নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
উনিশ শ’ আটষট্টি সাল। নানার বাড়ি থেকে ফিরছি। মা, বাবার সাথে পারবর্তীপুর জংশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। শেষ রাতে দিনাজপুর থেকে মিটার গেজ লাইনের গাড়ি এলো। গাড়িতে অনেক ভির। সিট খালি না থাকায় মাকে আর আমাকে মহিলা গাড়িতে তুলে দিয়ে বাবা পাশের বগিতে গিয়ে উঠলেন। মহিলা গাড়িতে বসার জন্য লম্বা লম্বা তিনটি বেঞ্চ আছে। দু’টি বেঞ্চি দুই পাশে জানালার ধারে আরেকটি বেঞ্চি মাঝখানে। জানালার পাশের বেঞ্চিতে জায়গা নেই। মাঝখানের বেঞ্চিতে তিনজন বিহারী মহিলা ঠ্যাং তুলে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে। ছয়জনের সিট তারা তিনজনেই দখল করে আছে। তিনজনেই বোরখা পড়া। সেই সময়ে বাঙালীরা ওদের মত বোরখা পরতো না।
মা সিটে বসতে চাইলে বিহারী মহিলা কথাই বলল না। আমি মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে রইলাম। অনেকক্ষণ পরে মা আবার মহিলাকে সরতে বললেন, মহিলা চোখ তুলে তাকালেন বটে সরলেনও না কথাও বললেন না।
মা খুব সহজ সরল মহিলা। লেখা পড়া জানেন না এমন কি হিসাব নিকাসও জানেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মা টাকা গুনতে জানতেন না। মা’র কাছে টাকা রাখতে দিলে টাকা পেঁচিয়ে লাল, কালো বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে বেঁধে ছোট নোট, বড় নোট, লাল নোট আলাদা আলাদা করে রাখতেন। কারো সাথে কখনও ঝগড়া করতেন না। কেউ ঝগড়া করলে নিজেই চুপ হয়ে থাকতেন। বাবাকে সারা জীবন যমের মত ভয় পেতেন। যেহেতু পরিচিতদের সাথেই কখনও ঝগড়া করতেন না সেখানে অপরিচিতদের সাথে ঝগড়া করার তো প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু আমার এই সহজ সরল মা, আজ যেন প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। মা মহিলাকে ধমক দিয়ে বললেন, আমরা টিকিট কাইটা উঠছি, আপনারা সিট ছাড়েন না ক্যান?
মার ধমকে মহিলাদের তিনজনের মুখে যেন আগুন লেগে গেল। মার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকালো। তিনজনের মুখই নেকাব দিয়ে ঢাকা। একজন মহিলা নেকাবের আবারণ সরিয়ে মুখ বের করে কড়কাড়ানি মুরগীর মত ক্যাক ক্যাক করে উঠল। তাদের আচরণ দেখে মনে হলো-- ওরা এই দেশের মালিক আমরা উদ্বাস্তু। এই গাড়িতে উঠাই যেন আমাদের অপরাধ হয়ে গেছে। অথচ এটা আমার জন্ম ভূমি। শুধু আমার জন্মভুমিই নয় আমার চৌদ্দ গুষ্ঠির জন্মভুমি। আমার জন্মভ’মিতে আমাদেরকে দাঁড় করিয়ে রেখে তারা অন্য দেশ থেকে এসে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে আছে। ওদের আচরণে আমারও শরীরে জেদ এলো কিন্তু ছোট হওয়ায় কিছু বলার সাহস পেলাম না।
মা কখনও এত কথা বলেন না, কিন্তু ঐদিন বিহারী মহিলাদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক কথা বললেন। মা এত কথা বলার পরও লাভ হলো না, তারা কোন ভাবেই সিট ছেড়ে দিল না। এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রংপুর স্টেশনে এসে গাড়ি দাঁড়ালো। বাবা আমাদের হালত দেখার জন্য পাশের কামরা থেকে চলে এলেন। দরজা দিয়ে তাকিয়ে দেখে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের দাঁড়ানো অবস্থা দেখে বাবা দরজার কাছে এসে মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা দাঁড়িয়ে আছো কেন?
মা বলল, এই মহিলা তিনজন আমাদের বসতে দেয় না।
আমাদের বসতে দেয় না শুনে বাবার মাথায় যেন আগুন ধরে গেল। বাবা খুব সাহসী লোক। ত্রিং করে কামড়ায় লাফিয়ে উঠে মহিলাদের আঙ্গূল উঁচিয়ে বললেন, আপনারা বসতে দেন না কেন?
বাবার শাসানীতে মহিলা তিনজন একসাথে “বেগানা আদমী বেগানা আদমী” বলে চেঁচিয়ে উঠলো। তাদের চেঁচানিতে বাবা বেশি সুবিধা করতে পারলেন না। কারণ দেশটা তখন পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাসনে চলে। পুলিশ থেকে প্রশাসনের সব কিছু তাদের নিয়ন্ত্রনে। তারা যত অন্যায়ই করুক না কেন তাদের অন্যায় খুব একটা আমলে নেয়া হয় না। নির্দোষ হওয়া সত্বেও সব দোষ বাঙালীদের ঘাড়ে চাপানো হয়। তারোপর অপরিচিত বিহারী মহিলা হওয়ায় তাদের সাথে পুরুষ হয়ে ঝগড়া করাও শিষ্টাচার বহির্ভূত। বাবা হয়তো এসব চিন্ত করেই নিচে নেমে টিকিট চেকার ডেকে আনলেন। টিকিট চেকারও সম্ভাবত বিহারী। তিনি একটি বাংলা কথাও বললেন না। উর্দুতে কি কি সব বলার পর পাশের মহিলাটি সরে সামান্য একটু জায়গা দিলো। তাতে মা কোন রকমে বসতে পারলেও আমার বসা সম্ভব হলো না। আমি মায়ের কোলের উপর বসলে পাশের মহিলাটি মায়ের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দিল। আমাকে এই গাড়িতে থাকতেই দিবে না। আমিও নাকি বেগানা আদমী। মা তাদের উর্দু কথা কিছুই বোঝে না, তারপরেও তাদের হাত নাড়ানো আর মুখ নাড়িয়ে কড়কড়ানো দেখেই আঞ্চলিক বাংলা ভাষায় দুই চার কথা শোনাতে লাগলেন। জানালার পাশের মহিলারা দুই চারজন বাঙালী থাকলেও কোন কথা বলছে না, আমাদের অসহায় অবস্থা আর বিহারী মহিলাদের অত্যাচারের আচার আচরণ শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। বিহরী মহিলারা আমাকে দূরে দাঁড়াতে বললেও মা জেদ করে আমাকে তার কোলে বসিয়ে বুকের সাথে মাথাটা চেপে ধরে থাকলেন। কোনমতেই আমাকে কোল থেকে নামতে দিলেন না। এই অবস্থায় কাউনিয়া জংশনে এসে গাড়ি থামলে বাবা আবার এলেন। এসে দেখেন আমাদের ঠিকমত বসার জায়গা দেয়নি। বাবা আবার টিকেট চেকার ডেকে এনে বললেন, আমার ছেলের হাফ টিকিট কাটা আছে কিন্তু মহিলারা বসতে দিচ্ছে না।
টিকেট চেকার বগিতে উঠে সিট দেয়ার কথা বললে মহিলারা আমাকে ‘বেগানা আদমী’ হিসাবে বগি থেকে নামিয়ে দিতে বলল। টিকেট চেকার তাদের কথা শুনে বাবাকে বলল, আপনার ছেলেকে অন্য বগিতে নিয়ে যান।
বাবা তার কথায় রাজী হলেন না। বাবা খুব একটা লেখাপড়া না জানলেও অত্যান্ত বুদ্ধিমান, সাহসী এবং বাকপটু লোক। তিনি চেকারকে বললেন, বাচ্চার জন্য হাফ টিকিট কাটা আছে। টিকিট অনুযায়ী আমার বাচ্চা সিটের দাবীদার। আর বাচ্চারা সবসময় মায়ের সাথেই থাকে। আমি তাকে নামিয়ে নেব কেন? এটা কোন আইনে কথা বললেন?
বাবার যুক্তি পূর্ণ কথা শুনে টিকেট চেকার আবার মহিলাদেরকে কি কি সব উর্দুতে বলার পর সামান্য একটু জায়গা দিল। তাতে মা ভালভাবে বসলেও আমার পুরোপুরি বসার জায়গা হলো না। প্রথমেই মা আমাকে মাঝখানে বসানোর চেষ্টা করতেই মহিলারা বাঁধা দিয়ে বসল। তারা বাঁধা দেয়ায় মা আমাকে তার ডান পাশে বসালেন। মা আমাকে তার ডান পাশে বসিয়ে জড়িয়ে ধরে থাকলেন। এই অবস্থায় গাড়ি কাউনিযা জংশন ছেড়ে বামন ডাঙ্গা এসে থামল। বামন ডাঙ্গা থেকে শাড়ি পরা দু’টি মেয়ে উঠল। বয়স আঠারো বিশের মত হবে। সম্ভাবত গাইবান্ধা কলেজে পড়ে। হাতে বই খাতা আছে। তাদের একটি মেয়ে মাকে সরে গিয়ে জায়গা দিতে বললে মা মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল, মা গো, এই হারামজাদীরা জায়গা দেয় না। সারা রাস্তা আমার সাথে ঝগড়া করতে করতে আইছে।
মা’র কথা শুনে পাশের মেয়েটি বিহারী মহিলাকে সরতে বলল। কিন্তু বিহারী মহিলা না সরে উর্দুতে বকর বকর করতে লাগল। তার বকবকানি দেখে মেয়েটি মাকে বলল, খালা আপনি একটু উঠে দাঁড়ান তো, আমি মাগীদের একটু সায়েস্তা করে নেই।
মা উঠে দাঁড়ালে মেয়েটি সিটে বসে তিন মহিলাকে এমন জোরে ঠেলা দিলো-- ঠেলার চোটে পাশের মহিলা দেয়ালের সাথে মাথায় বাড়ি খেলো। দেয়ালের পাশে রাখা টিফিন ক্যারিয়ারের বাটি সিটকে নিচে পড়ে গেল। ক্যারিয়ারের বাটিতে রাখা মাংস রুটি ছড়িয়ে গেল। মেয়েটির কান্ড দেখে মহিলারা বারুদের মত জ্বলে উঠল। পারলে মেয়েদের গায়ে হাত তোলে। মেয়ে দু’টিও কম নয়, ঘুষি নিয়ে নাকের উপর গেল। দুইজনের ঘুষি আর উগ্র মুর্তী দেখে মহিলারা ভয় পেয়ে গেল। বিড়ালের মত চুপসে গিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রুটি গোস্ত মেঝে থেকে কুঁড়িয়ে নিয়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়ে চুপচাপ বসে রইল।
গাইবান্ধা স্টেশনে গাড়ি থামলে মেয়ে দু’টি নেমে গেল। নামার সময় একটি মেয়ে মকে উদ্দেশ্য করে বলল, খালা, এই মহিলারা আবার যদি কিছু বলে, ধাক্কা দিয়া গাড়ি থেকে ফেলে দিবেন। এটা আমাদের দেশ ওদের না।
মেয়েটির প্রতিবাদী কণ্ঠ আমার মাকে যেন প্রতিবাদী হওয়ার উৎসাহ জাগিয়ে দিয়ে গেল। তারা নেমে যাওয়ায় বিহারী মহিলারা মা’র দিকে কটমট করে তাকালো। তাদের তাকানো দেখে মা চোখ গরম করে বলল, চোখ বড় করবি না, চোখ বড় করবি তো চোখ টান দিয়া ছিঁড়া ফালামু, বহুত জ্বালাইছোস, এটা এখন আমাগো দ্যাশ। এতক্ষণ বিদেশে আছিলাম দেইখা কিছু কই নাই (সেই সময়ে গ্রামের মানুষ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গেলে সেই জেলাকে বিদেশ মনে করতো)।
মা’র কড়া কথা শুনে মহিলারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল বটে তবে জায়গা দখল করার সাহস পেল না। তিনজন অনবরত বকর বকর করতে লাগল। মহিলাদের বকবকানো অবস্থায় গাইবান্ধা থেকে ট্রেন ছেড়ে বাদিয়াখালী স্টেশনে এসে গাড়ি থামলে আমরা নেমে গেলাম।
বাবার দেয়া সময় অনুযায়ী বড় ভাই গরুর গাড়ি নিয়ে স্টেশনের পূর্ব পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি আর মা গরুর গাড়িতে উঠতেই গারোয়ান জোয়ালে গরু লাগিয়ে গাড়ি ছাড়লেন। দুপুরের পরপরই বাড়ি গিয়ে পৌছলাম।
আজ আমার মা বেঁচে নেই, কিন্তু ছোট কালের মায়ের সাথে সেই ভ্রমণের স্মৃতি এখনও মনে আছে। আজ সেই ভ্রমণের কথা মনে হলেই মনে পড়ে বিহারীদের কোন পর্যায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একজন সহজ সরল মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে, সেই উদাহারণ আমি স্বচক্ষে দেখেছি। সেই দিনের আত্যাচারে অতিষ্ট মা প্রতিবাদের যে স্বাক্ষর আমার সামনে রেখে গেছেন, আমি তা জীবনেও ভুলবো না। সেই অত্যাচারের স্মৃতি মনে পড়লে আজো রক্ত টগবগিয়ে উঠে। সেদিনের মায়ের প্রতিবাদ দেখে আজো আমার তার প্রতি শ্রোদ্ধায় মথা নত হয়ে আসে। লেখাপড়া না জানা সহজ সরল মায়ের এই প্রতিবাদ হয়তো সেই সময়ের অত্যাচারের কাছে তেমন কোন বড় ঘটনা নয়, তারপরেও তার প্রতিবাদী হয়ে উঠাটাই পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার আগুন ঝরা বিপ্লবের একটি অংশ বটে।
আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার মায়ের সেই ঘটনা হয়তো ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না। কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যতটুকু প্রতিবাদ করে গেছেন সেইটুকুর জন্যই মায়ের অবদান এদেশের মানুষ স্বীকার করবে কিনা জানি না তবে আমার কাছে অনেক।
যদিও ছয়চল্লিশ বছর আগের ঘটনা, তার পরেও মায়ের প্রতিবাদী হওয়ার সেই দৃশ্যটি আজো আমার চোখে চোখে ভাসে।
(গত ৫ই অক্টোবর ছিল আমার মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চাই।)
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মনবী। আসলেই এদেশের জন্য যারা গ্রামে গঞ্জে নিঃস্বার্থভাবে যুদ্ধ করেছে অনেক লাঞ্ছনা গাঞ্জনায় প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে তাদের কোন মূল্যায়নই করা হয় না। আপনি সত্য কথাই বলেছেন।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মাকে সশ্রদ্ধ সালাম।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
জুন বলেছেন: অশেষ শ্রদ্ধা রইলো আপনার মা এর জন্য ।
শুধু এই বিহারীরাই না ভারতের পাঞ্জাবের বেশিরভাগ মানুষই অসম্ভব অভদ্র, অশালীন , উগ্র আর অসৌজন্যমুলক আচরনের জন্য সুবিদিত । যে কোন ভদ্র পরিবেশেও তাদের উচ্চ কন্ঠস্বরে অভদ্রতা যেন ঝরে ঝরে পরে প্রামানিক ভাই, সে অভিজ্ঞতা আমার শুধু ভারতেই নয় অন্যান্য দেশেও তাদের সাথে হয়েছে তা বলবো এক দিন ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
প্রামানিক বলেছেন: বর্তমানেও যে সব বিহারী বাংলাদেশে আছে তারাও দেখি সুবিধার নয় কথায় কথায় ঝগড়া করে। আপনি ঠিকই বলেছেন জুন আপা। আমি ৮০ সালে সৈয়দপুর আমার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। পাশের বাসায় থাকতো বিহারী পরিবার। তাদের অনবরত ঝগড়া দেখে খুব খারপই লেগেছিল। স্বামী বাচ্চা কাচ্চা কেউ এই মহিলার হাত থেকে রেহাই পেত না। মহিলার মা ভারত থেকে বেড়াতে এসেছে সেও দেখি একই অবস্থা। মহিলার উর্দুতে সারাদিনের বকর বকর না বুঝতে পারলেও হাসতে হাসতে জান শেষ। আমার আত্মীয়রা আমাকে হাসতেও দিত না, তারা বলতো ঐ মহিলা যদি শুনতে পায় তার বকবকানো শুনে কেউ হেসেছে তাহলে ঐ মহিলা তার সাথেও ঝগড়া করবে।
আপনার অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো আপনার মায়ের জন্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন রেজওয়ানা আলী তনিমা। আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন। আমীন
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ্ আপনার মাকে ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাত নসীব করুন।
আপনার মার প্রতিবাদী ভাষা আপনার মধ্যেও দেখতে পাচ্ছি।
শুধু আপনার কাছে নয়, এই অধমের কাছেও তার মূল্য অপরিসীমঃ
//কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যতটুকু প্রতিবাদ করে গেছেন সেইটুকুর জন্যই মায়ের অবদান এদেশের মানুষ স্বীকার করবে কিনা জানি না তবে আমার কাছে অনেক। //
।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন। আমীন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: মহান আল্লাহপাক আপনার মাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন৷ আমিন!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
প্রামানিক বলেছেন: আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন। আমিন
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
হাসান রাজু বলেছেন: একদল মানুষ আছে, যারা পরাধীনতার যন্ত্রণাটা বুঝতে চায় না । দোষ পুরোপুরি তাদেরও না । কারন আমরা স্বাধীনতা শব্দটাকে একটা দল বা গুষ্টির সাথে মিশিয়ে ফেলেছি । আমার ভয়, একসময় ওই একদল মানুষ সেই নির্দিষ্ট দলের বিদ্বেষী হতে গিয়ে স্বাধীনতা বিদ্বেষী হয়ে উঠবে হয়তো ।
যাক, আপনার (আমাদের) প্রতিবাদী মাকে সালাম । আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজু। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সারা বাংলাদেশের মানুষের কমবেশি অবদান আছে। অল্প কিছু লোক বিরোধীতা করেছিল। যারা সেই সময় কঠিন ভূমিকা রেখেছিল তাদের অনেকেই নিগৃহিত।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
সাহসী সন্তান বলেছেন: (সেই সময়ে গ্রামের মানুষ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গেলে সেই জেলাকে বিদেশ মনে করতো)।
-ছোটবেলা ভাবতাম এই পৃথিবীতে মাত্র দুইটা দেশ আছে। একটা বাংলাদেশ আর একটা বিদেশ!
আপনার প্রত্যেকটা লেখাই অনেক সুন্দর আর সাবলিল! খুবই ভাল লাগে! আপনার এবং আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান। আপনাদের উৎসাহ পেয়েই তো লেখার আগ্রহ জন্মে কাজেই আপনারাই আমার লেখার অনুপ্রেরণা। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য শুভ্চেছা রইল।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
কাবিল বলেছেন: আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার মায়ের সেই ঘটনা হয়তো ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না। কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যতটুকু প্রতিবাদ করে গেছেন সেইটুকুর জন্যই মায়ের অবদান এদেশের মানুষ স্বীকার করবে কিনা জানি না তবে আমার কাছে অনেক।
পুরোপুরি সহমত। এমন অজানা কত বাবা-মা প্রতিবাদ করে গেছেন তা অনেকে জানে না। তাদের প্রতিবাদ ছিল শুধুই দেশের জন্য এখনকার হায়নাদের মত স্বার্থপর ছিলনা।
মহান আল্লাহ্ আপনার মায়ের আত্মার শান্তি দিন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। এদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনেক অবদান আছে অথচ আমরা এইসব অবদানের স্বীকৃতি দেই না। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনার মা কে আল্লাহ রহমতের ছায়ায় রাখুন।
অনেক সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সে সময়কার কথা। দেশটা স্বাধীন হয়েছিলো আসলে আপনার মা আর ঐ দুই তরুনীর মত প্রতিবাদী যুব সমাজ থাকার কারনে। কোন কারনে যদি ঐ সময়কার যুবসমাজ এখনকার মত আদর্শগতভাবে বহুভাগে বিভক্ত থাকতো তবে স্বাধীনতা ঐ সময় নাও আসতো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: সেই সময়ে সাধারণ জনগণই বেশি সমস্যা ভোগ করতো এবং তারাই প্রতিবাদী হয়ে অনেক দুঃসাহসী ঘটনা ঘটাতো অথচ তাদের এখন কোন মূল্যায়ন হয় না।
ধন্যবাদ গোধুলী রঙ। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অথচ সেই বিহারীদের আজ আমরা
নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মান করেছি।
আপনার মা'য়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে
তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
প্রামানিক বলেছেন: সেই সময়ের দিনগুলির কথা মনে হলে আজও রক্ত টগবগ করে উঠে। অথচ আমরা অনেকেই সেসব ভুলে যেতে বসেছি।
ধন্যবাদ নুরু ভাই।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
ধমনী বলেছেন: প্রতিবাদের জন্য সাহস লাগে, জাত-পাত, ভাষা বিষয় না। মুগ্ধ হলাম দুই কন্যার প্রতিবাদে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ধমনী। কথা ঠিকই বলেছেন। সেই সময়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠাও একটা সাহসের ব্যাপার ছিল।
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিহারীরা নিকৃষ্ট একটা জাত। তাদের বিরুদ্ধে আপনার মায়ের এমন প্রতিবাদ পড়ে গর্বে বুক ভরে উঠলো। তিনি জান্নাতবাসী হোন। আর নাম না জানা সেই কলেজের মেয়েদুটোর জন্যে প্রার্থনা, তারা যেখানে আছেন ভালো থাকুন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। সেই সময়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠাও সাহসের ব্যপার ছিল। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিহারী শুয়োরগুলো দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সরাসরি সাহায্য করতো । এদেরকে অস্ত্র দেয়া হয়েছিলো, প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিলো । এই অস্ত্র নিয়ে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তো, নির্বিচারে বাঙালিদের হত্যা করতো; লুটপাট করতো । অামাদের ময়মনসিংহে সম্ভবত সবচে বেশি বিহারি হত্যা করা হয় । কারণ, এরা পাকিবাহিনীকে নিমন্ত্রণ করে এনেছিলো । বাঙালিরা এদের হত্যা করে প্রতিশোধ নেয় । শুয়োরগুলো বাঙালিকে অাপন মনে করতো না ।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মতে এরা যদি বাঙালিদের সাথে মিলেমিশে থাকতে পারতো, তাদের মরতে হতো না । উত্তরপুরুষদের অার কষ্ট করতে হতোনা । বোকাগুলো ভেবেছিলো দেশ স্বাধীন হবেনা, যদি হয়ও ওদের পাকিস্তানে নিয়ে যাবে । পাপীদের ফল উত্তরপুরুষেরা ভোগ করছে ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: বিহারীরা বাঙালীদের উপর বেশি অত্যাচার করেছে। তারা উর্দু ভাষী হওয়ায় নিজেদেরকে পাকিস্তানী মনে করতো। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রতিবাদী মা-কে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেশ প্রেমিক বাঙালী। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বিহারীরা জাতিগতভাবেই উগ্র। এর পেছনে অনেক কারনও আছে। সবচেয়ে বড় কারন পরিবেশ আর প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ধীরে ধীরে এদের রক্তের মধ্যেই এই উগ্র স্বভাবটা ঢুকে গেছে যেটা পারিবারিকভাবেই পরের প্রজন্মেও ট্রান্সফার হয়। আর জাতিগতভাবেই নৃসংশও।
যেই আচরন ওরা বাঙ্গালীদের সাথে করেছিলো সেটা দেশ স্বাধীনের পর কিছুটা হলেও ফেরত পায়। সময় নিজেই তার প্রতিশোঢ নেয়।
শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মা যেখানেই আছেন আশা করি শান্তিতে আছেন।
শুভকামনা রইলো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
প্রামানিক বলেছেন: এরা একাত্তুরের যুদ্ধের সময় বাঙালীদের প্রচুর ক্ষতি করেছে। বাঙালীদের বাড়ি ঘর এরাই লুট করতো নিজেদেরকে পাকিস্থানী পরিচয় দিয়ে। ধন্যবাদ ভাই শতদ্রু। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
উরনচণ্ডী বলেছেন: আপনার মায়ের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি। আমার আব্বার মুখেও বিহারীদের অত্যাচারের কাহিনী শুনেছি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
প্রামানিক বলেছেন: ভীষণ উগ্র স্বভাব ছিল বিহারীদের। তারা নিজেদেরকে পাকিস্তানী পরিচয় দিত। ধন্যবাদ ভাই উরন চন্ডি
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার মায়ের সেই ঘটনা হয়তো ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না। কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যতটুকু প্রতিবাদ করে গেছেন সেইটুকুর জন্যই মায়ের অবদান এদেশের মানুষ স্বীকার করবে কিনা জানি না তবে আমার কাছে অনেক।
হয়তো ইতিহাসে ঠাঁই পাবে না। কিন্তু আপনার মা তো বিজয়ী। আর বিহারীদের আজ কোন কর্তৃত্ব নেই। আমরা সফল। আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার, কথা ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশে বিহারীদের কোন কর্তৃত্ব নেই তারপরেও সেই সময়ে তাদের উগ্রতা এবং একগুয়েমি দেখলে রক্ত মাথায় উঠে যেত। বাঙালীদের তারা কোনঠাসা করে রেখেছিল।
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
আহলান বলেছেন: চমৎকার লেখা ....!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহলান। শুভ্চেছা রইল।
২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
ম.র.নি বলেছেন: সেই সময়ে বাঙালীরা ওদের মত বোরখা পরতো না বাঙালীরা কি এখন বোরখা পড়ে?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
প্রামানিক বলেছেন: এখন যতটা বোরখা পড়া বাঙালী মহিলা দেখা যায় তখন এটাও ছিল না। যদিও বোরখা বর্তমানে পর্দার চেয়ে ফ্যাশন হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। এমনিতেই বাঙালী মহিলারা সেই সময়ে ট্রেন বাসে খুব একটা ঘুরাফিরা করতো না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।
২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
কমরেড নীল বলেছেন: অশেষ শ্রদ্ধা রইলো আপনার মা এর জন্য
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কমরেড নীল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুমন কর বলেছেন: এটা আমাদের দেশ ওদের না। মেয়েটির বলা প্রতিবাদী কণ্ঠটা যেন কানে বেঁঝে উঠল। +।
কিছুদিন পর এ মাসেই, আমার মা'র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ লেখাগুলো আমাকে খুব ছুঁয়ে যায়। মনটা জানি, কেমন হয়ে যায় !!
প্রতিটি মা, ভালো থাকুক। সব সময়।
আপনার মা'র আত্মার শান্তি কামনা করি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। আপনার মায়ের দ্বিতীয় মৃতু্যবার্ষিকীতে আপনার মায়ে আত্মার শান্তি কামনা করছি। শুভেচ্ছা রইল।
২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নবাব চৌধুরী বলেছেন: মা তার দুই সন্তানকেই বুকে আগলে রেখেছিলেন বুকের সাথে এঁটে দিয়ে একটাকে তিনি গর্ভে ধারন করেছিলেন আর অপরটাকে তিনি জন্ম দিয়েছে নবরুপে সংরামের মাধ্যমে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নবাব চৌধুরী। আপনার মন্তব্যে অনেক মূল্যবান কথা উঠে এসেছে। খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। শুভ্চেছা রইল।
২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
এইচ তালুকদার বলেছেন: আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার মায়ের সেই ঘটনা হয়তো ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না। কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যতটুকু প্রতিবাদ করে গেছেন সেইটুকুর জন্যই মায়ের অবদান এদেশের মানুষ স্বীকার করবে কিনা জানি না তবে আমার কাছে।
আপনার মা কে স্যালুট,আর আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার এই লেখাটির জন্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এইচ তালুকদার, এটাই আমাদের বাস্তবতা। আমার মায়ের মত অনেক মা আছেন যাদের অবদান অনেক অথচ তারা ইতিহাসের কোন পাতায় নাই। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: দোয়া রইলো আপনার মাএর জন্য
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মিমমা সুলতানা মিতা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিহারীরা খারাপ স্বভাবের বেকুব মানুস, অন্যদের ক্ষতি করে, নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আজীবন; এরা পৃথিবীর জন্য দু:খ ছাড়া কিছুই নয়।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। আসলেই বিহারীরা পাকিস্থান আমলে বাঙালীদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে সেসব ঘটনা মনে পড়লে তাদের উপর ঘৃণা হয়।
২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: লেখাপড়া না জানা সহজ সরল মায়ের এই প্রতিবাদ হয়তো সেই সময়ের অত্যাচারের কাছে তেমন কোন বড় ঘটনা নয়, তারপরেও তার প্রতিবাদী হয়ে উঠাটাই পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার আগুন ঝরা বিপ্লবের একটি অংশ বটে। --
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ প্রতিবাদ করবেনই, তিনি যতই সহজ-সরল বা অশিক্ষিত হোন না কেন!!!
মা-এর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাত দান করুন!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ নাহার আপা। কথা ঠিকই বলেছেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ প্রতিবাদী হতে বাধ্য হয়। চমৎকার মন্তব্য করেছেন। শুভ্চেছা রইল।
২৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার লেখা । আপনার মায়ের প্রতিবাদী কন্ঠের স্মৃতি জেনে বেশ ভাল লাগলো । আপনার মায়ের জন্য রইল অশেষ দোয়া ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করেন।
২৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: বিহারী কা বাচ্চা কাভী নেহি সাচ্চা
যো ভি হোগা সাচ্চা, ও বিহারী শুয়ার কা বাচ্চা ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৬
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ
৩০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৪
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: চোখ বড় করবি না, চোখ বড় করবি তো চোখ টান দিয়া ছিঁড়া ফালামু, বহুত জ্বালাইছোস, এটা এখন আমাগো দ্যাশ। এতক্ষণ বিদেশে আছিলাম দেইখা কিছু কই নাই .....
ভালো থাকুন তিনি .....
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শহুরে আগন্তুক। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
৩১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
আলোরিকা বলেছেন: ' বামন ডাঙ্গা থেকে শাড়ি পরা দু’টি মেয়ে উঠল। বয়স আঠারো বিশের মত হবে। সম্ভবত গাইবান্ধা কলেজে পড়ে। হাতে বই খাতা আছে। তাদের একটি মেয়ে মাকে সরে গিয়ে জায়গা দিতে বললে মা মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল .........সারা রাস্তা আমার সাথে ঝগড়া করতে করতে আইছে..........গাইবান্ধা স্টেশনে গাড়ি থামলে মেয়ে দু’টি নেমে গেল। নামার সময় একটি মেয়ে মাকে উদ্দেশ্য করে বলল, খালা, এই মহিলারা আবার যদি কিছু বলে, ধাক্কা দিয়া গাড়ি থেকে ফেলে দিবেন। এটা আমাদের দেশ ওদের না।"
আমার দাদার বাড়ি বামনডাঙ্গা , এখনও মাঝে মাঝে যাওয়া হয় । বামন ডাঙ্গায় ওই সময় এমন প্রতিবাদী মেয়ে ছিল , খোঁজ নিতে হবে আমার ফুপুদের মধ্যে কেউ কিনা ! ওহ ভীষণ গর্ব বোধ করছি । মায়ের জন্য অনেক শ্রদ্ধা , আল্লাহ্ ওনাকে শান্তিতে রাখুন ।
সাবলীল বর্ণনার স্মৃতিচারণে অনেক ভাল লাগা +++
শুভ কামনা , ভাল থাকুন সব সময় ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
প্রামানিক বলেছেন: ভাই খোঁজ নিয়ে দেখেন তো তারা কেউ এই কাজটি করেছিল কিনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওরা শক্তের ভক্ত ছিল ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ওরা পাকিস্থানীদের সাথে সাথে বাঙালীদেরকে অনেক অত্যাচার করেছে। ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন।
৩৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওরা শক্তের ভক্ত ছিল ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন।
৩৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মানবী বলেছেন: ইদানীং কালে
যে বিশেষ দলের
সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধা,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর
মুক্তিযুদ্ধে এদের কোন অবদান
নেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আপনার
মায়ের মতো মানুষের প্রতিবাদ,সেই দুই অগ্নি
কন্যাদের প্রতিবাদ! সাধরন মানুষ যারা এসব রাজনীতির
কোন প্যাচ বুঝে না শূধু বুঝে নিজের দেশ আর
মাটি তাঁরাই লড়াই করে এই দেশকে মুক্ত করেছে
আর দুই পয়সার সার্টিফিকেট কিনে সেই স্বাধীনতা
বেচে খাচ্ছে আজকের হানাদাররা।
শত নীপিড়নের মাঝেও কোন মায়ের পক্ষে
সম্ভবনা তিনি নিজে বসে শিশু সন্তানকে দাঁড় করিয়ে
রাখবেন। এতো সব গন্জনার মাঝে এক মা যেভাবে
প্রাণের সন্তানকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন, সেই
বর্ণনা মন ছুঁয়ে গেছে। মহান আল্লাহ্ আপনার মায়ের
আত্মার শান্তি দিন।
হুম
ধন্যবাদ প্রামানিক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। মন্তব্যর জন্য আন্তরিক শুভ্চ্ছা রইল।
৩৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।দারুন অভিজ্ঞতা পেলুম।মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।আল্লাহ মাকে যেন জান্নাতবাসী করেন
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার মায়ের মত মা ছিলো বলেই তখন বাঙ্গালীরা প্রতিবাদ করতে জানতো। আজ বরো অভাব সেই সব মা দের।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, এখনও অনেক অনাচার হয় কিন্তু প্রতিবাদ করার লোক নাই। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
৩৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
আনোয়ার ভাই বলেছেন: এ থেকে পরিস্কার হয়- দেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা কত উপকৃত হয়েছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: অবশ্যই আমরা এইসব অত্যাচার থেকে রেহাই পেয়েছি। ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই।
৩৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: মহান আল্লাহপাক আপনার মাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন৷ আমিন!
বিহারি হল একটা ছোট নিকৃষ্ট জাত, যারা নাকি বিনদেশ থেকে আমাদের দেশে এসে আমাদের উপর অত্যচার করেছেন। আপনার মার মতন আরো অনেক মা বোন ভাই আছে যাছেন তাদের প্রতিবাদে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি।
যাদের হাতে সার্টিফিকেট আছে তারা মুক্তিযুধ তাদেরকে আমি অশ্রদ্ধা করছি না। এমনও অনেক সাধারন মানুষ আছেন যাদের হাতে সার্টিফিকেট নেই কিন্তু তারাও আপনার মার মতন প্রতিবাধ করেছেন। শুধু একে তাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি না। দেশের প্রতিটা প্রতিবাদী মানুষের জন্য আজ আমরা স্বাধীন বাংলায় মুক্ত প্রাণে শ্বাস নিতে পারছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হৃদয় শেখ। আপনি ঠিকই বলেছেন, বিহারীরা ছিল একটি নিকৃষ্ট মানসিকতার লোক তাদের দ্বারাই বাঙালীরা বেশি নিগৃহীত হয়েছে এবং এদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষ প্রতিবাদী হয়েছিল অথচ এইসব সাধারণ মানুষের কোন অবদান ইতিহাসে লেখা নাই। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
৩৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
রাবার বলেছেন: আপনার মা এর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাবার। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৪০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আপনার প্রতিবাদী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবনত সালাম জানাই। ৭১ এর সেই দিনগুলি বাংলাদেশিদের জন্য বিভিষিকাময় ছিল। আপনার লেখায় তার প্রমান।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
প্রামানিক বলেছেন: সেই সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও মনে হলে ওদের উপর ঘৃণা চলে আসে। ধন্যবাদ ভাই ভ্রমরের ডানা, শুভ্চেছা রইল।
৪১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
নেক্সাস বলেছেন: আপনার মাকে সালাম
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেক্সাস। শুভ্চেছা রইল।
৪২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ডাঃ মারজান বলেছেন: আল্লাহ আপনার মা'কে শান্তিতে রাখুন। আমিন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ডাঃ মারজান। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৪৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: দোয়া করি আপনার মা জান্নাতবাসী হোক।
বিহারীরা এখনো জানুয়ারই রয়ে গেছে মানুষ হয়নি। আচার-আচরণ শিক্ষা দীক্ষার বড়াই অভাব।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আশিকুজ্জামান। অনেক শুভ্চেছা রইল।
৪৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
চ্যাং বলেছেন: খইচ্চা পিলাস লন, ভাইয়া!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমার শুভেচ্ছা লন।
৪৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আল্লাহ আপনার আম্মাকে জান্নাত নসীব করুন, আমীন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
মানবী বলেছেন: ইদানীং কালে যে বিশেষ দলের সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধে এদের কোন অবদান নেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আপনার মায়ের মতো মানুষের প্রতিবাদ,সেই দুই অগ্নি কন্যাদের প্রতিবাদ! সাধরন মানুষ যারা এসব রাজনীতির কোন প্যাচ বুঝে না শূধু বুঝে নিজের দেশ আর মাটি তাঁরাই লড়াই করে এই দেশকে মুক্ত করেছে আর দুই পয়সার সার্টিফিকেট কিনে সেই স্বাধীনতা বেচে খাচ্ছে আজকের হানাদাররা।
শত নীপিড়নের মাঝেও কোন মায়ের পক্ষে সম্ভবনা তিনি নিজে বসে শিশু সন্তানকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন। এতো সব গন্জনার মাঝে এক মা যেভাবে প্রাণের সন্তানকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন, সেই বর্ণনা মন ছুঁয়ে গেছে। মহান আল্লাহ্ আপনার মায়ের আত্মার শান্তি দিন।
ধন্যবাদ প্রামানিক।