নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আগের পর্ব পড়তে নিচে ক্লিক করুণ
অমাবস্যার ভুত (গল্প পর্ব-২)
অমাবস্যার ভুত (গল্প পর্ব-১)
নাদু আমাকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে। নাদু কাছে থাকায় একটু সাহস পাচ্ছি। সেই সাহসের উপর ভরসা করে ভুতের আলো কতদূর এসেছে তা অবলোকন করার জন্য যেই চোখ খুলেছি অমনি একেবারে মাথার উপরে এসে ভোকাত্ করে আলো জ্বলে উঠল। সাথে সাথেই নাদু “ওআল্লাগো” বলে একটা চিৎকার দিলো, মহুর্তেই আমারও ভিতর থেকে আপনাআপনি “আেঁ আেঁ” শব্দ বেরিয়ে এলো। আমরা দু’জন চিৎকার দেয়ার সাথে সাথে আরো জোরে চিৎকার দিয়ে কি যেন একটা ভারি বস্তু আমাদের দু’জনের গায়ের উপর হুমরি খেয়ে পড়ল। মুহুর্তেই হুশহারা হয়ে গেলাম।
কতক্ষণ এ অবস্থায় ছিলাম জানি না। যখন হুশ্ হলো তখন দেখি আমার হাত ধরে কে যেন টানটানি করছে। অনুমানে বুঝতে পেলাম আমার বুকের উপর কার যেন একটা পা। ভয়ে জড়সড় হয়ে গেলাম। এই পা দিয়েই হয়তো বুকের উপর চড়ে বসবে। এ কথা ভাবতে না ভাবতেই আবার হাত ধরে টান দিলো। হুশ্হারা হবার উপক্রম। নিশ্চয়ই ভুত হাত ধরে টানছে। টেনে হিঁচড়ে নদীতে নিয়ে যাবে, না হয় শ্মশানে নিয়ে বুক চিরে রক্ত চুষে খাবে। ভয়ে বুকের রক্ত হিম হয়ে গেল, নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেললাম। আবার হাত ধরে টান দিল। আমি হাত মুঠো করে কাঠের মত শক্ত করলাম। যাতে হাত ধরে টেনে নিতে না পারে অথবা হাত মোচর দিয়ে ভাঙতে না পারে। মরার আগে বাঁচার শেষ চেষ্টা করছি। আবার হাত ধরে টান দিয়ে আস্তে আস্তে ঝাঁকি দিলো। হাত ধরে টান দেয়া ও ঝাঁকি দেয়ার লক্ষণ অনুমান করার চেষ্টা করে কান পেতে দিলাম।
আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অবস্থা আঁচ করার জন্য আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম। অন্ধকারে চোখ খুলতে না খুলতেই আবার হাত ধরে টান দিল। মুহুর্তেই আবার চোখ বন্ধ করে বালুর উপর গা এলিয়ে দিতেই হাত ছেড়ে দিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মুখের কাছেই আলো জ্বলল। কলিজার ভিতর ধক্ করে উঠল। চোখ বন্ধ করে ভাবলাম এবার হয়তো আর রক্ষা নেই। ভুত হয়তো তার মুখের আগুন দিয়ে আমার মুখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারবে। আলো দপ্ করে নিভে গেল। অন্ধকারে খস্ খস্ শব্দ হলো। আবার আলো জ্বলে উঠলো। খস্ খস্ শব্দের সাথে ফরাত করে আলো জ্বলে উঠায় বুঝতে পেলাম এটা ভুতের আলো নয় এটা দিয়াশলাইয়ের আলো। সাহস করে চোখ খুলে তাকালাম। চেয়ে দেখি নাদু মাথার কাছে বসে আছে। তার হাতে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বলছে।
মাথার কাছে কাপড়ের মত মনে হলো। হাত দিয়ে সরিয়ে আড়মোড়া দিয়ে উঠে বসলাম। হাত বাড়িয়ে এলোমেলো ভাবে হাতিয়ে হ্যারিকেনটা হাতের নাগালে পেয়ে গেলাম। নাদু জাল আর লাঠি নিয়ে বসেছিল। আমি হ্যারিকেনটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম কিন্তু কোন কথা বললাম না। আমার দাঁড়ানো দেখে নাদুও উঠে দাঁড়াল। দু’জনে কয়েক পা হেঁটে একটু দূরে যাওয়ার পর নাদু বলল, চাচা হারিকেনে ত্যাল আছে?
এতক্ষণ আমার মুখে কোন কথা ছিল না, নাদুর কথায় হ্যারিকেন ঝাঁকি দিয়ে তেলের পরিমাণ অনুমান করে বললাম, হ্যারিকেনের তলায় সামান্য তেল আছে।
-- তাইলে হারিক্যানডা জ্বালান।
-- ম্যাচ পাবো কই?
-- ম্যাচ আছে।
-- কোথায় পেলেন?
-- একটা কাপড়ের আঁচলের গিটে বান্দা আছিল।
-- কাপড় পেলেন কই?
নাদু বলল, হুশ হওয়ার পর দেখি আমার মুখের উপর একটা কাপড়। কাপড় মুখ থিকা সরাইতে গিয়া ম্যাচের ভিতরের কাঠি নড়াচড়ার শব্দ পাইলাম। আমি আবার কাপড় হাতে নিতেই কাপড়ের আঁচলে বান্ধা দিয়াশলাইটি আমার হাতে চইলা আসে। আঁচলের গাইট খুইলা দেখি ম্যাচ। ওইটা জালানোর পরেই তো আপনাকে ডাইকা উঠাইলাম।
আর কোন প্রশ্ন না করে আমি দিয়াশলাইটি হাতে নিয়ে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে দিলাম। হ্যারিকেন জ্বালানোর পর মনের মধ্যে একটু সাহস জুটল। নাদুকে বললাম, চাচা তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলেন।
নাদুও কোন কথা না বাড়িয়ে বলল, চলেন।
কয়েক গজ যাওয়ার পর নাদু বলল, চাচা আপনি কি গামছা আনছিলেন?
আমি বললাম, হুঁ, এনেছিলাম।
-- গামছাটা কই?
-- এইতো আমার কোমরে বাঁধা।
-- আপনার গামছায় কি দিয়াশলাই বান্ধা আছিল?
-- না তো! দিয়াশলাই আমার কোমরে লুঙ্গির উল্টা প্যাচে ছিল।
নাদু আশ্চার্য হয়ে আমাকে বলল, তাইলে চাচা, কার আঁচলে এই দিয়াশলাইটা বান্ধা আছিল! ভুতেরা তো দিয়াশলাই রাখে না!
আমার গায়ের লোম আবার কাঁটা দিয়ে উঠল। আমি বললাম, চাচা এতোসব না বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলেন তো।
নাদুর বুঝতে আর বাকি রইল না যে আমি ভয় পেয়েছি, এইজন্য তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চাচ্ছি। নাদু অভয় দিয়ে বলল, চাচার কি ভয় করতাছে? আমি আছি না। কুনু ভয় নাই, আমরা কুনু ভুতের হাতে পড়ি নাই। আমরা আল্লার রহমতে ভাল কোন কিছুর হাতে পড়ছিলাম। আমাগোরে ক্ষতি তো করেই নাই বরং দিয়াশলাই দিয়া সাহায্য করছে।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে নাদু আবার বলল, চাচা, যদি সাহস করেন তো চলেন, আবার ওইখানে যাই।
আমি বললাম, কোনখানে?
-- ঐ তো যেখানে আছাড় খাইলাম।
আমি বিস্ময় প্রকাশ করে বললাম, চাচার কি মাথা খারাপ হলো নাকি! আবার ওইখানে যাব কোন দুঃখে? জীবনটা ফিরে পেয়েছি যখন তখন আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলেন।
আমার ভীতি ভাব দেখে নাদু বিজ্ঞের মতো অনুনয় বিনয় করে বলল, চাচা বুঝতে চেষ্টা করেন। আমরা যা দেখছি এটা কোন খারাপ জিনিস না। মনে হয় ভাল কোন কিছু হইবো। চাচা একটু সাহস কইরা চলেন, কি জিনিসের হাতে পড়ছিলাম সেটা স্বচক্ষে দেখলে তহন বুঝা যাইবো। আমার মনে হইতেছে জ্যান্ত মানুষ-টানুষ হইব।
-- চাচা আপনি মানুষ দেখলেন কই?
-- আমি যখন ম্যাচ জালাইলাম তখন দেখছি।
-- কোথায় দেখছেন?
-- আমাগো মাথার ওইপাশে চিত হয়া শুয়ে আছিল। দেখতে খুব সুন্দর মনে হইলো।
-- চাচা বুঝতে পারতেছেন না। শয়তানগুলা অনেক সময় মরা লাশ-টাস এনে রাখে, এমন কিছুও তো হতে পারে?
-- চাচা সাহস করেন, লাশ হইলেও এতক্ষণ যহন মারে নাই, এহন আর আমাগোরে ক্ষতিটতি করতে পারবো না।
-- যদি গিয়া কোন কিছু না দেখতে পাই তাহলে কি হবে?
-- যদি কোন কিছু না দেখতে পাই তাইলে বুঝুম ভুতটুত কিছুই না মনের ধান্দায় ভয় পাইছি। তহন ফিরা আসুম। আর মনের মইধ্যে সন্দেহ থাকবো না। মনের ভয়ভীতি দূর হইয়া যাইবো।
অনিচ্ছা সত্বেও নাদূর অনুরোধে পিছন ফিরে দাঁড়ালাম। নাদুকে সামনে দিয়ে আমি হ্যারিকেন নিয়ে পিছনে পিছনে হাঁটছি। মনের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিল, নাদূর উপর ভুতের আঁছড় করেনি তো? ফিরিয়ে নিয়ে বালুর ভিতর মুখ চেপে ধরে মেরে ফেলবে না তো? নাদুর উপর আমার অবিশ্বাস এসে গেল। তবে করার কিছুই নেই। এইমুহুর্তে আমি একা। সঙ্গী তো ঐ নাদু ছাড়া আর কেউ নেই। কাজেই নাদু যা বলে তাই শুনতে হবে। নাদু ভূত হলেও শুনতে হবেÑ আর মানুষ হলেও শুনতে হবে। নাদুকে অনুসরণ না করে কোন উপায় নেই। অবশেষে নাদুর কথামতো তার সাথে সেই জায়গায় এসে পৌঁছলাম।
কাত হওয়া খালুইয়ের আসে পাশে বালুর উপর মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। খালুই ছেড়ে আরেকটু সামনে যেতেই হ্যারিকেনের আলোয় যা চোখে পড়ল তা অবিশ্বস্য মনে হলো।
সাদা কাপড় পরিহিতা এক মহিলা এলোমেলোভাবে হাত পা ছড়িয়ে চিত হয়ে আছে। পরনের কাপড় ঠিক থাকলেও মাথার ঘোমটা দেয়ার শাড়ির আঁচল লম্বাভাবে ছড়ানো। আরেকটু দূরে দু’টি ছোট ছোট মাটির ভাঙা হাঁড়ি এবং এই হাঁড়িগুলোর কাছেই কাত হয়ে পড়ে আছে একটি পিতলের ল্যাম্প। মহিলাটি মৃত না অচেতন হ্যারিকেনের আলোতে ততটা বুঝা যাচ্ছে না।
আমি ভীতুভাবে বললাম, চাচা, মহিলাটি মরা, না তাজা?
নাদু বলল, মহিলা মরে নাই। এই মহিলাই আমাদের সাথে ধাক্কা খাইয়া পইরা গ্যাছে। আমার স্পষ্ট মনে পড়তেছে ধাক্কা লাইগা পড়ার সময় আমাগো চিল্লানীর সাথে সেও জোরে চিল্লানী দিছিলো। এহন সে হয়তো ভয়ে অজ্ঞান হইয়া পইড়া আছে।
-- চাচা মহিলা যদি জ্যান্ত থাকে তাহলে জ্ঞান ফেরানো যায় না?
-- যদি কন তো চেষ্টা কইরা দেহি।
-- চাচা যদি সত্যি সত্যি মরা হয়?
নাদু আমার কথার উত্তর না দিয়ে মহিলার নাকের কাছে হাতের কব্জির উল্টো দিকটা দিয়ে পরীক্ষা করে বলল, চাচা মহিলা মরে নাই, এহনো নিঃশ্বাস আছে। চোখে মুখে পানি ছিটা দিলেই জ্ঞান ফিরবো।
-- এই বালুচরে পানি পাবেন কই? পানি আনতে গেলে তো নদীতে যেতে হবে? তারপরে পানি আনবেন কিসে? আমাদের সাথে তো পানি আনার মতো কোন ভান্ড নেই?
-- তাইলে চাচা পানি ছাড়াই চেষ্টা কইরা দেহি।
নাদু কপালে হাত রাখলো কিন্তু জ্ঞান ফিরল না, ডান হাতের আঙুল প্রশস্ত করে কপালের দুই পার্শ্বে জোরে চাপ দিল তাতেও জ্ঞান ফিরল না, চোখের ভ্রুতে চাপ দেয়ার পরও জ্ঞান ফিরল না, নাদুর চেষ্টা বিফল হওয়ায় কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে নাক চিপে ধরল। নাক চিপে ধরায় মুখটি নড়াচড়া দিল। মুখটি নড়াচড়া করায় নাদুর মুখটি উজ্জল হয়ে উঠল। খুশিতে বলল, চাচা মহিলা তাজা আছে, বলেই আবার নাক চিপে ধরল, এবার নাক চিপে ধরায় মহিলা মাথাটি নড়াচড়া করে চোখ মিট মিট করে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করল। মহিলা নড়াচড়া করায় নাদু মাথা ধরে আস্তে আস্তে ঝাঁকি দিল। মাথায় ঝাঁকি দেয়ায় মহিলা আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো। মুহুর্তেই আবার চোখ বন্ধ করল। নাদু চোখের পাতা টেনে ধরলে আবার চোখ খুলল। চোখ খুলে এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে আমার দিকে মহিলার চোখ পড়ল। আমার চোখে চোখ পড়তেই হুড়মুড় করে উঠে বসল। উঠে বসেই একবার আমার দিকে একবার নাদুর দিকে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল।
নাদু ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি মানুষ না অন্য....? এই বলে আর কিছু বলতে পারলো না। ভয়ে ভয়ে আরো কি যেন জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল কিন্তু সাহস পেল না। নাদুর প্রশ্নের কিছুক্ষণ পর মহিলা চোখ খুলল। চোখ খুলে নাদূর দিকে এমনভাবে তাকালো নাদু কিছু বলতে চাইলেও তার চাহনিতে বলতে পারলো না। সে এক ভীতু করুণ চাহনী।
মহিলার করুণ চাহনিতে নাদু যখন হতভম্বের মত মুখ বন্ধ করে বসে আছে তখন আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার বাড়ি কোথায়?
মহিলা কোন জবাব দিল না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনি একা একা কোথায় যাচ্ছিলেন?
এবারও কোন জবাব দিল না। তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলাম, আপনার সাথে কি কেউ আছে?
এবার সে মুখে বিড়বিড় করে কি যেন বলল বুঝা গেল না, তবে চোখের পানি ছেড়ে যে কেঁদে দিল, এটা বুঝা গেল। আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি একা?
এবার সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। তার হাউমাউ করে কান্না করার দৃশ্য দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমরা এখন কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থায় নাদু বলল, চাচা, বুঝতে পারছি, মহিলা মনে হয় কোন বিপদে আছে।
একটু চুপ করে থেকে নাদু জিজ্ঞেস করল, আপনার সাথে কেউ নাই?
মহিলা কাঁদতে কাঁদতে মাথা নেড়ে না সম্মতি জানাল।
নাদু আবার জিজ্ঞেস করল, এই অন্ধকার রাইতে আপনে একলা একলা কই যাইতেছেন?
নাদূর এ কথার উত্তর না দিয়ে সে শুধু কাঁদতে লাগল। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনার বাড়ি কোথায়? এখানে কিভাবে এলেন? কোথায় যাবেন?
আমার একসাথে তিনটি প্রশ্ন শুনে মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে সংক্ষেপে যা বলল, সেটির সারমর্ম হলো এই--
ছোট কালে তার মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। সৎমায়ের ঘরে অনেক অত্যাচার-অনাচার আর নির্যাতনের মধ্যে বড় হয়েছে। সৎমা তাকে ঠিক মতো দু’বেলা পেটপুরে ভাত দিত না। অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটত। যৌবনে পরতে না পরতেই বাবা তাকে চল্লিশোর্ধ দ্বিজ বরের সাথে বিয়ে দেয়। ঘরে সতীন আছে। সতীনের পাঁচ ছেলে মেয়ে। সতীনের অমানুষিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার সাথে স্বামীর নির্যাতন। বাবার বাড়িতেও সৎমায়ের জ্বালাতন। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। সতীনের সংসারে সারাদিন অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম অনুযায়ী খাবার দেয়া হয় না। প্রায়ই তাকে না খাইয়ে রাখে। ভাতের কথা বললে উল্টো স্বামীর হাতে মার খেতে হয়। অনেক অত্যাচার নির্যাতনের পরও সতীনের সাথেই স্বামীর সংসার করছে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া কখনও সে বাপের বাড়ি যায় না। কিন্তু আজ সন্ধ্যার পরে যে অমানুষিক ঘটনা ঘটেছে তাতে টিকতে না পেরে অমাবশ্যার এই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে একা একা স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি রওনা দিতে বাধ্য হয়েছে।
(চলবে-)
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই। আমার লেখা গল্প পড়ার জন্য শুভ্চেছা রইল।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: যাক, ভয়টা কিছুটা হলেও কেটেছে।
পরের পর্ব কখন ????
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: পরের পর্ব আগামী কাল সকাল ১১টার পর পাবেন। ধন্যবাদ
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তিনটা পর্ব একসাথেই পড়লাম । ভূতের গল্প অামার ভালো লাগে । প্রতি সপ্তাহে ভূত এফএম শুনি । নাদু চরিত্রটা চমৎকার, শরৎ চন্দ্রের ইন্দ্র চরিত্রের মত । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধেতৈ সাধু। তিনটা পর্ব একসাথে পড়ার জন্য খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
তুষার আহাসান বলেছেন: এ যে জ্যান্ত ভুতের গল্প্
বলার স্টাইল খুব ভাল।
আগামী পর্ব র অপেক্ষায় রইলাম।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তুষার আহাসান। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটা দিয়েই বউনি করলাম।। বাকিগুলিও পড়ে নেবো।।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সচেতনহ্যাপী। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: আগামী পর্ব র অপেক্ষায়
রইলাম।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পারভেজ উদ্দিন হৃদয়। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: দারুণ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজমান আন্দালিব। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বাংলাদেশে দুই ফরমার বই বেড় করতে কত লাগে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
প্রামানিক বলেছেন: সাধারণ মনের কোয়ালিটিতে প্রায় ১৫হাজার টাকার মত।
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: 300 কপি দিবে ,15 হাজারে ?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: আলাপ করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: পরের পর্ব কবে পাব?? বেশি দেরি হবে নাকি??
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: না ভাই সামনের সোমবারে পাবেন। ধন্যবাদ ভাই অভ্রনীল হৃদয়। শুভ্চেছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।