয়ে দিতে পারলে উপরওয়ালার কাছে সুনাম পাওয়া যাবে। পুলিশী কায়দায় ধমকের সুরে ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করল, ভিতরের ব্যাগে কি আছে?
ভদ্রলোক বলল, ভাই আপনি নিজ হাতে খুলে চেক করে দেখেন কি আছে?
হাবিলদার তাড়াতাড়ি খুব আগ্রহ নিয়ে ব্যাগের মুখ খুলে ভিতরে হাত দিয়ে মুখটা মলিন করে বলল, এগুলো কি নিয়েছেন?
ভদ্রলোক বলল, আপনি তো নিজেই হাত দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন, আমাকে আর মুখে বলতে বলছেন কেন?
হাবিলদার রাগত স্বরে বলল, এটা আমাদের আগে বললেই তো হতো।
ভদ্রলোক বলল, আপনি যে ভাবে ভয়ভীতি দেখালেন তাতে তো বলার সুযোগই পেলাম না।
হাবিলদার সুর কিছুটা নরম করে বলল, এগুলো কেন নিয়েছেন?
ভদ্রলোক জবাবে বলল, আমার ছোট বোন ঢাকায় নতুন বাসা নিয়েছে, সে মায়ের কাছে চিঠি লিখেছে ঢাকা শহরে সব পাওয়া যায় শুধু এটাই নাকি খুব অভাব। তাই অন্য কিছু বাদ দিয়ে ব্যাগ ভর্তি করে এগুলো নিতে বলেছে। তাই নিয়ে যাচ্ছি।
এবার হাবিলদার মুখটা কালো করে ব্যাগের ভিতরেই হাত পরিস্কার করতে লাগল। হাবিলদারের এ অবস্থা দেখে আমি একটু আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই ব্যাগের ভিতর কি জিনিষ?
হাবিলদার বিরক্ত ভাবেই জবাব দিল, অবৈধ কিছু নয়, তবে বলা যাবে না। বলেই সে ব্যাগ থেকে হাত বের করে কিছুটা লজ্জা কিছুটা বিরক্ত হয়ে যে পুলিশটা ডেকে এনেছিল তাকে বকাবকি করতে করতে দরজার দিকে চলে গেল। তার হাতের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম কালো কালো পাউডারের মত কি যেন পাঁচ আঙুলে লেগে আছে।
একটু পরেই গাড়ি গফরগাঁও স্টেশনে থামলে সব পুলিশ নেমে গেল।
কামরার যাত্রীরা পুলিশ এবং ভদ্রলোকের এসব ঘটনা আগ্রহসহ দেখতে ছিল। কিন্তু কেউ কোন কথা বলার সাহস পেল না। পুরো কামরা নিরব নিস্তব্ধ হয়ে আছে। আমি নিরবতা ভঙ্গ করে ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, মনে কিছু করবেন না, সত্যি করে বলেন তো, ব্যাগের ভিতর কি নিয়েছেন?
ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে বলল, আরে ভাই আপনিও তো দেখি পুলিশের মত পাগোল হলেন। কি নিয়েছি পুলিশ যখন বলল না তখন আপনার শোনার এতো আগ্রহ কেন? বলেই ব্যাগের উপর খুলে রাখা রসি হাতে নিয়ে ভিতরের ব্যাগের মুখ দুই হাতে চেপে ধরতেই ভক্ করে কিছু ছাই উড়ে এসে আমার এবং আমার পাশের যাত্রীর চোখে মুখে ঢুকে গেলো।
চোখ কচলাতে কচলাতে বললাম, আরে ভাই করেন কি, ছাই উড়াচ্ছেন কেন?
ভদ্রলোক মুখটা বাঁকা করে বলল, আরে ভাই ব্যাগের ভিতর আছে ছাই, ছাই উড়াবো না তো টেলকম পাউডার উড়াবো!
আমি ভদ্রলোকের কথা শুনে হাসি হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই মনে কিছু করবেন না, এতো সুন্দর ব্যাগের মধ্যে ছাই ঢুকালেন কি করতে?
ভদ্রলোক ব্যাগের মুখ বাঁধতে বাঁধতে বিরক্ত ভাবে বলল, আরে ভাই বললাম তো, ছোট বোনটা চিঠি লিখেছে ঢাকা শহরে সব পাওয়া যায় কিন্তু থালা বাসন মাজার জন্য নাকি ছাই পাওয়া যায় না, তাই সব বাদ দিয়ে ব্যাগ ভর্তি ছাই নিতে বলেছে। সেই জন্য ব্যাগ ভর্তি ছাই নিয়েছি। শ্যালার পুলিশ এইটা দেখার জন্য পাগোল হয়ে গেলো। দেখে তো নিজেও আহম্মক হলো আমাকেও আহাম্মক বানালো।
ভদ্রলোকের কথা শুনে কামরার সব যাত্রী হো হো করে হেসে উঠল। হাসির ফোয়ারা দেখে ভদ্রলোক লজ্জায় মাথা নিচু করল। ঢাকা স্টেশনে পৌছার পূর্ব মহূর্ত পর্যন্ত তিনি কারো সাথে কোনো কথা বলল না।
০০০ সমাপ্ত ০০০
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জামান শেখ। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে ভাই ব্যাগের ভিতর আছে ছাই, ছাই উড়াবো না তো টেলকম পাউডার উড়াবো!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। লেখাটি পড়ার জন্য খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশা করছিলাম অন্যকিছু!! আপনার ছাইয়ের গুঁড়ো আমার মুখেও লাগলো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০
প্রামানিক বলেছেন: হে হে হে ছাই তুচ্ছ হলেও ফ্যালনা নয়। ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছাইয়ের ফজিলত অামাদের মা-বোনেরাই ভালো বোঝে ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ছাই যে কত উপকারী তা ঢাকার বা বাসাবাড়ির গৃহিনী মহিলারা ছাড়া অন্যরা একটু কমই বোঝে। ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর 'রসগোল্লা' গল্পটার কথা মনে পড়ে গেল ভাই? অনেক মজা পেলাম!
"আরে ভাই ব্যাগের ভিতর আছে ছাই, ছাই উড়াবো না তো টেলকম পাউডার উড়াবো!"
-এই কথাটা পড়ে তো হাসতে হাসতে শেষ! ব্যাপক বিনোদন! এই খরার সময়ে সামান্য মুখরোচক রম্য প্রচার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান, আপনি আমার লেখা পড়ে হেসেছেন জেনে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হা হা হা। গল্পে দারুন মজা পেলাম। আচ্ছা কাহিনি কি সত্য নাকি ভাই?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভ্রমরের ডানা, ঘটনা কিছুটা তো সত্য বটেই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু এই লেখা না! আপনার সব লেখাতেই আমার হাসি পায়? কারন আপনার ভাব গাম্ভীর লেখা পড়লেও পুরানো কথা যে ভুল পারি না? সেই "বেগুন বাড়ির পানি পড়া"!
সাধে কি আর আপনারে আমার প্রিয় ব্লগারের তালিকায় নাম রাখছি? আশা করবো, এমন বিনোদন যেন সব সময়ই আপনার কাছ থেকে পাই......!!??
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান, আপনাদের মত প্রিয় ব্লগারের উৎসাহ পেয়েই লিখতে পারি। আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু এই লেখা না! আপনার সব লেখাতেই আমার হাসি পায়? কারন আপনার ভাব গাম্ভীর লেখা পড়লেও পুরানো কথা যে ভুল পারি না? সেই "বেগুন বাড়ির পানি পড়া"!
সাধে কি আর আপনারে আমার প্রিয় ব্লগারের তালিকায় নাম রাখছি? আশা করবো, এমন বিনোদন যেন সব সময়ই আপনার কাছ থেকে পাই......!!??
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান, শুভেচ্ছা রইল।
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
গুরুর শিষ্য বলেছেন: অসাধারণ গল্প...আর প্রতিটা গল্পই সত্যকে ছুঁয়ে যায়...সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘রসগোল্লা’র স্বাদ পেলাম...আপনি লিখে যান ভাই আমার মতো শিষ্য পাবেন...বিন্দুর মধ্যে সিন্ধুর গভীরতা থাকায় সকলে পড়বে...
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গুরুর শিষ্য। আপনার পোষ্টগুলোও ভাল লাগে। আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই ছবিটাতে কিন্তু ছাই ছাই ভাব পাচ্ছি না? মনে হচ্ছে যেন কুব্বাত ভাইয়ের নিমের মাজঁন?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০০
প্রামানিক বলেছেন: ভাই তুষের ছাই হলে কালো কালো হতো এটা কাঠ খড়ির ছাই তো এই জন্য সাদা সাদা। ধন্যবাদ
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
জুন বলেছেন: প্রামানক ভাই আপনার এই মজার অভিজ্ঞতার কাহিনী পড়ে খুব একচোট হেসে নিলাম। ঠিকই বলেছে ভদ্রলোক। তবে আমার মনে হয় শিরোনামে ছাইটা না লিখলে আরো রহস্যময় জমজমাট হতো কাহিনিটা। আগেই ছাই জেনে যাওয়ায় কিছুটা।।।।
+
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন জুন আপা, শিরোনাম কি দিবো ভেবে পাচ্ছি না, তবে আপনার উপদেশ পেয়ে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: চোখ কচলাতে কচলাতে বললাম, আরে ভাই করেন
কি, ছাই উড়াচ্ছেন কেন?
ভদ্রলোক মুখটা বাঁকা করে বলল, আরে ভাই ব্যাগের
ভিতর আছে ছাই, ছাই উড়াবো না তো টেলকম
পাউডার উড়াবো!
বেশ ভালো লাগল
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪
জুন বলেছেন: এখন্তো সবার পড়া শেষ প্রামানিক ভাই। তবে
"ট্রেনের কামরায় এক রহস্যময় ব্যাগ "।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ঠিক আছে জুন আপা আপনার শিরোনামটাই দিলাম। ধন্যবাদ
১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৬
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আমার বাড়ীতে আপনি আসতেও কি ছাই নিয়ে আসবেন!!
আমিওতো ঢাকায় থাকি!!!
( এখন ঢাকাতে ছাই বিক্রি হয় )
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: আপনি যদি ছাই পেয়ে খুশি হন তাহলে মিস্টির পোটলার পরিবর্তে এক ব্যাগ ছাই নিয়ে আসটা উত্তম হবে, আর যদি বেজাড় হন তাহলে তো বিনিময়ে ছাইমুখে বাড়ি ফিরতে হবে।
আমি যে সময়ের ঘটনা বলছি তখন ঢাকা শহরে ছাইয়ের খুব অভাব ছিল। হাঁড়ি পাতিল পরিস্কার করার জন্য বিকল্প কিছু ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে রসালো মন্তব্য করার জন্য।
১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লোকটা স্বর্ন বা এই ধরণের কিছু আনা নেওয়া করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে; ২/৩ ছাই ইতয়াদি নেবে; তারপর, ১ ট্রিপে স্বর্ণ নিবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১০
প্রামানিক বলেছেন: লোকটা সত্যি সত্যি ছাই নিয়েছে কারণ দেশ স্বাধীনের পরে ঢাকায় ছাইয়ের খুব অভাব ছিল তখন গ্রাম থেকে আত্মীয় স্বজনেরা ব্যাগ ভর্তি করে ছাই নিযে আসতো। ছাই পেয়ে ঢাকা বাসিরা খুব খুশি হতো। এ ঘটনাটি আশির দশকের ঘটনা। ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনবদ্য
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন তামান্না তাবাসসুম। শুভ্চেছা রইল।
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
সুমন কর বলেছেন: সকাল সকাল মজার একটি ঘটনা পড়লাম।
ধন্যবাদ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
কাবিল বলেছেন: মজা পেলুম।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। শুভ্চেছা রইল।
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: যেখানে দেখিবে ছাই
উড়াইয়া দেখ তাই
পাইলেও পাইতে পারো...
পুলিশগুলার ছাই উড়ায়া দেখা উচিত আছিলো
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন পুলিশগুলোর ছাই উড়ানো উচিৎ ছিল তাতে হয়তো মানিক রতন পেতে পারতো। ধন্যবাদ শুভেচছা রইল।
২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
বর্ণিল হিমু বলেছেন: এটা পড়ে রসগোল্লার কথা মনে পড়লো.......!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বর্ণিল হিমু। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: এসব ঘটনাও পৃথিবীতে ঘটে?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
প্রামানিক বলেছেন: এক সময় ঘটতো, কারণ তখন হাঁড়ি কুড়ি মাজা ঘসা করার জন্য ঢাকা শহরে ছাইয়ের খুব অভাব ছিল আর পুলিশেরা গাড়িতে স্মাগলিং জিনিষপত্র খোঁজার জন্য প্যাসেঞ্জারদের ব্যাগ তল্লাশি করতো তখন এরকম ঘটনা ঘটতো। এখন ডিজিটাল যুগ হওয়ায় হয়তো আর হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রামানিক ভাইয়ের কমেন্ট রিপ্লেগুলোও দারুণ মজার!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার, আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমার লেখার অনুপ্রেরণা। কাজেই আপনাদের সাথে হৃদ্যতায় জড়িয়ে থাকতে সবসময় চেষ্টা করি। শুভ্চেছা রইল।
২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: দারুন ব্যাপার
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সেলিনা জাহান প্রিয়া। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাই আপনার লিখা পড়ে হাসছি , আপনার ভাবী বলে ,''এইটা পাগলের মত হাসে ক্যা ?"
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। আপনারা মজা পেলেই আমার মজা লাগে। খুব খুশি হলাম আপনাদের পড়ার আগ্রহ দেখে। ধন্যবাদের সাথে ভাবীর জন্য শুভ্চেছা রইল।
২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাই আপনার লিখা পড়ে হাসছি , আপনার ভাবী বলে ,''এইটা পাগলের মত হাসে ক্যা ?"
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন।
২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
ক্রিবিণ বলেছেন: আজকালও অনেকে ছাই আনে,, একবার আমারো আনতে হয়েছিলো মাছ বাছতে ছাইয়ের চেয়ে যুতসই কোন উপাদান নেই বলেই। আসলে গ্রাম্য প্রকৃতির ভাণ্ডারে শহূরে সভ্যতাকে ধরা দিতেই হয়...
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই ক্রিবিণ। আমরা যত আধুনিকই হই না কেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরানো ধাচে কাজ করতে হয়। সেই দিকে বিবেচনা করলে ছাই এখনও বাঙালী বধুদের কাছে অনেক দামী জিনিষ। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন:
অনেক কথাই মনে পড়ে গেল...... বলা যাবে না, জিজ্ঞাসা কইরেন নাহ
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কথা মনে পড়ে গেল অথচ জিজ্ঞাসা করা যাবে না। ঠিক আছে ভাই আপনার কথাই রইল। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক লাইনের ঘটনা'কে গল্পে রুপান্তর করলেন ভ্রাতা, ভালোই গল্প ফাঁদতে পারেন
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
জামান শেখ বলেছেন: লেখাটা কিন্তু ছাইপাশ হয় নি, ভালো লাগলো।